Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Sukanya Mondal: পাঁচবারে কোটি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন বাপ-বেটি! কালো টাকা সাদা করতেই কি?   

    Sukanya Mondal: পাঁচবারে কোটি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন বাপ-বেটি! কালো টাকা সাদা করতেই কি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারির টিকিট কাটার নেশা অনেকেরই থাকে! রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা এক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারেন তাঁদের কাছে। কারণ বিগত ৩ বছরে পাঁচবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট ও সুকন্যা (Sukanya Mondal)। ঘরে ঢুকেছে প্রায় ২ কোটি টাকা। এমন কপাল ক’জনেরই বা হয়। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, রাজ্যে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ লটারির টিকিট কাটেন, সেখানে কখনও একই পরিবারের সদস্যরা কিংবা গরুপাচারে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বারবার লটারির পুরস্কার পাচ্ছেন কী করে? এর নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে? এবার সুকন্যাকে জেরা করে কি সেই রহস্য উন্মোচন করতে পারবে ইডি? প্রশ্ন সকলের।

    জানুন মণ্ডল পরিবারের লটারি জেতার গল্প

    গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের গোড়ায় অনুব্রত ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। সে খবরে রাখঢাক ছিল না। ডিয়ার লটারির বিজ্ঞাপনেই নাম বেরিয়েছিল বিজেতার। সে খবরে হইহই পড়ে গিয়েছিল। প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন ব্যাপারটা ফেক। ফটোশপ করে বোধহয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাজারে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় সবটা। লটারি জেতা নিয়ে তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় কেষ্টর জবাব ছিল, “পেলেও আমি, দিলেও আমি। তাতে তোমাদের কী?”
    এভাবে বাপ-বেটিতে লটারি জেতার অন্তত পাঁচ বারের হিসাব পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, শেষ তথা পঞ্চম বার সুকন্যা মণ্ডল লটারিতে জেতার পর তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সম্ভবত আয়কর বাদ দিয়েই তা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি সূত্রে খবর, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আরও দুটি লটারির টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। যার পরিমাণ ৫১ লক্ষ টাকা। তা ছাড়া ২০১৯ সালে অনুব্রত একটি লটারিতে ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকার হিসাবও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে।
    সিবিআই তদন্ত করে দেখছে, সত্যিই কপাল জোরে লটারি জেতা নাকি ধারাবাহিক লটারি জয় আসলে একেবারে সাজানো চিত্রনাট্য। লটারির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করবার খেলা বহু দিন ধরে চলছে। কারণ লটারি জিতলে মোটা টাকা কর বাবদ দিতে হয়। লটারির টিকিট খুবই সহজে হস্তান্তরযোগ্য। মানে যাঁর কাছে সেই টিকিট থাকে তিনি পুরস্কারের টাকা পান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি লেনদেন হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল কিনা খুঁজে দেখছে ইডি-সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই। এবার গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal)। বুধবার সন্ধ্যায় ইডি (ED) গ্রেফতার করে তাঁকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। তার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা।

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়েকে জেরা…

    কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যাকে প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। সুকন্যা জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, সেই কারণেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সুকন্যা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। আয়ের সঙ্গে মিল নেই তাঁর বিপুল সম্পত্তির। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সুকৌশলে গরু পাচারের টাকা রাখা হচ্ছিল সুকন্যার ভাণ্ডারে? কেবল অনুব্রত নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই মামলায় একে একে গ্রেফতার করে অনুব্রতর সঙ্গীদের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশকে। এবার গ্রেফতার করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিকে, বাবা-মেয়ে দুজনেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় খাঁ খাঁ করছে বীরভূমে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বাড়ি। বাড়ির প্রহরায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। কিছুদিন আগেই দলীয় কর্মীদের সুকন্যার খোঁজ-খবর নিতে বলেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পার্টির কেউ পাশে না থাকায় ঘনিষ্ঠ মহলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন সুকন্যা। এবার তিনিও চলে গেলেন গারদের অন্তরালে। পার্টির লোকজন কি তবে বিপদ আঁচ করে আগেই কেটে পড়ে ছিলেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট! বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি কবে?

    Anubrata Mondal: আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট! বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১ মে। দু’দফায় জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। তৃণমূল নেতার হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও পেশ করা হয় আদালতে। এদিন বিচারক রঘুবীর সিং ফের দু’জনকেই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সাংবাদিকদের সামনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, শরীর মোটেই ভাল নেই তাঁর। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি। যদিও তার পরও আদালতে স্বস্তি পেলেন না গোরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। ফলে আপাতত তিহাড়েই থাকতে হবে কেষ্টকে (Anubrata Mondal)।

    তিহাড়ে স্নানের জন্য পর্যাপ্ত জল মিলছে না বলে অভিযোগ কেষ্টর

    হুইল চেয়ারে করে সোমবার শুনানিতে পৌঁছন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর পরনে ছিল সাদা রঙের ফুল ছাপ টি-শার্ট। হুইল চেয়ারে করে এদিন তাঁকে হতাশ মুখে বেরোতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের দেখে তিনি শুধু বলেন,’শরীর ভালো নেই।’ আদালতেও তিনি বিচারককেও সেই একই কথা বলেছেন। তাঁর শরীরের হালহকিকত বোঝার জন্য বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতর মেডিক্যাল ফাইল আনতে বলেন।

    অন্যদিকে তিহাড় জেলে স্নানের জন্য পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন এদিন। সূত্রের খবর, স্নানের জন্য বন্দিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহারের অনুমতি দেয় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। ওই জলে একজন বন্দির দিনে একবার স্নান করা সম্ভব। তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকায় দিনে একাধিক বার স্নানের অনুমতি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ খবর মিলেছে।

    চলতি মাসে ফের তলব অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যাকে

    অন্যদিকে চলতি মাসেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, এর আগে অনুব্রত কন্যাকে দু’বার তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু দু’বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ফের তলব করায় সুকন্যার উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডির (ED) তলব এড়ালেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বুধবার দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে। তবে গত দুবারের মতো এবারও হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা। কারণ হিসেবে তিনি পেটে ব্যথার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে তিন-তিনবার ইডির ডাক এড়ালেন সুকন্যা। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। অনুব্রতর সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পিতা-পুত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাই তলব করা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে।

    সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)…

    প্রথমবার তলব করা হলে আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal) কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় মার্চ মাসে। সেবারও হাজিরা এড়ান সুকন্যা। বুধবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা। যদিও বর্তমানে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতেই রয়েছেন সুকন্যা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দাবি, পেটের ব্যথায় ভুগছেন সুকন্যা। সুকন্যা ইডির তলব এড়ালেও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুব্রত হাজরা ওরফে ডালিম বুধবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকেও তলব করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচারের টাকা লগ্নি করা হয়েছে পেশায় প্রোমোটার ডালিমের নির্মাণ শিল্পেও। সেই কারণেই ডাকা হয়েছে ডালিমকে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, সুকন্যা (Sukanya Mondal) ইডির তলব এড়ানোয় তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনি বাবার সঙ্গে থাকতে চান, তাই এ সব করছেন। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। হাজিরা এড়ালে তদন্তকারী সংস্থা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমার মনে হচ্ছে, বাবার সঙ্গে এক সঙ্গে থাকতে চান। তাই এসব করছেন।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পরে পরেই মণ্ডল পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) দিল্লিতে ডেকে জেরা করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, মণ্ডল পরিবারের বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন তাঁরা বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট-কন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির, হাজিরা দেবেন সুকন্যা?

    Anubrata Mondal: কেষ্ট-কন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির, হাজিরা দেবেন সুকন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে ইডি। তবে ইডির নাগাল এড়িয়ে চলছেন সুকন্যা। মার্চ মাসে প্রথমে তলব করা হয় অনুব্রতকে। সেবার হাজিরা এড়ান তিনি। প্রথমবার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে আরও কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ফের ইডি তলব করে সুকন্যাকে। নোটিশ পেয়েও ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। তারপর আবার এবার তলব করা হল কেষ্ট-কন্যাকে। সোমবার তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নতুন কিছু সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে। এর সবেই নাম রয়েছে সুকন্যার। সেসব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফের তলব করা হয়েছে সুকন্যাকে। জানা গিয়েছে, সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলিকে দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁকে আপাতত দিল্লির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁকে যে কোনও সময় তলব করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    ইডির আগে সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেটা ছিল গত বছরের অগাস্ট মাস। সিবিআইয়ের দাবি, সেবার বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল সুকন্যার কাছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সুকন্যা কোনও সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, সম্পত্তি সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন তাঁর বাবা (Anubrata Mondal) ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ইডি সূত্রে খবর, সেই কারণেই কেষ্ট ও তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। তদন্তকারীদের ধারণা, তাতেই জানা যাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী। তবে সোমবারও যদি ইডির নাগাল এড়ান সুকন্যা, তাহলে বিলম্বিত হতে পারে পিতা-পুত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা। এখন দেখার, এবারও সুকন্যা ইডির নাগাল এড়ান কি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: লিঙ্ক নেই! পিছল শুনানি, ২৭-ই পর্যন্ত তিহাড়েই কেষ্ট, বাড়িতে ভাঙচুর সুকন্যার

    Anubrata Mondal: লিঙ্ক নেই! পিছল শুনানি, ২৭-ই পর্যন্ত তিহাড়েই কেষ্ট, বাড়িতে ভাঙচুর সুকন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) শুনানি। শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করার কথা ছিল তাঁকে। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতিকে (Anubrata Mondal) পেশ করা যায়নি বলে আদালত সূত্রে খবর। অন্যদিকে, তিহাড়ে তাঁর বাবাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন সময় দলীয় নেতারা তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বলে ব্যাপক ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অনুব্রত-কন্যা। শোনা যাচ্ছে, দলীয় নেতাদের ডেকে বাড়িতে ভাঙচুরও করেন সুকন্যা মণ্ডল।

    প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আদালতে পেশ করা যায়নি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)

    গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এদিন প্রথমে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে ভার্চুয়ালি আসানসোলের বিশেষ আদালতে পেশ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এজলাসে সায়গলের মুখ দেখা যায়নি। একই বিষয় ঘটে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও। প্রসঙ্গত, এদিন আসানসোলের আদালতে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে হাজির ছিলেন না কোনও আইনজীবী। চলতি বছরের জুলাইতে দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিন মামলার শুনানি রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, যেহেতু দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি ,সেহেতু আসানসোল আদালত থেকে তাঁর জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সেই কারণেই এদিন নতুন করে কেষ্টর জন্য জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। বিশেষজ্ঞদের কথায়, আবেদনের প্রয়োজন না থাকায় এজলাসে হাজিরও ছিলেন না তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    বোলপুরের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর সুকন্যা মণ্ডলের

    সূত্রের খবর,  তিহাড় জেলে তাঁর বাবাকে নানা ভাবে ‘হেনস্থা’ ও ‘নির্যাতন’ করা হচ্ছে শুনে চটে যান সুকন্যা। জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। তার পরেই জরুরি ভিত্তিতে তিনি ডেকে পাঠান বোলপুরের অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ অনেক নেতা-কর্মীকে। জানা গিয়েছে, তাঁদের সামনে কেষ্ট-কন্যা এক প্রকার ভেঙে পড়েন। কথায় কথায় তিনি বলতে থাকেন, বাবা যখন কাছে ছিলেন, তখন তাঁর পাশে সবাই ছিলেন। আজ যখন অনুব্রত জেলে, তাঁদের দুঃসময় চলছে, তখন সবাই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এমনও জানা যাচ্ছে, একটা সময় সুকন্যা বলে ওঠেন, ‘‘এই জিনিস চলতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূমে। তিনি তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা। তাঁর ছেলের চাকরি হয়েছে বরানগর পুরসভায়। আর সেটা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের হাত ধরে। এমনিতেই শাসক দলের নেতার পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে এই পুরসভায়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই পুরসভায় নিয়োগ হওয়ায় প্যানেল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমনিতেই তৃণমূলের একটি অংশকে বাদ রেখে কয়েকজন মিলে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করে নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশ তাতে ক্ষুব্ধ ছিল। এবার অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের তথ্য জানতে গিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। যদিও এই বিষয়ে বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই পুরসভায় নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কিছু হয়েছে। যারা এই পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিজেদের যোগ্যতায় পেয়েছেন।

    বরানগর পুরসভায় নিয়মিত আসতেন অয়ন শীল! Anubrata Mondal

    এমনিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল। তবে, তাঁর নিত্য যাতায়াত ছিল বরানগর পুরসভায়। এমনিতেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির পাশাপাশি তাঁর পছন্দের লোকজনদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে সমস্ত নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। তারমধ্যে ১৭০ জনের চাকরি হয়। কিন্তু, চাকরি প্যানেলে দেখা যায়, বরানগর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলারের পরিবারের লোকজন চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয় কামারহাটি পুরসভার দাপুটে তৃণমূল নেতার আত্মীয় বরানগর পুরসভায় চাকরি পান। আর তার বিনিময়ে বরানগর পুরসভার তৃণমূলের সামনের সারির এক নেতার পরিবারের লোকজন কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান। আর এসবই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে হয়েছে। এমনকী তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ছেলের চাকরিও হয় বরানগর পুরসভায়। অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তিনি বীরভূম জেলায় পরিচিত। তাই, ওই জেলায় চাকরি পাইয়ে দিলে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে পারে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৃণমূলের ওই নেতা বারাকপুর মহকুমা জুড়ে একাধিক গেট মিটিং করেছিলেন। নিজের প্রভাব বুঝিয়ে দেওয়ার পর অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর ছেলেকে বরানগর পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেন। তাঁর ছেলে বরানগর পুরসভায় ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে চাকরি করছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন বরানগরে ঘর ভাড়া করে পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন। ফলে, কলকাতা লাগোয়া পুরসভায় ছেলে চাকরি করায় এতদিন কেউ প্রশ্ন তোলেননি। নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আসায় বরানগর পুরসভায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি বা সিবিআই তদন্ত হতে পারে। তাই, পুরসভার পক্ষ থেকে আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    Anubrata Mondal: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। দুপুরে তাঁকে জেলের হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় নতুন করে বীরভূমের দুই চালকল মালিককে তলব করল সিবিআই। জানা গিয়েছে সাঁইথিয়ার চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়াল ও তাঁর বাবাকে তলব করা হয়েছে।

    জেল সূত্রে খবর আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি

    হাসপাতালে ভর্তির পর অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। তবে সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত (Anubrata Mondal) দীর্ঘ দিন ধরে আসানসোল জেলে ছিলেন। পরবর্তীতে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে চেষ্টার কসুর কিছু করেননি তিনি। তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগে রাজ্য পুলিশ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে হেফাজতেও মাঝখানে, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত শনিবার তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে দিল্লির আদালতে আবেদনও করেছেন তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে ওই চালকল মালিকের সঙ্গে এনামূল হকের আর্থিক লেনদেন সামনে এসেছে । সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে ওই চালকল মালিকদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য সামনে এসেছে। সেই কারণেই সোমবার তাঁদের কলকাতার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    রবিনের চালকল সংস্থার অ্যাকাউন্টে এনামুল হকের চালকল থেকে টাকা ঢুকেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এনামুলের চালকল সংস্থার সঙ্গে রবিনের চালকল সংস্থার কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বীরভূমে রবিনের একাধিক চালকল রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছন রবিন। তাঁকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের এক রাজ্য নেতার সরাসরি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, পুরসভায় কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে যে সব পুর প্রতিনিধিরা ছিলেন, তাঁরা কেউ নিজেদের পরিবারের লোকজনকে বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই সব নিয়োগ হয়েছে। ফলে, এই পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতে কামারহাটি পুরসভা ইডি নজরে রয়েছে। বরানগর পুরসভায় যে ভাবে নিয়োগ হয়েছে তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিতর্কিত প্যানেলে কত জন কর্মী নিয়োগ হয়? Anubrata Mondal

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূম জেলায়। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছে। ওই নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ করতে কেউ আপত্তি জানানোর সাহস দেখায়নি। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ? Anubrata Mondal

    বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে  পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীর পর এবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে তলব করল ইডি। শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন মহলে সেই টাকা পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে।

    মহম্মদ আলিকে কেন ডাকল ইডি ?  Anubrata Mondal

    বীরভূমের মহম্মদবাজার সহ একাধিক থানায় থাকার সময় কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে মহম্মদ আলির। এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকার সময় তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ আধিকারিকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  অত্যন্ত পছন্দের পুলিশ অফিসার ছিলেন আলি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বীরভূম জেলায় রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর দাপট বাড়তে থাকে। এই জেলা ছেড়ে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়নি। এসবের পিছনে কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা।  সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  মামলা খরচের টাকা তিনি কেন দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁর যোগোযোগ কোথায় কোথায় ছিল তা ইডি আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share