Tag: Allahabad high court

Allahabad high court

  • Sambhal Masjid: বড় জয় হিন্দুপক্ষের, সম্ভল মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার অনুমতি হাইকোর্টের

    Sambhal Masjid: বড় জয় হিন্দুপক্ষের, সম্ভল মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভল জামা মসজিদের (Sambhal Masjid) দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ উল্লেখ করার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। মুসলিম কমিটি ওই কাঠামোটি সাদা রং করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ শব্দটি লিখে দেওয়ার।

    ‘বিতর্কিত কাঠামোলেখার নির্দেশ (Allahabad High Court)

    মুসলিম কমিটি আপত্তি তোলার পর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়ে দেয়, তারা এই আপত্তির বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চায়। এর পরেই হিন্দু পক্ষের দাবির ভিত্তিতে হাইকোর্ট মসজিদটির দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার নির্দেশ দেয়। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়েছে, মসজিদের (Sambhal Masjid) রং করার বিষয়ে অন্য পক্ষ তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা এও জানিয়েছে, মসজিদের দেওয়াল রং করার বিষয়ে মুসলিম পক্ষের চাপ সম্পর্কে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এর পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ মার্চ।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    এই মসজিদটিকে (Sambhal Masjid) ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, শাহি জামে মসজিদটি ঐতিহাসিক হরিহর মন্দির ধ্বংস করার পরে নির্মিত হয়েছিল। অনেকের বিশ্বাস, মন্দিরটি এই জায়গায়ই অবস্থিত ছিল। গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে মসজিদে একটি সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষার পরেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরেই শুরু হয় তদন্ত। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ টিম মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেয়। এর আগে আদালত এএসআইকে মসজিদ (Sambhal Masjid) পরিদর্শন করতে এবং তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর (Allahabad High Court) মাসে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা একটি প্রাচীন মন্দিরের দ্বার খোলা হয়। গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে মন্দিরটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দ্বার খোলার পর মন্দিরটিতে সকালে আরতিও অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে ভগবান হনুমানের একটি মূর্তি এবং একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

    মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শাহি জামা মসজিদের (Sambhal Masjid) একদম কাছেই রয়েছে এই মন্দিরটি। প্রশাসন যখন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানে নামে সেই সময় এই মন্দিরটি আবিষ্কার করে। স্থানীয়দের দাবি, ১৯৭৮ সালে গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর এলাকা ছেড়ে পালান স্থানীয় হিন্দুরা। সেই কারণেই বন্ধ ছিল মন্দিরটি (Allahabad High Court)।

  • Krishna Janmabhoomi case: কৃষ্ণজন্মভূমি মামলা, শাহি ইদগাহের আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Krishna Janmabhoomi case: কৃষ্ণজন্মভূমি মামলা, শাহি ইদগাহের আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি (Krishna Janmabhoomi case) মামলার ওপর গত ১১ জানুয়ারি এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নির্দেশ বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। বুধবার শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সেই আর্জি খারিজ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ওই দিনে (১১ জানুয়ারি) ১৫টি আলাদা আলাদা মামলাকে একত্রিত করে শুনানির নির্দেশ জারি করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ময়ঙ্ক কুমার জৈন, তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, মামলাগুলিকে বিচারের (Krishna Janmabhoomi case) স্বার্থে একত্রিত করা হয়েছে।

    কী বললেন শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আইনজীবী তনভির খান? 

    এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আইনজীবী তনভির খান ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। বুধবার আর্জি খারিজ হওয়ার পরে তনভির বলেন, ‘‘এমন আদেশ জারির পর, আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই এই আবেদন প্রত্যাহারের আর্জি জানাই। আমাদের যুক্তি ছিল, প্রতিটি মামলায় আলাদা আলাদা পার্টি (Krishna Janmabhoomi case) রয়েছে, তাই আলাদা আলাদা ভাবেই তার শুনানি হোক। তবে বুধবার আদালত এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।’’ বুধবার, হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনও মসজিদ কমিটি আর্জি খারিজের বিষয়টি সামনে এনেছেন।

    কী বলল আদালত (Krishna Janmabhoomi case)? 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিন্দুপক্ষের তরফ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে, আদালত ১৫টি মামলাকে একত্রিত করেছিল। শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির বিবাদমান ১৩.৩৭ একর জায়গা থেকে মসজিদকে সরানোর জন্য হিন্দুরা আবেদন জানিয়েছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি ছিল, ওই জায়গা কাটরা কেশব দেব মন্দিরের (Allahabad High Court)। এনিয়েই চলছে মামলা। বুধবারের নির্দেশে আদালত বলে, ‘‘সমস্ত মামলাগুলি একই ধরনের ও একই প্রকৃতির। তাই এই মামলাগুলির ক্ষেত্রে একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’’ আদালতের সময় বাঁচানোর (Krishna Janmabhoomi case) জন্য, এই মামলাগুলিকে একত্রিত করা সঠিক কাজ বলেই মনে করছে কোর্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anti Conversion Law: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Anti Conversion Law: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Anti Conversion Law) ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad HC)। রায়ে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ক্ষেত্রে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাঁর খাতাব কিংবা ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন, ‘উত্তরপ্রদেশ প্রোহিবিশন অফ আনলফুল কনভার্সান অফ রিলিজিয়াস অ্যাক্ট, ২০২১’ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণে ব্যবস্থা (Anti Conversion Law)

    আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের ক্ষেত্রে যদি কোনও ফাদার, মওলানা, কর্মকান্দি বা অন্য কোনও খেতাবধারী জড়িত থাকেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মওলানা মহম্মদ শানে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক যুবতীকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিলেন এবং একজন মুসলিম পুরুষের সঙ্গে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন। পরে গ্রেফতার করা হয় আলমকে। জামিনের আবেদন করেন মওলানা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই নির্দেশ। একই সঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে (Anti Conversion Law)।

    ধর্ম পরিবর্তনের স্বাধীনতা

    এর আগে অন্য একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ধর্ম পরিবর্তন করার স্বাধীনতা সবারই রয়েছে। কিন্তু সেই ধর্ম পরিবর্তন হতে হবে সমাজের আপত্তি ছাড়া এবং আইনিভাবে।কীভাবে ধাপে ধাপে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে, শুনানিতে তারও একটি রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিলেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্ম পরিবর্তনে সমাজে যাতে আপত্তি না ওঠে, সেটা দেখাও কর্তব্য। এজন্য হলফনামা দাখিলের পরে ধর্ম পরিবর্তনের ইচ্ছের কথা এলাকায় বহুল প্রচারিত কোনও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে। এতে কোনও জায়গা থেকে আপত্তি না উঠলে তার পরে বিষয়টি গেটেজ নোটিফিকেশন করে চূড়ান্ত করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    আলমের কাজ ধর্মান্তর বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Anti Conversion Law)। যাঁকে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে ভুল বোঝানো, ধর্ম পরিবর্তনে জোর করা, প্রতারণা করা, আনডিউ ইনফ্লুয়েন্স, জবরদস্তি কিংবা প্রলোভন দেখানো হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আইনের ২ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, রিলিজিয়ান কনভার্টার হবেন তিনিই, যিনিই এই ধরনের নিষিদ্ধ উপায়ে ধর্ম পরিবর্তন করাবেন। আদালত (Allahabad HC) দেখেছে, আইনের এই সংজ্ঞায় অনায়াসেই সংজ্ঞায়িত করা যায় আলমকে। এই আইনের বলেই তাঁকে দায়ী করা যায় (Anti Conversion Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hindu Marriage: ‘কন্যাদান’ জরুরি নয় হিন্দু বিবাহ আইনে, পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Hindu Marriage: ‘কন্যাদান’ জরুরি নয় হিন্দু বিবাহ আইনে, পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage) অনুসারে কন্যাদান জরুরি নয়। একটি মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এমনই পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, অন্য অনেক রীতিই প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫ অনুসারে হিন্দু বিবাহ সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে বর এবং কনে উভয়কেই হিন্দু হতে হয়। উভয়ের মধ্যে একজনও যদি হিন্দু না হয় সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে সম্পন্ন করাতে হয়। হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে, বর ও কনে দু পক্ষের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হতে হবে। এর পাশাপাশি, ওই সম্মতি যেন কোনও ভাবেই জোর পূর্বক আদায় না হয়, তাও বলা রয়েছে আইনে। এদিনের পর্যবেক্ষণে সাত পাকে বাঁধা রীতির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি।

    আশুতোষ যাদব মামলা 

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আশুতোষ যাদব নামের এক ব্যক্তি তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতের (Hindu Marriage) দ্বারস্থ হন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল যে, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি এও জানান, তাঁর বিয়ের কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ের স্বীকৃতির জন্য কন্যাদানের রীতি পালন করা হয়নি। এই আবেদন নিয়ে প্রথমেই নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, তাঁর বিয়ের কোনও আইনি বৈধতা নেই। এর ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নিজের অভিযোগগুলো থেকেও নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন তিনি। তবে নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি দারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টে।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এদিন পর্যবেক্ষণ করেন, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ের অত্যাবশ্যক রীতি হিসাবে ‘সাত পাকে বাঁধা’-র উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় কন্যাদান (Hindu Marriage) হয়েছে কি না, তা এ ক্ষেত্রে বিচার্য হবে না।’’ প্রসঙ্গত, কন্যাদান এবং সাত পাকে বাঁধা – এই দুটোই হিন্দু বিবাহ নিয়মে প্রচলিত রীতি। তবে অনেকেই বর্তমানে এই রীতির যৌক্তিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারই মাঝে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এমন পর্যবেক্ষণের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় (Gyanvapi Mosque Case) ধাক্কা খেল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণকে পুরো মসজিদে সমীক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটা অংশে মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ গড়া হয়েছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের। ঔরঙ্গজেবের আমলে মন্দিরের একাংশ ভেঙে মসজিদ হয়েছিল বলে দাবি তাদের। এনিয়ে বারাণসী জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। মসজিদের (Gyanvapi Mosque Case) দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আবেদন খারিজ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। এদিন সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, ১৬৬৯ সালে মন্দিরের একাংশ ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। গত বছর মসজিদের ওজুখানায় ভিডিওগ্রাফি হয় আদালতের নির্দেশে। ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই বছরেরই ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পেয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত।

    বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে চলতি বছরের ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালত ওই মসজিদের সিল করা এলাকার বাইরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুুন: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মসজিদ কমিটির (Gyanvapi Mosque Case) আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এএসআইয়ের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় ছাড়পত্র দিয়েছিল। এর পর মসজিদ চত্বরের সিল করা এলাকার বাইরে সমীক্ষার কাজ শুরু করে এএসআই। সোমবার সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয় আদালতে। এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদ কমিটির পাঁচটি পিটিশনই। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসী আদালতে দায়ের করা মূল মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি ও ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Allahabad High Court: ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিভ-ইন সম্পর্ক অনৈতিক ও বেআইনি’, মত এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Allahabad High Court: ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিভ-ইন সম্পর্ক অনৈতিক ও বেআইনি’, মত এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে একত্রবাস করতে পারেনা নাবালক নাবালিকারা। ১৮ বছরের কম বয়সীদের একত্রবাস শুধু অনৈতিক নয় এবং তা বেআইনিও বটে। একটি লিভ-ইন মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)।

    মামলার বিস্তারিত বিবরণ

    একসঙ্গে থাকার অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) মামলা দায়ের করেছিল ১৭ বছর বয়সী আলি আব্বাস এবং তার ১৯ বছর বয়সী লিভ-ইন পার্টনার সালোনি যাদব।  সেই মামলাটির শুনানি এতদিন চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের(Allahabad High Court) বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার শুনানি চলাকালীন আব্বাস আলী এবং সালোনির এই আবেদন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ এবং ৩৬৬ ধারায় এই মামলা দায়ের করেছিল ওই দুই লিভ-ইন পার্টনার।

    আরও পড়ুন: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    কী বলল ডিভিশন বেঞ্চ?

    ডিভিশন বেঞ্চ (Allahabad High Court) এদিন বলে, একত্রবাসের বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। দুই বিচারপতির ডিভিশন জানিয়েছে, কোনও যুগল যদি একসঙ্গে থাকতে চায় তাহলে তাদের দুজনকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তাদের যদি বিয়ের বয়স নাও হয় তাহলে অন্তত তাদের আঠারো বছর বয়স হতে হবে। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে একসঙ্গে থাকা বৈআইনি এবং অনৈতিক বলে পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত (Allahabad High Court)। আদালত আরও জানিয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের নাবালক বা নাবালিকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং তাদের একত্রবাসে থাকার অনুমতি দেওয়া যায় না। পাশাপাশি আলি আব্বাসের বয়স ১৮ এর নিচে হওয়াতে আদালতের এটাও পর্যবেক্ষণ যে পক্সো আইন শুধুমাত্র মেয়েদের ওপর যৌন শোষণের ক্ষেত্রেই বিচার্য নয়, এটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন। তাই স্বাভাবিকভাবে নাবালক নাবালিকা একসঙ্গে থাকলে তা পক্সো আইনের ধারায় মামলাযোগ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় পুজো চলবে, আদালতের রায়কে স্বাগত হিন্দু মহিলাদের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় পুজো চলবে, আদালতের রায়কে স্বাগত হিন্দু মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তহখানায় পুজো চালিয়ে যেতে পারবে হিন্দুপক্ষ। মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ করে সোমবার জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন হিন্দুপক্ষের আইনজীবী থেকে শুরু করে সনাতন ধর্মীরা। আনন্দিত জ্ঞানবাপী আন্দোলনের পাঁচ মহিলা। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সীতা সাহু ও মঞ্জু ব্যাস। তাঁদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের এখানে হিন্দু মন্দির ছিল এটা ঐতিহাসিক সত্য। তাই আদালত সত্যের পথে রায় দিয়েছে।

    আদালতের রায়

    বারাণসী জেলা আদালত ইতিমধ্যেই জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) তহখানায় হিন্দুদের পুজো-আরতি করার অনুমতি দিয়েছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’৷ সোমবার ছিল মামলার শুনানি৷ বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ জানায়, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় হিন্দু পক্ষ পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবে৷ 

    কী এই ব্যসের তহখানা?

    জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) এই ব্যসজির তহখানা অর্থাৎ বেসমেন্টে পুজোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি, ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসের পর পুরোহিত ব্যসকে এই চত্বরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় এই বেসমেন্ট। সেখানে যা কিছু পুজার্চনা হত, সমস্ত রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি, বংশ পরম্পরায় তাঁর পরিবার ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে পুজো করতেন। মসজিদটির বেসমেন্টে চারটি “তেহখানা” রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি এখনও ব্যাস পরিবারের দখলে আছে যারা সেখানে থাকতেন। ব্যাসজি কা তেহখানা মসজিদের ব্যারিকেডেড কমপ্লেক্সের দক্ষিণে অবস্থিত। এটি গর্ভগৃহের কাছে কাশী বিশ্বনাথ কমপ্লেক্সের ভিতরে নন্দী মূর্তির মুখোমুখি। এটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা এবং প্রায় ৯০০ বর্গফুটের কার্পেট এলাকা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    আবেদনকারী যা বলেছেন

    আবেদনকারী শৈলেন্দ্র পাঠক ব্যাসের মতে, ব্যাস পরিবার ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তেহখানার অভ্যন্তরে প্রার্থনা এবং অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিল, কিন্তু ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে এই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারটি থাকার সময় থেকেই জায়গাটি “ব্যাসজি কি গদ্দি” নামে পরিচিত ছিল। সেখানে পূজা করার জন্য তহখানার ভেতরে জায়গা দেওয়া হয়। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী প্রভাস পাণ্ডে বলেন, ‘বারাণসী জেলা আদালতের বিচারকের রায়ে আপত্তি জানিয়ে মুসলিম পক্ষ যে আর্জি রেখেছিল তা এদিন বিচারপতি খারিজ করে দিয়েছেন। হিন্দুরা পুজো চালিয়ে যেতে পারবেন। জেলাশাসক যেমনভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তহখানাতে পুজার্চনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তা চলবে। এটা সনাতন ধর্মের বড় জয়।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তহখানায় হিন্দুদের পুজো ও আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজার্চনা শুরু হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টে এদিন বারাণসী জেলা বিচারকের রায়ই বহাল রাখল।

    মসজিদের বেসমেন্টে পুজোর অনুমতি

    বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যস তহখানায়’ পুজোর অনুমতি দিয়েছিল ৷ গত ১৭ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস তেহখানার’ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেয়ারটেকার নিযুক্ত করে ৷ আর ৩১ জানুয়ারি মসজিদের ওই অংশে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে পুজো করার অনুমতি দেয় ৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ ৷ সোমবার সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ 

    পুজোর পিছনে যুক্তি 

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কীভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি পায়, এই নিয়ে আপত্তি তুলেছিল মুসলিম পক্ষ। অঞ্জুমান ইন্তজামিয়া মসজিদ কমিটি বারাণসী আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু, জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রথমে হাইকোর্টে যেতে বলে শীর্ষ আদালত। মসজিদ কমিটির দাবি, ওই প্রকোষ্ঠে কোনও বিগ্রহ নেই, এবং সেখানে কখনও পুজোপাঠ হয়নি। আচার্য বেদব্যাস পীঠ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শৈলেন্দ্রকুমার পাঠকের আবেদন ছিল, ওখানে ব্যাস পরিবারের লোক পুজোপাঠ করতেন। ব্রিটিশ যুগেও ওখানে পুজো হতো।

    আরও পড়ুন: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    পুরাতত্ত্বের দাবি

    ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই তার বিস্তারিত রিপোর্টে জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) আগে সেখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর ভূগর্ভস্থ দক্ষিণ প্রকোষ্ঠে পুজোর অনুমতি দেয়। জেলাশাসককে দক্ষিণ প্রকোষ্ঠের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে একজন পুরোহিতের সেখানে চারবেলা আরতি ও পুজোপাঠের অনুমতি দেওয়া হয়।

    উচ্ছ্বসিত হিন্দুপক্ষ

    হিন্দু পক্ষের এই জয়ের পর আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, ‘আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়ার প্রথম আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ১৭ এবং ৩১ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালতের রায় বহাল রাখার কথা জানিয়েছে হাইকোর্ট। অর্থাৎ জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ব্যস জি কা তহখানাতে পুজো চলবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপীর তেহখানায় চলবে পুজো, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপীর তেহখানায় চলবে পুজো, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় পুজোর অনুমতি মেলে বারাণসী আদালতের নির্দেশে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। কিন্তু, সেখানে তাদের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। অর্থাৎ বহাল থাকল জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তেহখানায় হিন্দুদের পুজোর অধিকার। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মর্মেই জানিয়ে দিয়েছে যে যেমন মন্দির প্রাঙ্গণে পুজো চলছে, সেভাবেই চলবে।

    আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি যাবে সুপ্রিম কোর্টে

    প্রসঙ্গত, বারাণসী আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Gyanvapi Mosque)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল মুসলিম পক্ষের এই আর্জিকে খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Mosque) চত্বরে আইন-শৃঙ্খলার কোনও অবনতি যাতে না হয় সেই জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।

    বুধবার মধ্যরাতে হয় প্রথম পুজো

    প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের বুধবারই বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপীর বেসমেন্ট বা নীচের তলায় ‘ব্যস কী তহখানা’য় হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দেয়। ওই দিনই মধ্যরাতে কড়া নিরাপত্তায় পুজো হয় বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যাস কা তেহখানা’য়। প্রসঙ্গত, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে মধ্য রাতে হয় পুজো। পুজো করেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। হয় মঙ্গল আরতিও। পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্তারা। বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় পুজোস্থল। সরানো হয় ব্যারিকেড। তার পরেই নিয়ম মেনে হয় পুজো। পুজোর আগে রাত ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসেন বারাণসীর জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। কাশী বিশ্বনাথ ধামের একটা হলে হয় এই বৈঠক। তার পরেই হয় মঙ্গল আরতি, পুজোপাঠ। তারপর থেকেই চলছে পুজো।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। সিল করা বেসমন্টকে বলা হচ্ছে ব্যস কা তয়খানা।

    পুজোর অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো শুরু হবে। সব হিন্দুরাই সেখানে পুজোর অনুমতি পাবেন।” হিন্দুরা যাতে নির্বিঘ্নে এই চত্বরে পুজো করতে পারেন, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওই অংশে পুজোর জন্য একজন পূজারির নামও সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। ব্যারিকেড সরানো থেকে পুজোর স্থান পরিষ্কার সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    ৩১ জানুয়ারি কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল বিচারপতি কৃষ্ণমোহন পাণ্ডের। তিনিই মসজিদের সিল করা ওই বেসমেন্ট পুজোর অনুমতি দেন হিন্দুদের। প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের তালা খোলা ও সেখানে পুজোর অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি পাণ্ডেই। এএসআইয়ের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে (Gyanvapi Mosque) ধরে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী জৈন। তাঁর দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব মিলেছে। মন্দিরের কাঠামো পরিবর্তন করে ও তার ওপর প্লাস্টার করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু মন্দিরের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ৩৪টি শিলালিপিও।

    আরও পড়ুুন: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    এএসআইয়ের সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই মসজিদের এই অংশ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর পরেই পুজোর অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু পক্ষ। মসজিদের ওজুখানা খোলা ও ফের এএসআই সার্ভের দাবিও জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। মসজিদের সিল করা বেসমেন্টে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেদব্যাস পীঠের আচার্য শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক। তিনি চেয়েছিলেন হিন্দুরা যাতে মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে শৃঙ্গার গৌরীর সুযোগ পায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই পুজোর (Gyanvapi Mosque) অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share