Tag: anubrata mandol

anubrata mandol

  • Mamata Banerjee: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    Mamata Banerjee: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আজ, সোমবার  বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তোরণে তোরণে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বীরভূমের নানা প্রান্ত। সেখানে বড় বড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, একাধিক জনপ্রতিনিধির ছবি। কিন্তু ব্রাত্য অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আপাতত জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই তাঁকে দূরে রেখেই কী পরিকল্পনা সারতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? প্রশ্ন বোলপুরের অলিতে গলিতে।

    দূরত্ব বাড়ছে!

    জেলার বাসিন্দাদের কথায়, বীরভূমের যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের প্রচারে অনুব্রতর ছবি থাকা কার্যত নিয়ম ছিল। সেই বোলপুরেই এবার ব্রাত্য একদা দিদির স্নেহ ধন্য কেষ্ট। কখনও জনসভা, কখনও প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বারেবারেই অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে দলনেত্রীকে। এমনকি বহু বার জেলা সফরে এসেও অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন মমতা। এর আগে গত বছর মার্চে বগটুইয়ের ঘটনার পরে পরেই মমতা বীরভূম সফরে এসেছিলেন । তখনও দলের জেলা সভাপতি তথা তাঁর স্নেহের কেষ্টকে পাশে পেয়েছিলেন দলনেত্রী। কিন্তু এখন জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এখন তিনি জেলে। তাই অনেকের মতে, দলীয় প্রচারে অনুব্রতর ছবি তোরণে থাকলে জনমানসে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সেকারণেই ফ্লেক্স থেকে উধাও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রভাবশালী তকমা এড়াতে!

    অনেকের মতে, আসলে তৃণমূলের কর্মসূচির তোরণে যদি জেলবন্দির অনুব্রতর ছবি থাকে তবে প্রভাবশালী তকমায় ফের ভূষিত হতে পারেন তিনি। এর জেরে অনুব্রতর জামিন পেতে সমস্য়া হতে পারে। সেকারণেই তোরণ থেকে সুকৌশলে জেলবন্দি অনুব্রতর ছবি সরিয়ে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁকে বীরের আখ্যা থেকে শুরু করে নানা রকম আখ্যা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কোনও কিছুতেই কিছু না হওয়ায়, আজ দল থেকে ছেঁটে ফেলতেই ফ্লেক্স থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ কাজ অনেক আগেই করা উচিত ছিল তৃণমূলের।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    Anubrata Mondal: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাকাতকে বাঁচাতে চোরেদের সরকার যা করছে তাতে তাদের বিপদ বাড়ছে বই কমছে না। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘‘ শাসক দলের নেতারা যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তারা কেউ পার পাবে না। তিহার জেল যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। অপেক্ষা করুন।’’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকাতেই পুরনো ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

    পুলিশ হেফাজত অনুব্রতের

    সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে ( ED ) অনুমতি দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট। আর ঠিক সেইদিনই এক বছর আগের খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন এই তৃণমূলকর্মী। যার প্রেক্ষিতে বীরভূমের ( Birbhum ) জেলা তৃণমূল সভাপতিকে মঙ্গলবার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এর ফলে আপাতত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি।

    কী বলছেন আইনজীবীরা

    দিল্লি এড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে কি নিজের জালে নিজেই ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা, এমনটাই মত আইনজীবীদের। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, পুলিশি হেফাজতে থাকলে অনুব্রতকে এখনই দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। এবং সেই সময়ের ফাঁকে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাতে পারবেন অনুব্রতের কৌঁসুলিরা। তবে এর ফলে কার্যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হল বলে আইনজীবী শিবিরের বড় অংশের অভিমত। তাঁদের মতে, অনুব্রত যে প্রভাবশালী, সেটা বোঝাতে এ বার কোর্টে এই ঘটনাকেই হাতিয়ার করতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কৌঁসুলিরা। এটাও বলা হবে যে, তাঁকে ঠেকাতে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনও তৎপর! দিল্লি গেলে যে সমস্যা হবে এবং তাতে সমস্যা যে রাজ্য সরকারেরও, সেটাই কার্যত প্রমাণিত হচ্ছে। তবে এ ভাবে দিল্লি যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে সমস্যা বাড়তেই থাকবে। এতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থারই হাত শক্ত হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: পুলিশের আড়ালে পুলিশমন্ত্রীই কী এবার সান্টা ক্লজ অনুব্রত মণ্ডলের?

    দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত

    গরুপাচারকাণ্ডে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল।  সোমবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল অনুব্রত। কিন্তু এতে খুব একটা লাভ হবে না বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। 

    কী করবে ইডি

    পুলিশ হেফাজতে থাকা অনুব্রতকে কীভাবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে? পুরো বিষয়টা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশ জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশনামার কপি আসানসোল জেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। ২৭ ডিসেম্বর, ফের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। ওইদিন ইডি-র অফিসাররা আদালতে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মমতা। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। এদিন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। 

    দলের হেভিওয়েট দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam)। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)। দুজনকেই প্রথমে তলব করেছিল সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার। এদিনের সমাবেশে সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনব। তারা চায়, তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও গ্রেফতার করতে। এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, এসো, আমাকে গ্রেফতার কর, যদি পার। আমি জেল থেকে বিজেপিকে গোহারা হারাব। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এর পর ওরা মলয় (ঘটক) এবং ফিরহাদ (হাকিম)কে গ্রেফতার করতে চায়। অভিষেককেও…। মমতা বলেন, অভিষেককে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রীকেও। আমি বলছি, এমনকী তাদের ছেলেকেও নোটিশ পাঠাবে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    দিল্লি দখল যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য এদিন তাও গোপন করেননি মমতা। বলেন, আমার মূল লড়াই দিল্লির জন্য। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াব। ২০২৪ সালে বিজেপিকে আমরা দিল্লি থেকে দূর করব। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি লোকসভা নির্বাচন জিততে চায় প্রত্যেকে জেলের ভিতরে রেখে। আমি বলছি, তোমার যদি ধৃষ্টতা থাকে, তাহলে আমাকেও জেলে ঢোকাও। আমরা দেখব, নির্বাচনের ফল কী হয়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমরা লড়াই করব, এবং আমরা জিতব এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব।           

    তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলের জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং মহিলাদের ওপর নৃশংসতার বিরোধী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর রাজ্যেই মহিলা পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। পরেরটা ক্রমশ প্রকাশ্য। অনুব্রতের চালকল, তার ভিতর বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পাওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কটাক্ষ, “অনুব্রত মণ্ডল অনেক বড় নেতা। সুতরাং ওনার ওয়েব সিরিজ অনেক লম্বা হবে। এখনও পর্যন্ত যেটা আপনারা দেখেছেন সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। এরকম প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে।”

    শনিবার উলুবেড়িয়ার (Uluberia) রঘুদেবপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুকান্ত। পদযাত্রাতেও সামিল হন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সাধারণ ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে যে সব গল্প শুনেছি তাতে তোলাবাজি হয় তা জানতাম। কোটিতে তোলাবাজি হয়, দামী দামী গাড়ি তোলাবাজি করে নিয়ে নেওয়া হয় শুধুমাত্র মাদক কেসের ভয় দেখিয়ে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। বাংলার কী অবস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক একজন নেতা ডাকাতের থেকেও বড় অপরাধী হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূলকে বিষাক্ত দল অ্যাখ্যা দিয়ে সুকান্ত আরও বলেন, “এইভাবে এই দলের নেতারা মানুষকে দিনের পর দিন শোষণ করে গেছেন। সমাজের বিষ তাঁরা। তাঁদের থেকে সমাজকে বাঁচানো একান্ত প্রয়োজন। তৃণমূল দলটাই আমাদের সমাজে পলিটিক্যাল পয়জন হয়ে গেছে। এই বিষকে পলিটিক্যাল সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া উচিত। না হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ, পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য কোনওটাই বাঁচবে না।”

    আরও পড়ুন: আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    অনুব্রতকে এদিন ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।  তিনি সিবিআইকে (CBI) তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন এমনটাই আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ প্রসঙ্গে অনুব্রতকে ‘চোর’ কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোর কোনও দিন নিজে বলে নাকি যে আমি চুরি করেছি। চোর তো ভালো কথাই বলবে। এইরকম আরও প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে। উনি সহযোগিতা করবেন না। চোর কোনওদিনও পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করে না। এটাই স্বাভাবিক। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তা হলে আঙুল বাঁকা করতে হবে ঘি ওঠানোর জন্য। তবেই সব ঠিক হয়ে যাবে।” 

    মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “বাংলার মানুষের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে আমি যখন বোলপুরে ছিলাম সেখানকার সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস বারবার প্রমাণ করেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন চোরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষ সেটাকে ভালোভাবে নেয়নি।”

  • Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এবার পেল রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকেও। এঁদের নামেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ নথিভুক্ত সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতের পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সব মিলিয়ে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২টি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর চেয়েও বেশি, ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামে রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    অনুব্রতর দেহরক্ষী ছিলেন সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সায়গলের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭টি। নথিভুক্ত সম্পত্তির বিচারে কম যান না বোলপুর পুরসভার কর্মী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও (Bidyut Baran Gayen)। তাঁর নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামেও রয়েছে ২টি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গায়েন পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪টি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। কমল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে ১৮টি নথিভুক্ত সম্পত্তি।

    আরও পড়ুন : বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    বুধবারই রাজ্যের চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এদিনও গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠকে। তিনি বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর তৃণমূলের বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু। জেলায় তিনি অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অসঙ্গতি মেলায় প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে। এদিন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share