Tag: asansol

asansol

  • Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসিএলের খনি ভরাট করার জন্য প্রয়োজন বালি। বরাত পাওয়া প্রাইভেট সংস্থার বালির গাড়ি অবৈধ, এই অভিযোগ তুলে তা আটকে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন জামুরিয়ার তৃণমূল নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা। সংস্থার তরফে কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তোলাবাজির। ঘটনার প্রেক্ষিতে সংঘাত লেগেছে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে জামুরিয়া থানার। জামুরিয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে দলীয় পদ এবং সরকারি পদ থেকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামুড়িয়ার পরাশিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সমিতির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ এবং দূষিত বালিমাটি পরিবহণ তাঁরা আটকে দিয়েছেন মানুষের স্বার্থে। কিন্তু পুলিশ কাজ করছে ওই প্রাইভেট সংস্থার হয়ে, মানুষের হয়ে নয়। এই নিয়ে সরগরম জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) রাজনীতি।

    কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ?

    ইসিএলের কাজে বাধা দেওয়া ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, বেআইনি ও অবৈধ কাজ বরদাস্ত নয়। তারপরেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন জামুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতারা (Trinamool Congress)। মাটি, বালি, ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই গাড়ি দেখলেই অভিযান শুরু নেতাদের। এই নিয়েই তৃণমূল নেতাদের একাংশের সঙ্গে লাগল সংঘাত। প্রাইভেট সংস্থার অভিযোগ, অভিযানের নামে তোলাবাজিতে নেমেছেন ওই তৃণমূল নেতারা।

    পাল্টা কী হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Bardhaman)

    ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া গ্রুপ অফ মাইনসের এজেন্ট মধুসূদন সিং ও ইসিএলের টেন্ডার পাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে পিওবি (প্রসেস ওভার বার্ডেন) প্ল্যান্টের ইনচার্জ অসীম চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে জামুড়িয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত উদীপ সিং ও তার ৬ সঙ্গী সহ ২০-২৫ জনের নামে একটি এফআইআর করেছে। শনিবার রাতে তাঁদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁরা হলেন রঘুপদ মণ্ডল ও মলয় মণ্ডল। পুলিশ অ্যাকশন নিতেই  জামুড়িয়া ব্লকের পরাশিয়া গ্রামে সাংবাদিক সম্মেলনে করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল নেতা, তথা কর্মাধ্যক্ষ উদীপ সিং। পাল্টা তিনি জামুরিয়া থানার (Paschim Bardhaman) ওসি রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, ইসিএল এবং ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিককে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমি জামুরিয়া এলাকায় মাটি ও বালির বেআইনি কারবার বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর করা হয়েছে। এদিন তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নির্বাচিত গ্রামসদস্য ছিলেন। উদীপ সিং এদিন হুমকি দিয়ে বলেন, দল পাশে না দাঁড়ালে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থানে বসব। দলের নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। দল যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে পদত্যাগ করব, এমন হুমকিও তিনি দেন। তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। আর কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে পরামর্শ করছি।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের, কী বলছে বিজেপি?

    অন্যদিকে, দায় এড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব। বিষয়টি জানা নেই। পাণ্ডবেশ্বর প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, তৃণমূলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারেন না বা তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকারও নেই। কারণ জামুরিয়ার সমস্ত কিছুই আসানসোলের তৃণমূল নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও দল ও পুলিশ-প্রশাসন থেকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হবে উদীপকেই। সম্মান নিয়ে যদি উনি বাঁচতে চান, ওঁকে তৃণমূল ছাড়তে হবে। আর যদি উনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান, আত্মসমর্পণ না করতে চান, তাহলে দল ছাড়ুন। আমরা তাঁর (Trinamool Congress) পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরনো, জানুন তার ইতিহাস

    Asansol: রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরনো, জানুন তার ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল ৭ জুলাই, শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যে কয়েকটি ঐতিহ‍্যবাহী রথ ও রথের মেলা রয়েছে, তার মধ‍্যে অন‍্যতম রানিগঞ্জের (Asansol) সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা। প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন এই রথ। শুধুমাত্র একটি পুজো অর্চনা নয় বরং রানিগঞ্জ সহ সামগ্রিক খনি অঞ্চলের এক ঐতিহ‍্য মণ্ডিত সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ। এখানে আশেপাশের জেলা থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি এখন চরম তুঙ্গে।

    কে প্রচলন করেছিলেন রথযাত্রা (Asansol)?

    কথিত আছে কয়লা শিল্পের প্রসারকে কেন্দ্র করে আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে রানিগঞ্জের (Asansol) সিয়ারসোল অঞ্চলে হাজির হয়েছিলেন আলেকজাণ্ডার কোম্পানির অন‍্যতম কর্মচারী গোবিন্দ প্রসাদ পণ্ডিত। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি সিয়ারসোল মৌজার জমির ব‍্যবস্থাপনা গ্রহণ করেন। ১৮৬০ সালে গোবিন্দ পণ্ডিত রানিগঞ্জের পুরানো রাজবাড়ি অঞ্চলে গোবিন্দ প‍্যালেস নির্মাণ করেন। যা বর্তমানে খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে। গোবিন্দ পণ্ডিতের মেয়ে হরসুন্দরী দেবী ব্রিটিশরাজের পক্ষ থেকে মহারাণী উপাধি পেয়ে ১৮৭৭ সালে তাঁদের কুলদেবতা দামোদরচন্দ্র জিউ-এর পূজা অর্চনা উপলক্ষে রানিগঞ্জে রথযাত্রার প্রচলন করেন। তবে সেই সময় রথটি কাঠের নির্মিত ছিল। হরসুন্দরী দেবীর বিবাহ হয়েছিল সিঙ্গুরের মতিলাল মালিয়ার সাথে। সেই থেকে রানিগঞ্জে মালিয়া পরিবারের বসতি। হরসুন্দরী দেবীর সময়ে বানানো কাঠের রথটি পরবর্তী ক্ষেত্রে আগুন লেগে পুড়ে গেলে, ১৯২৩ সালে রাজা প্রমথনাথ মালিয়া কলকাতার এক সংস্থার মাধ‍্যমে নয়টি গম্বুজ বিশিষ্ট নবরত্ন মন্দিরের আদলে বর্তমানের পিতলের রথটি নির্মাণ করেন।

    ত্রিতল বিশিষ্ট রথ

    আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের ত্রিতল এই রথটি (Rath Yatra of Searsole Rajbari) প্রায় ৩০ ফুট উঁচু ও ৮-১০টন ভারী। রথ যাত্রা উৎসবের পূণ‍্য তিথিতে রথের তৃতীয় স্তরে আরূঢ় হন রাজ পরিবারের কুল দেবতা দামোদরচন্দ্র জিউ। এরপরেই ভক্তগণ এই রথের দড়ি টেনে নিয়ে যান। যদিও বর্তমানে এই রথ লরির সাথে বেঁধে চালিত হয়। দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হন এই রথ যাত্রার মেলায়।

    আরও পড়ুনঃ কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার ছোটভাইকে ‘প্রাণে মারার হুমকি’, শোরগোল

    আয়োজকদের বক্তব্য

    বিগত কুড়ি বছর ধরে রানিগঞ্জের (Asansol) এই ঐতিহ‍্যবাহী রথযাত্রা কর্মসূচি ও মেলার আয়োজন করে আসছে সিয়ারসোল স্পোর্টস এণ্ড কালচার‍্যাল সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে হৃদয়লাল চট্টোপাধ‍্যায় বলেছেন, “আগে এখানকার রথের মেলায় কৃষি ভিত্তিক সরঞ্জাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে তার পরিমাণ কমে এসেছে। এর প্রধান কারণ কৃষি ভিত্তিক এলাকা বর্তমানে খনি শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তবে রানিগঞ্জের ঐতিহ‍্য মণ্ডিত রথযাত্রা উপলক্ষ‍্যে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। রথযাত্রার (Rath Yatra of Searsole Rajbari) দিনগুলিতে প্রতিদিনই দামোদরচন্দ্র জিউ-এর পূজা অর্চনার ব‍্যবস্থা থাকে। এই মুহূর্তে রথযাত্রা আয়োজন উপলক্ষ‍্যে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কয়লা কান্ডে এবার ইসিএল কর্তার জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। পরে, ওই ইসিএল কর্তা ও একজন সিভিল কনট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     ইসিএল কর্তাকে কেন গ্রেফতার? (CBI)

    কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠন হবে আগামী ৩ জুলাই। তার আগেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন ইসিএল কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহা। আর সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদব। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চার্জশিটে যে ৩৪ জনের নাম রয়েছে, তার বাইরে এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কয়লা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ইসিএল কর্তার যোগসূত্রের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সিভিল কনট্রাক্টর অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটে সাপ্লাই দিত বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    লালার থেকে টাকা নিতেন ইসিএল কর্তা!

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহাকে। ডাক পড়েছিল পেশায় সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। এরপর শুক্রবার ভোরে সিবিআই এসপি উমেশ কুমার ধৃতদের নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে যোগ থাকার কারণেই এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা-কাণ্ডের  (Coal Scam) অন্যতম অভিযুক্ত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত ইসিএল অফিসারের বিরুদ্ধে। তার তথ্য প্রমাণও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    Asansol: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) শিল্পপতির বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা দিয়েছে। রানিগঞ্জ শিশু বাগান মোড় সংলগ্ন এনএসবি রোডের পাশে শিল্পপতি চণ্ডী কেডিয়ার বাড়িতে শুক্রবার সকাল থেকেই চলছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের বিশেষ অভিযান। জানা গিয়েছে দুই গাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোর ৫টা থেকে শুরু করেছে এই অভিযান। তবে তল্লাশির কারণ না জানা গেলেও, আর্থিক দুর্নীতিকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বাহিনী দিয়ে ঘিরে চলছে তল্লাশি (Asansol)

    রানিগঞ্জে (Asansol) চণ্ডী কেডীয়ারের বেশ কয়েকটি লোহার ফ্যাক্টরি রয়েছে। এই রাজ্যের বাইরেও তাঁর রয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরি। উত্তরপ্রদেশের লক্ষনউতে রয়েছে একাধিক ব্যবসা। তবে কী কারণে এই শিল্পপতির বাড়িতে আয়করের হানা, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এখনও সেই রকম কিছু তথ্য ইডির আধিকারিকরা জানাননি। তবে বাড়ির বাইরে থাকা গাড়ির চালকরা জানিয়েছেন, তাঁরা কলকাতা থেকে ভোর বেলা এসে পৌঁছেছেন। এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারি আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ বাহিনীর জওয়ান। বাহিনী বাইরে থেকে ঘিরে রেখে ভিতরে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গেই কথা বলা যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তলব পেয়ে নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    দুর্নীতি তদন্তে সক্রিয় ইডি

    এই রাজ্যে রেশন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুরনিয়োগ দুর্নীতি সহ একাকধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা এবং সম্পত্তি উদ্ধার করেছে ইডি। ইতিমধ্যে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ক জেলে রয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আরও ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের বাড়িতে তাল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। গত লোকসভা ভোটের সময় প্রচারে এসে এই রাজ্যে চলা দুর্নীতির সম্পর্কে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক বার আক্রমণ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার এনডিএ সরকার গঠনের পর,দেশজুড়ে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের গতি দ্বিগুণ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মোদি। আগেও একাধিকবার আসানসোলে তাল্লাশি চালিয়েছে ইডি (Asansol) এই রাজ্যে তাই তৃণমূল নেতা, বিধায়ক এবং ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের বাড়িতে ফের তল্লাশি অভিজান শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    Asansol: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর আসানসোল (Asansol) শিল্পাঞ্চলে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরবাসীর। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে রবিবার দুপুরে একেবারে ভরা বাজারের মধ্যে সোনার দোকানে ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন শহরবাসী। রানাঘাট, পুরুলিয়ার পর রানিগঞ্জ। এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড।

    রানিগঞ্জে সেনকো গোল্ডে ডাকাতি! (Asansol)

    রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রায় ৯ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে হঠাৎ ঢুকে পড়ে রানিগঞ্জের (Asansol) নেতাজি সুভাষ বোস রোডের ওপর সেনকো গোল্ডের শোরুমে। বন্দুক দেখিয়ে দোকানের কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে লুটপাট চালাতে শুরু করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই রানিগঞ্জ থানা, শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। ডাকাতদের ধরতে পুলিশ কর্মীরা হানা দিতেই প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। একজন দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। তার সঙ্গীরা তাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সেখানে জড়ো হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ঘামে প্যাচপ্যাচ! জ্যৈষ্ঠের গরমে জেরবার জনজীবন, স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

    গুলি চালিয়ে ভয় দেখিয়ে গাড়ি ছিনতাই!

    আসানসোলের (Asansol) মহিশিলা চক্রবর্তী মোড়ে গুলি চালিয়ে চার চাকা গাড়ি ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার দুপুরে  এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় নয়না নন্দ দত্ত ও প্রবাল স্যান্যাল নামে দুজন জখম হন। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত নয়না নন্দ দত্ত বলেন, চারচাকা গাড়িতে করে পরিবার নিয়ে দুর্গাপুর থেকে আমরা অনুষ্ঠান বাড়িতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। আচমকা চারজন দুষ্কৃতী আমাদের গাড়ি থামিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। পরিবারের লোকজন রয়েছে বলে আমি আপত্তি জানালে আমাকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি চালায়। এরপরেই ওই চার দুষ্কৃতী আমাদের গাড়ি থেকে বের করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। প্রবাল স্যান্যাল নামে আরও এক ব্যক্তি বলেন, গুলির আওয়াজ শুনে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে আমার হাত ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    গুলি কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত গাড়ি, গ্রেফতার ১

    রানিগঞ্জে (Asansol) সোনার দোকানে ডাকাতি ও আসানসোল মহিশিলা এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা একই দলের সংঘটিত। এমনই অনুমান পুলিশের। ঘটনায় ছিনতাই করা গাড়ি সহ একজনকে গিরিডি থেকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় একথা জানান ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব  দাস। তিনি বলেন, “রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরে ওই দলটি আসানসোল থেকে একটি গাড়ি ছিনতাই করে পালায়। ঘটনায় পুলিশের একটি টিম পিছু করতে করতে গিরিডি পুলিশের সাহায্য নিয়ে একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা (Post Poll Violence) ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। শাসক দলের ২৯টি আসনে জয় ঘোষণার পর থেকেই অশান্তির খবর উঠে আসতে শুরু করেছে সর্বত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, সোনারপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, আসানসোলের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি ভাঙচুর, সম্পত্তি লুট, ঘরছাড়া, বোমাবাজি করার মতো একাধিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং ভোটাররা ব্যাপক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    আসানসোলে ভোটপরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সরিষাতলী গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল ১-এর যুব মোর্চার সভাপতি খোকন মহারাজ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার (Post Poll Violence) হয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত ১৫-১৬ জন গুন্ডা, শিবেন ঘাঁটির নেতৃত্বে এই বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হন। এরপর তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। এমনকী অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলা এবং বাচ্চারাও। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, যুব মোর্চার ট্রেজারার বাপি প্রধান এবং মাইনোরিটি মোর্চার জেলার ইনচার্জ আকবর হোসেন। অবশ্য বিজেপির দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন তৃণমূল আক্রমণ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আবার দুর্গাপুরে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট হওয়ায়, এজেন্টের বোনের কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    পাত্রসায়রে বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর (Post Poll Violence) করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের নারায়ণপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়কে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে এখানকার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তমালকান্তি গুইয়ের বাড়িতে ইট বৃষ্টি করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আক্রমণের কথা স্পষ্ট করেছেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বার বার আমাকে ফোনে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” আবার সোনামুখীর বিধায়ক বলেছেন, “সারা দেশে হিংসার ছবি নেই, কিন্তু এই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার হিংসা করছে।”

    কোতুলপুরে তৃণমূলের বোমাবাজি

    এক দিকে যেমন ভাঙচুর চলছে সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে প্রকাশ্যে বাড়ির সমানে বোমাবাজি (Post Poll Violence) করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপুর লোকসভার কোতুলপুরে বুধবার রাতে কোয়ালপাড়া বেড়ারপাড় এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির ছোট, বড়, বয়স্ক এবং মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়। তৃণমূল জয়ী হওয়ার খুশিতে একাধিক বিজেপি কর্মীর মাথায় বোমা ফাটানো হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিষ্ণুপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল কোনও রকম ভাবে এই সব অশান্তির (Post Poll Violence) মধ্যে নেই। আমাদের জয়কে ছোট করতে বিজেপি এই আচরণ করছে। সবটাই বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam Case: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    Coal Scam Case: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন বছর ধরে চলছে কয়লা পাচার মামলা (Coal Scam Case)। আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের নির্দেশ মতো ২০ মে মঙ্গলবার থেকেই মামলার ট্রায়াল শুরুর কথা ছিল। সেই মতো মঙ্গলবার ৪৩ জন অভিযুক্তকে তলব করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন। ফলে মামলায় চূড়ান্ত চার্জ গঠন হয়নি। জানা গিয়েছে আগামী ৩ জুলাই চার্জ গঠনের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন চার্জশিটে নাম থাকা সব অভিযুক্তকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।

    কয়লা পাচার মামলা (Coal Scam Case)

    এর আগে কয়লা পাচার মামলায় দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। দুটি চার্জশিটে মোট ৪৩ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে।  সেই ৪৩ জনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি-সহ ৩৯ জন এদিন আদালতে হাজির হলেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন। তাঁরা হলেন জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ খাড়গে ও বিনয় মিশ্র। এদের মধ্যে বিনয় ‘নিরুদ্দেশ’। প্রাথমিক অনুমান, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। 
    তবে এদিন অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডল এবং নারায়ণ খারকার অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারক৷ তাঁরা কোর্টে কেন অনুপস্থিত? এই প্রশ্ন বিচারক তাঁদের আইনজীবীদের করলে ওই আইনজীবীরা জানান, দুজনেই অসুস্থ৷ সেই কারণেই চার্জ গঠনের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷ যা শুনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক৷

    বিচারকের মন্তব্য

    এ প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, “এই দুজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল একটাই শর্তে ৷ যখনই আদালতে তলব করা হবে, তাঁদের উপস্থিত থাকতে হবে ৷ যে কোনও পরিস্থিতিতে তাঁরা আদালতের নির্দেশ পালনে বাধ্য ৷ এভাবে অসুস্থ রয়েছে বলে দুটো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিলে চলবে না ৷ এই দুজনের জন্য বাকিরা উপস্থিত থাকলেও চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না ৷ পরবর্তী শুনানির (Coal Scam Case) দিন অবশ্যই তাঁদের কোর্টে আসতে হবে ৷ অসুস্থ থাকলে প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে ৷” 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    বিচারকের নির্দেশ 

    অন্যদিকে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে আদালত চত্বরে এসে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক উমেশকুমার সিংহ। হাজির হন বেশ কয়েক জন অভিযুক্তের আইনজীবীও। সেসময় উমেশ কুমারের কাছে বিচারক জানতে চান, “এই তদন্ত প্রক্রিয়া আর কতদিন চলবে ?” বিচারকের এই প্রশ্নে ওই আইনজীবীদের কয়েক জন আদালতে দাবি করেন, কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam Case) তদন্ত সংক্রান্ত কোনও নথি হাতে পাননি তাঁরা। তার পরই বিচারক ওই আইনজীবীদের হাতে নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
    পাশাপাশি আগামী শুনানির (Coal Scam Case) দিন সমস্ত অভিযুক্তদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ যদি কেউ উপস্থিত না-থাকেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল মন্ত্রীর ভাইয়ের ওয়ার্ডে চলেছে দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুট, অভিযোগ বিজেপির

    Asansol: তৃণমূল মন্ত্রীর ভাইয়ের ওয়ার্ডে চলেছে দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুট, অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের চতুর্থ দফা নির্বাচনে ছাপ্পার অভিযোগে ফের একবার শোরগোল পড়ল আসানসোলে (Asansol)। এলাকায় ভোটদানে বাধা দিয়ে বলা হয় ভোটদান হয়ে গিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের চেলিডাঙা ব্যারট ক্লাব এলাকায়। এই এলাকার নেতা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। বিজেপির অভিযোগ তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় দেদার ছাপ্পা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে পিসাইডিং অফিসার নিজে বলেছেন ভোট হয়ে গিয়েছে। এলাকায় ভুয়ো ভোটার এনে এলাকায় ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বলেছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এলাকায় বিজেপি অশান্তি সৃষ্টি করেছে।

    অপর দিকে নদিয়া, মুর্শিদবাদ এবং বর্ধমানের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট লুট, বিরোধী এজেন্ট বসতে না দেওয়া, ছাপ্পা সহ একাধিক অভিযোগের কথা জানিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগের দিন কেতুগ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এই বুথে (Asansol) মৃত লোকের ভোট দেওয়া হয়েছে। এলাকার সাধারণ ভোটার সুরেশ প্রসাদ বলেছেন তিনি ভোট দিতে এসে শুনেছেন তাঁর ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের খবর দিলে আমরা এগিয়ে এসেছি এই বুথে। আমরা বলেছি টেন্ডার ভোট করাতে হবে। ইতিমধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, সেক্টর অফিসারকে জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা এলাকার (Asansol) তৃণমূলেরে যুব নেতা পিন্টু কর্মকার বলেছেন, “বিজেপি শান্তিপূর্ণ ভোটকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। বুথের মধ্যে ঢুকে ঝামেলা করছে তাই এই রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।” ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে উপস্থিত হয়। উল্লেখ্য এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন রাজ্যের তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। তাঁর নির্দেশেই এই ভোট লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথের সামনে থেকে তৃণমূলের বাহিনী বিজেপি বিধায়ককে তুমুল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথে বিজেপি পোলিং এজেন্ট রাহুল সাহানি’কে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেয় তৃণমূল। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই যান। তৃণমূল নেতা কর্মীরা ধাক্কা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন।  পুলিশের সামনে বিধায়কের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই বলেন, পুলিশের সামনে তৃণমূলের লোকজন আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এসব চলতে পারে না। আমরা সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানাব।

    বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ

    দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর  করার অভিযোগ ওঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীদের বক্তব্য, আমরা বুথের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী আমাদের ওপর চড়াও হয়। দুটি বাইক ভাঙচুর করে। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ব্যাপক উত্তেজনা।

    বুথে তৃণমূল নেতার দাপাদাপি! (Lok Sabha Election 2024)

     এদিন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন আসানসোল জামুরিয়া এলাকায় বহু বুথে বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়ায় বলে বিজেপির অভিযোগ। আসানসোল পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটির লালবাজার এলাকায় ৫৮ / ৫৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত দলবল নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কী করে বিমান দলবল নিয়ে সেখানে আসে? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি প্রতিবাদ করলে দু পক্ষের তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ।

    বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বাধা

    পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভারি বিলপাহাড়ি গ্রামে বিজেপির পোলিং এজেন্ট  শুভজিৎ দেওয়াসীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ সকাল থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে তৃণমূল কর্মীরা। শুভজিৎ বলেন, আমাকে তৃণমূলের লোকজন বুথে বসতে দেয়নি। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি ওই এলাকার ভোটার নয় বলেই পুলিশ হরিপুরের গাইঘাটা মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকে দেয। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তিন ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের চাপে আসানসোল ফিরে গেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, পুলিশ এবং প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পাণ্ডবেশ্বর জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। আমাদের এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। আর পুলিশ প্রশাসন আমাকে বাধা দিচ্ছে।  ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share