Tag: agitation

agitation

  • Road: সংস্কারের দুদিনের মধ্যেই হাত দিলেই উঠে আসছে রাস্তার পিচ! কোথায় দেখে নিন

    Road: সংস্কারের দুদিনের মধ্যেই হাত দিলেই উঠে আসছে রাস্তার পিচ! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সংস্কারের দুদিনের মাথায় হাত দিলেই খুবলে আসছে পিচের রাস্তার (Road) চাদর। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় নিম্নমানের কাজে সরব গোটা এলাকাবাসী। এমনকী দুদিন আগে   গ্রামীণ সড়কের রাস্তায় (Road)  বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে পথ অবরোধ করেছিলেন বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দুলিয়াবাড়ি এলাকায়। সপ্তাহ খানেক আগে  গ্রামীণ সড়ক যোজনার বেহাল রাস্তা (Road)  সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে মালদহ জেলা পরিষদ। তবে, সড়ক সংস্কার হলেও তা নিম্নমানের বলে অভিযোগ তুলছে বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, বেহাল রাস্তা (Road)  সংস্কার হওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু, কাজের গুণগতমাণ এতটাই খারাপ যে এক সপ্তাহের মধ্যে এই রাস্তা আগের মতো বেহাল হয়ে পড়বে। তাঁরা আরও বলেন,সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।ভোট পাওয়ার আশাই মানুষকে শুধু দেখানোর জন্য এই রাস্তা(Road)  সংস্কার করা হচ্ছে।কিন্তু, আদৌও এই রাস্তা ব্যবহারের উপযোগী হবে না।ঝাড়ু দিলেই বেরিয়ে আসছে রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা।এমনভাবে নিম্নমানের কাজ হলে পঞ্চায়েত ভোটে প্রভাব পড়বে।

    সড়ক যোজনার রাস্তাতেও কাটমানি! Road

    দুলিয়াবাড়ি থেকে অরবরা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক যোজনার বেহাল রাস্তা (Road)  সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে মালদহ জেলা পরিষদ। এই রাস্তার জন্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এত টাকা খরচ করে সংস্কার করা হলেও কাজের গুণগতমাণ নিম্মমানের। আর এর পিছনে রয়েছে কাটমানি। বিজেপির চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের কো-কনভেনার প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন,কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের জন্য যথার্থ অর্থ বরাদ্দ করলেও রাজ্য সরকার সেই কাজে কাটমানি বসিয়ে  নিম্নমানের কাজ করছে। ঠিকাদার সংস্থা তৃণমূল নেতাদের মোটা অঙ্কের কাটমানি দিতে গিয়েই নিম্নমানের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে, এলাকার মানুষ রাস্তা নেমে প্রতিবাদ করায় বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল। আসলে কাটমানির জন্যই এসব হচ্ছে। যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে মানতে নারাজ মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। তিনি পাল্টা মন্তব্য করে বলেন,বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি নিজে এলাকায় যাব। কাজের গুণগত মান খতিয়ে দেখব। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে যদি পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ খারাপ হয়, তাহলে তা ঠিকাদার বহন করবে। তাই, বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। রাস্তা (Road)  সংস্কারের কাজ ঠিকমতো হবে। আমি নিজে এই বিষয়ে উদ্যোগী হব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের  প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে দলীয় সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়া কঠিন। কারণ, সামনের পাঁচ বছর কার হাতে এলাকার ক্ষমতার রাশ থাকবে নিয়ে লড়াই চলবে। মন্ত্রীর এই কথা যে কতটা সত্যি তা মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূল কর্মীরা অক্ষরে অক্ষরে টের পাচ্ছেন। কারণ, এখনও পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Candidate) ঠিক করা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কিছুতেই যেন থামতে চাইছে না শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল।পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী (Candidate)  বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাত।বুথ কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ থেকে ধাক্কাধাক্কি। উপস্থিত দলীয় নেতৃত্বের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। সমগ্র ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল।

    বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোল? Candidate

     হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানা পাড়া বুথে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল।উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।সেখানেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী (Candidate)  তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়।প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে দুইজনের নাম।একজন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা বাসন্তী দাস এবং অপরজন ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাগর দাস। কিন্তু, এই দুটি নাম উঠে আসতেই বিবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষ দাবি করে, প্রার্থী (Candidate)  হিসেবে বাসন্তী দাস ছাড়া অন্য নাম যাবে না। এই নিয়ে তাঁরা নেতৃত্বকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে নেতৃত্বের সামনে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষই। উপস্থিত নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    আর এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল একটা জায়গাতেও জিততে পারবে না। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর বিজেপির ঘাঁটি। প্রার্থী নিয়ে ওদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন,কোনও মারামারি বা ধাক্কাধাক্কি হয়নি।  একটা বুথেই আমাদের হাজারের বেশি কর্মী এসেছে বৈঠকে।দল বড় হয়েছে তাই প্রার্থী( Candidate)  হিসেবে একাধিক জনের নাম উঠে আসতেই পারে। এখানে বিরোধীরা প্রার্থী (Candidate)  দিতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতেও কাটমানি! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদুল শেখের বিরুদ্ধে। তিনি আদতে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়ত প্রধানের স্বামী। আর স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা ইংরেজবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের বিরুদ্ধে। ফলে, দলীয় নেতাদের এই আচরণে শাসক দলের একাংশ বহুদিন ধরেই ক্ষোভ ফুঁসছিলেন। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে দলীয় নেত্রী ও তাঁর অনুগামীদের রীতিমতো কসরত করতে হয়। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীরা কেন বিক্ষোভ দেখালেন?

    ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিলা। তাঁর স্বামী জাহিদুলই বকলমে পঞ্চায়েত চালান বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শুধু পঞ্চায়েত পরিচালনা নয়, আর্থিক সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নেন তিনি। দলের গ্রাম পঞ্চায়ত সদস্যদের তিনি পাত্তা পর্যন্ত দেন না। ফলে, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের পাশাপাশি দলের একটি বড় অংশ তাঁর আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামে দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছিল। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, জাহিদুল পঞ্চায়েতকে ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন দল একে অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। সেই পদ ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করার টোপ দিয়ে তিন-চার লক্ষ টাকা করে তুলছেন। দলীয় সভানেত্রী দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই দলীয় কর্মীদের একাংশ নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে দলীয় নেত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ বলেন, দলের অন্দরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ সেই জাহিদুল শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ তুলে আদালত পর্যন্ত ওরা গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনও সমস্ত বিষয়টি জানে। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের যোগ্যতায় প্রাপ্য চাকরি দিতেই হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে। এই দাবিতে আজ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ‘মহাজোট’পথে নামল। সোমবার ৯টি সংগঠনের জোট মঞ্চ পথে নামে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মহামিছিল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই মিছিলের ফলে শিয়ালদহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    মিছিল থেকে দাবি

    এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘রাজনীতিতে যদি মহাজোট হতে পারে, তাহলে যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদের কেন মহাজোট হবে না ? দেখিয়ে দেব বঞ্চিতদের কতটা শক্তি। সাদা খাতা দিয়ে কীভাবে চাকরি, টাকার বিনিময়ে?’উল্লেখ্য, কেউ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাশে, যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এঁরা। এবার আর আলাদা আলাদা নয়, একজোট হয়ে পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের ৯টি মঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিয়ালদহ থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল শুরু হয়। মিছিল যায় ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তাতে সামিল  ৬০০ দিনের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসা SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ছাড়াও মিছিলে যোগ দেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা-সহ অন্যান্য মঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    সুবিশাল মিছিলের জন্য আটকে পড়েন বহু যাত্রী। যদিও, এক বাস যাত্রী বলেন,“আমাদের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। তবে তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য লড়ছেন। তাঁদের দাবি ন্যায্য। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা উচিত।” অপরদিকে কীতর্ন করতে দেখা যায় কয়েকজন চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের দাবি হরিনামের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের আর্তনাদ তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। এই মিছিলের ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মধ্য কলকাতা। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধীরে ধীরে জমায়েত শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে শহরের ট্র্যাফিক পরিষেবা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CV Ananda Bose:  ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির জেরে সোমবারই এলাকায় বনধ ডেকেছে বামেরা। সোমবার মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়েতে বামনপুকুর এলাকায় রাজ্যপালকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। মহিলাদের হাতে পোস্টার দিয়ে তৃণমূলীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পদে পদে বাধা পেয়ে অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছান রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) কী বললেন আতঙ্কিত মহিলারা?

    সন্দেশখালির মাটিতে রাজ্যপাল পা রাখতেই ফুল ছড়িয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় রাজ্যপালকে। এদিন রাজ্যপাল পৌঁছনোর আগেই দেখা যায় রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহিলারা। কোনও প্ল্যাকার্ডে কেন্দ্রীয় পুলিশের দাবি জানানো হয়েছে। কোথাও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। রাজ্যপালের হাতে রাখিও পরিয়ে দেন অনেক মহিলা। একের পর এক মহিলা এসে তাঁর কাছে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে থাকেন। অনেক মহিলা তাঁর পায়ে পড়লেন। রাজ্যপালের সামনে অনেকে আবার হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। শাহজাহান বাহিনী নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কথা তাঁরা বলেন। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। গ্রেফতার না করা হলে রাজ্যপাল চলে গেলে, তাঁদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা রাজ্যপালের সামনে বলেন, ‘আমাদের মায়েদের শান্তির জন্য আপনারা কী চাইছেন জানি না। শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে আমাদের বাঁচান। কিন্তু, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের না ধরলে আপনারা চলে গেলে আমাদের যে অবস্থা হবে তা আরও ভয়ঙ্কর হবে। আমরা এরপর মুখ তুলে তাকাতে পারব না। ১৩ বছর ধরে যা অত্যাচার হচ্ছে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে। ওরা যদি ফিরে আসে।’

    সন্দেশখালিতে গিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    সবার অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, “যাবতীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামের মহিলাদের সুরক্ষিত রাখা ও নিরাপদে রাখার জন্য যা যা করার তা করা হবে।”  সূত্রের খবর, ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস। এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “কেরল সফরে ব্যস্ত থাকার সময় সন্দেশখালির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পারি। তাই সফর কাটছাঁট করেই চলে এসেছি।”

    দফায় দফায় বিক্ষোভ

    কেরল সফর থেকে কলকাতায় ফিরে সোমবারই যে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সন্দেশখালি যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই ছিল। সকালে বিমানবন্দরে নামার পর নির্ধারিত রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয়। সেই পথেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হল রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে। সকাল ১১ টা নাগাদ যখন রাজ্যপালের গাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কনভয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল মহিলা। বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ভিতরে একবার নয়, একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। মিনাখাঁর ওপর দিয়ে বামনগাছির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কনভয়। প্রথমে বামনপুকুর এলাকায় আটকানো হয় গাড়ি।

    কচিকাঁচাদের হাতে প্লাকার্ড!

    বিক্ষোভকারীদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে জানানো হয়েছে বকেয়া টাকার দাবি। সেখান থেকে পুলিশ কোনও ক্রমে জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার পর কয়েকশ মিটার দূরে কালীতলা ফের দেখা যায় একই ছবি। আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালেক কনভয়। এমনকী কচিকাঁচাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। কেন পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা জানে না তারা। তৃণমূলীদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন মহিলারা। অনেকে আবার বলছেন, এলাকায় ইডি কেন আসছে। সন্দেশখালি থানাতে অশান্তি হচ্ছে কেন? এসবের জন্য তাঁরা জমায়েত হয়েছে। রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কাছে আবাস যোজনার বাড়ি  চাইলেই পাওয়া যাবে বলে তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের জমায়েক করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বার বার রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখানো হলেও পুলিশের ভূমিকা ততটা সক্রিয় ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল সন্দেশখালিতে। পরে, পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাতে এলাকায় পুলিশ অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। শনিবার বিজেপি-র প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যায়। প্রতিনিধি দলে রাজ্য বিজেপি (BJP) সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ বসিরহাট বিজেপি সংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা ছিলেন। ধামাখালি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর নস্কর পাড়া এলাকায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়।

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিজেপি নেত্রী? (BJP)

    পুলিশের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি থানার কারণে এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বিজেপি (BJP) কর্মীরা। অপরদিকে, বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁরা চারজন রয়েছেন। প্রয়োজনে পুলিশও তাঁদের সঙ্গে যেতে পারে। কোথাও আইন ভাঙা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। অথচ যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলেন, পুলিশ কেস দিয়ে দিল। আমরা নাকি পুলিশ পিটিয়েছি। আমরা শুধু কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছি। আমরা বন্দুক-বোম নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গ্রামবাসীরা যাঁদের নামে অভিযোগ করল পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না। উল্টে সাধারণ গ্রামবাসী সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশ অত্যাচার করছে। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এখানে রাতে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে। আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।”

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা নিয়ে উত্তেজনা

    শুক্রবার কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন সন্দেশখালির এক অংশের মানুষ। পাল্টা শিবু হাজরার দলকেও এলাকার দখল নিতে দেখা গিয়েছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রচুর পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে সন্দেশখালিতে। এর মধ্যে এলাকায় প্রবেশে বাধা পেলেন বিজেপি-র (BJP) প্রতিনিধি দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET 2014: পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, কবে টনক নড়বে সরকারের?

    TET 2014: পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, কবে টনক নড়বে সরকারের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির দাবিতে পথেই কাটিয়ে ফেলেছেন ৫০০ দিন। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একাধিকবার। তার পরেও টনক নড়েনি সরকারের। অগত্যা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিনব উপায় বের করলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীরা (TET 2014)।

    চাবুক মেরে বিক্ষোভ

    রবিবার মুখে কালি মেখে, পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রোদ-জল-ঝড় উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন তাঁরা। চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবারও করেছেন (TET 2014)। তার পরেও সদর্থক কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণেই এদিন পাঁচশো দিনের মাথায় কষাঘাত করে সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করে চলেছি। আর কবে চাকরি পাব? সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আমরা ক্লান্ত। এখন এই পন্থা ছাড়া আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না।”

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য

    আর এক আন্দোলনকারী বলেন, “জানি না আর কতদিন এভাবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আর কতদিন চোখের জল ফেলতে হবে। দুর্নীতি করে স্কুল দখল করে বসে রয়েছে, আর আমরা রাস্তায় বসে প্রাপ্য চাকরির জন্য হাহাকার করছি।” কষাঘাত কেন? চাকরি প্রার্থীদের (TET 2014) মধ্যে একজন বলেন, “আমাদের জীবনে আর আঘাতের কী বাকি আছে? ন’টা বছর তো এমনই কেড়ে নিয়েছে। আমরা বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। এই চাবুকের আঘাত আসলে সরকারের চাবুকের আঘাত, যা দেখা যায় না।” আর এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “মুখের কালি প্রতীকী। সংগঠিত অপরাধীদের কালি এটা। গত কয়েক দিনে বারংবার চাকরির প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল বলছে আইনি জটিলতা রয়েছে। যা কাটলে তারা চাকরি দিতে প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে। আর আমরা কেন তার পেনাল্টি দেব?”

    আরও পড়ুুন: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। হাজার বছর পূর্ণ হওয়ার দিন প্রতিবাদ জানাতে চুল কামিয়ে নেড়া হয়েছিলেন এক মহিলা আন্দোলনকারী। ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে দ্রুত তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সমস্যার সুরাহা হয়নি এখনও। তার মধ্যেই কষাঘাত করে আন্দোলনের আঁচ উসকে দিলেন প্রাইমারি টেট চাকরিপ্রার্থীরা। 

    আন্দোলনকারীদের (TET 2014) পিঠে নয়, এ চাবুকের ঘা বুঝি এসে পড়ল সমাজের বিবেকের পিঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর (Sodepur) এলাকায়। বুধবার প্রতারিতরা  অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন রায়ের বাড়িতে চড়াও হন। সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও ব্যবসায়ী বাড়িতে না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরতে হয় প্রতারিতদের। পরে, প্রতারক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sodepur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপন রায় সোদপুর (Sodepur) এলাকায় ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা খুলে বসেন। ওই কোম্পানির নাম করে দুবাই সহ বিদেশে চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়ার তিনি টোপ দেন। রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা দেওয়া হয়। সেখানে ভাল মাইনের অফার দেওয়া হয়। পোস্টারে দেওয়া হয় ফোন নম্বর। বেকার ছেলেমেয়েরা পোস্টারের সেই নম্বর দেখে যোগাযোগ করেন। এরপরই চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকার দাবি করেন ব্যবসায়ী। ৬০-৭০ হাজার, এমনকী এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতারিতদের অভিযোগ। মাসের পর মাস কেটে গেলেও কাউকে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপরই প্রতারকের প্রতারণা সকলের সামনে চলে আসে।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাই ব্যবসায়ীর কাছে। কিন্তু, কোনও টাকা ফেরত পাইনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত, কিন্তু বাস্তবে টাকা ফেরত দেননি।  আমাদের মতো এরকম বহু বেকার ছেলেমেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছে। এরপরেই এদিন আমরা প্রতারিত বাড়িতে যাই। বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাই। তাঁর স্ত্রী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির শিকার শিলিগুড়ির (Siliguri) এনজেপির কাছে ঠাকুরনগরে প্রস্তাবিত রেল উড়ালপুল। রাজ্য সরকার এনওসি না দেওয়ায় রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচে এখানে উড়ালপুল তৈরি করতে পারছে না। ফলে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে নাজেহাল হচ্ছেন। রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেলগেটে আটকে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই উড়ালপুল তৈরির জন্য এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের পাশে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    ঠাকুরনগরে কেন রেল উড়ালপুল দরকার? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রেলগেটে এলাকার মানুষ নিত্যদিন নাকাল হন। এনজেপি দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন এই গেট বন্ধ হয়। দুপারে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। সাহুডাঙ্গি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সহজে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই রেলগেটই ভরসা। এই রেলগেট দিয়ে পাঁচটি জেলার মানুষের শিলিগুড়িতে যাতায়াত। সেই সব মানুষদের সঙ্গে পর্যটকরাও এই রেলগেটে আটকে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই এলাকায় উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। আজও এখানে রেল উড়ালপুল না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।

    উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ

    সাংসদ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মানুষের এই দুর্ভোগ বন্ধ করতে  উদ্যোগ নেন বিজেপির ডাঃ জয়ন্ত রায়। বিষয়টি তিনি রেলমন্ত্রীর নজরে আনেন। সবকিছু বিবেচনা করে রেলের পক্ষ থেকে ঠাকুরনগরে সম্পূর্ণ নিজের খরচে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর আগে রেল মন্ত্রক থেকে এনওসি চেয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। অজানা কারণে জেলাশাসক তথা রাজ্য সরকার এনওসি দিচ্ছে না বলে জানান সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    এনওসির দাবিতে বিজেপি বিধায়কের বিক্ষোভ অবস্থান

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। তিনি বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে আমরা একাধিকবার দেখা করেছি। রেলের চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও তিনি এনওসি কেন দিচ্ছেন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। কেননা এখানকার সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সব বিজেপির। সেই রাগেই তৃণমূল উড়ালপুল তৈরি করতে দিতে চাইছে না। এবার এনওসি আদায়ের জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, এখানে রেল উড়ালপুলের দরকার। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরাও এনজেপিতে রেল আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক এনওসি দিচ্ছেন না, বিষয়টি আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share