Tag: agitation

agitation

  • Panchayat Election: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁদের অবিলম্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায়। হামলার প্রতিবাদে রবিবার টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর স্ক্রুটিনি পর্ব। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায় বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সান্ত্বনা রায় এবং কৃষ্ণা সরকার। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য কয়েকদিন ধরে হুমকি দিতে থাকেন দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর এবং তাঁর অনুগামীরা। দুই বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় শনিবার রাতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দুই প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার দুপুরে বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার রাতে দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে শনিবার রাতেই চাকদহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তিনি ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতী ধরা পড়েনি। সেই কারণেই আমাদের এই পথ অবরোধ। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধুমাত্র এখানেই থেমে থাকবে না। রানাঘাট দক্ষিণের যে কটি থানা রয়েছে, আমরা প্রতিটি থানা স্তব্ধ করে দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এ বিষয়ে বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবগ্রাম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা বিদায় উপপ্রধান সুবীর ধর। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বাড়িতেই বসে রয়েছি, প্রশাসন সেটা জানে। বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) সুস্থ ভাবেই বিজেপি এবং সিপিএম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছে। বিগত ৩৪ বছরে সিপিএমের যে সমস্ত হার্মাদ বাহিনী এলাকায় খুন-সন্ত্রাস করত, তারাই আজ ভোটে দাঁড়াচ্ছে এবং আবারও উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করছে গোটা এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দিনহাটা বিধানসভার সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারে। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারা পর পর চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হের স্ত্রী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। আর স্ত্রী সদস্যা হওয়ায় বকলমে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এদিন বাজারে কুর্শাহাট বাজারে তিনি আসলে তাঁকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরেন। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে নজরুলের অনুগামীরাও সেখানে জমায়েত হন। এরমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলে। পরে, চার রাউণ্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আর এতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নজরুল আমাদের কাছে থেকে সরকারি প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা করে তুলতে শুরু করেন। শাসক দলের নেতা বলে বিশ্বাস করে এলাকার বহু মানুষ তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। আমরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, কেউ ঘর পাইনি। ওই নেতা কাউকে টাকাও ফেরত দেননি। কিন্তু, শাসক দলের নেতা বলে কেউ কিছু বলার সাহস ছিল না। তবে, এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় ওই নেতা বা তাঁর স্ত্রীর ঠাঁই হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই নেতাকে ঘিরে টাকা ফেরত চেয়েছি।

    জেলা পুলিশের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চের সামনে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইতিমধ্যেই গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করেছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CID: কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে সিআইডি

    CID: কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সিআইডি-র (CID) তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার তদন্ত এবং সিআইডি-র কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা। তবে, এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার।

    সিআইডি-র সামনে কী ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা?

    শুক্রবার ফের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগায় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে যান সিআইডি-র (CID) আধিকারিকরা। সেই সময় সিআইডি-র আধিকারিকদের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সিআইডি-র আধিকারিকদের এদিন গ্রামবাসীরা সরাসরি প্রশ্ন করেন, এই মামলায় যে দোষী, তাকে এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি? এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বলছেন গুলি চালিয়েছে বিএসএফ, সেখানে আপনাদের ওপর কীভাবে ভরসা করব? এই খুনের ঘটনার গতিপ্রকৃতি এবং সিআইডি-র কাজকর্ম নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। গ্রামবাসীরা তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, খুনের ঘটনা ঘটলে আগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তদন্ত শুরু হয়। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার তাঁরা দাবি জানান। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে সিআইডি আধিকারিকরা মূলত এই ঘটনায় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন ও স্ত্রী গৌরী বর্মনের বয়ান রেকর্ড করেন।

    কী বললেন নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা?

    এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবার। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “পুলিশই আমার ছেলেকে মেরেছে। সিআইডি (CID) তদন্তে আমাদের কোনও আস্থা নেই। কারণ যাদের বয়ান সাক্ষী হিসেবে নেওয়া হচ্ছে, ঘটনার সময় তারা কেউই উপস্থিত ছিল না। ফলে সিআইডির ওপর কী করে ভরসা থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “অবিলম্বে ছেলে খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক।”

    এলাকাবাসীর ক্ষোভ নিয়ে কী বললেন সিআইডি আধিকারিক?

    সিআইডি-র (CID) এক আধিকারিক অনীশ সরকার বলেন, “কোনও বিক্ষোভ নয়। গ্রামবাসীরা তাঁদের অভাব-অভিযোগ আমাদের কাছে বলেছেন। সমস্ত বিষয়টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২১শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার মৃতদেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় সাহেবঘাটা এলাকা। মৃত নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। ভাঙচুর ও থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। আক্রান্ত হয় পুলিশ। পরবর্তীতে চাঁদগা গ্রামে তল্লাশি অভিযানে গেলে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিচার্জ, জখম ৫

    Barrackpore: বারাকপুরে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিচার্জ, জখম ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার দোকানে খুন সহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল সোমবার বিকেলে। আর তাকে কেন্দ্র করে বারাকপুরে (Barrackpore) ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তাতে পাঁচজন বিজেপি কর্মী জখম হন। যদিও এই ঘটনার পর বিজেপির জেলা নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল কমিশনারেটের কর্তাদের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মূলত বারাকপুর (Barrackpore) এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে এদিন বিকেলে পুলিশ কমিশনারেটে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। আনন্দপুরীর ওল্ড ক্যালকাটা রোডে সেই সোনার দোকানের সামনে থেকে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিতে আসেন। পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে দুটি ব্যারিকেড করা হয়। কমিশনারেট অফিস থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রথম ব্যারিকেড করা হয়। আর দ্বিতীয় ব্যারিকেড করা হয় কমিশনারেটের ঠিক সামনেই। বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে আসতেই ১০০ মিটার দূরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে কমিশনারেটের অফিসের সামনে চলে যান। সেই সময় তাঁদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। কমিশনারেট অফিসের সামনে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির রাজ্য নেত্রী ফাল্গুনি পাত্র বলেন, মিছিল আটকানোর জন্য কমিশনারেটের কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে আমরা নালিশ জানাব। বিজেপির বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত টাকা খরচ করে কমিশনারেট তৈরি করা হল, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হল না। এই কমিশনারেটের কাজ শুধু বিজেপিকে বাধা দেওয়া। এর আগে ব্যবসায়ীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিল। পুলিশের কোনও বাধা নেই। আর আমাদের জন্য ১০০ মিটার দূরে ব্যারিকেড। আমাদের কর্মীদের উপর যথেচ্ছ লাঠিচার্জ করা হল। এই ঘটনায় পাঁচ কর্মী জখম হয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story:  ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আচমকা না দেখানোয় ক্ষুব্ধ দর্শকরা, হলের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি, ধস্তাধস্তি

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আচমকা না দেখানোয় ক্ষুব্ধ দর্শকরা, হলের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি, ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) দেখতে এসে পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেন সিনেমাপ্রেমীরা। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার রূপমন্দির সিনেমা হলে। সিনেমাপ্রেমীরা এদিন হলে এসে সিনেমা না দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবারই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে সরকারি সেই নির্দেশিকা এসে না পৌঁছানোয় হল কর্তৃপক্ষ সিনেমা দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। বেলঘরিয়ার এই সিনেমা হলেও এদিন সকালের দিকে বিতর্কিত সিনেমাটি দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অনেকে এই সিনেমা দেখার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন। সকাল সকাল এই সিনেমা হলের সামনে পৌঁছান সিনেমাপ্রেমীরা। তখনও কোনওরকম সিনেমা বন্ধের নোটিশ আসেনি। কিছুক্ষণ পর বেলঘরিয়া থানার পুলিশ এসে সিনেমা হলের সামনে হাজির হয়। ততক্ষণে সিনেমা হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা সিনেপ্রেমীরা এরপরে বিক্ষোভে সামিল হন। সিনেমা হলের গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

    কী বললেন সিনেমাপ্রেমীরা?

    এক সিনেমাপ্রেমী সংযুক্তা মিত্র বলেন, আমি কলেজ ছাত্রী। আমার বাড়ি চুঁচুড়া। সাত সকালে বন্ধুদের সঙ্গে এই সিনেমা দেখার জন্য এসেছিলাম। আমাদের সামনে নোটিশ দিয়ে জানানো হল, এই সিনেমা দেখানো হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, এই সিনেমা ব্যান না করে সকলের দেখার ব্যবস্থা করুন। নিউটাউনের বাসিন্দা অনুস্কা বণিক বলেন, বেলঘরিয়ার এই সিনেমা হলে দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমাটি চলছে। তাই এসেছিলাম। এখন সিনেমাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এত ভালো সিনেমা বন্ধ করা  উচিত হয়নি।

    কী বললেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা?

    এদিন বিজেপি-র যুব মোর্চার নেতা অচিন্ত্য মণ্ডল বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে সিনেমা দেখতে আসেন। সিনেমা দেখা নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের প্রথমে বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। অচিন্ত্যবাবু বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা সফরে আসছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই কর্মসূচি সফল করতে শনিবার মেদিনীপুর শহরে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়। জেলা নেতৃত্বের যখন বৈঠক চলছে, তখন এই জেলার মোহনপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আগুনে জ্বলছে। দলীয় কোন্দল এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে  রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করলেন তৃণমূলের (TMC) এক গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটেছে?

     মোহনপুর ব্লক তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতির সঙ্গে সিয়ালশাই-২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বশরুল আলি,  মাজেদ মল্লিকের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরইমধ্যে গত কয়েকদিন আগে মানিকবাবুর হাত ধরে বেশ কয়েকজন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই নব্য তৃণমূলীরা (TMC)  এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত মাজেদসাহেবরা তার প্রতিবাদও করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে শনিবার মাজেদসাহেবের এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে মানিকবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করা কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন আঁতলা- মোহনপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। জখম তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় রেখেই চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য খলিল মল্লিক বলেন, আমরা বহুদিন ধরে দল করি। এখন নব্য তৃণমূলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আমাদের দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে। অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

     পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি । তিনি বলেন, কয়েকটি ব্লকের মধ্যে ওই মোহনপুরে দলীয় নেতাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা মিটিয়ে ফেলা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

     বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, তৃণমূলের দুই পক্ষ দেখাতে চাইছে কাদের কাছে কত বোমা-বন্দুক আছে, তারই লড়াই চলছে । পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, তৃণমূলের (TMC) কোন্দল তত প্রকাশ্যে আসবে। এসব করে ওরা সাধারণ মানুষের থেকে আরও দূরে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল। বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলের জন্য হাহাকার। জলের দাবিতে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। বালতি, কলসি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা। এলাকাবাসীর সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের  তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োল বাজারের ঘটনা।

    কেন বিক্ষোভ?

    এই এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির (BJP) । যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতটি শাসকদল তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে এই এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি বসানো হয়নি কোন সাবমার্সিবল পাম্প। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। বিজেপি (BJP) নেতা কৌশিকচন্দ্র দাস বলেন, তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে এই এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করছে না। কিছু দিন আগে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলেও সেটি বসানো হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূল নেত্রী সুজাতা সাহার বাড়ির সামনে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প না বসিয়ে তৃণমূলের ওই নেত্রীর বাড়ির সামনে পাম্প বসানো হয়েছে। আমার স্ত্রী বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। এলাকার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে বলে তৃণমূল এই শাস্তি দিচ্ছে। এদিন আমরা পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছি। দাবিপূরণ না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এলাকাবাসীর বক্তব্য, গরম পড়তেই জলস্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ফলে, পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই পরিষেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। এই অবস্থায় বিক্ষোভ থেকে এলাকাবাসীর একটাই দাবি দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    ওই এলাকায় জল কষ্টের কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। কিন্তু বিজেপি (BJP) করার জন্য কাজ হয়নি এ কথা মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, এটা বিজেপির মনগড়া অভিযোগ। ওই এলাকার সমস্যা নিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নিয়ে কথা বলেছি। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TEA: রাজ্য সরকার চা বাগানে জমি হাঙর হয়ে উঠেছে, কেন বললেন যৌথ মঞ্চের নেতারা?

    TEA: রাজ্য সরকার চা বাগানে জমি হাঙর হয়ে উঠেছে, কেন বললেন যৌথ মঞ্চের নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা (TEA) সুন্দরী প্রকল্পের নামে বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসার জমির অধিকার চা শ্রমিকদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি টি ট্যুরিজমের নামে চা-বাগানের জমি কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের চা (TEA) বাগানের জমি গ্রাস করার খেলায়  উত্তরবঙ্গের ১২  লক্ষ চা শ্রমিক জমির অধিকার হারানোর আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। জমির অধিকারের দাবিতে চা (TEA) সুন্দরী প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।

    জমি কাড়ার ষড়যন্ত্র কী চা (TEA) সুন্দরী প্রকল্প?

    চা সুন্দরী প্রকল্পে চা (TEA)  শ্রমিকদের পাকা ঘরে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। এতে খুশি ছিলেন চা শ্রমিকরা। বাগান  মালিকের অবহেলায় অনাদরে পড়ে থাকা ভাঙা বাড়িতে আর বসবাস করতে হবে না। বৃষ্টিতে জলে ভাসবে না ঘর।   কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে সেটা জঙ্গল বা নদীর ধারে। এতদিন যেখানে বসবাস করে এসেছেন, চা (TEA) সুন্দরী প্রকল্পের ঘর নেওয়ার পর চা-শ্রমিকরা সেখানে  আর বসবাস করতে পারবেন না ।  পাকা ঘর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সঙ্গে বাড়তি কোনও জমি নেই।

    পাট্টা নয়, খতিয়ান চাইছেন চা (TEA) শ্রমিকরা

    আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সহ-সভানেত্রী বিনা সামাদ বলেন, আমরা জমির  খতিয়ান চাই। চা (TEA) সুন্দরীর প্রকল্পের নামে যে পাকা ঘর দেওয়া হচ্ছে সেখানে আমাদের কোনও জমি থাকছে না। এতদিন বংশপরম্পরায় আমরা যে জমিতে বেড়ে উঠেছি,  সংসার করছি সেই জমি আমাদের থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্যই এই সুন্দরী প্রকল্প। তাই আমরা পাট্টা নয়,  জমির অধিকার হিসেবে খতিয়ান চাইছি।

    কর্পোরেট হাউসকে  জমি লুটের লাইসেন্স দিতেই কী আইন সংশোধন?

    যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা অভিজিৎ  মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার চা (TEA) বাগানে জমি হাঙর হয়ে উঠেছে। টি ট্যুরিজমের জন্য  শিলিগুড়ি মাটিগাড়া ব্লকের নিউ চামটা চা বাগানে টি ট্যুরিজমের জন্য কাগজে-কলমে পাঁচ একর জমি নেওয়া হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে থেকে সেখানে বাগানের ২৪ একর জমি নিয়ে হোটেল তৈরি করে চলেছে কর্পোরেট হাউস। একই ভাবে থাবা বসিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমার কমলা,  হাঁসখোয় চা বাগানে।  চা শ্রমিকদের জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে রিয়েল এস্টেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। 

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিআইএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন , দীর্ঘ সময় ধরে এই চা (TEA)  বাগানে শ্রমিকরা নিজেদের শ্রম দিয়ে একটি শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।  আজ রাজ্য সরকার সেই চা বাগানের জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে চাইছে।   কর্পোরেট জগতের হাতে চা বাগানের জমি লুট করার লাইসেন্স দেওয়ার অনুকূলে আইন পাশ করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সম্প্রতি শিলিগুড়িতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক চা সুন্দরী প্রকল্প নিয়ে এই অভিযোগের নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,  চা (TEA) সুন্দরী প্রকল্পের সাফল্যে বিরোধীরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই এ ধরনের অভিযোগ করছে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন দার্জিলিং জেলার (সমতল) আইএনটিটিইউসির সভাপতি নির্জল দে’ও একই সুরে বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে চা (TEA) সুন্দরী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন। একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজে চা শ্রমিকরা খুশি। আর তাতেই অস্তিত্ব সংকটে থাকা সিপিএম এবং অন্যান্য দলগুলি চা শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে এধরনের আন্দোলন করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share