Tag: agitation

agitation

  • Siliguri: ধর্ষণে বাধা পেয়ে স্কুল ছাত্রীকে খুন, ধৃতের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল শিলিগুড়ি আদালত চত্বর

    Siliguri: ধর্ষণে বাধা পেয়ে স্কুল ছাত্রীকে খুন, ধৃতের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল শিলিগুড়ি আদালত চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে স্কুল ছাত্রীর খুনিকে নিজেই শাস্তি দিতে আদালতে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন হতভাগ্য মা। না পেরে কাঁদতে কাঁদতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়ের খুনির ফাঁসি চাইলেন তিনি। একই দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মহিলাদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হল শিলিগুড়ি (Siliguri) আদালত চত্বর। এদিন বিকালেও ধৃত যুবককে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সেই একই দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মহিলা সদস্যরা পুলিশের গাড়ি আটকে রাস্তা অবরোধ করে। শেষে উত্তেজিত জনতাকে সরাতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ।

     ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    সোমবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিলিগুড়ির (Siliguri) মহকুমা মাটিগাড়া এলাকার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী খুন হয়। জঙ্গলে ঘেরা পরিত্যক্ত একটি ঘরে সেই ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত যুবক এই ছাত্রীর পথ আটকায়। রাস্তাটি ফাঁকা ছিল বলে  তাকে রাস্তার পাশে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা পেয়ে তাকে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীকে চিহ্নিত করে সোমবার গভীর রাতে মাটিগাড়া লেলিন কলোনি থেকে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই যুবককে নিয়ে আদালতে ঢোকার মুখেই পুলিশকে একদল মহিলা ও মৃত ওই ছাত্রীর মায়ের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। অন্যদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর মাও পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে ধৃত যুবককে  হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। ততক্ষণে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারী মহিলাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। প্রতিরোধ ঠেলে পুলিশ ধৃত যুবককে আদালতের লকআপে ঢুকিয়ে দেয়। তখন কাঁদকে কাঁদতে মৃত ছাত্রীর মা বলেন, আমার একটাই সন্তান ছিল। আমার সাদাসিধা মেয়েকে যে মেরেছে তাকে আমি মারতে চাই। এই পুলিশের উপর আমার ভরসা নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আমার মেয়ের খুনির ফাঁসি দিন। 

    মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে স্কুল ছাত্রীরাও নিরাপদ নয়, সরব আদালত চত্বরে বিক্ষোভকারী মহিলারা

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নারী শক্তি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের সভানেত্রী প্রতিমা যোশী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়ার পরও কেন মহিলাদের নিরাপত্তা নেই? কেন একজন নাবালিকা ছাত্রী স্কুল থেকে নিশ্চিন্তে বাড়িতে ফিরতে পারবে না। দুষ্কৃতীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হবে? ধৃত যুবককে শিক্ষা দিতে এদিন আমরা শিলিগুড়ি (Siliguri) আদালত চত্বরে জমায়েত হয়েছিলাম।

     কী বলছে পুলিশ?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, মাটিগাড়ার ওই এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এবং কিছু সূত্র মারফত আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করি। রাত দুটো নাগাদ তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে ওই যুবক নাবালিকা ছাত্রীকে মাথা থেঁতলে খুন করেছে। এখন জেরা করে খুনের রহস্য উন্মোচন করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কোনও সংস্কার করতে হলেই দিতে হবে পুরকর। এমনই নির্দেশ জারি করেছে কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা। যা নিয়ে পুরসভা এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুরসভার হাজার হাজার বাসিন্দা চরম ক্ষুব্ধ। আর এই ইস্যুকে সামনে রেখেই আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    পুরসভার নতুন নির্দেশিকা কী? (Coochbehar)

    কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা এলাকায় পুরানো বাড়ি কেউ সংস্কার করলে, বাড়িতে কেউ টাইলস বা মার্বেল বসাতে চাইলে পুরসভাকে আগে কর দিতে হবে। পুরসভার নতুন ফরমান অনুযায়ী পুরসভার সব বাসিন্দাকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আর এতেই পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে ভবানীগঞ্জের বাজারে বহু বছর ধরে ব্যবসায়ীরা রয়েছে। পুরসভার নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ব্যবসায়ী নিজের দোকান কাউকে বিক্রি করতে পারবে না। কোনও ব্যবসায়ী দোকান বিক্রি করতে চাইলে পুরসভাকে তা হস্তান্তর করতে হবে। বৃহস্পতিবারই দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে মিছিল করে পুরসভায় জমায়েত হন। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দরবার করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার সার্বিক পরিষেবা বলে কিছু নেই। মূলত এই পুরসভা এলাকায় একাধিক রাস্তা বেহাল রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। অথচ পুরসভার প্রচুর টাকা রয়েছে। কারণ, ভবানীগঞ্জের বাজার মিনি মার্কেট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরসভা প্রচুর টাকা পুরকর সংগ্রহ করে। কিন্তু, সেই টাকার কোনও পরিষেবা নেই। এখন বাড়ি সংস্কারে পুরকর ধার্য করেছে পুরসভা। এটা বাস্তবে নেওয়া কি ঠিক? পুরসভা গা জোয়ারি করে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। পুরসভার এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এই ধরনের নিয়ম বদলানোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এই আর্জি মেনে সিদ্ধান্ত বদল না করলে আমরা আগামীদিনে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, পুর আইন অনুযায়ী আমি এই কাজ করেছি। পুর আইনের বাইরে আমি কিছু করিনি। সামনে নির্বাচন আছে তাই বিজেপি এসব করেছে। এটা নিয়ে আমার কাছে বলার কিছু  নেই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শুধু আরামবাগ নয়, হুগলি জেলায় প্রথম বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করল। যদিও বোর্ড গঠনের আগেই একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৫ টি আসনে। আর বাকি ১৮ টি আসনের দখল নেয় বিজেপি। সেই কারণে এদিন সকাল থেকে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক জমায়েত হন। প্রথমদিকে সামান্য উত্তেজনা হওয়ার পর বিজেপি বোর্ড গঠন করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    এদিন আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনার সূত্রপাত, ব্লক অফিসে একটি অচেনা গাড়ি ঢোকাকে কেন্দ্র করে। অচেনা গাড়ি দেখে হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করেন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই বাধ্য হয়েই পিছু হটতে হয় পুলিশকে। যদিও পরে, শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন হয়। প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই খানাকুলে তৃণমূল এতদিন সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছিল। এবার মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে নতুন বিজেপি বোর্ড। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ তাদের ওপর অমানবিকভাবে বিনা দোষে লাঠি চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শাসক দল চেয়েছিল পুলিশকে দিয়ে বোর্ড গঠন বানচাল করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেবে। কিন্তু, আমাদের কর্মীরা মার খেয়েও এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। তাই, এতদিন পর আমরা বোর্ড দখল করলাম।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপির বাধায় আমাদের কর্মীরা যেতে পারেনি। যাওয়ার পর ওরা যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাতে কর্মীরা বাধ্য হয়ে ফিরে আসে। তবে পুলিশের উপর হামলা করেছে বলে জানতে পারছি। এ ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তি, আটকে বন্দে ভারত সহ একাধিক ট্রেন

    Birbhum: মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তি, আটকে বন্দে ভারত সহ একাধিক ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ছুটির দিন সকাল থেকে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তি হয়। রামপুরহাট লাইনের একাধিক স্টেশনে আপ-ডাউন লাইনে একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে। নলহাটি জংশনে হাও়ড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আটকে পড়ে। সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন মুরারই স্টেশনে আটকে পড়ে। অবরোধের জেরে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হয়।

    ঠিক কী নিয়ে অবরোধ?

    বীরভূমের (Birbhum) মুরারই স্টেশনে করোনার আগে বেশিরভাগ ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু, করোনার পর থেকে বহু ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়ায় না। করোনা দাপট এখন কমে গিয়েছে। কিন্তু, এই স্টেশনে এতদিন যে সব ট্রেন দাঁড়ানোর কথা ছিল। কোনও ট্রেনের স্টপেজ আর নেই। এরফলেই এলাকার মানুষের তরম ভোগান্তি শুরু হয়। এর আগে এলাকার বাসিন্দারা বহু জায়গায় দরবার করেছে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মুরারই নাগরিক কমিটির ব্যানারে সাধারণ মানুষ রেল অবরোধ শুরু করেন। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রেল অবরোধ শুরু হয়। প্রথমে কিছুক্ষণ অবরোধ হয়ে উঠে যাবে ধরে নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ততটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু, বন্দে ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আটকে প়়ড়ায় রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। অবরোধ তোলার জন্য বহুবার দরবার করে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবরোধকারীদের বক্তব্য, এর আগে স্টেশন মাস্টারের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু,তাতে কাজ হয়নি। তাই, আমরা লিখিত প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাব।

    কী বললেন ট্রেনের যাত্রীরা?

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন , কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাব বলে বন্দে এক্সপ্রেসে মোটা টাকা খরচ করে টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু, তাতে লাভ কী হল? বীরভূমে (Birbhum) সকাল থেকে আটকে রয়েছি। অবরোধ ওঠার পর হাওড়া পৌঁছাব কবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বাঁধনবগ্রাম স্কুলে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে প্রাক্তন পড়ুয়ারা। এই মুহূর্তে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে স্কুলে।

    শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৪ জুলাই ক্লাসে পড়া না পারার জন্য স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক উত্তম সাহা বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে কান ধরে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষক হিসেবে এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। সেই আক্রোশেই শাস্তি পাওয়া এক ছাত্রীর বাবা বাসুদেব দাস ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার স্কুলে আসার পথে রাস্তার মধ্যে শিক্ষক উত্তম সাহাকে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের জেরে তাঁর একটি হাত ও পা ভেঙে যায়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী পড়ুয়া, স্কুলের প্রাক্তনী ও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শিক্ষকের উপর চড়াও হওয়া অভিযুক্ত বাসুদেব দাস ও তার স্ত্রী শিখা দাসকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তার সঙ্গে তাদের মেয়েকে এই স্কুল থেকে টিসি দিতে হবে। সকলেই এই দাবিতেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বুধবার স্কুল শুরুর পরই পঠন-পাঠন বন্ধ করে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে বসেন প্রাক্তন পড়ুয়ারা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গেই যোগ দেয় বর্তমান পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, পড়াশুনা না পারলে শিক্ষকরা শাসন করতেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। সামান্য শাসন করার জন্য একজন শিক্ষকের উপর যদি এরকম হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে স্কুলে শিক্ষকরা কী করে পড়াশুনা করাবেন? আমাদের দাবি, হামলাকারীদের সকলকেই গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসুদেব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, তার স্ত্রী স্কুলেরই প্যারা টিচার শিখা দাসকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। সেই দাবিতেই স্কুল বয়কট করে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, বিক্ষোভ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    Panchayat Election: বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, বিক্ষোভ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। এবার ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই সংগঠনের আন্দোলনের আঁচ লাগল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে  বিক্ষোভ দেখাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শুক্রবার বাঁকুড়া খ্রীশ্চান কলেজে ভোট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌথ মঞ্চের এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যেই এই ধরনের বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়ে যান জেলার নির্বাচন দফতরের আধিকারিকরাও।

    কী বললেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা?

    নির্বাচনের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জানা গিয়েছে, প্রথমে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর আদালতের হুকুম মতোই বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি চাওয়া হল। এরই মধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের  বাঁকুড়া জেলা কমিটির নেতা শ্যামল কর্মকার বলেন, আমরা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করার দাবি জানাচ্ছি। এর আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের মোটেই সুখকর নয়। রাজকুমার রায় নামে এক ভোট কর্মী এর আগে খুন হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা না করা হলে তাঁরা কেউই ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বলেও তিনি হুমকিও দেন এদিন। তিনি বাকি সমস্ত ভোট কর্মীদের তাদের এই দাবিকে সমর্থনের আর্জিও জানান। সকলেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতেই সরব হন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের শুটআউট। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, নবগ্রামের পর এবার পুরুলিয়া। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  ঘটনাটি ঘটে আদ্রা থানার রামমন্দির সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। নিহত তৃণমূল নেতার নাম ধনঞ্জয় চৌবে। তিনি আদ্রা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লাগে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন তাঁর দেহরক্ষী শেখর দাস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে ধনঞ্জয় তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে  পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। আচমকা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। তখন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী শেখর দাস দুষ্কৃতীদের পালটা গুলি চালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতা ও তাঁর দেহরক্ষীকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম দেহরক্ষীকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। ছুটে যান তৃণমূল তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

    শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা

    বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে আদ্রা শহর জুড়ে অঘোষিত বনধ পালিত হল। অধিকাংশ দোকানব এদিন বন্ধ ছিল। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অবিলম্বে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, তিনি শহর তৃণমূলের সভাপতির পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রঘুনাথপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে বিজেপির (BJP) দুই মহিলা প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার চাকদা চৌমাথা মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। যতক্ষণ না অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মনোনয়ন বাতিল করার কাজ। গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, এখানেও শাসকদলের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। নদিয়ার চাকদহ থানার ছাতিমতলা ২০২ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে ওই বুথের মহিলা প্রার্থীকে জোরপূর্বক মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এরপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে চাকদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় অবশেষে চাকদা চৌমাথা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদীয়া দক্ষিণ বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় এবং চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির (BJP) বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, মনোনয়নন জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। নদিয়ার একাধিক জায়গায় এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। রবিবার রাতে তাণ্ডব চালিয়ে দুই বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের এই বিক্ষোভ। শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ বলেন, পর পর দু রাত ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি মহিলা প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিরোধীদের তৈরি করা গল্প। রাজ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সামনে রেখে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছে। আমরাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাচ্ছি। সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকতে ওরা নাটক করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিকায় নাম আসার পরেও দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থীরা। মোটা টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টায়ার চালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা ১ নম্বর বুথের প্রার্থী মেহেতাজ বানু  এবং ২ নম্বর বুথের  প্রার্থী রেজা আলির নাম তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকায় রয়েছে। প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরই তাঁরা দলের নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু, শনিবার স্ক্রুটিনির পর তাঁরা জানতে পারেন, দল থেকে তাঁদের কোনও প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাঁদের নাম বাদ যায়। মেহেতাজ বানু ও রেজা আলির পরিবর্তে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাসকে। এই খবর শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন তাঁরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলে তবেই মিলছে দলীয় প্রতীক। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব প্রার্থী সহ তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বলল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাসকে ধরা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করে না। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, টাকা ছাড়া তৃণমূলে (TMC) পদ, প্রার্থী কোনও কিছুই হয় না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের দূরে ঠেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই দিচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে, মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক, এটা পুরোপুরি বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল আর কিছু চেনে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নিউ বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: নিউ বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে হুমকি দেওয়া চলছিল। কিন্তু, হুমকির পরও মনোনয়ন না তোলায় বারাকপুর ২ ব্লকের বিলকান্দা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু বাড়ি ভাঙচুর করা নয়, যদি মনোনয়নপত্র তুলে না নেওয়া হয়, তাহলে আবারও হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রবিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিজেপি নেতৃত্ব নিউ বারাকপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে বিলকান্দা ১ পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রবিবার দুপুরে নিউ বারাকপুর থানাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে দিতে রবিবার দুপুরে নিউ বারাকপুর থানার মধ্যে ঢুকে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা সভাপতি আইনজীবী অরিজিৎ বক্সি বলেন, প্রার্থীদের বাড়়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনকে প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়াতে হবে। পুলিশ প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তৃণমূলের এই কার্যকলাপ চলবে। নিউ বারাকপুর থানা এলাকায় যে সিসিটিভি আছে, তা চেক করে দেখতে বলা হয়েছে। নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে বলে জানানো হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ। আসলে বিজেপির (BJP) কোনও সংগঠন নেই। তাই এসব নাটক করছে। এমনিতেই এই ব্লকের অর্ধেক আসনেই আমরা জয়ী হয়েছি। বাকি আসনগুলিতে লড়াই করে আমরা জয়লাভ করব। আসলে বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share