Tag: agitation

agitation

  • RG Kar Protest: দাবি আদায়ে ন্যায় বিচার যাত্রা, শামিল নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Protest: দাবি আদায়ে ন্যায় বিচার যাত্রা, শামিল নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গণস্বাক্ষর সংগ্রহ সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এই আবহে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে ন্যায় বিচার যাত্রার সূচনা করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। আর প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

    সিবিআইয়ের ওপর আস্থা রয়েছে (RG Kar Protest) 

    শুক্রবারই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রা ‘রিলে পদ্ধতি’তে এগোবে। এভাবেই ধর্মতলার অনশন মঞ্চে (RG Kar Protest) এসে পৌঁছবে এই যাত্রা। শনিবার পানিহাটির এইচবি টাউন মোড়ে এই যাত্রার সূচনা করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। মিছিলে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি প্রচুর সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। কর্মসূচির সূচনা করে নির্যাতিতার বাবা-মা  বলেন,”বিচারের আশায় আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সিবিআই ও শীর্ষ আদালত সকলেই বলছে ধৈর্য ধরতে হবে এবং সিবিআইয়ের ওপরেও আমাদের আস্থা রাখতে হচ্ছে। কারণ, সিবিআই কাজ করছে। এই ঘটনায় অন্য যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিবিআই।”

    আরও পড়ুন: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হোক

    নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশনে (RG Kar Protest) শামিল হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এই বিষয়টি নিয়ে যে তাঁরা উদ্বিগ্ন বুঝিয়ে দিলেন তাও। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “অনশন শেষ অস্ত্র। অনশন মানে মৃত্যু। আমরা কখনওই চাইনি এটা। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা যেন হাসপাতালে ভর্তি হয়।” নির্যাতিতার মা বলেন “মুখ্যমন্ত্রী যেন আলোচনা করে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করেন। আমার খুব খারাপ লাগছে। আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হলে একটু নিশ্চিন্ত হব।” একইসঙ্গে তাঁরা এও বলেন, “আমাদের মেয়ের বিচার এখনও অধরা। আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল সেটা এখনও আমরা জানি না। তাই আন্দোলন তো করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করকাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে “রাতের মিটিং”! শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে পা

    RG Kar: আরজি করকাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে “রাতের মিটিং”! শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) বিচারের দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে, জুনিয়র ডাক্তরেরা ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে। এর মধ্যেই ‘রাত দখল, অধিকার দখল’ মঞ্চের সংগঠকেরা নতুন এক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিলেন। নাম ‘রাতের মিটিং’। এর আগে গত ১৪ অগাস্ট ‘মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।  

    ‘রাতের মিটিং’-এর উদ্দেশ্য কী? (RG Kar)

    উদ্যোক্তারা (RG Kar) বলেন, রাত দখলের (Agitation) কর্মসূচি মূলত প্রতিবাদের কর্মসূচি, ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর কর্মসূচি, ক্ষোভ প্রকাশের কর্মসূচি ছিল। সেটা ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু, সমস্যার আরও গভীরে যেতে হলে এক তরফা বক্তৃতা বা স্লোগানের বাইরে নিবিড় আলাপ-আলোচনা, পারস্পরিক আদানপ্রদান জরুরি। আমরা একটা মন্থন চাইছি। মেয়েরা মেয়েদের কথা খুলে বলবেন। নানা মেয়ের নানা সমস্যার কথায় আমরা পরস্পরকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারব এর মধ্যে দিয়ে নতুন দাবিও উঠে আসতে পারে। এই কাজটা বড় আকারের জমায়েতে বা সমাবেশে নয়, ছোট আকারের সভায় বা মিটিংয়েই সম্ভব। এই ভাবনা থেকেই আমাদের রাতের মিটিং। কর্মসূচি আপাতত কলকাতায় শুরু হলেও, জেলায় এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমির সামনে এবং শ্যামবাজার চত্বরে মেয়েদের নিয়ে ‘রাতের মিটিং’ করেছি। দু’জায়গাতেই ভালো সাড়া পেয়েছি। শ্যামবাজারে মিটিং হয়েছিল গত ৩ অক্টোবর। রাত ৯টা থেকে ১২টা। অ্যাকাডেমির সামনে মিটিং হয় ১ অক্টোবর রাত ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। শ্যামবাজারের মিটিংয়ে ছিলেন। চৈতালির বক্তব্য, “রাতের মিটিংয়ে মেয়েরা তাঁদের নিজেদের কথা উজাড় করে বলেছেন। তবে, আরও ছোট ছোট এলাকায় এই ধরনের মিটিং করতে পারলে মহিলাদের সাহস বাড়বে। কারণ রাত যতটা পুরুষের ততটাই মেয়েদের।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা কী?

    যেখানে যেখানে রাত দখল হয়েছিল, সেই সব এলাকার সংগঠকদের (RG Kar) সঙ্গে যোগাযোগ করে বৃত্ত বড় করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে উদ্যোক্তাদের এক সদস্য প্রিয়স্মিতা বলেন, “সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা মানেই রাত। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা সেখানে ‘রাতের মিটিং’ করার পরিকল্পনা করছি। সূর্য ডোবার পরে হবে সেই কর্মসূচি। অর্থাৎ যেখানে যখন ‘রাত’ নামবে, সেখানে তখন হবে ‘রাতের মিটিং’। ঝাড়গ্রামের মতো জায়গাতেও ‘রাতের মিটিং’ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যেখানে যেখানে ‘রাতের মিটিং’ হয়েছে, তাতে যোগ দিতে আসা মহিলাদের দেওয়া হয়েছে ২৫ দফা প্রশ্ন সম্বলিত ফর্ম। কোনও এলাকায় রাতে হাঁটতে ভয় হয়, কেন সেই ভয়, সে সব কারণ জানাচ্ছেন মহিলারা। সংগঠকদের তরফে বলা হয়েছে, শ্যামবাজারের ‘রাতের মিটিং’-এ যে মহিলারা লাগোয়া এলাকার বস্তি থেকে এসেছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, যেখানে যেখানে জুয়া-সাট্টার ঠেক চলে, সেখান দিয়ে রাতে চলাফেরা করতে তাঁদের আতঙ্ক লাগে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: এসডিপিও’কে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি, ফের উত্তপ্ত জয়নগর

    Jaynagar: এসডিপিও’কে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি, ফের উত্তপ্ত জয়নগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের  (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jaynagar)

    সোমবার রাতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে এলাকায় আসার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বিক্ষোভে নামেন এলাকাবাসীরা। পুলিশকে (Jaynagar) ঘিরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। এমনকী পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই কারণেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই তেতে উঠেছিল গ্রাম। জায়গায় জায়গায় শুরু হয় অবরোধ। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছতেই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ছিনিয়ে নেওয়া হয় চাবি। চটি হাতে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। এসডিপিও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও। এসডিপিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এসব উত্তেজনার মধ্যেই আবারও গরানকাটিতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। দক্ষিণ বারাসতের দিক থেকে এসডিপিও ঢুকতে গেলে তাঁর গাড়িতেও হামলা চালান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পিছু হটতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে এলাকায় পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী (Jaynagar) বলেন, “পুলিশের ওপর আমাদের কোনও রাগ নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের গ্রাম থেকে তাড়াতে চাই। পুলিশ আসলে সন্ত্রাসবাদীদের প্রোটেকশন দিচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, গ্রামে গাড়ি ঢোকানো যাবে না। পুলিশ বলছে, আমাদের গাড়িতে রোগী আছে। তোমরা সরে যাও, না হলে গায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব। তখনই আমাদের ছেলেরা ক্ষোভে  ফেটে পড়ে।”

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশের (Jaynagar) বক্তব্য, কোনও গ্রামবাসীর সঙ্গে কোনও ধরনের অভব্য আচরণ করা হয়নি। একজন লেডি কনস্টেবল অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আধিকারিককে গ্রামবাসীদের বলতে শোনা যায়, “যাঁরা গাড়ি ভেঙেছেন, তাঁদের আমাদের হাতে তুলে দাও। তোমাদের যা ক্ষোভ আছে, এখন কিন্তু আমার ফোর্সও ক্ষুব্ধ।” ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চমীর সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জয়নগরের গরানকাটি এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar)  বালিকার মৃত্যুর পরেও একই ভাবে পুলিশের উপরে আছড়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক, সাইকেল। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা কার্যত পালিয়ে যান। শনিবার এমন রোষের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কর্তব্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল। পুলিশ তৎপর হলে ওই বালিকাকে বাঁচানো যেত, এমন দাবিও উঠেছে।

    ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়! (Jaynagar)  

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ফাঁড়ির পুলিশ (Jaynagar)  গুরুত্ব দেয়নি। থানায় যেতে বলে দেয়। গ্রামবাসীর দাবি, স্থানীয় একটি দোকানে সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ফুটেজ চেয়ে মেলেনি। পুলিশ তৎপর হয়ে ফুটেজ জোগাড় করলে ধৃতকে আগেই শনাক্ত করা যেত। সে ক্ষেত্রে হয়তো মেয়েটির প্রাণ বাঁচানো যেত! তবে, শুধুমাত্র ওই বালিকার খুনের ঘটনাতেই ফাঁড়িতে জনরোষ, এমন নয়। এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ দিন তারই বহিঃপ্রকাশ হল, বলছেন অনেকে। ওই গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “ফাঁড়িটা আছে নামেই। গ্রামবাসীর কাজে লাগে না। চুরি-ডাকাতি হলেও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না।” আর এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কাজ তো হয়ইনি, উল্টে পুলিশ টাকা চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “আমাদের মেয়েটার বেলায় একটু আগে তদন্ত করতে পারল না ওরা!” দিন কয়েক আগে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই থানা এলাকারই দ্বিতীয় ফাঁড়িটিতেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকও

    গ্রামবাসীরা জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে থানা থেকে দূরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে আলাদা এই ফাঁড়ির (Jaynagar) ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় দু’টি এ রকম ফাঁড়ি রয়েছে। আলাদা ভবন, এক এসআই-সহ চার পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ সব ব্যবস্থাই রয়েছে ফাঁড়িতে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হয় কই? ফাঁড়ির ভূমিকায় বিরক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশও। স্থানীয় এক স্কুল পরিদর্শক বলেন, “এখানকার কোনও স্কুলে কোনও সমস্যা হলে ফাঁড়িতে গিয়ে কাজই হয় না। এ ভাবে ফাঁড়ি রাখার দরকার কী?”

    পুলিশ প্রশাসনের কী সাফাই?

    জেলার পুলিশকর্তারা এই সব অভিযোগ মানেননি। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালির দাবি, “পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। বালিকাকে খোঁজার পর্বে পুরো সময়টাই ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী ওই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। ফাঁড়ির (Jaynagar)  তরফে কোনও গাফিলতি হয়নি।” তা হলে জনরোষ কি অকারণে? ওই পুলিশকর্তার জবাব, “কী কারণে জনরোষ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগে উত্তর দিনাজপুরে এক নাবালিকার মৃত্যুর পরে স্থানীয় থানায় গিয়ে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। প্রাণ বাঁচাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে এক কোণে লুকিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে একটি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর পরেও স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। এবারও জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে জনরোষ আছড়়ে পড়ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    South 24 Parganas: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে ঘিরে রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগর। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শনিবার মহিষমারি এলাকায় ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝাঁটাহাতে পুলিশকে ধাওয়া থেকে, পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করার ঘটনা ঘটে। মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাফ নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পাল্টা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়েছিল এক নাবালিকা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মেয়েটি কোচিং থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। এদিকে, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগ, তাঁদের কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। তাঁদের বলা হয়েছিল, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। পরিবারের দাবি, অভিযোগের কথা শুনেই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলে মেয়েকে হয়তো বাঁচানো যেত। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই মহিষমারি (South 24 Parganas) এলাকায় পুকুর থেকে শিশুর দেহ খুঁজে পায় পুলিশ। তার পর এদিন সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: কর্মবিরতি উঠল, বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পরিবারের লোকজন (South 24 Parganas) মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের (Police) কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। উল্টে হেনস্থা করেছে। তাই, পরিবারের ক্ষোভ পুলিশের ওপর গিয়েছে পড়েছে। এলাকার মানুষও তাতে সামিল হন। আর সেই কারণে এদিন ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ নিয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হন মানুষ। এখন মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টাও চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর গোস্বামী বলেন, “অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এখনও পর্যন্ত এক জনই গ্রেফতার। তদন্তের মাধ্যমে আরও কেউ জড়িত কি না, দেখা হবে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার।”

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর 

    এই ঘটনায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিলি লিখেছেন, ‘‘স্তম্ভিত! শিহরিত! কুলতলী থানা এলাকার কৃপাখালী এলাকায় টিউশন পড়ে ফেরার পথে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হলো চতুর্থ শ্রেণীর একজন নাবালিকা ছাত্রীকে। পরে নদীর চর থেকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করলেন ছোট্ট মেয়েটির নিথর দেহ। মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বাংলার অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার প্রশ্ন, দেবীপক্ষের সূচনাতেও নিস্তার নেই বাংলার মেয়েদের! আপনার অপশাসনে আর কতগুলি বাংলার মেয়ের এই পরিণতি হবে!! ছিঃ’’

    ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। একজনও সাজা পায় না। শাসক দলের ঝাণ্ডার নীচে থাকলে এই অপরাধ কোনওদিনই বন্ধ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের খাসতালুকে বিধায়কের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের মিছিল বের হল। ‘তৃণমূল বিধায়ক চোর’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিধায়কের এই অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন। শাসক দলের বিধায়কের জনভিত্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC MLA)

    বুধবার ভরতপুরে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যে মিছিল বের করেন, তাতে প্রচুর (TMC MLA) মহিলা ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ঝাঁটা। আর পুরুষদের হাতে ছিল চটি। তৃণমূল বিধায়কের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাঁটা পেটা-জুতো পেটা করা হয়। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক একজন চোর। তোলাবাজি করেন। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৃণমূল কর্মীদের দেয় না। তাতে তিনি দুর্নীতি করেন। বিধায়ক হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করা তাঁর লক্ষ্য নয়, টাকা আত্মসাৎ করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোর বিধায়ককে আমাদের দরকার নেই। মিছিলে দলের বহু জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সকলেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্লক সভাপতির উদ্যোগে এই মিছিল করা হয়েছে। যদিও মিছিলে তিনি ছিলেন না।অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিধায়কের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পাল্টা ভরতপুরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি (TMC MLA) বলেন, “ব্লক সভাপতি কী প্রোগ্রাম করেছেন, কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বা আমরা বিরুদ্ধে বলেছেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি ওই লেভেলের লোক না। আমি তাঁকে ব্লক সভাপতিও মানি না। আগামী কাল থেকে আমি অপূর্ব সরকারকে জেলা সভাপতিও মানব না, সেটা ঘোষণা করব। আমার ভরতপুরেই ঘোষণা করবেন আমার লোকেরা। আমি কলকাতা যাব।” যদিও জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে তা-ই জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন, ফ্লাড রিলিফ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো সম্পর্কে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: ‘‘উনি এসে টাটা-বাইবাই করে চলে গেলেন’’, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দুর্গতরা

    Flood Situation: ‘‘উনি এসে টাটা-বাইবাই করে চলে গেলেন’’, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দুর্গতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে পুজোর আগে বন্যা (Flood Situation) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হুগলিতে। জলের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে ডুবেছে রাস্তা। ডুবেছে বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষভূমি। হুগলির আরামবাগ, পুড়শুড়া, খানাকুল— যেদিকে তাকানো যায় সব দিকে একই পরিস্থিতি। খতিয়ে দেখতে বুধবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মনের ক্ষোভ আঁচ ভালোমতো টের পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। দুর্গতরা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন।

    মমতার সামনেই ক্ষোভ জানালেন দুর্গতরা (Flood Situation)

    এদিন, বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) সরজমিনে খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে পুড়শুড়া পৌঁছন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানেই কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই নিজেদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীকে একজন বলেন, “একটা ত্রিপল পর্যন্ত আসেনি। খাবার পর্যন্ত আসেনি।” আরও এক মহিলা বলেন, “আমরা প্রতিবছর বন্যায় ভুগি।” উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি জানি। জল ছাড়ছে তো।’’ মমতা এলাকা ছাড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয় বন্যা দুর্গতদের।

    গোপাল জানা নামে এক ব্যক্তি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি। ওই ব্যক্তি বললেন, ‘‘মাইকে অঞ্চল থেকে হেঁকে যাচ্ছেন, উঁচু জায়গায় ঠাঁই নাও। কিন্তু যাবটা কোথায়? একটা ত্রিপল নেই, কিচ্ছু নেই। দিদি এলেন। নামলেন। সব মহিলাদের সঙ্গে কথা কি বলেছেন? আর নেতাগুলো একবার আসে।” আরও এক মহিলা অভিযোগ করে বললেন, ‘‘উনি যে এলেন একবার দাঁড়িয়ে অন্তত দেখতে পারতেন। উনি সাহায্য করবেন না? নাকি আমরা হড়কা বানে ভেসে যাব। বাঁধটা অন্তত ঠিক করে দিন। উনি এলেন আর টাটা-বাইবাই করে চলে গেলেন।’’ এলাকার আরও এক মহিলা বলেন, ‘‘এসে দাঁড়িয়ে তো দেখতে হবে? জোর হাত করে এসে চলে গেলে হবে?’’

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    খোঁজ নেয়নি কেউ, ক্ষোভ জানালেন জলমগ্ন বাসিন্দারা

    হুগলির পাশাপাশি বন্যা-পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরেও। ঘাটালের চন্দ্রকোণার শিলাবতী নদীর জল বিপদ সীমা ছাড়িয়েছে। নদীর জল (Flood Situation) গ্রামের অলিতে-গলিতে বাড়িতে কড়া নাড়ছে। বাড়ির উঠোন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে নদীর জল। ডুবেছে বাড়ির উঠোনে থাকা রান্না করার উনুন। বন্ধ দু’বেলার রান্না। গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ সবাই নিজের নিজের উঠোনে মাটির বাঁধ দিয়ে বাড়ির ভিতর বন্যার জল প্রবেশ আটকাতে হিমশিম খাচ্ছে। ইতিমধ্যে জলের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি মাটির বাড়ি। যে হারে নদীর জল গ্রামে প্রবেশ করছে, তাতে বসতবাড়ি রক্ষা হবে কি না, পরিবারের সদস্যদের কোথায় ঠাঁই হবে, এনিয়ে দুশ্চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া থেকে রাতের ঘুম উড়েছে চন্দ্রকোনার ভবানীপুর গ্রামের ২০০টি পরিবারের। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন জলবন্দি বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রশাসনে জানিয়েও কেউ খোঁজ নেয়নি। জানা গিয়েছে, কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Student Suicides: পড়ুয়াদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ছাপিয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড! কী বলছে রিপোর্ট?

    Student Suicides: পড়ুয়াদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ছাপিয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড! কী বলছে রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আত্মহত্যা এক মহামারির মতো প্রভাব বিস্তার করছে। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে পড়ুয়াদের ওপর। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা পুরনো সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, এই প্রবণতা রুখতে না পারলে পরবর্তীতে আরও বড় বিপদ তৈরি হতে পারে। ১০ সেপ্টেম্বর ‘সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’! বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চলছে। পিছিয়ে নেই ভারত। দেশ জুড়ে স্কুলস্তর থেকেই নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মহলে চলছে নানা কর্মশালা। আত্মহত্যার প্রবণতা (Student Suicides) রুখতে কথা বলার অভ্যাসকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই স্কুলস্তর থেকেই বোঝানো হচ্ছে, যে কোনও পরিস্থিতিতে পরিবার, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আলোচনা করতে হবে। তাহলে পাওয়া যাবে সমাধানসূত্র।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সাহায্যে এক সর্বভারতীয় সংস্থা চলতি বছরের অগাস্ট মাসে একটি রিপোর্ট (Latest Report) প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০২৩-র তুলনায় চলতি বছরে ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা (Student Suicides) ৪ শতাংশ বেড়েছে। সামগ্রিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা‌ বেড়েছে ২ শতাংশ। অর্থাৎ, সামগ্রিক আত্মহত্যার ঘটনার তুলনায় পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা অনেক সময়েই ‘আন্ডার রিপোর্ট ‘ অর্থাৎ ঠিকমতো‌ পুলিশকে জানানো হয় না। তারপরেও এই দ্বিগুণ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান, স্পষ্ট করছে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০২২ সালে পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনায় দেখা গিয়েছে, ৫৯ শতাংশ পড়ুয়া ছাত্র। ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের সংখ্যা বেশি। তবে, ২০২৩ সালে উদ্বেগজনক ভাবে ছাত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কোথায় বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা? (Student Suicides)

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। রাজস্থানে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যার জেরে রাজস্থানে ১৮-২৫ বছর বয়সি পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। তাই প্রতি বছর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় রাজস্থান শীর্ষ তালিকায় থাকে। মহারাষ্ট্রেও অসংখ্য প্রফেশনাল কোর্সের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বহু ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশোনা করতে যান। তাই আত্মহত্যার ঘটনা বেশি হয়। তবে তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যও তালিকায় থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।

    কেন পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কেরিয়ারের সঠিক দিশা না পাওয়া, মারাত্মক প্রত্যাশা এবং একাকিত্বে ভোগার মতো সমস্যা থেকেই অধিকাংশ পড়ুয়ার আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে। তারা জানাচ্ছে, স্কুলস্তর থেকেই পড়ুয়াদের নানা পেশার হদিশ দেওয়া জরুরি। গতানুগতিক পথ ছাড়াও সাফল্য পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে, পড়ুয়ারা দিশাহীন হবেন না। বছরের পর বছর একটি নির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তির চেষ্টা, সেটায় অসাফল্য, অনেক সময়েই পড়ুয়ারা অবসাদগ্রস্ত (Student Suicides) হয়ে পড়ছেন। কিন্তু ভারতে এখন একাধিক নতুন পেশার দিশা তৈরি হয়েছে। গতানুগতিক পথের বাইরেও সেই সব পেশায় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা সেই সব বিষয় জানতে পারছে না। 
    তাছাড়া পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক যেন বজায় থাকে, সে বিষয়ে অভিভাবকদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের নানা মানসিক জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু পরিবার সেই জটিলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হলে আরও মানসিক চাপ বাড়তে পারে। একাকিত্ব বাড়তে পারে। আর তার জেরেই আত্মহত্যার মতো ঘটনাও বাড়ছে। তাই নিয়মিত সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। তাদের সঙ্গে গল্প করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যে কোনও সমস্যা, উদ্বেগ তারা সহজেই পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। তাহলে‌ বড় বিপদের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: “আলোচনা সদর্থক হয়নি”, লালবাজার অভিযানের পর বললেন আন্দোলনকারীরা

    RG Kar Incident: “আলোচনা সদর্থক হয়নি”, লালবাজার অভিযানের পর বললেন আন্দোলনকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আলোচনা সদর্থক হয়নি।” রাস্তার অবস্থান তোলা হলেও, আন্দোলন জারি থাকবে বলে মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিলেন (Lalbazar) আরজি করকাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র  ডাক্তাররা। এদিন দফায় দফায় পুলিশকর্তারা এসে কথা বললেও, অবস্থানে অনড় ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল দল গিয়ে দেখা করেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। লালবাজার থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানান আলোচনা সদর্থক হয়নি।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা (RG Kar Incident)

    লালবাজার থেকে (RG Kar Incident) বেরিয়ে প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “গত ১৪ ও ১২ তারিখের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা স্বীকার করেন, এটি পুলিশি ব্যর্থতা। কিন্তু আলোচনায় কোনও সদুত্তর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের দাবিতে এখনও অনড়। নৈতিক দায় নিয়ে সিপির পদত্যাগ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।” প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলেও বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলবে একই ভাবে। এদিন ঘণ্টাখানেক ধরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রধান দাবিই হল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। এই দাবিতেই বিনীতের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার।

    মেরুদণ্ড উপহার

    পুলিশকে তাঁরা একটি প্রতীকী মেরুদণ্ড উপহার দিয়ে আসেন। সোমবার থেকে এই প্রতীকী মেরুদণ্ডটি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। এদিন লালবাজারে সেটাই নিয়ে যান তাঁরা। সূত্রের খবর, চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে তাঁরা হেঁটেই লালবাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    আন্দোলনকারীদের রুখতে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। প্রতীকী মেরুদণ্ড হাতে নিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে অবস্থানের পর এদিন লালবাজারের দিকে একশো মিটার এগনোর (Lalbazar) অনুমতি পান তাঁরা। সেই মতো এগোনও (RG Kar Incident)।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিলকে আইনে রূপান্তর করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীরই’’, বিধানসভায় কৌশলী শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rally: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    RG Kar Rally: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rally) সুবিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজের ডাকে মধ্যমগ্রামে সামিল হলেন নির্যাতিতা পড়ুয়া চিকিৎসকের আত্মীয়রা। এর আগেও এই ইস্যুতে মধ্যমগ্রামে আন্দোলন হয়েছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা। প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়েছে। ফের মধ্যমগ্রামে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন।

    প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতা চিকিৎসকের আত্মীয়রা (RG Kar Rally)

    আরজি করের ঘটনার পর ১৪ অগাস্ট রাতে মহিলাদের রাস্তা দখল থেকে শুরু করে লাগাতার মধ্যমগ্রাম (Madhyamgram) প্রতিবাদের (RG Kar Rally) আওয়াজ তুলেছে দিনের পর দিন। কখনও ছোট জমায়েত, কখনও কয়েকশো মানুষের জমায়েত হয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চেয়ে সরব হয়েছে। অন্যান্য দিন এই প্রতিবাদ জমায়েত মধ্যরাতে হলেও রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন কয়েকশো সাধারণ মানুষ। অরাজনৈতিক এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন রুদ্রনীল ঘোষ। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এর আগেও মধ্যমগ্রামে এই প্রতিবাদী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। 

    মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় তিন দিন ধরে চলা এক অরাজনৈতিক অবস্থান বিক্ষোভের শেষ দিনে এসেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেই দিনই ঘোষণা হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর ফের জমায়েত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর কথা হয়েছিল। সেইমতো এদিন কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন। এই মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়দের মধ্যে কাকিমা, মামা-মামী হাজির হয়েছিলেন। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা এসে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয়। এদিন প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার কাকিমা। তিনি বলেন, ‘‘ দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। আমরা সেই দাবিতেই রাস্তায় নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছি।’’ আন্দোলনকারীরাও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ

    পরিকল্পিতভাবে খুন

    প্রতিবাদের শামিল হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবেই আরজি করের (RG Kar Rally) নির্যাতিতাকে খুন করা হয়েছে। তাই, তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে এত দেরি হচ্ছে। মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। দোষীদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল সরকার। পুলিশ দিয়ে মানুষের প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার আবেদন, পুলিশ সাধারণ মানুষের বন্ধু হন। জল কামানের প্রয়োজন নেই, বাংলার  মা-বোনেদের চোখে অনেক জল আছে। দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন সকলে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share