Tag: America

America

  • MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারী দেশ। অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলি সম্পূর্ণভাবে এই লক্ষ্য সামনে রেখেই পরিচালিত হয়।” এক বিবৃতি জারি করে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল কেনার (Russian Oil) বাজারকে আরও বিস্তৃত এবং বৈচিত্রময় করতে চায়। জ্বালানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে।” যদিও সরাসরি ট্রাম্পের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।

    ট্রাম্পের দাবি (MEA)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মোদি) আমার বন্ধু, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমরা খুশি ছিলাম না। কারণ এর ফলে রাশিয়া এই হাস্যকর যুদ্ধ (ইউক্রেনের সঙ্গে) চালিয়ে যেতে পেরেছে,  যেখানে তারা পনেরো লাখ মানুষ হারিয়েছে।” তিনি এও বলেন, “আমি খুশি ছিলাম না যে ভারত তেল কিনছে (রাশিয়া থেকে)। আর (মোদি) আজ আমায় আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমাদের চিনকে দিয়েও একই কাজ করাতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত হয়ত এখনই রাশিয়া থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন বার্তার প্রেক্ষিতেই এদিন মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

    সস্তায় অপরিশোধিত তেল

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। রাশিয়ার ওপর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (MEA)। যার ফলে দাম কমতে থাকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের। প্রত্যাশিতভাবেই ০.২ শতাংশ থেকে ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা চালিয়ে যেতে থাকে ভারত। যার জেরে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও দমানো (Russian Oil) যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতের আগের অবস্থানেও যে কোনও বদল হয়নি, এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট (MEA)।

  • Md Yunus: ‘হিন্দু’ শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস?

    Md Yunus: ‘হিন্দু’ শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হিন্দু’ (Hindu) শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)? এই জল্পনাই ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। তার কারণ হল, ইউনূসের করা একটি মন্তব্য। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁরা যেন নিজেদের হিন্দু হিসেবে পরিচয়  না দেন। তাঁরা যেন প্রথমে নিজেদের নাগরিক হিসেবে দেখেন।

    হিন্দু বলবেন না! (Md Yunus)

    কিছু দিন আগে সাংবাদিক মেহেদি হাসানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস জানান, এই দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিক ঐক্যকে আরও দৃঢ় করবে এবং সবার জন্য সমান সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ইউনূসের ভাষায়, “আমার বার্তা হল, যখন আমি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করি, আমি বলি, ফিরে গিয়ে তারা যেন না বলে, আমি হিন্দু, তাই আমায় রক্ষা করুন। বরং বলুন, আমি এই দেশের নাগরিক। আমাকে যে সুরক্ষা দেওয়ার কথা রাষ্ট্রের, আমি তার সম্পূর্ণ অধিকারী। তাহলে আপনাদের সুরক্ষার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার অতিরঞ্জিত!

    বাংলাদেশে যে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চালানো হচ্ছে, ওই সাক্ষাৎকারে তা-ও ফুৎকারে উড়িয়ে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ঘটনাকে লঘু করতে গিয়ে তিনি বলেন, “অধিকাংশ ঘটনাই জমি নিয়ে স্থানীয় বিবাদ বা প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা। একেই সাম্প্রদায়িক হিসেবে তুলে ধরা হয়।” ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে কি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কোনও ঘটনাই ঘটেনি বা বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে? উত্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, “অনেক সময় পারিবারিক ঝামেলা, জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও সংঘাত দেখা যায়।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ধরুন আপনি আমার প্রতিবেশী। আপনি হিন্দু প্রতিবেশী, আমি মুসলমান প্রতিবেশী। হয়তো অন্য প্রতিবেশীদের মতোই আমাদের বিবাদ রয়েছে জমির সীমানা নিয়ে। তাহলে কী আপনি বলবেন, এটা হিন্দু-মুসলিম সমস্যা?”

    ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায়

    শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিন্দুদের ওপর (Md Yunus) এবং মন্দিরে হামলার যে একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট রয়েছে, তাও খারিজ করে (Hindu) দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি বলব সরকার অত্যন্ত সতর্ক। কারণ ভারত এই বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।” এর পরেই ভারতের ঘাড়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায় চাপিয়ে দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “ভুয়ো খবরই এখন ভারতের বিশেষত্ব।” ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বর্তমানে ভারতের একটি বিশেষত্ব হল, ভুয়ো খবর ছড়ানো – ভুয়ো খবরের বন্যা।” হাসান যখন দলিল-দস্তাবেজে থাকা গণহিংসার ঘটনা এবং ধর্মীয় পতাকা তোলার জন্য এক হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন, তখন ইউনূস ফের বলেন, “এগুলি ভ্রান্ত তথ্য প্রচারের অংশ।” হাসান ইউনূসের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “গত নভেম্বরে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু আপনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছিলেন (Md Yunus) এবং তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আক্রান্ত।” এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরেও প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই সব কিছুই ভুয়ো খবর। আপনি ভুয়ো খবরের দ্বারা পরিচালিত হতে পারেন না।”

    কাঠগড়ায় ভারত

    তার পরেই তিনি জানান, ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হল (Hindu) ভুয়ো খবর ছড়ানো। ইউনূস অস্বীকার করলেও, গত বছরের নভেম্বর মাসে ৩০ হাজার হিন্দু নিরাপত্তা ও বিচারের দাবিতে নামেন ঢাকার রাজপথে। সেই সময় গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তিও দাবি করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পর যে বাংলাদেশে ব্যাপক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রমাণ মেলে সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা মন্তব্যেই। তিনি বলেছিলেন, “ইউনূস সরকারের অধীনে হিন্দুদের প্রতি আচরণ নৃশংস।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্য নিয়েও ওই সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইউনূস। তিনি জানান, ট্রাম্প আদৌ এমন কিছু বলেছেন কিনা, বা বাংলাদেশে কী ঘটছে সে বিষয়ে তাঁর আদৌ কোনও ধারণা আছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন (Md Yunus)।

    আরও একবার ‘হেডলাইন’ হলেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। পরে বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারের প্রধান করা হয় ইউনূসকে। তার পর থেকে একের পর এক ‘বিতর্কিত’ কাজ করে চলেছেন ইউনূস। কখনও আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে (Hindu), কখনও আবার হিন্দু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে জেলে পুরে কখনও বা অপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে বারবার দেশের পাশাপাশি বিদেশের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামেও এসেছেন ইউনূস। এবার তিনি আরও একবার ‘হেডলাইন’ হলেন। এবং সেটা হলেন, হিন্দুদের হিন্দু পরিচয় না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে (Md Yunus)।

  • Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বর্তমানে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া সিদ্ধান্তের জেরে ১ নভেম্বর থেকে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, চিনের বিরুদ্ধে হঠাৎই বা কেন এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? কেন চিনা পণ্যের ওপর চাপালেন এত চড়া শুল্ক?

    ট্রাম্পের যুক্তি (Donald Trump)

    এই সব প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে। তিনি লিখেছেন, “গত ছ’মাস চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বাণিজ্যে ওদের এমন একটা পদক্ষেপ সেই কারণেই আরও বিস্ময়কর লাগছে। আমার অবশ্য বার বার মনে হয়েছে, ওরা মিথ্যা বলছে। সেই সন্দেহই সত্যি হল। মনে তো হচ্ছে, অনেক দিন ধরে ওরা এই পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু চিনকে সারা বিশ্বের বাজারে এভাবে অচলাবস্থা তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।” পাল্টা হুমকির সুরে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওরা একটা একচেটিয়া অবস্থান নিতে চাইছে। কিন্তু আমেরিকার অবস্থানও একচেটিয়া এবং চিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত আমি তা ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করিনি। এবার করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “তারা ক্রমশ বৈরী হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যে তারা দুর্লভ খনিজ ও উৎপাদনের প্রায় প্রতিটি উপাদানের ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়, এবং প্রায় যা কিছু তাদের মাথায় আসে।” ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে ‘অশুভ ও বৈরী পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন, যা বিশ্ববাজারকে বাধাগ্রস্ত করে পুরো বিশ্বকে ‘বন্দি’ করে রাখার জন্য নীল নকশা ছকা হয়েছে।

    কী লিখলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প লিখেছেন, “কেউ কখনও এ ধরনের কিছু দেখেনি। মূলত, এটি বাজারকে অবরুদ্ধ করবে এবং প্রায় সব দেশের জন্য জীবনকে কঠিন করে তুলবে, বিশেষ করে চিনের জন্য।” তিনি যোগ করেন, “আমরা অন্যান্য দেশের কাছ থেকেও সাড়া পেয়েছি যারা এই আকস্মিক বিরাট বাণিজ্যিক বৈরিতা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।” গত অগাস্টেই ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, তিনি ৯০ দিনের আগে বেজিংয়ের (China) ওপরে শুল্ক চাপাবেন না। জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে নয়া শুল্কহার লাগু করার সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এই পর্বে আগে যে হারে শুল্ক নেওয়া হচ্ছিল, তা-ই বলবৎ থাকবে। কিন্তু সেই সময়কালের আগেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনা পণ্যের ওপর চাপিয়ে দিলেন ১০০ শতাংশ শুল্ক।

    চিনা বাণিজ্যমন্ত্রকের নয়া রফতানি নিয়ন্ত্রণ

    প্রসঙ্গত, চিনা বাণিজ্যমন্ত্রক ৯ অক্টোবর নতুনভাবে রফতানি নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছে। এতে আরও পাঁচটি নতুন বিরল মাটি (Rare Earth) উপাদানকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত চালানের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধন (refining) প্রযুক্তিকেও এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে এবং চিনা কাঁচামাল ব্যবহারকারী বিদেশি উৎপাদকদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি, বিশেষত আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলি, নিয়মিতভাবে এসব উপকরণ পাওয়া থেকে কার্যত বঞ্চিত হবে (Donald Trump)।

    ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’

    এটি আসলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঘোষিত ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’-এর আওতায় আরোপিত সীমাবদ্ধতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেই সময় ১৭টি বিরল মাটি উপাদানের মধ্যে ৭টি এবং সংশ্লিষ্ট চুম্বকের রফতানি সীমিত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ ছিল মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিশোধ, যা বৈশ্বিক সরবরাহে সংকট সৃষ্টি করে এবং অনেক মার্কিন প্রস্তুতকারককে উৎপাদন লাইন বন্ধ করতে বাধ্য করে (China)। চিনের শি জিনপিং সরকার এই রফতানি সীমাবদ্ধতাকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তবে একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আগে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে বেজিং বিরল মাটি উপাদানের ক্ষেত্রে তাদের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ বিশ্ব সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ আরও মজবুত করেছে। এই ধাতুগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ পর্যন্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে অপরিহার্য (Donald Trump)।

    ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বাতিল

    এদিকে, চলতি মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল ট্রাম্প-জিনপিংয়ের। সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে (China)। কারণ হিসেবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলিনি, কথা বলার প্রয়োজনও নেই। দু’সপ্তাহের মধ্যে জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আর তার প্রয়োজন মনে করছি না। শুধু আমার কাছে নয়, সব রাষ্ট্রনেতার কাছেই এটা খুবই বিস্ময়কর (Donald Trump)।”

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এই সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এই সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের (Hindus Under Attack) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ক্রমেই এক গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির প্রকৃত ব্যাপ্তি ও গভীরতাকে উপেক্ষা করে এসেছে, যার নেপথ্যে রয়েছে এক উদ্বেগজনক হিন্দুবিদ্বেষ। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক ভাষণ, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত, হিন্দুরা আজ তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান (Roundup Week) আক্রমণ ও নজিরবিহীন হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের ঘটনা প্রবাহ।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কানপুরে শুরু হওয়া একটি ছোট্ট স্থানীয় বিবাদ দ্রুত আকার নেয় হিংসার। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট এবং অন্যান্য রাজ্যেও। চরমপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠনগুলি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ব্যবহার করে ইসলামপন্থী জনতাকে সংগঠিত করে। এর জেরে শুরু হয় পাথর ছোড়া, দাঙ্গা এবং পুলিশের প্রতি প্রকাশ্য হুমকি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বদলে বিভিন্ন শহরে আয়োজিত মিছিলগুলি থেকে চরমপন্থী স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। এর মধ্যে ছিল “সার তান সে জুদা” (মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া) স্লোগানও।

    অবৈধ ধর্মান্তরণের অভিযোগ

    অবৈধ ধর্মান্তরণের অভিযোগে লখনউয়ের নিগোহান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মলখান নামের (বর্তমানে ম্যাথিউ নামে পরিচিত) এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, সে গত দু’বছরে বকতৌরি খেদা গ্রামে ৫০ জনেরও বেশি হিন্দুকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে অভিযান চালিয়েছিল। বিশেষত তফশিলি জাতিভুক্ত দরিদ্র পরিবারগুলিকে টার্গেট করে ‘অলৌকিক আরোগ্য’ ও আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে তাদের হিন্দুধর্ম ছেড়ে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হতে প্রলুব্ধ করত। ভারতের বিচারব্যবস্থা বারবার কাশ্মীরি হিন্দুদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওই সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য সুবিধা চেয়ে করা একটি আবেদনও খারিজ করেছে। অথচ মুসলিম জঙ্গিদের জন্য মধ্যরাতেও খুলে দেওয়া হয়েছে আদালতের দরজা। ভারতের রাজধানীর কেন্দ্রে অবস্থিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ফের খবরের শিরোনামে। এবিভিপির নেতৃত্বে আয়োজিত দুর্গা পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ছোড়া হল পাথর, সবরমতী টি-পয়েন্টের কাছে। হামলাকারীদের (Hindus Under Attack) হাত থেকে রেহাই (Roundup Week) পাননি মহিলারাও।

    পোড়ানো হল রামের কুশপুতুল!

    কয়েক দিন আগে, ঐন্তম তামিলার সঙ্গম নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা ভগবান শ্রী রামের কুশপুতুল পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিরুচিরাপল্লি জেলা পুলিশ ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার আমঝেরা এলাকায় লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু তরুণীকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্মান্তরের শিকার হতে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দের বাসিন্দা আমির শেখ নিজেকে অনিল পরিচয় দিয়ে আমঝেরার ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাঁকে নিয়ে পালায়। এর পরেই শুরু হয় যৌন নির্যাতন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণে চাপও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণী ধর্ম পরিবর্তন করতে অস্বীকার করলে ব্যাপক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশের ছবিটা

    এবার চোখ ফেরানো যাক বাংলাদেশের দিকে। সেখানেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গণআক্রমণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাসূচক বক্তৃতা – এসবই হিন্দুদের ভয় দেখানো ও দেশছাড়া করার (Hindus Under Attack) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। পরে সেই বিক্ষোভ রূপ নেয় প্রাণঘাতী হিংসার। মারমা ছাত্র পরিষদের সভাপতি উয়াফ্রে মারমা জানান, রামসু বাজারের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন স্থানীয় মুসলমানদের। পাতাশি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রকে মেরে তাঁর পা ভেঙে দেয় একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় সূত্রে খবর, হামলার আগে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান খান তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন।

    তাকানো যাক আমেরিকার দিকেও

    বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও চলছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার (Hindus Under Attack)। আমেরিকার টেক্সাসের সুগার ল্যান্ডে বিশাল হনুমান মূর্তি স্থাপনের পর থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। প্রকাশ্যে এসেছে হিন্দু-বিদ্বেষের ছবি। নিউ ইয়র্কে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় (Roundup Week) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ডেপুটি আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের বলেন, “আমাদের অন্তত পঞ্চাশ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে (Hindus Under Attack)।”

  • PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি (PM Modi) বলছেন, ঘরে ফিরে এসো ভাইরা।” ঠিক এই ভাষাতেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুণ্ডপাত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Visa) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বেঙ্গালুরুবাসী এক মার্কিন নাগরিক। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি গর্বের সঙ্গে তাঁর ৫ বছরের ভারতীয় ভিসার ছবি প্রদর্শন করেছেন। সেখানেই তিনি মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন ট্রাম্পকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পরিচিত টনি ক্লোর নামে। যদিও তাঁর আসল নাম ক্লোর অ্যান্থনি লুইস।

    মার্কিন নাগরিকের মোদি-স্তুতি (PM Modi)

    তিনি লিখেছেন, “এটা এখন আনুষ্ঠানিক! ভারত বিদেশি ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মাতাদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিচ্ছে। আমি সদ্য ৫ বছরের একটি মোটা ভারতীয় ভিসা পেয়ে গিয়েছি।”  এর পরেই তিনি লেখেন, “ট্রাম্প বলেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি বলেন, ঘরে ফিরে এস ভাইরা।” তিনি তাঁর পোস্টটি শেষ করেন তাঁর ভিসার একটি ছবি দিয়ে। এতে প্রথমে তাঁর ছবি, তারপর নাম দেখানো হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরে ইস্যু করা বি-১ ভিসার মেয়াদ বৈধ ২০৩০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়াও এতে উল্লেখ রয়েছে যে, ভারতে তাঁর একটানা থাকা  ১৮০ দিনের বেশি হতে পারবে না।

    নেটিজেনদের বক্তব্য

    এক মার্কিন নাগরিকের এহেন মোদি-স্তুতিতে খুশি নেটিজেনরা। একজন মজার ছলে লিখেছেন, “অবশেষে, অভিনন্দন—এই প্রথমবার আমি একটি ‘ইন্ডিয়ান ভিসা ফ্লেক্স’ দেখলাম।” আর একজন মন্তব্য করেছেন, “ভারতে স্বাগতম।” অন্য একজন লিখেছেন, “ভারত (PM Modi) জানে যে ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। এই ধরনের ৫ বছরের ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়, যেখানে অন্য দেশগুলি প্রতিভাবান মানুষদের দূরে ঠেলছে, সেখানে ভারত বলছে ‘এস, আমাদের সঙ্গে এসে দেশ গড়ে তোলো’। টনি, ভারতে স্বাগতম।” আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, “ধুর, আমি জানতামই না যে ভারতীয় ভিসা পাওয়া একটা ‘ফ্লেক্স’ অর্থাৎ গর্বের বিষয়।”

    প্রসঙ্গত, বিদেশিদের বি-১ ভিসা (Indian Visa) দিচ্ছে ভারত। ভারতীয় দূতাবাসের সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী,  “যাঁরা ভারতে কোনও শিল্প বা ব্যবসা করতে চান বা এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চান, অথবা শিল্পজাত পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য বা ভোক্তা সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য (PM Modi)।”

  • Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্টো পথে হেঁটে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে শীর্ষ (Indian Origin CEOs) পদে বসাল আমেরিকারই দু’টি বড় কোম্পানি। সোমবারই এ খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই খবরটি এমন একটা সময়ে এল যখন ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার (H1B Visa) নিয়মগুলি কঠোর করছে।

    ‘শ্রীনি’ গোপালন (Indian Origin CEOs)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট টি-মোবাইলের প্রধান এক্সিকিউটিভ আধিকারিক হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব নেবেন বছর পঞ্চান্নর শ্রীনিবাস ‘শ্রীনি’ গোপালন। আইআইএম আমেদাবাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী গোপালন বর্তমানে টি-মোবাইলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে কর্মরত। তিনি মাইক সিভার্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই সিভার্ট ২০২০ সাল থেকে কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁকে বসানো হচ্ছে অধুনা সৃষ্ট ভাইস চেয়ারম্যান পদে। লিঙ্কডইনের এক পোস্টে গোপালন লেখেন, “টি-মোবাইলের পরবর্তী সিইও (প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক) হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি দারুনভাবে সম্মানিত। এই কোম্পানি যা অর্জন করেছে, তা আমায় দীর্ঘদিন ধরে মুগ্ধ করেছে—গ্রাহকদের এমনভাবে সেবা দেওয়ার জন্য তারা নির্ভীকভাবে বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে, যা আগে কেউ ভাবতেও পারেনি।”

    গোপালনের কেরিয়ার

    গোপালনের কেরিয়ার মহাদেশ এবং ইন্ডাস্ট্রিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারে ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি হিসেবে শুরু করে তিনি ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, ক্যাপিটাল ওয়ান এবং ডয়চে টেলিকমে সিনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন (H1B Visa)। সেখানে তিনি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ করেছেন। লাখ  লাখ বাড়িতে ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছেন। জার্মানিতে রেকর্ড পরিমাণ মোবাইল বাজারের শেয়ারও ধরে ফেলেছিলেন তিনি (Indian Origin CEOs)। টি-মোবাইলে তিনি প্রযুক্তি, ভোক্তা এবং ব্যবসা বিভাগগুলির তত্ত্বাবধান করেছেন। ৫জি, এআই এবং ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্যোগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন গোপালন। গোপালনকে অত্যন্ত দক্ষ, আবেগপ্রবণ এবং অবিশ্বাস্যভাবে জ্ঞানসম্পন্ন বলে অভিহিত করেছেন সিভার্ট। তিনি জানান, গোপালনের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি আমাদের কর্মী ও গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

    নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও

    এদিকে, শিকাগো-ভিত্তিক পানীয় জায়ান্ট মলসন কুরস তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে বছর ঊনপঞ্চাশের রাহুল গোয়েলকে। ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। গোয়েল বসছেন গ্যাভিন হ্যাটার্সলির জায়গায় (H1B Visa)। হ্যাটার্সলি এই বছরের শেষ পর্যন্ত উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ২৪ বছর ধরে (Indian Origin CEOs)।

    ভারতে জন্ম রাহুল গোয়েলের। মাইসুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরে যান বিজনেস স্টাডি পড়তে। সেখানেই সেটেলড হয়ে যান। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ভারতে কুরস ও মলসন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন। মলসন কুয়ার্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড কুয়ার্স বলেন, “একটি দীর্ঘ সিইও উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার পর স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আমাদের পরবর্তী প্রবৃদ্ধির ধাপকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি রাহুলই নিয়ে এসেছেন।” গোয়েল জানান (H1B Visa), তিনি কোম্পানির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত (Indian Origin CEOs)।

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অটল জেদের কাছেই হার মানতে চলেছেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! অন্তত ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরনের বলা কথায় মিলল তারই ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তিনি আশা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারস্পরিক শুল্ক কমাবে। নাগেশ্বরনের বক্তব্যে আশার আলো দেখছেন চড়া শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রফতানিকারীরা।

    ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার বক্তব্য (Indian Goods)

    নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বরন জানান, অগাস্ট মাসে ওয়াশিংটন যে ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা নভেম্বরের শেষের দিকেই প্রত্যাহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৩০ নভেম্বরের পর এই শাস্তিমূলক শুল্ক আর থাকবে না। এটি কোনও সুস্পষ্ট সূচক বা প্রমাণের ভিত্তিতে আমি বলছি না, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এটি আমার আশা। আমি বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শাস্তিমূলক শুল্ক নিয়ে একটি সমাধান হবে এবং আশা করি পাল্টা শুল্ক সম্পর্কেও সমাধান হবে।”

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত, পারস্পরিক শুল্ক, যা বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে, তা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে আনা হতে পারে। তিনি জানান, সামগ্রিক শুল্কবিষয়ক বিরোধের সমাধান হতে পারে আগামী ৮–১০ সপ্তাহের মধ্যেই। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এটি তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন, কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তার ভিত্তিতে নয় (Indian Goods)। প্রসঙ্গত, নাগেশ্বরনের এই মন্তব্য এসেছে এমন একটা সময়, যার কয়েক দিন আগেই ভারতের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এটি ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে ভারতীয় রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত চড়া শুল্ক হার ঘোষণা করেছিল। কারণ হিসেবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই মস্কো থেকে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে ভারত (Indian Goods)।

  • Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার গাজা শহরে (Gaza City) স্থল অভিযান চালাল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইজরায়েলের (Israel) নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, গাজা শহর থেকে হামাসকে একেবারে নির্মূল করতে চালানো হচ্ছে এই অভিযান। সূত্রের খবর, ইজরায়েলের ভারী ট্যাংকগুলি গাজা শহরে ঢুকে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর রেসিডেন্সিয়াল ও সিভিলিয়ন টাওয়ার। এই টাওয়ারগুলিতেই হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর। যুদ্ধে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি না হয়, তাই গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসের কোনও নিরাপত্তা নেই। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের রক্ষে নেই।”

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel)

    ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলছে যুদ্ধ। মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। পরে তা উঠে গিয়ে ফের শুরু হয় সংঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একাধিকবার আলোচনার পরেও ক্রমশই ঘোর হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ (Israel)। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইজরায়েল কাতারে হামাসের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। খতম হয় পাঁচজন হামাস জঙ্গি। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার পশ্চিম অংশে একটি ১৬ তলা ভবনও আক্রমণ করে। এটি গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন। ইজরায়েলের দাবি, এটি একটি জঙ্গি ঘাঁটি। এক ইজরায়েলি সেনাকর্তার দাবি, গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ হাজার হামাস জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ-এর কথায়, ‘জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অপহৃতদের মুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

    কী বলছেন ট্রাম্প

    এদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়ে এবং আত্মসমর্পণ করে যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে ওরা এটা করবে না।” প্রসঙ্গত, বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইজরায়েলের স্থলভাগে অভিযান চালানোর খবরে হামাসের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়েছি যে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে হামাস বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি আশা করি, হামাসের নেতারা বুঝতে পারবে তারা কী বিপদে পড়ছে যদি তারা এমন কাজ করে। এটি একটি (Gaza City) মানবতাবিরোধী অপরাধ। এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও (Israel)!”

  • Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক পোক্ত করতে চাইছে রাশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও (Donald Trump)। বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার ভারতের সঙ্গে তার অটল বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করল রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (Trade Talks) নিয়ে রাশিয়ার আশ্বাস, নয়াদিল্লির সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ব্যাহত করতে বহিরাগত শক্তির যে কোনও প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটিতে জারি করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক স্থির এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এবং এই প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে বহুমুখী সহযোগিতার প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে, যাকে রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের চেতনা ও ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছে।

    ভারত অপরিহার্য খেলোয়াড় (Donald Trump)

    এদিকে, দেরিতে হলেও শেষমেশ বোধহয় হয়েছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি স্বীকার করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যস্থতা করা তার আগের ধারণার চেয়েও কঠিন বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির সঙ্গে স্থগিত থাকা বাণিজ্য আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে এগিয়ে চলেছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দুই দেশের ভারতকে নিয়ে এই দড়ি টানাটানি নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় অবস্থানকেই তুলে ধরছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ভারত মস্কোর একটি স্থিতিশীল অংশীদার এবং ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক গণনায় এক  অপরিহার্য খেলোয়াড় (Trade Talks)।

    যৌথ প্রকল্পে কাজ

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তি উন্নয়ন, মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান, এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধানে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। দুই দেশ একই সঙ্গে কাজ করছে তাদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারে পেমেন্ট সিস্টেম বিস্তৃত করার এবং বিকল্প পরিবহণ ও নয়া রুট তৈরিতে। এই উদ্যোগগুলিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল কোনও ব্যবস্থাই নয়।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা

    মার্কিন (Donald Trump) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তার পরেও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে চলেছে ভারত। পশ্চিমী চাপ উপেক্ষা করেও নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকায় নয়াদিল্লির ব্যাপক প্রশংসাও করেছে রাশিয়া। শুধু তাই নয় (Trade Talks), স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অটল থাকায় নয়াদিল্লিকে সাধুবাদও জানিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতিনিধিত্ব করে। এই অংশীদারিত্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ককে।”

    ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ

    রাশিয়ার এহেন প্রশস্তিবাক্য এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ দিচ্ছেন রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। এই জন্যই চাপানো হয়েছে চড়া শুল্ক। তার পরেও ভারত মস্কোর সঙ্গে তার জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবসা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। রাশিয়া একে “বিশ্বাসভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব” বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, প্রথম থেকেই ভারতকে চাপে ফেলতে নানা চেষ্টা করে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানো হল ৫০ শতাংশ। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার নিট ফল, ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফেল। ট্রাম্প এবার ইউকে-কে বলল ভারত থেকে তেল না কিনতে। কিন্তু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে মাথা নোয়াল না ব্রিটেনও।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ

    আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ট্রাম্পের পরিকল্পনা। জি-৭ গোষ্ঠীকেও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় (Trade Talks)। শেষমেশ নেটোকে বলছে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করতে। কিন্তু ‘সুপার পাওয়ার’ হতে চলা ভারতের ওপর শুল্ক চাপাতে অস্বীকার করে একের পর এক মিত্র দেশগুলি। উল্টে রাশিয়া ও চিন ভারতকে সমর্থন করে মোদির হাত শক্ত করল। এসসিও-ব্রিকসকে ভাঙার পরিকল্পনাও ব্যর্থ। এহ বাহ্য। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পেরে এখন ট্রাম্প স্বীকার করছেন, ওটা গভীর সমস্যা। এত সহজে মিটবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (Donald Trump) বেগ দিতে গিয়ে উল্টে একা হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। তাই মোদির প্রতি সুর নরম করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আবারও আলোচনার টেবিলে বসছে ভারত ও আমেরিকা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দিল্লিতে আসছে উচ্চস্তরের এক মার্কিন প্রতিনিধি দল। আমেরিকার প্রধান বাণিজ্য আলোচনা নেতা ব্রেন্ডেন লিঞ্চ এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাণিজ্যমন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল।

LinkedIn
Share