Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: জামিন হল না কেষ্টর! ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    Anubrata Mondal: জামিন হল না কেষ্টর! ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিন জেলবন্দি হয়ে থাকতে হবে কেষ্টকে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সূত্রের খবর, এদিন জামিনের জন্য কোনও আবেদনই করা হয়নি। আগের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেই শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গরু পাচারের এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ মার্চ।

    জামিনের আবেদন করলেন না অনুব্রতের আইনজীবী

    সূত্রের খবর, গতবারের মত এবারও অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। এছাড়াও সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার অনুব্রতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি আদালতে জমা করা হয়েছে। সম্প্রতি হদিশ পাওয়া শতাধিক বেনামি ও ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও রয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, সেই সব অ্যাকাউন্ট থেকে অনুব্রত ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’দের চালকলের টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই তথ্যই আদালতকে দেওয়া হয়েছে। ফলে শুনানির পর শাসকদলের নেতাকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির পর আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। অনু্ব্রতর গ্রেফতারির পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসনকে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়েকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগেই সিবিআই দাবি করেছিল, আগের ১৭৭ বাদে সম্প্রতি আরও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে৷ ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চারটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করে সিবিআই। আর এই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে গরু পাচারের টাকা লেনদেন হত বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান। আবার গতকাল, বৃহস্পতিবার আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি সিবিআইয়ের।

    প্রসঙ্গত, এদিন অনুব্রতর পাশাপাশি তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হয়। গরু পাচারকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা মামলায় বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছেন সায়গল। 

  • Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগারে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা জেরা (interrogated) করেন অনুব্রতকে।

    সকাল সকাল জেরা

    বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে শতাধিক বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তার পর এই প্রথম আসানসোল সংশোধনাগারে গেল সিবিআই। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হবে অনুব্রতকে। তার আগের দিনই তাঁকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করল কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে কিনা তা জানাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। 

    আরও পড়ুুন: দেশের হাল বদলাতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে, জানেন কী কী?

    কী জানতে চাইছে সিবিআই

    সম্প্রতি বীরভূম জেলা সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে তিনশোর বেশি বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থাটির আরও অভিযোগ, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেনও হয়েছে। প্রথমে ১৭৭ ও পরে ৫৪ টি অ্যাকাউন্টের পর ৩ ফেব্রুয়ারি নতুন ১১৫ টি অ্যাকাউন্টের নথি জমা করেছিল সিবিআই। এই অ্যাকাউন্টগুলি বাফার অ্যাকাউন্ট হিসাবে ব্যবহার করার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তার বিস্তারিত তথ্য আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়।  কেন্দ্রীয় এজেন্সির সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই বেনামি অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। গরু পাচারের টাকা লেনদেনে এই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে। এমনিতেই গরুপাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কথা উঠে এসেছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kajal Sheikh: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত! বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ

    Kajal Sheikh: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত! বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। এতদিন এই একই অভিযোগ করছিল বিরোধী দলের নেতারাও। কিন্তু এবারে শাসকদলের নেতার গলাতেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে সুর চড়তে দেখা গেল। রবিবার নানুরের উচকরণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দর বাসস্ট্যান্ডে দলের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রকাশ্যেই দাবি করলেন, নেত্রীর কথা শোনা হচ্ছে না। জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পরামর্শেই দল চালাচ্ছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। ইতিমধ্যেই এই দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কাজল শেখের বিস্ফোরক দাবি

    গতকাল বীরভূম তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ দাবি করেন, “বিকাশদার সঙ্গে কেষ্টদার ফোনে কথা হচ্ছে সেই কারণেই উনি বলছেন কেষ্টদার কথামত চলছেন। হয়ত বিকাশদার সঙ্গে কেষ্টদার জেল থেকে ফোনে কথাবার্তা হচ্ছে। বিকাশের ফোন পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে কথা হচ্ছে কী না। কালকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞেস করে নিন বিকাশদা এটা বলেছেন কী না। আমি সত্য কথা বলি, সত্য পথে চলি।”

    আরও পড়ুন: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, শনিবারই বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান কাজল শেখ। জানা গিয়েছিল যে, কোর কমিটির বৈঠক না হওয়ায় ও দলে সম্মান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে রবিবার তিনি জানান, বিষয়টা তেমন নয়। ব্যক্তিগত কাজেই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ওই বৈঠকেই বিকাশ রায়চৌধুরী দাবি করেছেন যে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই দল চলছে। এর প্রমাণ পেতে তিনি বিকাশের ফোন পরীক্ষা করার কথাও বলেন। বৈঠক চলাকালীন তিনি পিছনের দিকে বসে ছিলেন। কেন সামনে দিকে বসেননি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সামনে বসা আমার লক্ষ্য নয়, আমার লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল করা। চাইলে আমি অনেক আগে এমএলএ-এমপি হতে পারতাম। কিন্তু ও সব আমার লক্ষ্য নয়।”

    উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডে প্রায় পাঁচ মাস জেলবন্দি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই অবস্থায় বীরভূমে পার্টি কে চালাবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বীরভূম সফরে এসে জেলায় সাতজনের কোর কমিটিও করে দিয়েছিলেন। প্রথম থেকে অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত নানুরে তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও এই কমিটিতে জায়গা দেন মমতা। প্রত্যেক সপ্তাহে কোর কমিটির সদস্যদের দলনেত্রী বৈঠক করার নির্দেশ দিলেও এখনও একটিও মিটিং হয়নি। গতকাল সেই নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন কাজল শেখ। আর সেই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ উগরে তিনি এমন দাবি করেন।

  • Chit Fund: বীরভূমে চিটফান্ডের হদিশ, আত্মসাত ৩০ কোটি, যুবক গ্রেফতার

    Chit Fund: বীরভূমে চিটফান্ডের হদিশ, আত্মসাত ৩০ কোটি, যুবক গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেলা বীরভূম। এবার পর্দা ফাঁস চিটফান্ডকাণ্ডের (Chit Fund)। ৩০ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। জেলার প্রায় দেড়শো যুবকের কাছে সুদ সহ টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে। পরে সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করে গা ঢাকা দেন সংস্থার কর্ণধার শুভ্রায়ন শীল নামে এক যুবক। রবিবার তাঁকে আটক করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। বীরভূমে গোরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে একাধিক দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। বর্তমানে তিনি বন্দি জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। সিবিআইয়ের দাবি, লটারির টিকিটের মাধ্যমে গোরু পাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এহেন আবহে জেলায় চিটফান্ডের হদিশ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কারবার…

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএস কনসালটেন্সি নামের একটি সংস্থা (Chit Fund) শেয়ার বাজারে লগ্নির নামে বাজার থেকে তুলেছে কোটি কোটি টাকা। চড়া সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে ব্যক্তি বিশেষে দু লাখ থেকে শুরু করে দু কোটি টাকা পর্যন্ত তুলেছে এই সংস্থা। এভাবে তারা বাজার থেকে তুলেছে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। পরবর্তীকালে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে গা ঢাকা দেন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। মাস তিনেক পরে সংস্থার কর্ণধার শুভ্রায়নকে খুঁজে পান লগ্নিকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রলোভন দেখিয়ে ১৫০ জনেরও বেশি যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ, অথচ জমি জটে আটকে রেল প্রকল্প, খরচ কীভাবে?

    শুভ্রায়নকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। তিনি শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শুভ্রায়নের গ্রেফতারির খবর পেয়ে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান লগ্নিকারীরা। তিনি বলেন, আমি একটা কোম্পানি খুলেছিলাম। তাতে আমার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। টাকা ফিরিয়ে দেব বলে আমি ওঁদের কাছে সময় চেয়েছিলাম।

    কয়েকজন লগ্নিকারী বলেন, সুদ সহ টাকা ফেরত দেবে বলে আমাদের কাছে টাকা তুলেছিল (Chit Fund)। বোলপুরের শতাধিক ছেলে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সেই টাকা না ফিরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ৩০ কোটির বেশি টাকা লুঠ করেছে। আমরা চাই পুলিশ আমাদের টাকা আদায় করে দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে এল নয়া মোড়। কেষ্টর বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। গরুপাচারের টাকা লেনদেনের জন্য আরও ১১৫টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরও অবাক করা বিষয়, এই অ্যাকাউন্টগুলি করোনা কালে মাত্র ২ দিনে খোলা হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েতে যে নথি জমা করেছিলেন উপভোক্তারা, সেই নথি দিয়েই এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল। লক্ষ-লক্ষ টাকা এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই এই অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ফের এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিল সিবিআই

    এদিন আসানসোল আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানায় সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে আরও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চারটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, করোনা অতিমারির সময় দু’দিনের মধ্যে এই ১১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

    সিবিআই আদালতে আরও দাবি করেছে, গরু পাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টগুলিতে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির জন্য পঞ্চায়েত অফিসে জমা হওয়া নথি থেকে এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, এখনও পর্যন্ত ১৬ জন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়। তাঁরা কেবল ছাপ দিয়েছেন।

    রাজীব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    গরু পাচার কাণ্ডে উঠে এসেছে রাজীব চট্টোপাধ্যায়র নাম। সিবিআই জানিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ৬৬ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। তদন্তকারীরা আদালতে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসায় টাকা দিয়েছিলেন যে রাজীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে গরু পাচারের টাকা। এই সব সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেই ঘুর পথে গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে কেষ্টর অ্যাকাউন্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

    অন্যদিকে এই অ্যাকাউন্টগুলি যে প্রভাব খাটিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার কাণ্ডে ১৭৪ টি এবং ৫৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।

    ফের ১৪ দিনের জেল কেষ্টর

    এদিন গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাব শেষে আদালত কেষ্টর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অবধি অনুব্রতকে আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। এদিন আদালতে অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি কেষ্টকে আবার আদালতে পেশ করা হবে।

  • Anubrata Mondal: আরও ১৪ দিন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে

    Anubrata Mondal: আরও ১৪ দিন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ১৪ দিন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই থাকতে হবে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় আজ, শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯ জানুয়ারিও অনুব্রতকে তোলা হয়েছিল আদালতে। সেদিন বিচারকের কাছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দাবি করেছিল, আরও বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।

    বেনামি অ্যাকাউন্ট…

    বীরভূমের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের কথা জানা গিয়েছিল আগেই। পরে আরও ৫৪টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল বিচারকের কাছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী সেদিন আদালতে জানিয়েছিলেন, ওইগুলি সব বাফার অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। ওই দিনের পর ফের তল্লাশি চালায় সিবিআই। হদিশ মেলে ১৫০টি নয়া অ্যাকাউন্টের। এই সব তথ্যই তুলে ধরা হয় বিচারকের কাছে।

    আরও পড়ুুন: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এদিকে, এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার পরেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার অনুব্রতর জামিনের আর্জিতে ইডির বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। গরু পাচার মামলায় আসানসোল জেলে থাকাকালীনই অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট।

    ইডি যাতে অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, তাই। ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে এবং রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন অনুব্রত। ইডি তাঁকে গ্রেফতারের পরে কারণ দর্শিয়ে কোনও নথি দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েও মামলা করা হয়েছে। এই মোট চারটি মামলায়ই এদিন ইডির বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানি। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর মধ্যেই ফের ১৪ দিন বাড়ল অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ। শুক্রবার আদালতে পেশ করার সময় অনুব্রতকে অসুস্থ লাগছিল। তবে আদালতে পেশ করার আগে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তিনি সুস্থই রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Cow Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    Cow Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে মাত্র ‘কেষ্ট-সংস্রব’ এড়িয়ে জেলা ছেড়েছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে পরেই গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ফের তৎপর হল সিবিআই (CBI)। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আপ্ত সহায়ক ও তাঁর পরিচারককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বীরভূমের বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় অর্ক দত্ত ও বিজয় রজককে। গোয়েন্দাদের দাবি, অর্ক অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক ও বিজয় পরিচারক হিসেবে কাজ করতেন।

    সিবিআই নজরে…

    এদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাহিরি পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিশ্বজ্যোতি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বিশ্বজ্যোতির নামেই অনুব্রত গাড়ি কিনেছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের কোটি টাকার লটারি জেতার নেপথ্যের কারিগর শুভঙ্কর। এর বিনিময়ে এই তৃণমূল নেতা কী পেয়েছেন, তা জানতে চায় সিবিআই। বিজয় রজক নামে আরও একজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। তাঁর নামে বেশ কয়েকটি বেনামী অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: রামলালার বিগ্রহ তৈরির জন্য নেপাল থেকে শিলা পৌঁছাল অযোধ্যায়

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের জেল বন্দি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ অর্ক দত্তকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য (Cow Smuggling Case) মিলেছে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও পৌঁছেছে। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বেনামে ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। গাড়ি কেনা ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের পিছনে গরু পাচারের টাকা রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    বুধবার বীরভূমের প্রশাসনিক সভা থেকে নাম না করে অনুব্রত ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, আমার দলের দু একজন নেতাকে গ্রেফতার (Cow Smuggling Case) করেছে। এমনিতেই ভোটের সময় তাঁদের বাড়ির বাইরে বের হতে দিত না। তা সত্ত্বেও মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। সে যতদিন ফিরে না আসবে, ততদিন বীরভূমের সংগঠন আমি দেখব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল নেত্রী মুখে একথা বললেও, সতেচনভাবে এই দফায় বীরভূম সফরে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন কেষ্ট-সংস্রব। কারণ তৃণমূল নেত্রীর বীরভূম সফরের জন্য যেসব পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ছাপানো হয়েছিল, তাতে কোথাও কেষ্টর নামগন্ধ পর্যন্ত নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেষ্ট অনুগামীদের দাক্ষিণ্য পেতেই কী মমতার এই সস্তা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন? প্রশ্ন দলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় দিল্লি আদালতও জামিন দিল না অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় দিল্লি আদালতও জামিন দিল না অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সেই জেলেই ফিরতে হল বীরভূম জেলা তৃণমূ্লের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আজও কেষ্টর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগেই গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সেই পথ অনেকটাই প্রশস্থ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইডির আর্জির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। এবার দিল্লি হাইকোর্টের মামলাও যদি অনুব্রত হেরে যান, তাহলে ইডির কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া আর আটকানো যাবে না।  

     

    কী জানা গেল? 

    ইতিমধ্যেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে আরও এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আপাতত তিনি সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন। কিন্তু পরে আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে জেরা করার অনুমতি চায়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ইডির আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু অনুব্রত সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যান। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টেও ইডির মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে মামলা করেন। দিল্লিতে অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এই জামিন মামলাটিই খারিজ করেছে দিল্লির আদালত। 

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা      

    দিল্লির আদালত অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন খারিজ করলেও হাইকোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই অনুব্রতকে দিল্লিতে এনে জেরা করা হবে। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগলকে আগেই গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে নিয়ে এসে জেরা করেছে ইডি। এখন তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। ইডি যদি অনুব্রতকে হেফাজতে পায়, তাহলে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে দিল্লিতে জেরা করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন অপেক্ষা দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

LinkedIn
Share