Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Amit Shah:‘ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিষ ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা’! উদ্বিগ্ন অমিত শাহ

    Amit Shah:‘ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিষ ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা’! উদ্বিগ্ন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েবের আড়ালে ধর্মীয় সন্ত্রাসের বিষ ছড়াচ্ছে। কিছু দেশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে সমাজের ক্ষতি করছে। গুরগাঁওতে এনএফটি, এআই, মেটাভার্সের যুগে অপরাধ এবং নিরাপত্তা’ বিষয়ক জি-২০ সম্মেলনে নাম না করে চিন ও পাকিস্তানকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পাশাপাশি সাইবার হামলার ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। 

    ডার্ক ওয়েবে জঙ্গি-জাল

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েবের আড়ালে থেকে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে জেহাদের বিষ ছড়াচ্ছে। এই অপরাধের প্যাটার্নটা বুঝতে হবে আমাদের। তারপর তার সমাধান খুঁজতে হবে।” ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের গোপন এক নেটওয়ার্ক। নির্দিষ্ট সফটওয়্যার ও অনুমোদন ছাড়া যেখানে প্রবেশ করা যায় না। সেই ডার্ক ওয়েবকেই জঙ্গিরা জেহাদের বিষ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করছে বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।  সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “মেটাভার্স এক সময় কল্পবিজ্ঞানের আইডিয়া ছিল। কিন্তু এখন তা সত্যিকারের বিশ্বে ঢুকে পড়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ দ্রুত নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে।  এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলে অভিমত শাহর। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল লেনদেনেও ভারত এগিয়ে রয়েছে।তবে ডিজিটাল বিশ্বকে যেকোনও মূল্যে সুরক্ষিত করতে হবে।কারণ কিছু দেশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক এবং সরকারগুলির অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি করছে। তিনি এবিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলেন। শাহ বলেন, “সকলের জন্য একটি নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ডিজিটাল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে। কোনও দেশ বা সংস্থা একা সাইবার হুমকি মোকাবিলা করতে পারে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll 2023: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    Panchayat Poll 2023: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির লড়াইকে সাফল্য হিসেবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটবার্তায় শাহ, বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতা ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের সময় লাগাতার পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার জন্য নাম করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে, শুক্রবারই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে অমিত শাহের কাছে দরবার করেছেন সুকান্ত৷ পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সূত্রের খবর, ভোটে দলের পরাজয়ের কারণ হিসেবে শাসকদলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করে অমিত শাহর কাছে নালিশ ঠুকেছেন সুকান্ত।

    লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যাপক হিংসা, অশান্তি নিয়ে এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। এদিন সুকান্তের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সন্ধে ৬টা নাগাদ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয় দু’জনের মধ্যে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও কথা হয়। এর আগে, নির্বাচন চলাকালীনও সুকান্তের সঙ্গে ফোনে দু’বার কথা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সাক্ষাৎ শেষে সুকান্ত জানান, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অবশ্যই ভাল করবে বিজেপি। 

    লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ

    শাহি-বৈঠক সেরে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখই হন সুকান্ত। তিনি বলেন, “অগাস্টে বাংলা সফরে আসবেন অমিত শাহ। বাংলায় বিজেপি-র কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জনসভাও করবেন।” শুক্রবার অমিত শাহ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বঙ্গ বিজেপি যেভাবে লড়াই করেছে, তাতে খুশি। বঙ্গ বিজেপির পাশে থাকার বার্তাও দেন শাহ। শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ নিয়ে ট্যুইট করেন সুকান্ত মজুমদার৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মোদি জমানার কথা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মোদি জমানার কথা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যখন দারিদ্র দূরীকরণ ও কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন নিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে মোদি সরকার জমানার কথা।” বুধবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন নাবার্ডের (NABARD) ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    স্বনির্ভর হচ্ছে গ্রাম

    শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেবল শহর নয়, গ্রামগুলোও আজ স্বনির্ভর হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতির আত্মা যে কৃষি, সেই কৃষি ক্ষেত্রেও দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “কৃষি-অর্থনীতিতে কো-অপারেটিভ ক্ষেত্রগুলোকে এমনভাবে সংযোগ করা হয়েছে যে, সেগুলোকে আলাদা করা যাবে না। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা পালন করছে নাবার্ড। সেই জন্যই আজ গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন। বিশেষত মা-বোনেরা স্বনির্ভর হচ্ছেন। সমাজে তাঁরা শ্রদ্ধাও অর্জন করছেন।”

    নাবার্ডের অবদান 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতের ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। নাবার্ড ছাড়া তাঁদের কথা ভাবাই যায় না। গত চার দশক ধরে গ্রামীণ অর্থনীতি, পরিকাঠামো, কৃষি, কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠান এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেরুদণ্ডই হল নাবার্ড।” মূলধন গঠন এবং জমার ক্ষেত্রে গত ৪২ বছর ধরে নাবার্ড বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। শাহের দাবি, নাবার্ডের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮ লক্ষ কোটি টাকা গিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ছক! চার সন্ত্রাসবাদীকে কারাদণ্ড দিল এনআইএ-র আদালত

    মন্ত্রী (Amit Shah) আরও জানান, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত গ্রামীণ অর্থনীতিতে ২০ লক্ষ কোটি টাকা রিফাইনান্স করেছে নাবার্ড। বৃদ্ধির নিরিখে যার পরিমাণ ১৪ শতাংশ। তিনি বলেন, “এই প্রাপ্তি ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি এবং তার বিকাশ কল্পনাই করা যেত না। তাই আমাদের এমন লক্ষ্য তৈরি করা উচিত, যাতে করে মানুষ কাজ করতে উৎসাহিত হন, এবং অন্যকে কাজ করতে উৎসাহিত করেন।” শাহ জানান, ১৯৮২ সালে কৃষি অর্থনীতিতে স্বল্প মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ৮৯৬ কোটি টাকা। আর আজ নাবার্ড নিয়েছে ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। ওই বছর কৃষিক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। নাবার্ডের মাধ্যমে আজ সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দিল্লিবাসী (Delhi Flood)। অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে যমুনা নদী। দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনার জলস্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয় ২০৮.৪৬ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার চিঠিতে বলেছেন-হাথনিকুন্ড থেকে সীমিত পরিমাণে জল ছাড়তে হবে, যাতে যমুনার জলস্তর আরও না বাড়ে। 

    বিপদের মুখে রাজধানী

    আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ (Delhi Flood) এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বড় বিপদের মুখে রাজধানী। বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য় হরিয়ানা। সে রাজ্য় থেকে জল ছাড়তেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নদীর জল রাস্তায় উঠে এসেছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

    ভাসছে নীচু এলাকা

    জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে তাই দিল্লিতে বন্যা (Delhi Flood) হলে তা বিশ্বের কাছে ভালো বার্তা যাবে না, বলে মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল। জমা জলের কারণে ব্য়াপক যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লির রাজপথে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AIFF: ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেরণায় এগোচ্ছে ভারতীয় ফুটবল’’, বললেন কল্যাণ চৌবে

    AIFF: ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেরণায় এগোচ্ছে ভারতীয় ফুটবল’’, বললেন কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবল সঠিক পথে চলছে। সাফ কাপ জয়ী সুনীলদের কুর্নিশ জানালেন সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনি এআইএফএফ-এর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারতীয় ফুটবল দল ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারকনন্টিনেন্টাল কাপের পর সাফ কাপেও চ্যাম্পিয়ন সুনীলরা। ইম্ফলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট দিয়ে শুরু তারপর ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন ব্লু টাইগারসরা।  কোচ ইগর স্টিমাচেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন কল্যাণ।

    প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেরণা

    কয়েক মাস আগেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন একটি প্রকল্প নিয়েছিল, ‘ভিশন ২০৪৭’। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এআইএফএফ-এর সভাপতি কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) বলেন, “সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুয়েতের বিরুদ্ধে জয়, ভারতের ক্রমবর্ধমান ফুটবল শক্তির যথেষ্ট প্রমাণ। ইম্ফল এবং ভুবনেশ্বরে ব্যাক-টু-ব্যাক টুর্নামেন্ট জিতে ফিফা র‍্যাঙ্কিং ১০০-এ পৌঁছে গিয়েছে ভারত। এটা প্রমাণিত যে ভারতীয় ফুটবল সঠিক পথে চলছে।” ট্যুইট বার্তায় কল্যাণ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রেরণায় এগোচ্ছে ভারতের ক্রীড়াজগত।

    মোদির ট্যুইট-বার্তা

    সুনীল ছেত্রীদের জন্য গর্বিত সচিন তেন্ডুলকর। হয়তো এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সুনীল, সান্ধুদের ইস্পাত কঠিন স্নায়ুর প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটারে ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। ভারত বনাম কুয়েত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের সাক্ষী থেকেছে ফুটবল জনতা। কঠিন মুহূর্তে স্নায়ুর চাপ সামলে সেরাটা উজাড় করে দেওয়া মুখের কথা নয়। 

    আরও পড়ুন: দলে নেই রিঙ্কু! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি২০-র স্কোয়াড ঘোষণা ভারতের

    শাহর ট্যুইট-বার্তা

    সাফ ফাইনালে কুয়েতের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রী এবং ভারতীয় দলকে বাঘের মতো লড়াই করতে দেখেছে ফুটবল অনুরাগীরা। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে ভারতীয় দলের হার না মানা মনোভাবের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহও। সাডেন ডেথে কুয়েতের ক্যাপ্টেনের শট আটকে দেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু।

    সঠিক পথে ভারতীয় ফুটবল

    ভারতীয় দলের শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা সাধারণ ফুটবলপ্রেমী থেকে ক্রীড়াবিদদের মন জয় করে নিয়েছে। এই লড়াই জারি রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন এআইএফএফ সভাপতি (AIFF Chief Kalyan Chabey)। সুনীল প্রায় কুড়ি বছর ধরে একাই বজায় রেখেছে ভারতের ফুটবলের সম্মান। কিন্তু এখন সাহেল, আশিক, থাপা, সন্দেশ একঝাঁক লড়াকু ফুটবলার উঠে এসেছে। ফলে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যত উজ্জ্বল, বলে দাবি করেছেন কল্যাণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) খসড়া তৈরি , তা জানাতেই কী দিল্লিতে হাজির উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রাজধানীতে এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন ধামি। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জল্পনা

    উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যদিও এখনও রিপোর্টার খসরা আসেনি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি জানান, আমরা দেরি না করে খুব দ্রুতই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রাজ্যে চালু করতে চাই। তবে আমরা তাড়াহুড়ো করে সেটা করব না, যাতে কোনও খামতি তৈরি না হয়।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের তৈরি খসড়া, সারা ভারতের মূল ভিত্তি হতে পারে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যদি উত্তরাখণ্ডের খসড়াটি গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে প্রয়োজনে সামান্য কিছু অদলবদল করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ধামি। সেখানে উত্তরাখণ্ডের জন্য তৈরি খসড়াটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল উপরাষ্ট্রপতির

    অন্যদিকে অসমের গুয়াহাটি আইআইটির সমাবর্তনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) পক্ষে সওয়াল করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করায় কোনওরকতম দেরি করা আমাদের মূল্যবোধের জন্য ক্ষয়কারক হবে।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ছিল সংবিধান প্রণেতার চিন্তাভাবনা। এবার সেটা কার্যকর করার সময় এসেছে। আর কোনও দেরি হওয়া উচিত নয়।” ধনখড় বলছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি স্তম্ভিত। উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। কিন্তু রাজনীতির জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কাজে বাধা দেওয়া উচিত নয়।” 

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    উল্লেখ্য সংসদের বাদল অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল আনতে চায় কেন্দ্র। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মাসব্যাপী সেই অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ালি বিলের খসড়াটি পেশ করতে পারে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিলটি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক ও আইন কমিশনের মতামত সংসদীয় কমিটি জানতে চেয়ে বলে খবর। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে,বলে বিশ্বাস কেন্দ্রের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস! ২ মাস পর মণিপুরে উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস! ২ মাস পর মণিপুরে উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আবেদনের পর মণিপুরের জাতীয় সড়কে দু’মাস পর অবরোধ তুলে নিল কুকি সংগঠনগুলি। গত মে মাসে মণিপুরে (Manipur Violence) অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে এনএইচ-২ বা ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। এই অবরোধ উঠে যাওয়ায় মণিপুরের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মণিপুর (Manipur Violence) রাজ্যে মোট দু’টি জাতীয় সড়ক রয়েছে। একটি ইম্ফল-ডিমাপুর এবং অন্যটি ইম্ফল-জিরিবাম (এনএইচ-৩৭)। দু’নম্বর জাতীয় সড়কটি কাংপোকপি জেলার কাছে মে মাস থেকে অবরুদ্ধ। অবশেষে সেই অবরোধ উঠল। ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট ও কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এই দুই কুকি উপজাতি সংগঠনের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, জাতীয় সড়কের অবরোধ অবিলম্বে তুলে নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই দুই সংগঠন এমন একটি গোষ্ঠী যারা আগে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিসাবে প্রমাণিত হলেও পরে তারা সরকারের সঙ্গে সন্ধির রাস্তা নেয়। তারাই জানিয়েছে যে, মণিপুরের কাংপোকপিতে তারা ন্যাশনাল হাইওয়ের রাস্তা বনধ তুলে নিচ্ছে। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত গোষ্ঠীকে বনধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি সমস্ত পক্ষকে শান্তির রাস্তা অবলম্বনের বার্তা দেন। এরপরই এই পদক্ষেপ। সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে “শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার যে বার্তা দিয়েছে সেই কথা মাথায় রেখেই অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে”।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ফের হিংসা চুরাচাঁদপুরে

    জাতীয় সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও, অশান্তি যেন সম্পূর্ণ থামছে না উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। নতুন করে ফের হিংসা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে। চুরাচাঁদপুরের সীমান্তে, গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেইতি সম্প্রদায়ের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি রবিবার চুরাচাঁদপুর (Manipur Violence) জেলায় ছড়িয়ে পড়া হিংসায় প্রাণ গিয়েছে আরও এক জনের। মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার খোইজুমন্তবি গ্রামে নতুন করে হিংসার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজন “গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক” অস্থায়ী বাঙ্কারে এলাকা পাহারা দিচ্ছিলেন সেই সময় যখন অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে তিন জন নিহত হন। পাশাপাশি শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ইম্ফলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মানতে হল মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহকে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে বীরেনকে।

    ছেঁড়া হল ইস্তফাপত্র

    একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের বাসভবনে ফিরে যান তিনি। এর পর বেরিয়ে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রটি নিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই কিছু মহিলা সমর্থক মন্ত্রীর হাত থেকে ইস্তফাপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে ওই মহিলারা বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur) পদত্যাগের ঘোরতর বিরোধী। তিনি পদত্যাগ করলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া সেই ইস্তফাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বীরেনই

    মণিপুর সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সাপাম রঞ্জন সিংহ জানান, সমর্থকদের চাপের মুখে কিছু মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। পরে ওই মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। রবিবারই আলোচনার জন্য বীরেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন (Manipur) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ট্যুইট-বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মাস দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। লাগাতার হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও বিক্ষিপ্ত (Manipur) অশান্তি চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের জনজাতি বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপর। তার পর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই হিংসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    Manipur: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে সেনা, অসম রাইফেলসের বাহিনী। শনিবার সর্বদল বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে এক সপ্তাহের মধ্যে সব দলের প্রতিনিধিদের পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রস্তাব ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন শাহ। বৈঠকও করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

    ধীরে ধীরে ফিরছে শান্তি 

    এদিন বৈঠকের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে একটি ভিডিও দেখানো হয়। তা থেকে স্পষ্ট মণিপুরের এই হিংসা ঐতিহাসিক সংঘাতের ফল। যা রাতারাতি মেটানো সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে বলেও দাবি করা হয়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের ইস্তফা দাবি করে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টি। রাজ্যে মহিলা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ডিএমকে। কংগ্রেসের (Manipur) প্রস্তাব, মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস ফিরবে এমন কাজ করতে হবে। বিজেপির তরফে মণিপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সম্বিত পাত্র জানান, মোদির নির্দেশেই মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কেন্দ্রের তরফে সব রকম চেষ্টা চলছে।

    বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি

    এদিকে, রাজ্যে শান্তি ফেরাতে যখন কেন্দ্রের উদ্যোগে চলছে সর্বদলীয় বৈঠক, তখনই সেনাবাহিনীকে ঘিরে ধরে ১২ জন বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল কয়েকজন মহিলা। সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মণিপুরের কাঙ্গলেই ইয়াওল কান্না লুপ দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল। এদিন আচমকাই সেনার ওপর চড়াও হয় ১৫০০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। দুষ্কৃতীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বাহিনীর ওপর। ১২ জন বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ফের অশান্তি এড়াতে মানবিক ভূমিকা পালন করে সেনা। ছেড়ে দেওয়া হয় ১২ জন বন্দিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’! মিশরে মোদিকে অভ্যর্থনায় হিন্দি গান

    সেনার (Manipur) তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু বিপুল সংখ্যক জনতা চড়াও হয়েছিল, এবং তাদের কাছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ছিল, তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এলাকা ছাড়ার আগে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে যাবতীয় অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে সেনাবাহিনী। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মণিপুরবাসীর কাছে জানানো হয় অনুরোধও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adipurush Row: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ‘আদিপুরুষে’র! শাহকে চিঠি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    Adipurush Row: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ‘আদিপুরুষে’র! শাহকে চিঠি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক অব্যাহত ‘আদিপুরুষ’কে (Adipurush Row) নিয়ে। এবার হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে সোচ্চার হল অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন। ‘আদিপুরুষে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। চিঠিতে বলা হয়েছে, ছবির পরিচালক ওম রাউত, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকারের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশে অভিযোগ জানাবে অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সভাপতি সুরেশ শ্যামল গুপ্তা চিঠি পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে মুম্বইয়ের অ্যাডিশনাল কমিশনার বিনায়ক দেশমুখকে।

    টিজারে বিতর্ক

    বিতর্ক শুরু হয়েছিল ছবির টিজার প্রকাশ্যে আসার পরেই। রাবণকে দেখে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। ছবি মুক্তির পর ফের ডাকে সমালোচনার বান। দেখা যায়, রামায়ণের (Adipurush Row) সঙ্গে কোনও মিলই নেই সিনেমার গল্পের। ভগবান হনুমানের সংলাপ নিয়েও হয় আর একপ্রস্ত প্রতিবাদ। এসবের জেরে দিনকে দিন কমতে থাকে সিনেমা হলে সিনে-প্রেমীদের ভিড়। এহেন আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

    সনাতন ধর্মের ওপর আঘাত!

    চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভগবান শ্রী রাম, সীতা এবং রামভক্ত হনুমানের পুজো করা হয়। কিন্তু ছবিতে তাঁদের চরিত্র ভুলভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। মহাকাব্য রামায়ণের অপমান করা হয়েছে। ছোটবেলা থেকে রামায়ণ মহাকাব্যের প্রতি যে বিশ্বাস ও ভক্তি তৈরি করা হয়, তা নষ্ট করা হচ্ছে। শাহকে লেখা চিঠিতে এও বলা হয়েছে, ছবির প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ, চিত্রনাট্যকার মনোজ মুন্তাশির ও পরিচালক ওম রাউত রামায়ণের নকল করার চেষ্টা করেছেন।

    ছবির সংলাপ, চরিত্রদের পোশাক ও গল্প বলার ধরনে যে খামতি উঠে এসেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। হিন্দু হয়ে এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এই ছবি সমগ্র হিন্দু ধর্মের (Adipurush Row) ভাবাবেগের ওপর আঘাত করেছে। আঘাত করেছে ভারতীয় সংস্কৃতির সনাতন ধর্মের ওপরও। হিন্দু দেবদেবীর প্রতি মানুষের যে ভক্তি-শ্রদ্ধা, তা এই ছবির মধ্যে দিয়ে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকার পর এবার মিশর সফরে মোদি, যাবেন আল হাকিম মসজিদে, কেন জানেন?

    মুম্বইয়ের একটি সিনেমা হলের নির্বাহী পরিচালক মনোজ দেশাই বলেন, “এই সিনেমা (Adipurush Row) বানানোর জন্য ওদের জেলে যাওয়া উচিত। ছবিটি হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। যারা ছবিটি তৈরির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে লেখক মনোজ মুনতাশির, তাদের জেলে পাঠানো উচিত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share