Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    Anubrata Mondal: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ছয় দিনে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি ইডির।  শুধু তাই নয়, বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত, এই পুরো লেনদেনই নগদে সারেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। গরু পাচার মামলায় (cattle Smuggling Case) আপাতত দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)।

    এত টাকার উৎস কোথায়

    ইডি সূত্রে খবর , গরুপাচার করে যে টাকা উঠেছে, সেই টাকা কার কার, কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে সেই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৬-তে পরিবার ও নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, ছয় দিনে সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। সেই লেনদেনের বেশ কিছু নথিও ইডির হাতে এসেছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় কেনা হয়েছিল ওই সমস্ত জমি। কিন্তু নগদে এত টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি-ও। তদন্তকারীদের দাবি, ভোলে ব্যোম চালকলকে সামনে রেখে স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ওই সমস্ত জমি কেনেন অনুব্রত। নিজের নামেও কেনেন জমি। 

    আরও পড়ুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    গরুপাচারের থেকে পাওয়া টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি বলে দাবি করে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ইডির আরও অভিযোগ ডিডে বাজার মূল্যের থেকে এইসব জমির কম মূল্য দেখানো হয়েছে। ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তিকে ৮ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে বলে দাবি ইডির। সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইছে ইডি। কয়েক বছরের মধ্যে কী ভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর(Anubrata Mondal) সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রতর রোজগারই বা কী, এসবই জানতে চাইছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী অনুব্রত মণ্ডল নাকি জানিয়েছেন, তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না। এব্যাপারে ইডির আধিকারিকদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। বিষয়টি আদালতেও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    Anubrata Mondal: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলির দিন ইডির জেরায় ক্লান্ত অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে যখন তদন্তকারী আধিকারিকরা লম্বা প্রশ্নপত্র নিয়ে টানা জেরা করছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে-তখন কেষ্ট কার্যত ভেঙে পড়েন। ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর, দাপুটে আইপিএস সনিয়া নারাংয়ের নেতৃত্বে ছ’জন আধিকারিকের বিশেষ দল প্রশ্নপত্রের সঙ্গেই অনুব্রতর সামনে তুলে ধরেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, বীরভূমের একটি ট্রাস্টের কর্তা মলয় পীঠ এবং একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বয়ান। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কেষ্টর সঙ্গে তাঁর আইনজীবীরা কথা বলতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারক রাকেশ কুমার অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) তিন দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রেখে শুক্রবার ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনুব্রতদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কোনও এক জন আইনজীবী ইডি দফতরে হাজির থাকবেন। যদিও তিনি কোনও কথাবার্তা শুনতে পাবেন না। ইডির তরফে বিচারককে জানানো হয়েছিল, এই মামলায় ৩-৪ জন অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এখন জেলে। চার্জশিটও দায়ের হয়েছে। 

    কী কী জানতে চাইল ইডি?

    গরু পাচারে যে কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে, তার সঙ্গে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) যোগ নিয়ে তদন্তকারীরা চেপে ধরতে একটা সময়ে ছলছলে চোখে ভেঙে পড়েন কেষ্ট। ইডি সূত্রের খবর, তিনি বারবার তদন্তকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন- তিনি নির্দোষ। ইডি-র আধিকারিকরা অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত কয়েকটি প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর চাইছেন। তা হল, বীরভূমের ইলামবাজারের হাট থেকে গরু বেআইনি ভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাকে, কী অঙ্কের প্রোটেকশন মানি বিভিন্ন স্তরে দেওয়া হতো? তা কি কেষ্টই ঠিক করতেন? পাচারের কোটি কোটি টাকা কোথায় কোথায় সরানো হয়েছে? বহু সাধারণ মানুষের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে যে আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে, সে সব কি অনুব্রতরই মস্তিষ্কপ্রসূত? এই জেরাপর্বে ইডির আধিকারিকদের কাছে বড় হাতিয়ার ছিল সুকন্যা, সায়গল, মলয়ের বয়ানের পাশাপাশি বীরভূমের বেশ কয়েকটি চালকলের মালিক, ব্যবসায়ীদের বক্তব্যও- যাঁদের সঙ্গে এর আগে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। কয়েকজন চালকল-কোল্ড স্টোরেজ মালিক, ব্যবসায়ীর কথা তদন্তকারীরা বললেও তাঁদের চিনতে অস্বীকার করেন কেষ্ট। 

    আরও পড়ুন: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    বুধবার, বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাখানেক তাঁর সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশে এদিন ফের রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। প্রথমে তদন্তকারীদের বেশির ভাগ প্রশ্নে নিরুত্তরই ছিলেন। তদন্তকারীরা এদিন কেষ্টর কাছ থেকে নথিপত্র দেখিয়ে এ-ও জানতে চান, কীভাবে বছরের পর বছর তাঁর আয় ও সম্পত্তি বেড়েছে? পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, এমনকী দিল্লি, গাজিয়াবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সব সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার সঙ্গে তাঁর বা তাঁর পরিবার-পরিচিত-ঘনিষ্ঠদের কী যোগ- তাও জানতে চাওয়া হয়। ইডি মূলত জানার চেষ্টা করছে গরু পাচারের মানি-ট্রেল, অর্থাৎ টাকা কোথায়, কী ভাবে সরানো হয়েছে।

    শুক্রবার দুপুরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে। সেখানে ইডি ফের অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে। তার আগে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আড়াই দিনে যতটা সম্ভব জিজ্ঞাসাবাদ সেরে ফেলতে চাইছেন ইডি-র অফিসাররা। তার জন্য ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং, অ্যাস্টিট্যান্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমারের নেতৃত্বে দল তৈরি হয়েছে। অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলে রেখেছেন। ইডি-র হেফাজতে থাকার সময় তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার দায় তদন্তকারীদের উপরে এসে পড়তে পারে। তাই পুরো জিজ্ঞাসাবাদের পর্বই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    Anubrata Mondal: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার পরই আজ সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে জেরা। আবার সেই জেরার মাঝেই তাঁকে আজ আধ ঘণ্টার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। এর পর ফের শুরু হয়েছে জেরা। সূত্রের খবর, কেষ্টকে জেরায় এবার বিশেষ দল গড়েছে ইডি। ৬ সদস্যের বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলের নেতৃত্বে দুঁদে আইপিএস, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং। তবে সরকারিভাবে কেউই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেননি। দিল্লি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য প্রশ্নবাণ তৈরি করেছে ইডি। 

    কী কী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে অনুব্রতকে?

    জানা গিয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হবে এনামুল হকের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? গরু পাচারে প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কি না? আয়ের উত্‍স কী? একাধিক রাইস মিল কার টাকায় কেনা? বিরাট অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের উত্‍স কী ইত্যাদি। জানা যাচ্ছে, গোটা জেরাপর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। এছাড়াও এনামুল হক, সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও আরও বেশ কয়েকজন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করবে ইডি। সবথেকে প্রথমে যে প্রশ্নটা করা হতে পারে, তা হল এনামুল হককে কীভাবে চেনেন অনুব্রত? সিবিআইও আগে এই প্রশ্ন করেছিল। দ্বিতীয় প্রশ্নটি সায়গল হোসেনের কল রেকর্ড নিয়ে। দেখা গিয়েছে, এনামুল হকের সঙ্গে ২০১৭-১৮ সালে সায়গল হোসেনের ৭৫ বার কথা হয়েছে। সায়গলের মোবাইল ব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার এনামুল হকের কথা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন, এতবার কী নিয়ে কথা হয়েছে? এরপর অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে তাঁর গত পাঁচ বছরের আয়করের হিসাব চেয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। সেই থেকে তাঁর আয়বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে তাঁকে। এছাড়াও অন্যের পাওয়া লটারিও নিজে মোটা টাকায় কিনে নিয়েছেন অনুব্রত, সেটা জানতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।পাশাপাশিই রাইস মিল-সহ বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়েও জেরা করা হবে অনুব্রতকে।  

    আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেষ্টকে

    বুধবার ‘হোলি’ তথা ছুটির দিন হলেও ইডির অফিসারেরা অনুব্রতকে তাঁদের সদর দফতরে জেরা করা শুরু করেছেন। তবে বিচারক অনুব্রতের দৈনিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সকালের কিছু পরে তাঁকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আধঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে আবার অনুব্রতকে ইডির সদর দফতরে এনে জেরা করা শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: মধ্যরাতে নাটকীয় শুনানি! ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: মধ্যরাতে নাটকীয় শুনানি! ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে নাটকীয় শুনানি পর্বের শেষ হল মঙ্গলবার মধ্যরাতে। গতকাল গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া এবং শুনানি নিয়ে টানটান নাটক চলে। এই মামলার এবং হেভিওয়েট নেতার গুরুত্ব অনুধাবন করেই রাতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ভার্চুয়াল শুনানি করা হয়। কিন্তু পরে রাত দেড়টা নাগাদ সশরীরে দিল্লির বিচারকের বাড়িতেই হাজিরা দিতে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর বিচারকের বাড়িতেই মাঝরাত অবধি চলে শুনানি পর্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রাকেশ কুমার রায় দেন আগামী ১০ মার্চ অবধি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতেই থাকবেন কেষ্ট। তবে ৩ দিন ইডি হেফাজতের নির্দেশের পরেও এ প্রসঙ্গে নিরুত্তর থেকেছেন অনুব্রত মণ্ডল।

    বিচারকের বাড়িতে অনুব্রতের শুনানি

    গতকাল অনুব্রতকে নিয়ে রাজধানী পৌঁছে যাওয়ার পরেই বিচারক রাকেশ কুমারের এজলাসে শুনানির আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু বুধবার হোলি উপলক্ষে আদালত ছুটি। তাই মঙ্গলবার রাতেই তারা রাকেশ কুমারের এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজির করায় অনুব্রতকে। রাত ১১টা ২০ নাগাদ শুরু হয় সেই শুনানি। কিন্তু আধঘণ্টার মধ্যেই সেই শুনানি মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায়। সিদ্ধান্ত হয়, দু’পক্ষই যাবে বিচারকের বাড়ি। শেষে রাত ১টা নাগাদ অশোকবিহারে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে অনুব্রতকে নিয়ে ইডি আধিকারিকেরা যান। অনুব্রতের আইনজীবীও সঙ্গে ছিলেন। বিচারকের সামনে সশরীরে হাজির করানো হয় অনুব্রতকে। প্রথমে অনুব্রতকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। তাতে আপত্তি জানান অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন। শেষপর্যন্ত তাঁকে আগামী ১০ মার্চ ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টায় আবার ইডিকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রতকে হাজির করাতে হবে।

    ইডির আইনজীবীর বক্তব্য

    ১১টা ২০ নাগাদ ভার্চুয়ালি শুনানির শুরুতেই বিচারক রাকেশ কুমার বলেন, “অনেক দিন পরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিলাম। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।” তবে অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত বলেন, “এই মামলায় ভার্চুয়াল হাজিরা হওয়া উচিত নয়। সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা।” ওই আইনজীবীর অভিযোগ, মক্কেলের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা বলা হয়নি। তিনি কথা বলার সুযোগই পাননি। অনুব্রতের আইনজীবী এ-ও জানান, মঙ্গলবার টানা সফর করতে হয়েছে তাঁর মক্কেলকে। তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। অনুব্রত অসুস্থ। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। এখন হাজিরা বাতিল করা হোক বলে আর্জি জানান মুদিত।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

    এরপরেই ইডির আইনজীবীর সওয়াল, “করোনা পরিস্থিতিতে অনেক সময় ভার্চুয়াল পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে। অনুব্রতের আইনজীবীই তো সশরীরে হাজির হননি!” বিচারকের উদ্দেশে ইডির আইনজীবী বলেন, “তা হলে ৩০ মিনিট সময় দিন। অনুব্রতকে নিয়ে আপনার বাড়ি আসছি।” এর পরেই ঠিক হয় অনুব্রতকে নিয়ে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে যাবে ইডি। শেষ হয়ে যায় ভার্চুয়াল শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত বেরোতেই গোবরজল ছিটিয়ে জেল চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ আসানসোলে, আবীর খেলে উদযাপন বিজেপির

    Anubrata Mondal: অনুব্রত বেরোতেই গোবরজল ছিটিয়ে জেল চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ আসানসোলে, আবীর খেলে উদযাপন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল জেল ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেষ্ট জেল ছাড়তেই গোবর জল দিয়ে জেল চত্বর পরিষ্কার করলেন বিজেপি সমর্থকরা। ঢাকঢোল বাজিয়ে, আবির খেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তাঁরা। অনুব্রতকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি কলকাতা রওনা হতেই, জেল চত্বরে নেমে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঝাঁটা, গোবরজল দিয়ে সংশোধনাগার চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ করলেন তাঁরা। খেললেন গেরুয়া আবির, বিলি করলেন লাড্ডুও।    

    এদিন সকালে পৌনে সাতটা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতা রওনা হয় পুলিশ। এরপরেই সংশোধনাগারে ঢোকার রাস্তা, চত্বর গোবর জল, গঙ্গাজল দিয়ে সাফ করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লি না যাওয়ার চেষ্টা করেও পারলেন না অনুব্রত। আদালতের নির্দেশই চূড়ান্ত হল।   

    বিজেপির আসানসোল জেলা সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের এই ধরনের গরু চোরদের বাঁচানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আদালতের নির্দেশে দিল্লি যেতেই হল। সেই জন্য আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে গঙ্গা এবং গোবর জল দিয়ে শুদ্ধকরণ করা হল।’’

    বিজেপির আরও এক জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের কথায়, ‘‘দোলযাত্রার শুভ দিনে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই আনন্দ ধরে রাখতে পারলাম না। আর সেই জন্যই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে আবির খেলায় মেতেছে।’’

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    প্রসঙ্গত, এদিন সকাল ৬.৪৪ নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশের গাড়ি। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল কারাগার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একজন কন্ট্রোলার কৃশানু গাঙ্গুলী ও তার সহযোগী গিয়েছেন। তাঁকে নিরাপত্তা দেবে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের একজন ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশবাহিনী। একইসঙ্গে থাকবে দুটি পাইলট কার। একটি কনভয়ের সামনে অন্যটি পিছনে থাকবে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আসানসোল জেলা হাসপাতালের থেকে সঙ্গে এসেছে। জেলা হাসপাতালের একজন ফিজিসিয়ান চিকিৎসক অমিও সিন্ধু দাস ও তার একজন সহযোগীও রয়েছেন কনভয়ে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: কচুরি, স্পেশাল ল্যাংচা, রাজভোগ, শক্তিগড়ে রাজকীয় প্রাতরাশ অনুব্রতর

    Anubrata Mondal: কচুরি, স্পেশাল ল্যাংচা, রাজভোগ, শক্তিগড়ে রাজকীয় প্রাতরাশ অনুব্রতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কচুরি, ছোলার ডাল, স্পেশাল ল্যাংচা এবং রাজভোগ পুলিশ পরিবৃত হয়ে শক্তিগড়ে এভাবেই প্রাতরাশ সারলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এদিন তাঁকে বেশ মনমরা দেখাচ্ছিল। মঙ্গলবার দোলের দিন সকালে জেল থেকে বেরনো, শক্তিগড়ে (shaktigarh) হোটেলে দোকানে জলখাবার খেতে ঢোকা পুরো পর্বটাই সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অনুব্রত। বরং খাবার সময় সংবাদ মাধ্যমকে দেখে বিরক্তিই প্রকাশ পায় অনুব্রতর চোখেমুখে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন সকালে অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। পাইলট কার সহযোগে তাঁকে নিয়ে কলকাতার পথে রওনা দেন জেল কর্তৃপক্ষ। পথে শক্তিগড়ের একটি খাওয়ার দোকানে দাঁড়িয়ে যায় অনুব্রতর গাড়ি। পুলিশি নিরাপত্তায় দোকানের ভিতরে চলে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। এর পরেই অনুব্রতর টেবিলে চলে আসে চারটি কচুরি, ঘন ছোলার ডাল, ল্যাংচা এবং রাজভোগ। খাবার শেষে জল খেয়ে মুখ মুছে পুলিশের গাড়িতে গিয়ে বসেন অনুব্রত। গাড়ি রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে। ওই দোকানের কর্মী শেখ আমরুল হক বলেন, অনুব্রতকে চারটি কচুরি ও ছোলার ডাল দেওয়া হয়েছিল। তার পর স্পেশাল ল্যাংচা ও রাজভোগ। তিনি বলেন, আমাদের দোকানে উনি (Anubrata Mondal) আগেও এসেছেন। ঝালমুড়ি আর লাল চা খেতে ভালবাসেন। কিন্তু আজ আর চা খাননি।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    চারটি কচুরি দেওয়া হলেও, অনুব্রত খেয়েছেন তিনটি। খাওয়ার সময় দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। একজনের পরনে ছিল সবুজ পাঞ্জাবি, অন্যজন পরেছিলেন গেঞ্জি। তিনটি কচুরি খাওয়ার পর একটি তুলে দেন সবুজ পাঞ্জাবি পরা যুবকের হাতে। অনুব্রতদের খাবারের মোট বিল হয়েছিল ৯৯৫ টাকা। সেই বিল কে মেটালেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সবুজ পাঞ্জাবি যুবকটিই বা কে, তা নিয়েও ঘনিয়েছে রহস্য।

    এদিন সকাল ৬টা বেজে ৪০ মিনিটে কড়া পুলিশি প্রহরায় আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে নিয়ে ছটি গাড়ির কনভয় রওনা দেয় কলকাতার দিকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে জোকায় ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ফিটনেস সার্টিফিকেট মিললে, দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন অনুব্রত। আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে এসকর্ট করছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। সেখানে ফিট সার্টিফিকেট মিললে তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেবেন জেল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই বিমানে করে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে দুটি পাইলট কার। পাইলট কারের একটি কনভয়ের সামনে ও অন্যটি পিছনে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁদের। অনেকে আবার কটাক্ষও ছুড়ে দেয়। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    প্রথমে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় ফের আসানসোল বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুব্রতকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনবে রাজ্য পুলিশই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    Anubrata Mondal: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনবে রাজ্য পুলিশই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কেষ্টর তিহার যাত্রার জট কাটল। ইতিমধ্যেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার বিষয়ে আদালতের সম্মতি পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার আগে করতে হবে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেই রিপোর্ট ঠিক থাকলে তবেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে ছিল বেশ কিছু জটিলতা। সোমবার সিবিআই আদালত কড়া নির্দেশ দিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে ইডির হাতে তুলে দেওয়ার আগে পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হবে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটকে। রাজ্যপুলিশকেই তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ইডির হাতে তুলে দিতে হবে। আদালত আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে ইডি অফিসার পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    রবিবার অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় আনার বিষয়ে নানান জটিলতা তৈরি হয়। জেল কর্তৃপক্ষ বলে তারা আসানসোল কমিশনারেটকে জানালেও পুলিশ কিছু বলেনি। ওদিকে ইডি বলে, তারা অনুব্রতকে এতটা পথ আনতে পারবে না। নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্য পুলিশকেই।

    আরও পড়ুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর  

    পুলিশ, ইডির এই দড়ি টানাটানিতে মুশকিলে পড়ে জেল কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ তারাই আজকে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানায়। তার ভিত্তিতে আদালত সবটা পরিষ্কার করেছে। সোমবার কখন আসানসোল জেল থেকে কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কনভয় রওনা দেবে কলকাতার উদ্দেশে তা এখনও জানা যায়নি।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা নিয়ে যাবেন এবং তাঁকে নিরাপত্তা দেবে আসানসোল পুলিশ। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ নেওয়ার পর অনুব্রতকে হাসপাতালেই ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর পর ইডি অনুব্রতকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যাবে। জেল কর্তৃপক্ষ ইমেল এবং ফোনের মাধ্যমে আসানসোল পুলিশ এবং অনুব্রতের মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইডি আধিকারিক পঙ্কজ কুমারকে সব তথ্য জানিয়ে দেবেন। যথাসম্ভব দ্রুত ওই প্রক্রিয়া পালনের জন্য নির্দেশ দেন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। সে কথা জানিয়েছেন অনুব্রতের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

LinkedIn
Share