Tag: Arvind

  • Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি হবে ২০৪৭ সালে। সেই সময় দেশকে বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবেই দেখার স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর কাজও করে চলেছেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন যে নিছক স্বপ্ন নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়ার (Arvind Panagariya) কথায়। নয়াদিল্লিতে ৪৯তম সিভিল অ্যাকাউন্টস ডে উদযাপনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

    পানাগাড়িয়ার বক্তব্য (Viksit Bharat)

    সেখানেই পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত জাতির মর্যাদা অর্জনের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত।” তিনি সেই বৃদ্ধির পথের কথা উল্লেখ করেন যা ভারতকে আগামী দশকে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। তিনি জানান, ২০০৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত বর্তমান মূল্যে মার্কিন ডলারের হিসেবে গড়ে ১০.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতি বজায় থাকলে, ভারতের অর্থনীতি আগামী দশ বছরে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। তিনি ম্যাক্রোইকোনমিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে এই বৃদ্ধির গতি বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ভারতের অর্থনৈতিক (Viksit Bharat) যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হল ২০৪৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছানো। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ২,৫৭০ মার্কিন ডলার। পানাগাড়িয়ার মতে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন বার্ষিক ৭.৩ শতাংশ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ডলারের মূল্যে, ভারতকে উচ্চ আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ১৪,০০০ ডলারের মাথাপিছু আয় দরকার। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলে, এই লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব।”

    ভারতের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমর্থনকারী গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির একটি হল নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বছরে মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত অভিযানের সম্ভাবনাগুলি তাই বাস্তবায়নযোগ্য থাকে।” ভারতের সামাজিক অগ্রগতির (Arvind Panagariya) ওপর জোর দিয়ে পানাগাড়িয়া বলেন, “দেশে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, সে পরিমাপের পদ্ধতি যাই হোক না কেন (Viksit Bharat)।”

  • AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন ৫ হাজার ৭০০ টাকার করে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) এহেন বিদ্যুৎ খরচের (AAPs Powerplay) বহরে চক্ষু চড়কগাছ দিল্লিবাসীর। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুৎ খরচের হিসেব জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।

    কেজরির বিদ্যুৎ খরচ (AAPs Powerplay)

    তখনই জানা যায়, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ৪১.৫ লাখ টাকার। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই পরিমাণ বিদ্যুৎ তিনি ব্যবহার করেছেন। ইউনিটের হিসেবে কেজরিওয়াল এই পর্বে ব্যবহার করেছেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি বিদ্যুৎ। আরও জানা গিয়েছে, কেজরিওয়ালের মাসিক গড় বিদ্যুৎ খরচ ছিল ২৩ হাজার ইউনিটেরও বেশি। প্রতিদিন ৭৭০ এর বেশি ইউনিট।

    পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে

    সম্প্রতি আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। পূর্বতন শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন বিজেপির রেখা গুপ্ত। তিনি বণিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। কেজরিওয়াল ক্ষমতাচ্যুত হতেই চলে এসেছেন পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে। কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনের নাম ‘শিশমহল’। এই বিলাসবহুল বাড়িটিকে ঘিরে আমজনতারও বিস্তর অভিযোগ।

    আরটিআইয়ের তথ্য

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিদ্যুৎ খরচ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরটিআইয়ের (RTI) উত্তরেও জানা গিয়েছে, অন্যান্য আপ মন্ত্রীর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি (AAPs Powerplay)। সব মিলিয়ে এই মন্ত্রীরা এই দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ১.১৫ কোটি টাকার। আরটিআইয়ের তথ্য অনুসারে, শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার মথুরা রোডের বাসভবনে ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ১,২৬,৭৪৯.৭৫ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭২২ টাকা। একই সময়ে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের বাড়ির ১,৬১,৮৮৩.১৪ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল বাবদ দিতে হয়েছে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ৮, রাজ নিবাস মার্গের বাসভবনে ৬৮,৫৮১.৪৬ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

    বিতর্কের কেন্দ্রে ‘শিশমহল’

    কেজরিওয়ালের ‘শিশমহল’ আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছিল। প্রাক নির্বাচনী পর্বেও বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই সরকারি বাসভবনটিই। এই বিল্ডিংয়েই রয়েছে দামি দামি সব আসবাবপত্র, উচ্চমানের সরঞ্জাম এবং আড়ম্বরপূর্ণ সজ্জা। এসবের জন্যই খরচ করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি কেজরিওয়ালের স্বঘোষিত মিতব্যয়ী এবং স্বচ্ছ শাসনের পক্ষের নেতার ভাবমূর্তির পুরোপুরি বিপরীত। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিদ্যুৎ বিল এবং আপ মন্ত্রীদের সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের চমকপ্রদ বিবরণ গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ দলের মিতব্যয়িতার নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বিপরীত এটি। শিশমহলে বিলাসবহুল সংস্কারের অভিযোগ এবং এখন প্রচুর বিদ্যুৎ খরচের কারণে, দলের স্বচ্ছতা এবং আর্থিক দায় এখন নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এমন বিতর্ক চলতে থাকায়, নাগরিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এক সঙ্গে আপ নেতৃত্বের ব্যয় সংক্রান্ত বিবরণ সম্পর্কে আরও পরিষ্কার উত্তরের দাবি জানাচ্ছেন (AAPs Powerplay)।

    বিজেপির বাক্য-বাণ

    আরটিআই রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “আপ মোটেও সাধারণ মানুষের জন্য নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অবশেষে এতটা ‘আম’ (সাধারণ) নয়? আরটিআই উত্তরের অনুযায়ী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অক্টোবর ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত দুবছরের মধ্যে ₹৪১.৫১ লক্ষ মূল্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। প্রতিদিনের আনুমানিক বিল ₹৫,৭০০, দৈনিক ৭৭০+ ইউনিট খরচের জন্য। সাধারণ মানুষ মাসে প্রায় ২৫০-৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে! এটাই ছিল কেজরিওয়ালের প্রকৃত চেহারা।” আপ সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কেজরিওয়ালের নাম পরিবর্তন করে বিজলিওয়াল রাখা উচিত। বিজেপির এই নেতা বলেন, বিজলিওয়ালের দৈনিক খরচ একজন সাধারণ মানুষের মাসিক খরচের তিনগুণ বেশি।”

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেজরিওয়াল বাসভবনটি সংস্কারের জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। তারপরেই বিজেপি বাসভবনের নামকরণ করেছিল শিশমহল। পুনাওয়ালা বলেন, “২ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ।” মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কতগুলি এসি চালানো হচ্ছিল? এ প্রশ্ন তুলে বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “কেজরিওয়ালের বাসভবনের এক দিনের বিল (Arvind Kejriwal) সাধারণ মানুষের এক মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের চেয়েও বেশি। এটা কি খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ নয়? তিনি অনেক টাকা নষ্ট করেছেন (AAPs Powerplay)।”

LinkedIn
Share