Tag: Arambagh

Arambagh

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবকও দিলেন ‘শিক্ষা’!

    Arambagh: ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবকও দিলেন ‘শিক্ষা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে গিয়ে পড়া না পারায় শিক্ষকের মার জুটেছিল ছাত্রের কপালে। বাড়িতে ফিরে বাবাকে সে কথা জানায় আক্রান্ত ছাত্র। এরপর কোচিংয়ের ওই শিক্ষককে পাল্টা পেটানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আরামবাগে। মার-পাল্টা মারে জখম হয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষক দু’জনেই। বুধবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ (Arambagh) পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদুর এলাকায়। জখম শিক্ষকের নাম সামিম চৌধুরী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো ২৩ মে আরামবাগের (Arambagh) চাঁদুর এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়াতে গিয়েছিলেন সামিম সাহেব। সেই সময় শেখ নাসিম নামে এক ছাত্রকে পড়া ধরেন তিনি। ওই ছাত্র পড়া বলতে পারেনি। উল্টে কোচিং ক্লাসে দুষ্টুমি করছিল বলে অভিযোগ। অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় রেগে গিয়ে ছাত্রকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান সামিম, এমনটাই অভিযোগ। শিক্ষকের মারে ছাত্রটি মারাত্মকভাবে জখম হয় বলে দাবি পরিবারের। ছাত্রটি বাড়ি ফিরে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। অভিযোগ, এরপরই জখম ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন কোচিং সেন্টারে রে রে করে ছুটে যান। কেন ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, তা  ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চান তাঁরা। তা নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি। এরপরই শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকও পাল্টা চড়াও হন অভিভাবকের উপর। ঘটনার জেরে উভয়কেই চিকিৎসা করাতে হয়েছে।

    কী বললেন অভিভাবক?

    ছাত্রের বাবার অভিযোগ, “আমার ছেলের শরীর এমনিতেই খারাপ ছিল। কিছুদিন আগেই নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছি। ওই  শিক্ষক আমার ছেলেকে এমন মেরেছে যে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। এই কোচিং সেন্টার যেন এখন বন্ধ থাকে।”

    কী বললেন আক্রান্ত শিক্ষকের পরিবারের লোকজন?

    শিক্ষকের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, “ছাত্র দুষ্টুমি করলে শিক্ষকরা মারে। শিক্ষকদের তো শাসন করার অধিকার রয়েছে। তা বলে বাড়ির লোক এনে শিক্ষক পেটাবে, এ কোথায় হয়”?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আইএনটিটিইউসি-র নামে রমরমিয়ে চলছে তোলাবাজি, বাসপিছু রেট ৭০ টাকা!

    Arambagh: আইএনটিটিইউসি-র নামে রমরমিয়ে চলছে তোলাবাজি, বাসপিছু রেট ৭০ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ বাস মালিকদের। ঘটনা আরামবাগের। অভিযোগ, আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা মেলেনি। মূল অভিযোগ হল, আরামবাগ (Arambagh) বাস টার্মিনাসে বাস ঢুকলেই এগিয়ে এসে হাত পাতেন এক ব্যক্তি। তাঁর হাতে দাবিমতো টাকা তুলে দিতেই হয় চালক অথবা কন্ডাক্টরকে। এমনটাই নাকি নিয়ম হয়ে গিয়েছে হুগলির আরামবাগ মহকুমাজুড়ে। বাসমালিকদের অভিযোগ, কার্যত লাগামছাড়াভাবে বাস থেকে তোলাবাজি করা হচ্ছে। আর গোটা ঘটনায় বাস মালিকদের অভিযোগের তির তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দিকে।

    টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন চালক ও কন্ডাক্টররা

    হুগলির আরামবাগ (Arambagh) মহকুমাজুড়ে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেদিকে নজর দেয়নি শাসকদলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এবং প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ। জুলুমবাজি চলছে আরামবাগ জুড়ে। বাস মালিকদের অভিযোগ, বাস পিছু ৭০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে। প্রতিদিন সব বাস মিলিয়ে যে পরিমাণ টাকা তোলা হচ্ছে, তার অঙ্কটা চোখ কপালে তোলার মতো। প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সারা মাসে এই অঙ্কটা আকাশ ছুঁয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে আইএনটিটিইউসি-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বাস মালিকদের। যদিও বাস মালিকদের একাংশের দাবি, তাঁরা এই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এত পরিমাণ টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী করা হচ্ছে, তার কোনও হিসাব নেই বলে অভিযোগ। যিনি এই টাকা তুলছেন, সেই ব্যক্তির দাবি, আইএনটিটিইউসি-র তরফেই তোলা হচ্ছে টাকা। কেন এই টাকা তোলা হচ্ছে? ওই ব্যক্তির দাবি, আইএনটিটিইউসি-র তরফে শ্রমিক কল্যাণ, বোনাস ও জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৭০ টাকা।

    নেতারা টাকা তুলে ফূর্তি করছেন, তোপ বিজেপির

    স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বের অভিযোগ, শুধু আরামবাগ (Arambagh) বাসস্ট্যান্ড নয়, কামারপুকুর, খানাকুল-সহ একাধিক বাসস্ট্যান্ডে একইভাবে তোলাবাজি চলছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষের কটাক্ষ, ‘এই টাকা তুলে আইএনটিটিইউসি-র নেতারা ফূর্তি করছেন।’ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, তৃণমূল হল তুলামূল। তাই তারা এ ধরনের কাজকর্ম করবেই। তা না হলে তাদের নামের সাথে কী করে কাজের মিল থাকবে? এখন আবার তৃণমূলকে অন্য একটি নামে চিহ্নিত করেছে জনসাধারণ। তৃণমূলের দলে সবাই চোর। ওটা হল চোরের দল। আর রাজ্যে যেভাবে তারা সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের স্বার্থে সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি করেছে, সেই কারণেই মানুষ এখন তাদের ওই নামেই চিহ্নিত করেছে। তৃণমূলের এটাই হল আসল কর্ম, চুরি করা।

    মানতে নারাজ আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব

    যদিও আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে (Arambagh) তোলাবাজির যাবতীয় অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এরকম কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আপনারা যদি দেখাতে পারেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আরামবাগে (Arambagh) খোঁজ মিলল কানা দ্বারকেশর নদীর। সার্ভে করে নদীর চূড়ান্ত পর্যায়ের মাপজোকের পর আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টে মিলল এর অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রবল উৎসাহিত।

    নদীর প্রবাহ কেমন ছিল?

    আরামবাগ (Arambagh) শহরের বাইশ মাইল এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদী থেকে শাখা নদীটি বেরিয়েছে, এলাকায় যা কানা দ্বারকেশ্বর নামে পরিচিত। কানা দ্বারকেশ্বরের বুক দিয়ে একসময় বইতো বিপুল জলরাশি। যার স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গিয়েছে নদীর চরা পড়া জমিতে। বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে বইছে। শহরের ভিতর খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। খালটির উৎসমুখ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঁটার মোড়ে। শহরের ভিতর একাধিক জায়গায় খালের প্রবাহপথ কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে। যার সন্ধানেই শুরু হয় সার্ভের কাজ। শহর থেকে বেরিয়ে খালটি মিলেছে মলয়পুর খালে। সেই খাল খানাকুলের অরোরা খালে এবং তারপরে রূপনারায়ণ নদে মিশেছে। প্রসঙ্গত, কানা দ্বারকেশ্বর এখন মৃতপ্রায়। এলাকায় জবরদখলের সঙ্গে নোংরা ও কচুরিপানা জমে নদীর প্রবাহ এখন বর্তমানে অবরুদ্ধ। গতিপথের সন্ধানে সার্ভের কাজে নামে মহকুমা সেচ দফতর ও পুরপ্রশাসন।

    উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা

    কয়েকমাস আগে থেকে আরামবাগে (Arambagh) সার্ভের কাজ শুরু করে মহকুমা প্রশাসন। বুধবার আরামবাগ পুর প্রশাসন, আরামবাগ মহকুমার ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক, আরামবাগ চাঁদুর ফরেস্টের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় চাঁদুর ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকা ও ফরেস্টের ভিতরের কিছু অংশে। চুড়ান্ত পর্যায়ে নদীর মাপ হয় চাঁদুর ফরেস্ট অঞ্চল এবং তেলিপাড়া মৌজায়। ১৯৩৩ সালে এই দুটি মৌজা থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে দ্বারকেশ্বর নদী। আরামবাগ পুর প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার, আরামবাগ ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও ফরেস্টের একজন আধিকারিক উপস্থিত থেকে চূড়ান্তভাবে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্বকে চিহ্নিতকরণ করেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত

    এই বিষয়ে আরামবাগ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার বলেন, ফরেস্টের পাশে দ্বারকেশ্বর নদীর যে কানা খালটি আছে, তা কেউ জানতো না। এই খালটি আমাদের পুরসভার যে হেলথ সেকশন আছে, তারপর থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। খালটি ১৯৩৩ সালের ম্যাপ অনুযায়ী কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত কেউ জানতো না। আমাদের কাজ কানানদীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করা। সেই অনুযায়ী এদিন চূড়ান্তভাবে কানানদীর গতিপথ চিহ্নিত করা হল। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার ও সেচ দফতরের। অপরদিকে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম। একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আরামবাগ পুর প্রশাসন রিপোর্ট দিলে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে। আরামবাগ (Arambagh) মাস্টার প্লানের অন্তর্ভুক্ত এই শাখা নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হলে উপকৃত হবেন আরামবাগ শহর এবং গোটা মহকুমার লক্ষাধিক মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক মুখ! প্রাণ রক্ষা পেল মুমূর্ষু রোগীর

    Arambagh: সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক মুখ! প্রাণ রক্ষা পেল মুমূর্ষু রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিন্দু রক্ত যে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ মিলল। সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক রূপ দেখলেন আরামবাগবাসী (Arambagh)। এক সিভিক ভলান্টিয়ার নিজে রক্ত দিয়ে মুমূর্ষু এক রোগীর প্রাণ বাঁচালেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন সকলে।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    আরামবাগ (Arambagh)  ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীর শামসেদ তার ২২ বছরের অসুস্থ মেয়েকে আরামবাগ (Arambagh)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা মেয়ের জন্য তাঁকে রক্ত জোগাড় করতে বলেন, তা না হলে রোগীকে  বাঁচানো যাবে না বলে জানানো হয়। শামসেদসাহেব ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তের খোঁজ করেন। কিন্তু, সেখানে রক্ত না থাকায় চারিদিকে হন্যে হয়ে তিনি রক্ত খুঁজছিলেন। কোথাও রক্তের হদিশ পাননি তিনি। অবশেষে শামসেদসাহেব আরামবাগ ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডুর কাছে গিয়ে তাঁর সমস্যার কথা বলেন। ওই পুলিশ আধিকারিক রক্তের গ্রুপ জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন। তুহিন শুভ্র হাজরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই পুলিশ আধিকারিককে রক্ত দেওয়ার কথা জানান। তুহিনের বাড়ি আরামবাগ (Arambagh) থানার জয়রামপুর গ্রামে। তিনি রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে চলে যান। সেখানে তিনি রোগীর জন্য রক্ত দেন। শামসেদসাহেব বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরজন্য আমার মেয়ের জীবন রক্ষা পেল।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    আরামবাগ (Arambagh) ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডু বলেন, ওই রোগীর বাবাকে চরম অসহায় দেখাচ্ছিল। তিনি মেয়ের রক্তের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। তাঁর কাছে রক্তের গ্রুপ জেনে আমি পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করি। আর তাতেই কাজ হয়ে যায়। ওই সিভিক নিজেই উদ্যোগী হয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তাঁকে সঙ্গে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

    কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    এ বিষয়ে অবশ্য রক্তদাতা সিভিক ভলান্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরা বলেন, আমি একজন মানুষ হিসাবে অন্য একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারিনি।  আমার এই ছোট উদ্যোগে ওই রোগী উপকৃত হলেন। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে সকলের দাঁড়ানোর দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল অফিসে ঝোলানো হল তিনটি তালা! শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: তৃণমূল অফিসে ঝোলানো হল তিনটি তালা! শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তালা ঝুললো তৃণমূলেরই (TMC) দলীয় কার্যালয়ে। তবে, একটি নয়, তিন-তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ছবি আরামবাগের হরিণখোলার হরাদিত্য এলাকার একটি তৃণমূল (TMC) কার্যালয়ের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দলের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    দলীয় কার্যালয় কোন নেতার দখলে থাকবে, সেই নিয়েই দুই নেতা ও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ। এলাকা দখল নিয়ে আরামবাগের হরিণখোলা অঞ্চলে তৃণমূলের (TMC) যুব ও মাদার সংগঠনের দ্বন্দ্ব বরাবরই। বর্তমানে হরিণখোলার তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি পার্থ হাজারির সঙ্গে তৃণমূল যুব অঞ্চল সভাপতি স্বরূপ দাসের বিবাদ চলছে। দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিবাদ। আর সেই বিবাদের জেরেই এক পক্ষ তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা?

    যুব তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে হরাদিত্য এলাকায় দলীয় কার্যালয় আমরা ব্যবহার করে আসছি। সেখান থেকেই দলের সমস্ত কাজকর্ম আমরা করি। সম্প্রতি অঞ্চল সভাপতি নতুন গঠন হওয়ার পর, নবনির্বাচিত অঞ্চল সভাপতি নিজের ইচ্ছামত কাজ করছে। এমনকি হরাদিত্য এলাকার তৃণমূলের (TMC) কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে তালা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি কী বললেন?

    যদিও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পার্থ হাজারি বলেন, এলাকায় বিজেপি-র দুষ্কৃতীদের উৎপাত বেড়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কারণে রাতে তালা দেওয়া হয়। কিন্তু, সকালে জানতে পারি একটি তালার বদলে তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেও হয়েছে। কে বা কারা এটা করেছে তা উর্ধ্বতন নেতৃত্ব ও প্রসাশনকে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)ব্লক সভাপতি?

    এবিষয়ে  আরামবাগের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিশির সরকার বলেন, অঞ্চলের কার্যালয় অঞ্চল সভাপতির অধীনে চলবে। তবে, তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে আমরা জানাব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, শাসকদলের কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের দলের নামে অভিযোগ করছে। আসলে, তৃণমূল (TMC) দলে কারও সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই। সবাই নিজেকে নেতা মনে করেন। তাই, ওদের দলে এত গোষ্ঠীকোন্দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ অবরোধ তুলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরামবাগের (Arambagh) পুরশুড়ার সোদপুর এলাকা। গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে সকাল থেকেই পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সোদপুর এলাকায় একটি পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে পুরশুড়া থানার পুলিশ রাতে ওই এলাকায় হানা দিয়ে ডিজে মাইক সেটগুলি আটক করে নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ (Arambagh) -কলকাতা রাজ্য সড়ক পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধকারীদের বক্তব্য, “নিয়ম মেনেই মাইক বাজানো হচ্ছিল। পুলিশ কোনও কারণ ছাড়াই মাইক সেট তুলে নিয়ে যায়। তাই আমরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করেছিলাম”। এদিকে অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে অবশেষে পুরশুড়া থানার পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পূজা পার্বণ চলছে। যদি এমন কিছু সরকারি নির্দেশ বা আইন থাকে তাহলে সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে সেই নোটিশ দেওয়া উচিত। কিছুদিন আগে পাশের এলাকাতে আরো একটি পুজো হয়েছিল, একইভাবে সেখানে বক্স বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, পুজো কমিটির লোকজন বিষয়টি নিয়ে থানায় জানতে গেলে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাদের। এর প্রতিবাদেই এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। সেখানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। সম্পূর্ণ নিন্দনীয় ঘটনা”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে যদিও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “পুলিশ প্রশাসন নিয়ম মেনেই কাজকর্ম করছে। বিষয়টি আইনি ব্যাপার। ওটা পুলিশ প্রশাসন বুঝবে। এ বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আরামবাগ, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কেন জানেন?

    TMC: হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আরামবাগ, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো আরামবাগের আরান্ডি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরো এলাকা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা মিছিলের বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ঘটনায় দুপক্ষের আট-নয়জন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমে দক্ষিণ নারায়ণপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, রাতের দিকে আরামবাগ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকালের পর থেকে আরামবাগের আড়ান্ডি ২ নং অঞ্চলের পুরো এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের (TMC) যুব ও মাদার গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। শনিবারও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় এদিন নতুন করে বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি। তবে, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তত মাথা চাড়া দিচ্ছে আরামবাগে। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা বিজেপির দখলে। সেই জায়গায় এরকম কোন্দলের ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    শুক্রবার আরামবাগে যুব তৃণমূলের (TMC) মিছিল ছিল। আড়ান্ডি এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য দুটি বাস পাঠানো হয়েছিল। একটি বাসে ঠাসা ভিড় হলেও অন্য বাস ফাঁকা ছিল। ব্লক তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই কর্মীরা আসেনি বলে যুব তৃণমূল (TMC) নেতারা আশঙ্কা করেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই যুব তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ব্লক তৃণমূলের নেতারা পাল্টা প্রতিরোধও গড়ে তোলেন। যুব তৃণমূল কর্মীদের বাসও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

    গণ্ডগোল নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূলের (TMC) আরামবাগ ব্লকের সভাপতি শিশির সরকার বলেন, এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন যুব গোষ্ঠীর আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ রায়ের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। বাঁশ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে চড়াও হয়। বাসে লোকজন হয়নি বলে আমাদের দায়ী করে ওরা হামলা চালায়। তাতে আমাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। যদিও যুব তৃণমূল নেতা পলাশ রায় বলেন, যুব তৃণমূলের (TMC) কোনও কর্মী হামলা চালায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে তীব্র জল সঙ্কটে অতিষ্ঠ হয়ে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকায় রাজ্য সরকার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তবে, শুধু বুধবার নয়, মঙ্গলবারও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। বাড়ির সব কাজ ফেলে মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এদিন বালতি হাতে নিয়ে অবরোধে সামিল হন। অবরোধের জেরে আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় পানীয় জলের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক বসানো হয়। পরে গ্রামে গ্রামে সেই প্রকল্পের কলও বসানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই কল থেকে জল পাননি গড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে ওই গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন ফের ওই এলাকায় আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ঘটা করে গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে কল বসানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া যায় না। প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এই তীব্র গরমে এলাকাবাসীকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দূরের কোনও এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, ঘটা করে জলপ্রকল্প করে কী লাভ হল। আসলে তৃণমূলের নাটক এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এভাবে আর বেশি দিন নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share