Tag: Alcohol Consumption

Alcohol Consumption

  • Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেও হজম করা যাচ্ছে না। প্রায়ই বমি হচ্ছে। শরীরের ওজন ক্রমশ বাড়ছে। আর তার সঙ্গে কমছে কাজের শক্তি। শরীরকে গ্রাস করছে ক্লান্তি। কিন্তু কেন এমন সমস্যা, জানেন না অনেকেই‌। রেহাই পেতে অনেকেই মুঠো মুঠো হজমের ওষুধ খাচ্ছেন। আবার অনেকে ওজনকে রাশে আনতে খাবার খাওয়াই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর তার জেরে বিপদ আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসচেতনতার জেরেই রোগ (Fatty liver) নির্ণয় হচ্ছে না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Fatty liver)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক কিংবা ক্যান্সার নিয়ে যে সামান্য সচেতনতাও রয়েছে, ফ্যাটি লিভার নিয়ে সেটাও নেই। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের ৪০ শতাংশ জানেন না, এই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতার অভাবে রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। ফলে, আরও অনেক বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত কিনা, তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

    ফ্যাটি লিভার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাটের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেলে, ফ্যাটি লিভার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে‌। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Fatty liver) সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাঁদের মধ্যেও এই রোগ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। এমনকী শিশুদের শরীরেও এই রোগ বাসা বাঁধছে।

    কেন বাড়ছে এই রোগ? (Fatty liver)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের ধরনের জেরেই এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। মদ্যপান না করলেও লিভারের এই অসুখের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাই এই রোগের দাপট থেকে শিশুরাও বাদ যাচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না। শিশুদের মাঠে দৌড়নো বা খেলাধুলার সময় কমছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে ফাস্টফুড খাওয়ার রেওয়াজ। রাসায়নিক দিয়ে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস ভাজা খাওয়ায় এখন অনেকেই অভ্যস্ত। শিশুরাও পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার নিয়মিত খাচ্ছে। বরং মোচা, পালং শাক, পটলের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস কমছে। যার জেরে চাপ পড়ছে লিভারে। প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিনের মধ্যে ব্যালান্স থাকছে না। তাই দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হচ্ছে। তার জেরেই দেহের ওজন বাড়ছে। আর লিভারে জমছে অতিরিক্ত ফ্যাট।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বারবার বমি, পেটে ব্যথা কিংবা ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি‌। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসে প্রথম থেকেই নজর দেওয়া দরকার। নিয়মিত কম তেলমশলার হালকা খাবার বাড়িতে রান্না করে খেলে এই ধরনের অসুখ (Fatty liver) এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপান করলে শরীরের নানা রকম ক্ষতি হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু একটি গবেষণায় বলা হয়েছে,  ৪০-এর বেশি বয়সের ব্যক্তিদের তুলনায় ৪০-এর নীচে বয়সের ব্যক্তিদের জন্যে মদ বেশি ক্ষতিকারক। যাঁরা ৪০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের এই তথ্য অবশ্যই স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। তবে তা একেবারেই নয়। তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি হলেও, অতিরিক্ত মদ্যপানে ক্ষতি হয়, তা যে বয়সই হোন না কেন। যদিও, অনেক গবেষণা বলছে, অল্প পরিমাণ মদ্যপানে ক্ষতি খুব একটা হয় না।

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল খাওয়ার বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। আবার রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের জন্য মদ্যপান কিছুটা উপকারী হতে পারে। তবে এর নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। পরিমিত মদ খেলেই একমাত্র উপকার পাওয়া যেতে পারে। মদ খেলে ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এটি পৃথিবীর সমস্ত জায়গারই ৪০-এর কম বয়সি ব্যক্তিদের জন্যে প্রযোজ্য যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মদ উপকার করে থাকলেও, এর কম বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক।

    রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, মদ খেয়ে কোনও দুর্ঘটনা যেমন- গাড়ির দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা এই বয়সি মানুষের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। সুতরাং এককথায় এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, তরুণদের মদ খাওয়া উচিত নয় কিন্তু ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিরা মদ স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন ও এটি তাঁদের শরীরে উপকারী হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অ্যালকোহল পরীক্ষায় ফেল! সাসপেন্ড একাধিক এয়ারলাইন্সের ৯ পাইলট ও ৩২ ক্রু 

     

     

     

LinkedIn
Share