Tag: AMU

  • AMU: ১০৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল দীপাবলি উৎসব, বিলি হল মিষ্টিও

    AMU: ১০৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল দীপাবলি উৎসব, বিলি হল মিষ্টিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো চার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দীপাবলি (Deepawali) পালিত হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) প্রাঙ্গনে (AMU)। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু পড়ুয়ারা ২ হাজার ১০০টি দীপ জ্বালান। সঙ্গে দেন ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি। ১৯ অক্টোবর দীপাবলি উদযাপিত হয় নন-রেসিডেন্ট স্টুডেন্ট সেন্টারে।

    জয় শ্রীরাম লেখা (AMU)

    জানা গিয়েছে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন। তাঁরা জ্বালান ২ হাজার ১০০টি প্রদীপ। প্রদীপগুলি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে এক ঝলক দেখলেই বোঝা যায়, জয় শ্রীরাম লেখা। এএমইউ লেখাও ছিল। ২ হাজার ১০০ কিলো মিষ্টিও বিলি করা হয়। অনুষ্ঠানের মহিমা বাড়িয়ে তোলে রাতের আকাশে আতশবাজির রোশনাই। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক এম ওয়াসিম আলি স্বয়ং। তিনিও মিষ্টিমুখ করেন। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দু’টি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন বাইরের কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    পড়ুয়াদের বক্তব্য

    অনুষ্ঠানের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন সমাজবিজ্ঞান ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র আখিল কৌশল। বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) প্রশাসনের কাছ থেকে আগেই অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করার প্রস্তুতি। অখিল কৌশল বলেন, “এটি আমাদের সবার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।” তিনি বলেন, “এর আগে হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হোলি উদযাপনের অনুমতি পেয়েছিলেন। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। এটাই সুগম করে দিয়েছিল দীপাবলি উদযাপনের পথ।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে (Deepawali)।”  প্রফেসর ওয়াসিম আলি এই উদযাপনকে এএমইউয়ের ইতিহাসে প্রথম বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে দীপাবলির অনুষ্ঠান (AMU)।

  • Haryana Village: ঋষির অভিশাপে হরিয়ানার গ্রামে ৩০০ বছর ধরে পালিত হয় না হোলি

    Haryana Village: ঋষির অভিশাপে হরিয়ানার গ্রামে ৩০০ বছর ধরে পালিত হয় না হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঙের উৎসবের আর কয়েকটা দিনই বাকি। বিশ্বজুড়ে পালিত হবে হোলি (Holi)। ঠিক এই সময়ই পুরনো রীতি অনুযায়ী হোলি পালিত হবে না হরিয়ানার একটি গ্রামে (Haryana Village)। হরিয়ানার কৈথাল জেলার দুসেরপুর গ্রাম। গত ৩০০ বছর ধরে হোলি উৎসব পালিত হচ্ছে না এই গ্রামে। কেন জানেন? গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এর পিছনে রয়েছে এক ঋষির অভিশাপ। যে কারণে গ্রামে আজও পালিত হয়না হোলি। সারাদেশ রঙের খেলায় মেতে উঠলেও কৈথাল একেবারেই রঙহীন থাকে। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ কেউই মেতে ওঠেন না হোলিতে। হোলিকা দহনের দিনে এক ঋষির অভিশাপই গ্রামবাসীদের বিরত রেখেছে উৎসবের আনন্দ থেকে।

    কী বলছে জনশ্রুতি (Haryana Village)

    জনশ্রুতি আছে যে প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামবাসীরা হোলিকা দহনের জন্য কাঠ, ঘুঁটে এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করছিল। অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগেই গ্রামের কিছু যুবক তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যুবকদের এহেন আচরণ দেখে প্রতিবাদ জানান গ্রামের রাম সাধু নামে এক ঋষি। তিনি যুবকদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ঋষির কথা শুনতে চায়না। উপরন্তু ঋষির ছোটখাটো (Haryana Village) আকার নিয়ে মজাও করে। অপমানিত ঋষি এরপরেই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখনই গ্রামবাসীদের অভিশাপ দেন যে দুসেরপুরে আর কখনও হোলি উৎসব পালিত হবে না। যে ব্যক্তি হোলি উদযাপন করবে সে অভিশপ্ত হবে।

    কীভাবে মিলবে অভিশাপ থেকে মুক্তি?

    জানা যায়, তারপর থেকেই দুসেরপুরে আর কখনও হোলি (Holi) উৎসব পালিত হয়নি। আরও বলা হয় যে, ওই ঋষি অভিশাপের প্রতিকারেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি সেসময় হোলির দিন যদি গ্রামে কোনও গরু একটি বাছুর জন্ম দেয় অথবা কোনও শিশু জন্মায় তবেই গ্রামবাসীরা অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে (Haryana Village)। আজ ৩০০ বছর পেরিয়ে গেলেও কিন্তু হোলির দিন দুসেরপুরে কোনও বাছুর বা কোনও শিশু জন্মগ্রহণ করেনি।

  • AMU: প্রতিবাদ শুরু হতেই বদল সিদ্ধান্ত, হোলি উদযাপন হচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে

    AMU: প্রতিবাদ শুরু হতেই বদল সিদ্ধান্ত, হোলি উদযাপন হচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (AMU) হোলি উদযাপন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক দানা বেঁধে ছিল। প্রথমে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় হোলি পালন হবেনা সেখানে। পরে নিজেদের সিদ্ধান্তে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দিয়েছে, ক্যাম্পাসের ‘নন রেসিডেন্শিয়াল স্টুডেন্ট ক্লাব’ বা NRSCর হল-এ হোলি খেলা যাবে। তবে এই জন্য দুটি দিন এই উদযাপনের জন্য বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াসিম আলি

    এবিষয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) অধ্যাপক মহম্মদ ওয়াসিম আলি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘হোলি উদযাপনে আগ্রহী AMU-এর ছাত্রছাত্রীরা ১৩ এবং ১৪ মার্চ NRSC ক্লাবে এই উৎসব উদযাপনের অনুমতি পাবেন। এই ধরনের উদযাপনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্লাবটি খোলা থাকবে।’’

    অনুমতি চেয়েছিলেন পড়ুয়া অখিল কৌশল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) পড়ুয়া অখিল কৌশল, গত ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরের NRSC ক্লাবে হোলি খেলার জন্য অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু সেই অনুমতি না মেলায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এই সিদ্ধান্ত সামনে আসে। অনুমতি পাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্তকে অখিল কৌশল ‘ঐতিহাসিক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

    অনুমতি না দেওয়ার কী কারণ জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ

    এর আগে ক্যাম্পাসের ওই হল-এ হোলি খেলার (Holi) অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (AMU) হোলি সহ কোনও উৎসব উদযাপনের উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে নতুন কোনও ঐতিহ্য তৈরির জায়গা নেই এখানে। এরপরই সরব হতে দেখা যায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন স্থানীয় অখিল ভারতীয় কর্নিসেনাকে। তারা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। যাতে শহরের এডিএম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে হোলি খেলার অনুমতি দেন, তার জন্য তাঁরা আবেদন করেন। এরই মাঝে আলিগড়ের বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম সরব হন। তাঁকে রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা যায়। এই আবহে বিতর্ক দানা বাঁধতেই সামনে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া সিদ্ধান্ত।

LinkedIn
Share