Tag: Alipurduar

Alipurduar

  • Narendra Modi: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    Narendra Modi: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) এগিয়ে আসতেই প্রার্থীর হয়ে ভোটের ময়দানে প্রচারে নামলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি (Rajnath Singh)। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জয়গান করে বিশ্বের দরবারে ভারত কোন উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেকথাই তুলে ধরলেন রাজনাথ সিং। সব মিলিয়ে তাই উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভোটপ্রচার বেশ জমজমাট।

    মোদি প্রসঙ্গে কী বলেছেন রাজনাথ (Narendra Modi)?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সভা থেকে মনোজ টিগ্গার (Manoj Tigga) হয়ে প্রচারের সময় রাজনাথ তুলে ধরেন, কীভাবে এক ফোনেই কাতারে কর্মরত ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসারদের ফাঁসির সাজা আটকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনাথ সিং এদিনের সভায় বলেন, “ভারতীয় নৌসেনার কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কাতারের কিছু সংস্থায় কাজ করতেন। সেখানে তাঁদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেই খবর প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছিলেন কাতারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। আর তার দু-তিন দিনের মধ্যেই সেখানকার প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রাক্তন নৌসেনার অফিসারদের ফাঁসির সাজা মুকুব করে দিয়েছিলেন এবং এরপর তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতে ফিরে আসেন।”

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ

    এর পাশাপাশি রাজনাথ সিং-এর বক্তব্যে উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কথাও। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েছিলেন সেখানে। সেই সময়েও কীভাবে আটকে পড়া পড়ুয়াদের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) উদ্ধার করেছিলেন, সে কথাও মনে করালেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরই চার ঘণ্টার জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় এবং সাড়ে ২২ হাজার ভারতীয় দেশে ফিরে আসেন। এই সাফল্য দেশের জন্য বড় বিষয়।”

    আরও পড়ুন: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    মোদির জয়গান

    উল্লেখ্য, সামনেই রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আগামী ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তাই তার আগে শেষ মুহূর্তের রবিবাসরীয় প্রচারে মোদির (Narendra Modi) জয়গান করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যদিও পাহাড়ের মাটিতে বিজেপির (BJP) গড় বেশ শক্তই রয়েছে। তার মধ্যেই জনসাধারণের মধ্যে বিজেপির হাওয়া সতেজ রাখতে উদ্যোগী রাজনাথ সিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কদিন বাদেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), শেষ মুহূর্তে কোমর বেঁধে প্রচার চালাচ্ছেন সব দলের প্রার্থীরাই। তবে এই শাসক-বিরোধী দলের ভোটের লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর। তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচারে আসবেন তাই সরকারি স্কুল ছুটি! এই রাজ্যের সরকারি স্কুল এখন রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। কয়েকদিন আগে বীরভূমের এক স্কুলেই হয়েছে তৃণমূল মন্ত্রীর রাজনৈতিক সভা। এদিন ফের স্কুলে রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কমিশনে নালিশের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে (Dev at Alipurduar)।

    নিরাপত্তা অজুহাতে স্কুল ছুটি (Dev at Alipurduar)!

    সোমবার আলিপুরদুয়ারে (Aliporeduar) ভোট প্রচারে আসেন এবারের লোকসভা ভোটের ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর দেব আসবে বলেই নিরাপত্তা অজুহাতে ছুটি দেওয়া হল স্কুল। অন্তত নোটিশে তাই উল্লেখ করেছে আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের নোটিশে (school notice) স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব ক্লাস চতুর্থ পিরিয়ডের পরে ছুটি হয়ে যাবে, কারণ সাংসদ শ্রী দীপক অধিকারী (Dev at Alipurduar) সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ আকাশ পথে হেলিকপ্টারে বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করবেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    বিদ্যালয়ে ছুটি দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রসঙ্গে জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্চ অমিত কুমার দত্ত বলেছেন, “স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড হয়েছে, মাইক বাজছে। ক্লাস করাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যেহেতু আমাদের এখানে ব্যবস্থা হয়েছে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” এবার আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনায় আবারও বন্ধ হল পঠন-পাঠন। তবে দেব (Dev at Alipurduar) আসবে বলে নিরাপত্তা রক্ষার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের (election) জন্য বা ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে কেন বারবার পঠনপাঠনে বাধা হচ্ছে সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে স্কুলের শিক্ষক মুখে কিছু না বললেও তাঁর উপর যে চাপ রয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিজেপি। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের (Dev at Alipurduar) প্রার্থী মনোজ টিগ্গা এই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। তাই শিশুদের পড়াশুনা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। তাঁরা ভোটের জন্য যা খুশি করতে পারেন। তবে আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো।”

    আরও পড়ুনঃ শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতের তাৎপর্য

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এদিকে জেলার (Dev at Alipurduar) তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলে কে হেলিপ্যাড তৈরি করেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবো।” আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যসভার সদস্য আরও বলেন, “এই কেন্দ্রে বিজপির হার যে নিশ্চিত তা বুঝে গিয়েছেন তাঁরা। সে জন্যই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Force for Election: অবাঙালি জওয়ানদের কাছে হিট বাংলার সজনে ডাঁটা

    Central Force for Election: অবাঙালি জওয়ানদের কাছে হিট বাংলার সজনে ডাঁটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ মাস থেকেই শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনের (Central Force for Election) প্রায় এক মাস আগে থেকেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্প করা হয়েছে তাঁদের। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনে ক্যাম্প করে রয়েছেন তাঁরা। আর ক্যাম্পের রান্নাঘরে সিআরপিএফ জাওয়ানদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জায়গায় করে নিয়েছে টাটকা তাজা সজনে ডাঁটা।

    সজনে ডাটার বিভিন্ন পদ

    বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। নির্বাচনী ডিউটি (Central Force for Election) করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বংলায়। আর বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। তাই সজনে ডাঁটা, আলু, বেগুন ও বড়ি দিয়ে পাতলা ঝোল হোক কিংবা আলু, কাঁচকলা, উচ্ছে, বেগুন দিয়ে সজনে ডাঁটার শুক্তো অথবা সজনে ডাঁটার সর্ষে-পোস্ত বিভিন্ন স্বাদে জমিয়ে চলছে সজনে ডাটা খাওয়া।

    গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে বাংলায়

    গরমে টাটকা তাজা সবজির মধ্যে সজনে ডাঁটা অন্যতম। গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে (Central Force for Election) বাংলায়। আর সজনে ডাঁটার পুষ্টিগত গুণও নেহাত কম নয়। শরীর সতেজ এবং সুস্থ রাখতে তাই সজনে ডাঁটাকে আপন করে নিয়েছেন জওয়ানরাও। পাঞ্জাবের সুরিন্দর সিংই হোক বা ঝাড়খণ্ডের যশ পান্ডে অথবা বিহারের রাজেশ কুমার, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা এই জাওয়ানদের কাছে সজনে ডাঁটার স্বাদ অবশ্য একেবারেই নতুন। তাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনের সামনের বাজারে সকাল হলেই ভিড় জমিয়ে নানা শাক সবজি ব্যাগ ভর্তি করে কিনছেন তাঁরা। লাল শাক, বেগুন, পাট শাকের সঙ্গে বাজারের তালিকায় অবশ্যই থাকছে সজনে ডাঁটাও।

    ৮৬ জনের কোম্পানিতে রয়েছে, নাপিত-ধোপা-রাঁধুনিও

    প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে জওয়ানদের মধ্যে ২ জন রাঁধুনি, একজন সাফাইকর্মী, একজন ধোপা ও একজন নাপিত রয়েছেন (Central Force for Election)। সকলে মিলে ৮৬ জনের কোম্পানি। কোম্পানি কমান্ডান্ট  হিসেবে আছেন সুরিন্দর। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ক্যাম্পে রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন  বিহারের বাসিন্দা রাজেশ কুমার। তাঁর হাতেই এখন বাংলার নিজস্ব সজনে ডাঁটা এবং অন্য শাকসবজি সুস্বাদু হয়ে উঠেছে। টাটকা রান্না করা সবজিতেই এখন মজেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানরা।

    কী বলছেন জনৈক জওয়ান

    রান্নার দায়িত্বে থাকা জওয়ান রাজেশ কুমার জানায়, “রোজ মেনু চার্ট মেনেই রান্না করা হয়। তবে আলিপুরদুয়ারে কিছুদিন ধরে সজনে ডাঁটা এবং বিভিন্ন ধরনের শাকও রান্না করছি। এগুলো খেতেও খুব স্বাদ। জওয়ানরা চেটেপুটেই খাচ্ছেন।” উল্লেখ্য জওয়ানদের কেউ গুজরাট, কেউ পাঞ্জাব কেউ বা হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে বাঙালি খাবারের সঙ্গে তাঁদের দূর দূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও তপ্ত গরমে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের ক্যাম্পের হেঁসেলে জায়গা করে নিয়েছে সজনে ডাটা। অর্থাৎ অবাঙালি জাওয়ানদের কাছে এখন হিট টাটকা তাজা সজনে ডাটা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar Storm: ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    Alipurduar Storm: ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar Storm) ঝড়ে তছনছ হয়ে উড়ে গেল গোটা বাড়ি। একই ভাবে ঝড়ে দাপটে কোচবিহারে বিঘার পর বিঘা ফসলের জমি নষ্ট হয়ে গেল। গতকাল রবিবার দুপরের পরে ঝড়ে টিনের তৈরী বাড়িকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। দিনমজুর-কৃষকেরা মাথায় ছাদ হারালেন। এই ঝড়ে জলপাইগুড়িতেও সাধারণ মানুষের জনজীবন ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।

    মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়ে তছনছ (Alipurduar Storm)!

    রবিবার বিকেলে ঝড়ের (Alipurduar Storm) তাণ্ডবে আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই জেলার আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের তপসিখাতা গ্রাম। ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে টিনের তৈরি বাড়ি। মাথার উপর টিনের ছাদ না থাকায় দিন মজুরের পরিবার ভীষণ চিন্তিত। বাড়িতে রয়েছে তিনজন পড়ুয়া। তাদের বেশীর ভাগ বই পত্র ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। একই ভাবে ঝড়ের সঙ্গে হওয়া বৃষ্টির জলে জামা কাপড়, খাতা-বই সব ভিজে গিয়েছে। রান্নাঘর যেন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

    মাথাভাঙায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar Storm) মতো একই ভাবে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকায়। এলাকায় বেশ কিছু মানষ আহত হয়েছেন। রবিবার বিকেল ৫ টার সময় মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের শিকারপুর, কুরশামারি, এলঙমারি-সহ একাধিক জায়গায়র উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। জানা গিয়েছে মোট ২০০ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এলাকায় কোনও বিদ্যুৎ নেই। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। রাতেই এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক।

    খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির

    ঘূর্ণিঝড়ের (Alipurduar Storm) ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে কুমারগ্রামের উত্তর হলদিবাড়ি, ফালাকাটার জটেশ্বর এলাকায়। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। অনেক টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। ভুট্টার ফসলের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন কী কুমার গ্রামে রীতিমতো ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আশ্রয় নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি ব্যাপক খারাপ। মৃত্যু হয়েছে প্রচুর গবাদি পশু। এলাকার গাছ ভেঙে পড়েছে। উল্টে পড়ে রয়েছে গাছ। কয়েক মিনিট ঝড়ে প্রাণ কেড়েছে মানুষের। বার্নিশ গ্রামে ২ জন, জলপাইগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সেন পাড়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে গুয়াহাটি বিমান বন্দরের ছাদের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। ৬ টি বিমান অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের জন্যই দেশে তৈরি হয় সরকার। সেই সরকার মানুষের উন্নয়নেই কাজ করে। তাই এবার দেশের সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজেদের এলাকায় কী ধরনের উন্নয়নের আশা করেন, বা তাঁদের চাওয়া-পাওয়া জানতে বিজেপি-র উদ্যোগে চালু করা হল “পরামর্শ বাক্সের”। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা বিজেপি কার্যালয়ের বাইরে এই বক্সের উদ্বোধন করেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা জেলা বিজেপির সভাপতি মনোজ টিগ্গা।

    “পরামর্শ বাক্সের” কাজ কী? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের চা-শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ শুরু করা হচ্ছে। এই বাক্সগুলিতে সাধারণ মানুষ নিজেদের এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। যা রাজ্য দফতর হয়ে পৌঁছে যাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আগামীদিনে সেই সমস্ত পরামর্শ বিচার বিবেচনা করেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) উন্নয়নের কাজের রূপরেখা তৈরি করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “ পরামর্শ বাক্সে মানুষ কি চাইছেন সেই বিষয়ে আমরা মতামত নেব। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই মতামত নেওয়া হবে। জেলার সব মণ্ডলে এই পরামর্শ বাক্স থাকবে।“ এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেন শুক্রবার থেকে বিজেপির মণ্ডল চলো অভিযান শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচীতে জেলা বিজেপির কার্যকর্তারা প্রত্যেক মণ্ডলে গিয়ে রাত্রি যাপন করবেন। সেখানকার মানুষদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। এছাড়া আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কারা প্রচারে আসতে পারেন?

    আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির ঘোষিত দুই প্রার্থীর কাছেই এবারে লড়়াই জমে উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা একদিকে বিধানসভার পরিষদীয় দলের মুখ সচেতক তথা মাদারিহাটের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রচারে আসবেন বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গার হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, যোগী আদিত্যনাথ এর মত নেতাদের প্রচারে চেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipur Duar: “মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক”, নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস জন বার্লার

    Alipur Duar: “মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক”, নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস জন বার্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নামবেন আলিপুর দুয়ারে (Alipur Duar) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা (John Barla)। উল্লেখ্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যের মোট ২০টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে। ইতি মধ্যে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং প্রচারে নেমে পড়েছেন। নিজের কেন্দ্রে টিকিট না মেলায় প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এরপর দলের হয়ে প্রচারে নামার আশ্বাস দেন জন বার্লা। তিনি বলেন, “দলের নির্দেশে কাজ করব।”

    কী জানালেন বার্লা (Alipur Duar)?

    আলিপুর দুয়ার (Alipur Duar) জংশন স্টেশন সংলগ্ন একটি রেলের অনুষ্ঠানে যোগদান করে জন বার্লা (John Barla) বলেন, “আমার পরিবার মোদি পরিবার। আমার পরিবার বিজেপির পরিবার। এত বড় পরিবারে কখনও কখনও তু তু ম্যায় ম্যায় বা মন কষাকষি হতেই পারে। পরিবারে কিছু হলে সমালানোর দায়িত্ব আমার। মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক। দলের সকল প্রার্থীর জন্য প্রচার করব। মনোজ সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হবে। আগামী দিনে এই এলাকা আমি সামলাবো। এই এলাকার উন্নয়ন জন বার্লাই করবে।”

    বিজপির বক্তব্য

    বিজেপির ফালাকাটার বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “বিজেপি কোনও নেতাকে ছুঁড়ে ফেলে না। জন বার্লাকে নিশ্চয়ই কোনও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।” বিজেপির একাধিক নেতা আরও বলেন, তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন। তবে দিল্লি যাওয়া নিয়ে বার্লা (John Barla) নিজে কিছু না বললেও বিজেপ সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।

    মনোজ টিগ্গার বক্তব্য

    আলিপুর দুয়ার (Alipur Duar) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “জন বার্লা (John Barla) আমার অবিভাবক, এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জয়ী করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।” অপর দিকে তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিজেপিকে হারাতে আমরা সব রকম চেষ্টা করব। এই চা বাগান পরিমণ্ডলে এই বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একদম সত্য।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), তোমাকে জানাই স্যালুট, সুশীল নাগরিকবৃন্দ’। এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা গেল কংগ্রেসের কার্যালয়ে। গত বুধবার পার্টি অফিসের সামনে পাঁচিলের লোহার গ্রিলে লাগানো এই পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার শহরের মধ্যেই। পোস্টারের এমন ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনী দেখে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এই বিষয়ে দলের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি দেড় মাস পরে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও এখনও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। উল্টে আরও নটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দত্ত বলেন, “আমাদের জেলার দলীয় দফতরটি শহরের এমন একটি স্থানে যে সেখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আলিপুরদুয়ার শুধু নয়, গোটা বাংলার মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় জেলার তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্গে এই রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পার্টি অফিসে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এই ধরনের পোস্টার এবং ব্যানার অত্যন্ত অনভিপ্রেত। কংগ্রেস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শাসক দলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের শাসনে রয়েছে। তৃণমূল চাইলে পুলিশকে দিয়ে সন্ধান করুক এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ঘিরে ব্যানার এবং পোস্টারে স্পষ্ট হয়েছে যে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষুব্ধ। আর তাই তৃণমূল ভয় পেয়ে সব কিছুর মধ্যে বিজেপির ভূত দেখছে। ওই দুষ্কৃতীর গ্রেফতার চাই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার আবেদন জানিয়েও পঞ্চায়েত ভোটে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির জ্বালানির তেলের  টাকা দেয়নি রাজ্য। আর তাতে তৈরি হয়েছে সমস্যা। কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতেই পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) ধর্মঘট করলেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গের পাম্প মালিকেরা। সেই সুযোগে কোচবিহারে চলল তেলের কালোবাজারি। এক লিটার তেল বিক্রি হল ১৫০ টাকায়। কোথাও আরও বেশি টাকা দিয়ে তেল কিনলেন গ্রাহকেরা।

    বকেয়া নিয়ে সরব পেট্রল মালিকরা (Petrol Pump)

    পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময়ে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছিল। যে টাকা এখনও বকেয়া থাকার অভিযোগ তুলে সূত্রের খবর, পেট্রল পাম্পগুলি (Petrol Pump) তাদের বকেয়া টাকা চেয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। এ দিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। ফলে, বকেয়া টাকা কে মেটাবে তা নিয়ে চলছে টানাপডেন। ‘উত্তরবঙ্গ পেট্রল মালিক সমিতি’র কোচবিহার জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর বণিক। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে শুধু কোচবিহারেই ৯০ লক্ষ টাকার তেল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সে বকেয়া কেউ মেটাচ্ছে না। এ ছাড়া, একাধিক ব্লক অফিসের লক্ষ-লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন হলে পেট্রল পাম্প চালানো কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।”

    পাম্প ধর্মঘটে শুরু হয়েছে কালোবাজারি

    আলিপুরদুয়ারেও ধর্মঘটের জেরে বন্ধ পেট্রল পাম্প বন্ধ ছিল গোটা দিন। আলিপুরদুয়ার শহর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাম্পের সামনেই পেট্রলের কালোবাজারি চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কোথাও লিটার প্রতি পেট্রল কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হল বাড়তি কুড়ি টাকা, তো কোথাও আবার তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে একটি পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) রয়েছে। সে পাম্প এ দিন বন্ধ ছিল। পেট্রল পাম্পের পাশেই রাস্তার ধারে ছোট-ছোট পাত্রে জ্বালানি তেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন যুবক। লিটার প্রতি কেউ তিরিশ টাকা কেউ চল্লিশ টাকা বেশি নিয়ে পেট্রল বিক্রি করছিলেন। খোলা জায়গায় প্রায় সর্বত্র পেট্রল বিক্রির অভিযোগ রয়েছেই। এ দিন তা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দিনহাটা-মাথাভাঙা প্রধান সড়কের ধারে বোতলে পেট্রল ভরে তা বিক্রি করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    কালোবাজারির বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি প্রশাসন বা পুলিশকে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কালোবাজারির কোনও অভিযোগই আমাদের কাছে কেউ করেননি। জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, আমাদের কাছে তেমন অভিযোগ যায়নি। তবে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়ে জেলায় দুটি পেট্রল পাম্প সকালের দিকে খুলে রাখা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কালচিনির অনাহারে শ্রমিকমৃত্যুর ঘটনায় কি আমলাশোলের ছায়া?

    Alipurduar: কালচিনির অনাহারে শ্রমিকমৃত্যুর ঘটনায় কি আমলাশোলের ছায়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অমানবিক আচরণের কারণেই কি মৃত্যু হল কালিচনি ব্লকের মধু চা বাগানের শ্রমিক ধানী ওরাওঁয়ের? এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে (Alipurduar)। বাগানের শ্রমিকদের অবশ্য দাবি, প্রশাসনের মানবিক হওয়া উচিত ছিল, অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করেছে প্রশাসন। গত ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে এখনও তাঁর স্ত্রী আশারানী হাসপাতালে রয়েছেন চিকিৎসায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশাসন থেকে এখনও কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য ২০০৪ সালের বাম আমলে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে অনাহারে বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছিল। এবার এই ঘটনায় ফের অনাহারে ম্রত্যুর ঘটনার পর রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ (Alipurduar)?

    এলাকার (Alipurduar) মানুষের অভিযোগ, সরকারি কোনও রকম প্রকল্পের সুবিধা পেতেন না ওই দম্পতি। ছিল না কোনও রকম রেশন এবং ভাতা। বাগানের স্থায়ী শ্রমিক হলেও কাজে যেতে পারতেন না ধানী। মজুরি সত্যিই পেতেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বাগানে তাঁদের প্রতিবেশীরা বলেছেন, “ধানীর আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করা ছিল না। অসুস্থ হাওয়ায় তিনি করতে যেতে পারেন নি। ফলে রেশন মিলত না তাঁদের। ফলে রাজ্য প্রশাসনের কোনও সুবিধা পেতেন না তাঁরা।” একই ভাবে পাশের এক শ্রমিক বলেন, “ধানী নিজে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিজেও নানান সমস্যায় ভুগছেন। রাজ্য প্রশাসন যদি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এই সব প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিত, তাহলে এই ভাবে মরতে হত না।”

    ২০১১ সাল থেকেই বঞ্চিত এলাকা

    এলাকায় (Alipurduar) মানুষের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। থাকার মতো ঘর নেই। ত্রিপল খাটিয়ে কোনও রকম চলছে দিন। বৃষ্টি এলেই মাথায় হাত। শ্রমিকদের অভিযোগ, দুর্দশার কথা জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানালেও সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি। একই ভাবে আমলাশোলের অনেক বাসিন্দা এখনও রেশন পান না। রাজ্য সরকারের নানান ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নেতারা এলাকায় আসলে এলাকাবসীরা অভিযোগ জানালে কোনও রকম ভাবে সমস্যার সমাধান ঘটছে না। ২০১১ সালের পর একবার-দুবার কিছু রাজ্য সরকারের সাহায্য এলেও তারপর থেকে কেউ ঘুরেও থাকায় না।

    জেলাশাসকের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলাশাসক আর বিমলা বলেছেন, “অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয়। মৃতের পরিবার থেকেও এমন অভিযোগ করা হয়নি। বাগানে একাধিকবার শিবির হয়েছে। বাগানে ত্রাণের কাজ করা হয়। শ্রমিকদের সমস্যার কথা শোনা হয়। আধারের সমস্যা দূর করতে ব্লকে দ্রুত শিবির করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share