Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Cattle Smuggling Case: জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে ঝাঁঝরা এক পাচারকারী

    Cattle Smuggling Case: জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে ঝাঁঝরা এক পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ-এরগুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন এক গরু পাচারকারী। জানা গিয়েছে, এই গরু পাচারকারী (Cattle Smuggling Case) একই কাজে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। জলপাইগুড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় গরুপাচারের সঙ্গে অনেক দিন যুক্ত ছিলেন। ঘটনায় রাজ্যে গরু পাচারে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী কতটা তৎপর তা আরও একবার প্রমাণিত হল। উল্লেখ্য স্থানীয় শাসকদল তৃণমূলের নেতারা এই রকম পাচার কাজকে প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে থাকে বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ করে এসেছে। লোকসভার ভোটের আবহে ফের একবার গরু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চাল্য ফেলে দিয়েছে রাজ্যে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Cattle Smuggling Case)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের খাল পাড়া সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের (Cattle Smuggling Case) ঘটনা ঘটছিল। এই বিষয় নজরে আসতেই ১৯৫ নং ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ বাহিনী। এরপর পাচার রুখতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং পাচারকারীদের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। এই লড়াইতে মৃত্যু হয় পাচারকারীর। পাচারকারীর নাম হল কাজিরুল মহম্মদ। তাঁর বাড়ি হল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভাঙামালি গ্রামে। এলাকায় অনেক বছর ধরে পাচার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এলাকায় কুখ্যত ছিলেন। অপরদিকে ঘটনায় গুলির ঘায়ে কয়েক জন সীমান্ত বাহিনী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    বিএসএফের বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, “নিজেদের আত্ম রক্ষার জন্য এই গুলি চালাতে হয়েছিল। তবে দুই পক্ষের লড়াইতে কয়েকজন পাচরকারী (Cattle Smuggling Case) পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনা স্থলে পড়েছিলেন কাজিরুল।” বিএসএফ আধিকারিকরা তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে।

    উল্লেখ্য এই রাজ্যে গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতি মধ্যে। একই ভাবে তৃণমূল নেতা দেবকে বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কামান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগেও রাজ্যের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নানা সময়ে তৃণমূলকে রাজ্যের গরুপাচারকাণ্ড নিয়ে নিশানা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Coal Scam Case: কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    Bengal Coal Scam Case: কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Bengal Coal Scam Case) শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন লালা। নিজের বাড়ি পুরুলিয়ার নিতুরিয়া থানা এলাকা থেকে ৫০ কিলোমিটারের বাইরে যেতে পারবেন না। ট্রায়াল শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমন আদেশ থাকবে। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তিনি। আগামী ২১ মে চূড়ান্ত ফাইনাল চার্জশিট জমা দেওয়ার পর এই মামলার ট্রায়াল শুরু হবে।

    ভোটের দিন আত্মসমর্পণ করে করে ছিলেন লালা (Bengal Coal Scam Case)

    আজ মঙ্গলবার কয়লা পাচার মামলায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এই কয়লা পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে তিনি রয়েছেন। এদিন আসানসোল সিবিআই আদলাতে হাজিরা দেন। এই কয়লা পাচার মামলায় গুরুপদ সহ মোট চারজন প্রথমে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনজন মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।

    গ্রেফতারিতে ছিল রক্ষা কবচ

    জানা গিয়েছে, আগেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে লালা রক্ষাকবচ নিয়ে ছিলেন। সিবিআই সেই জন্য তাঁকে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু কয়লা পাচার (Bengal Coal Scam Case) তদন্তের চার্জ গঠন করার নির্দেশ দেয় আসানসোলের বিশেষ আদালত। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী মামলায় অত্যন্ত তৎপর ছিলেন। আগামী ২১ তারিখ ছিল এই চার্জ পেশ করার সময়। কিন্তু সিবিআই আদালতে জানায় যে লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করলে মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট গঠন সম্ভব নয়। আবার বিচারক জানান, গ্রেফতারির ক্ষেত্রে রক্ষা কবচ রয়েছে কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে বাধা নেই। এরপর লালার খোঁজে অভিজান শুরু হয়। গতকাল আসানসোলে ভোট পর্ব ছিল। ভোট শেষ হেতেই লালা আদলাতে আত্মসমর্পণ করেন। অপর দিকে এই মামলায় আবার ইডি তদন্ত করছে। সেখানে অবশ্য রক্ষা কবচ নেই। ফলে লালার আবার গ্রফতার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

    আরও পড়ুনঃ“তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন”, তোপ সুকান্তর

    মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত

    ২০২০ সালে কয়লা পাচার মামালার (Bengal Coal Scam Case) তদন্ত শুরু হয়েছিল। রেলের বিভিন্ন সাইডিং থেকে কয়লা চুরি করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। লালার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। লালার সঙ্গী গুরুপদ এখনও তিহাড় জেলে বন্দি। গরু পাচারের সময় এনামুলের সঙ্গে সিন্ডিকেটের সাহায্য নিতেন লালা। উত্তরবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য কয়লা পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার জেরার মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে এই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।     

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Bribhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বোলপুরের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা। অনুব্রত জেলবন্দি থাকলেও পুলিশের নিরাপত্তাতেই রয়েছে দাপুটে এই তৃণমূল নেতার বাড়ি। কিন্তু তার মধ্যেই শনিবার সকালে দেখা গেল অন্য ছবি। পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেও অনুব্রতর বাড়ির ছাদে উড়ল গেরুয়া পতাকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

    কে লাগাল পতাকা? (Anubrata Mondal)

    এক বছরের বেশির সময় বোলপুরের এই বাড়িতে নেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। তিহাড় জেলে বন্দি তারা। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তবে কে লাগাল পতাকা? আগে একটা সময় ওই বাড়ির নীচে লাইন পড়ত মানুষের। এখন ফাঁকা পড়ে বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীরাই পাহারা দেন। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজনরা আসেন। এছাড়া বাড়ির কাজের লোকেরাও মাঝে মধ্যে এসে ঘর পরিষ্কার করেন। তা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই ওই বাড়িতে। বেশিরভাগ সময়েই তালবন্ধই হয়ে পড়ে থাকে। তালে  ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা ছাদের মাথায় কে লাগিয়ে গেল তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। নিরপত্তারক্ষীরাও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।    
    সম্প্রতি বীরভূমে (Bribhum) ভোট প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্ট (Anubrata Mondal) ও তার মেয়েকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যাতে সে তৃণমূল করতে না পারে…আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোটের পর ওদের ছেড়ে দেবে।”

     বিরোধীদের দাবি

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধীদের দাবি, বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় বোঝাপড়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারই প্রকাশ হল ছাদের পতাকায়। বীরভূম (Bribhum) সিপিএম এর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “ওদের সম্মতিতে এটা ঘটেছে। আমার কাছে যা খবর আছে তাতে মনে হয় ওদের পরিবারের লোকেরা তলে তলে বিজেপি করছে। এখন তৃণমূলের যা অবস্থান তাতে রাম নবমীর পতাকা ওরাই ঝোলাবে। আগে থেকে সবাই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই বেরোনোর ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) যদি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগেই বোলপুর এসে অধীর চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেল থেকে বের হতে গেলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে। ফলে সে রকম কোনও ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

    আরও পড়ুন: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    যদিও  এপ্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। ফলে তাঁর বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা ওড়ে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর রাম তো কারও একার নয়, বাড়িতে রামের পতাকা ঝুলবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অশান্তির আশঙ্কা! বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা

    Loksabha Election 2024: চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অশান্তির আশঙ্কা! বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে ভোটযুদ্ধ (Loksabha Election 2024) । ফলে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ ১৩ মে। এদিন ভোটগ্রহণ হবে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বীরভূম, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল ও বোলপুরে। আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কর্মতীর্থ বোলপুর আসনে রয়েছে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    বোলপুরে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ

    কমিশন সূত্রে খবর চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রায় ২৩.৫% এবং ২০শে মে পঞ্চম দফায় ৫৭.১৯% বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফায় মোট ১৫,৫০৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬৪৭টি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে।  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর শুধু বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৬৫৯টি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ৬৪০টি। বহরমপুরে ৫৫৮টি, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৪৪২টি, রানাঘাটে ৪১০টি, বর্ধমান পূর্বে ৩০১টি, আসানসোলে ৩১৯ টি এবং কৃষ্ণনগরে ৩৩৮টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    অনুব্রতহীন বীরভূম তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ

    প্রসঙ্গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত ভোটে বোলপুর সহ গোটা বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বিধানসভা ভোটে তৎকালীন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তিহারে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতহীন বীরভূমে (Loksabha Election 2024) অশান্তির আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অনুব্রত জেলবন্দী থাকলেও কাজল শেখের  নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা মোটেই এই আসন হাতছাড়া হতে দিতে চান না। অনুব্রতহীন বীরভূমে কাজল শেখকে তাঁর অস্তিত্ব বাঁচাতে বোলপুর ও বীরভূম আসনে দলের প্রার্থীকে জেতানোর বাড়তি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই কারণেই গন্ডগোলের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

    কীভাবে স্পর্শকাতর বুথ নির্বাচন

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে যেখানে কোন ধরনের গোলমালের নজির রয়েছে এবং বর্তমানে (Loksabha Election 2024) সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে কী না এসব খতিয়ে দেখে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়। কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লে কিংবা কোন বুথে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেই বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কোনও প্রার্থী ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সেই বুথকে অতি স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়। সেই মত ওই বুথগুলিতে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিমের কাছেও সেই সমস্ত বুথের তালিকা জমা দেওয়া হয়ে থাকে। চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় স্পর্শকাতর বুথে বাড়তি নজর রাখতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    পঞ্চম দফায় ৭৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণা

    চতুর্থ দফা শেষ হলে ২০ মে পঞ্চম দফায় (Loksabha Election 2024) ভোট হবে রাজ্যের বনগাঁ, বারাকপুর, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ, হাওড়া ও উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই আসনগুলির মোট বুথের সংখ্যা ১৩,৪১৮টি। এর মধ্যে ৭৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর। এই কেন্দ্রগুলিতে স্পর্শকাতর বুথের মধ্যে হুগলিতে সর্বাধিক। সেখানে ১৭৮৭টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। সংখ্যার বিচারে সবার শীর্ষে রয়েছে আরামবাগ কেন্দ্র। আরামবাগে ১৭৭০টি, শ্রীরমপুরে ১২৩৬টি, বারাকপুরে ১০৫৯টি, উলুবেড়িয়ায় ৬৯৪টি, হাওড়ায় ৬০৫টি এবং বনগাঁয় ৫৫০টি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় হুগলিতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পুনরায় টিকিট দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা রেখেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। লকেট এবং রচনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংবাদ শিরোনামে এসেছে। অন্যদিকে নানান অর্থনৈতিক অভিযোগে অভিযুক্ত আরামবাগে বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বীরভূমে প্রচারে ঝড় তোলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং তৃণমূল নেতা অশ্বীনি মণ্ডল কাউকে হুমকি দিলে আমাকে মেসেজ করবেন। ভোটের দিন যদি পাড়ায় আটকে রাখে তাহলে আমাকে বুথ নম্বর এবং পোলিং নম্বর দিয়ে মেসেজ করবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফ চলে যাবে কথা দিলাম। কীভাবে এদের কোমর ভাঙতে হয় জানি। আমরা দিনহাটায় উদয়ন গুহকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। ফলে, তৃণমূলের কোনও দাদাগিরি চলবে না।

     মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পুলিশ কর্মীদের বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ক্লোজ করা হবে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি কেষ্টকেও সতর্ক করেছিলাম। এখন তিহাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’ এরপর স্থানীয় শুভেন্দু- নুরুল ইসলাম, অশ্বিনী মণ্ডল, বলরাম বাগদী, রাজু মুখোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁদের তিনি সতর্ক করেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু  পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ক্লোজ করা হবে। আর অবসর নিলে অবসরকালীন সুবিধা বন্ধ করে দেবে।’ তিনি ঘোষণা করেন, মিথ্যা মামলায় যাঁদের জেল খাটতে হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেটা হল ‘সংগ্রামী ভাতা।’ এদিনও তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বলছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ হাজার টাকা করে দেব লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকা করে গ্যাস করে দেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    Birbhum: ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগেই বীরভূমে (Birbhum) জোর চঞ্চল্য। একসঙ্গে প্রায় ৪০ জন তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বসল বিজেপি। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে। ফলে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে দুই শিবিরেই। তাহলে কি আসন্ন লোকসভায় পরিস্থিতি বদল হতে শুরু হয়েছে কেষ্টহীন (Abubrata Mondal) বীরভূমে? তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার।

    সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ (Birbhum)

    স্থানীয় (Birbhum) সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ তুলে জানিয়েছে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানো ও ভয় দেখানোর কাজ করে রাজ্যের শাসক দল। আর তাই একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে মোট ৪০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভোটের বাজারে এহেন রাজনৈতিক মামলা দায়ের করার রেওয়াজ রয়েছে বঙ্গে। তবে সাধারণত বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনন্য সাক্ষী থেকেছে এই বাংলার মানুষ।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বীরভূম জেলার সহ সভাপতি দীপক বোস বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্যি। কে কোথায় কবে সন্ত্রাস করেছে তা সকলের জানা। দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছে। আগামী দিনে প্রমাণ হয়ে যাবে তৃণমূল কতটা জলে আছে। দু’নম্বর ব্লক স্পর্শকাতর ঘোষণা হতে চলেছে। আমরা যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তা গ্রহণ করব। আমরা সমস্ত বুথে এজেন্ট বসাব। বিজেপির ব্লক অফিস ঘিরে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিগত দিনে প্রার্থী দিতে দেয়নি আমাদের। নুরুল ইসলাম ভেবেছেন সিউড়ি জুড়ে সন্ত্রাস চালাবেন, এটা হতে পারে না।”

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় সিউড়ি (Siuri) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, “যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Satabdi Roy: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    Satabdi Roy: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। দলে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ বেশ কিছুদিন ধরে বীরভূমে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর দাপাদাপিতে কেষ্ট অনুগামীরা এখন কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। লোকসভা ভোটের মুখে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এই অবস্থায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন শতাব্দী রায়? (Satabdi Roy)

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বুধবার সিউড়ি তৃণমূল কার্যালয়ে ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠক। আর সেই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, অভিজিৎ সিংহ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মাল এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। মূলত কোর কমিটির এদিনের এই বৈঠকে বীরভূম জেলায় লোকসভা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বিজেপির দখলে থাকা দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকায় কীভাবে বেশি মার্জিনে ভোট টানা যাবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। ভোটের আগে জেলায় যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এদিনের এই বৈঠকের পর সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শতাব্দী রায় বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না, ওটা এখন তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। যে লোকগুলোর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে তোমরা রিপোর্ট দেখাবে, তারাই দেখবে আবার দুদিন পর হাতে হাত ধরে ভোট করতে যাবে, তখন তোমাদের ওই রিপোর্টটা বেকার হয়ে যাবে।” ফলে, জেলায় যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে তা বিদায়ী সাংসদ স্বীকার করে নেন। তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্য নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কেষ্ট গড়় বোলপুরে প্রিয়া সাহার ওপর আস্থা বিজেপি-র

    BJP: কেষ্ট গড়় বোলপুরে প্রিয়া সাহার ওপর আস্থা বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড় বোলপুরে এবার দলীয় নেত্রী প্রিয়া সাহাকে বিজেপির (BJP) প্রার্থী করা হয়েছে। এমনিতেই কেষ্ট গড়ে তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। কাজল বনাম অনুব্রতের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি লেগেই রয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছেন। টলমলে কেষ্ট গড়়ে এবার প্রিয়াকেই বাজি রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি-তে এই নেত্রীর নাম খুব একটা বেশি  সামনে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর রাজনৈতিক পরিসর এবং ব্যক্তিগত জীবন অনেকের কাছেই অজানা। বোলপুর কেন্দ্রে বিজেপি-র নতুন প্রার্থী নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই প্রিয়া? (BJP)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়া সাঁইথিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতক হন। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ ছিল। তাঁর নাম প্রচারে খুব একটা না এলেও ভোটযুদ্ধে তিনি এই প্রথম নন। আগে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। ২০১৫ সালে পুরসভা ভোটে পদ্ম প্রতীকে লড়েওছিলেন। সেই প্রথম ভোটযুদ্ধে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন। পরে, ২০১৬ এবং ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি সাঁইথিয়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। কিন্তু, সেই সময় জয়ের মুখ অবশ্য দেখেননি। বীরভূমে বিজেপি-র কর্মসূচিতে প্রথম সারিতে দেখা যায় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, লোকসভার ময়দানে এরকম আনকোরা মুখের উপর ভরসা করে কি আদৌ অনুব্রত গড়ে ভোট বৈতরণী পার করতে পারবে বিজেপি তা নিয়ে বীরভূম জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী?

    জয়ের বিষয়ে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী বিজেপি (BJP) প্রার্থী প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের এখন কী পরিস্থিতি তা সকলেই জানেন। বীরভূম আগে অনুব্রতের গড় ছিল। এখন ওই দলে কোন্দল লেগেই রয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দলের ওপর আর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। তাই, জয়ের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে পদ থেকে সারল তৃণমূল। অবশ্য অপসৃত প্রাক্তন বিধায়কের দাবি “আমি সুস্থ”। গরুপাচার মামলায় জেলবন্দী বীরভূমের (Birbhum) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিধায়ক হওয়ার পিছনেও কেষ্ট মণ্ডলের হাত ছিল বিরাট। তাঁকে পদ থেকে অপসারণের ফলে দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে কি গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এই ভয়েই কি অপসারণ? নাকি দলের গোষ্ঠী কোন্দল? উঠছে নানা প্রশ্ন। 

    কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গ্রেফতারের পর থেকে ক্রমশ দলের মধ্যে অনুব্রতের গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। অপর দিকে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কাজল শেখের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সভাপতির পদ থেকে কেষ্টকে এখনও আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি দেননি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশকে বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজল শেখ এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরাকে। ফেলে অনেকের অনুমান, দলের মধ্যে কোন্দল স্পষ্ট। 

    বেসুরো নরেশ বাউড়ি

    ঘটনায় দলের সুরে সুর না মিলিয়ে বীরভূমের (Birbhum) অনুব্রতপন্থী নরেশ বাউড়ি বলেন, “শরীরিক ভাবে আমি যথেষ্ট সক্ষম। আমি অসুস্থ নই। দলের যা সিদ্ধান্ত তা মেনে চলবো।” তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তাই দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। বস্তুত লোকসভার আগে এই দলের পরিবর্তনে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল মন্ত্রী বক্তব্য

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য দলের দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “নরেশ বাবু শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি নিজেই সরে যাবার আবেদন করেছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তাঁকে জেলায় (Birbhum) অন্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) দিকে দিকে তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক জায়গায় ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের মুখে বীরভূমে একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার কে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এর আগে নির্বাচন হোক বা সাধারণ বিষয় রাজনৈতিক হানাহানিতে তপ্ত হয়েছে বীরভূম। তাই, একাধিক থানা এলাকায় এত বোমা বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    নানুর, কীর্ণাহার, ইলামবাজারে বোমা উদ্ধার (Birbhum)

    ভোটের আগে বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা। বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই, মারগ্রাম, দুবরাজপুর, লাভপুরের পর এবার কীর্ণাহার। বোমা উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য। বীরভূমে ফের বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রাম। কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রামের মাঠের ধার থেকে ৪০-৪২ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত নেমেছে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানার তাখোরা এবং ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে চার ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ইলামবাজার থানার নাচুনসা গ্রামে নদীর ধারে এক ব্যাগ ভর্তি তাজা উদ্ধার করা হয়। এলাকার মানুষ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে, পুলিশ ব্যাগ ভর্তি বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এত বিপুল পরিমাণ বোমা কোথায় থেকে এল? কারা কি উদ্দেশ্যে মজুদ করেছিল? সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আকাল মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছে থেকে একটি ওয়ান সাটার এবং গুলি পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share