Tag: Ashwini vaishnaw

Ashwini vaishnaw

  • Bullet Train: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    Bullet Train: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র দুই বছরের। ২০২৬ সালেই দেশে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) প্রথম সেকশনের কাজ শেষ হবে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। বুধবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। রেলমন্ত্রী জানান, গুজরাটের বিলিমোরা এবং সুরাটের মধ্যে ৫০ কিলিমিটার রেল রুটে প্রথম বুলেট ট্রেন সেকশনটি গড়ে তোলা হবে। সেই কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৬ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে। 

    বুলেট ট্রেনের কথা

    রেলমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভায়ডাক্ট (পিলারের উপরে বসানো কংক্রিটের রেলপথ) এবং ২৩০ কিলোমিটার পিলার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিলিমোরা-সুরাট সেকশনটি মুম্বই-আমেদাবাদ রুটেরই অংশ। ইতিমধ্যেই গুজরাটের ভালসাদ, নভসারি, সুরাট, বরোদা এবং আনন্দ জেলায় বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১০ হাজার কোটি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫ হাজার কোটি করে দেবে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র সরকার। বাকি অর্থ ০.১ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দেবে জাপান।

    রেলের নানা নয়া পরিকল্পনা

    শুধু বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্প নয়, দেশের রেল পরিষেবাকে আরও উন্নতি করতে নতুন কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তাও এদিন জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে ট্রেনে দেশীয় কবচ প্রযুক্তি বসানোর কাজ আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্য়ু রুখতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ‘গজরাজ’ প্রযুক্তির কথাও জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন রেলমন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে রেলপথে সংযুক্ত করতে, আরও রেললাইন বসানো হবে। করোনার জেরে উদ্ভুত অতিমারি পরিস্থিতির আগে, দেশে এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৬৮। নতুন ট্রেন যুক্ত করায়, বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ১২৪ হয়েছে। শহরতলিতে ৫ হাজার ৬২৬ ট্রেনের পরিষেবা মিলত আগে, এখন তা বেড়ে ৫ হাজার ৭৭৪ হয়েছে এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যাও বেড়ে ২ হাজার ৭৯২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৫৬। ২০২২-‘২৩ সালে যেখানে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৬৪০ কোটি, ২০২৩-‘২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৫০ কোটি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Deepfake: ‘ডিপফেক’ নিয়ে তোলপাড় সমাজমাধ্যম, ছবি বিকৃতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Deepfake: ‘ডিপফেক’ নিয়ে তোলপাড় সমাজমাধ্যম, ছবি বিকৃতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ ও সারা তেন্ডুলকরের মধ্যে মিল কোথায়? এই প্রশ্নটা কাউকে করলে তিনি সহজেই উত্তর দিয়ে দেবেন। কারণ, সাম্প্রতিককালে এই তিনজনই খবরের শিরোনামে। নেপথ্যে ‘ডিপফেক’ (Deepfake)। এই তিন কন্যাই সমাজমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স পরিচালিত ‘ডিপফেক’ ভিডিও কারসাজির শিকার। এবার সমাজমাধ্যমে এই বিকৃতি রোধ করতে কঠোর পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। 

    শুরুটা হয়েছিল বলি অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানাকে দিয়ে। তার পর আরেক বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। বাদ যাননি ক্রিকেট আইকন সচিন তেন্ডুলকরের কন্যা সারাও। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে বলিউড অভিনেত্রী রশ্মিকার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওয় দেখা যায়, একটি স্বল্পবসন পরে তিনি লিফট থেকে বেরিয়ে আসছেন। পরে জানা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রযুক্তির মাধ্যমে (Deepfake) অন্য একজনের মুখের ওপর রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    নিজের ‘ডিপফেক’ ভিডিও দেখে ভীত রশ্মিকা

    রশ্মিকার এই ‘ডিপফেক’ (Deepfake) ভিডিও নিয়ে নেটপাড়ায় তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। নিজের ‘ডিপফেক’ দেখে নিজেই রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বলেন, “আমি খুব ব্যথিত এবং দুঃখিত। এই ঘটনা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। যাঁরা সব সময় ক্যামেরাতে কাজ করেন তাঁদের জন্য এই ধরণের ‘ডিপফেক’ ভিডিও অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। আমি আমার পরিবার, বন্ধু পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ, আমার মতো নারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত। যদি আমি স্কুল ছাত্রী হতাম তাহলে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা আরও মুশকিল হতো।”

    ‘ডিপফেক’-এর কবলে ক্যাটরিনা ও সচিন-কন্যা

    রশ্মিকার পাশে দাড়ান মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তিনি অবিলম্বে এই পন্থা বন্ধের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, যারা এটা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবিও তোলেন বলিউডের ‘শাহেনশা’। বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও ‘ডিপফেক’-এর (Deepfake) বিরুদ্ধে সরব হয়। শুধু রশ্মিকা নন, এর পর আরেক বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের ছবিও একইভাবে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে অবমাননাকর ও কুরুচিকর করা হয়। বাদ পড়েননি সারা তেন্ডুলকরও। সাম্প্রতিককালে, তাঁর এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ‘প্রিন্স’ শুভমান গিলের সম্পর্ক নিয়ে চারদিকে নানা গল্প ছড়িয়ে পড়ছে। সেই ফাঁকে ‘ডিপফেক’ কারবারিরা সারা এবং শুভমানের একটি ছবি প্রকাশ করে। পরে জানা যায়, ছবিতে শুভমান নয়, ছিল সারার ভাই তথা সচিন-পুত্র অর্জুন। তাঁর মুখের জায়গায় শুভমানের মুখ বসিয়ে সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    ‘ডিপফেক’-কে আইনত অপরাধ ঘোষণা কেন্দ্রের

    সমাজমাধ্যমের পাতায় বাড়তে থাকা সেলেবদের ছবি ও ভিডিও ঘিরে বিকৃতি ঘটানোর প্রবণতা রুখতে এবার আসরে নামল কেন্দ্র। ‘ডিপফেক’ বানানো এবং তা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত সামজিক মাধ্যমগুলিকে আইনি নোটিশ পাঠালো কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ডিপফেক ভিডিওর ব্যাপক বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকল সামজিক মাধ্যমগুলিকে ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যদি এই ভিডিওগুলিকে সামজিক মাধ্যমে আটকানো না যায়, তাহলে কেন্দ্রের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

    আইনি নোটিশে কী বলা হয়েছে?

    সামজিক মাধ্যমে পাঠানো কেন্দ্রের আইনি নোটিশে বলা হয়, “২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তির ৬৬ডি ধারায় অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি কম্পিউারে অন্য কোনও ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে সামজিক মাধ্যমে বিনিময় করে, তাহলে আইন অনুসারে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ৩ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে। সামজিক মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও নিয়ে কোনও প্রকার অভিযোগ এলে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছবি বা ভিডিওকে মুছে দিতে হবে।” সেই সঙ্গে নোটিশের মধ্যে এক্স, ফেসবুক, ট্যুইটারকে রশ্মিকা মন্দনার ‘ডিপফেক’ (Deepfake) ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামজিক মাধ্যমে গ্রাহকদেরকেও ফেক ভিডিও বিনিময় করার বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ৭টি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ বাড়ল রাজ্যে! রেলকে ধন্যবাদ জানালেন শুভেন্দু

    Indian Railway: ৭টি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ বাড়ল রাজ্যে! রেলকে ধন্যবাদ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দূরপাল্লার একাধিক ট্রেনের স্টপেজ দিল রেলমন্ত্রক। ট্রেনের নতুন স্টপেজ দেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাওড়া এবং শিয়ালদা থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের নতুন স্টপেজ দেওয়া হয়েছে একাধিক জেলায়। দীর্ঘদিন ধরে স্টপেজ দেওয়ার দাবি ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। রেলের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এই স্টেশনগুলিতে দূরপাল্লার ট্রেন থামলে অত্যন্ত উপকার হবে সাধারণ মানুষের। কারণ এই স্টেশনগুলির সংলগ্ন এলাকা থেকে যাঁদের ট্রেন ধরতে হয় তাঁদের অনেকটা পথ যেতে হয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের এবার অনেকটাই সুবিধা হবে। 

    কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ

    হাওড়া পুরুলিয়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে ঝন্টিপাহাড়ি স্টেশনে। শিয়ালদা বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে মালদা জেলার কুমেদপুর স্টেশনে। হাওড়া থেকে বারবিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেসে ঝাড়গ্রাম স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ডালখোলায় তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া থেকে হাতিয়া ক্রিয় যোগ এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে পুরুলিয়া জেলার সুসিয়া স্টেশনে। কলকাতা থেকে গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় স্টেশনে। এছাড়া দুমকা রাঁচি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হবে পুরুলিয়া জেলার পুন্ডাগ স্টেশনে।

     ট্রেনের তালিকা তুলে ধরে কোন স্টেশনে সেগুলি দাঁড়াবে সেকথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে ৭টি ট্রেনের স্টপেজ বাড়লো বাংলায়। শুভেন্দু ট্যুইটারে (অধুনা এক্স) লিখেছেন, “আমি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা বিভিন্ন সময়ে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার জন্য যে অনুরোধ করেছিলেন, সেটাকে তিনি মান্যতা দিয়েছেন। এর জেরে সাধারণ যাত্রীদের যথেষ্ট সুবিধা হবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Cabinet: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    Modi Cabinet: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ই-বাস পরিষেবার অধীনে ১০০টি শহরে ১০০০ নতুন বৈদ্যুতিন বাসের ঘোষণা করল কেন্দ্র। বুধবার ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ বা ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পেরও অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এই প্রকল্পের অধীনে, প্রথম কিস্তিতে ‘উদার শর্তে’ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সুদ দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ হারে।

    ই-বাস পরিষেবা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, গ্রিন মোবিলিটি বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী ই বাস পরিষেবার অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৫৬, ৬১৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্র প্রদান করবে ২০,০০০ কোটি।

    কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প? জানা গিয়েছে ১৬৯ শহরের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে ১০০টি শহরকে। সেই শহরগুলিতে এই পরিষেবা চালু হবে যেখানে ৩ লক্ষ বা তার বেশি জনবসতি। এছাড়াও, যে সব অঞ্চলে কোনও সংগঠিত বাস পরিষেবা নেই, সেই সমস্ত শহরকেও পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে তৈরি হবে ১০ হাজার ই-বাস। দূষণ কমাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিটি বাস পরিষেবায় ই-বাসের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফুটে উঠল ভারতের জাতীয় পতাকা! স্বাধীনতা দিবসে বুর্জ খলিফায় জ্বলল তেরঙা

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা স্কিম

    বুধবার (১৬ অগস্ট), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের অধীনে সরকার মৃৎশিল্প, কমার, নির্মাণ, টেলারিং এবং নৌকা নির্মাণ সহ ঐতিহ্যগত দক্ষতার প্রচার করবে। বিশ্বকর্মা যোজনায় উপকৃত হবে ৩০ লক্ষ কারিগর।

    এই প্রকল্পের আওতায় আসা শিল্পীরা ৫ শতাংশ সুদের হারে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারবেন। আর্থিক সাহায্য পাবেন আধুনিক সরঞ্জাম কেনার জন্যও। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে ১৩,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ব্যয়ের এই প্রকল্প চালু করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-বছরের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Largest Economy) পরিণত হতে চলেছে ভারত। শনিবার নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, আগামী ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। তিনি জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। আগামী দু-বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এবং আগামী ৬ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এই সংকল্প নিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে।

    বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে

    দেশবাসীকে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর আস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।” এদিন মোদি সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জাতীয় সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে উপরের দিকে উঠে এসেছে, তার ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান,  বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

    আরও পড়ুন: হিরোশিমা-সফরের স্মৃতিতে বিহ্বল! ‘মন কি বাত’-এ বীর সাভারকরকে স্মরণ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে সারাদেশে নতুন চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে বলেও জানান তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, “আগে দরিদ্রদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হতো। ২০১৪ সাল থেকে সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলি একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জনগণকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর মতে, বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে সারা বিশ্বে ভারত এখন একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ গন্তব্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSNL: এবার ৫জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল, কবে থেকে জানেন?

    BSNL: এবার ৫জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর ১ অক্টোবর ভারতে (India) চালু হয়েছিল ৫জি (5G) পরিষেবা। পরিষেবার সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। এই পরিষেবা চালু হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথম ১ লক্ষ ৫জি সাইট চালু হয়েছিল। ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিওর মতো বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। এই দুই সংস্থাই দেশের প্রায় প্রতিটি অংশে এই পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা ৫জি পরিষেবা দিতে পারলেও, পারেনি সরকারি সংস্থা বিএসএনএল (BSNL)। ৫জি তো দূর অস্ত, এখনও ৪জি পরিষেবাই চালু হয়নি।

    পিছিয়ে পড়েছিল বিএসএনএল (BSNL)

    প্রত্যাশিতভাবেই বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। তবে সরকারি সংস্থার দুর্দশার এই দিন ঘুঁচতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, বিএসএনএলের ২০০টি সাইটে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। আপাতত তিন মাস ধরে চলবে পরীক্ষা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি সাইটে চালু করা হবে এই পরিষেবা।

    কী জানালেন মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “বিএসএনএল যে গতিতে মোতায়েন করবে, তাতে আপনি অবাক হবেন। তিন মাস পরীক্ষার পর আমরা প্রতিদিন ২০০টি সাইটে কাজ করব। এই গতি আমরা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাব। বিএসএনএল নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে ৪জি হবে। এটি সেই মতোই কাজ করবে। কিন্তু খুব শীঘ্রই নভেম্বর-ডিসেম্বরের কাছাকাছি এটি ছোট সফ্টওয়্যার সমন্বয় সহ ৫জি হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি আপগ্রেডেবল। অল্প কিছু সফ্টওয়্যারের পরিবর্তন ঘটালেই নেটওয়ার্ক ৫জিতে পরিণত হয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই গোটা দেশে বিএসএনএল নেটওয়ার্ক চালু হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: সাবধান! চিনে ফের করোনার হানা, লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ

    প্রসঙ্গত, বিএসএনএলের (BSNL) প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স জিও ও ভারতী এয়ারটেল ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে গ্রাহকদের। সেই জায়গায় বিএসএনএল এখনও তাদের গ্রাহকদের দিচ্ছে ২জি কিংবা ৩জি পরিষেবা। সেই কারণে ক্রমেই গ্রাহক সংখ্যা নিত্যদিন কমছে। তাই আরও লোকসানে চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা। সেই কারণেই দ্রুত ৫জি চালু করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাত দিয়ে চাইছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tim Cook: দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী অ্যাপল! মোদির দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা টিম কুকের মুখে

    Tim Cook: দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী অ্যাপল! মোদির দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা টিম কুকের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই ও দিল্লিতে ভারতের প্রথম এবং দ্বিতীয় অ্যাপল স্টোরের উদ্বোধন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন টিম কুক (Tim Cook)। ‘প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং অ্যাপল সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও তফাৎ নেই বলে জানান অ্যাপল সিইও। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থা সারা ভারতে বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    কুকের ট্যুইট

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের মেধাসম্পদকে নিজেদের পণ্য ও পরিষেবার কাজে আরও বেশি করে ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও। মোদির সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়ে কুক ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। ভারতের ভবিষ্যতের অগ্রগতিতে যে প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সে বিষয়ে আপনার মত জানলাম। শিক্ষা, উৎপাদন শিল্প এমনকি পরিবেশ পর্যন্ত এর মধ্যে রয়েছে। দেশ (ভারতে) জুড়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    মোদির ট্যুইট

    টিম কুকের এই ট্যুইট বার্তাটি রিট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, টিম কুকের সঙ্গে দেখা করে তিনি আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আপনার সঙ্গে দেখা করে এক দারুণ আনন্দ পেলাম টিম কুক! বিভিন্ন বিষয়ে মতামত বিনিময় করতে পেরে এবং ভারতে প্রযুক্তি-চালিত পরিবর্তনগুলি আপনার সামনে তুলে ধরতে পেরে আমি আনন্দিত।”

    অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কুকের সাক্ষাত

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও দেখা করেন অ্যাপলের সিইও। এই সাক্ষাৎ সম্পর্কে ট্যুইট করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “অ্যাপলের সিইও টিম কুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ম্যানুফ্যাকচারিং, ইলেকট্রনিক্স রপ্তানি, অ্যাপ অর্থনীতি, দক্ষতা, স্থিতিশীলতা এবং বিশেষ করে মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি-সহ ভারতের সঙ্গে অ্যাপলের সম্পৃক্ততা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যৌথভাবে একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং শক্তিশালী সম্পর্কের নকশা তৈরি করছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: মেঘের ওপর দিয়ে ছুটবে বন্দে ভারত! এবার ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে সোজা কাশ্মীর?

    Vande Bharat Express: মেঘের ওপর দিয়ে ছুটবে বন্দে ভারত! এবার ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে সোজা কাশ্মীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শিগগিরি জম্মু এবং কাশ্মীরেও চালু হতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। আবার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা থেকে সরাসরি কাশ্মীর রেল পরিষেবায় জুড়ে যাবে। এমনই একজোড়া সুসংবাদ দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব(Ashwini Vaishnaw)।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    রবিবার জম্মু কাশ্মীরে চেনাব সেতুর পুজো করেন রেলমন্ত্রী। চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই ব্রিজ চালু হয়ে যাওয়ার কথা। তারপরেই বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতু চেনাব রেলব্রিজের ওপর দিয়েই কাশ্মীর উপত্যকার বুক চিরে হাওয়ার বেগে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কার্যত মেঘের ওপর দিয়ে ছুটবে বন্দে ভারত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, অপেক্ষা শুধুই উধমপুর-শ্রীনগর-বারমুল্লা রেল সংযোগের কাজ শেষ হওয়ার। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে তাতে অনুমান চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

    রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ বছরেই কলকাতা থেকে কাশ্মীর সরাসরি রেল মানচিত্রে যুক্ত হবে। অন্যদিকে জানা গেছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) ট্রেনটির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে বডগামে। উধমপুর-শ্রীনগর-বারমুল্লা রেল প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত হবে কাশ্মীর উপত্যকা। এই প্রকল্পের অধীনেই ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিনিময়ে তৈরি হয়েছে চেনাব রেলব্রিজ, তা ভারত তো বটেই, সারা পৃথিবীর মধ্যে উচ্চতম রেল সেতু। পাহাড়ের খাঁজে ধনুকাকৃতি এই ব্রিজটি তৈরি করা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই প্রকল্পের কাজ ২০০৪ সালেই অনুমোদন পেলেও চূড়ান্ত খারাপ আবহাওয়ার কারণে কাজ শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে গেছে। অবশেষে গত বছরের ১৩ অগাস্ট সেটির উদ্বোধন করা হয়।

    শনিবার চেনাব সেতু পরিদর্শন করে দেখেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর আগে তীব্র গতির বাতাস, চূড়ান্ত কম-বেশি তাপমাত্রা, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে সহনশীলতা এবং নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেতুটির সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে এখনও মোটর ট্রলি এবং বোলেরো কাস্টমাইজড রেল অপারেশন পরীক্ষা বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বিশ্বের এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এই রেল ব্রিজে মোট ১৭ টি পিলার রয়েছে। এই সেতু তৈরি করতে মোট ১৪৮৪ কোটি টাকার ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে। এখন শুধু এই রেললাইন উদ্বোধনের অপেক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে সেবক-রংপো রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line)৷ এবারে রেলপথেই সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম। নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্যোগে সেবক-রংপো রেললাইনের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এবার সেই কাজ পরিদর্শনে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার তিনি সরাসরি সেবকে যান এবং সেখানে জংশন রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি কতদূর হল, তা খতিয়ে দেখেন। সেবকের ওই জংশন স্টেশনকেই সিকিমের গেটওয়ে করার ব্যাপারেও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পাশাপাশি এই রেলপথে জুড়তে চলেছে ইন্দো-চিন নাথুলা সীমান্ত। রবিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সেটাই স্পষ্ট করেছেন দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    সেবক-রংপো রেললাইন পরিদর্শনে অশ্বিনী বৈষ্ণব

    সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য রেলে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন।” মন্ত্রী জানান, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল সুড়ঙ্গ (Sevoke-Rangpo Rail Line) প্রায় তৈরি। সেখান থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করবে রেল দফতর। 

    বাংলার সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ রেলপথে

    বর্তমানে সরাসরি সিকিম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ৩১এ জাতীয় সড়ক দিয়েই বাংলার সঙ্গে সিকিমের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু, বর্ষার সময় এই জাতীয় সড়কের বেহাল দশা হয়। ফলে পর্যটক থেকে স্থানীয়দের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই বাংলা-সিকিমের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line) চালু হলে ইতিহাসে প্রথম সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, ২০২৪-এর শুরুতেই সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই এই রেলপথ রেল মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, মোট ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত মোট ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।

    রেলপথেই যাওয়া যাবে নাথুলায়!

    এই রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি গ্যাংটকের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করা যাবে, তেমনই ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পাসেও পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে সহজেই সেনাদের কাছে রসদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, “দেশের সামরিক সুরক্ষার স্বার্থে নাথুলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও আগে উন্নত করা জরুরি ছিল৷ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সেটা হতে চলেছে৷ নাথুলা পর্যন্ত এই রেলপথ যুক্ত হলে সেনাবাহিনীর রসদ সংগ্রহে অত্যন্ত সুবিধা হবে।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রেলমন্ত্রীর

    একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রেলমন্ত্রী বলেন, “বাংলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে মোদিজি বিপুল বরাদ্দ করেছেন৷ কিন্তু বাংলার আইন শৃঙ্খার সমস্যা, কোথাও জবর দখল- এই সব কারণে আটকে রয়েছে রেলের বহু প্রকল্পের কাজ৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা (Black Money) উদ্ধার করেছে। সোমবার এমনই দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। এর পরেই তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। ক্রোক করা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি মূল্যের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি। অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, মোদি সরকারের নেতৃত্বে কল্যাণমূলক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্য টাকার পুরোটাই পাচ্ছেন দেশের দরিদ্র মানুষরা। ডিজিটাল অর্থনীতির সাহায্যে বিভিন্ন স্তরে রোধ করা গিয়েছে দুর্নীতি। কংগ্রেস জমানার কয়লা, স্পেকট্রামের মতো দুর্নীতির পথও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

    রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গও…

    এদিন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গও টানেন এই বিজেপি নেতা। নাম না করে নিশানা করেন কংগ্রেসকে। বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন, দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য বরাদ্দ এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা তাঁদের কাছে পৌঁছায়। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আর এখন প্রকল্পের একশো শতাংশ অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন। এর ফলে আমজনতার সঞ্চয় বাড়ছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন ৮৫ শতাংশ সরকারি প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু বর্তমানে ২৬ লাখ কোটি টাকা সরাসরি আমজনতার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। সঞ্চয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৫ কোটি টাকা। জনধন অ্যাকাউন্টের মতো প্রকল্পে আমজনতার সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ চাকরির আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রধানমন্ত্রী দেশে সুশাসন মডেল চালু করেছেন বলে দাবি তাঁর। অশ্বিনী (Ashwini Vaishnaw) বলেন, শর্টকাট রাজনীতির দিকে না গিয়ে সুশাসনের পথে দেশকে নিয়ে যেতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই চলছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে সুশাসনের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম পথ হল ডিজিটাল লেনদেন। তাঁর দাবি, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেকট্রাম নিলামে পুরানো দুর্নীতির মুখে কেন্দ্র লাভ করেছে ৪.৫ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share