Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Amit Shah: “৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নে সাঙ্গ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভূস্বর্গে ভোটও পড়েছে ব্যাপক হারে। এতেই উৎসাহিত কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথায়। তিনি বলেন, “৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই হবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন।”

    জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা (Amit Shah)

    সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলেই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে।” শাহ বলেন, “ভূস্বর্গে লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে। যা থেকে প্রমাণ হয়, মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতি সফল।” তিনি বলেন, “আমি সংসদেও বলেছি, কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দেব। অনগ্রসর শ্রেণিগুলির সমীক্ষা, বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আসন পুনর্বিন্যাস বা ডিলিমিটেশন- সব পরিকল্পনামাফিক চলছে। আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তা না হলে শ্রেণি অনুযায়ী সংরক্ষণ দেওয়া সম্ভব হত না। কাশ্মীরে লোকসভা নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। বাকি শুধু বিধানসভা ভোট, তা-ও হয়ে যাবে।”

    ‘সুপ্রিম রায় মেনেই হবে ভোট’

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আগেই ওই প্রক্রিয়া আমরা শেষ করব।” প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে। শাহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে বলেছিলেন, উপত্যকার মানুষ ভারতের সংবিধানে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এই নির্বাচনটি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে। কাশ্মীরের সংবিধান আর সেখানে নেই। যাঁরা উপত্যকায় পৃথক দেশ চান, যাঁরা পাকিস্তানে চলে যেতে চান, তাঁরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের জয়। মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির জয়।”

    আর পড়ুন: “বিজেপি কখনওই সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না”, বললেন রাজনাথ

    ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই মোদি সরকার ভূস্বর্গ থেকে রদ করেন ৩৭০ ধারা। যার জেরে বিশেষ রাজ্যের অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। তার তিন বছর আগেই অবশ্য ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। সেই নির্বাচনই হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেও। উল্লেখ্য, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভূস্বর্গে লোকসভার আসন পাঁচটি। পাঁচ দফায় হয়েছে নির্বাচন (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সন্ন্যাসীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বাংলার সন্ত-সাধু সমাজ মোটেই ভালো চোখে নেননি। মমতা গোঘাটের জনসভা থেকে ইসকন, রামকৃষ্ণ এবং ভারতসেবা আশ্রমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) নাম করে বলেন, “বুথে তৃণমূল এজেন্ট”-দের বসতে না দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি। প্রতিবাদে বঙ্গীয় সন্ত সমাজের উদ্যোগে খালি পায়ে ২৪ মে বাগবাজার থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত প্রতিবাদ সভা করেন। সভার একদিন পর একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়ে কার্তিক মহারাজ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং একাধিক বিষয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে।”

    হুমায়ুকে শো-কজ কেন করেনি মমতা (Kartik Maharaj)?

    রাজ্যের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সুর চড়িয়েছেন। মমতার বিরুদ্ধে মুসলমান তোষণ এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) মমতাকে নিশানা করে বলেন, “বাংলার মানুষ আমায় চেনে, গোটা বাংলার মানুষ আমার পিছনে রয়েছে। বহরমপুরের মানুষ জানেন কার্তিক মহারাজ কেমন। মমতা রাজ্যের প্রধান। পুলিশ, আইন সবই ওঁর পক্ষে। ওঁর আঁতে ঘা লেগেছে। আমি নিজে ১২টা স্কুল চালাই, যেখানে ৮০ শতাংশ মুসলিম ভাইরা পড়াশুনা করে। আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠান সব সময় সেবা কাজ করে থাকে। সাহায্যের সময় ধর্ম, রাজনীতি কিছু দেখি না আমরা। আমাদের কাছে আমাদের সংস্কৃতি-ধর্ম আগে। তাই আমাকে কথা বলতেই হয়। আমাকে নিয়ে এত কথা বলেছেন মমতা, অথচ হুমায়ুন অত বড় কথা বললেন, কিন্তু পার্টি থেকে কোনও রকম শোকজ করা হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেছিলেন ‘আমরা ৭০ শতাংশ, ওরা ৩০ শতাংশ, ভাসিয়ে দেব’। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না কেন মমতা? তবে আমি ডন নই যে আমার ৫০০ ছেলে রয়েছে। একা আমাকে নয়, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন সবাইকেই আক্রমণ করেছেন মমতা।”

    আরও পড়ুনঃ বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    চক্রান্ত দেশভাগের আগে থেকে চলছে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) বলেন, “দেশ বিভাজনের আগে থেকেই বাংলায় চক্রান্ত চলছে। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ হল, সেটা কেন হল? ইসকনের ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে। আমি কার্তিক মহারাজ, আমি আমার ধর্ম, আমার সমাজ, সংস্কৃতির জন্য লড়ব। তাতে আমার মৃত্যু হলে হবে। রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক আজ নতুন নয়। দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরেই দেখা গেছে ধর্ম, বর্ণের ওপর নির্ভর করে প্রার্থী দেওয়া হয়। এমনকী বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় ভোটের আবহে। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটের শুরুতেই কংগ্রেসের ইস্তেহারকে মুসলিম লীগের ইস্তেহার বলে প্রধানমন্ত্রী যেমন আক্রমণ করেছিলেন, তেমন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেছে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠানের রাজনীতির অভিযোগ। ভারতে নুন ছাড়া তরকারির মতো ধর্ম ছাড়া রাজনীতি হয় কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: আগামী ৫ বছরের মধ্যে কার্যকর হবে অভিন্ন নাগরিক বিধি, জানালেন অমিত শাহ

    Uniform Civil Code: আগামী ৫ বছরের মধ্যে কার্যকর হবে অভিন্ন নাগরিক বিধি, জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের গঠন হলে সারাদেশে কার্যকর হবে অভিন্ন নাগরিক বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (Uniform Civil Code)। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদি সরকার তৃতীয়বারের মেয়াদে এক দেশ-এক নির্বাচনকেও বাস্তবায়ন করবে। কারণ সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন হওয়ার সময় এসেছে।’’ এর কারণ হিসেবে অমিত শাহ বলেন, ‘‘দেশের সমস্ত ভোট এক সঙ্গে হলে নির্বাচনের খরচ অনেক কমে আসবে।’’ প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বতন ভারতীয় জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পার্টির অ্যাজেন্ডার মধ্যে রয়েছে ইউসিসি (Uniform Civil Code)। সম্প্রতি, বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে তা চালুও হয়েছে।

    অভিন্ন নাগরিক বিধি

    অভিন্ন নাগরিক বিধি বা ইউসিসি (Uniform Civil Code) নিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘অভিন্ন নাগরিক বিধিকে কার্যকর করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশের স্বাধীনতার পরেই সংবিধান সভা আমাদের জন্য যে নীতিগুলি নির্ধারণ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে অভিন্ন নাগরিক বিধিও। অমিত শাহের আরও সংযোজন, ‘‘সংবিধান সভার কেএম মুন্সি, রাজেন্দ্র প্রসাদ, বিআর আম্বেদকরের মতো আইনজ্ঞরা জানিয়েছিলেন যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে, ধর্মের ভিত্তিতে আইন থাকা উচিত নয়। এখানে একটি অভিন্ন নাগরিক বিধি চালু হওয়া উচিত।’’

    এক দেশ-এক নির্বাচন

    সাধারণভাবে দেশের বেশিরভাগ নির্বাচনই হয় গ্রীষ্মকালে। এপ্রিল মে মাস নাগাদ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসন, সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীদের বেশ কষ্ট হয়, গরমের মধ্যে প্রচার সারতে, ভোটের কাজ করতে। তাই শীতকালের সময় বা বছরের অন্য কোনও সময় নির্বাচন করা সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমরা এটা নিয়ে ভাবতে পারি।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছরই দেশের কোনও না কোনও রাজ্যে নির্বাচন হয়। এতে বিপুল খরচ হয়। এক দেশ-এক নির্বাচন বাস্তবায়িত হলে খরচ বাঁচবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sisir Adhikari: অমিতের সভামঞ্চে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির, আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে

    Sisir Adhikari: অমিতের সভামঞ্চে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির, আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলের কাঁথির বিদায়ী সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বিজেপিতে অফিসিয়ালি যোগদান করেননি তিনি। তাঁর ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী এবার বিজেপির প্রার্থী। সৌমেন্দুর হয়ে প্রচারে বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। শুধু উপস্থিতই থাকলেন না, বক্তৃতাও করলেন তিনি। আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়তে  পারে একমাত্র বিজেপি। 

    বিজেপির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল তিন অধিকারীকে (Sisir Adhikari)

    বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ছেলে সৌমেন্দুর হয়ে প্রথম থেকেই তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির (Sisir Adhikari) নিজের আসনে প্রচারে নেমেছিলেন। বুধবারও কাঁথিতে বিজেপির জনসভায় প্রথম থেকে উপস্থিত ছিলেন শিশির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মঞ্চে নিয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় শাহকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে যান শিশির। করজোড়ে প্রণাম করে কাঁথিতে শাহকে স্বাগত জানান তিনি। সৌমেন্দুকে বিজেপির যুবনেতা অ্যাখ্যা দিয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী করার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে শিশির-পুত্র শুভেন্দুর লড়াইকে যখন কুর্নিশ করেন শাহ, তখন মঞ্চে বসে হাততালি দিতে দেখা যায় শিশিরকে। সৌমেন্দুর পাশাপাশি ওই সভাতে পিতার সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই প্রথম বিজেপির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল তিন অধিকারীকে।

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরে সারাক্ষণ মঞ্চে থেকেছেন শিশির

    এদিনের সভায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে না-নিলেও গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরে সারা ক্ষণ মঞ্চে থেকেছেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালেও শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল শিশিরকে (Sisir Adhikari) । সে বছরের ১ মার্চ এগরার জনসভায় শাহের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে দিন পদ্ম প্রতীকের পতাকা হাতে তুলে নেননি। তবে, ২০২০ সালের ১৯ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় যে দিন শাহের হাত ধরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সে দিনই কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’ তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল। শিশির সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও, তিনি যে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের কাছেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । ওই মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিদায়ী সাংসদ, শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীকে। সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসনের ৩০টিতে বিজেপি জয় পেলেই তৃণমূল খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। আর মোদি সোনার বাংলা তৈরি করবে।

    শুভেন্দুর বাড়়িতে পুলিশি হানা নিয়ে সরব শাহ (Amit Shah)

    এদিন সভায় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “কাল এখানে ‘ল্যান্ড’ করতেই একটা এসএমএস পেলাম। জানলাম শুভেন্দুদার বাড়িতে পুলিশ ‘রেড’ করেছে।” মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আরে মমতাদিদি, আমরা বিজেপির লোকজন আপনার পুলিশকে ভয় পাই না। আপনার মন্ত্রীর বাড়িতে রেড হলে ৫১ কোটি টাকা মেলে। আর শুভেন্দুদার বাড়িতে রেড হয়েছে। চার আনাও পাননি মমতা।” তারপর হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরে শাহের সংযোজন, “আজ কাঁথিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম, বাংলায় যদিও বা এক-দুটো আসন পেতেন, এই পুলিশি অত্যাচার জারি থাকলে তা-ও পাবে না তৃণমূল।” তিনি আরও বলেন, “মমতাদিদি শুভেন্দুদার ওপর যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে।”

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    মমতার ভোটব্যাঙ্ক অনুপ্রবেশকারীরা

    এদিন জনসভায় ভিড় উপচে পড়ে। শুভেন্দুর বাড়িতে পুলিশি হানার পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি ইস্যুতে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সভা থেকে তিনি (Amit Shah) বলেন, মমতার ভোটব্যাঙ্ক অনুপ্রবেশকারীরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই হবে। ছিল, আছে, থাকবে। আমরা নিয়েই ছাড়ব। আবার ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বাংলার শাসকদল অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শাহ। তিনি একে ‘পাপ’ বলে মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলায় সিএএ হবেই। আবার দুর্নীতি ইস্যুতে মমতার সরকারকে নিশানা করে শাহের সংযোজন, “এই মাফিয়াদের খুঁজে খুঁজে উল্টো করে ঝুলিয়ে সিধে করে দেওয়ার কাজ বিজেপি করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    Suvendu Adhikari: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই পুলিশ তাঁদের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ এই দুই পদ্ম-নেতার।

    শাহকে ফোন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পুলিশি হানার কথা ফোনে শুভেন্দু জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। শুভেন্দু বলেন, “বিবরণ দিয়েছি গোটা ঘটনার।” আদালতে মামলা দায়ের করার পরে তাঁর হুঁশিয়ারি, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের বাড়িতে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলেও, পুলিশ তা দেখাতে পারেনি বলে দাবি শুভেন্দুর।

    সার্চ ওয়ারেন্ট কোথায়, পুলিশকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বলেন, “সার্চ ওয়ারেন্ট থাকলে, হাইকোর্টের অনুমোদন থাকলে আমি অভিযানের অনুমতি পুলিশকে দিতাম।” তিনি বলেন, “আমি আইন মেনে চলি। আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব। রাতের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে সিসিটিভির ফুটেজ পাঠাব। যে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাড়ির লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে? যদি দু’টো ভাঙা বন্দুক বা জাল নোট বা মাদক রেখে যায়, তার দায়িত্ব কে নেবে?”

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    কেবল শুভেন্দু নন, মঙ্গলবার মাঝরাতে পশ্চিম মেদিনীপুরেও কয়েকজন বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আপ্ত সহায়ক তমোঘ্ন দে-সহ দুই বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় ঘাটাল ও খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন মিশ্র ও মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও গভীর রাতে হানা দেয় পুলিশ। কী কারণে এই অভিযান, সে ব্যাপারে রা কাড়েনি পুলিশ। হিরণ বলেন, “আমার আপ্তসহায়কের মা অসুস্থ। রাতে তিনি যদি দরজা খুলে দিতেন, টাকা, পিস্তল, হেরোইন রেখে আসতে পারত ওরা। আমার পার্টির কারও নামে কেস দিত। আমাকে ফাঁসাত। এটাই তো এদের মোটিভ। মানুষ দেখছে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি আরও দু দফা। আর এরই মধ্যে নাকি বিজেপি ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। বাকি দু দফা শেষে  ৪০০ পার করবে মোদি (PM Modi) সরকার। মঙ্গলবার ওড়িশায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    অমিত শাহের দাবি (Amit Shah)

    এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় ৪২৮টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে দেশ জুড়ে। শাহ দাবি করলেন এর মধ্যেই নাকি বিজেপি একাই ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। 

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪২৮টি আসনের মধ্যে থেকে ২৫০-র গণ্ডিও পার করতে পারেনি এনডিএ। তবে এবার ওড়িশা থেকে অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে জানালেন ফের তৃতীয় বারের মত দেশে নিজের সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি সরকার। 

    আরও পড়ুন: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রাম লালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের 

    এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জয়। অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, পুরো দেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তৃতীয়বারের জন্য মোদিকে তারা প্রধানমন্ত্রী করবে ৷

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওড়িশায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর নীতি ও শাসনের কারণে রাজ্যটি ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি নবীনকে আক্রমণ করে আরও বলেন, ‘এই বছরটি নবীন পট্টনায়কের ক্ষমতা হারানোর বছর হতে চলেছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটদানের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Lok Sabha Election 2024: ভোটদানের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পঞ্চম দফায় আজ, সোমবার আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৪৯টি আসনে ভোট শুরু হয়েছে ৷ তার আগে পাঁচ ভাষায় ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ বাংলাতেও ট্যুইট করেছেন মোদি৷ এদিন রাজ্যে মোট ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।কেন্দ্রগুলি হল-হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও বারাকপুর। এদিন, মহিলা ও তরুণ ভোটেরদের উদ্দেশেও ভোটদানের আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ গত চার দফার নির্বাচনেও সকলকে ভোটে অংশগ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    মোদির আহ্বান

    পঞ্চম দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বিশেষত মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়কে শামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সকাল সকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁর বক্তব্য, “পঞ্চম দফায় আট রাজ্যের ৪৯টি আসনে লোকসভা নির্বাচন। আমি ভোটারদের অনুরোধ করব সকলে ভোট দিন। ভোটদানের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ুন। বিশেষত মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়কে অনুরোধ করব গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিন।” 

    শাহের বার্তা

    ভোট গ্রহণের (Lok Sabha Election 2024) দিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “আজ লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটে আমি জনগণকে আহ্বান জানাই বিপুল সংখ্যক ভোট দিয়ে এমন একটি সরকার নির্বাচন করুন, যারা আপনাকে দুর্নীতি মুক্ত শাসন, নিরাপদ পরিবেশ এবং আপনার নাগরিকত্বের অধিকার সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে অনুপ্রবেশ রোধ করবে। এটি সব ভোটারদের জন্য এমন একটি সরকার বেছে নেওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ, যা সর্বাত্মক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে এবং আমাদের বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্নকে ত্বরান্বিত করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raebareli: নির্বাচনী এলাকার বিধায়কের বিজেপিতে যোগ, চিন্তায় রাহুল

    Raebareli: নির্বাচনী এলাকার বিধায়কের বিজেপিতে যোগ, চিন্তায় রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে ইন্ডি (India Alliance) জোটে ভাঙন অব্যাহত। জোটের শরিক দলের নেতারা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এবার সেই ধারায় নাম লেখালেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক মনোজ পান্ডে। অভিযোগ তিন মাস ধরে বিজেপির (BJP) সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন সাইকেল বাহিনীর বিদ্রোহী বিধায়ক। রায়বরেলি (Raebareli) লোকসভার অন্তর্গত উঁচাহর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) উপস্থিতিতে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন।

    ফেব্রুয়ারিতে থেকেই শুরু গোলমাল

    খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যসভা ভোটের আগে ফেব্রুয়ারিতে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) বিধায়ক দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মনোজ। এরপর ক্রস ভোটিং করে হারিয়ে দিয়েছিলেন অখিলেশের (Akhilesh Yadav) দলের তৃতীয় প্রার্থীকে। এদিকে সোমবার রায়বেরেলি (Raebareli) লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রার্থী সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি টিকিট দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের মন্ত্রী দীনেশ প্রতাপ সিংহকে। শেষ দিন শনিবার বিজেপির প্রচারে দেখা যেতে পারে মনোজ পান্ডেকে।

    মনোজের সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ইতিহাস

    ৯০ এর দশকের শেষে সমাজবাদী পার্টির যুব শাখায় যোগ দিয়েছিলেন মনোজ। প্রয়াত মুলায়ম সিংহ যাদবের নজরে পড়ে অচিরেই হয়ে ওঠেন দলের অন্যতম উচ্চবর্ণের মুখ। উত্তরপ্রদেশে রাজনীতিতে জাতপাত কেন্দ্রিক ভোট পলিটিক্স একটা বড় ফ্যাক্টর। মনোজ পান্ডেকে ব্রাহ্মণমুখ হিসেবে ব্যবহার করত সমাজবাদী পার্টি। ২০০০ সালেও অল্প কিছু দিনের জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ফের ফিরে আসেন সমাজবাদী পার্টিতে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    ২০১২ সালে অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এলে তাঁকে কৃষি প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। অখিলেশও তাঁর উপরে আস্থা রেখেছিলেন। দলের প্রবীণ নেতাদের উপেক্ষা করে ২০২২ সালে নির্বাচনে বিধানসভায় তাঁকেই মুখ্য সচেতক করা হয় সমাজবাদী পার্টির তরফে। উঁচাহর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনবার সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন মনোজ।  রায়বরেলির (Raebareli) রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য না থকলেও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। মনোজের বিজেপিতে যোগ রাহুলের জন্য যথষ্ট চিন্তার কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে তৈরি হবে সীতার মন্দির। লোকসভা ভোটের আবহে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এবছর লোকসভা নির্বাচনে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে অন্যতম হাতিয়ার করেছে বিজেপি। আর এবার তাদের পরবর্তী লক্ষ্য সীতা মন্দিরের (Grand Sita Temple) কোথাও জানিয়ে দিলেন শাহ। অর্থাৎ রামলালার পর এবার রামচন্দ্র-পত্নী সীতার মন্দির বিজেপি তৈরি করবে বলে বিহারের মানুষকে কথা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    সীতামঢ়ীতে সীতার মন্দির নির্মাণ (Grand Sita Temple)

    বৃহস্পতিবার নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা বিহারের সীতামঢ়ী জেলায় একটি নির্বাচনী প্রচারে যান অমিত শাহ। হিন্দু পুরাণমতে সীতামঢ়ীতেই দেবী সীতার জন্ম। সেখানে তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেমন অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করেছেন ঠিক তেমনি সীতার জন্মস্থানেও একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘বিজেপি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিকে ভয় করে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় রামলালার জন্মস্থানে মন্দির নির্মাণ করেছেন। কিন্তু তাঁর একটি কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়েছে— মা সীতার জন্মস্থান সীতামঢ়ীতে বিশাল মন্দির নির্মাণ। সেই কাজ তিনি সমাপ্ত করবেন।’’
    যদিও এদিন এই প্রতিশ্রুতির পর শাহ (Amit Shah) বলেন, “অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি থেকে যাঁরা নিজেদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন, তাঁদের দ্বারা এই কাজ সম্ভব নয়। একমাত্র নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিই পারে সীতার জন্মস্থানে মন্দির তৈরি করতে। আমরা রামায়ণ সার্কিটের মাধ্যমে জনকপুর এবং সীতামঢ়ীকেও সংযুক্ত করব। এই মন্দির এমন এক মন্দির তৈরি হবে যা শুধু বিহার, ভারত, পূর্বাঞ্চল বা মিথিলাঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বকে সীতামাড়ির প্রতি আকৃষ্ট করবে।” 

    বিরোধীদের কটাক্ষ শাহর 

    আগামী সোমবার বিহারের যে ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে তার মধ্যে অন্যতম সীতামঢ়ী। শাহ (Amit Shah) এদিন প্রচারে বিরোধীদের বিঁধতে গিয়ে বলেন, “লালু প্রসাদ যাদব পাওয়ার, পলিটিক্সের জন্য, নিজের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য সেই কংগ্রেসের কোলে গিয়ে বসেছেন, যারা সব সময় পিছিয়ে পড়া মানুষের বিরোধিতা করে এসেছে। লালু প্রসাদ যাদব বিহারে জঙ্গলরাজের জন্য পরিচিত। আমি জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তারা জঙ্গলরাজ চান নাকি উন্নয়ন রাজ চান? লালু অ্যান্ড কোম্পানি কি এখানে উন্নয়ন করতে পারবে? একমাত্র নরেন্দ্র মোদিই পারেন বিহারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share