Tag: Arunachal Pradesh

Arunachal Pradesh

  • Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং চিন একে বারবার অস্বীকার করলেও কখনও এই সত্য বদলাতে পারবে না। মঙ্গলবার চিনের সাংহাই বিমানবন্দরে হয়রানি করা হয় এক ভারতীয় মহিলাকে। তিনি আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে থাকেন ব্রিটেনে। সেখান (Randhir Jaiswal) থেকে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে (Shanghai Airport) তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং। যদিও ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের অবস্থান। জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের দ্বারা বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজ্য।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (Randhir Jaiswal)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি দেখেছি, যা একজন ভারতীয় নাগরিককে অযৌক্তিকভাবে আটক করার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলা অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং তিনি জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট করছিলেন।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ – এটি একটি স্বয়ংস্পষ্ট সত্য। চিনের পক্ষ থেকে যতই অস্বীকার করা হোক না কেন, এই অখণ্ড বাস্তবতা পরিবর্তিত হবে না।”

    ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি

    তিনি জানান,  ভারত ওই মহিলাকে আটক করার বিষয়ে চিনের কাছে (Randhir Jaiswal) জোরালোভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। জয়সওয়ালের মতে, চিন এখনও পর্যন্ত তাদের এই পদক্ষেপের কোনও কারণ জানায়নি। এটি আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মের বিরোধী। তিনি মনে করিয়ে দেন, চিনের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী সব দেশের যাত্রীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি দেওয়া হয়, এবং এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংহাই বিমান বন্দরে ট্রানজিট করার সময় পেমা ওয়াংজম থংডক নামের অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও (Randhir Jaiswal), আটকানো হয় তাঁকে। বিমানবন্দরে যেসব চিনা আধিকারিক ছিলেন, তাঁরা পেমাকে বলেছিলেন, তাঁর কাছে রয়েছে ভারতের পাসপোর্ট, চিনের নয়। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। এর (Shanghai Airport) পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। সাফ জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লির অবস্থান।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) চিনের অংশ। এই দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে ড্রাগনের দেশ। তবে শি জিনপিংয়ের দেশের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই ছিল, আছে এবং থাকবেও (Shanghai Airport)। তবে ভারত এবং চিনের এই দোটানার মধ্যে পড়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হল অরুণাচল প্রদেশের এই মহিলাকে।

    ১৮ ঘণ্টা আটকে, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের (Arunachal Pradesh)

    আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা ওই মহিলা বর্তমানে থাকেন ব্রিটেনে। ২১ নভেম্বর সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার নাম প্রেমা ওয়াংজম থংডক। বিমানবন্দরে থাকা কয়েকজন চিনা আধিকারিক দাবি করেন, তাঁর পাসপোর্টটি ভারতীয়। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের। ওই আধিকারিকরা জানান, এটি অবৈধ। কারণ ওই প্রদেশ চিনের অংশ। খবরটি দ্রুত পৌঁছে যায় ভারতীয় কর্তাদের কানে। সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাঁরা। তীব্র প্রতিবাদ জানান চিনা কর্তৃপক্ষের কাছে। সাংহাইয়ে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি উত্থাপন করে এবং প্রেমাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য দেয়।

    অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা

    প্রেমা অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলার রূপা এলাকার বাসিন্দা। গত ১৪ বছর ধরে কর্মসূত্রে ব্রিটেনে বসবাস করছেন তিনি। ঘটনার দিন লন্ডন থেকে জাপানে যাচ্ছিলেন তিনি (Arunachal Pradesh)। এর মধ্যে সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানান, নিরাপত্তা তল্লাশির সময় চিনা ইমিগ্রেশনের এক আধিকারিক তাঁকে (Shanghai Airport) আলাদা করে ডেকে নেন। তিনি যখন তাঁকে আটকে রাখার কারণ জানতে চান, তখন ওই আধিকারিক জানান যে তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট ‘অবৈধ’। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। প্রেমা বলেন, “আমি যখন তাঁদের প্রশ্ন করতে চেষ্টা করলাম এবং জানতে চাইলাম সমস্যাটা কী, তাঁরা বললেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ নয়’। তাঁরা আমায় উপহাস করতে শুরু করল। তাঁরা বলতে লাগল, ‘তোমার চিনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা উচিত। তুমি চিনা, ভারতীয় নও’”। তিনি বলেন, “এর আগে আমি কোনও সমস্যা ছাড়াই সাংহাই হয়ে ট্রানজিট করেছি। আমি অনেকক্ষণ আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, পারিনি।” ভারতীয় ওই মহিলা বলেন, “লন্ডন থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করার পর আমায় ১৮ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় (Arunachal Pradesh)। তারা আমার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় এবং আমায় বের হতে দেয়নি। আমি খাবারও পাইনি। চিনে গুগল নেই, তাই কোনও তথ্যও পেতে পারছিলাম না। তারা আমায় জাপানে যেতে দিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও আমার বৈধ জাপানি ভিসা ছিল। তারা জোর করে বলে যে আমায় হয় ব্রিটেনে ফিরে যেতে হবে, নয়তো ভারতে যেতে হবে।”

    ওঁদের আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক

    প্রেমা বলেন, “ওঁদের আচরণ ছিল অত্যন্ত অপমানজনক এবং সন্দেহজনক, ইমিগ্রেশন স্টাফদের যেমন, তেমনই আচরণ করেছেন এয়ারলাইন স্টাফরাও। আমি সাংহাই এবং বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করি। এক ঘণ্টার মধ্যেই (Shanghai Airport) ভারতীয় কর্তারা বিমানবন্দরে এসে আমায় কিছু খাবার দেন। তাঁদের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেন এবং আমায় দেশ থেকে বের হতে সাহায্য করেন। এটি ছিল দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার একটা লড়াই। কিন্তু আমি এখন খুশি যে এখন আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি (Arunachal Pradesh)।”

    ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় কর্তারা

    জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর প্রেমা একটি ফোন এবং তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনে থাকা তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন। তাঁরা তাঁকে সাংহাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে সাহায্য করেন। ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তারা এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছন এবং তাঁকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহায্য করেন। অরুণাচল প্রদেশের ওই মহিলা বলেন, “আমি কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে, সেখান থেকে ছ’জন কর্তা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিমানবন্দরে এসে আমায় খাবার দেন। তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন যেন আমায় জাপানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু চিনা আধিকারিকরা তা কোনওভাবেই মানেনি। তাঁরা জোর করেছিলেন যে আমি যেন শুধু চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমেই দেশ ছাড়ার টিকিট বুক করি। শেষ পর্যন্ত আমি তাইল্যান্ডে ট্রানজিট-সহ ভারতের ফ্লাইট বুক করি, এবং এখন তাইল্যান্ডেই থেকে কাজ করছি।” প্রেমা বলেন, “অনেক বছর ব্রিটেনে থাকার পরেও আমি আমার ভারতীয় পাসপোর্ট (Shanghai Airport) ছাড়িনি। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং নিজের দেশেই বিদেশি হতে চাই না (Arunachal Pradesh)।”

  • Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড নাকি চিন দখল করে রেখেছে—এমন দাবি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে তাঁকে জানিয়েছে, প্রকৃত ভারতীয় হয়ে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)।

    ভারত জোড়ো যাত্রা করার সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)

    ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ঠিক তার দু’বছর আগে—২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সময় তিনি বিভিন্ন সভায় দাবি করেছিলেন, চিন ২০০০ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং চিনা সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈন্যদের মারধর করছে। এ নিয়েই পরবর্তীকালে দায়ের হয় মামলা। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানতে চায়, “আপনি কীভাবে জানলেন যে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনা দখলে রয়েছে?” এর পরে শীর্ষ আদালত (Supreme court) রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে বলে, “আপনি যদি একজন প্রকৃত ভারতীয় হতেন, তাহলে এমন কথা বলতেন না।”

    মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে

    প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে। সেখানেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত আরও বলে, “আপনি বিরোধী দলের নেতা হয়ে কেন এই ধরনের কথাগুলো বলবেন?” প্রসঙ্গত, এ-সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম উঠে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হয়। এরপরেই রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    রাহুলের দাবি মিথ্যা গল্প, বললেন কিরেন রিজিজু

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রাহুল গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের পরেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন এবং সেখানেই বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “মিথ্যা গল্প” বলে অভিহিত করেন এবং তিনি দাবি করেন, চিন অরুণাচল প্রদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।প্রসঙ্গত, রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই সেসময় তাঁর নিন্দা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সেসময় জানান, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ভারত চিনের কাছে যে জায়গা খুইয়েছিল, তাকে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখাতে চাইছেন রাহুল।

    রাজস্থানে এমন দাবি করেছিলেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী রাজস্থানে এমন মন্তব্য করেন। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন যে, ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের পরেও কেন নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার—এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে—এখানে, সেখানে, সর্বত্র অশোক গেহলট, শচীন পাইলট ইত্যাদি বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তারা কখনও চিন নিয়ে প্রশ্ন করে না। কেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অরুণাচল প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করল কেন চিন—এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় না। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে কোনও কিছু উত্থাপন করে না। তবে এগুলো কি সত্য নয়? দেশ সবটাই দেখছে। কোনও কিছু ভান করে কিছু হবে না। মানুষ সবটাই জানে।”

    জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও একই দাবি করেন রাহুল

    শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে একই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মনে করেন যে, চিনারা ভারতের কাছ থেকে কোনও জমি দখল করেনি। “আমি সম্প্রতি কিছু প্রাক্তন সেনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং লাদাখের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, আমাদের ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন দখল করে রেখেছে।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে এমন দাবি করতে শোনা যায় সে সময় রাহুল গান্ধীকে।

    অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনই দাবি রাহুলের

    প্রসঙ্গত, ওই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছিলেন যে, প্রাক্তন সেনা কর্মীরা তাঁকে বলেছেন—ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং সেখানেই তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর পরে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং স্বপক্ষে মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানান।

  • Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের (Critical Minerals)। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তর, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এই খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস (REE), গ্রাফাইট, ভ্যানাডিয়াম, লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং অন্যান্য উপাদান, যা ব্যাটারি, সেমিকন্ডাক্টর এবং উন্নত ধাতব মিশ্রণ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    জিএসআইয়ের রিপোর্ট (Critical Minerals)

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে (Northeast Region), “এ ধরনের সম্পদের প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেশীয় উৎস চিহ্নিত ও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে পূর্ব-উত্তর ভারতের মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চলে নিবেদিত থিম্যাটিক স্টাডি, বেসলাইন সমীক্ষা এবং প্রকল্পভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে, জিএসআই একাধিক অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করেছে।” ৫৭ পাতার এক প্রতিবেদনে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের অনুসন্ধানের ফলের সারসংক্ষেপ।

    চিনের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

    বিশ্বের প্রধান রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিকারী দেশ হল চিন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেজিং। অথচ, এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর তৈরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে (Critical Minerals)। প্রতিবেশী দেশের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারত তার ৫৪০ টন ম্যাগনেট আমদানির ৮০ শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করেছিল ড্রাগনের দেশ থেকেই। ইউরোপের জ্বালানি খাতও প্রায় ৯৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছিল চিন থেকেই। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল চিনের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের জন্য এক সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের উচিত বিকল্প সরবরাহ চেইন খুঁজে বের করা এবং চিনের ওপর নির্ভরতা কমানো (Northeast Region)।”

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন — যার মধ্যে ওফিওলাইট বেল্ট, ক্ষার-আল্ট্রামাফিক কমপ্লেক্স এবং গ্রাফাইটযুক্ত সিস্ট রয়েছে — তা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ভারত যখন খনিজ-নির্ভর পরিচ্ছন্ন জ্বালানির পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিজ সম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত (Critical Minerals)। উত্তর-পূর্বাঞ্চল অঞ্চলটি অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত এবং এটি প্রায় ২.৬২ লাখ বর্গকিলোমিটার বা ভারতের মোট ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে (Northeast Region)।

    অরুণাচলপ্রদেশে ভ্যানাডিয়ামের খোঁজ

    অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের প্রাকৃতিক ফ্লেক গ্রাফাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে উঠে এসেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিম সিয়াং, পাপুম পাড়ে এবং লোয়ার সুবনসিরি জেলায় প্রচুর মজুত চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ১৭.৮৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি গ্রাফাইট সম্পদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ব্যাটারি ও রিফ্র্যাক্টরি (উচ্চতাপ প্রতিরোধক) ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানের। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে (Critical Minerals), “এই অঞ্চলের গ্রাফাইট সাধারণত সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি ফ্লেকযুক্ত হয়, যার ফিক্সড কার্বন কন্টেন্ট ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এটি পরবর্তী পর্যায়ের পরিশোধন এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অ্যানোড-সহ উচ্চ-মূল্যবান ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কাঁচামাল হিসেবে বিবেচিত হয়।” জানা গিয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল ভ্যানাডিয়াম, যা স্টিল মিশ্র ধাতু এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অনুসন্ধানে মোট ১৩.৭৯ মিলিয়ন টন ভ্যানাডিয়াম পাওয়া গিয়েছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ মিশ্র ধাতুর ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম বড় রকমের উৎস।

    অসম-মেঘালয়ে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস

    জিএসআই জানিয়েছে (Critical Minerals), অরুণাচল প্রদেশের পাপুম পারে জেলায় লোদোসো গ্রামের আশপাশের এলাকায় ২.১৫ মিলিয়ন টন ‘আয়রনসমৃদ্ধ ফিলাইট’ (এক ধরনের রূপান্তরিত শিলা)-এ রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়া গিয়েছে। অসম ও মেঘালয়েও রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অসমে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টসের ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ এর মধ্যে। ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নের অর্থ হল, প্রতি এক মিলিয়ন অংশের মিশ্রণে কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের একটি অংশ। মেঘালয়ে এই ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি মিলিয়নে ৩,৬৪৬ থেকে ৫,১০০-র মধ্যে (Northeast Region)।

    লিথিয়াম মজুদ

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও অসমে লিথিয়াম মজুদের ইঙ্গিত মিলেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে অবস্থিত ওফিওলাইট শিলার সঙ্গে সম্পর্কিত নিকেল ও কোবাল্টের লক্ষ্যে সেখানে বিস্তারিত ভূ-রাসায়নিক সমীক্ষা ও শিলাচিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে (Critical Minerals)।”

  • Arunachal Pradesh: চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    Arunachal Pradesh: চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে এবার বেজিংকে নরমে-গরমে সতর্ক করল নয়াদিল্লি। ভারতের অংশ অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের দাদাগিরি যে মোটেও বরদাস্ত হবে না, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল সাউথ ব্লক। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, চিন ক্রমাগত ভারতের অন্তর্ভুক্ত রাজ্য অরুণাচলের নাম পরিবর্তনের অযৌক্তিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা একেবারেই নীতি বিরুদ্ধ।’

    অরুণাচল প্রদেশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা ‘ব্যর্থ’

    বেজিঙের অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) কিছু অংশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টার আর‌ও এক বার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। চিনকে মনে করিয়ে দিল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ! ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিনের প্রচেষ্টাকে ‘ব্যর্থ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘‘আমরা লক্ষ্য করছি, চিন ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের জন্য নিরর্থক এবং অযৌক্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা চিনের প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। নামকরণ করলেই তা অনস্বীকার্য বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল ভারতেরই অংশ ছিল, আছে এবং সর্বদাই থাকবে।’’ অরুণাচলের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং চিনের সীমান্ত- বিবাদের অন্যতম কারণই অরুণাচলের উপর বেজিঙের দাবি। ভারতের এই রাজ্যটি চিনের তিব্বতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। বেজিং বরাবর দাবি করে, অরুণাচল ঐতিহাসিক ভাবে তিব্বতেরই অংশ। যদিও ভারত সেই দাবির বিরোধিতা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধের পাশাপাশি এই রাজ্যের জলসম্পদ ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

    নাম পরিবর্তন প্রথম নয়

    অরুণাচল (Arunachal Pradesh) তাদের অংশ বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে চিন। ভারত এবং চিনের মধ্যে সংঘাতের অন্যতম কারণই হল অরুণাচল। চিন প্রায়শই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তন করে মানচিত্র প্রকাশ করে থাকে। গ্লোবাল টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বেজিং অরুণাচল প্রদেশের নাম পরিবর্তন করে জাংনান করে দিয়েছে। এ ছাড়াও ওই রাজ্যের ১২টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পর্বত গিরিপথ, ১১টি জনবসতিপূর্ণ এলাকার নাম বদলে দিয়েছে চিন। এই প্রথম নয়, ২০১৭ সাল থেকে এই নাম পরিবর্তনের খেলা খেলছে বেজিং। সেই বারই প্রথম নিজেদের দেশের প্রকাশিত মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশের ছয়টি জায়গার নাম পরিবর্তন করে দেয় চিন। পরে ২০২১ ও ২০২৩ সালেও অরুণাচলপ্রদেশের জায়গার নতুন নতুন নামের তালিকা প্রকাশ করে তারা।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলে খ্রিষ্টীয় আগ্রাসনে চিন্তিত মূলনিবাসী ও সনাতনীরা

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলে খ্রিষ্টীয় আগ্রাসনে চিন্তিত মূলনিবাসী ও সনাতনীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ খ্রিস্টান (Arunachal Pradesh) ফোরামের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে অরুনাচল প্রদেশকে খ্রিস্টান রাজ্য হিসেবে দাবি করা হয়েছে। এই ভিডিও সামনে আসতেই ওই রাজ্যে অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভিডিওতে এক ধর্মযাজককে বলতে দেখা যাচ্ছে, “অরুণাচল থেকে আসাম আমাদের পূর্বপুরুষদের ভূমি। তাওয়াং থেকে লংডিং, মেসোকা থেকে ইটানগর আজ আমরা প্রভু যীশুর নামে ঘোষণা করছি যে সম্পূর্ণ অরুনাচল “যীশুর”।

    ব্যাপক ধর্মান্তকরণ (Arunachal Pradesh)

    অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে এই ঘটনার পর থেকেই গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে এই অঞ্চলে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য আরও আক্রমণাত্মক চাপ আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত ধর্ম পরিবর্তনের জেরে অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, আসাম সহ অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে আদিবাসী মূলনিবাসী, বৌদ্ধ এবং হিন্দুদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমছে। গত কয়েক দশক ধরে অরুণাচল প্রদেশ এবং আসামে খ্রিস্ট ধর্মের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটেছে। তারই মাঝে এই ভিডিওটি বেশ কয়েকটি সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা অরুণাচল প্রদেশের ‘ধর্ম স্বাধীনতা আইন ১৯৭৮’এর কার্যকারিতা নিয়েও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ ধর্ম স্বাধীনতা আইন থাকলেও তা কার্যকরি নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। বল প্রয়োগ এবং প্রলোভনের মাধ্যমে ব্যাপক ধর্ম পরিবর্তন চলছে। ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ধর্ম স্বাধীনতা আইনের উদ্দেশ্য ছিল বলপ্রয়োগ এবং প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন রোধ করা। কিন্তু এই আইনের ফাঁকগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ব্যাপক ধর্ম পরিবর্তন চলছে ওই রাজ্যে।

    কী বলছে আদমশুমারি

    অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) শেষ কয়েক দশকে খ্রিস্টান জনসংখ্যার অভূতপূর্ব বৃদ্ধি হয়েছে। এই জনসংখ্যার বৃদ্ধি বাসিন্দাদের অতিরিক্ত সন্তান উৎপাদনের মাধ্যমে হয়নি, বরং ব্যাপক ধর্ম পরিবর্তনের ফলে হয়েছে বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ১৯৭১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা ০.৭৯ শতাংশ খ্রিস্টাধর্মালম্বী ছিলেন। ১৯৮১ তে এই সংখ্যা ৪.৩২ শতাংশ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালে তা বেড়ে হয় ১০.৩০ শতাংশ। ২০০১ সালে ৮ শতাংশ বেড়ে খ্রিস্টান জনসংখ্যা হয় ১৮.৭২ এবং ২০১১ আদমশুমারিতে শেষ আদমশুমারিতে দেখা যায় খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৩০.২৬ শতাংশ। ২০২১ সালে কোভিডের জন্য আদমশুমারি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে আদমশুমারি হলে এই জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বেশি হয়ে পড়বে। যার নেপথ্যে রয়েছে আক্রমণাত্মক ধর্ম প্রচার এবং গণ ধর্মান্তকরণ।

    ৬ মার্চ ইটানগরকে বিক্ষোভ (Arunachal Pradesh)

    এরই মাঝে ৬ মার্চ খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক গোষ্ঠীগুলি অরুণাচলের ধর্ম স্বাধীনতা আইন বাতিলের দাবিতে ইটানগরে (Arunachal Pradesh) একটি বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করে। অল ক্রিশ্চিয়ান ফোরামের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ম স্বাধীনতা আইন বাতিলের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। প্রসঙ্গত অরুণাচল প্রদেশের ধর্ম স্বাধীনতা আইন বলপূর্বক এবং প্রতারণামূলক ধর্ম পরিবর্তন রোধ করার জন্য লাগু হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বলপূর্বক এবং প্রতারণামূলক ধর্ম পরিবর্তন এই রাজ্যে রোধ করা যায়নি এবং পরিস্থিতি যে ব্যাপক উদ্বেগজনক ওই ভাইরাল ভিডিও প্রমাণ করে। স্থানীয় সংগঠনগুলির মতে জনবিন্যাসের এই ব্যাপক পরিবর্তন অরুণাচল প্রদেশ এবং আসামে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Strategic Infrastructures: চিনকে চাপে রাখতে তাওয়াংয়ে একাধিক কৌশলগত পরিকাঠামো নির্মাণ করছে ভারত

    Strategic Infrastructures: চিনকে চাপে রাখতে তাওয়াংয়ে একাধিক কৌশলগত পরিকাঠামো নির্মাণ করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিভিন্ন অংশ নিজেদের বলে দাবিও করেছে বেজিং। এ সংক্রান্ত মানচিত্রও প্রকাশ করেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এবার চিনকে চাপে রাখতে কৌশলগত পরিকাঠামো (Strategic Infrastructures) নির্মাণ করছে ভারত। প্রোজেক্ট ভরতক-এর আওতায় চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। গুয়াহাটি, তাওয়াং এবং পশ্চিম কামেং এলাকায় হচ্ছে (India) সড়ক নির্মাণ। এই প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখলেন বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (BRO) ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রঘু শ্রীনিবাসন। ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই এলাকায় ঘুরে দেখেন কাজের অগ্রগতি।

    আপডেট দিলেন মহানির্দেশক (Strategic Infrastructures)

    গুয়াহাটিতে তাঁকে সম্পূর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে আপডেট দেন বর্ডার রোডসের (পূর্ব) অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) হরেন্দ্র কুমার। তাওয়াংয়ে এরিয়াল সমীক্ষার মাধ্যমে নেলিয়া, ধৌলা এবং হাতোঙ্গা এলাকার জিমিথাং সেক্টরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সড়কের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন ডিজি। লুংরো, দমটেং এবং ইয়াংসের সামনের এলাকাগুলিও পরিদর্শন করেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা

    পরিদর্শনের পর অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শ্রীনিবাসন। এলাকার ভবিষ্যৎ সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্প সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তাওয়াং অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। কথা বলেন স্থানীয় বিধায়ক এবং তাওয়াং জেলার ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গেও। শ্রীনিবাসন সেলা টানেলের কাজকর্মও খতিয়ে দেখেন। সেখানে তাঁকে সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাটা অ্যাকুইজিশন (SCADA) সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এটি রিয়েল-টাইম ডেটা মনিটরিংয়ের জন্য একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক সিস্টেম।

    আরও পড়ুন: খালেদার সঙ্গে বৈঠক পাক কূটনীতিকের, ফের জঙ্গি আখড়া হবে বাংলাদেশ?

    তিনি সুরক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলির কার্যকারিতা এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রযুক্তিগত দিকগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও পর্যালোচনা করেন (Strategic Infrastructures)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সেলা টানেলটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বাই-লেন টানেল, যা গুয়াহাটি এবং তাওয়াংয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। টানেলের কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রীনিবাসন। প্রোজেক্ট ভরতক-এর সঙ্গে জড়িত দলের প্রশংসাও করেন তিনি। এঁরাই বছরভর তাওয়াং এবং অন্যান্য সীমান্ত এলাকায় যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করে।

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার ইন্দো-চিন সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন অরুণাচলপ্রদেশ (India) সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক নির্মাণ করছে। সেলা টানেলও এরই অংশ ((Strategic Infrastructures))।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share