Tag: agitation

agitation

  • TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে। অনাদিবাবুর টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পর পরই ওই নেতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এত কিছু ঘটনার পরও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অনাদিবাবুর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকী তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে তপন-মালদা রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তপন থানার আজমতপুর এলাকায়। অবরোধকারীরাও সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদিবাবু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। চাকরি না পাওয়ায় প্রতারণার শিকার আনোয়ার সরকার নামে এক যুবক, সম্প্রতি টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতারণার এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকা নেওয়ার এই ঘটনায় তপন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কায়েল সরেণ ক্ষুব্ধ। তাঁর নেতৃত্বে এলাকাবাসী এদিন আজমতপুর মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। এক অবরোধকারী তথা স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা সুকুমার মণ্ডল বলেন, “আমরাও তৃণমূল করি। তৃণমূল দলে থেকে যারা অন্যায় করবে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো। দল ও প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব। আমরা দলকে বিষয়টি জানিয়েছি। দল আশ্বাস দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। কারণ, এই ধরনের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে তারা বহু মানুষের আরও সর্বনাশ করবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দু-দশক ধরে বেহাল রাস্তা (Panchayat Road)। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান। এইসব ক্ষোভ থেকেই ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    পথশ্রী প্রকল্পেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি!

    জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণপুর, ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা (Panchayat Road) বেহাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদার এই গ্রামগুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশপথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, বিক্ষোভকারীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

    কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাকের। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা (Panchayat Road) ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসী। খনি অঞ্চল অন্ডাল, উখড়া পাণ্ডবেশ্বরের তাপমাত্রার পারদ দিনে দিনে ৪০ পেরিয়ে আজ ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে তিতিবিরক্ত শফিক নগর এলাকার বাসিন্দারা। পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে বুধবার উখড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভে (Agitation) সামিল হন এলাকাবাসী। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন উখরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজারকে। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্টেশন ম্যানেজারের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    প্রতিদিন রাতের দিকে নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাত দশটা থেকে রাত আড়াইটে পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিলে লোডশেডিং হওয়ায় চরম নাকাল হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। শেখ শওকত আলী নামে শফিক নগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বারবার লোডশেডিং এর সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গরমে লোড শেডিংয়ের জেরে রাতে ঘুমোতে পারছি না। প্রতিদিন নিয়ম করে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বয়স্ক লোকজনদের চরম কষ্ট হচ্ছে। আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত উন্নত করার জন্য আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছি। আমাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন (Agitation) চলবে। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    উখরা বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সব সময় সমস্যা থাকে এমন নয়। আমরা যতটা পারছি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলাম। তাদের দাবিপূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কারণ, অকারণে কোথাও লোডশেডিং করা হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে তীব্র জল সঙ্কটে অতিষ্ঠ হয়ে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকায় রাজ্য সরকার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তবে, শুধু বুধবার নয়, মঙ্গলবারও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। বাড়ির সব কাজ ফেলে মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এদিন বালতি হাতে নিয়ে অবরোধে সামিল হন। অবরোধের জেরে আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় পানীয় জলের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক বসানো হয়। পরে গ্রামে গ্রামে সেই প্রকল্পের কলও বসানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই কল থেকে জল পাননি গড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে ওই গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন ফের ওই এলাকায় আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ঘটা করে গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে কল বসানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া যায় না। প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এই তীব্র গরমে এলাকাবাসীকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দূরের কোনও এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, ঘটা করে জলপ্রকল্প করে কী লাভ হল। আসলে তৃণমূলের নাটক এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এভাবে আর বেশি দিন নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: পুরসভার গেট বন্ধ করে আন্দোলনে অস্থায়ী কর্মীরা, কেন জানেন?

    Agitation: পুরসভার গেট বন্ধ করে আন্দোলনে অস্থায়ী কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেতন ও কাজের দাবি নিয়ে পুরসভার গেটের সামনে হাতে থালা ও কাজের সরঞ্জাম নিয়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের বা ভিসিটি-র কর্মীরা বিক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পুরসভার সামনে বুধবার সকাল থেকে চলে এই বিক্ষোভ। কাজ বন্ধ রেখেই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হন। আন্দোলনের জেরে পুরসভার নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয়।  তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে কর্মীদের এই বিক্ষোভের (Agitation) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন এই আন্দোলন (Agitation)?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ২৬ দিন কাজ। আর সঙ্গে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে মজুরি পাই। এই শর্তে আমরা সকলে কাজে যোগ দিই। কিন্তু, কাজে যোগ দেওয়ার পর কয়েক মাস ঠিকমতো আমরা হাতে কাজ পাচ্ছিলাম। ২০০ টাকা মজুরিতে কষ্ট হলেও আমরা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। এখন বেশিদিন আমাদের কাজ নেই। ফলে, রোজগারও কমে গিয়েছে। এমনিতে মূল্যবৃদ্ধির বাজার। এই অবস্থায় ২০০ টাকা রোজে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আমাদের দাবি, অবিলম্বে মাসে ২৬ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে মজুরি ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করতে হবে। আমরা এর আগে বহুবার এই দাবি জানিয়েছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই, বাধ্য হলে এদিন কাজ বন্ধ রেখে আমরা আন্দোলনে সামিল হয়েছি। অপরদিকে পুরসভার গেটের সামনে পুরসভার অস্থায়ী সাফাই দফতরের কর্মীরা বিক্ষোভে (Agitation)  সামিল হয়েছেন। তাদেরও দাবি, সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলর?

    এই ঘটনায় চরম বিড়ম্ভনায় পড়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। আন্দোলনের (Agitation) জেরে পুরসভার কাজকর্ম ব্যাহত হয়। পরে, পুরসভার কাউন্সিলর গোবিন্দ দাস ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিপূরণ নিয়ে আমরা সচেষ্ট হব। চেয়ারম্যান সহ সমস্ত কাউন্সিলররা বসে ওদের সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: গরম পড়তেই জলসঙ্কট! বালতি হাতে আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Jalpaiguri: গরম পড়তেই জলসঙ্কট! বালতি হাতে আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহ। জলস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। পাতকুয়ো থেকেও জল উঠছে না।  জলের লাইন অনেকদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সেই পাইপ বেয়ে আজও জল পড়েনি।  তীব্র দাবদাহে  জলের জন্য হাহাকার করছেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ  এলাকার মানুষ। আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ বালতি, ড্রাম, মগ হাতে রাস্তায় নেমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে  দিচ্ছেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মাঝে দু’দিন মেঘলা আকাশ ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও গত সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। তীব্র তাপদাহে জলের  সঙ্কট চরমে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মায়া দাস, মণি বিশ্বাসদের  অভিযোগ, প্রধানকে বার বার বলেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।  জল নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। সোমবার থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিনগরের অরবিন্দ পল্লিসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির ডাবগ্রম – ফুলবাড়ি বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এই এলাকা প্রথম থেকেই তৃণমূলের দখলে রয়েছে।  গত ১০  বছর তৃণমূলের গৌতম দেব এখানকার বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। জলের সঙ্কটের পাশাপাশি রাস্তা, ড্রেন, লাইট নেই। সেকারণেই গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার মানুষ বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তৃণমূল এই এলাকায় কোনও উন্নয়ন করছে না।  তাই কেন্দ্রীয় সরকার জল প্রকল্পের জন্য ঢালাও অর্থ দেওয়ার পরও সেই অর্থে এখন কাজ হচ্ছে না।  এলাকার মানুষকে শিক্ষা দিতে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এই এলাকার পানীয় জল সহ অন্যান্য উন্নয়নে কোনও নজরই দিচ্ছে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে হয়তো  কিছু কিছু এলাকায় জল সরবরাহ শুরু হবে ভোটের অঙ্ক কষে।

    পানীয় জলের পরিষেবা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল প্রধান?

    তৃণমূল পরিচালিত ডাবগ্রাম -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে আমরা চিঠি দিয়েছি। ২০২৪ এর মধ্যে সব জায়গায় জল পৌঁছে যাবে। প্রধানের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন, বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় জল সঙ্কটে রেখে এলাকার মানুষকে বোঝাতে চাইছে তৃণমূলকে ভোট না দিলে সঙ্কট মিটবে না বাড়বে। লোকসভা নির্বাচনের আগে  জল পৌঁছে দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে চাইবে তৃণমূল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: এবার কেষ্ট গড়ে ব্যালট ছিনতাই! অভিষেক চলে যেতেই নবজোয়ারে মারপিট

    Abhishek Banerjee: এবার কেষ্ট গড়ে ব্যালট ছিনতাই! অভিষেক চলে যেতেই নবজোয়ারে মারপিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের পর এবার অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করার জন্য দলের পক্ষ থেকে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ব্যালট বক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তৃণমূলের একটি দল। পুলিশের সামনেই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পরে, তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যাওয়ার পর পরই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে মালদহের ইংরেজবাজার এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। এবার কেষ্ট গড়ে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিনের ব্যালট লুট হওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই বলেন, কেষ্ট গড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন হবে তার মহড়া হয়ে গেল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    জনসংযোগ যাত্রায় ১৫ তম দিনে কেষ্ট গড়ে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রথম দিনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)  মুরারইয়ে চাতরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের কোনও রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে এমন সুযোগ দেয় না, যারা পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করে। আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই সুযোগ দিয়েছে।” এমনকী, তিনি হাতে একটি ব্যালট পেপার দেখিয়ে বলেন, “আপনারা নিজেদের প্রার্থী নিজেরাই ঠিক করবেন। “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সভা শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয় পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচনের ভোটাভুটি । আর তাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা ও অশান্তি। ব্যালট নিয়ে ছুটতে থাকেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের আবার ধরে ফেলেন অন্য কর্মীরা। ব্যালট নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেক (Abhishek Banerjee) যে ভাবে ভোট করার কথা বলে গিয়েছেন, সেই নিয়ম মেনে সব কিছু হওয়া দরকার। এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে যে প্রার্থীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকায় নেই। ব্যালট খুলে দেখা যায়, একেবারে অন্য তালিকা রয়েছে। ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। তাই, প্রকাশ্যে এই গণ্ডগোল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা! কেন জানেন?

    TMC: দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে কোথাও জলাশয় ভরাট করে কোনও কাজ করা যাবে না। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে এবার অবাধে পুকুর ভরাট হচ্ছে খড়দহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠীকোন্দল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    জলাশয় ভরাট নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে তরজা

    প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জলাশয় রাতের অন্ধকারে পুরসভার ট্রাক্টর করে খাল সংস্কারের মাটি নিয়ে এসে ভরাট করা হচ্ছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের (TMC) বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পালের নেতৃত্বে এই জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে এলাকায় ট্রাক্টর ঢোকার শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাই এই ঘটনায় সরব হয়েছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও। যেখানে পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘটছে, সেখানে এদিন বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। প্রাক্তন কাউন্সিলরের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পাল। তিনি বলেন, কোনও জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে না। আসলে এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি হবে। প্রাক্তন কাউন্সিলর ৫ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি। আমি উন্নয়নের কাজ করছি বলে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

    কী বললেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান?

    তৃণমূল (TMC) পরিচালিত খড়দহ পুরসভার উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার বলেন, দুপক্ষের অভিযোগ পুরসভায় জমা পড়েছে। জলাশয় ভরাট করে কোনও উন্নয়নের কাজ পুরসভা বরদাস্ত করবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    পুকুর ভরাট নিয়ে শাসকদলেরই প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরদের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই বেআইনি কাজের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) লোকজন জড়িত। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে গর্জে উঠতে হবে। যতদিন যাবে তৃণমূলের এই ধরনের গোষ্ঠীকোন্দল আরও প্রকট হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবাদিঘি জটে দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে রয়েছে তারকেশ্বর – বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ। দিঘি বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের (Agitation) জেরে রেললাইনের প্রকল্পের কাজ গোঘাটের ভাবাদিঘি এলাকায় থমকে রয়েছে। বারবার রেল কর্তারা ভাবাদিঘি পরিদর্শন করলেও কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি। এদিকে দিঘির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তার মাঝে ফের শুক্রবার ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু, কোনও কথাই হল না আন্দোলনকারীদের (Agitation) সঙ্গে। উল্টে আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তাঁরা। হাতে পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ দেখান এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রেললাইনের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে এলাকার মানুষ। এদিন ভাবাদিঘির রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে করে গোঘাট স্টেশনে এসে নামেন। তারপর সড়কপথে ভাবাদিঘির রেল লাইনের কাজ পরিদর্শনে যান। বিষয়টি জানার পরই এলাকাবাসী সেখানে যান। রেল আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু, তাঁরা কথা বলেননি। এরপরই এলাকাবাসী পোস্টার হাতে নিয়ে রেল আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    রেল আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা রেল প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, ভাবাদিঘির উপর দিয়ে এই প্রকল্প হোক আমরা চাই না। কারণ, এই দিঘির জলের ওপর শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল। আমরা রেল আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেই আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতাম। কিন্তু, তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনবোধ করলেন না। তাই পোস্টার লিখে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি তাঁদের কাছে তুলে ধরতাম। গ্রামের মানুষ রেলকর্তাদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান।

    এদিন রেল কর্তারা এলেও ভাবাদিঘির জট ক্রমশ খোলার জায়গায়, আরও বেশি করে জট পাকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও রেল আধিকারিকরা এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। ভাবাদিঘির পর তাঁরা বাঁকুড়ার- বিষ্ণুপুর এলাকায় রেল লাইনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। কনভয় থেকে নেমে দলীয় নেতাদের অপকর্মের কথা যুবরাজকে হজম করতে হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইংলিশবাজার থানার বিনোদপুর অঞ্চলের সাতটারি এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরের মধ্যেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ?

    বৃহস্পতিবার মোথাবাড়িতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। এদিন দুপুরে ইংলিশবাজার ব্লকের সাতটারি এলাকা দিয়ে তাঁর কনভয় মোথাবাড়ির জনসভার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় সাতটারি এলাকায় অভিষেকের কনভয় আটকে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে অভিষেক (Abhishek Banerjee) গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কী কারণে তাঁরা রাস্তায় নেমে এভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা তিনি জানতে চান। মূলত জেলা পরিষদের সদস্যা, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিষেকের কাছে বিক্ষোভকারীরা দরবার করেন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখানোর সময় অভিষেক (Abhishek Banerjee) এক গ্রামবাসীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে, অভিষেক চলে যাওয়ার পর ওই গ্রামবাসী জানান, ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি এর সঙ্গে জড়িত। জেলা পরিষদের সদস্যা প্রতিভা সিংহ এলাকায় এসে আমাদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। এলাকায় ৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এলাকাবাসী কাজ করেও কোনও টাকা পাননি। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রতিভা সিংহ সহ সব পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের এবার টিকিট দেওয়া যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব কিছু শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share