Tag: agitation

agitation

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ এক টোটোচালক, গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ এক টোটোচালক, গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। থানায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পুলিশকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা মাধ্যম যাচাই করেনি)। এই বিক্ষোভ আন্দোলনে এক টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নতুন করে রহস্য দানা দাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ না আন্দোলনকারী, কারা গুলি চালিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনোজ কুমার বর্মন নামে ওই টোটো চালকের বাম হাতে গুলি লাগে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন কিভাবে টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হলেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন? গুলিতে জখম যুবক মনোজবাবু বুধবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, আমি টোটো নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। থানার সামনে জমায়েত দেখে আমি টোটো রাস্তার ধারে রেখে সেখানে গিয়েছিলাম। গণ্ডগোল শুরু হওয়ার পরই আমি গুলিবিদ্ধ হলাম। কে গুলি চালিয়েছে তা বুঝতে পারিনি।

    থানায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে কতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব, অগ্নিসংযোগ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের উপর হামলা সহ একাধিক অভিযোগে পুলিশ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আদালতের এপিপি নিলাদ্রী সরকার বলেন, বুধবার ধৃত ৩২ জনকে রায়গঞ্জ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ৯ জনকে আটদিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি ২৩ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    গণ্ডগোলের পর কী অবস্থা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj)?

    ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিবেশ। পথে বেরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার সকালে থানায় গিয়ে দেখা গেল, একাধিক স্থানে তাণ্ডবের ছাপ স্পষ্ট। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইট, পাথরের টুকরো। থমথমে পরিবেশ হলেও থানায় ধ্বংসস্তুপ সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে তাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় থানা চত্বর। সেই ঘটনার পর সকাল থেকে স্বাভাবিকের পথে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত থানার পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষজন। মঙ্গলবার ওই এলাকার বাড়িতে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। সেই আঘাত এসে পড়ে নব নির্মিত আধুনিকমানের যাত্রী প্রতিক্ষালয়ের ওপর। যাত্রী প্রতিক্ষালয় তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত ঠান্ডা পানীয় জলের জলাধারও ভেঙে এক প্রকার গুঁড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা স্থানীয় কাউন্সিলার মনোজ সরকার ও শহর তৃণমূলের সভাপতি রাজীব সাহাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের। তাণ্ডবের পর এদিন এলাকায় জুড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সাফাই অভিযান চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তীব্র দাবদাহে নেই পানীয় জলের পরিষেবা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে মহিলারা

    Agitation: তীব্র দাবদাহে নেই পানীয় জলের পরিষেবা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে পানীয় জল পাচ্ছেন না পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে পানিহাটি পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। পানীয় জল না পাওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রবিবার এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলের দাবিতে বিক্ষোভ (Agitation) ও রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধ কর্মসূচিতে বাড়ির মহিলারা সামিল হয়েছিলেন। যদিও ঘোলা থানার পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

    অবরোধ নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এক বছর আগেও এই এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখিয়েছিলেন। সেই সময় পুরসভার পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই গরমে এলাকায় তীব্র জলকষ্ট। পুরসভার ট্যাপ দিয়ে জল পড়ছে না। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন জল কিনে খেতে হচ্ছে। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরেই আমাদের এইভাবে চলতে হচ্ছে। ভোটের সময় নেতারা এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। পানীয় জলের সমস্যা আমাদের কোনদিনও মেটে না। আন্দোলন করলে নেতারা এসে শুধু আশ্বাস দিয়ে চলে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করতে হবে। দাবি আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখানো হয়েছিল। দাবিপূরণ না হলে আগামীদিনে ভোট বয়কট করার হুমকি দেন তাঁরা। পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ তুলতে পুলিশি অভিযানের কড়া সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, শুধু ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে নয়, এই পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আসলে গঙ্গার জলস্তর কমে যাওয়ায় পানীয় জলের পরিষেবা দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে, আমাদের পুরসভার যে সব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে জলের গাড়ি পাঠানো হয়। ওই এলাকার মানুষের দাবি শুনেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুকাণ্ডে রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। শুক্রবারই রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেছিলেন, ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতদেহের কাছে থেকে বিষের কৌট উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবারে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ বলছে ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ কীভাবে এটা বলতে পারে? গ্রামবাসীরা বলছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কুকর্ম করা হয়েছিল। তাঁরা দেখেছেন কী অবস্থায় পড়েছিল ছাত্রীর দেহ। মৃত ছাত্রীর পরিবার রাজি থাকলে সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্ট যাবে বিজেপি।

    জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভে কেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।  স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)  সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায়  অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশ কর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নন।

    কালিয়াগঞ্জে আসছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম

    পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও টুইট করেছেন। অভিযোগ সামনে আসার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কালিয়াগঞ্জ যাচ্ছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

    বিজেপি-র প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ

    বিজেপির প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই শনিবার দুপুরে পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা মোড় এলাকা। আশেপাশের গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় দোকানপাটগুলিতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।  বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হাসপাতালে শিশু চুরিকাণ্ডে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, রাত পর্যন্ত সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    BJP: হাসপাতালে শিশু চুরিকাণ্ডে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, রাত পর্যন্ত সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে মায়ের কোল থেকে এক সদ্যোজাতকে চুরি করার অভিযোগ ওঠে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ হওয়া শিশুর খোঁজ মেলেনি। যা নিয়ে হাসপাতাল তথা শিলিগুড়ি শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগে আন্দোলন শুরু করে বিজেপি (BJP)। বৃস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ শিশু উদ্ধার এবং শিশুচোরকে  গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির স্থানীয় যুব মোর্চার নেতারা ওই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির (BJP)  শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি,  মাটিগাড়া -নকশালবাড়ি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা নিয়ে সরব হন বিজেপি (BJP) বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। তিনি বলেন, এই শিশু চুরির ঘটনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত গাফিলতির জন্যই হয়েছে। সবেতেই কাটমানির রমরমা। কোটি কোটি টাকা খরচা দেখিয়ে  বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীদের চুক্তির ভিত্তিতে হাসপাতালগুলিতে  নিয়োগ করা হচ্ছে।  হাসপাতালের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজও চলছে এধরনের চুক্তির কর্মী দিয়ে। এই কর্মী নিয়োগের জন্য যে পরিমাণ  টাকা খরচ দেখানো হয়, সেই অনুপাতে কর্মী নেওয়া হয় না। খরচের তুলনায় কম কর্মী দিয়ে কাজ করানো হয়। একারণেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তায় ফাঁকফোকর রয়েছে। সেই সুযোগেই প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রসূতি ওয়ার্ডে যেভাবে বহিরাগতরা অবাধে ঘোরাফেরা করে তাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই। প্রসূতি বিভাগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনও সিসিটিভির ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে বারবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বলা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। এই শিশুচুরির ঘটনায় হাসপাতাল সুপারের পদত্যাগ দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপি-র (BJP)  সর্বভারতীয় সহ সভাপতি?

    শুক্রবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিলীপ ঘোষ শিলিগুড়ি যান। সেখানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি-র (BJP)  সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্যে কয়লা চুরি, রেশন চুরি, গরুচুরি, চাকরি চুরির তালিকায় এবার শিশু চুরির ঘটনাও যুক্ত হল। এটা প্রত্যাশিত। কেননা রাজ্যের তৃণমূল সরকার চুরির উপর টিকে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi: পাঁচদিনের মাথায় উঠল কুড়মিদের রেল অবরোধ! শুরু হল ট্রেন চলাচল

    Kurmi: পাঁচদিনের মাথায় উঠল কুড়মিদের রেল অবরোধ! শুরু হল ট্রেন চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও প্রতিশ্রুতি বা দাবিদাওয়া পূরণে কোনও আশ্বাস মেলেনি। রবিবার সকালে আচমকাই পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন থেকে অবরোধ তুলে নিল কুড়মিরা (kurmi)  । তবে, রবিবার নতুন করে পুরুলিয়ার কোটশিলায় রেল অবরোধ শুরু হয়েছিল। সঙ্গে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। কুস্তাউর স্টেশন এদিন সকালে রেল অবরোধ উঠলেও কোটশিলায় অবরোধ চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে রেল অবরোধ উঠে যায়। তবে, জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছে। ৬দিনে পড়ল জাতীয় সড়ক অবরোধ। জানা গিয়েছে, কুস্তাউরের পর অন্যান্য স্টেশন থেকে রেল অবরোধ উঠে যাবে। ৫ এপ্রিল রেল অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। গত পাঁচদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবারও কুড়মিদের (kurmi)  লাগাতার আন্দোলনের জেরে ৭২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। আর এদিন রেল অবরোধ উঠলেও রেলের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তবে, এদিন পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে প্রথমে মালগাড়ি এবং  পরে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে।

    কুড়মিদের অবরোধ তোলার কারণ কী?

    আদিবাসী (Tribal People), কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিন তাদের আন্দোলন পাঁচদিনে পড়েছিল। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার থেকে দফায় দফায় বৈঠক হয়। কিন্তু, কোনও রফাসূত্র মেলেনি। রবিবার সাত সকালে সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। আন্দোলনকারীরা কুস্তাউর স্টেশন এসে ফের আন্দোলনে যোগ দেন। পরে, জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক তাঁদের কাছে একটি চিঠি নিয়ে আসে। ১০ এপ্রিল মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও আন্দোলনকারীরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কুস্তাউর স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে আলো, জল সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে। চাকরি বা ব্যবসার সঙ্গে যে সব কুড়মিরা জড়িত রয়েছেন তাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, আন্দোলন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। তাই, আপাতত এদিন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

    কী বললেন কুড়মি সংগঠনের নেতা?

    রেল অবরোধ তোলা প্রসঙ্গে কুড়মি (kurmi)   সংগঠনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আসলে আমাদের আন্দোলন দুর্বল করতে প্রশাসন বহু চেষ্টা করছে। মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। আর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এর আগে বৈঠক করেছি। কোনও লাভ হয়নি। তাই, এবার আর বৈঠক করতে রাজি হইনি। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলাম। আর রেল অবরোধের জন্য সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে, আগামীদিনে আমরা ফের আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi: চারদিন ধরে চলছে কুড়মিদের রেল অবরোধ, শনিবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, ব্যাপক ভোগান্তি

    Kurmi: চারদিন ধরে চলছে কুড়মিদের রেল অবরোধ, শনিবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, ব্যাপক ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আদিবাসী (Tribal People)  কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ চারদিন ধরে পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে রেল ও সড়ক অবরোধ চলছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কোনও সমাধান হয়নি। শনিবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বসে। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রবিবার থেকে কোটশিলা স্টেশনে নতুন করে অবরোধ শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?

    বুধবার থেকে রেল অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। গত চারদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবারও কুড়মিদের (kurmi)  লাগাতার আন্দোলনের জেরে বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এদিন ৭২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক, শালিমার সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে।  একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেল। রেল ও সড়ক অবরোধের ফলে গোটা জঙ্গলমহল একেবারে স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার রেল অবরোধ চারদিনে পা দিল। ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে ৪ এপ্রিল থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছিল। সেই অবরোধ এদিন পাঁচদিনে পড়ল। তবে, পুরুলিয়া জেলায় রেল অবরোধ করা হলেও সড়ক অবরোধ করা হয়নি। এবার সড়ক পথ অবরোধ করা হবে বলে সংগঠনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

    BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপিতে যোগদান করার শাস্তি  দণ্ডিকাটা! শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। আর এই শাস্তির বিধানদাতা তৃণমূলের মাতব্বররা। বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে ফেরার জন্য দণ্ডি কেটে প্রায়শ্চিত করতে হয়েছে আদিবাসী তিনজন মহিলাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বালুরঘাট শহরের মানুষ। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই দণ্ডি কাটার দায় দলের স্থানীয় নেতাদের ওপর চাপিয়েছে। তবে, বিজেপিতে (BJP)  যাওয়ার জন্য শাসক দলের নেতাদের এই বিধান দেওয়া নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি (BJP)  নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিজেপি-র নেতা, কর্মীরা ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশে বসেন।

     ঠিক কী ঘটেছিল?

    ৬ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকে প্রায় দুশো জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে (BJP)  যোগদান করেন। শুক্রবার দলবদলুরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় জনাচারেক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যায়। আর বিজেপিতে (BJP)  যোগ দেওয়ার শাস্তি হিসেবে নাকখত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কতদূর থেকে দণ্ডি কেটে ওই কর্মীদের ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়শ্চিত করতে হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে কাঁঠালপাড়ায় অবস্থিত তৃণমূল জেলা কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কেটে আসেন চারজন আদিবাসী মহিলা। পরে, তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। এই বিষয়ে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, এদিন কয়েকজন যোগ দিয়েছেন। বাকিরা আগামীদিনে যোগ দেবেন।

    দণ্ডি কাটার নিদান নিয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি?

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির (BJP)  জেলা নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। এবার এই অমানবিক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জোর করে আদিবাসী ওই মহিলাদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে তাদের নাকখত দেওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আদিবাসী মহিলাদের অপমান করেছে তা আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। গোটা রাজ্যের আদিবাসী সমাজকে এই অমানবিক ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন জানাচ্ছি। অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। শাসক দল ব্যাকফুটে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, তৃণমূলে কেউ যোগ দিলে আমরা জানতে পারতাম। এরকম খবর আমাদের কাছে নেই। আর দণ্ডি কাটার ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক হয়নি। এরকম হলে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার! বিক্ষোভে উত্তাল এলাকা, গ্রেপ্তার ৩, কোথায় জানেন?

    Student: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার! বিক্ষোভে উত্তাল এলাকা, গ্রেপ্তার ৩, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর (Student) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল আসানসোলের হিরাপুর থানার  নিউটাউন এলাকা । মৃত ছাত্রীর (Student) নাম কোয়েল হাঁসদা (২২)। মঙ্গলবার রাতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ২৭ মার্চ থেকে ওই ছাত্রী (Student)  নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। ২৮ মার্চ নিউটাউন এলাকার ১২ নং রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীর (Student)  ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বুধবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। হিরাপুর থানার সামনেই রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর (Student)  সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীর (Student)  দুর্গাপুরে বিয়ে ঠিক করে। সেটা ওই ছাত্রীর প্রেমিক জানতে পেরে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    কী বললেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা? Student

    অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন আদিবাসী সংগঠনের এক সদস্য বলেন “ওই ছাত্রীকে (Student)  পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি আরও বলেন “ দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যে আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন করা হয়। প্রশাসন এই ব্যাপারে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেয় না। ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়কে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়”।  বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে ।

    ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা? Student

     আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ডিসি (সেন্ট্রাল) অভিষেক মোদি বলেন, “ মৃতার বাড়ি থেকে অভিযোগ আসা মাত্র পুলিশ তদন্ত করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে, তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় তিন জন অভিযুক্ত এই ঘটনার সাথে যুক্ত। তারমধ্যে একজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুমির মাড্ডি, রোহিত হাঁসদা এবং সুমিত্রা হেমব্রম।

    কী বললেন ছাত্রীর বাবা? Student

    ছাত্রীর (Student) মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা পরিবার জুড়ে। মৃত ছাত্রীর (Student)  বাবা লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা বলেন, “২৭ মার্চ মেয়ে একটি ফোন পেয়ে বেরিয়ে যায়। মেয়ের ফিরতে দেরি হওয়ায় তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ পাই। থানায় মিসিং ডায়েরি করি। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL:  আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    ECL: আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাত হলেই  গাড়ি করেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত ইসিএল (ECL) কোলিয়ারির জিনিসপত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পাচার হওয়ার সময় এলাকার বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে জিনিসপত্র সহ গাড়ি আটক করেন। আসানসোল ইসিএল (ECL)  এর সোদপুর এরিয়ার বন্ধ মাউদডি কোলিয়ারির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, বন্ধ কোলিয়ারির বিভিন্ন সামগ্রী একটি পিকআপ ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। সোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওই পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেন। পরে, গাড়ি চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, তিনি তা দেখাতে পারেননি। তখনই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাচার নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী? ECL

    বন্ধ কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দিনের বেলায় কেউ কয়লার গুঁড়ো নিতে আসলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের তাড়া করেন। আমরা পদক্ষেপকে প্রশংসা করছি। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভরতি করে কোলিয়ারি ভিতর থেকে জিনিসপত্র সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা দেখার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের নেই। আসলে ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই রমরমিয়ে এই  পাচার চলছে। গত কয়েকদিন ধরে দেদার জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছিল। এদিনও তারা গাড়ি করে জিনিসপত্র পাচার করার সময় ধরা পড়ে যায়। আমাদের বক্তব্য, গাড়ি করে যে সব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জরুরি কিছু নয়। তাই, দিনেরবেলায় নিয়ে গেলে কারও কোনও আপত্তি থাকত না। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে এভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।

    ইসিএল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য? ECL

    জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি পাচার করার সময় এলাকাবাসী দীর্ঘক্ষণ আটক করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির ম্যানেজার মহম্মদ একলাখ খান। তিনি বলেন, কোনও পাচার করার জন্য গাড়ি করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। নিয়ম মেনেই এই কোলিয়ারি থেকে আমাদের মেন অফিসে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির চালকের কাছে চালানো রয়েছে। এলাকাবাসী আমাদের ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখান। তবে, ম্যানেজারের বক্তব্য এলাকাবাসী মানতে চাননি। তাঁরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়িসহ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে  আন্দোলনে অধ্যাপকরা, কোথায় জানেন?

    Agitation: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে অধ্যাপকরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ (Agitation) অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ছাড়িয়ে শহরের রাজপথে নেমে তাঁরা আন্দোলনে (Agitation)  সামিল হলেন। সোমবার আসানসোলের রাজপথে ভলভো বাস স্ট্যান্ড থেকে বি এন আর মোড় পর্যন্ত কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন,ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ লেখা পোস্টার নিয়ে রাজপথে বসে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।  এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভিতরের দেওয়ালে উপাচার্য গো ব্যাক লেখা হয়েছিল। এখন প্রশাসনিক ভবনের বাইরের দেওয়ালে তা লেখা হয়েছে। উপাচার্যের চেম্বার বা তাঁর সচিবালয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চরম অচলাবস্থা চলছে।

    উপাচার্যের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর কাজ এখনও অনেক বাকী রয়েছে।  এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকায় উপাচার্য ২৯ লক্ষ টাকা খরচ করে দামী গাড়ি কিনেছেন। ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে টিভি কেনা হয়েছে। এমনকী রেজিস্ট্রারকে শো কজ না করেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। এসব নিয়ে অধ্যাপকরা সরব হন। রেজিস্ট্রারকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করা হয়। কিন্তু, উপাচার্য নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এরপরই অধ্যাপকরা আন্দোলন (Agitation)  শুরু করেন। শুধু তাই নয় দুদিন আগেই অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে ২৪ জন বিভিন্ন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগ পত্র মেল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনকারী অধ্যাপকদের বক্তব্য, উপাচার্য স্বৈরাচারী। তিনি নিজের মতো করে চলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে তিনি নষ্ট করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে নজর না দিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গাড়ি, টিভি কিনতে ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গাছ তিনি বিক্রি করেছেন। সেই টাকা দিয়ে উপাচার্য কী করেছেন তার কোনও হদিশ নেই। দুটি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যার কোনও তথ্য ফিনান্স অফিসারের কাছে নেই। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড নিয়ে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। একজন উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য এভাবে অধ্যাপক ও কর্মীদের আন্দোলনের (Agitation)  ঘটনা নিয়ে শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share