Tag: Anubrata Mandal

Anubrata Mandal

  • ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে ঠিক দুর্গাপুজোর আগে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)। বেরিয়ে এসেছিলেন তিহাড় জেল থেকে। ফিরেছিলেন বাড়ি, মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে। বর্তমানে তৃণমূলের এই নেতা ইতিমধ্যে সক্রিয় রাজনীতিতেও নেমে পড়েছেন। তবে গরু পাচার মামলায় বিপদ যেন কিছুতেই কমছে না অনুব্রতর। এরই মধ্যে গরু পাচার মামলায় ফের অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। উল্লেখযোগ্য তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, শুধুমাত্র অনুব্রতর একার নয়, তাঁর আত্মীয়দের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও তাঁর সহযোগী সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    বাজেয়াপ্ত ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা (ED)

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ED) তরফে এক বিবৃতি দিয়েছে এবিষয়ে। সেখানেই জানানো হয়েছে, অনুব্রতর নামে থাকা ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত (ED)

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তখন থেকে জেলবন্দি ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁকে তিহাড় জেলে স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এবার তাঁর ৩৬ অ্যাকাউন্টের বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তারী সংস্থা ইডির (ED) দাবি, অনুব্রতর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত গরু পাচারের টাকা। সেগুলিই বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছিল এতদিন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখনও চলছে, শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক দল।

  • Suvendu Adhikari: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সাত সকালে তিক্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক আবহাওয়া। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় ৭ জানুয়ারি সিপিএমের দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহতদের স্মরণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বেনজির আক্রমণ করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। পালটা শুভেন্দুর হুমকি, “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সূর্যোদয়ের আগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান ছিল তৃণমূলের। সেখানে হাজির ছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম করে কুমন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তৃণমূলের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর বিজেপির শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শেখ সুফিয়ানকে পালটা আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এখানে তারাচাঁদবাড়ের একটা চোর এসেছিল একটু আগে। জাহাজ বাড়ি করেছে। অসংখ্য বউ। সকালবেলা অনেক গালাগালি করে গেছে। দেবব্রত মাইতির খুনের মামলায় শর্তাধীন জামিনে আছে। আমি যার দিকে তাকাই ধ্বংস হয়ে যায়। শাহজাহান ধ্বংস হয়েছে। কেষ্ট ২ বছর জেল খেটেছে। তারাচাঁদবাড়ের এই চোরটাকে আমি বলে গেলাম তোমার অবস্থা আমি কী করব দেখে নেবে। দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ

    ওড়িশার বিজেপি সরকার জঙ্গল থেকে বাঘ ছেড়ে দিচ্ছে। আর সেই বাঘ ধরতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁকে সংযত বক্তব্য রাখার পরামর্শ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এমন কিছু বলবেন না যাতে বাঙালি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই।” মমতাকে তাঁর পরামর্শ, ‘উনি তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। আমি ওঁকে বলব, আপনি কান দিয়ে দেখবেন না। চোখ দিয়ে দেখুন। আপনার কাছ থেকে মানুষ এই ধরণের কথা আশা করে না। আপনার অনেক বয়স হয়েছে। আপনি এই ধরণের কথা বললে লোকে হাসে। আমরা আপনার বিরোধী, কিন্তু আমরা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যদি ওড়িশার লোক খিল্লি করে যে আমরা বাঘ ছেড়ে দিচ্ছি, এটা পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে গায়ে লাগে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, এমন কিছু বলবেন না যাতে বাঙালি হিসাবে আমরা লজ্জিত হই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bibhas Adhikari: অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারীকে ফের তলব করল সিবিআই

    Bibhas Adhikari: অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারীকে ফের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারীকে (Bibhas Adhikari) ফের তলব করল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় নতুন তথ্য পেতেই কি এবার ডাক? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতারের পর থেকেই বিভাসের নামের গুঞ্জন উঠেছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা এবার চলতি সপ্তাহেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকেছেন তাঁকে। যদিও অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।

    কুন্তলের মুখে নাম উঠেছিল বিভাসের (Bibhas Adhikari)

    তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই গ্রেফতার করেছে। জেরায় প্রথম তাঁর মুখেই প্রকাশ হয় বিভাসের নাম। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরপর বিভাসের নাম নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলেছিল। রাজ্যের বেসরকারি বিএড-ডিএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বিভাস (Bibhas Adhikari)। তিনি মানিক ভট্টাচার্যের খুব কাছের বলে পরিচিত। শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে আগেও বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দিতে হয়েছিল। গত ১৫ নভেম্বর তারিখে শেষ বার সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেষ্ট গ্রেফতার হতেই তৃণমূল ছেড়ে দেন

    প্রাথমিক মামলার তদন্তে বিভাসের (Bibhas Adhikari) নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতায় শিয়ালদা অফিসের ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে নলহাটিতেই নিজস্ব বিএড এবং ডিএড কলেজ রয়েছে। এমনকী কালজেগুলির মালিকানা সত্ত্বা তাঁর নিজের নামেই। এক সময় বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে খুব সখ্যতা ছিল। কিন্তু গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফেতার হতেই কেষ্টর সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকী তৃণমূল করাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপর নিজের উদ্যোগে ‘অল ইন্ডিয়া আর্য মহাসভা’ নামে একটি নতুন দল তৈরি করেন। গতকাল আমাদের সংবাদ মাধ্যম বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কোনও সাড়া দেননি।

      

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা, গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল?” সং সেজে গানে প্রতিবাদ

    Birbhum: “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা, গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল?” সং সেজে গানে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানুর, কীর্ণাহার (Birbhum) সরগরম কেষ্ট মণ্ডলের তিহারবাস আর জেলযাত্রা নিয়ে সং-এর গানে। নানুর বিধানসভার কীর্ণাহারের দাসকল গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের ধূলোট উৎসবে এক অভিনব “সং”-এর দল দেখা গেল, যেখানে গানের মধ্যে উঠে এল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্ট মণ্ডলের তিহার জীবনের কথা। এমনকি হাস্যরসাত্মক সুর দিয়ে “সং” শিল্পীরা তুলে ধরলেন দুর্নীতির প্রসঙ্গও। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    কেন গান (Birbhum)?

    বাংলা শিল্প, সৃষ্টি, কৃষ্টির ভূমি। সমাজ জীবনে ঘটে চলা বিষয়কে নিয়ে বাঙালি সর্বাদা শিল্প-নাটক-নৃত্য গান ও কলমের ভাষায় প্রতিবাদ করে থাকে। ঠিক এমনটাই করল গ্রামীণ “সং” গানের শিল্পীরা। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডল (Birbhum) আর দুয়ারে উন্নয়ন-এই দুই স্লোগান নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার শাসক দলের। আর এই দুই স্লোগানকে গানের সুরে তীব্র কটাক্ষ করে গ্রামের মানুষের মনোরঞ্জন করলেন একদল গ্রামীণ শিল্পী। প্রত্যেকেই মহিলা সেজে গান পরিবেশন করেন। “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল? “সং” সেজে গানে প্রতিবাদ দেখা গেল।

    প্রতিবাদের ভাষা “সং”

    তবে এমন একটা সময় ছিল, যখন এখনকার মতো ডিজিটাল বিনোদন আর মুঠো ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ছিল না। মানুষ যাত্রা, নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাস্যরসের বন্যা বইয়ে দিত “সং”সেজে। যেখানে তিনদিনের হরিনাম-সংকীর্তন শেষে ধূলোট উৎসবে “সং” সেজে দল বেঁধে হাস্যরসাত্মক গান শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিলেন গ্রামেরই গৌতম মণ্ডল, পরেশ চট্টরাজ, বাপি কর্মকার, দ্রুপদ ব্যানার্জি, লালু মাঝিরা। তবে “সং” মানেই কটাক্ষ, “সং” মানেই হাস্যরস। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কেষ্ট মণ্ডল বা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও, “সং” পরিবেশনের বিষয়টা পুরোটাই ছিল অ-রাজনৈতিক। কিন্তু “সং” এর গানে ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতার কথাই।

    শিল্পীরা কী বলেছেন?

    শিল্পীরা (Birbhum) বলেন, সমাজে যা দেখেছি আর তাই নিয়ে গান বানিয়েছি। নাম সংকীর্তনের পাশাপাশি এই গান করে থাকি। শুধুমাত্র মানুষের মুখে হাসি আনতে আমরা পরিবেশন করি। বর্তমান সমাজে হাসি আর সুখের অভাব, তাই সাময়িক বিনোদনের চেষ্টা করে থাকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া জনরঞ্জন কেন্দ্রের মাঠে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার প্রার্থনা জানান তিনি। অন্যদিকে রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে কী বললেন (Nadia)?

    শান্তিপুরে (Nadia) নির্বাচনী সভায় দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই আধ ঘণ্টা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমেই দিনহাটায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। শুভেন্দু বলেন, গোটা রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিন ধুপগুড়িতে একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    বীরভূমের সভায় ফোনে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? কী জবাব দিলেন শুভেন্দু?

    উল্লেখ্য বীরভূমের একটি জনসভায় নিজে হাজির না থাকলেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেন, প্রায় এগারো মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রেখেছে সিবিআই ও ইডি। এমনকী তার মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছে! ওর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতে প্রমাণ করুন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একা টাকা খায়নি, সেই টাকা পৌঁছে যেত কালীঘাটে। ২৫-৭৫ এর ভাগাভাগি ছিল তাদের মধ্যে। এখন যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে সব বলে দেয়, তাহলে দিদিও গারদে যাবে। সেই কারণেই তার গুনগান গাইছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুব্রতকে ক্লিনচিট দেওয়ার প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ!

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেন, যে সব রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে, সেখানে দুই হাজার টাকা কেন! অন্তত এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো! আর সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, ভাইপো এর আগেও একাধিকবার রাজনীতি ছেড়েছেন। উনি বলেছিলেন অর্জুন সিং জিততে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! নন্দীগ্রামে আমি যদি জিতে যাই, তাহলেও রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উনি রাজনীতি ছাড়েননি।

    সিপিএম সম্পর্কে বিস্ফোরক

    অন্যদিকে এই সভা (Nadia) থেকে সিপিএমকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। মহঃ সেলিম অভিযোগ তোলেন ১৪ বছর আগে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএম নেতাদের খুন করা হত। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেলিম হচ্ছে তৃণমূলের দালাল।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। বাড়িতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়। সামান্য বেতনের একজন চাকরিজীবী হয়ে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কে এই বিদ্যুৎবরণ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। ২০০৮ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। পরে, পদোন্নতি হয়ে গাড়ির চালক হন। বুধবার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে অস্থায়ী শিবির করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা রয়েছেন। মূলত অনুব্রতর জাল কতদূর পর্যন্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করতেই এদিন সিবিআই হানা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎবরণ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। অনুব্রতর ক্ষমতা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁকে সব সময় দেখা যেত। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। পরে, তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবার সিবিআই আর তাঁকে সময় দেয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতে দুজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা জেলার কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করেছেন। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই লেনেদেনের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবি জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবি জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের জেরে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারকে বদলের দাবি জানালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার বালুরঘাটে মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে শুধু থানার আইসিকে বদল করলে হবে না। কারণ, এই ঘটনার জন্য শুধু আইসি একা দায়ী নয়। পুলিশ সুপারও সমান অপরাধী। এরকম ঘটনা তিনি বার বার ঘটাচ্ছেন। তাই পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামীদিনে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের (পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হওয়া যুবক) পরিবারও আদালতে যাবে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জের আইসি দীপাঞ্জন দাসকে শিলিগুড়ি জিআরপিতে বদলি করা হয়েছে। আর শিলিগুড়ির জিআরপি ইন্সপেক্টর সুবলচন্দ্র ঘোষকে কালিয়াগঞ্জের আইসি করা হয়েছে।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করলেন কেন?

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আমরা তৈরি আছি। সরকার যখন পঞ্চায়েত ভোট করতে চাইবে, আমরা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। আমরা  চাইছি, পঞ্চায়েত ভোট এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া এখানে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব না। কারণ, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের প্রার্থীর  নির্বাচনে ব্যালট বক্স লুঠ করে নিচ্ছে। তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন হবে, তখন তো ওরা ব্যালট বক্স লুঠ করতে আসবে। যদিও যেখানে আমরা শক্তিশালী সেখানে লুঠ করতে এলে আমরা ছেড়ে দেব না। তার ফলে কিছু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হবে। আমরা সেটা চাইছি না। তারপরও  কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হলে প্রতিরোধ হবে। বহু জায়গায় গণ্ডগোল হবে।

    অনুব্রতকে নিয়ে কী বললেন?

    গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার মেয়ে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এদিন অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল নয়, এই রাজ্যে বহু তৃণমূল নেতার সপরিবারে জেলযাত্রা হবে। আগে পূণ্য করতে পরিবারের সকলকে নিয়ে মানুষ তীর্থযাত্রা করতেন। আর এই জমানায় তৃণমূলের যারা চোর রয়েছে, তারা সপরিবারে জেলে যাবে, তৃণমূলের পাপের প্রায়শ্চিত করতে। তৃণমূল করলে এভাবে জেলেই যেতে হবে।

    মন কি বাত অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের তপন বিধানসভার অন্তর্গত ঠাকুরপুরার জোতগোপাল ১৩৭ নম্বর বুথে মন কি বাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলইডি প্রজেক্টরের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনানো হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরায় টুডু, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রায় শতাধিক গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মন কি বাত নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে এবং সমগ্র উত্তরবঙ্গে যেভাবে আদিবাসী সমাজ ও রাজবংশী সমাজকে অপমান করা হচ্ছে, আমরা তার প্রতিবাদে এই সমাজের মানুষদের একত্রিত করে মন কি বাত শুনলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mandal: অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ, বাজারমূল্য কত জানেন?

    Anubrata Mandal: অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ, বাজারমূল্য কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার তাঁদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলল। জানা গিয়েছে, বোলপুর শহরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪০ কাঠা জমির কাগজ সামনে এসেছে। আর এবার সরকারি খাতায় উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির হিসাব। আর এই সমস্ত জমি রয়েছে বোলপুর পুরসভা এলাকায়।

    বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কবে কেনা হয়েছে, জানেন?

    বোলপুর পুরসভা এলাকায় প্রত্যেক কাঠা জমির দাম ৭ লক্ষ টাকা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪০ কাঠা ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এই সকল জমি কেনা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। এমনকী ২০১৪ সালে একই দিনে ৭ টি জমি রেজিস্ট্রি হতে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। সুকন্যা মণ্ডলের এই ১২০ কাঠা জমির বাইরেও  শিবশম্ভু রাইস মিলে রয়েছে তাঁর জমি। এই রাইস মিলের নামেও বেশ কিছুটা সম্পত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এখন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। আদালতে পেশ করার সময় ইডি এই নথিও সামনে আনতে পারে।

    এত জমি কেনার কারণ কী?

    মনে করা হচ্ছে, গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা এভাবেই জমিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, এই বেশিরভাগ জমি ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই জমিগুলি শুধুমাত্র বিনিয়োগ করার কাজেই লাগানো হয়েছে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। একজন সাধারণ মাছ ব্যবসায়ী থেকে কেষ্টর (Anubrata Mandal) রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা এবং তাঁর সামান্য শিক্ষিকা মেয়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দেখে চক্ষু চরক গাছ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সামনে আসতেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে যা সম্পত্তি রয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তাঁরা তাদের বিভিন্ন আত্মীয়র নামে বিনিয়োগ করে রেখেছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন উঠছে, যদি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও তাঁর কন্যারই শুধুমাত্র বোলপুর শহরে ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে কত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেটাই এখন তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট কোথায়? অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জনসভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চড়াম-চড়াম, নকুল দানার খাওয়ানোর কথা বলতেন। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতেন না। এখন তিনি কোথায়? কর্মী, সমর্থকরা চিত্কার করে বলে তিহারে। এরপর তিনি মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি- ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিং কে ডি আই জি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিংহ তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব”।

    এনআরসি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    সাগরদিঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা শাসক দল তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের এখন নড়বড়ে অবস্থা। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এই অবস্থায় এবার মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামে সৌজন্য ও সম্প্রীতি জনসভা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এদিনের জনসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও আসামের উদাহরন দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানায় বগটুই গ্রামের মানুষকে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভায় সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামা পদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)  বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা বুথ আগলে রাখুন। আর তোলামূলকে একটাও ভোট নয়। শুধু তাই নয়, তিনি নো ভোট টু মমতা লেখা গেঞ্জি মঞ্চে সকলের সামনে পড়েন। তিনি আরও বলেন,”সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    Madan Mitra: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কালারফুল বয়। ইদানিং তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাতে ডোন্ট কেয়ার। নিজের মতো করে খোশমেজাজে থাকেন শাসক দলের দাপুটে এই কালারফুল নেতা (Madan Mitra)। অনুব্রতহীন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেমন হবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই জোর চর্চা চলছে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, অনুব্রতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁচ্ছে ছিল যে ও নেই মানে অনেকেই ধরে নিয়েছে বীরভূমে আমরা হেরে যাব। এটা বলতে পারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম সব থেকে ভাল রেজাল্ট দেবে। আমি তো নির্বাচনের সময় ওই জেলায় যেতে পারব না। তবে, দল অনুমতি দিলে আমি বীরভূমের সীমান্ত পর্যন্ত যাব। দল আমাকে ঢোল দিলে আমি বীরভূম সীমান্তে দাঁড়িয়ে চড়াম চড়াম করে ঢোল বাজাব। অনুব্রতের মতো করে এসব কথা বলে ভোটের  কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের কী দেওয়ার কথা বললেন মদন মিত্র?

    অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গুড় বাতাসা, নকুল দানা, চড়াম চড়াম সহ নতুন নতুন অনেক শব্দে রাজনীতির ময়দানে আমদানি হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নেতা কর্মীরা নয় বিরোধী দলের নেতারাও এই সব শব্দ ব্যবহার করে অনুব্রতকে বার বার কটাক্ষ করেছেন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, পঞ্চায়েতে দল যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে যাব। গুড় বাতাসা খারাপ জিনিস নয়। গরমে গ্রামের মানুষকে এখনও গুড় বাতাসা দেওয়া হয়। তবে, পঞ্চায়েতে আমাদের যে সব কর্মীরা গরমের মধ্যে দলের হয়ে খাটবেন, তাদের জন্য গুড় বাতাসা নয়, মিনারেল ওয়াটার দেব। চিলড ওয়াটার দেব। আর অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্যান্ত বাঘের থেকে জখম বাঘ অনেক ভয়ানক। ওরা (পড়ুন বিজেপি) যদি মনে করে একজন অনুব্রতকে আটকে রাখলেই বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যে একটিই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। ফলে, বিজেপি যে স্বপ্ন দেখছে তা সফল হবে না। আর অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    সাগরদিঘিতে দলের ভরাডুবি নিয়ে তিনি (Madan Mitra) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম জোট হয়েছিল। রাজ্যে একটি আসন নেই। মানুষের কাছে সহানুভূতি চেয়ে ভোট আদায় করেছে। কার ভোট কোথায় গিয়েছে তা রেজাল্টে তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এসব জোট করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share