Tag: archana majumdar

archana majumdar

  • Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল।” মুর্শিদাবাদের ঘটনার নৃশংসতা বোঝাতে (Waqf Act) গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW Member) সদস্য অর্চনা মজুমদার। শনিবার তিনি হিংসা কবলিত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে মুর্শিদাবাদের হিংস্রতাকে ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন তিনি। এই ঘটনার দায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর বর্তায় বলেও মন্তব্য করেন অর্চনা।

    মুর্শিদাবাদের হিংস্রতা (Waqf Act)

    তিনি বলেন, “কোনও মহিলা স্বামী হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন পুত্রকে।” এর পরেই তিনি বলেন, “লোকগুলোকে বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে হত্যা করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, আমি জানি না। আমরা এই প্রথম এ সব দেখলাম। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    শনিবার সকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাতকর, হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “কমিশন জনগণের দাবিগুলি সরকারের কাছে পেশ করবে। এই মানুষগুলো যে কষ্ট ভোগ করে চলেছেন, তা অমানবিক। আমরা সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।”

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের বাংলা সফরে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দল (Waqf Act)। দলের সদস্যরা ঘুরে দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে আতঙ্কিত নারীদের মনোবল বাড়ানোই আমার এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    গত ১১ এপ্রিল সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাংশ। সূতি, সামশেরগঞ্জে হিংসা ধারণ করে ভয়াবহ আকার। ওই ঘটনায় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। উন্মত্ত মৌলবাদীদের হিংসায় জখমও হন বেশ কয়েকজন হিন্দু। বেছে বেছে ভাঙচুর করা হয় হিন্দুদের ঘরবাড়ি (NCW Member)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে মালদায় আশ্রয় নেন আতঙ্কিত হিন্দু জনতা (Waqf Act)।

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share