Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    Anubrata Mondal: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কেটেছে জেলে। কালীপুজোর আগে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) তাঁকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানাল সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    গরু পাচার কাণ্ডে গরাদেই রয়েছেন কেষ্ট।  ৫৭ দিনের মাথায় গরু-পাচার মামলায় চার্জশিটও জমা দেয় সিবিআই অফিসাররা। সেখানে উঠে এসেছে অনুব্রতর একাধিক সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমিজমা ইত্যাদির কথা। আদালতের নির্দেশে একদা বীরভূমে তৃণমূলের বেতাজ বাদশা অনুব্রতের ঠিকানা এখন আসানসোল জেল। এবার আরও চাপে তিনি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে  ইলামবাজারের খুনের তদন্তে নেমে সিবিআই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিক বার তলব করে। কিন্তু  তখন অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অনুব্রত। সেই সময় নিজের শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। হাইকোর্টের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনই এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০টায় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধূলিয়ানের বেঞ্চে শুনানি রয়েছে এই মামলার। এই মামলায় বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। তাদের বক্তব্য, অনুব্রতকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে তার জেরে তিনি আগাম জামিন পেতে পারেন। এই রক্ষাকবচের ফলে তদন্ত থমকে গেছে। তাই শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।  ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করে সিবিআই। তাঁদের যুক্তি, অনুব্রতের রক্ষাকবচ আগাম জামিনের অনুরূপ। এর ফলে তদন্ত থমকে যেতে পারে। তদন্তে সহযোগিতা না-ও করতে পারেন অনুব্রত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৮ বছরে  আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    Anubrata Mondal: ৮ বছরে  আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) ৮ বছরে  আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, সুকন্যার আয়কর রিটার্নে মিলেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। করোনার সময় যখন প্রতিদিন চাকরি হারিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের পেটে ভাত জুটছে না। বেসরকারি কর্মীদের পকেট শূন্য। ব্যবসায়ীরা জমানো টাকা ভাঙিয়ে খেতে ব্যস্ত। সেই বছর অর্থাৎ, ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে সুকন্যার। তাঁর আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কীভাবে? চার্জশিটে সেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    গরু পাচার মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত ১০ বছরে  শুধু সুকন্যা নয়,বিপুল হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেরও (Anubrata Mondal)। ৮ বছরে অনুব্রতর আয় বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণ। সুকন্যা ও অনুব্রতের বার্ষিক আয়ের পরিমান দেখে আলোড়ন ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। গরু পাচার মামলায় আসানসোল সিবিআই কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে সুকন্যা মণ্ডলের আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মতো। পরের বছর তা বেড়ে হয় সাড়ে ৮ লাখ। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে সেটা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ সালে সুকন্যা আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা আয় দেখিয়েছেন। ১৯-২০ সালে সেটাও বেড়ে হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। আর গত আর্থিক বছরে তাঁর আয় হয়েছে ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। এই আয় শুধুমাত্র সুকন্যা মণ্ডলের ব্যক্তিগত আয়।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    অনুব্রত কন্যা সুকন্যা তো প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা কিন্তু, তাঁর মা তথা অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের কোন পেশা না থাকলেও তাঁর ২০১২-১৩ সালে বার্ষিক আয় ছিল প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। ২০১৪-১৫ সালে তাঁর আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ লক্ষ টাকা। ২০১৭-২০১৮ সালে তাঁর আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ লক্ষ টাকা। এই আয়ের উৎস কী? কোথা থেকে আসত এত টাকা? এখন সেই সত্যই খুঁজতে ব্যস্ত সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার কেলেঙ্কারির ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার কেলেঙ্কারির ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার ৫৭ দিন পর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।  চার্জশিটে অনুব্রতকেই গরুপাচার (Cattle Smuggling) দুর্নীতির মূল কাণ্ডারি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে বীরভূমে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি, জমি ও চালকলের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, সেই ধারাগুলোই অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    ১১ আগস্ট গরুপাচার মামলায় বোলপুরের (Bolpur) বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই নিয়ে গরুপাচার মামলায়  চতুর্থ চার্জশিট পেশ করা হল। সূত্রের খবর, এই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে দাবি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন আইনে পেশ করা এই চার্জশিটে অনুব্রতর ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই চলত গরুপাচারের কোটি কোটি টাকার লেনদেন। পাচারকারীদের প্রোটেকশন দিতেন অনুব্রত! এদিন আদালতে অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কথায়, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, ফলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া তদন্তের জন্য সমস্যার হতে পারে।   

    এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের উপর চাপ বাড়াতে কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে রাজ্য পুলিশে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার তথ্য হাতে নিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা ও গরু পাচার মামলায় তাদের করা ইসিআইআর-এ যুক্ত করা হয়েছে সমস্ত নথি ও তথ্য। কয়লা পাচার এবং গরু পাচারের  অভিযোগনামা। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছে সায়গলের জন্য, এমনটাই খবর। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল হলেও, ফুলে ফেঁপে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোষাগার। বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতির ব্যবসাপত্রে এত লেনদেন বাড়ল কী করে, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের। এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীরা। এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর কথা জানানো হয়েছে, তার একটি বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী-আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal), প্রয়াত স্ত্রী ছবি-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ি, বোলপুর, কলকাতার সল্টলেক এবং বাগমারি শাখায় মোট ১৩টি অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। ১৩টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে ওই চালকল এবং সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টও। ১১ অগাস্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই অ্যাকাউন্টগুলিতে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

    চার্জশিটে বলা হয়েছে, এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুরের শাখায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ এক জনের অ্যাকাউন্টে ২০১১ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ১০৫ বারে এক কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ির শাখায় একটি চালকলের অ্যাকাউন্টে ৬৬ বারে প্রায় এক কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা, ওই ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় ওই চালকলেরই অ্যাকাউন্টে ২৪ বারে প্রায় এক কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা, আবার একটি ‘ভুয়ো’ সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৭৮ বারে প্রায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।  গত কয়েক বছরে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বোলপুরে ব্যাঙ্ক অফ বরোদাতেই ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বেশি। ওই শাখায় দুজনেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ থেকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের নামে মোট ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। কখনও একলপ্তে জমা করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। কখনও বা ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ১ কোটি ৪০ টাকা স্থায়ী আমানত তথা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) করা হয় সেখানে। এছাড়াও সুকন্যা ও অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট ছিল সল্টলেকের স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। সেখানে পাঁচ দফায় ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে সুকন্যার নামে রয়েছে। একটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে অনুব্রতর নামে। এক একবারে সেখানে ১ কোটি টাকার বেশি করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সেখানে বাবা ও মেয়ে মিলিয়ে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা।   
     
    চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারের মূল কাণ্ডারি এনামুল হকের থেকে নেওয়া টাকাই মূলত এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে। কিছু ব্যাংক কর্মীই এই কাজে অনুব্রতকে সাহায্য করতেন বলেও জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নেতার বাড়ি বয়ে এসেও টাকা নিয়ে যেতেন। এই কর্মীদের সাক্ষী মামলায় নতুন মোড় আনবে বলে বিশ্বাস গোয়েন্দাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিল্ডিং প্ল্যান’ পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই গোটা চক্রের মূলে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, অভিযোগ মামলাকারীর। অর্থাৎ মামলাকারীর অভিযোগ, অনুব্রতর কাছে কাটমানি না গেলে বোলপুরে বাড়ি করা যায় না। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলার শুনানিতে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই চক্র চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে৷ তবে এদিন শুনানি শেষ হলেও আদালত এখনও রায় ঘোষণা করেনি।

    এই চক্রে শুধুমাত্র অনুব্রত নয়, আরও অনেকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিন জানান, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। মামলাকারীর অভিযোগ, পুরসভার বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত। কাটমানি না পেলে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো হত না।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    তবে এই অভিযোগের পাল্টা উত্তরে বোলপুর পৌরসভার আইনজীবী দাবি করেছেন, সব হিসাব পুরসভার খাতায় আছে, বেআইনিভাবে কিছু নেওয়া হয়নি, গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই অভিযোগের পাল্টা প্রশ্ন করে আদালতকে জিজ্ঞেস করেন, ‘অনুদান নেওয়া বেআইনীর কী আছে?’ তিনি জানিয়েছেন, অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়, পুরসভা অনুদান নিয়ে থাকে। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় অনুদান দিয়ে থাকেন। পরে এই টাকা গরীব মানুষদের উন্নয়নের জন্যই খরচ করা হয়ে থাকে।

    ফলে বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছিল, তা সবই অস্বীকার করা হয় এদিন। কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: সিবিআই-এর কাছে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা

    Cattle Smuggling Case: সিবিআই-এর কাছে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতার পর থকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। পেশায় একজন শিক্ষিকা হয়েও এত বিপুল সম্পত্তি কোথায় থেকে পেলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল। আর এই সম্পত্তির সন্ধান করতে হন্যে হয়ে পড়েছিলেন তদন্তকারীর দল। সুকন্যাকে এই সম্পত্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি মুখে কুলুপ আঁটেন ও তাঁর থেকে তেমন কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আর তার ফলেই সুকন্যাকে তাঁর সম্পত্তির হিসেব পেশ করতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর (CBI) তরফে। আর আজ সেই সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি দেওয়া হল সিবিআই-এর অফিসে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ, বুধবার নিজাম প্যালেসে সব সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন সুকন্যা। তাঁর নামে থাকা টাকা, সম্পত্তি, গত ৫ বছরের আয়করের হিসেবও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিন তিনি নিজে আসেননি সিবিআই দফতরে। তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে এই নথি পাঠান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    উল্লেখ্য, কয়েকটি সংস্থা ও একটি রাইস মিলের ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর নাম এর আগেই পাওয়া গিয়েছে। আর সেকারণেই আয়-ব্যয়ের নথি খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। এরপর তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করার পরেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তির হিসাব দেখতে চায় সিবিআই। এর আগেও সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট, ব্যবসা ও কোম্পানি সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তখন নথি জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর নামে অনেক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশও পাওয়া যায়। ফলে যেসব ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেইসব ব্যাংকেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার তিনি সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্যও দিয়েছেন সিবিআই-কে। এছাড়া যেসব রাইস মিল তাঁর নামে পাওয়া গিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত নথিও পেশ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, তবে শুধু আয়-ব্যয় নথি নয়, বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের দিকেও নজর রেখেছিলেন সিবিআই। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুকন্যা দাবি করেছিলেন যে, এবিষয়ে হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি সব জানেন। পরে এনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র কেষ্ট কন্যা সুকন্যা নয়, সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তাঁদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে আজকের এই নথিতে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

  • Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে,  অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে আসছেন একের পর এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ব্যবসায়ী থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কে নেই অনুব্রতর বন্ধু তালিকায়! গরু পাচার মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত ভিন্ন ভিন্ন নাম হাতে আসছে গোয়েন্দাদের। এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই। এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক পলিটেকনিক কলেজে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন মলয় পিট (Malay Peet)। কলেজে গিয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফের সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হল তাঁকে।  

    আরও পড়ুন: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের। তৃণমূল সরকারের আমলেই শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট। এছাড়াও রয়েছে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একটি হল ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটির অধীনেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

    এর আগে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সময় অনুব্রতকে পাশে থাকার কৃতিত্ব দিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মলয় পিটকে বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির এই বিপুল টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্ন করা হবে সে বিষয়ে। কোন পথে হয়েছিল লেনদেন  পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান গোয়েন্দারা। গতকাল তলব করা হয়েছিল বেশ কিছু ব্যাংক কর্মীকে। আজ নিশানায় মলয় পিট।  

    আরও পড়ুন: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
     
    বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সাংবাদিকরা মলয়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলার (Cattle smuggling case) তদন্ত দ্রুত গুটিয়ে আনাই লক্ষ্য সিবিআইয়ের (CBI)। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার থেকে ব্যাংকের নথি চেয়ে নোটিস পাঠাল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। গোয়েন্দাদের ধারণা, গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হয়েছে মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্ট থেকে। শুধু তাই নয়, সিবিআই আধিকারিকরা আরও মনে করছেন, বিদেশি মুদ্রাও কেষ্ট কন্যার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। বোলপুরে (Bolpur) কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা অস্থায়ী ক্যাম্পে গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীদের জেরা করেন। সেখান থেকেই গরুপাচার কাণ্ডে বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের তথ্য সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    দিন সাতেক আগে বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি নজরে এসেছিল সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থে বড় কোনও অর্থের খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সিবিআই কর্তারা মনে করছেন, যাবতীয় লেনদেন হয়েছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে সিবিআই আরও জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি সম্পত্তির মালিক অনুব্রত। কিন্তু এই সম্পত্তি কেনার অর্থ তিনি কোথা থেকে এবং কীভাবে পেলেন? আয়কর রিটার্ন জমা করার ক্ষেত্রে তথ্য গোপান করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    কেষ্ট কন্যা সুকন্যার নামেও রয়েছে একাধিক রাইস মিল সহ বিভিন্ন সম্পত্তি। প্রশ্ন উঠছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে তিনি কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন? অর্থের উৎস কোথায়? এই রহস্য উন্মোচন করাই লক্ষ্য এখন সিবিআই কর্তাদের। কারণ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিশ্চিত, অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডল গরুপাচার কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত। ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল নেতাকে। তিনি এখন জেল হেফাজতে। সুকন্যা সুকৌশলে বার বার সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, রেহাই পাবেন না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share