Tag: Arrest

Arrest

  • Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাতেই পুলিশকর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যার মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবলের নাম শেখ আজিজুল। অন্য জনের নাম শেখ শাহবাজ। দু’জনের বাড়ি মালদহের রতুয়ার বাহারাল-সাহাপুরে। শাহবাজ সম্পর্কে আজিজুলের শ্যালক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একশো গ্রামের বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য দেড় লক্ষ টাকার মতো।

    পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল? (Cooch Behar)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আজিজুল বছর তিরিশের যুবক। বছর চারেক আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান তিনি। এক বছর আগে, কোচবিহার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তারপর থেকেই একাধিক অভিযান ব্যর্থ হতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের। তার মধ্যে সবগুলিই ‘ব্রাউন সুগার’ সম্পর্কিত ঘটনা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করা হয়। ওই অভিযানের প্রত্যেকটিতে শামিল ছিলেন আজিজুল। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর আগেই দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের মোবাইলও বন্ধ। এক পুলিশ অফিসার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহক সেজে অভিযান করি। কিন্তু দেখা যায়, আগে থেকেই সব জেনে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তখনই আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে, পুলিশকর্মীদের মধ্যে থেকেই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অভিযানের তথ্য। তদন্তে নেমে আজিজুলকে সন্দেহ করা হয়। তাঁর মোবাইলে ফাঁদ পাততেই উঠে আসে একের পরে এক তথ্য। জানা গিয়েছে, আশ্রমঘাটে ফাঁদ পাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। রতুয়ায় বেশ অবস্থাপন্ন আজিজুলের পরিবার। বেশ কিছু জমিজমাও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু আজিজুল ব্রাউন সুগারের কারবারের সঙ্গে জড়িত তা বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাতে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কি মাওবাদীরা নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল। মুর্শিদাবাদ থেকে দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করার ঘটনা সেই সন্দেহকে নতুন করে উস্কে দিল। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করেছে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  সুতি থেকে মন্টু মল্লিক ও প্রতীক ভৌমিক নামে দুই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও ৬’টি বুলেট।

    চলছিল তথ্য জোগাড় (Murshidabad)  

    সাত মাস আগে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরির কাজ করছে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। তথ্য পেয়ে পুলিশ দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, মন্টু মল্লিক ওরফে রবি বা ভজা নামে পরিচিত। বেহালার সরশুনা এলাকার বারুইপাড়া রোডের বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে প্রতীক ভৌমিক ওরফে কাঞ্চনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখনই পুলিশ জানতে পারে, তিনি মাও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তবে সে-ব্যাপারে পুলিশের হাতে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছিল না।

    বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার

    কিন্তু তাঁর ওপরে ধারাবাহিক নজরদারি চালিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর মোবাইলও ট্র্যাক করা হয়। একটা সময় পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঝাড়খণ্ড ও রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মন্টু এবং প্রতীক। তখন থেকেই প্রতীক ও মন্টুর ওপর নজর রাখতে শুরু করে এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকার একটি গোপন স্থানে দুই মাওবাদী নেতা বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। বাইকে করে যাওয়ার পথেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই দলুয়াখাকিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল নেতা খুনের পর গন্ডগোলের ঘটনায় দলীয় কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল নেতা খুনের পরই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল

    তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের মামলার পাশপাশি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই রবিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদ নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।  মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি। এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু’জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    শাসক দলের নেতা খুনের পরই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়

    তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর পরই তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে শুধুমাত্র সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Infiltration In India: পাকিস্তানি মা-ছেলের ভারতে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার করল এসএসবি

    Infiltration In India: পাকিস্তানি মা-ছেলের ভারতে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার করল এসএসবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত টপকে ভারতে অনুপ্রবেশ (Infiltration In India) এবং সেই সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পাকিস্তানের নাগরিক এক মা-ছেলেকে গ্রেফতার করল এসএসবি। সশস্ত্র সীমা বল অর্থাৎ এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শিলিগুড়ি ব্লকের খড়িবাড়ি পানিট্যাঙ্কি এলাকায় ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে ধরা পড়েন মা এবং ছেলে। এরপর তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তারপরেই গ্রেফতার করে দার্জিলিং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা পাকিস্তানি নাগরিক, ধৃত মহিলার নাম শায়িস্তা হানিফ এবং ছেলের নাম মহম্মদ হানিফ।

    কীভাবে পৌঁছালেন শিলিগুড়িতে (Infiltration In India)?

    এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বুধবার সকালে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর উপর এশিয়ান হাইওয়ে হয়ে হেঁটে (Infiltration In India) পানিট্যাঙ্কি এলাকায় পৌঁছান। এরপর এসএসবি জওয়ানরা তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁদের তল্লাশি করলে পাকিস্তানি পাসপোর্ট এবং কিছু নথি পাওয়া যায়। এরপর জেরায় জানা যায়, পাকিস্তানের করাচি শহরের গহানমার স্ট্রিটের সারফা বাজারে তাঁদের মূল বাড়ি। বৃহস্পতিবার তাঁদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সৌদি আরব থেকে কাঠমান্ডুতে আসেন

    ধৃত পাকিস্তানি মা-ছেলের (Infiltration In India) কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রথমে পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে যান, এরপর সেখান থেকে গত ৫ নভেম্বর তাঁরা ভারত এবং কাঠমান্ডুতে আসার জন্য বিমানে টিকিট কেটেছিলেন। গত ১১ নভেম্বর তাঁরা সৌদি আরবের জেড্ডা বিমান বন্দর থেকে কাঠমান্ডুতে আসেন। তল্লাশিতে তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, দুটি সিমকার্ড, একটি মেমরি কার্ড, দুটি পেন ড্রাইভ, ১০ হাজার নেপালি টাকা, ১৬ হাজার ৩৫০ ভারতীয় টাকা এবং ৬ ইউরো, ১৬৬টি রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই গ্রেফতারের পর দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হওয়া মা এবং ছেলে হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা সৌদি আরবে থাকছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণায় তাঁর এক বোন আছেন, সেখানে যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ (Infiltration In India) করেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল  ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী এখন গাড়ি চুরির পান্ডা। সেই কর্মীকে গ্রেফতার করে একাধিক মোটরবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মনিরুল দফাদার। প্রসঙ্গত শান্তিপুরের মনিরুল একনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। শান্তিপুর কলেজে ছাত্র সংসদে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কলেজের নেতাদের সঙ্গে ওঠা বসা ছিল তার। সব কিছুর আড়ালে সে মোটরবাইক চুরি  করত বলে অভিযোগ।

    গাড়ি চুরির পান্ডা কীভাবে জানা গেল? (Nadia)

    গত এক সপ্তাহ আগে নদিয়ার (Nadia) বাদকুল্লা সবজি বাজার থেকে একটি বাইক চুরি হয়। একটি দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে থানার পুলিশ মনিরুলকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে, মনিরুল মোটর সাইকেল যার কাছে বিক্রি করেছিল, পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে বাইকও। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে মনিরুলই হল চক্রের পান্ডা। সে মোটরবাইক চুরি করে বিক্রি করত। শান্তিপুর থেকে আরও দু’টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। শান্তিপুর, ফুলিয়া, বাদকুল্লা সহ একাধিক বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত। সে কোথায় কোথায় চুরি করা বাইক বিক্রি করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব চুরি চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধারের চেষ্টা কাছে চালাচ্ছে পুলিশ। মনিরুল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়াতে ঘটনায় বিপাকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি শান্তিপুর কলেজে যাতে আগামীতে মনিরুল প্রবেশ করতে না পারে সেই আশ্বাসও তারা হয়। দিয়েছেন। শান্তিপুর কলেজ থেকে বেশ কিছু মোবাইল চুরি হয়েছে। এখন সকলের সন্দেহ মনিরুলই সে সব করেছে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা কেমন তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই ধরনের বড় সড় চুরি চক্রের পান্ডা ওই তৃণমূল কর্মী। এরাই দলের সম্পদ। অবিলম্বে পুলিশের ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মন্দারমণির (Mandarmani) সমুদ্রের ধারে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে, জানা যায় ওই যুবতীর নাম লাবনী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর। কিন্তু, তাঁকে খুন করা হল তা জানা যায়নি। এবার সেই খুনের ঘটনায় অবশেষে রহস্য ভেদ হল। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর দিদির দেওর প্রলয় দাসই এই খুনের মূল চক্রী। ইতিমধ্যে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে। প্রলয়ের এক বন্ধু মনোজ গোস্বামী এই খুনে সাহায্য করেছিল। তাই পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েই মর্মান্তিক পরিণতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কেন ওই যুবতীকে খুন করা হল? (Mandarmani)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাবনী দাস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। পরিবারের পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে সোদপুরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে যেতেন লাবণী। সেই জন্য দিদির বাড়িতেও প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। ওই যাতায়াতের ফলেই দিদির দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবণী। কলকাতায় এক অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় চালক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল প্রলয়। সেই কারণে দমদমে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত সে। প্ৰায় প্রতি শুক্রবারই বিউটি পার্লারে কাজ শেখার নাম করে দমদমে প্রলয়ের সেই ভাড়া বাড়িতে যাতায়াত করতেন লাবণী। সেই সময় প্রলয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবনী। লাবনীর পাশাপাশি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রলয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে লাবনী বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে, তারসঙ্গে অশান্তি শুরু করে। পথের কাঁটা সরাতে মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় তাপস জানা নামে এক বন্ধুর সাহায্য নেয় প্রলয়। এরপর লাবনীকে নিয়ে সোজা মন্দারমণি যান লাবনী। তারপর সেখানে শ্বাসরোধ করে লাবণীকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। তাপস এই কাজে প্রলয়কে সাহায্য করেছিল। ঘটনার পর থেকে সে উধাও।

    কী বললেন মৃতার দিদি?

    এই বিষয়ে মৃতার দিদি বলেন, দেওরের সঙ্গে বোনের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা জানতাম না। তবে, এভাবে বোনকে খুন করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি। দেওর ছাড়াও আমার বোনকে খুন করার পিছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: অশোকনগরে  এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    Gang Rape: অশোকনগরে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে। অভিযোগ, অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে গভীর রাতে যশোর রোডের পাশে অশোকনগরের একটি কলেজের সামনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা। পুলিশ খবর পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এত কাণ্ড হওয়ার পরও পুলিশ কিছু জানতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gang Rape)

    মাদক খাইয়ে যুবতীকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অশোকনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চার অভিযুক্তের নাম তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই সিকদার এবং গোপাল পাল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর ৫ নম্বর সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতী পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। যুবতীর পূর্ব পরিচিত আকাশের কাছে টাকা ধার চায় এই যুবতী। আর এই টাকা ধার দেবে বলেই রবিবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ওই যুবতীকে অশোকনগরে ডাকে। এর পরেই আকাশ ওই যুবতীকে আরেক অভিযুক্ত টুকাই সিকদারের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে চার বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপরে গভীর রাতে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কমার্স কলেজের সামনে যুবতীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই চার যুবক। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যায় অশোকনগর হাসপাতালে। সেখানে বসেই ওই যুবতী পুলিশের কাছে ওই চার যুবকের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অশোকনগর সুভাষপল্লি এলাকা থেকে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। সোমবার তাদের চারজনকে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।

    কী বললেন নির্যাতিতা যুবতী?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ‘আমার সঙ্গে আকাশ চক্রবর্তীর পরিচয় ছিল। আমার কিছু টাকার প্রয়োজন হয়েছিল, আকাশকে বলেছিলাম। ও টাকা দেওয়ার জন্য এদিন রাতে আমায় ডাকে। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে অচৈতন্য করে আকাশ সহ মোট চারজন গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। পরে আমাকে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবিতে সরব নির্যাতিতার মাও।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    এদিন বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, যুবতীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসার পর সমস্ত কিছু বলা যাবে। এদিন নির্যাতিতাকে দেখতে বারাসত হাসপাতালে আসেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এদিন তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক। দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি ওই পরিবারের পাশে আছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া টাকা চাওয়ার জন্যই টিটাগড়ে তৃণমূল কর্মী আনোয়ার আলিকে খুন (Titagar Shootout) করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউটের (Titagar Shootout) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম  মহম্মদ সানি, মহম্মদ আরিফ এবং সানির স্ত্রী শবনম বানু। তিনজনকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাদের বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।

    ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার জন্যই কী ব্যবসায়ীকে খুন?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সানির বাড়ি টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকায়। বছর পাঁচেক আগে সানির বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগও ছিল। তাতে সে জেলও খেটেছে। পরে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোবাইল কেনাবেচার কাজ করা শুরু করেছিল। আনোয়ারসাহেব তৃণমূল কর্মীর পাশাপাশি এলাকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। টিটাগড় এলাকায় তাঁর মোবাইলের দোকান রয়েছে। তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি পরিবহণের তাঁর ব্যবসা ছিল। আনোয়ারের মোবাইল দোকান থেকে ধারে মোবাইল নিত সানি। পরে, তা বিক্রি করে টাকা ফেরত দিত সে। এইভাবে কারবার দুজনের মধ্যে ঠিকঠাক চলছিল। তবে, কয়েকমাস আগে আনোয়ারের দোকান থেকে সানি বেশ কয়েকটি মোবাইল ধারে নিয়েছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। আনোয়ার আলি ও তার ছেলে সোহেল বার বার সানির কাছে বকেয়া টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু, সানি সেই বকেয়া টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে সোহেলের সঙ্গে সানির একবার ঝামেলা হয়েছিল। আনোয়ারের সঙ্গে তুমুল বচসাও হয়। আনোয়ার বকেয়া টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সানির উপর চাপ দিয়েছিলেন। নতুন করে আর সানিকে মোবাইল তিনি আর ধার দেননি। ফলে, সানি চরম বিপাকে পড়ে যায়। এরপরই সানি তার বন্ধু আরিফকে সমস্ত বিষয়টি বলে। আরিফ নৈহাটি থেকে একজন শার্প শুটারকে নিয়ে আসে। আনোয়ারকে খতম করার তারা ছক কষে।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য বলেন, সানির সঙ্গে আনোয়ার আলির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। এনিয়ে বচসাও হয়েছিল। এরপরই তাকে খুন করা হল। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আনোয়ারের গতিবিধির উপর সানি ও তার দলবল নজর রাখছিল। এমনকী সানির স্ত্রী শবনম আনোয়ারকে ফোন করে তাঁর অবস্থান জানার চেষ্টা করে। আনোয়ার খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে শবনম ফোন করে বকেয়া টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। সেই টাকা আনতে গিয়েই সানি ও তাদের গ্যাংয়ের হাতে আনোয়ারসাহেব খুন (Titagar Shootout) হন। তবে, ঘটনার সময় সানি আরিফ ছাড়়াও আরও একজন ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চক, পেন্সিল হাতে নিয়ে ক্লাসে ঢুকেছেন স্কুলের (Malda School) শিক্ষক। পড়ুয়াদের ভিড়ে ঠাসা ক্লাসরুম। শিক্ষক সবে ক্লাস শুরু করেছেন। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আর দুটি কাচের বোতল নিয়ে অপরিচিত মাঝবয়সী একজন ক্লাসরুমে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন। তাঁকে দেখে শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন। শিক্ষকের বই-খাতা রাখার টেবিলে দুটি কাচের বোতল রাখেন ওই বন্দুকবাজ। ওই ব্যক্তি ক্লাসের পড়ুয়াদের বলেন, কাচের বোতলে অ্যাসিড আর পেট্রল বোমা রয়েছে। স্কুলের মধ্যে বন্দুকবাজের এরকম দাপাদাপির খবর শুনলে মনে হতেই পারে মার্কিন মুলুক কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কোনও এলাকার ঘটনা। কিন্তু, ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যেই। ঘটনাস্থল পুরাতন মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল (Malda School) । চোখের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজনকে দেখে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়ারা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

    কেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে হামলা চালালেন ওই ব্যক্তি?

     বন্দুকবাজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের (Malda School)  অন্যান্য ক্লাসের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুল গেটের বাইরে ভিড় করেন। স্থানীয় লোকজনের ভিড়ে স্কুল গেটের সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মালদহ থানার পুলিশ আসে। ততক্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্লাসরুমের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাতে একটি কাগজ নিয়ে বলতে থাকেন, তৃণমূল আর পুলিশ প্রশাসন আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দুবছর ধরে অপহরণ করে রেখেছে। আমি বিডিও থেকে নবান্ন পর্যন্ত সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আমি এর আগে ফেসবুকে বিষয়টি বলেছিলাম। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি। আজ, আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছি। আমার ব্যাগের মধ্যে ইলেকট্রনিক বোমা রয়েছে। হাতে নাইন এমএম রয়েছে। আর দুটি কাচের বোতলের একটিতে অ্যাসিড বোমা, অন্যদিতে পেট্রল বোমা রয়েছে।  বোমা ফাটলে গোটা ক্লাসরুম ঝলসে যাবে। এই কথাগুলি তিনি যখন বলছিলেন, তখন ক্লাসের মধ্যে থাকা পড়ুয়ারা কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন। আর ক্লাস রুমের বাইরে তখন শিক্ষক, অভিভাবক আর পুলিশ অফিসারদের ভিড়। এক পুলিশ আধিকারিকের তত্পরতায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রসহ অ্যাসিড বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দেববল্লভ রায়। তার বাড়ি পুরাতন মালদহের নেমুয়া এলাকায়। একসময় তার স্ত্রী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। পরে, তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বছর দুয়েক আগে থেকেই তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে তৃণমূল অপহরণ করে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনও কারণ থেকে ওই ব্যক্তি এসব করেছে। তাকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নানা অভিযোগ করেছিল। তখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এবার স্কুলে (Malda School) এভাবে কেন এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সিটের পিছনে কী? দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। রাতের বেলা সিঙ্গুরে (Singur) নাকা চেকিংয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, চারচাকা গাড়ির পিছনের সিটে স্ক্রু আঁটা। স্ক্রু খুলে দিতেই পর্দা ফাঁস। ভিতরে থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট। আসলে একটা খবর ছিলই পুলিশের কাছে। সেটাই সত্যি হল।

    গ্রেফতার মহিলা সহ চারজন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা ভর্তি ওই চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানা। পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হল এক মহিলা সহ তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর (Singur) থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও অফিস এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায়  দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা তিনজনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি শুরু করে। পাওয়া যায় ৮৭ টি প্যাকেট। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে জানা গেছে।

    পুলিশের আধিকারিক কী জানালেন?

    হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজল আবরার জানান, পাচারকারীরা ওড়িশার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল‌ চন্দননগরে  কোনও এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল, যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে (Singur) ঢোকে, তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমাণ গাঁজা কাদের সরবরাহ করত এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল, সেটি কোথাকার, তার মালিক কে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share