Tag: Anemia

Anemia

  • Date molasses: শীত মানেই খেজুর গুড়! কতখানি উপকারী আর কাদের জন্য বিপজ্জনক?

    Date molasses: শীত মানেই খেজুর গুড়! কতখানি উপকারী আর কাদের জন্য বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ ফের নেমেছে। তাই রাজ্য জুড়ে শীতের (Winter) আমেজ। শীতের যেসব খাবার বাঙালির রসনা তৃপ্তি করে, সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে খেজুর গুড়। যার গন্ধে ও স্বাদে বাঙালি মজে থাকেন! পায়েস হোক কিংবা পরোটা, শীতের খেজুর গুড়ের (Date molasses) স্বাদ ও গন্ধ এই সময়ে বাড়তি উষ্ণতা জোগায়। কিন্তু খেজুর গুড় শরীরে কী প্রভাব ফেলে! কতখানি উপকার করে, নাকি এই খাবারে ক্ষতির পাল্লা বেশি ভারী! বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ের গুণ একাধিক। তবে ক্ষতির দিকটিও নজর দেওয়া দরকার। বিশেষত সকলের জন্য এই খাবার স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। কতখানি উপকারী খেজুর গুড়?

    শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটায় (Date molasses)

    খেজুর গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে আয়রন খুব প্রয়োজন। তাছাড়া, শরীরের এনার্জি ধরে রাখতেও আয়রনের দরকার। খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই শরীরে আয়রনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়‌।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    খেজুর গুড় লিভারের জন্য উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ে (Date molasses) রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান শরীরের জন্য উপকারি। এতে লিভার সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    হজমে সাহায্য করে (Date molasses)

    খেজুর গুড় হজম শক্তি বাড়ায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক টুকরো খেজুর গুড় খেলে হজম শক্তি বাড়ে‌। অন্ত্র সুস্থ থাকে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে খেজুর গুড়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় থেকে শরীর সহজে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম পায়। তাই এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়।

    ত্বক ভালো থাকে

    খেজুর গুড় ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় (Date molasses) ত্বককে মসৃণ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ কমাতে খেজুর গুড় বাড়তি সাহায্য করে।

    কাদের জন্য ক্ষতিকারক এই খাবার?

    খেজুর গুড়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখার একাধিক গুণ থাকলেও এর (Date molasses) বেশ কিছু দিক যথেষ্ট ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ে যথেষ্ট পরিমাণে শর্করা থাকে। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। শরীরে শর্করার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। 
    আবার, খেজুর গুড় দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় নিয়মিত খেলে স্থূলতার সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে, যাঁরা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই খাবার বাড়তি ক্ষতিকারক।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আয়রন ঘাটতি বেশি। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি (Iron deficiency) তৈরি হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো রোগ তৈরি করে। রক্তে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা হবে‌। রক্তকণিকা দেহের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে দেহের বিভিন্ন অংশের কার্যক্ষমতায় তার প্রভাব পড়ে‌। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বোধ তৈরি হয়। ফলে কোনও কাজ ঠিকমতো করা যায় না। হরমোনের ভারসাম্যেও প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, ত্বক, চুল, নখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতির দিকে নজরদারি জরুরি। এই সমস্যা থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? (Iron deficiency)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি বেশি। ১২ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রায় চার হাজার মেয়ের উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়‌। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই চার হাজার মেয়েদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ এত কম বয়স থেকেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও দেখা দিতে পারে‌। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রতি ৫ জন মেয়ের মধ্যে ৩ জনের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। গ্রামে কিন্তু প্রতি পাঁচ জন পিছু ২ জনের আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্রামের তুলনায় শহরের মেয়েদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশি হচ্ছে।

    কেন শহরের মেয়েরা আয়রনের অভাবে ভুগছে? (Iron deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরের বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাস আয়রনের ঘাটতি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। এগুলো অধিকাংশ জীবন যাপন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কম বয়সী মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি করছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা মোচা, থোর, ডুমুর, কাচকলার মতো সবজি নিয়মিত খান না। কিন্তু এই সবজিগুলির পুষ্টিগুণ অনেক। বিশেষত শরীরে আয়রনের জোগান দিতে এগুলি খুবই উপকারী। শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চটজলদি খাবার পছন্দ করেন। ন্যুডলস, হটডগের মতো খাবারে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং নানান রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারবেটিভ খাবার শরীরে নানান রোগের (Anemia) কারণ হয়ে ওঠে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত নানান ধরনের সবজি খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কলা, বেদানা, আপেলের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ এই ফলে আয়রন রয়েছে। তাছাড়া, বারো পেরোনোর পরে মেয়েদের আয়রনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে‌। তাই মেনুতে রোজ মাছ থাকা জরুরি‌। দুপুর অথবা রাতের মেনুতে রোজ মাছ রাখতেই হবে। মাছে থাকে আয়রন। এই ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হলে আয়রনের ঘাটতি কমবে। রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌ (Iron deficiency)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anemia: সন্তানের বয়স বারো পেরিয়েছে? কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত খেলে কমবে রক্তাল্পতার ঝুঁকি? 

    Anemia: সন্তানের বয়স বারো পেরিয়েছে? কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত খেলে কমবে রক্তাল্পতার ঝুঁকি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তানের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করেন অনেক বাবা-মা। ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে শরীরের বিকাশেও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে শিশুকালের মতোই বয়ঃসন্ধিকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছর বারো বয়স পেরলেই বাড়তি সজাগ থাকা জরুরি। কারণ এই বয়সের পর থেকেই শরীরে একাধিক হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায়। তাই শরীর ও মনের একাধিক নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে‌। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে দরকার বাড়তি যত্নের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালের সময় থেকেই অনেকে রক্তাল্পতার (Anemia) সমস্যায় ভোগে। বিশেষত মেয়েদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই বছর বারো পেরলেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। 

    কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Anemia)

    দিনে অন্তত চারটে খেজুর! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত চারটে খেজুর খাওয়া জরুরি। তাদের পরামর্শ, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের নিয়মিত খেজুর খাওয়া দরকার। তাহলে শরীরের একাধিক চাহিদা পূরণ হবে। খেজুর খেলে আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে এনার্জির জোগান দিতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দিনের যে কোনও সময় চারটে খেজুর খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল (Anemia)। 

    প্রাতঃরাশে থাকুক কলা! 

    প্রত্যেক দিনের সকালের জলখাবারে একটা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। নিয়মিত একটা কলা খেলে শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ হয়। এতে রক্তাল্পতার ঝুঁকি অনেক কমে‌ (Anemia)। 

    পাতে নিয়মিত থাকবে মোচা, আলু, ব্রোকলি, পালং শাকের মতো সব্জি! 

    শরীরে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত সবুজ সব্জি খেতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত টমেটো, আলু, পালং শাক, মোচা, ব্রোকলির মতো সব্জি থাকা জরুরি। এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে। শরীরের দূর্বলতা কমবে। ক্লান্তি ভাব থাকবে না (Anemia)। 

    মাছ খেতে হবে! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে আয়রনের জোগান বজায় থাকে। বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়। তাই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের রোজ মাছ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পাশপাশি মাছে থাকে ফসফরাস, ওমেগা থ্রি-র মতো উপাদান।‌ যা হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে‌ (Anemia)। 

    সোয়াবিন কমাবে ঝুঁকি! 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সোয়াবিন খেলেও আয়রনের ঘাটতি কমবে। সোয়াবিন একদিকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে আবার রক্তাল্পতার ঝুঁকিও কমাবে। তাই বারো বছর পেরলেই সন্তানের ডায়েটে নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ (Anemia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anemia: কত ধরনের রক্তাল্পতা হতে পারে? মুক্তিরই বা দিশা কী?

    Anemia: কত ধরনের রক্তাল্পতা হতে পারে? মুক্তিরই বা দিশা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাল্পতার সমস্যা অনেকেরই আছে। তবে এর প্রবণতা মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই রক্তাল্পতা অ্যানিমিয়া (Anemia) নামে পরিচিত। এটা কোনও রোগ নয়, একে একটি সমস্যা বলা চলে। সাধারণত রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা বা আরবিসি-র পরিমাণ কমলেই অ্যানিমিয়ার সৃষ্টি হয়। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের তরফ থেকে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রায় অর্ধেকের বেশি মহিলা এই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন। আর ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, পৃথিবীর প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।

    বিভিন্ন ধরনের রক্তাল্পতা (Anemia) এবং তার কারণগুলি কী কী?

    ১) লোহা বা আয়রনের অভাব জনিত রক্তাল্পতা: এটি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার একটি সাধারণ কারণ। মানব শরীরে আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, যেটি রক্তে উপস্থিত থাকে। শরীরে এই আয়রনের ঘাটতি হলেই লোহিত রক্ত কণিকা গঠনে ব্যাঘাত ঘটে। আর অ্যানিমিয়ার সৃষ্টি হয়।  
    ২) সিকেল সেল রক্তাল্পতা: এটি এক ধরনের বংশগত রক্তাল্পতার (Anemia) সমস্যা। এই ধরনের রক্তাল্পতায় শরীরে লোহিত কণিকার উৎপাদন অস্থিমজ্জায় উপস্থিত লাল রক্ত কণিকার গঠনের থেকে বেড়ে যায়। এর ফলেও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
    ৩) ভিটামিন এ-র অভাব জনিত রক্তাল্পতা: মানব শরীরে ভিটামিনের অভাব ঘটলে এই ধরনের ভিটামিন জনিত রক্তাল্পতা সৃষ্টি হয়। মানব শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ফোলেট এবং ভিটামিন বি-12 এর দরকার। এগুলির ঘাটতি হলেই সৃষ্টি হয় অ্যানিমিয়া।
    ৪) অ্যাপ্লাস্টিক রক্তাল্পতা: এটি একটি খুব অস্বাভাবিক রক্তাল্পতার উদাহরণ। মানুষের শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহিত কণিকা উৎপাদন করতে পারে না, তখন এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আবার কোনও সংক্রমণ, এইডস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, কিডনি রোগ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থেকেও এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

    সমস্যা (Anemia) থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

    প্রথমত, যাদের শরীরে লোহা বা আয়রনের ঘাটতি আছে, তাদের লোহা এবং ভিটামিন সি সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যেমন এর মধ্যে পালং শাক ও মুসুর ডাল, মটরশুঁটি, লোহা সমৃদ্ধ দানাশস্য ও বিনস, খাসির মাংস খুবই উপকারী।
    মেয়েদের ঋতুস্রাব ছাড়াও অন্যান্য কোনও কারণে যদি রক্ত ক্ষরিত হয়, তার উৎস খুঁজে সেটিকে বন্ধ করা দরকার। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    যাদের ভিটামিনের অভাবে রক্তাল্পতা আছে, তাদের ভিটামিন B12 এবং ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ  খাবার খেতে হবে। 
    চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যাদের এই সমস্যা গুরুতর অবস্থায় চলে গিয়েছে, তাদের অন্য ব্যক্তি দ্বারা রক্ত গ্রহণ ও কিডনি থেকে উৎপাদিত এরিথ্রোপয়েটিন হরমোন ইঞ্জেকশন দিলে লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ও দুর্বলতা কমে। 
    সিকেল সেল রক্তাল্পতার (Anemia) ক্ষেত্রে ডাক্তাররা ফলিক অ্যাসিড সম্পূরক এবং অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া ক্যান্সার রোগে ব্যবহৃত হাইড্রোক্সিউরিয়া নামক এক ওষুধ এই সিকেল সেল রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। যদিও সেটি ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই খাওয়া উচিত।
    টক জাতীয় ফল যেমন টমেটো, স্ট্রবেরি, তাছাড়া তরমুজ এবং গোলমরিচ-এর মধ্যে ভিটামিন C এর পরিমাণ বেশি থাকে, যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই এগুলির খাওয়া বাড়াতে হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Health: যক্ষ্মা থেকে রক্তাল্পতা, শিশু স্বাস্থ্যের খতিয়ান জানার কমিটিতে নেই শিশু চিকিৎসক!

    Child Health: যক্ষ্মা থেকে রক্তাল্পতা, শিশু স্বাস্থ্যের খতিয়ান জানার কমিটিতে নেই শিশু চিকিৎসক!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কৃমি, ক্ষীণদৃষ্টি কিংবা রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা, ভিটামিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা। শৈশব থেকেই যত্ন নিলে সুস্থ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্যের সেই কাজে (Child Health) সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন!

    কী পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Child Health)? 

    ভারতে রক্তাল্পতা, ভিটমিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। যার জেরে পরবর্তী কালে নানান শারীরিক সমস্যায় ভোগান্তিও বাড়ছে। তাই শিশুকাল (Child Health) থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। তাছাড়া শিশুরা কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য থাকলে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ করা সহজ হবে। তাই এই নজরদারির জন্য রাজ্য, জেলা, ব্লক স্তরে কমিটি গড়ে ওঠা দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানান সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজবে এই কমিটি। সম্প্রতি এমনই পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কৃমি, ভিটামিনের অভাব, রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা সহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে, সেই সব সমস্যা্র সমাধান করাই কমিটির কাজ হবে।

    বিতর্ক কোথায় (Child Health)? 

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মতো রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। কারণ, শিশু স্বাস্থ্যের (Child Health) জন্য তৈরি কমিটিতে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। প্রশ্ন উঠছে, শিশুরোগ চিকিৎসক ছাড়া, এই পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব? চিকিৎসক ছাড়া, রোগ বিশ্লেষণ, কতখানি রোগের প্রকোপ হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি কিংবা কীভাবে সমাধান করা যায়, সেই আলোচনা কি বাস্তব সম্মত হতে পারে? চিকিৎসক ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যাবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

    রাজ্যের তৈরি স্কুল হেলথ কমিটিতে কারা আছেন? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের তৈরি কমিটিতে আছেন আমলারা। যেমন, এই কমিটির রাজ্য স্তরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এছাড়াও রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব, নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের সচিব। মূলত সরকারের অধীনস্থ কর্মীদের দিয়েই কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কমিটিতে কোনও শিশু-স্বাস্থ্য (Child Health) বিশেষজ্ঞের জায়গা নেই।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    রাজ্য সরকারের এরকম কমিটি তৈরি আসলে সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল (Child Health)। তারা জানাচ্ছে, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিজ্ঞাপনের কাজেই লাগাচ্ছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে, এমন পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম-এর সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “শিশুরোগ চিকিৎসক অবশ্যই এই কমিটিতে থাকা জরুরি। তা না হলে, বাস্তবে কোনও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আসলে, সরকার পছন্দের আমলা দিয়েই সব কিছু চালাতে চাইছে। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে না।” আরেক চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর নেতা পূণ্যব্রত গুণ বলেন, “স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কি এই কাজ সম্ভব? বাস্তবে চিকিৎসক ছাড়া এই ধরনের কমিটি কীভাবে কাজ করতে পারে, তা জানা নেই! তবে এখন তো অনেক কিছুই হচ্ছে! সবটাই সরকারের পছন্দ মতো চলছে! কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে না।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anemia: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, অল্পেই ক্লান্তি বোধ! কারণ কি অ্যানিমিয়া?

    Anemia: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, অল্পেই ক্লান্তি বোধ! কারণ কি অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অ্যানিমিয়া এ দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই অধিকাংশ মেয়ে রক্তাল্পতার (Anemia) এই সমস্যায় ভোগে। আর তার জেরে পরবর্তীতে তাদের নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই অ্যানিমিয়া নিয়ে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি কমে। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিই কমাতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা।

    কী বলছে সমীক্ষা (Anemia)? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সি ৪৫ শতাংশ মেয়ে দেশে অ্যানিমিয়ার (Anemia) শিকার। আর ১৫ বছরের বেশি মহিলাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, দেশের অর্ধেকের বেশি মহিলা এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলারা একা নন, সংখ্যায় কম হলেও পুরুষরাও অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তাই দেশের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হল রক্তাল্পতা।

    কীভাবে বুঝবেন অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ায় (Anemia) আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ হাত-পা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। চামড়ার রং পরিবর্তন হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়া থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া হতে পারে ক্লান্তি বোধ। খুব সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হাঁটাচলা বা যে কোনও ভারী কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে না। এটা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।

    কোন ঘরোয়া পদ্ধতি কমাতে পারে এই সমস্যা (Anemia)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যা বেশি হলে অর্থাৎ, দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কমে গেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু কিছু ঘরোয়া খাবার ও পদ্ধতি প্রথম থেকেই মেনে চললে সমস্যা কমানো সম্ভব। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিসমিস জাতীয় ড্রাই ফ্রূটস খেতে হবে। কারণ, এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। দেহে রক্ত সঞ্চালন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে এগুলো খুব সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া দরকার। 
    এছাড়া, আপেল, আঙুর, বেদানা, কলা জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সব ফলে থাকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। যার ফলে, একদিকে রক্তাল্পতার সমস্যা কমে, আবার হাড় মজবুত হয়। তাই এই ধরনের যে কোনও একটি ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    নিয়মিত মাছ অথবা মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, এগুলোতে পর্যাপ্ত আয়রন শরীরে যায়। দেহে আয়রন ঘাটতি হলেই অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়বে। তাই যে সব খাবারে আয়রন আছে, তা নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Thalassemia Examination: সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে চান! গর্ভবতী হলে করাতেই হবে থ্যালেসেমিয়ার পরীক্ষা

    Thalassemia Examination: সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে চান! গর্ভবতী হলে করাতেই হবে থ্যালেসেমিয়ার পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে থ্যালাসেমিয়া ও সিক্‌ল সেল অ্যানিমিয়া— এই দুই রক্তের রোগে আক্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে জোর দিল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত স্তরের সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের ওই রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। গর্ভবতী হওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে হলে এবার থেকে থ্যালাসেমিয়া ও সিকল সেল রোগের পরীক্ষা করাতেই হবে।

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে গর্ভাবস্থায় পরীক্ষানিরীক্ষার সময় এই দুটি পরীক্ষা করাতে হবে সবাইকেই। পরীক্ষা পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। শহরের মোট পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল আইটিজিএমইআর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই পরীক্ষাগুলি করা হবে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, এতদিন গর্ভবস্থায় থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটেই করা হত। তবে এবার থেকে সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জন্যই এই পরীক্ষার নমুনা সংগ্ৰহ করা বাধ্যতামূলক করা হল। রাজ্যে বিপুল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    থ্যালাসেমিয়া একটি জিনঘটিত সমস্যা। সাধারণত বাবা মায়ের জিনে রোগটি প্রচ্ছন্ন থাকলেও শিশুর মধ্যে তা প্রকট হতে পারে।স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রক্তের সংগৃহীত নমুনা ঠিক তাপমাত্রায় রেখে তা তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে (টিসিইউ)। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ থেকে পাঠানো ওই নমুনার রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে দিতে হবে। প্রসূতির পরীক্ষায় যদি থ্যালেসেমিয়া পজিটিভ আসে, তখন স্বামীরও পরীক্ষা করা হবে। তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ এলে, গর্ভস্থ ভ্রূণের জিন পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদি দেখা যায়, ওই ভ্রূণও একই ভাবে আক্রান্ত, তা হলে ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানোর বিষয়ে বোঝানো হবে দম্পতিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share