Tag: Alcohol

Alcohol

  • Stomach cancer: চল্লিশের পরেই পাকস্থলীর ক্যান্সার বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন কোন খাবারে বাড়ছে এই রোগ?

    Stomach cancer: চল্লিশের পরেই পাকস্থলীর ক্যান্সার বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন কোন খাবারে বাড়ছে এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সারের দাপট বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে এর দাপট। অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে দেশ জুড়ে পাকস্থলীর ক্যান্সারে (Stomach cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ক্যান্সারের দাপট বাড়ার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    গত দেড় দশকে দেশ জুড়ে নানা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে স্টমাক ক্যান্সার বা পাকস্থলীর ক্যান্সার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে যে কয়েকটি ক্যান্সার বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে, সেই তালিকায় প্রথমের দিকেই রয়েছে স্টমাক ক্যান্সার। পুরুষদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত ক্যান্সারে পুরুষেরা বেশি আক্রান্ত হন, তার প্রথম পাঁচেই রয়েছে স্টমাক ক্যান্সার। মহিলাদের ক্ষেত্রে তালিকার সাত নম্বরে রয়েছে স্টমাক ক্যান্সার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগেও এই ক্যান্সারের দাপট ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যেত, পঞ্চান্ন বছরের বেশি বয়সিরা এই রোগে আক্রান্ত হতেন। ষাটোর্ধ্বদের রোগ নির্ণয় করে জানা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই রোগে তরুণ প্রজন্মের আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কেন বাড়ছে স্টমাক ক্যান্সারের দাপট? (Stomach cancer)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্টমাক ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ জীবন যাপনের ধরন। তরুণ প্রজন্মের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন বিপদ বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ মদ্যপানকে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ ভাবছেন। জন্মদিন হোক বা অফিসের প্রমোশন, মদ বন্ধুমহলে আড্ডা দেওয়ার অবশ্য সঙ্গী হয়ে উঠছে। আর এটাই চরম ক্ষতি করছে। এর পাশপাশি ক্যাফরিন জাতীয় খাবার অর্থাৎ কফি খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়াও আরও একটি কারণ। তরুণ প্রজন্মের (Young generation) একাংশ মারাত্মক কফি পান করতে ভালোবাসে। অনেক সময়েই তারা খালি পেটে একাধিক কাপ কফি খাচ্ছেন‌। এই অভ্যাস ভয়ঙ্কর। পাকস্থলীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। 
    এর পাশপাশি অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার এবং চর্বি জাতীয় খাবার পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, চটজলদি মশলাদার খাবারেই তরুণ প্রজন্মের একাংশ অভ্যস্ত। বার্গার, পিৎজা এখন অনেকের নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকে, যা বিপজ্জনক। এই ধরনের খাবারে থাকে মারাত্মক রাসায়নিক। ফলে এই খাবার পাকস্থলীর জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস থাকলে স্টমাক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়বে।

    কীভাবে স্টমাকের যত্ন নেবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস একাধিক রোগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। স্টমাক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও তাই খাবারেই ভরসা রাখছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই ধরনের খাবারে প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক থাকে। অর্থাৎ ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মানুষের শরীরের পক্ষে উপকারী। তাই নিয়মিত টক দই খেলে পাকস্থলী সুস্থ (Stomach cancer) থাকে‌। 
    ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার স্টমাকের জন্য বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আলু, গাজর, টমেটো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার। এই ধরনের খাবার পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত এই ধরনের সব্জি খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    পাকস্থলী সুস্থ রাখতে ফাইবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফাইবার হজমে সাহায্য করে। শরীরে ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি করা আটকায়। এর ফলে স্টমাক ভালো থাকে। তাই নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার মেনুতে রাখা জরুরি। নাশপাতি, আপেল, আটার তৈরি রুটি, বাঁধাকপির মতো সব্জি নিয়মিত খেলে দেহে প্রয়োজনীয় ফাইবারের জোগান বজায় থাকে। এতে শরীর সুস্থ থাকে। 
    ভিটামিন সি শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। স্টমাক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবু, বেরি, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন‌ সি-র চাহিদা সহজে পূরণ হয়। এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের দাপট। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও বাড়ছে এই দুই রোগ। আর তার নেপথ্যে রয়েছে হাইপারটেনশন। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে বড় বিপদ ঘটছে। মস্তিষ্কের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। ফলে, স্ট্রোক হচ্ছে (Stroke)। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ালে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর তাহলেই হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদকে এড়ানো সহজ হবে। দেখা যাক, কোন পাঁচ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখবে হাইপারটেনশন?

    নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, নিয়ম করে অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের সর্বত্র ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। পাশপাশি স্নায়ু ঠিকমতো কাজ করে। ফলে, হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। আর হাইপারটেনশন কাবু করতে স্থূলতা রুখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বাড়তি নুন একেবারেই না

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে হাইপারটেনশন বাড়ার অন্যতম কারণ খাবারে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের তুলনায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নুন খান। আর তার জেরে রক্ত সঞ্চালনে সরাসরি প্রভাব পড়ে। ফলে, হাইপারটেনশনের (Stroke) মতো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে, অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস বদল করতেই হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ধূমপান বাড়াচ্ছে বিপদ (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সারের পাশপাশি ধূমপান হৃদরোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিশোর বয়স থেকেই ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। মহিলাদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস বাড়ছে। এই অভ্যাস বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ কমে। হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ অন্তত ১০ গুণ বেড়ে যায়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তাকে ত্যাগ করা জরুরি।

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সঠিক খাবারে অভ্যস্ত হলে হাইপারটেনশনের মতো রোগকেও সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই কিসমিস, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এগুলো রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দেওয়া প্রিজারভেটিভ খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে। এতে দেহে বাড়তি চর্বি তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে (Stroke)।

    শরীরের পাশাপাশি জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা!

    শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। হাইপারটেনশনের মতো রোগ কাবু করতে মানসিক স্বাস্থ্যে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই মানসিক চাপ বাড়লে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ লাগাতার মানসিক চাপ কিংবা মানসিক অবসাদের শিকার হলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরের পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখা জরুরি (Stroke)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: নিয়মিত কুকিজ, চকোলেট কিংবা ঠান্ডা পানীয়? কোন‌ বিপদ হতে পারে জানেন? 

    World Liver Day: নিয়মিত কুকিজ, চকোলেট কিংবা ঠান্ডা পানীয়? কোন‌ বিপদ হতে পারে জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজমের গোলমাল নিত্যসঙ্গী? প্রায় দিন‌ খাওয়ার পরে বমি হয়? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক হতে হবে। পরবর্তীতে বাড়তে পারে বিপদ। লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নন অ্যালকোহলিক লিভারের অসুখ ভারতে আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সর্বভারতীয় সমীক্ষা। দেশের সাম্প্রতিক এক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানা‌ গিয়েছে, নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগ এ দেশে কয়েকগুণ বেড়েছে। ১৯৯০ সালে এ দেশে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, এখন দেশে ৯৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। মদ্যপান না করেও লিভারের একাধিক রোগে ভুগছেন পুরুষ, মহিলা। এমনকী শিশুরাও লিভারের নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে (World Liver Day)। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তবেই লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ঠিকমতো‌ খাদ্যাভ্যাস থাকলে‌ এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    লিভারের বিপদ কে বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপানে লিভারের রোগের বিপদ বাড়ে। এই কথা অনেকেই জানেন। সে নিয়ে সচেতনতাও রয়েছে। কিন্তু মদ্যপান না করেও লিভারের একাধিক রোগ হতে পারে। আর তার জন্য কিছু খাদ্যাভ্যাস দায়ী। একথা অবশ্য অনেকেই জানেন না। তাই দেশজুড়ে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগের প্রকোপ বাড়ছে (World Liver Day)। এমনকী শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ওয়ার্ল্ড লিভার ডে উপলক্ষে একাধিক কর্মশালায় চিকিৎসকেরা এই বিষয় সম্পর্কে সচেতন করেছেন।

    চিনি খাওয়ার অভ্যাসে বদল জরুরি (World Liver Day)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনি লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরাসরি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে একাধিক রোগের কারণ হয়। পাশপাশি ক্যান্ডি, ললিপপ জাতীয় খাবার, যা মূলত চিনি দিয়েই তৈরি করা হয়, সেগুলোও লিভারের ক্ষতি করে।‌ তাই নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি কিংবা ক্যান্ডি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তা বদল জরুরি। না হলে লিভারের অসুখ হতে পারে।

    অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে ‘না’ (World Liver Day)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারের অভ্যাস। তরুণ প্রজন্মের একাংশ বিরিয়ানি, মোগলাই কিংবা চাইনিজ খাবারে অভ্যস্ত। জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবার বলতে অনেকেই বোঝে ফাস্টফুড। এমনকী কলেজ বা অফিস ফেরত খাবারের তালিকায় থাকে চাউমিন, এগরোল কিংবা পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের মতো খাবার‌। এই ধরনের খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এগুলো লিভারে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রকম অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে ‘না’ বলা জরুরি।

    কুকিজ, পেস্ট্রিতে লাগাম জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, যে কোনও ধরনের বেকড করা খাবার অতিরিক্ত খেলে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কুকিজ, পেস্ট্রির মতো খাবারে লাগাম জরুরি।‌ নিয়মিত কখনই এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (World Liver Day)।

    নরম পানীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপানে লিভারের ক্ষতি হয়, এই নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সোডামিশ্রিত নরম পানীয় যে একই রকম ক্ষতিকারক, সে নিয়ে সচেতনতা খুবই কম। তাই গরম হোক কিংবা যে কোনও উৎসব উদযাপনের আনন্দে, এই ধরনের সোডামিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় লাগাতার খাওয়া হয়। এমনকী পরিবারের খুদে সদস্যেও এই ধরনের পানীয় খায়। তাই লিভারের রোগের বিপদ বাড়ে।

    কীভাবে সুস্থ থাকবে লিভার?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কিছু খাবার বাদ দেওয়ার পাশপাশি লিভার সুস্থ রাখতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তবেই রোগের ঝুঁকি কমবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত সবুজ সবজি খেতে হবে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় সবজির থেকে শরীর প্রোটিন পেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ সবুজ সবজি থেকে পাওয়া প্রোটিন সহজপাচ্য হয়। তাই পালং শাক, লাউ, ব্রোকলির মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে লিভার ভালো থাকে।

    তাছাড়া নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে (World Liver Day)।

    প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন লিভার সুস্থ রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত জল জরুরি। তাই নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল খেতে হবে। পাশপাশি ডাবের জল, ফলের রস খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ এগুলো‌ শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। আবার প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।

    লিভার সুস্থ রাখতে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ বাদামে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ লিভারের জন্য উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে বড় মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (World Liver Day)।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকোহল এবং মিষ্টি জাতীয় সমস্ত রকমের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য-পানীয়ের ওপর বেশি করে কর চাপানোর পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মঙ্গলবারই বিশ্ব সংস্থা সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেরই মদ এবং মিষ্টি পানীয়ের উপরে যে কর রয়েছে বর্তমানে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর এই সমস্ত পানীয়ের ওপর যে কর দেশগুলি চাপিয়েছে, তা খুবই কম। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মদের উপরে তারা কোনও করই চাপায়নি।

    মদ্যপানের কারণে প্রতিবছর মারা যান ২৬ লাখ মানুষ

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছরই ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই ‘হু’ (WHO) মনে করে এই সমস্ত খাদ্য পানীয়গুলির উপরে অতিরিক্ত পরিমাণে কর চাপালে মানুষের মৃত্যুর হার অনেকটাই হ্রাস পাবে। এবং সারা বিশ্বের সামগ্রিক স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো হবে। এর পাশাপাশি মদ এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার জন্যও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ‘হু’ (WHO)।  অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদাহরণ দিয়েছে, মদ্যপানের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে লিথুয়ানিয়া নামক দেশে। ২০১৭ সালে সেদেশের সরকার অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের ওপর করের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সে দেশের মৃত্যুর হার দু’ বছরে ২৩.৪ শতাংশ থেকে কমে ১৮.১ শতাংশ নেমে আসে।

    মদ্যপান এড়িয়ে গেলে কমে আসে নানা রোগের ঝুঁকি

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাও মনে করে যে মানুষের ওপর মদ বা মিষ্টি পানীয়গুলির খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলত্বের মতো সমস্যাগুলিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে রাডিগার ক্রেচ এবিষয়ে বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপর কর ধার্য করলে যদি মানুষের হুঁশ ফেরে। শুধু স্বাস্থ্যই নয়, সমাজের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি মানুষ একটু সচেতন হন। মদের উপর করের পরিমাণ বাড়লে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কিংবা ট্র্যাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে বলে মনে হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diet Tips: রাতে ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলুন এই ছয়টি খাবার

    Diet Tips: রাতে ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলুন এই ছয়টি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি হলো ঘুম। ঘুম ঠিকমত না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কিন্তু ঘুম খারাপ হওয়ার জন্য পেছনে রয়েছে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাস। দৈনন্দিন যেই খাবার আমরা গ্রহন করি তার ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ।

    চলুন জেনে নিই, এই ডায়েট টিপসগুলি (Diet Tips)…

    ১) ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় 

    প্রকৃতপক্ষে ভালো ঘুমের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিছানায় যাবার সময়ের অনেক আগে। তাই ঘুমাতে যাবার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে থেকেই ক্যাফেইন (Caffeine) যুক্ত পানীয় গ্রহণ বন্ধ করে দিন।  ক্যাফেইনের প্রভাব আপনার শরীরে ৯ ঘণ্টা অবধি থাকতে পারে । সেক্ষেত্রে ভালো করে ঘুমাতে চাইলে দুপুর ১২টার পর থেকেই চা, কফি এবং কোক-পেপসির মতো ‘ফিজি ড্রিংকস’ পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে  এবং এই ডায়েট টিপসটি  (Diet Tips) মেনে চলতে হবে।

    ২) অ্যালকোহল

    ঘুমের প্রধান শত্রুও বলা হয়ে থাকে অ্যালকোহলকে। অনেকেই মনে করেন অ্যালকোহল (Alcohol) বা মদ্যপান আপনাকে ঘুমের সাহায্য করে কিন্তু এ ধারণা সঠিক নয়। মদ্যপানে ঘুমের গভীরতা কমে যায়। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা ‘আরইএম স্লিপ’ বলে। এছাড়াও মদ্যপানের পরে শরীরের অতিরিক্ত জল  রাতে টয়লেটের জন্য ঘুম ভেঙে যাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের আগে অ্যালকোহল পানে বিএমআর রেটও বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে মৃত্যু ঘটতে পারে তাই খাদ্যাভাস (Diet Tips) থেকে অ্যলকোহলকে দূরে রাখতে বলেছেন।

    আরও পড়ুন: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন 

    ৩) রেড মিট

    বিএমআর (বেসাল মেটাবলিক রেট) রেট বৃদ্ধি করে শরীরের তাপ বাড়িয়ে দেয় রেড মিট। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। বয়স্ক ব্যাক্তিরা এই ডায়েট টিপসটি (Diet Tips) না মানলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

    ৪) ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার

    ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার রাতের বেলা হজমে সমস্যা দেখা যায়, এই খাবার গুলি রাতে এড়িয়ে চলা উচিত। স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার যেমন বাদাম এবং বীজ বা অ্যাভোকাডো রাতে খাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আজকাল কমবয়সীদের মধ্যে ফাস্ট ফুড , ভাজা জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাই বিশেষজ্ঞরা তাদের ডায়েট টিপসে (Diet Tips) সর্বদাই এই সমস্ত খাবার থেকে সকলকে দূরে থাকতে বলেন।

    ৫) ভারী খাবার

     ঘুমের অন্তত চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন এবং তাতে ভারী গুরুপাক খাবার বা চিনি-যুক্ত খাবার আপনার ডায়েট টিপস (Diet Tips) থেকে দূরে রাখতে হবে। এতে ঘুম না হওয়া বা রাতে অনিদ্রার সমস্যা কেটে যাবে।

    ৬) অ্যাসিডিক খাবার

     অ্যাসিড হয় এমন খাবার নিজের ডায়েট টিপস (Diet Tips) থেকে দূরে থাকতে হবে। শর্করা যুক্ত খাবার যেমন আইসক্রিম , ফ্যাট জাতীয় খাবার পাস্তা ও দুগ্ধজাত খাবার থেকে এড়িয়ে চললে রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না।

    শোবার আগে কলা, ছোলা,বাদামের স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু পেট ভরে খাবার খেলে চলবে না। কিছুটা পেট খালি রেখে রাত্রে শুতে গেলে ঘুম ভালো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
     
  • Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে মদ খেয়ে বেসরকারি ডুয়ার্সের রিসর্টে (Dooars Resort) গভীর রাতে এসে রীতিমত তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের মেটালিতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুলিশের বসানো মদের আসর থেকে গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ কটূক্তি করার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল বড়দিনের রাতে। প্রতিবাদ করলে পুলিশই পালটা গ্রামের মানুষদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডুয়ার্সে ফের অভিযুক্ত পুলিশ।

    ঘটনা কী কীভাবে ঘটেছে (Dooars Resort)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার নদিয়া থেকে বেশ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের (Dooars Resort) চালসা ইনডর এলাকায় এক রিসর্টে ওঠেন। এরপর রাতের বেলায় নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে দেখেন তিনজন পুলিশ রিসর্টে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশেরা রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর শুরু করে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান। এমনকি পর্যটকদের গাড়ির ড্রাইভারদেরও অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে মেটালি থানার পুলিশকে খবর দেয় রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

    তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল

    মদ খেয়ে পুলিশ উন্মত্ত অবস্থায় রিসর্টে (Dooars Resort) গিয়ে ঘরের বুকিং চায়। কিন্তু ঘর খালি না থাকায় রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা। কিন্তু তাণ্ডবের ভিডিও ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পুলিশের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। সাধারণত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন স্থানীয় পুলিশেরাই। অচথ্‌ পুলিশের কাছেই সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। রীতিমতো পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

    পর্যটকদের বক্তব্য

    নদিয়া থেকে ডুয়ার্স রিসর্টে (Dooars Resort) ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা, সন্তু গুহ বলেন, “পুলিশের এই তাণ্ডবে আমরা নিজেদের অত্যন্ত অসুরক্ষিত মনে করছি। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গাড়ির চালকদের ব্যাপক মারধর করে। আমাদের সঙ্গে মহিলা এবং শিশুরা ছিল, ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaushal Kishore: ‘মদ কেড়েছে আমার ছেলেকেও, বাঁচাতে পারিনি’, আবেগ বিহ্বল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Kaushal Kishore: ‘মদ কেড়েছে আমার ছেলেকেও, বাঁচাতে পারিনি’, আবেগ বিহ্বল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন মদ্যপ আধিকারিকের চেয়ে ভাল দম্পতি হতে পারেন একজন রিক্সাচালক কিংবা শ্রমিক। কথাগুলি যিনি বললেন, মদ কেড়ে নিয়েছে তাঁর সন্তানকে। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) কৌশল কিশোর (Kaushal Kishore)। তিনি আরও বলেন, দয়া করে মেয়ে কিংবা বোনের বিয়ে দেবেন না কোনও মদ্যপের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁদের আয়ু খুব কম। শনিবার উত্তর প্রদেশের লাম্ভু বিধানসভা কেন্দ্রে নেশা-মুক্তির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কৌশল কিশোর।

    আবেগবিহ্বল মন্ত্রী…

    এদিনের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় চলে যান মন্ত্রী। কিছুক্ষণের জন্য হয়ে পড়েন আবেগবিহ্বল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যখন আমি সাংসদ ছিলাম, আমার স্ত্রী ছিলেন বিধায়ক, তখনও আমরা আমাদের ছেলের জীবন বাঁচাতে পারিনি। আমরাই যদি না পারি সাধারণ মানুষ পারবেন কীভাবে? কৌশল কিশোর বলেন, আমার ছেলে আকাশ কিশোর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত মদ্যপান করত। তাকে নেশা-মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলাম। আশা করেছিলাম, বদভ্যাসটা সে ত্যাগ করবে। ছ মাস পরে তার বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর ফের সে মদ্যপান করতে শুরু করে। এভাবেই ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। দু বছর আগে আকাশ যখন মারা গেল, তখন তার ছেলে মাত্রই দু বছরের। মন্ত্রীর চোখের কোণে চিকচিক করে ওঠে জল।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত দ্রুত এগোচ্ছে’, বছরের শেষ মন কি বাতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Kaushal Kishore) বলেন, আমি আমার ছেলেকে রক্ষা করতে পারিনি। সেই কারণে তার স্ত্রী বৈধব্য জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের মেয়ে বোনকে নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন। পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছিলেন ৬.৩২ লাখ মানুষ। আর মদ্যপানের কারণে ফি বছর এদেশে মৃত্যু হয় ২০ লাখ লোকের। তিনি জানান, এ দেশে যত সংখ্যক ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু হয়, তাঁদের ৮০ শতাংশই হয় তামাক, বিড়ি, সিগারেট খাওয়ায়। উপস্থিত জনতা এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে মন্ত্রীর (Kaushal Kishore) আবেদন, আপনারা নেশা-মুক্তির শিবির করুন। পরিবার বাঁচান। গোটা জেলাকে নেশামুক্ত করতে মন্ত্রীর পরামর্শ স্কুলে স্কুলে নেশামুক্তির শিবির করুন। সকালের প্রার্থনায় বলুন। এ ব্যাপারে বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিত্য পরামর্শ দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fatigue: কাজে বসলেই আসছে ক্লান্তিভাব? এড়াবেন না! মেনে চলুন এই ৫ পরামর্শ

    Fatigue: কাজে বসলেই আসছে ক্লান্তিভাব? এড়াবেন না! মেনে চলুন এই ৫ পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :মানুষের শরীরে যে কোনও সময় ক্লান্তি (Fatigue) আসতে পারে। একটানা কোনও একটি কাজ করার পর তাতে একঘেয়েমি চলে এলে শরীরে ক্লান্তিভাব চলে আসে। এছাড়া অনিদ্রা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও শরীরে ক্লান্তি দেখা যায়। ব্যায়াম করলে প্রায়শই ক্লান্তি আসে যদিও পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের মাধ্যমে এই ক্লান্তি কেটে যেতে পারে।

    শরীরে ক্লান্তি চলে এলে দৈনন্দিন রুটিনে (Daily Routine) এর প্রভাব পড়ে। তাই স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি কাটাতে খাবারের দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রনের (Iron) ঘাটতি হলে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। শর্করা জাতীয় খাদ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এই জাতীয় খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে। শরীরে কার্যকারিতা বাড়াতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। আয়রন সহ ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium), জিঙ্ক (Zinc), ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি যুক্ত সুষম খাবার গ্রহণ করলে ক্লান্তি দূর হয়।

    ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরকে উজ্জীবিত রাখার জন্য কিছু সহজ টিপস রয়েছে (Health Tips of beat Fatigue and keep body fit):

    প্রোটিন যুক্ত খাবার (Protein Diet)- দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। প্রোটিন (Protein) শরীরের স্ট্যামিনাকে ঠিক রাখে। প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের পেশী গঠনে ও হাড়ের ক্ষয় মেরামতে সহায়তা করে। সেই কারণে খেলোয়াড়েরা প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকেন।

    হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় (Hydrating Drinks)- শরীরে পাচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় গ্রহণ করতে হবে। লেবুজল, ফলের রস বা গরুর দুধের মতো পানীয় গ্রহণ করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কমে। শরীরে ডিহাইড্রেশন ঘটলে ক্লান্তির বৃদ্ধি ঘটে এমনকি মানুষের চিন্তাশক্তি লোপ পায়। মহিলাদের উপর ডিহাইড্রেশনের প্রভাব সর্বাধিক।

    আরও পড়ুন: কোন কোন খাবারের যুগলবন্দী শরীরে পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়? জেনে নিন

    কফি খাওয়া কমাতে হবে (Reduce Coffee Intake)-  কফি প্রেমীরা এই পরামর্শটি মানতে অবশ্যই নারাজ। সকলের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কফি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। কফি খেলে সাময়িকভাবে শরীরে উদ্দীপনা এলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে শরীরে ক্লান্তি ভাব দেখা যায়। কফি বেশি পান করলে অনিদ্রার মতো রোগ দেখা যায়। তাই এক কাপ কফি খেলে দুই কাপ জল খেতে হবে।

    অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে (Stay away from Alcohol)- অ্যালকোহল (Alcohol) শরীরে এনার্জির মাত্রা শেষ করে দিতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অ্যালকোহল শরীরে এপিনেফ্রিনের মাত্রারও বৃদ্ধি ঘটায় ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

    সুষম আহার গ্রহণ (Balanced Food)- বাজারের ফাস্টফুড (Fast Food) থেকে দূরে থাকতে হবে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।

    সুষম ডায়েটের (Balanced Diet) পাশাপাশি শারীরিক কসরত করাও প্রয়োজন। স্থুলকায় ব্যক্তিদের দৈনিক ১০ মিনিট হাটাচলা করা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Japan: সবই দেশের জন্য! রাজস্ব বাড়াতে যুব সমাজকে মদ্যপানে উৎসাহ জাপান সরকারের

    Japan: সবই দেশের জন্য! রাজস্ব বাড়াতে যুব সমাজকে মদ্যপানে উৎসাহ জাপান সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তলানিতে ঠেকেছে মদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব। দেশের তরুণদের মদ্যপানে উৎসাহ দিচ্ছে জাপান! ঠিকই শুনছেন। দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে তরুণদের মদ্যপানে (Alcohol) উৎসাহ দিচ্ছে জাপান (Japan) সরকার। শুধু উৎসাহ দেওয়াই নয়, চালু করা হয়েছে নতুন একটি ক্যাম্পেনও (Campaign)। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেক ভিভা’। জাপানের ন্যাশনাল ট্যাক্স এজেন্সি চালু করেছে এই ক্যাম্পেন।

      আরও পড়ুন: তীব্র গরম থেকে পোষ্যকে বাঁচাতে অভিনব পোশাক নিয়ে হাজির জাপানের এক সংস্থা

    জাপানে তরুণদের যাতে মদ্যপানের অভ্যাস ফেরে তার জন্য ঠিক কোন পন্থা নেওয়া যেতে পারে, সেই নিয়ে বিভিন্ন মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে সেখানে। খোলাখুলি জাপানের ট্যাক্স এজেন্সি জানিয়েছে, মদ বিক্রির পরিমাণ একেবারে তলানিতে ঠেকেছে জাপানে। যার জেরে প্রবলভাবে মার খেয়েছে দেশে মদ্যপান থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। আর তার জেরেই এই প্রক্রিয়া। ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সীরা অংশ নিতে পারবেন ক্যাম্পেনটিতে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণ করতে কোনও টাকাও দিতে হবে না বলে জানিয়েছে জাপান সরকার। 

    জাপানের এক সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারী আসার জেরে কার্যত পাল্টে গিয়েছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। দীর্ঘ লকডাউন ও শরীরের খেয়াল রাখতে খাদ্যাভাসে এসেছে বহু বদল। মদ্যপানের অভ্যেস যেতে বসেছে জাপানের তরুণ সমাজের। শরীরের জন্যে তা উপকারী হলেও, কমে গিয়েছে মদ বিক্রি। এতটাই কমে গিয়েছে, যে মার খাচ্ছে গোটা দেশের রাজস্ব আদায়!  

    আরও পড়ুন: একা শিনজো নন, আর কোন কোন জননেতা খুন হয়েছেন?

    জাপানের ট্যাক্স এজেন্সির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাপানে এমনিতেই কমছিল মদ্যপানের পরিমাণ। ১৯৯৫ সালে ১০০ লিটার মদ্যপানের গড় ২০২০ সালে নেমে এসেছিল ৭৫ লিটারে। আপাতত মদ্যপানে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার কয়েকটি পর্ব আয়োজনের কথা জানানো হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিদের নাম।    

    যেখানে অন্যান্য দেশের সরকার দেশের তরুণ সমাজকে মদের নেশা থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন ক্যাম্পেন চালাচ্ছে, সেখানে সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটল সূর্যদয়ের দেশ। এই রকম ‘জনবিরোধী’ ক্যাম্পেন হয়তো গোটা বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল। 

  • Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপান করলে শরীরের নানা রকম ক্ষতি হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু একটি গবেষণায় বলা হয়েছে,  ৪০-এর বেশি বয়সের ব্যক্তিদের তুলনায় ৪০-এর নীচে বয়সের ব্যক্তিদের জন্যে মদ বেশি ক্ষতিকারক। যাঁরা ৪০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের এই তথ্য অবশ্যই স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। তবে তা একেবারেই নয়। তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি হলেও, অতিরিক্ত মদ্যপানে ক্ষতি হয়, তা যে বয়সই হোন না কেন। যদিও, অনেক গবেষণা বলছে, অল্প পরিমাণ মদ্যপানে ক্ষতি খুব একটা হয় না।

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল খাওয়ার বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। আবার রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের জন্য মদ্যপান কিছুটা উপকারী হতে পারে। তবে এর নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। পরিমিত মদ খেলেই একমাত্র উপকার পাওয়া যেতে পারে। মদ খেলে ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এটি পৃথিবীর সমস্ত জায়গারই ৪০-এর কম বয়সি ব্যক্তিদের জন্যে প্রযোজ্য যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মদ উপকার করে থাকলেও, এর কম বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক।

    রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, মদ খেয়ে কোনও দুর্ঘটনা যেমন- গাড়ির দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা এই বয়সি মানুষের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। সুতরাং এককথায় এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, তরুণদের মদ খাওয়া উচিত নয় কিন্তু ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিরা মদ স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন ও এটি তাঁদের শরীরে উপকারী হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অ্যালকোহল পরীক্ষায় ফেল! সাসপেন্ড একাধিক এয়ারলাইন্সের ৯ পাইলট ও ৩২ ক্রু 

     

     

     

LinkedIn
Share