Tag: Amir

  • Pakistan Taliban War: পাক-আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণ কী? কোন অবস্থান নেবে ভারত?

    Pakistan Taliban War: পাক-আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণ কী? কোন অবস্থান নেবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের জন্য ভারত সফরে এসেছেন আফগানিস্তানের (Pakistan Taliban War) বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Amir Muttaqi)। ৯ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছন তিনি। তাঁর ভারত সফর চলাকালীনই পাক যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং আশপাশ এলাকায় হামলা চালায়। পাল্টা জবাব দেয় আফগানিস্তানের তালিবান সরকারও। তালিবানরা ২৫টি পাক সামরিক চৌকি দখল করে, হত্যা করে ৫৮ জন সৈন্যকে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বন্দ্বের এই আবহে দুই দেশই পরস্পরকে পাল্টা আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে। দুই মুসলিম রাষ্ট্রের এহেন রণহুঙ্কারে উদ্বিগ্ন আরও দুই ইসলামিক রাষ্ট্র – সৌদি আরব এবং কাতার। দ্বন্দ্বের অবসানে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছে এই দুই দেশই।

    বিরোধের মূল কারণ (Pakistan Taliban War)

    প্রশ্ন হল, দুই মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের (Pakistan Taliban War) বিরোধের মূল কারণ কী? ভারতে কি এর কোনও প্রভাব পড়তে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমাদের দেখে নিতে হবে পাক-আফগান সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি কী? যুদ্ধের সম্ভাবনাই বা কতটা? এর উত্তর পেতে হলে আমাদের দেখে নিতে হবে আফগান বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের দিনগুলিতে ঠিক কী ঘটেছিল ‘আফিমের দেশে’। ৯ অক্টোবর রাতে পাকিস্তান শুধু কাবুলেই নয়, খোস্ত, জলালাবাদ ও পাকতিকা প্রদেশেও বিমান হামলা চালায়। টার্গেট ছিল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর প্রধান নূর ওয়ালি মেহসুদ। ১০ অক্টোবর টিটিপি পাকিস্তানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায়। এতে এক মেজর, এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ২০ জন সৈন্য এবং ৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

    দাবি, পাল্টা দাবি

    পরের রাতে তালিবান বাহিনী সীমান্ত বরাবর পাল্টা আক্রমণ চালায়। কাবুলে সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, এই সংঘর্ষে ৫৮ জনেরও বেশি পাক সেনা নিহত এবং ৩০ জন জখম হয়েছে। তালিবান বাহিনী অস্থায়ীভাবে ২৫টি পাকিস্তানি চৌকি দখল করেছিল। সংঘর্ষ শেষের পরে সেগুলি পাকিস্তানকে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয় (Amir Muttaqi)। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি জানান, পাকিস্তান কঠোর জবাব দিয়েছে। এতে ৯ জন তালিবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাকিস্তান চুপ করে থাকবে না, ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়া হবে।” আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের অভিযান মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের কোনও সীমান্ত লঙ্ঘন হলে পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে (Pakistan Taliban War)। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের রাশ হাতে নেয়। তার পর এই প্রথম পাকিস্তান সরাসরি কাবুলে ড্রোন ও জেট হামলা চালিয়েছে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিবেক মিশ্র বলেন, “সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে পারে। তবে হামলা চলতে থাকলে সম্পূর্ণ যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

    মুত্তাকির ভারত সফরের জেরেই কি পাকিস্তান ক্ষুব্ধ?

    মুত্তাকি ভারতে পৌঁছন ৯ অক্টোবর। সেই দিনই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আফগানিস্তানকে সবচেয়ে বড় শত্রু আখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, “সেনাবাহিনী ও সরকারের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। আফগান মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ আর সহ্য করা হবে না।” বস্তুত, এরই কয়েক ঘণ্টা পরে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়। পরের দিন এক (Amir Muttaqi) সাক্ষাৎকারে আসিফ অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের দিকে। তাঁর অভিযোগ, “আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে প্রতিশোধ নিচ্ছে ভারত।” তিনি দাবি করেন, “একই ধর্মের পড়শি হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান কখনও ভাইয়ের মতো আচরণ করেনি (Pakistan Taliban War)।”

    আরও খেপে যায় পাকিস্তান

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মুত্তাকির বৈঠকের পর আরও খেপে যায় পাকিস্তান। কারণ যৌথ বিবৃতিতে তালিবান জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দে করে। এর পরেই পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে আফগান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রবল আপত্তি জানায়। এও জানিয়ে দেয়, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্য রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব ও ওই অঞ্চলের আইনানুগ মর্যাদা লঙ্ঘনের শামিল।ভারতের প্রাক্তন কূটনীতিক বীণা সিক্রি বলেন, “মুত্তাকির ভারত সফর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে পাকিস্তান।” জেএনইউয়ের অধ্যাপক রাজন কুমার বলেন, “পাকিস্তানের হামলার সময়সূচি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে মুত্তাকির ভারত সফরের সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর ইঙ্গিতও স্পষ্ট। আফগানিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, তবে তার মাশুল গুণতে হবে তাদের (Pakistan Taliban War)।”

    সংঘাতের ৩ কারণ

    প্রশ্ন হল, পাকিস্তান ও তালিবানের সংঘাতের প্রকৃত কারণ কী? নয়ের দশকে পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় জন্ম হয় তালিবানের। তালিবান যোদ্ধাদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা দেয় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ১৯৯৬ সালে কাবুল পতনের পর তালিবান সরকারকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল যারা, তাদের মধ্যে ছিল পাকিস্তানও। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে ঢুকলে আমেরিকার পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এর জেরে তালিবান নেতা মোল্লা ওমর পাকিস্তানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন। এর পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের। ২০২১ সালে তালিবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এলে পাকিস্তান সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করে। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং, তিনটি বড় ইস্যুতে সংঘাত তীব্র হয়।

    সংঘাতের ইস্যু

    এই ইস্যুগুলি হল, টিটিপিকে (TTP) আশ্রয় দেওয়া। টিটিপি পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হুমকি, যারা ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানিকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগান তালিবান সীমান্তের ওপারে টিটিপি জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর ওপর রয়েছে সীমান্ত বিরোধ। ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুরান্ড লাইনকে  (Durand Line) (১৮৯৩ সালে এই রেখা টেনেছিলেন ব্রিটিশ অফিসার মোর্টিমার ডুরান্ড) আফগানিস্তান কৃত্রিম ঔপনিবেশিক সীমারেখা হিসেবে অস্বীকার করে। এই রেখাই পশতুন ও বেলুচ সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে রেখেছে (Amir Muttaqi)। ২০২১ সালের পর জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান সীমান্তে বেড়া দিতে শুরু করে। তালিবান প্রশাসন একে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করে। আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কারও, দুই দেশের দ্বন্দ্বের একটি বড় কারণ। সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় থেকে পাকিস্তান লক্ষাধিক আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, এখনও প্রায় ১৫ লাখ আফগান পাকিস্তানে রয়েছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান নিরাপত্তা উদ্বেগ ও অর্থনৈতিক বোঝার কথা বলে অ-নথিভুক্ত আফগানদের বহিষ্কার করতে শুরু করে। তালিবান একে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি বলে অভিহিত করে। তারা কবুল করে, আফগানিস্তানের পক্ষে এই শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই (Pakistan Taliban War)।

    তালিবানি কৌশল

    প্রশ্ন হল, যদি সত্যিই যুদ্ধ বাঁধে, তাহলে কী হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে তালিবানরা পাকিস্তানের তুলনায় অনেক দুর্বল। তবে পাকিস্তানকে সামরিকভাবে চাপে ফেলতে তারা গেরিলা কৌশল অবলম্বন করতে পারে। রাজন কুমার বলেন, “অস্বীকার করলেও, তালিবান টিটিপিকে মদত দিয়ে চলেছে। তার কারণ উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে যাতে পাকিস্তানকে দু’টি ফ্রন্টে লড়াই করতে বাধ্য করা যায়।এদিকে, সম্প্রতি, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যাতে বলা হয়েছে একটির ওপর আক্রমণ উভয়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সৌদি আরব। তাই দ্বন্দ্ব মেটাতে এগিয়ে এসেছে তারা। এগিয়ে এসেছে মুসলিম রাষ্ট্র কাতারও (Pakistan Taliban War)।

    ভারতের ওপর প্রভাব

    প্রশ্ন হল, পাক-তালিবান সংঘাত ভারতের ওপর কী প্রভাব ফেলবে? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ও তালিবানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করছে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যখন কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতকে (Amir Muttaqi)। রাজন কুমারের পর্যবেক্ষণ, তালিবান ভারতের মতাদর্শগত মিত্র না হলেও, তারা নয়াদিল্লির কাছে অর্থনৈতিক, চিকিৎসা ও প্রযুক্তিগত সাহায্য চায়। তবে ভারত সম্ভবত মানবিক ও উন্নয়নমূলক সাহায্যের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে, এড়িয়ে চলবে সামরিক জটিলতা (Pakistan Taliban War)।

  • PM Modi: কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, কী বিষয়ে হল আলোচনা?

    PM Modi: কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, কী বিষয়ে হল আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতারের (India Qatar Ties) আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা ভারত ও কাতারের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, শক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, যা দুই দেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। জানা গিয়েছে, তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়সমূহ নিয়ে মতামত বিনিময় করেছেন।

    ভারত সফরে কাতারের আমির (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, দুদিনের ভারত সফরে এসেছেন কাতারের আমির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছেন। এনিয়ে তিনি দুবার এলেন ভারতে। এর আগে কাতারের আমির ভারত সফরে এসেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। কাতার ও ভারতের বন্ধুত্ব খুবই নিবিড়। মোদি জমানায় সেই সম্পর্কের আরও উন্নতি হয়েছে। ভারত চায় পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে। উদ্দেশ্য, জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাতার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পায় নয়াদিল্লি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১৪.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কাতারের আমিরকে এদিন ভাই বলে সম্বোধন করে এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানানোর ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার ভাই কাতারের আমির এইচএইচ শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম (PM Modi)।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লিখেছেন, “ভারত-কাতার, যা আরও শক্তিশালী করছে গভীর ও ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি আজ হায়দ্রাবাদ হাউসে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। উভয় নেতা ভারত-কাতার সম্পর্ককে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে (India Qatar Ties) সম্পর্কের ওপর ফোকাস থাকবে। তারা পারস্পরিক আগ্রহের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময়ও করেছেন (PM Modi)।”

  • Qatars Amir: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন কাতারের আমির

    Qatars Amir: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন কাতারের আমির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমন্ত্রণে ভারত সফরে আসছেন কাতারের আমির (Qatars Amir) তামিম বিন হামাদ আল থানি। ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারত সফর করবেন বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমিরের সঙ্গে মন্ত্রী ঊর্ধ্বতন কর্তা এবং একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল সহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাকবে।

    কাতারের আমির (Qatars Amir)

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায়ই এনিয়ে দু’বার ভারতে আসতে চলেছেন কাতারের আমির। প্রথমবার তিনি ভারতে পা রেখেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। তারপর আসছেন আগামী সপ্তাহে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। সেখানে তাঁর সম্মানে আয়োজন করা হয়েছে ভোজসভার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। সেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করবেন।

    এস জয়শঙ্কর

    এ বছরের শুরুতে দোহা (কাতারের রাজধানী) সফর করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় তিনি দেখা করেছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির (Qatars Amir) সঙ্গে। পরে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছিলেন, “আজ দোহায় প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। ২০২৫ সালে এটি আমার প্রথম কূটনৈতিক আলোচনা। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি ফলপ্রসূ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের ওপর বিস্তৃত আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রক উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং জনগণের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সহ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কাতারে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায় কাতারের বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায় ও কাতারের অগ্রগতি ও উন্নয়নে তাদের ইতিবাচক অবদানের জন্য তারা প্রশংসিত। আমিরের এই সফর আমাদের ক্রমবর্ধমান (PM Modi) বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও গতিশীল করবে (Qatars Amir)।

LinkedIn
Share