Tag: Anti

  • Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ধর্মে হিন্দু। বর্ণে ব্রাহ্মণ। দেব-দ্বিজে তাঁর ভক্তির কথাও সুবিদিত (স্ব-উদ্যোগে বাড়িতে কালীপুজো, জগন্নাথের পুজো করেন ঘটা করে)। সেই তিনিই মুসলমানদের ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ আদায় করেন। নিন্দকরা বলেন, তাঁর এহেন ‘ছলাকলা’র এক এবং একমাত্র কারণ পশ্চিমবঙ্গের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট ঘাসফুল আঁকা (Reservations) ঝুলিতে পুরে যতদিন পারা যায়, ততদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে বসে থাকা যায়। তিনি এ (Anti Hindu Conspiracy) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন ‘হিন্দু’রই মুখোশ খুলে গেল ওবিসি সংরক্ষণকে ঘিরে। তিনি যে আদতে হিন্দু-বিরোধী, তাঁর ধমনীতে যে বইছে ‘মুসলিম প্রীতি’র লাল রক্ত, তা প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকারেরই একটি তথ্য।

    তোষণের রাজনীতি (Reservations)

    আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অতএব, ফের ক্ষমতায় ফিরতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অস্ত্র? সেই মুসলিম ভোটে শান দেওয়া। লক্ষ্য? তোষণের রাজনীতি করে ভোট বৈতরণী পার হয়ে নবান্নের তথা রাজ্যের সব চেয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ চেয়ারটি দখল করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় নয়া সংযোজনের ৮৬ শতাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক ও আইনসম্মত বলে সাফাই গাইলেও, বিজেপির অভিযোগ, এটি আদতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার ছক। পদ্ম শিবির একে ‘পেছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের সাফ কথা, ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিভিত্তিক কোটাকে তৃণমূল ব্যবহার করছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। গেরুয়া শিবিরের মতে, মুসলমানদের ওবিসি শ্রেণিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছেন তৃণমূলের ‘দিদি’। তারা একে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছে।

    কী বললেন মমতা

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটি অংশ মানুষকে ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নিয়ে (Reservations) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নতুন ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, যা পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (WBCBC) পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।” সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের পুনর্গঠিত ওবিসি তালিকায় ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওবিসি-এ বিভাগে ৪৯টি এবং ওবিসি-বি বিভাগে ৯১টি সম্প্রদায় রয়েছে। আরও ৫০টি সম্প্রদায়ের ওপর সমীক্ষা চলছে (Anti Hindu Conspiracy)।

    বিজেপির অভিযোগ

    এতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাজ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিকল্পিতভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নতুন ওবিসি অন্তর্ভুক্তিগুলি মূলত মুসলিমদের পক্ষে গিয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১০ সালের আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসে তখন পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি ওবিসি শ্রেণি ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১১টি মুসলিম (২০ শতাংশ)। আর ২০২৫ সালে নতুন যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৬৭টি মুসলিম, যা মোট নতুন অন্তর্ভুক্তির প্রায় ৮৮ শতাংশ (Reservations)। নয়া যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাতে রয়েছে দুটি ভাগ। একটি পার্ট এ। এতে রয়েছে ৫১টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ৪৬টি মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। শতাংশের বিচারে প্রায় ৯০ শতাংশ। আর পার্ট বি-তে রয়েছে ২৫টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ২১টিই মুসলমান। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৮৪ (Anti Hindu Conspiracy)।

    ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ!

    মালব্যর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচনী স্বার্থে ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ দিচ্ছে। তাঁর দাবি, ওবিসি তালিকায় এমন একটি বিধান রয়েছে যার ফলে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওবিসি মর্যাদার যোগ্য হয়ে পড়েন। তিনি এই বিধানকে বিপজ্জনক নজির বলে বর্ণনা করেন এবং একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিজার্ভেশন ব্যবস্থাকে ধর্মান্তরের পুরস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনী লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কৌশল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি স্পষ্টভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” মালব্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও তোলেন। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়কে বাড়তি সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, অথচ প্রকৃতপক্ষে পিছিয়ে পড়া হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের মধ্যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিরাও রয়েছেন, তাঁদের উপেক্ষা করা হচ্ছে (Reservations)।

    সুবিধা পাচ্ছে মুসলিমরা

    বিতর্ক আরও বাড়িয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃদ্ধির সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে নয়া সংযোজিত মুসলিম সম্প্রদায়গুলি। যার ফলে তারা রাজ্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও অনুপাতিক হারে বেশি সুযোগ পাচ্ছে। বিজেপির দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সংবিধানের সেই মূলনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, যেখানে বলা হয়েছে সংরক্ষণ শুধুমাত্র সবচেয়ে বঞ্চিতদের জন্যই প্রযোজ্য, রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্য নয় (Anti Hindu Conspiracy)। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করছে এবং সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। সংশোধিত ওবিসি সুপারিশগুলিতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ বা ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নেই। বিজেপির মুখপাত্রদের দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয় (Reservations)।

    একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্ব

    যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করে এসেছেন যে ওবিসি তালিকাটি ধর্মনিরপেক্ষ, তখন সমালোচকরা পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলিম হলেও, সম্প্রতি তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ৮৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এমন একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্বকে কেবলমাত্র কাকতালীয় ঘটনা বা পরিসংখ্যানগত বিচ্যুতি হিসেবে দেখানো যায় না। তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপটি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁদের অভিযোগ, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের ছদ্মবেশে মুসলিম গোষ্ঠীগুলিকে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হল হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির (Anti Hindu Conspiracy) প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করা।

    রাজ্যের মৌরসিপাট্টা

    বিজেপির মতে, এই সব ঘটনা কেবল রাজনৈতিক তোষণ নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ কাঠামোর মধ্যে হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির অবস্থান দুর্বল করার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে ভর করেই পর পর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বস্তুত, রাজ্যের মৌরসিপাট্টা এখন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাতে। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ফের তৃণমূল নেত্রী হাতে তুলে নিলেন তোষণের রাজনীতি নামক অস্ত্র। বরাবর যে অস্ত্রে শান দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে তাঁর ‘মাদার’ দল কংগ্রেস। যে দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের জন্ম দিয়েছেন তিনি (Reservations)।

  • Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ (Shri Ram Swabhiman Parishad)। পরিষদের সম্পাদক সুরজ কুমার সিং এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “পরিষদ শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে সুরজ বলেন, “শর্মিষ্ঠা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। পরে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

    গ্রেফতারের দাবি (Shri Ram Swabhiman Parishad)

    তিনি বলেন, “স্কাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা – যাদের দফতর পাকিস্তানের করাচিতে – তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এমনকী তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে, সার তন সে জুদা স্লোগান তোলা হয়েছে।” রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদি তিনি বিএনএসের ২৯৫এ ধারায় দোষী হন, তাহলে আইনের নিজস্ব গতিতে বিচার হোক। কিন্তু একজন হিন্দু হিসেবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমরা শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। তাঁর কিছু হলে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ দায়ী থাকবে। আজকের পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু ধর্মকে অপমানকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে, আর নিজের লোকেরা হচ্ছে নিশানা।”

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানান সুরজ। তিনি বলেন, “এই সংস্থাটি করাচিতে রেজিস্ট্রার্ড, যদিও এখানে (ভারতে) তাদের কাজকর্ম চালাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপের তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং তাঁর পরিবার ও লিগ্যাল টিমের পাশে থাকব (Sharmistha Panoli)।” প্রসঙ্গত, ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে।

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণ

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করেনি। এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিল। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, সে গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর (Shri Ram Swabhiman Parishad) জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে (Sharmistha Panoli)।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    এই ওয়াজাহাতই অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিল। ট্যুইটবার্তায় সে লিখেছিল, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুশকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও সে রয়েছে বহাল তবিয়তে (Shri Ram Swabhiman Parishad)।

    শাস্তিযোগ্য অপরাধ! 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি (Shri Ram Swabhiman Parishad)। বিজেপির এক নেতা বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে (Sharmistha Panoli)। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

LinkedIn
Share