Tag: Amit Malviya

Amit Malviya

  • Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মোথাবাড়িতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এগুলির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দুদের দোকান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে। এই আবহে মোথাবাড়ি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব (West Bengal)। মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একযোগে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্য। সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ লুট ও হিংসা শুরু করে মৌলবাদীরা।

    গ্রেটার বাংলাদেশের অভিসন্ধি ক্রমশই প্রকাশ্যে, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সুকান্তর দাবি, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।’’ সুকান্ত মজুমদারের ওই পোস্ট করা ভিডিওতে বেশ কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেই ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড।

    হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে গাড়ি, দাবি সুকান্তর

    ভিডিওটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙে লুট করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’’

    পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকেও তুলোধনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মোথা বাড়িতে যখন ভয়ঙ্করভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এটাই হল (মালদার মোথাবাড়ি হিংসা) নির্লজ্জ তোষণের রাজনীতির মূল্য। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার।’’

    মোথাবাড়ির ঘটনায় পুলিশকে নিধিরাম সর্দার বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছেন। মালদা জেলার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছাচারে কি ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে ‘নিধিরাম সর্দারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতা পুলিশ কে দেখুন, হাত জোড় করে যেনো করুণা প্রার্থনা করছে !’’

    আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে, বললেন বিরোধী দলনেতা

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা। নিজের সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে ওই অঞ্চলগুলির নামও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তবে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়ব। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মোমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একই ভাবে এদের কেও শিক্ষা দেবো।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যর

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিও মোথাবাড়ির সাম্প্রদায়িক হিংসার সাথে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে ওই ভিডিওটি পোস্ট করে মালব্য লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে। উগ্র মৌলবাদীরা রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নিজের রাজ্যের এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতি তিনি উদাসীন।’’

  • BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরগরম বাংলার রাজনীতি। এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্ত। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ, বাংলার ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে তৃণমূল। এনিয়ে কৃষ্ণনগরের ঘটনা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি,  ওই এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রহমান শেখের নির্দেশে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে বাদ দিচ্ছে তৃণমূল।

    তৃণমূল সরকারের (TMC) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অমিতের মালব্যর

    মঙ্গলবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, ‘‘তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে।’’ এক্ষেত্রে অমিত মালব্য সীমান্ত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বিজেপি যে স্থানগুলিতে শক্তিশালী সেখানেই এমনটা করছে প্রশাসন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘নদিয়া, যেখানে বিজেপির সংগঠন শক্ত, সেখানে আব্দুল রহমান শেখের থেকে একটি অনুরোধ পেয়ে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) সেদিনই ভোটার তালিকা থেকে ৯৮ জন হিন্দুর নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।’’ তাঁর নিজের দাবির স্বপক্ষে অর্ডারের ছবিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কার্যকলাপ চলছে। ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিডিও-রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন মুসলিমরা তাঁকে ব্যাপকভাবে রাজ্যে ভোট দেয়। হিন্দুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’’

    সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আবদুর রহিম শেখ তিনি নাকি তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট, না কী নেতা আছেন! তিনি টুসি ঠাকুর, অমিত কুমার ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, কমলা মণ্ডল, সবিতারানি সরকার এই ভাবে একা ৯৭টা নাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। প্রথমত, এভাবে অভিযোগ করা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, অবিলম্বে কৃষ্ণনগরের বিডিওকে বহিষ্কার করতে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সাদা কাগজে দরখাস্ত দিলে যদি বিডিও তার তদন্ত করেন এবং এই হিন্দু ভোটারদের ডিস্টার্ব করেন, তাহলে আমরা এই বিডিওকে সাসপেন্ড করার জন্য বলব। কারণ, এই কাজটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাজ নয়। এটা ইসিআইয়ের কাজ। বিডিও তাঁর লিমিটেশন ক্রস করছেন। এটা হচ্ছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে। আমরা কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের এই ৯৮ জনকে নিয়ে ধর্নাও দেব, কোর্টেও যাব। এই বিডিওর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। এই ৯৮ জনকে আবেদন করব, রেসপন্স করবেন না। এটা যথার্থ ফর্ম নয়।’’

    পরিকল্পনা করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রীতিমতো পরিকল্পনা করে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার ছবি সহ প্রমাণও তুলে ধরেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্তের অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায় উঠে আসে, কৃষ্ণনগরের ঘটনা। পরিকল্পনা করে সীমান্তবর্তী জেলা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। এনিয়ে শাহি দরবারে অভিযোগও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বেশ কিছু হিন্দু ভোটারদের কাছে নট ইন্ডিয়ান বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এবার একসঙ্গে একটা বড় অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ করে তুলতে কোনও খামতি রাখছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একদিকে যেমন হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বানানোর চক্রান্ত

    সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর স্বপ্ন দেখা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আরও মারাত্মক একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা অঞ্চলের বাসিন্দা শহিদুল বিশ্বাস, তার নাম রয়েছে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়।’’ সুকান্তর মতে, ‘‘শুধু একজন শহিদুল নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীদের সম্মানের সঙ্গে ভোটার তালিকায় সংযোজিত করেছে তৃণমূল।’’

  • RG Kar: ‘‘ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা’’! আরজি কর মামলার রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    RG Kar: ‘‘ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা’’! আরজি কর মামলার রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) অপরাধী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাবাসের সাজা হওয়াকে ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা বলে মন্তব্য করল বিজেপি (Bjp)। এদিনই দলের আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী নেতা অমিত মালব্য শিয়ালদা আদালতের সাজা ঘোষণার পরেই এক এক্স মাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এই বিজেপি নেতা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তৎকালীন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তদন্ত দাবি করেন।

    কী লিখলেন অমিত মালব্য?

    অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘‘আরজি করের (RG Kar) হাসপাতালের ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আদালত যাবজ্জীবন কারাবাস ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এটা ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধীদের আড়াল করা বন্ধ করুন। এজেন্সির প্রয়োজন পুলিশ কমিশনার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের তদন্ত করা। বিচার শুধু করলেই হয় না, বিচার হয়েছে সেটা দেখতে পেতে দিতেও হয়।’’

    ‘একাধিক’ দোষী থাকার তত্ত্বে (RG Kar) জোর দিয়েছে গেরুয়া শিবির

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় ‘একাধিক’ দোষী থাকার তত্ত্বে (RG Kar) জোর দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পর বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সারা দেশবাসীর মনে যেটা আছে, যে একা সঞ্জয় রায় দোষী নয়, সেই ধারণা হয়তো বিচারকের মনেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সঞ্জয়ের সাজা হয়েছে, কিন্তু যারা প্রমাণ লোপাট করল, তারা কোথায়? কারা সঞ্জয়কে ওই নির্দিষ্ট ঘরে পাঠিয়ে ছিল?…তাঁদের কী হল? এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। যাঁরা তদন্ত করছেন, তাঁরা বুঝবেন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী আসবে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরু হব”, বললেন ফিরহাদ, তোপ দাগলেন সুকান্ত-মালব্য

    Firhad Hakim: “ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরু হব”, বললেন ফিরহাদ, তোপ দাগলেন সুকান্ত-মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বহু হিন্দু দেশ ছেড়ে সীমান্তে পেরিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। এই আবহের মাঝে ভারতে মুসলিমকে সংখ্যাগুরু করার ডাক দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একটি অনুষ্ঠানে তিনি রাজ্য ও দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের শতাংশের হিসেব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বলেন, ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন সংখ্যাগুরু হবেন সংখ্যালঘুরা। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি (BJP)।

    ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ?(Firhad Hakim)

    শনিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে ‘ফিরহাদ ৩০’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “বাংলায় আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু, দেশে আমরা ১৭ শতাংশ। আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। কিন্তু, আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলে মনে করি না। আমরা মনে করি, ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরুর চেয়েও সংখ্যাগুরু হতে পারি। ওপরওয়ালার আশীর্বাদে এটা আমরা হাসিল করব।”

    সরব বিজেপি

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যের নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক কারা, এটা আর বলতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গ যাতে পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে।”

    বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট!

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদারও তীব্র নিন্দা করেছেন ফিরহাদের এই মন্তব্যের। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “এটা শুধু ঘৃণা ভাষণ নয়, ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট। ইন্ডি জোটের শরিকরা কেন চুপ? ফিরহাদের (Firhad Hakim) এই মন্তব্য নিয়ে তাঁদের মতামত জানানোর চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।”

    পরিস্থিতি উদ্বেগজনক!

    ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য অনুপ্রবেশে উৎসাহ দেবে।”

    নিন্দা করেছে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্য নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির প্রদেশ অধ্যক্ষ পরমাত্মানন্দজী। তিনি বলেন, “কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য। এরকম একটা পদে থেকে এরকম মন্তব্য করা অনুচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘বাংলায় ৯০ হাজার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে’’, তথ্য পেশ করে মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর

    BJP: ‘‘বাংলায় ৯০ হাজার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে’’, তথ্য পেশ করে মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে রমরমিয়ে চলছে জাল নোটের কারবার। আর তৃণমূল সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। বরং, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আস্তানায় বানিয়ে ফেলেছেন। বিশেষ করে জাল নোটের রমরমা রুখতে তৃণমূল সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। এমন অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র অমিত মালব্য (Amit Malviya)। শুধু অভিযোগ নয়, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। যা বানিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূল বেশ কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    ঠিক কী অভিযোগ করলেন বিজেপির মুখপাত্র? (BJP)

    বিজেপির (BJP) মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৯০,০০০টিরও বেশি জাল ভারতীয় মুদ্রার নোট (এফআইসিএন) উদ্ধার করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এই জাল নোট ইস্যু ক্রমবর্ধমান সমস্যা এই রাজ্যকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হুমকির একটি স্পষ্ট সূচক হল রাজ্যের এই জাল মুদ্রা। এনআইএ এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এই সমস্যাটি মোকাবিলার যথেষ্ট প্রচেষ্টা করা হচ্ছে না। যা গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে রাজ্যে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মুখে বাজার-বিরোধী বক্তব্য, রাহুল নিজে ৬.৭ কোটি টাকার শেয়ারের মালিক! ফাঁস করল বিজেপি

    Rahul Gandhi: মুখে বাজার-বিরোধী বক্তব্য, রাহুল নিজে ৬.৭ কোটি টাকার শেয়ারের মালিক! ফাঁস করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভিত্তিহীন ভয় ছড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এমনই অভিযোগ বিজেপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অমিত মালব্যের।  মালব্যর দাবি দেশের শেয়ার মার্কেট নিয়ে রাহুলের বক্তব্যগুলি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে। যাতে সাধারণ ভারতীয়রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে না পারে।

    অযথা আতঙ্ক সৃষ্টির প্রয়াস

    সম্প্রতি, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ভারতীয় শেয়ার বাজারের সততা এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মালব্য জানান, রাহুলের মন্তব্যগুলিকে অসত্য এবং অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী শেয়ার বাজার নিয়ে ভয় ছড়াচ্ছেন কারণ তিনি এবং তাঁর দলের সদস্যরা ভয় পেয়ে গিয়েছেন যে ভারতীয়রা বৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছে এবং দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”

    মধ্যবিত্ত ভারতীয়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা

    মালব্যের অভিযোগ, গান্ধীর (Rahul Gandhi) এমন বক্তব্য ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে প্রাভাবিত করার জন্য। সাধারণ মানুষের বাজারে বিনিয়োগের প্রতি যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তা ভেঙে দেওয়ার জন্য। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল। তিনি ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি সমর্থন জানিয়ে, সিএলএসএ এবং মোতিলাল ওসওয়ালের মতো স্বীকৃত ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ করেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘমেয়াদি ভারতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, যা মোদি সরকারের সংস্কারের ফলে অর্জিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘সন্ত্রাসবাদের কারণে বিশ্বাসের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে’’, পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের

    রাহুল গান্ধীর নিজের পোর্টফোলিও

    মালব্য এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ব্যক্তিগত আর্থিক বিনিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, রাহুল গান্ধীর শেয়ার পোর্টফোলিও ২০১৪ সালে সামান্য ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের মধ্যে তাঁর শেয়ার পোর্টফোলিও প্রায় ৬.৭ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কংগ্রেস দলের ঐতিহ্যগত পরস্পরবিরোধিতার কথাও তুলে ধরেন মালব্য। তিনি বলেন, “এটা ক্লাসিক কংগ্রেসের দুইমুখী নীতির উদাহরণ। তাঁরা ‘গরিবী হটাও’ স্লোগান দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে ভারতকে দরিদ্র এবং সরকারি ভাতা-নির্ভর রেখে দিয়েছিল। আর গান্ধী পরিবার গোপনে বাজার থেকে বিপুল সম্পদ সঞ্চয় করে গিয়েছে, যা এখন মানুষ বুঝতে পারছে।” মালব্য মন্তব্য করেন, “রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনের প্রতি বাড়তি আত্মবিশ্বাস তাঁর খালি কথাবার্তার চেয়ে অনেক বেশি জোরালো। তিনি শেয়ার বাজারের বিরুদ্ধে নন—তিনি সাধারণ ভারতীয়দের অর্থ উপার্জন এবং ধনী হওয়া দেখতে চাইছেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও (West Bengal By Polls) অশান্তি বাংলায়! বুধবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) অভিযোগ করেন, মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে পদ্ম প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। কেবল গাড়ি ভাঙচুর নয়, দুষ্কৃতীরা ওই গাড়িতে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ।

    অমিত মালব্যের ট্যুইট-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে মালব্য লেখেন, “মুজনাই চা বাগানের বুথ নম্বর ১৪/৬২-তে মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের ওপর আক্রমণ হয়েছে। রাহুল একজন আদিবাসী, চা বাগানের শ্রমিকদের নেতা। তৃণমূলের গুন্ডারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং তাঁকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের তত্ত্বাবধানে ঘটেছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী কম, তিনি বরং একটি অপরাধ চক্রের প্রধানের চেয়ে বেশি।”

    কী বলছেন প্রার্থী

    বুধবার সকালে রাহুল মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী ক্ষেত্রের জনগণ এই নির্বাচনে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের জবাব দেবে।” রাহুল বলেন, “২০১৪ সাল থেকে মাদারিহাটের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করে (West Bengal By Polls) আসছেন… আমি আত্মবিশ্বাসী যে মানুষ এই উপনির্বাচনে সরকারের দুর্নীতি ও নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ভোটার নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রাহুল। বলেন, “আমরা ১০০ শতাংশ জিতব।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা। লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জিতে তিনি গিয়েছেন সংসদে। সেই কারণেই হচ্ছে উপনির্বাচন। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে এ রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬টি কেন্দ্রে। এগুলি হল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, কোচবিহারের সিতাই, বাঁকুড়ার তালডাংরা, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হাড়োয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর। এই (Amit Malviya) কেন্দ্রগুলির ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর (West Bengal By Polls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।   

     

  • Suvendu Adhikari: ব্যর্থ পুলিশ! রাজাবাজারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ব্যর্থ পুলিশ! রাজাবাজারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে রাজাবাজারে (Rajabazar) কালী প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি (যদিও মাধ্যম ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি)। নিজের এক্স হ্যান্ডলের মাধ্যমে পুলিশকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘রাজাবাজার অঞ্চলে কালী প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।’’ 

    কটাক্ষ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে

    একই সঙ্গে ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবিও তোলেন তিনি (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ, ‘‘চরমে তুষ্টিকরণের রাজনীতি, রাজাবাজারে মা কালীর প্রতিমা নিরঞ্জনের মিছিলে হামলা হয়েছে।’’ নারকেলডাঙার পুলিশ কালী ভক্তদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    নিজের পোস্টে পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘আপনি যদি এখনও গভীর ঘুম থেকে না জেগে থাকেন, তবে সাধারণ নিরীহ নাগরিকদের জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার অনুরোধ করুন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বারবার মৌলবাদীদের হামলার ঘটনা (Rajabazar) ঘটছে।’’

    মমতা সরকারকে তোপ অমিত মালব্যের

    একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নিজের পোস্টের মাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগও করতে বলেন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘কালী পুজোর সময়ও পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু মন্দির ও ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। কলকাতার রাজাবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের সময় পাথর ছোড়া হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয় আপনি পদক্ষেপ করুন, নয়তো পদত্যাগ করুন। আপনার ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি এর জন্য দায়ী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! খোদ কলকাতার ঢাকুরিয়ার ঘটনা। মামলা লঘু করে দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। তার পরেই বাংলায় নারী (Women In Bengal) সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করার অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ।

    অমিতের ট্যুইট-বাণ (Amit Malviya)

    এই প্রসঙ্গেই অমিতের ট্যুইট-বাণ। তিনি লিখেছেন, “বন্দুকের নলের সামনে দুদিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। এক মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।” এই বিজেপি নেতার দাবি, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।” তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল, তা কল্পনা করা যায়?’ অমিতের বক্তব্য, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

    হাইকোর্টের পদক্ষেপ

    গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। মহিলার বয়ানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে (Amit Malviya) আদালত। যদিও নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা হস্তান্তর করা হল লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

    জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের করার পরেই অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিগৃহীতাকে চাপ দেওয়ার জন্যই এদের নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁর জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ বাড়িতে যায় বলে দাবি নিগৃহীতার। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি, অভিযুক্ত যে বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্তকারী আধিকারিক। নিগৃহীতা নিজেই সরকারি হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট দেন তদন্তকারী আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কী বলছে আদালত

    এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশে জানান, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মণ, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে (Women In Bengal) বলে মনে করছে আদালত (Amit Malviya)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট, রাজ্যে (Amit Malviya) কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সন্দেশখালি কিংব অন্যত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কর্মীরা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে। কোথাও এফআইআরে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় না, তো কোথায় আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় না। কোথাও আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও, তা ঘটনার পরে পরেই নয়, বেশ কয়েকদিন পরে। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এসব করা হয়। ঢাকুরিয়ার বধূর ক্ষেত্রেও কী তাই করার চেষ্টা করেছিল রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন (Amit Malviya)।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ৩। শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে ওঁই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। অপরাধের মূল মাথাকে সন্ধান করতে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলা হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতাকে গ্রেফতার করার কথাও বলেছিলেন। অপর দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সিপি বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal) এবং মমতাকে নিশানা করে তথ্য লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন। অবিলম্বে তাঁদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন তিনি। আবার সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর সিপি বিনীত গোয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারী অফিসাররা তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

    পুলিশ কমিশনার ধামাচাপা দিয়েছেন (RG Kar Case)?

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, “টালা থানার ওসিকে গ্রেফতারের পর আরও স্পষ্ট হল, ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ক্রাইম সিনকে সম্পূর্ণ ভাবে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বাঁচাতে প্রত্যক্ষ মদত করছে পুলিশ।” একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “অভিজিৎ মণ্ডল সেই ব্যক্তি যাকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গ্রেফতারকে উপেক্ষা করতে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু চিত্রনাট্যের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের এক প্রমোটারকে ফোন করে ধমক দিয়েছিলেন মমতা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, নৃশংস অপরাধটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফল। কার্যত পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্যকে ধ্বংস করেছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনারও (Vineet Goyal) মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে এবং অপরাধ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ সিজিও থেকে বের করতেই টালা থানার সেই ‘করিতকর্মা’ ওসিকে জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ

    ওসিকে প্রশ্ন, কার নির্দেশ ছিল?

    সূত্রের খবর, ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে (RG Kar Case) জেরা করে বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে। গোটা তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করেছেন ওসি। কিন্তু অভিজিৎ কেন করলেন? কার নির্দেশ? ইতিমধ্যে ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিসি নর্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের প্রধান হিসেবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা তাই প্রশ্নের মুখে।

    জুনিয়র ডাক্তাররা গত ৯ অগাস্ট থেকে ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) জন্য টানা রাজপথে আন্দোলন করছেন। সন্দীপ-অভিজিৎ গ্রেফতারের পর তাঁরা বলেন, “আমাদের বোন অভয়ার মৃত্যু একটি সংগঠিত প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধ। সন্দীপ ঘোষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কুর্নিশ জানাই। কান ধরা পড়েছে এবার মাথাও সমানে আসবে। যতক্ষুণ ন্যায় বিচার না পাব, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share