Tag: Akshay Kanyadan Mahotsav

  • Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থে মামলা। বৃহস্পতিবার ১ মে তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু আর্জি জানানো উচিত নয় যা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কবে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন সন্ত্রাসের মতো বিষয় তদন্ত করার বিষয়ে?’’

    এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন

    সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এদিন আরও বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁদের এমন লড়াইকে কখনও খাটো করা উচিত নয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু।’’ বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু কর্তব্য রয়েছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন প্রতিটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাত মিলিয়েছে। বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতা খতিয়ে দেখুন।’’

    তিন মামলাকারী হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার

    এক আবেদনকারী দাবি করেন যে, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হামলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি যা আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে। এমনই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের তিন নাগরিক। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই তিন মামলাকারীরা হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার। জানা গিয়েছে, তিন জনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। এই তিন ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিলেন একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদারকিতে। তাঁদের আর্জি ছিল কমিশনের মাথায় থাকবেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। কিন্তু এমন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

  • Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ৩০ এপ্রিল ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। এই পুণ্য তিথিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বারাণসীতে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং কন্যাদান করেন। এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় বারাণসীর সঙ্কলধারা কুণ্ডে। ১২৫ জন নব দম্পতি, যাঁরা বিভিন্ন জাতি-বর্ণের ছিলেন, তাঁদেরকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করান মোহন ভাগবত। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারিত হয়। যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোহিতরা নানা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেন। ১২৫ জনের দুই হাত এক হয় এইভাবেই।

    আদিবাসীকে কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একজন আদিবাসী কন্যা রাজবন্তী। তিনি এসেছিলেন শোনভদ্র জেলার যোগদিহি গ্রাম থেকে। মোহন ভাগবত নিজের হাতে রাজবন্তির পা ধুয়ে দেন। এরপরেই আরএসএস প্রধান জানান, এভাবেই সামাজিক বৈষম্য দূর হওয়া উচিত এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। এরপরেই রাজবন্তীর হাত তিনি তুলে দেন অমনের হাতে। প্রসঙ্গত, অমনও একজন আদিবাসী বর। অমনের হাতে রাজবন্তীর হাত তুলে দেওয়ার সময় আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান বলেন, ‘‘আমি কন্যাদান করলাম তোমার হাতে।’’ শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক চালক কন্যাদান করার পরে ৫০১ টাকাও তুলে দেন অমনের হাতে। এরপরেই আরএসএস প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার মেয়ের খেয়াল রেখো। তাকে সর্বদা সুখে রেখো।’’

    অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’

    বারাণসীতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’ (Akshay Kanyadan Mahotsav), এটি শুধুমাত্র কোনও অনুষ্ঠান ছিল না। এটা ছিল ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, মূল্যবোধের একটি প্রতিফলন। এভাবেই ভারতের হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার এক প্রয়াস এখানে দেখা গেল। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের বিভিন্ন জাতি বর কনেরা একত্রিত হলেন এভাবে। গোটা অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিলেন বীরেন্দ্র জয়সওয়াল। যিনি উত্তরপ্রদেশের একজন বরিষ্ঠ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা বলেই জানা যায়। জানা গিয়েছে, নিজের পুত্র সন্তান বৈভবের বিয়ে উপলক্ষ্যেই তিনি এমন গণবিবাহের আয়োজন করেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই আরএসএস নেতা জানিয়েছেন, নিজের পুত্রের বিয়েটি একটু অন্যরকম করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে আরএসএস নেতা বীরেন্দ্র জয়সওয়াল মনস্থির করেন যে পুত্রের বিয়ের সঙ্গেই তিনি আরও ১০১ জন বিভিন্ন জাতি এবং বর্ণের কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। এভাবেই তাঁর সিদ্ধান্তে ধরা পড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নিঃস্বার্থ সেবা ভাবনা।

    কী বললেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)?

    অনেকের মতে, বীরেন্দ্র জয়সওয়াল এভাবেই সামাজিক সমরসতার এক নতুন ভাবনা প্রতিষ্ঠিত করলেন। ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠন করার এই ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘ চালক মোহন ভাগবত। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘একটি বিবাহ শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তির একত্র হওয়াই নয়। এটা দুটি পরিবারকে এক করে। এর মাধ্যমেই সমাজ সংগঠিত হয়। শক্তিশালী হয়।’’ একই সঙ্গে যে সমস্ত অভিভাবকরা ওই কন্যাদানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যাঁদেরকে বিবাহ দিলেন, তাঁদের সঙ্গে অন্তত বছরে দুবার করে যোগাযোগ রাখুন। দুবার অন্তত তাঁদের বাড়িতে যান।’’ নিজের বক্তব্য মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘‘একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ভাবা উচিত নয় স্বামী-স্ত্রী এবং পুত্র হিসেবে। পরিবার হচ্ছে সমাজের জীবন্ত অংশ। পরিবার ব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে মিশে রয়েছে আমাদের মূল্যবোধ পরম্পরা ও সংস্কার।’’

    গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে

    প্রসঙ্গত, গোটা অনুষ্ঠানটিতে ১২৫ জন দম্পতিকে বিবাহ দেওয়া হয়। বরেরা প্রত্যেকেই ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ব্যান্ড, ডিজে এবং বাজি ফাটিয়ে তাঁদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এর পাশাপাশি নানা রকমের ধর্মীয় গানও বাজতে থাকে। এই গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে। এখান থেকেই বারাত বা বরযাত্রীরা বের হন। তাঁদের পাশে থাকা মানুষজন ফুল হাতে হাঁটতে থাকেন। রাস্তা জুড়ে একটা আলাদা পরিবেশ নির্মাণ হয়। এর পরবর্তীকালে মূল অনুষ্ঠানটি হয় সংকুলধারা কুণ্ডে। এখানেই বিভিন্ন গ্রাম গ্রামের মানুষজন হাজির ছিলেন। তাঁরা নানাভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ রীতিনীতি মেনে বর-কনেকে আশীর্বাদ করেন। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পান্ডে। উত্তরপ্রদেশের শিল্পমন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্তা নন্দী এবং বারাণসীর মেয়র অশোক তেওয়ারি।

LinkedIn
Share