Tag: Artemis Mission 1

Artemis Mission 1

  • Artemis Mission: আর্টেমিস মিশনের জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছে নাসা

    Artemis Mission: আর্টেমিস মিশনের জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছে নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দু’বার ব্যর্থতার পর এবার মিশন সফল করতে মরিয়া নাসা (Nasa)। এর আগে হ্যারিকেন ঝড়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল এই মিশনটি (Artemis Mission) । আর্টেমিস ১ মিশনটিতে(Artemis 1 mission)  ইতিমধ্যেই বিরাট অঙ্কের টাকাও খরচ করে ফেলেছে নাসা। ১৪ নভেম্বর ফের এই মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানোর তোড়জোড় করছে নাসা।

    নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছিল,মেক্সিকো (Mexico) উপসাগরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে আসা হ্যারিকেন ঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশাল রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল ফের তা উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৩২০ ফুটের লম্বা কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের (Moon) দেবী আর্টেমিসের নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানটির নামকরণ করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    নাসা মারফত জানা গিয়েছে মনুষ্যবিহীন এই আর্টেমিস ১ (Artemis-1 ) এই মহাকাশযানটি (Artemis Mission) আমেরিকান সময় ১২ টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। যদি এই উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা্টি যদি কোনও ভাবে ভেস্তে যায় তাঁর জন্য বিকল্প দিন হিসেবে ১৬ নভেম্বর  ও ১৯ নভেম্বর দিনটিকে রাখা  হয়েছে। এর আগেও জ্বালানির ট্যাঙ্কে ফুটো থাকায় শেষ মুহুর্তে বাতিল করা হয়েছিল উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা। তাই এবার সবদিক থেকে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি। 

    আর্টেমিস প্রোগ্রামটিকে তিন ভাগে ভাগ করছে নাসা। নাসার ২০২৫ সাল নাগাদ চন্দ্রপৃষ্ঠে মানব নভোচারীদের ফেরানোর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান মিশন (Artemis Mission)। তাঁরা আশা করছেন, এই মিশন সফল হলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। এ মিশনে কোনো নভোচারী না থাকলেও এসএলএস (Space Launch System) রকেটের মাধ্যমে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটকে চাঁদের দিকে ছুড়ে দিয়ে উভয়ের কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে নাসা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকটা দিনেরই অপেক্ষা। কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Programme)। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। গত বুধবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে পাঠানো হবে।

    সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্টে কোনও মানুষ না থাকলেও, থাকবে তিনটি ম্যানেকিন অর্থাৎ মানুষের মত পুতুল, কিছু খেলনা এবং সঙ্গে অ্যামাজন অ্যালেক্সা। এছাড়াও এমন কিছু জিনিস যার সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগতমূলক গুরুত্ব আছে।

    মুনিকিন ক্যাম্পোস (Moonikin Campos) নামে ম্যানেকিনটি ওরিয়নের ভেতরে কমান্ডারের জায়গায় থাকবে। লঞ্চের সময় এটিকে ওরিয়ন সারভাইভাল সিস্টেম স্যুট (Orion Survival System suit) পরানো হবে। এই স্যুটটি মহাকাশচারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই ম্যানিকুইনটি সেন্সরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করবে। কমান্ডারের সিটটি সেন্সর দিয়ে তৈরি করা আছে যা মিশনের সময় গতিবেগ ও ভাইব্রেশনকে ট্র্যাক করবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    হেলগা ও জোহার (Helga & Zohar) নামের অন্য দুটি ম্যানিকুইনের কাছে ৫৬০০টি সেন্সর ও ৩৪ টি রেডিয়েশন ডিটেক্টর রয়েছে যার মাধ্যমে তারা মিশনের রেডিয়েশন এক্সপোজার লেভেল (mission’s radiation exposure level) রেকর্ড করবে।

    আবার অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিসেন্ট অ্যালেক্সাও (Alexa) এই মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অ্যালেক্সার অন্য ভার্সন ক্যালিস্টো (Callisto) নামের ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা হবে যে মহাকাশে এই ধরনের ডিভাইসের কাজ করার কতটা দক্ষতা রয়েছে। মহাকাশচারী এবং ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা কীভাবে তাদের কাজকে আরও দক্ষতার সঙ্গে এবং নিরাপদে করতে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারে তা দেখাই এর লক্ষ্য।

    এই স্পেসক্রাফটে স্নুপি (Snoopy) নামের একটি খেলনাও পাঠানো হবে। আমেরিকান কার্টুনিস্ট চার্লস এম শ্লুজ (Charles M. Schulz) এই খেলনাটিকে একেছিলেন। তিনি এটি প্রথম নাসা-এর অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সময় একেছিলেন এবং তারপর থেকেই স্নুপি মহাকাশ সংস্থার মিশনের সাথে যুক্ত। এদিকে স্নুপি খেলনাটি স্পেসক্র্যাফটের ভেতরে জিরো গ্র্যাভিটি ইন্ডিকেটর (Zero Gravity Indicator) হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

    প্রসঙ্গত, চাঁদে শেষবার মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনে। পাঁচ দশকের পর আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা (NASA)। সে পরিকল্পনায় প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share