Tag: AMCA

AMCA

  • AMCA: ‘অ্যামকা’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হোন, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে আহ্বান কেন্দ্রের

    AMCA: ‘অ্যামকা’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হোন, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে আহ্বান কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আরও শক্তি বাড়াচ্ছে দেশ ৷ চিন, আমেরিকা, রাশিয়াকে টেক্কা দিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ্ যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চলেছে ভারত। দেশীয় ‘অ্যামকা’ (AMCA) প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার বিষয়ে জোরকদমে এগোচ্ছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ADA)। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরির পথে সম্প্রতি এক বড় পদক্ষেপ করল তারা। দেশের অত্যাধুনিক মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (AMCA) তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ (EOI) প্রকাশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    কী বলা হল বিজ্ঞপ্তিতে

    মোদি জমানায় আত্মনির্ভর ভারত যে ‘অ্যামকা’ (FGFA) তৈরি করছে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিতেই দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জোরকদমে এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। সরকারের অ্যামকা প্রোগ্রাম অনুমোদনের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। এডিএ-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’-এর মূল উদ্দেশ্য হল এমন ভারতীয় সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করা, যারা প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম এবং পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের নকশা, প্রোটোটাইপ নির্মাণ, ফ্লাইট টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশনের মতো জটিল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। প্রার্থী সংস্থা একক সংস্থা, যৌথ উদ্যোগ বা কনসর্টিয়াম হতে পারে — তবে তা ভারতীয় নাগরিকদের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে এবং ভারতীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

    দেশে উৎপাদন পরিকাঠামো থাকা আবশ্যক

    অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ADA) জানিয়েছে, প্রার্থী সংস্থাগুলির মধ্যে ডিজাইন গ্রহণ, উন্নয়ন ও ইঞ্জিনিয়ারিং, উৎপাদন, সমন্বয়, গঠন, পরীক্ষা, গুণমান ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহক সহায়তার মতো ক্ষেত্রে প্রমাণযোগ্য অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। সংস্থার নিজস্ব উৎপাদন কেন্দ্র অথবা কোনও স্ট্র্যাটেজিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে উৎপাদন পরিকাঠামো থাকা আবশ্যক। নথিতে উল্লেখিত যোগ্যতা ও মূল্যায়ন সূচকের ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলিকে বাছাই করা হবে। চুক্তির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ আট বছর — এই সময়ের মধ্যেই বিমানটির উন্নয়ন, প্রোটোটাইপ, পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই সংক্রান্ত প্রাক-আলোচনার সভা হবে। ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ অগাস্ট ২০২৫।

    প্রথম অ্যামকা প্রোটোটাইপ ২০২৯ সালের মধ্যে

    আপাতভাবে ২০৩৫ সালের আগে ‘অ্যামকা’ হাতে পাচ্ছে না বায়ুসেনা। কারণ, এটা কারও অজানা নয় যে, যে কোনও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অন্ততপক্ষে ১০-১৫ বছর লাগেই। ফলে, ভারতকে আরও দশটা বছর অপেক্ষা করতেই হবে স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য। বর্তমানে নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রথম অ্যামকা প্রোটোটাইপ ২০২৯ সালের মধ্যে আকাশে ওড়ার কথা। পুরো উন্নয়ন পর্ব ২০৩৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা, এবং সিরিজ উৎপাদন শুরু হতে পারে ২০৩৫ থেকে। ততদিনে হ্যাল (HAL) তেজস মার্ক-১এ এবং তেজস মার্ক-২ বিমানগুলির চলতি অর্ডারের উৎপাদন শেষ করবে।

    দুটি ধাপে তৈরি করা হবে অ্যামকা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সংস্থাকে একটি পৃথক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রয়োজন মেটানো যায়। এই প্রকল্পে বিড জমা দেওয়ার সম্ভাব্য সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং মহিন্দ্রা গ্রুপ। হ্যাল-ও এই প্রতিযোগিতায় থাকবে, তবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তবেই অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। তেজস এলসিএ-র মতো, অ্যামকাও দুটি ধাপে তৈরি করা হবে। মার্ক-১ সংস্করণে থাকবে মার্কিন জিই এফ-৪১৪ ইঞ্জিন— যেটি তেজস মার্ক-২ জেটেও ব্যবহৃত হবে। ভবিষ্যতের অ্যামকা মার্ক-২ সংস্করণে ব্যবহার করা হবে সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে নির্মিত ইঞ্জিন, যা ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে রূপান্তরিত হবে। এই প্রকল্পের সফলতা ভারতকে বিশ্বে উন্নত বিমান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে। এই প্রকল্প ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও দৃঢ় করবে, বলেই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞ মহলের।

    অ্যামকার মাধ্যমে এলিট ক্লাসে ভারত

    ফিফথ্ জেনারেশনের এই যুদ্ধবিমানে থাকবে দু’টি ইঞ্জিন ৷ সেই সঙ্গে, থাকবে ইলেকট্রনিক পাইলটিং সিস্টেম ৷ ২৭ টন ওজনের এই যুদ্ধবিমানে অনেক বেশি যুদ্ধাস্ত্র বহন করা যাবে ৷ অ্যামকা-র প্রধান বৈশিষ্ট হল, সম্পূর্ণ কনফিগারড্ মিসাইল বহন করা যাবে এই যুদ্ধবিমানে ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ এতদিন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হাতে ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, চিনসহ গুটিকয়েক প্রথম সারির শক্তিসম্পন্ন দেশের কাছে। ভারত এই পঞ্চম প্রজন্মের জেট ফাইটার তৈরির দিকে এগনোয় বিশ্বে এলিট শক্তি বলে যে দেশগুলিকে সমীহ করা হয়, সেই সারিতে চলে আসছে। পঞ্চম প্রজন্মের এই জেট বিমান শত্রু রেডারের চোখে ধুলো দিতে পারদর্শী। শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী এই বিমানে আরও বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে। সুখোই এসইউ-৩০এমকেআই ফাইটার জেটের উত্তরসূরী হতে চলেছে এই ফাইটার জেট। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধবিমানের ঢালাও উৎপাদন শুরু হবে ২০৩৫ সালের ভিতর। একবার এই বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসতে শুরু করলে আকাশের উপর দেশের কর্তৃত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

  • Tejas Mk2 Engine: মোদির সফরেই মউ স্বাক্ষর! ভারতেই তৈরি হবে ‘তেজস’-এর উন্নত ইঞ্জিন

    Tejas Mk2 Engine: মোদির সফরেই মউ স্বাক্ষর! ভারতেই তৈরি হবে ‘তেজস’-এর উন্নত ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে তাঁর সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল। তার আগেই, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি (HAL-GE Jet Engine Deal) সারলেন দুই দেশের কর্তারা। 

    হ্যাল-জিই মউ স্বাক্ষর

    সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান ‘তেজস’-এর মার্ক ২ (Tejas Mk2 Engine) ভেরিয়েন্টের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন তৈরি করবে মার্কিন সংস্থা জিই। তেজস যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (সংক্ষেপে হ্যাল) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে ওই জেট ইঞ্জিন। এদিন এই মর্মে মউ স্বাক্ষর (HAL-GE Jet Engine Deal) করেন দুই সংস্থার কর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর সফরেই এই চুক্তি হওয়ায় তার তাৎপর্য অনেকটাই বেড়ে গেল।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-এ জোর

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা ইস্তক, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদন কর। কেন্দ্রের এই নীতির স্বপক্ষে ভারতে এখন বহু পণ্য উৎপাদন হচ্ছে, যা আগে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি করা হতো। সেই তালিকায় আরও একটি নাম জুড়ল। এবার দেশে তৈরি হবে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট ইঞ্জিন (HAL-GE Jet Engine Deal)।

    শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    বস্তুত, বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট ‘তেজস মার্ক ১’ যুদ্ধবিমানের জন্য এই জিই সংস্থার ‘এফ-৪০৪’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। সেটিও এদেশেই তৈরি হয়। কিন্তু, পূর্বসূরীর তুলনায় ভারী তথা আরও ক্ষমতাশালী পরবর্তী প্রজন্মের বিমান হতে চলেছে ‘তেজস মার্ক ২’ (Tejas Mk2 Engine)। এটি সম্ভবত হতে চলেছে মিডিয়াম কমব্যাট ক্যাটেগরির। এটি আরও আধুনিক ও বেশি অস্ত্রবহনে সক্ষম। ফলত, ‘এফ-৪০৪’ ইঞ্জিন যথেষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ করছিল ভারত। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মার্ক ২ সংস্করণের জন্য ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন বাছাই করা হয়। 

    সুবিধা হবে অ্যামকা নির্মাণেও

    শুধু তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2 Engine) নয়, এই চুক্তির ফলে, ভারত যে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার যুদ্ধবিমান তৈরি করছে, সেই অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা ‘অ্যামকা’-র প্রথম সংস্করণে এই ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। ফলে, সেই দিক থেকে এবার ভারতের থমকে থাকা অ্যামকা প্রকল্পটিও জেট-ইঞ্জিনের গতি পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    আরও পড়ুন: মোদির হাত ধরে বাংলার শিল্প এবার হোয়াইট হাউজে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্ত্রেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার শপথ নিয়েছেন। আমেরিকা হোক কিংবা ফ্রান্স, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে এতদিন  উন্নত দেশগুলির উপর ভরসা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে এবার আর বিদেশ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম না কিনে,যৌথভাবে দেশের মাটিতেই তা তৈরি করার পথে হাঁটছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া না দিলেও এখন এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। বিশ্বখ্যাত সংস্থা জেনারেল ইঞ্জিন (GE) ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক দেশের ভবিষ্যৎ পঞ্চম প্রজন্মের (5th Generation) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (Advanced Medium Combat Aircraft) বা AMCA. 

    আরও পড়ুন: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    ‘সুপার ক্রুজ’ ক্ষমতাসম্পন্ন  AMCA তৈরির সঙ্গে, ভারত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান (Stealth Aricraft) আছে এমন দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে থাকবে ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স এ ধরনের ফাইটার জেট তৈরি করেছে। AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত ফ্রান্সের সাফ্রাঁ (Safran) এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে আসরে নামে আমেরিকা।  AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত প্রথম আমেরিকার সাহায্য চায় কিন্তু ২০১৯ সালে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব স্থগিত রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন পুনরায় সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। শুধু তাই নয় এবার একেবারে সর্বাধুনিক ইঞ্জিন দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। 

    সূত্রের খবর, AMCA-র যে প্রোটোটাইপ ভারত নির্মাণ করছে, তাতে ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ (F414-INS6) ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। এই মডেলটি ৯৮ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। ভারত ইতিমধ্যেই দেশীয় তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2)- মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (MCA) জন্য ৯৯টা ইঞ্জিনের বরাত জিই-কে দিয়েছে। ইতিমধ্য়ে ১২টি চলে এসেছে। যেগুলি তেজস মার্ক ২ প্রোটোটাইপে শুক্ত করা হবে। এখন আমেরিকা প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত চাইলে এই ইঞ্জিনের সর্বাধুনিক মডেল এফ৪১৪-জিই-৪০০ (F414-GE-400) মডেলটি নিতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই মডেলটি ১১৬ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা AMCA-র জন্য আদর্শ। ভারতের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন দিয়ে AMCA-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হবে। পরবর্তী ৫টি স্কোয়াড্রনকে নতুন ১১০-১২০ কিলোনিউটন শ্রেণির ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্সের যৌথভাবে এই নতুন ইঞ্জিন তৈরি করার কথা।

    আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের Safran এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Rolls Royce এবং GE এই তিন সংস্থার মধ্যে যে কোনও কেউ AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরি করবে।  ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং একটি ভারতীয় সংস্থারও এই কাজে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে আমেরিকা দাবি করে, রপ্তানিযোগ্য প্রযুক্তি ভারতের জন্য কী কাজে লাগবে তা- আগে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। এখন এ প্রসঙ্গ স্বচ্ছ ধারণা পেতেই চুক্তিতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

LinkedIn
Share