Tag: Aksai Chin

Aksai Chin

  • POK: ‘একজনের ভুলে হাতছাড়া কাশ্মীরের একাংশ’, নাম না করে নেহরুর দুর্বলতা স্মরণ জয়শঙ্করের

    POK: ‘একজনের ভুলে হাতছাড়া কাশ্মীরের একাংশ’, নাম না করে নেহরুর দুর্বলতা স্মরণ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও একজনের দুর্বলতা এবং ভুলের জন্য কাশ্মীরের একটা অংশ (POK) ভারতের হাতছাড়া হয়েছে।” নাম না করে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দিকে ইশারা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ববন্ধু’ ভারত নামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন POK ফেরত নিতে ভারত প্রতিজ্ঞবদ্ধ এব্যাপারে কারও মনে সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

    কোনও লক্ষণরেখা নেই, CPEC সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা জয়শঙ্করের

    বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, যদি ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তাহলে চিন ভারতের উপর হামলা করতে পারে। কারণ সিপেক রয়েছে সেখানে। প্রত্যুত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না এরকম লক্ষণ রেখা আছে বলে। আমরা মনে করি কারও ভুল কিংবা দুর্বলতার জন্য পিওকে সাময়িকভাবে হাতছাড়া হয়েছে। বিশ্বস্তরে আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি, পিওকে ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। ভারতীয় সংসদে আমাদের প্রস্তাব আছে আমরা পিওকে ফেরত নেব। তবে কীভাবে, কখন হবে তা সময় বলে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত চাঁদে পা রাখছে, করাচির ম্যানহোলে শিশুমৃত্যু হচ্ছে’, পাক সাংসদের মন্তব্য ভাইরাল

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি (S Jaishankar) আরও বলেন, “পাকিস্তান (Pakistan) কিংবা তাঁর কোন প্রতিবেশী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) উপরে নিজেদের দাবি করতে পারে না। ভারত (India) একমাত্র আইনসঙ্গত দাবিদার। আমি চিনে (China) রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছি। আমরা সকলেই জানি চিনের পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কাশ্মীরের (Kashmir) উপরে তাঁদের মনোভাব। কিন্তু আমরা ওদের আগেও বলেছি এখনও বলছি পাকিস্তান হোক বা চিন, কেউ আমাদের অংশের উপরে নীতিগতভাবে দাবি করতে পারে না। জবরদখলকারিরা কখনও মালিক হতে পারে না। তাঁরা জবরদখল করে রেখেছে এবং ওখানে নির্মাণ কাজ চালিয়েছে। তাতেও মালিকানা স্বত্ব ভারতেরই থাকে। 

    পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে চুক্তি

    পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ১৯৬৩ সালের চুক্তির কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, “ইসলামাবাদ যখন পাক অধিকৃত ভূখণ্ডের (POK) একটি অংশ চিনকে বন্ধুত্বের স্বরূপ হস্তান্তর করে তখন চুক্তিতে বলা হয়েছিল চিন শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বা ভারতের যে কোনও দেশের আঞ্চলিক দাবিকে সম্মান করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় যেভাবে ভূরাজনৈতিক গতিবিধিতে পরিবর্তন এসছে সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভারত নিজের অবস্থান বিশ্ব দরবারে জোরালো ভাবে তুলে ধরেছে। এবং ভারতের সমর্থনেও অনেক রাষ্ট্র আছে। আমাদের নিজেদের অবস্থান শক্ত রাখতে হবে এবং নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। এখন আমরা যেভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরতে পারি ১০ বছর আগেও সেটা হত না। এখন ভারতের বাইরে ভারতীয়রা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aksai Chin: আকসাই চিনে বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন, যুদ্ধের প্রস্তুতি লালফৌজের?

    Aksai Chin: আকসাই চিনে বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন, যুদ্ধের প্রস্তুতি লালফৌজের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকসাই চিনে (Aksai Chin) সক্রিয়তা চিনা সেনার। সম্প্রতি চিনা মানচিত্রের যে সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে সে দেশের বলে দাবি করেছে বেজিং। এবার জানা গেল কেবল দাবিই নয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার নির্মাণ করছে চিন। বাঙ্কারের পাশাপাশি এই এলাকায় সুড়ঙ্গও তৈরি করছে চিনা ফৌজ। ভবিষ্যতে যুদ্ধের পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

    বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ

    ২০২৩ সালের ১৮ অগাস্ট উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গের কথা জানতে পেরেছে নয়াদিল্লি। মাস কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় জুড়ে সেতু নির্মাণ করছিল চিনা ফৌজ। উপগ্রহ মারফত সে খবরও পেয়েছিল (Aksai Chin) ভারত। তারই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগে সীমান্তে ফের তৎপরতা চিনা সেনার। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এলাকায় স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করার কথা ভেবেই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে বেজিং।

    চিনা আগ্রাসন 

    উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমন বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারতীয় সেনাকে প্রতিহত করতে চাইছে চিন। আকসাই চিনে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস থাকায় এ দেশের সেনাবাহিনী যে সুবিধাগুলি পায়, তা রুখতেই চিনের এই পদক্ষেপ।” উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্যকা থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় বরাবর সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে লাল ফৌজ। ম্যাক্সার স্যাটেলাইট চিত্রেও ধরা পড়েছে চিনের এই খননকাজ। উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, নদীর দুই পাড়েই পাথর কেটে চিন (Aksai Chin) অন্তত ১১টি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে। এই সুড়ঙ্গ ও বাঙ্কারেই যুদ্ধাস্ত্র মজুত করার পরিকল্পনা করেছেন চিনা সমর কর্তারা।

    আরও পড়ুুন: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    বছর তিনেক আগেও ডেমচক, ডেপসাং, গালওয়ান, গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণের পাশাপাশি ফিঙ্গার এরিয়া ৮ এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিল লাল ফৌজ। জুন মাসে গাওয়াল উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর নতুন করে শুরু হয় দ্বিপাক্ষিক শান্তি আলোচনা। এহেন আবহে হ্রদের দক্ষিণে হেলমেট টপ থেকে রেচিন লা বেশ কিছু উঁচু এলাকায় দখল নেয় ভারতীয় সেনার মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share