Tag: Arohalli Karnataka

  • Ram Mandir: কর্নাটকে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, এই জমিরই কৃষ্ণ শিলায় আকৃতি পান রামলালা

    Ram Mandir: কর্নাটকে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, এই জমিরই কৃষ্ণ শিলায় আকৃতি পান রামলালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় (Ayodhya) সেদিনকার অনুষ্ঠান কার্যত পরিণত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ইভেন্টে। রামলালার মূর্তি তৈরি করেন অরুণ যোগীরাজ। বালক রামের মূর্তি প্রশংসা কুড়ায় সর্বত্র। বিশেষত রামলালা চোখ দুটি যেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। প্রসঙ্গত, অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) রামলালার মূর্তি যে শিলায় নির্মিত হয় তা সংগ্রহ করা হয়েছিল কর্নাটকের মহীশূরের আরোহার্লি নামক একটি জায়গা থেকে। এখানকারই কৃষ্ণশিলা ব্যবহার করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিকে আকার দিতে। এখন অজস্র ভক্ত এই রামলালার মূর্তির সামনেই নিজেদের মনের কথা জানান। যে স্থান থেকে ওই কৃষ্ণ শিলা মিলেছিল, সেই জমির মালিক ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধ এইচ রামদাস। ওই জমিতে তিনি একটি ছাউনি বানিয়েছেন এবং সেখানেই তিনি রেখেছেন অযোধ্যার রামলালার মূর্তির প্রতিকৃতি। প্রতিদিন নিয়ম করে, আচার মেনে, পুজো পাঠ সম্পন্ন হচ্ছে সেখানে। রামলালার ওই প্রতিকৃতি রাখা রয়েছে যে স্থানে, তা ইতিমধ্যেই ভক্তদের একটি অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থানেও পরিণত হয়েছে।

     

    ধুমধাম করে পালন করা হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

    গত ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি সারাদেশে ধুমধাম করে পালন করা হয়। ওই দিনে মহীশুরের আরোহার্লিতে চারশোর বেশি ভক্ত জমায়েত করেন বলে জানা যায়। রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ধুমধাম করে সেখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সময়ে ওই তীর্থক্ষেত্রে হাজির হয়ে যান স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবগৌড়া। তিনি পুজোতেও অংশগ্রহণ করেন (Ram Mandir)। একইসঙ্গে ওই দিন রামলালার প্রতিকৃতিকে পুজো করেন সেখানকারই এক গণেশ মন্দিরের পুরোহিত।

     

    সহযোগিতা করেন স্থানীয় বিধায়ক (Ram Mandir)

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য এখানে জমি দেখা হয়েছিল বলে জানা যায়। তখন থেকেই শুরু হয় উদ্যোগ নেওয়ার পালা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় যায়। স্থানীয়দের অত্যাধিক উৎসাহে জমির মালিক রামদাস পরিকল্পনা করেন যে সেখানে একটি ছোট মন্দির গড়ে তোলা হবে এবং এর পরেই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়ার সঙ্গে। স্থানীয় বিধায়ক তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করা হবে এবং সম্পূর্ণভাবে আর্থিক ফান্ডিংও করা হবে। একইসঙ্গে একটি ট্রাস্ট গঠন করে মন্দিরকে পরিচালনা করার কথা তখনই বলেন বিধায়ক।

     

    সংবাদমাধ্যমে কী বললেন রামদাস

    সংবাদমাধ্যমকে রামদাস আরও বলেন, ‘‘আমাদের জমিতে এমন পাথর (কৃষ্ণ শিলা) সরানোর জন্য আমরা মাইনিং এজেন্সির কাছে আবেদন করেছিলাম। কারণ পাথর সরালে তবেই আমাদের জমি চাষযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু পরবর্তীকালে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বালক রামের মন্দির নির্মাণের জন্য আমাদের এখান থেকেই কৃষ্ণ শিলাকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে চারটি আলাদা পাথর নেওয়া হয়, যেগুলি দিয়ে মাতা সীতা, লক্ষণ, ভরতের মূর্তি তৈরি করা হয়। আমরা এই মূর্তিগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য কোনও রকমের মূল্য নিইনি।’’

     

    অযোধ্যার মন্দির নির্মাণের (Ram Mandir) পরেই আরোহার্লিতে ভিড় জমান ভক্তরা

    অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই কর্নাটকের ওই স্থানে (আরোহার্লি) তীর্থযাত্রীরা ভিড় জমাতে থাকেন। এরপরেই তাঁর জমির অনেকটা অংশ মন্দির নির্মাণের জন্য দান করে দেন রামদাস। এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছিলেন তাঁর চার সন্তানের সঙ্গে। তাঁরাও রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য জমি দান করার পক্ষেই কথা বলেন। রামদাস সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে একটি ছোট মন্দির অথবা মণ্ডপের মতো কিছু তৈরি করব। কিন্তু পরবর্তীকালে আমাদের স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে প্রয়োজনীয় সমস্ত ফান্ডিং করা হবে। যার ফলে আমরা একটি বড় মন্দির নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি। এরপরেই একটি ট্রাস্টকে রেজিস্ট্রেশন করাই এবং তারপরে জমি দান করি আমরা।’’

     

    অরুণ যোগীরাজের কাছে কী আবেদন জানালেন উদ্যোক্তারা

    প্রসঙ্গত তাঁদের আরও একটি দাবি রয়েছে যে মন্দির নির্মাণের পরে অযোধ্যার রাম মন্দিরের রামলালার মূর্তি যিনি বানিয়েছিলেন সেই অরুণ যোগীরাজকে তাঁরা আবেদন জানাবেন, এখানেও একটি রামমূর্তি বানানোর জন্য। তাঁরা আশাবাদী এতে অরুণ যোগীরাজ রাজিও হবেন। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এখানে আবিষ্কার হওয়া কৃষ্ণ শিলা দিয়েই তৈরি হয় অযোধ্যার রামের মূর্তি। আমরা তাই এখানে মন্দির তৈরির জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করব। অন্যদিকে অরুণ যোগীরাজও এ বিষয়ে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share