Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক। তৃণমূলের এই নেতার সংস্পর্শে এসে তিনিও বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ইডির তদন্তকারীদের। গরু পাচারের টাকায় ওই সব সম্পত্তি মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) কিনে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের বিভিন্ন এলাকায় মণীশের নামে ১৫ বিঘে জমির খোঁজ মিলেছে। ওই পরিমাণ জমির বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ইডির দাবি, অনুব্রতর গরু পাচারের কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জমিগুলি কেনা হয়েছে।

    ইডির তলব…

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি তলব করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের। সেভাবেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। মঙ্গলবার টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। জানিয়েছেন অনেক তথ্য।

    অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের কাজ করার পাশাপাশি তাঁকে বুদ্ধিও জোগাতেন মণীশ (Manish Kothari)। কোন সম্পত্তিতে কীভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে, কালো টাকা সাদা হয়ে যাবে, সেসব পরামর্শ অনুব্রতকে দিতেন মণীশই। এই মণীশেরই পরামর্শে মেয়ের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থা বানিয়েছেন অনুব্রত। ইডির দাবি, রূপপুর, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দ্বারকানাথপুর, সুরুল সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে। রূপপুরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে ওই সব জমি দখল করেছেন মণীশ। এক্ষেত্রেও কাজে লাগানো হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির প্রভাব। ইডির দাবি, গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি হিসেবে অনুব্রত যে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন, সেই টাকাই মণীশের নামে জমি কেনায় কাজে লাগানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    এদিকে, গত বুধবার দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত, মণীশ (Manish Kothari) এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এবার বোলপুরের এক রাজমিস্ত্রিকে তলব করল ইডি। শুক্রবারই চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তপন বিশ্বাস নামে ওই রাজমিস্ত্রি। আগামী ২৮ মার্চ তপনকে ইডির দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

    কে এই রাজমিস্ত্রি

    বোলপুরের কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা ওই রাজমিস্ত্রি প্রায় ৪ বছর আগে লটারির টিকিট কেটে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরে তপন সেই টিকিট অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে বিক্রি করেছিলেন। অনুব্রত (Anubrata Mondal) নগদে টিকিট বিক্রির টাকা মেটান বলে দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ওই বিষয়ে জানতেই পেশায় রাজমিস্ত্রি তপনকে তলব করেছে ইডি। এ বিষয়ে তপন জানান, তিনি ইডির চিঠি পেয়েছেন। তবে কেন চিঠি এল, তা নিয়ে তাঁর স্পষ্ট ধারণা নেই। তাঁর কথায়, ‘‘কেন ইডির চিঠি এসেছে জানি না। আমি সরাসরি লটারির টিকিট অনুব্রতকে বিক্রিও করিনি। আমি মুন নামে এক জনকে টিকিট বিক্রি করে দিয়েছিলাম। ২৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম।’’ তিনি এ-ও জানান, চিকিৎসার জন্য ওই টাকা খরচ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি?’’ মমতা-অখিলেশ ‘জোট’ বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    ১৪ দিন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত

    এর আগেও অনুব্রতের (Anubrata Mondal) লটারিপ্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা এখন দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ডেকে পাঠানো হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা-সহ ১২ জনকে। এঁদের কয়েক জনকে কেষ্টর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও বাড়ল আরও ১৪ দিন। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী কেষ্টর হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বৃদ্ধি করেছেন। অনুব্রত দিল্লিতে থাকায় এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করা যায়নি। হয়নি ভার্চুয়াল শুনানিও। সেজন্য অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছেন বিচারক। আগামী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে ৩১ মার্চ। ওইদিন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের  মামলারও শুনানি হবে। এদিন সাইগল হোসেনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও ১৪ দিন বাড়িয়েছেন বিচারক।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কেষ্টর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। অন্যদিকে কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে তলব করা হলেও এড়িয়ে যান তিনি। তবে তাঁকে আবার ২০ মার্চ তলব করেছে ইডি, সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মণীশ কোঠারি কেষ্ট-সুকন্যার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আবার জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক তথা রাঁধুনি বিজয় রজক। শুক্রবার বেলার দিকে লাভপুর কলেজের অস্থায়ী কর্মী বিজয়কে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায়।

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে সরব মণীশ কোঠারি

    ইডির জেরার মুখে চাপে পড়েন মণীশ কোঠারি। প্রথমে তিনি মুখ না খুললেও পরে তিনি সরব হন কেষ্টর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, গরু পাচারের কালো টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই।

    ইডি সূত্রের খবর, মণীশ ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পেশাদার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র এবং তাঁর কোনও কালো টাকা নেই। নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন মণীশ কোঠারি। সুকন্যার নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল এতদিন। এরপর মণীশের বয়ান থেকেই জানা গেল, কালো টাকাতেই এই ফিক্সড ডিপোজিট।

    সুকন্যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ইডির

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। এবারে কিছুদিনের সময় দিয়ে ফের ২০ মার্চ তলব করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ২০ মার্চও তাঁর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল। অসুস্থতার কথা বলে সেইদিনও তিনি যদি হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে ইডির জেরা করতে পারার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, পরের দিনই অর্থাৎ ২১ মার্চ অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। তারপর যদি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, তাহলে কেষ্ট মণ্ডল যেতে পারেন তিহাড়ে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাবার (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে যাতে সুকন্যাকে জেরা করতে না পারে ইডি, তাই তাঁর এমন কৌশল? তবে, সুকন্যার বিরুদ্ধে এবারে নোটিশ জারি করল ইডি। আগামী সোমবারের মধ্যে দিল্লিতে ইডি অফিসে হাজিরা না দিলে সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যার আইনজীবী মারফত তাঁর কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর।

    হাজিরা দিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু সুকন্যা নন, গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ মোট ১২ জন সন্দেহভাজন এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রেরই দাবি, ওই ১২ জনের তালিকাতেই ছিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিজয়। বোলপুর হাটতলা এলাকার বাসিন্দা বিজয় অনুব্রতের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারকদের অ্যাকাউন্টে নানা সময় বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই সূত্রে বিজয়ের একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশও মিলেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আজ তিনি ইডি দফতের হাজিরা দেন। এনাকেও জেরা করার পর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, এটাই এখন দেখার।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) নয়া মোড়। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল আইপিএলে (IPL)। অন্তত ইডির (ED) দাবি এমনই। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শেই অনুব্রত এ কাজ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা জেরা করা হয়েছে মণীশকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁর হিসাব রক্ষককে। তখনই মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল আইপিএলে।

    অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) বিস্ফোরক দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের টাকা ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা পড়বে না, সে ফন্দি এঁটেছিলেন মণীশ। তিনিই বুদ্ধি দিতেন অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। কয়েকশো কোটি কালো টাকা কোন উপায়ে সাদা করা যাবে, সেই পথ বাতলে দিয়েছিলেন মণীশ। তিনিই এই বিষয়টি বুঝিয়েছিলেন যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ভারতের একটি উঁচু দরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে টাকা বিনিয়োগ করলে কারচুপি সহজে ধরা পড়বে না। এভাবেই গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে ইডি। শুধু আইপিএল-ই নয়, একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশ।

    ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ৬ দিনের হেফাজতে রয়েছেন মণীশ। এই ক’ দিন তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশ মেনে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন মণীশের আইনজীবীরাও। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আধ ঘণ্টা করে সময়ও বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার আদালতে তোলা হয় মণীশকে। তখনই ভেঙে পড়েন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট। আর সেটাই আমার দোষ।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত বলেছেন, মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি। যদিও মণীশ বলেন, উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেছিলেন তিনি কিছু জানেন না। সব জানেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার হিসাব রক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অনুব্রত পাচারকাণ্ডের কালি ধুয়ে ফেলতে চাইছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal:  দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট কন্যা! চিঠি দিলেন ইডিকে, কী জানালেন সুকন্যা?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট কন্যা! চিঠি দিলেন ইডিকে, কী জানালেন সুকন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal) সুকন্যা মণ্ডল। ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু সমস্যা ও পূর্ব নির্ধারিত কাজ থাকায় আজ যেতে পারছেন না তিনি। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যাকে ফের তলব করা হবে। গতকাল অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জেরা করার পরেই গ্রেফতার করা হয়। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কাতেই ইডির তলব এড়িয়ে গেলেন সুকন্যা?

    ইডি দফতরে যাচ্ছেন না সুকন্যা

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার ইডির মুখোমুখি হবেন না সুকন্যা। আইনজীবী মারফত ই-মেল করে আজ দিল্লিতে ইডি অফিসে অনুপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন সুকন্যা। যদিও ঠিক কী কারণে বুধবার হাজিরা দিতে পারবেন না সুকন্যা বা ইমেল-এ ঠিক কী উল্লেখ করেছেন তিনি, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    গরু পাচার মামলায় আজ ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে। ঠিক ছিল, আজ বাবা-মেয়ে অর্থাৎ কেষ্ট-সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। আবার ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছিল, সুকন্যা মণ্ডল, মণীশ কোঠারি এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), এই তিনজনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এদিকে আপাতত আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে নিয়মিত জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা।

    গ্রেফতার মণীশ কোঠারি

    গতকাল টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করবে ইডি। মণীশ কোঠারির গ্রেফতারির পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল যে, এবারে কি তবে আজ সুকন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হবে? কিন্তু আজ কেষ্ট কন্যা হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় এখনও কোনও কিছুই স্পষ্ট নয়। ইডি সূত্রে খবর, ফের তলব করা হবে সুকন্যাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
  • Cattle Smuggling Case: গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    Cattle Smuggling Case: গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এবার ইডি-র জালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মণীশকে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে খবর, মণীশের বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। অভিযোগ, তথ্য লুকনোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। উঠেছে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ।

    মোট ১২ জনকে অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা ইডির!

    সূত্রের খবর, এর আগে অনুব্রতকে হেফাজতে চাওয়ার সময় আদালতে ইডি জানিয়েছিল, অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ ১২ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। ইডি সূত্রে খবর, ওই তালিকায় সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক-ও রয়েছেন। এছাড়া অনুব্রতর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েক জন রয়েছেন। তার মধ্যে মঙ্গলবার মণীশকে প্রথমে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    গ্রেফতার মণীশ কোঠারি

    গতকাল সকাল ১১ টায় শুরু হয় জেরা। চলে একটানা রাত ৮ টা পর্যন্ত।  প্রায় ৯ ঘন্টা ‘ম্যারাথন’ জেরার পরই নয়াদিল্লিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের বিশ্বস্ত হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি। বুধবার কোর্টে পেশ করা হবে মণীশ কোঠারিকে। এর আগেও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, কন্যা, আত্মীয়, ঘনিষ্ঠদের নামে বিপুল সম্পত্তি, একাধিক রাইস মিল, কোটি কোটি টাকার লেনদেন— এই সব নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আর এবারে তাঁর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মণীশকে।

    সুকন্যাকেও গ্রেফতারির পথে ইডি!

    আজ, বুধবার আবার তলব করা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে জেরা করতে চায় ইডি। আবার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রত, তাঁর কন্য়া সুকন্য়া ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁর প্রয়াত মা ছবিরানী মণ্ডলের নামে ৩৪ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির যে হিসেব রয়েছে ইডির কাছে সেই বিষয়টি নিয়েই সুকন্যা এবং অনুব্রতকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছেন ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা, এমনটাই দাবি সূত্রের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মঙ্গলে গ্রেফতার হলেন মণীশ, বুধে কী অপেক্ষা করছে সুকন্যার জন্য? বাবা ও বাবার হিসাবরক্ষক এবং দেহরক্ষীর পরে কী তবে এবার তাঁকেও গ্রেফতার করতে পারে ইডি?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর রসনাতৃপ্তিতে কসুর করছেন না ইডি আধিকারিকেরা। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার, সুগার ফ্রি কোল্ড কফি আসে কেষ্ট-র জন্য। দুপুরের আহারে অনুব্রতর আব্দার মেনে মাছের ঝোল, ভাতের সঙ্গে শেষ পাতে রাখা হয় সন্দেশের ব্যবস্থাও। বাংলা থেকে বহু দূরে ভোজন রসিক অনুব্রতের জন্য বেশ ভাল ব্যবস্থাই করছে ইডি।

    শুক্রবার গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আরও ১১ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সবুজ রঙের একটি পাঞ্জাবিতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। কোনও কথা বলেননি তিনি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে রাতে তাঁর পাতে পড়েছিল বাঙালি খাবার। তিনি খেয়েছিলেন ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, আলু পোস্ত। শুক্রবার সকালে উঠেই তিনি কফি এবং বাটার টোস্ট খেয়েছিলেন।

    হিন্দি জানেন অনুব্রত!

    এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা জানান, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল হিন্দি, ইংরেজি কিছুই বোঝেন না। শুধুই বাংলা বোঝেন। তিনি লিখতেও পারেন না। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তখন বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন, ‘আপকো হিন্দি নহি আতি?’ অনুব্রত উত্তর দেন ‘নহি!’ বিচারক ফের প্রশ্ন করেন, ‘আপকো স্রিফ বাংলা আতি হ্যায়?’ অনুব্রত উত্তর দেন,‘হ্যাঁ।’ বিচারকের হিন্দি প্রশ্নের উত্তর অনুব্রত ঠিকঠাক দেওয়ায় আদালতে ওঠে হাসির রোল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!  

    আপাতত অনুব্রতের ঠিকানা

    প্রসঙ্গত, আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তাঁর শরীর কেমন রয়েছে জানতে চায় আদালত।  ইডি-র আইনজীবী রানা বলেছেন, অনুব্রত ‘ফিট অ্যাজ় এ ফিডল’ এবং ‘হেল অ্যান্ড হার্টি’ রয়েছেন। রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁকে ডাক্তাররাও ‘ফিট’ বলে জানিয়েছেন। আপাতত, আগামী ১১ দিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরই অনুব্রতের ঠিকানা। বীরভূমের একসময়ের এই দাপুটে নেতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সিঙ্গল রুম। ঘরে রয়েছে একটি ছোট খাট, এসি এবং ফ্যান। ঘরের সঙ্গেই রয়েছে শৌচালয়। এমনকি, ঘর লাগোয়া একটি কেবিনও রয়েছে। সেই কেবিনেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করছেন তিন আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে বাংলা জানা একজন দোভাষী ব্যাঙ্ককর্মীও রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: আরও ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত, এবার দিল্লিতে তলব কন্যা সহ ১২ জনকে

    Sukanya Mondal: আরও ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত, এবার দিল্লিতে তলব কন্যা সহ ১২ জনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম তৃণমূলের জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। এবার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও (Sukanya Mondal) দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তলব করা হয়েছে সুকন্যা ছাড়াও আরও ১১ জনকে। তাহলে কী এবার বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা করেছেন গোয়েন্দারা। ইডি কোর্টে জানিয়েছে, অনুব্রতর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকেও তিহাড় জেল থেকে এনে কেষ্ট মণ্ডলের মুখোমুখি বসানো হবে। আগামী ১১ দিনের মধ্যে সুকন্যা-সহ ১২ জনকে হাজিরা দিতে বলেছে ইডি। শমনের তালিকায় রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক। সায়গলকেও বসানো হতে পারে অনুব্রতর সামনে। 

    তিন দিনের ইডি হেফাজত শেষে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হয়েছিল আদালতে। এদিন কেষ্টকে (Sukanya Mondal) আরও ১১ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অনুব্রতকে আরও কিছু দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করতে চায় ইডি। জানা গিয়েছে, গরু পাচারের বেআইনি আয়ের টাকা কোথায় গেল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে নথি এসেছে, তার ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

    এদিন ইডি যখন অনুব্রতকে (Sukanya Mondal) ফের হেফাজতে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, এই ক’দিনে মাত্র দু’ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়েছে। কিছুই তেমন বার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। কারও সঙ্গে মুখোমুখিও বসানোও হয়নি। তাহলে আবার কেন হেফাজতে নিতে চাইছে এজেন্সি?

    আরও পড়ুন: ১২ মার্চ পানিপথে বসছে আরএসএস-এর প্রতিনিধি বৈঠক! কী কী আলোচনা হবে? 

    জবাবে ইডি-র আইনজীবী বলেন, হোলির ছুড়ির জন্য পরিকল্পনামাফিক হয়নি সবকিছু। এই ১১ দিন অনুব্রতকে হেফাজতে পেলে তাঁরা তাঁর মেয়ে-সহ আরও ১২ জনকে সমন পাঠিয়েছেন, তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা যাবে। ইডি এও বলে, সায়গল জেরায় যা বলেছেন তাতেও অনুব্রতর বিরুদ্ধে গরু পাচার মামলায় নিবিড় যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

    ইডির দাবি মেনেই অনুব্রতকে আরও ১১ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে (Sukanya Mondal) বিভিন্ন সময়ে যে নগদ টাকা জমা পড়েছে, রাসি মিল, জমি-সহ অন্যান্যা সম্পত্তির যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে সে ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বাকিদেরও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে চাইতে চলেছে ইডি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিভিন্ন সময়ে অনুব্রতর নানা অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে বলে দাবি ইডির। সেই টাকার বিষয়ে বিশদে জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে এই ২০ কোটি টাকা। এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে জেরা করে জানা গিয়েছে কখনও বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা পাঠাতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে, দাবি ইডি-র।

    কোথা থেকে এল এত টাকা

    কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, এই টাকা ছাড়াও ২০১৪ সালের ১০ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল। যার দামের বেশিরভাগটাই মেটানো হয় নগদে। ইডি সূত্রের দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল জমি। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, গরু পাচারকাণ্ডের কালো টাকা, সাদা করতেই কি কেনা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি! অনুব্রতের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি ও তাঁর অ্যাকাউন্ট নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আইনজীবীদের সঙ্গে কথা অনুব্রতের

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ মতো  অনুব্রতর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে একান্তে আধঘণ্টা কথা বলেন। দিনভর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ঠিক কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি, শরীরে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, ওষুধ ও খাবার হিসেবে সমস্যা হচ্ছে কিনা সেইসব বিষয় ভালভাবে বুঝে নিতে বাঙালি আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষালকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সিনিয়র আইনজীবী মুদিত জৈন। তবে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। শুক্রবার ইডি-র হেফাজতে অনুব্রতের তিন দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  সূত্রের খবর, এই তিন দিনের মধ্যে অনুব্রতকে বিশেষ জেরা করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁকে এখনও বিস্তারিত ভাবে জেরা করা বাকি। তাই ফের তাঁকে হেফাজতে নিতে চলেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা, এখন ইডির দফতরে গিয়ে ভুল বকছেন। হুগলি জেলার খানাকুলের দলীয় এক সভায় অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় মস্তান ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের প্রধানমন্ত্রী। শুধু বীরভূম নয়, বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম-সহ অনেক জায়গারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আজ কি অবস্থা। বলছে, ইংরেজি জানি না, হিন্দি বুঝি না, নাম সই করতে পারি না ৷ কোথায় গেল চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ? কোথায় গেল নকুল দানা? কোথায় গেল উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে?’’ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    এই সভা থেকে শাসক দল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে খানাকুলের আইসিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি,‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও একজোট হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরানোর আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি,‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share