Tag: ASI

ASI

  • ASI: বেঙ্গালুরুর কাছে মিলল চোল যুগের তামিল শিলালিপি

    ASI: বেঙ্গালুরুর কাছে মিলল চোল যুগের তামিল শিলালিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর সোমেশ্বর মন্দিরের কাছে চোল যুগের তামিল লিপি খোদাই করা পাথর মিলল। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) এর এপিগ্রাফি ডিভিশন বেঙ্গালুরুর কাম্মাসন্দ্র এলাকায় সোমেশ্বর মন্দিরের কাছাকাছি একটি কৃষিজমিতে খনন করে ওই লিপি উদ্ধার করেছে। এই প্রস্তর খণ্ড পাওয়ার পরই ওই জমিতে আরও খনন কাজ চালাতে থাকে এএসআই। ওই প্রস্তরখণ্ডের ভাঙা অংশটির খোঁজ চলছে। এর ভাঙা অংশটি পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছে এএসআই।

    কবে করা লিপি

    এএসআই’র এপিগ্রাফি বিভাগের পরিচালক মুনিরত্নম রেডি জানিয়েছেন যে, একটি স্থানীয় বাসিন্দা এই খোদাইটি সম্পর্কে এএসআই-কে জানায়। এর ফলে এই লিপি আবিষ্কৃত হয়। তামিল লিপি খোদাই করা ওই প্রস্তর খণ্ডটি, আংশিকভাবে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ছিল। মুনিরত্নম বলেন, “আমরা শুধুমাত্র খোদাইয়ের এক পাশের বিস্তারিত দেখতে পেয়েছি, কারণ অন্য পাশটি এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে মনে হচ্ছে এই খোদাইটি তামিল ভাষায় লেখা, যা চোলা যুগের ১১শ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছে। এটি সোমেশ্বর মন্দিরে পুজা সম্পাদন করার জন্য ১২ কাঁডাগাম (ভূমির একক পরিমাণ) দান করার ঘটনা বর্ণনা করে।”

    মুনিরত্নম আরও বলেন, এএসআই এর রেকর্ডে দেখা গিয়েছে, কাম্মাসন্দ্র এলাকার আশেপাশের এলাকা থেকে ১৯৪৬ সালে কয়েকটি তামিল খোদাই উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই খোদাইগুলোও চোল যুগের এবং রাজা রাজা চোলের সময়ে লেখা। সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া এই লিপির অন্য পাশের বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে এএসআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: সম্ভলে ১৫০ বছরের পুরানো কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে এএসআই

    Sambhal: সম্ভলে ১৫০ বছরের পুরানো কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) ৪৬ বছর পর শিব-হনুমান মন্দির পুনরায় খোলার পরে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) বিভাগের খনন কাজের ফলে চান্দৌসি এলাকায় একটি কূপ আবিষ্কার হয়েছে। এই কূপটি অতি প্রাচীন বলে মনে করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানে ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ চুরি হওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালে হিন্দু মন্দির এবং কূপের সন্ধান মেলে।

    মার্বেল ও ইট দিয়ে তৈরি তল (Sambhal)

    সম্ভল (Sambhal) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র পেনসিয়া বলেন, “কূপটি প্রায় ৪০০ বর্গ মিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি কক্ষ রয়েছে। সেই সঙ্গে স্থাপনাটিতে মার্বেল দিয়ে তৈরি কয়েক তলা নির্মাণ করা অবস্থায় রয়েছে। সমীক্ষায় এটিকে ‘আহ-বাওলি তালাব’-এর নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে। বলা হয় যে এই বাওলিটি বিলারির রাজার পিতামহের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। মার্বেল এবং উপরের তলা ইট দিয়ে তৈরি হয়েছে কূপটি। বিষয়টি সরকারি নজরে আনা হয়েছে এবং পুরো কাঠামোটি উন্মোচনের (ASI) পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    ১৫০ বছরের পুরাতন কূপ

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র আরও বলেছেন, “কূপের কাঠামোটি সম্পূর্ণ কাদায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে, তাই পুরনিগমের কর্মীরা উপরের মাটি অপসারণের কাজ করছে। বর্তমানে মাত্র ২১০ বর্গ মিটার বাইরে রয়েছে এবং বাকি অংশ দখল করা হয়েছে। দ্রুত এলাকায় অবৈধ দখল অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই কূপের কাঠামোটি আনুমানিক ১৫০ বছরেরও বেশি পুরানো হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”

    পুরনিগমের (Sambhal) নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সোনকার বলেছেন, “এখানে আগে হিন্দুদের বাসস্থান ছিল। মাটির নীচে একটি বড় কূপ রয়েছে। খননের কাজ চলছে। আমরা দ্রুত সেটি উদ্ধার করব। এটি উদ্ধার হলে আরও নানা তথ্য মিলবে। ” জেলার অন্য আর এক জায়গায় এএসআই পাঁচটি মন্দির এবং ১৯টি কূপের সমীক্ষার (ASI) কাজও করছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)-এর একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তাদের ২৫০টি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে। এই রিপোর্টকে যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে পেশ করতে চাইছে দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকারি সম্পত্তি কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) সম্পত্তি হল? বিজেপির অবশ্য দাবি, দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের নামে প্রচুর সম্পত্তি দখলের বড়সড় চক্রান্ত চলছে। এটা পূর্বতন কংগ্রেসের শাসনেই বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। তাই সময়ে এসেছে আইন পরিবর্তনের। উল্লেখ্য, সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ এখন পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এই বিলের পাশ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    সাচার কিমিটি সুপারিশ করেছিল (Waqf Properties)

    জানা গিয়েছে, এএসআই (ASI)-এর পক্ষ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যেগুলি ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সরকার তৈরি করেছিল। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামজিক এবং শিক্ষাগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে প্রাচীন স্মৃতি স্তম্ভগুলিকে নথিভুক্ত করা হয় ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Properties)। রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন, এটা ইসলামি ল্যান্ড জিহাদের একটা বড় মাধ্যম।

    দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান ওয়াকফের দখলে

    তালিকায় দেখা গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) দখলে থাকা ১৭২টি জায়গার মধ্যে দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানো রয়েছে। তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলির মধ্য়ে রয়েছে— ফিরোজশাহ কোটলার জামা মসজিদ, আরকে পুরমের ছোটি গুমতি মাকবারা, হাউজ খাস মসজিদ এবং ইদগাহ। এই রকম আরও অনেক স্মৃতিসৌধ বা স্তম্ভগুলি দেশজুড়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের যৌথ সংসদীয় কমিটির সমীক্ষায় ওয়াকফ বোর্ডের মোট ১২০টি জায়গার নাম পাওয়া গিয়েছে যেগুলি সরাসরি এএসআই-এর অধীনে এবং সংরক্ষণে থাকার কথা। এখন ১৯৫৮ সালের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি স্তম্ভ আইন (ASI) এবং ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট বোর্ডকে আইন অনুযায়ী দুই পক্ষের অধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা একান্ত মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তাই দ্রুত সংসদে ওয়াকফ বিলকে সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে? ১৮৭৫ সালের এএসআই (ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ) এবং বাবরনামা কি বলছে? উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। বাবরি মসজিদ থেকে জ্ঞানবাপি, মথুরার শাহি ইদগাহ্ থেকে বাংলার আদিনা মসজিদ, সবক্ষেত্রে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের নানা দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের পাতায়। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) হিন্দু মন্দির (Vishnu Temple) ছিল বলে মামলা দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে সেখানে জরিপের নির্দেশ দেয় আদালত।  রবিবার এএসআই-এর পক্ষ থেকে মসজিত জরিপের কাজ করতে গেলে স্থানীয় উগ্র মুসলিম জনতা ব্যাপকভাবে পাথর-ইট বর্ষণ করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এখন যে মসজিদ নিয়ে বিবাদ, তার সম্পর্কে বিস্তৃত রিপোর্টে কি ধরনের তথ্য উঠে এসেছে শুনলে চমকে যাবেন।

    সম্ভল কীভাবে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভূমি (Jama Masjid Sambhal)?

    ভগবান কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম এবং শেষ অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, কল্কি কলিযুগ শেষ করে সত্যযুগ শুরু করতে সম্ভলে আবির্ভূত হবেন। বিভিন্ন যুগে সম্ভলের বিভিন্ন নাম ছিল। একে সত্যযুগে সম্ভলেশ্বর, ত্রেতাযুগে মহাদগিরি, দ্বাপর যুগে পিংলা এবং কলিযুগে সম্ভল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্থানেই বিষ্ণুর মন্দির নির্মাণ হয়। পরে মুসলমান শাসনে মন্দির ভেঙে মসজিদ (Jama-Masjid-Sambhal) নির্মাণ হয়।

    মসজিদের স্তম্ভ হিন্দু মন্দিরের

    ১৮৭৫ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ জামা মসজিদের (Jama Masjid Sambhal) আসল তথ্য তুলে ধরেছিল। ‘ট্র্যাভেলস ইন দ্য সেন্ট্রাল দোয়াব অ্যান্ড গোরখপুর ১৮৭৪-৭৫ এবং ১৮৭৫-৭৬’-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মসজিদের ভিতরে ও বাইরে স্তম্ভগুলি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের। সেগুলি প্লাস্টার দিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করা হয়েছিল। মসজিদের স্তম্ভগুলির একটি থেকে প্লাস্টার সরানো হলে প্রাচীন লাল রঙের হিন্দু মন্দিরের নকশা বেরিয়ে আসবে। স্তম্ভের নকশা হিন্দু স্মৃতি চিহ্নবহ। মসজিদের গম্বুজ হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে এমন অনেক নিদর্শন রয়েছে যাতে স্পষ্ট এটি এককালে প্রাচীন হিন্দু মন্দির ছিল।”

    এই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তৎকালীন কর্তা এসিএল কার্লাইল। তিনি স্পষ্ট করে আরও বলেন, “সম্ভলের প্রধান ভবনটি হল জামা মসজিদ, যা হিন্দুরা মূলত হরি মন্দির (Vishnu Temple) বলে দাবি করে। এটি একটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ বিশিষ্ট ২০ ফুট বর্গাকার কক্ষ নিয়ে গঠিত, যার দুটি ডানা অসম দৈর্ঘ্যের। উত্তর দিকের একটি অংশ ৫০ ফুট ৬ ইঞ্চি, যখন দক্ষিণ দিকের অংশ মাত্র ৩৮ ফুট ১.৫ ইঞ্চি। উভয় অংশে তিনটি খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে। যার সবকটিই বিভিন্ন প্রস্থের, ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত পরিবর্তিত।” উল্লেখ্য সম্প্রতি স্থানীয় আদালত মসজিদ সমীক্ষা কাজের নির্দেশ দিয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হবে আগামী ২৯ নভেম্বর।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) সম্পর্কে হিন্দু পক্ষের দাবি হল, এই নির্মাণ আদতে হিন্দু দেবতা হরিহরের। এএসআই সমীক্ষা করে জানিয়েছে, মসজিদ আদতে মন্দির ছিল। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় এএসআই সার্ভে করে ১৮৭৫ সালে মসজিদ থেকে পুরাতন পুঁথির সন্ধান পেয়েছে, যা হিন্দু সংস্কৃতির আরও বড় প্রমাণ। একই ভাবে মসজিদের একটি শিলালিপি থেকে জানা গিয়েছে, ৯৩৩ হিজরিতে মসজিদ নির্মাণ করেছিল মীর হিন্দু বেগ। মীর ছিল বাবরের দরবারের লোক। এক হিন্দু মন্দিরকে মসজিদে পরিণত করে এই মুসলমান সেনা।

    বাবর নামাতে উল্লেখ

    হিন্দু পক্ষের তরফে বিবাদের আবেদনকারী হরিশঙ্কর জৈন বাবরনামার উল্লেখ করে বলেন, “এই বাবরনামা বাবর স্বয়ং লিখেছেন। ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ অ্যানেট বেভারিজ সেটি নিজে অনুবাদ করেছেন। পুস্তকের ৬৮৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বাবরের নির্দেশ মীর হিন্দু বেগ সম্ভলের হিন্দু মন্দিরকে জামা মসজিদে (Jama Masjid Sambhal) রূপান্তর করেছিল। প্রাপ্ত শিলালিপির সঙ্গে এই তথ্য মিলে গিয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে মীর হিন্দু বেগ ৯৩৩ হিজরিতে এই মসজিদ নির্মাণ করেছে।

    মামলার সূত্রপাত

    সম্ভলের জেলা আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় প্রথমে। পিটিশনে বলা হয়েছে সম্ভলে অবস্থিত জামা মসজিদটি (Jama Masjid Sambhal) শতাব্দী প্রাচীন শ্রী হরিহর মন্দিরের (Vishnu Temple) উপর নির্মিত হয়েছে। এটি কার্যত ভগবান কল্কিকে উৎসর্গ করা হয়েছিল এবং মুসলমান শাসক বাবর তা ধ্বংস করে দিয়েছিল। আবেদনকারীরা বলেছেন, স্থানটি হিন্দুদের জন্য ধর্মীয় তাৎপর্য রাখে এবং মুঘল আমলে জোর করে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের বাবা, হরি শঙ্কর জৈন, নয়ডার পার্থ যাদব এবং অন্যান্য আবেদনকারীরা মামলা দায়ের করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত পুরীর বিখ্যাত কোনার্ক সূর্য মন্দিরের (Konark Sun Temple) গর্ভগৃহে ভরে যাওয়া বালি সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেই কাজের কতটা অগ্রগতি হল, তার মূল্যায়ন করতে মন্দির পরিদর্শন করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-র ছয় সদস্যের একটি দল। সংস্থার অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মার নেতৃত্বে এই দলটি (ASI) বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে গণ্য এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করেছে। মন্দিরের স্থাপত্যে গর্ত দেখা দিলে এক সময় বালি দিয়ে তা ভরাট করা হয়েছিল। এখন তা সরানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অবশ্য, বালি সরিয়ে প্রকট হয়ে পড়া সেই গর্তের স্থানগুলো নতুন পদ্ধতিতে মেরামত করা হবে।

    ইংরেজ আমলে অবক্ষয় প্রতিরোধে বালি ভরাট (Konark Sun Temple)

    এএসআই (ASI)-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মা বলেন, ‘‘এই মন্দির ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ এবং আমরা সময়ে সময়ে পরিদর্শন ও সমীক্ষা পরিচালনা করে থাকি।’’ জানা গিয়েছে, ইংরেজ আমলেও মন্দিরের (Konark Sun Temple) অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ব্রিটিশরা। বিভিন্ন সময়ে স্থাপত্যে গর্ত সৃষ্টি হলে তা ঠিকঠাক করা হতো। এই বিশাল স্থাপত্যের দ্বারমুখ  স্থানটিকে বালি দিয়ে ভরাট করার কাজ করেছিলেন তাঁরা। এবার প্রায় একশো বছরের পরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই), স্থাপত্যের চারপাশে পুনরায় কাজ করা শুরু করেছে। মন্দিরের জগমোহন অর্থাৎ দ্বারমুখ-এর স্থায়িত্ব এবং বালির বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে (ASI)। বালির স্তর ১৫ ফুট বসে গিয়েছে। যার জেরে একটি বড় গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে।”

    লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপি করা হবে

    ১৯০৩ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেএ বোর্ডিলনের নির্দেশে ৭০ ফুট উঁচু জগমোহন বা দ্বারমুখ বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। এএসআই (পুরী সার্কেল) এর সুপারিনটেনডিং প্রত্নতাত্ত্বিক, দিবাশাদ গডনায়েক বলেন, “মন্দিরের (Konark Sun Temple) সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় বহু-মুখী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সবটাই মন্দিরের সংরক্ষণ এবং সমীক্ষা-মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন প্রাথমিকভাবে, কাঠামোগত অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করার জন্য মন্দিরের দেওয়ালে একটি ছোট গর্ত করা হবে (ASI)। এরপর তাঁকে অনুসরণ করে, লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপির মতো উন্নত কৌশলগুলি ব্যবহার করা হবে।”

    বালি ভরাট প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থির হয়েছে

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত “সূর্য মন্দিরের সংরক্ষণ” বিষয়ক একটি জাতীয় সম্মেলনের সময়, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তকমা অর্জন করেছিল এই মন্দির। তবে এই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তিনিই ১৯০৩ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা মন্দিরের জগমোহন থেকে ভরাট করা বালি সারানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)-এর নেতৃত্বে এন্ডোস্কোপি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত ক্ষতি প্রকাশের পর কোনার্ক মন্দিরের (Konark Sun Temple) জগমোহন থেকে বালি সারিয়ে ফেলা অপরিহার্য বলে মনে করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাথায় একটি বড় গর্ত  সৃষ্টি হয়েছে। তাই বালি সরিয়ে আবার বালি দিয়ে ভরাট করা হবে (ASI)। এই কাজ হবে প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থাপত্যে জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: ১৮ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    Jagannath Temple: ১৮ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১৮ তারিখ ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সমীক্ষা চালাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্ন ভাণ্ডারে। এ বিষয়ে অনুমোদনও দিয়েছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। প্রসঙ্গত জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর পুরীর মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে এই সমীক্ষা চলার কারণে সেদিন সাময়িকভাবে ভক্তদের জগন্নাথ দর্শন স্থগিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    বেলা ১টা থেকে বন্ধ থাকবে জগন্নাথ দর্শন (Jagannath Temple)

    জগন্নাথ (Jagannath Temple) মন্দির কমিটির প্রধান অরবিন্দ পাধি সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, এএসআই (ASI) কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে একটি সমীক্ষার বিষয়ে জানিয়েছে যা চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর। এই কাজের জন্য জগন্নাথ মন্দির বন্ধ থাকবে ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১টা থেকে। এই সময়ই রত্ন ভাণ্ডারে প্রাথমিক সমীক্ষা চালাবে এএসআই কর্তৃপক্ষ। দ্বারপিঠ নীতি রাত দুটোর সময়তেই সম্পন্ন হবে। ভোর তিনটেতে মঙ্গল আরতিও চলবে। শুধুমাত্র বেলা ১ থেকে দর্শন বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এএসআই সমীক্ষার কাজে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

    জুলাই মাসে খোলা হয় রত্ন ভাণ্ডার (Jagannath Temple)

    প্রসঙ্গত গত জুলাই মাসেই ৪৬ বছর পরে খোলা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। রাজ্য সরকারের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপিকে অনুসরণ করেই জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়। ওড়িশার বিজেপি সরকার ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে থাকা রত্ন ভাণ্ডার খোলার অনুমোদন আগেই দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, পুরীর রত্নভাণ্ডার নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে নানা মিথ। জানা যায়, ১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরীর রাজা গজপতি রামচন্দ্র দেবের তৈরি করা একটি তালিকা অনুসারে— জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার সোনার মুকুট সহ ১৫০টি সোনার অলঙ্কার সহ ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে এই ঘরে। সোনার অলঙ্কারগুলির মোট ওজন নাকি ১৫ কেজিরও বেশি। রত্ন ভাণ্ডার খোলার পরে এবার তা নিয়ে সমীক্ষা চালাবে এএসআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হয়ে চলা পুরাতত্ত্ব খনন প্রকল্পগুলির কিছুটা অংশ রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (এএসআই)। আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্পগুলির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এএসআই-এর কর্মী ও সম্পদের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

    কীভাবে চলবে কাজ

    এই নয়া উদ্যোগের ফলে, বড় প্রকল্পগুলি সরাসরি এএসআই পরিচালনা করবে। কিন্তু ছোট ও নির্দিষ্ট সাইটের খননকার্য পরিচালনার জন্য রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়া হবে। যদিও প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধান এএসআই-ই করবে, এবং এএসআই-এর নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রকল্পগুলির জন্য পুরো খরচও এএসআই বহন করবে। এএসআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এএসআই ভারতের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান ও সংরক্ষণ করতে চায়।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ২০২২-২৩ সালে এএসআই ৩১টি খনন স্থানের অনুমোদন দিয়েছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানার রাখিগড়ি, দিল্লির পুরানা কিলা, এবং গোয়ার সেন্ট অগাস্টিন চার্চ। তবে কর্মী ও অর্থের অভাবে অনেক প্রকল্প এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। যদিও কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা পায় এএসআই, তার অল্প অংশই খনন কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়। অধিকাংশ অর্থ অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, ফলে খনন কার্যক্রমের বাজেট অপূর্ণ থেকে যায়। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এএসআই রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    কোথায় কোথায় খনন কার্য

    ভবিষ্যতে গুজরাটের দ্বারকা এবং তামিলনাড়ুর কাবেরী অববাহিকার মতো পুরাণে উল্লেখিত ডুবে যাওয়া শহরগুলিতে খনন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশার উপকূলে জলতাত্ত্বিক গবেষণা পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে ভারতের সমুদ্রের ইতিহাসও আবিষ্কৃত হবে। এই বছর, এএসআই খনন প্রকল্পগুলিতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে, যা আগামী বছরে ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে খনন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্য রয়েছে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রত্নতাত্ত্বিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ASI: মহাভারতের সঙ্গে রয়েছে যোগসূত্র? দিল্লির পুরনো কেল্লায় সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    ASI: মহাভারতের সঙ্গে রয়েছে যোগসূত্র? দিল্লির পুরনো কেল্লায় সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাভারতে পাণ্ডবদের রাজধানী বলে পরিচিত ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ। সেখানেই নতুন কিছু আবিষ্কার করার জন্য এবার সমীক্ষা চালাবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দ্রপ্রস্থের পুরনো কেল্লাতে এই সমীক্ষা চালানো হবে। প্রসঙ্গত ওই পুরনো কেল্লা নিয়ে সাধারণ মানুষেরও কৌতূহলেরও শেষ নেই। বলতে গেলে দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় স্থান হল পুরনো কেল্লা (Purana Qila)। অনেকেই মনে করেন, এই স্থানের সঙ্গেই যোগসূত্র রয়েছে মহাভারতের।

    অক্টোবর থেকেই শুরু হবে সমীক্ষা (ASI) 

    আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই সমীক্ষা শুরু হবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই। জানা যাচ্ছে, ইন্দ্রপ্রস্থে অবস্থিত কুন্তী মন্দিরের আশেপাশেই সমীক্ষা চালাবে এএসআই। জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও ব্যবহার করবে এএসআই এবং সে ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করতে লেজার স্ক্যানিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, এতেই নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাঠামো ও প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলিকে সনাক্ত করা সহজ হবে। তৈরি করা যাবে মানচিত্র। ২০২২ সালে দিল্লির পুরনো কেল্লার খননকার্যে মৌর্য যুগের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তবে সে সময় ইন্দ্রপ্রস্থ বা মহাভারতের কোনও কিছু পাওয়া যায়নি।

    দেশের মোট ১৭টি স্থানে সমীক্ষা চালাবে এএসআই (ASI)

    প্রতিবেদনে শুরুতেই বলা হয়েছে দিল্লির একমাত্র স্থান হল পুরনো কেল্লা (Purana Qila) যা সরাসরি মহাভারতের বর্ণনার সঙ্গে যুক্ত। এখানে ইতিমধ্যেই প্রাক মৌর্য, মৌর্য, শুঙ্গ কুষাণ, গুপ্ত, রাজপুত, সুলতানি এবং মুঘল যুগের বর্ণনা পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) ইতিমধ্যে ভারতের ১৭টি স্থানের সমীক্ষা চালানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই জায়গাগুলি — দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। দিল্লির পুরনো কেল্লা ছাড়াও হরিয়ানার রাখিগড়িতেও চলবে খনন কাজ। প্রসঙ্গত, হরিয়ানার এই স্থান সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhojshala Survey Report: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    Bhojshala Survey Report: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ভোজশালা মন্দিরের ওপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) তাদের রিপোর্ট জমা করল সে রাজ্যের হাইকোর্টে। সোমবারই এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে সমীক্ষা চলাকালীন ভোজশালাতে (Bhojshala Survey Report) হিন্দু দেবদেবীদের মোট ৩৭টি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগামী ২২ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভোজশালার মামলার শুনানি শুরু করতে পারে। 

    এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর অলোক ত্রিপাঠী গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন (Bhojshala Survey Report)

    প্রসঙ্গত, ভোজশালা (Bhojshala Survey Report) হল একাদশ শতকের একটি স্থাপত্য। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের চলতি বছরের ১১ মার্চ নির্দেশ দেয় এই স্থাপত্যের সমীক্ষা শুরু করে করার জন্য। অভিযোগ ওঠে, বাগদেবী সরস্বতীর মন্দির ভেঙেই তার ওপরে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এএসআইয়ের (ASI) তরফে চলতি বছরের ২২ মার্চ শুরু করা হয়েছিল সমীক্ষা। ২৭ জুন পর্যন্ত সমীক্ষা চলে। অর্থাৎ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি ইত্যাদির মাধ্যমে সমীক্ষা চালায় এএসআই। সমীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল রাউন্ড পেনিটরেটিং রাডার বা জিপিআর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস। এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর অলোক ত্রিপাঠী গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন।

    সমীক্ষা চলাকালীন ১৭০০-এর বেশি ধ্বংসাবশেষ সেখান থেকে মিলেছে

    জানা গিয়েছে, সমীক্ষা চলাকালীন ১৭০০-এর বেশি ধ্বংসাবশেষ সেখান থেকে মিলেছে। যার মধ্যে দেবী সরস্বতীর একটি (Bhojshala Survey Report) ভগ্ন মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে। হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে ভোজশালা আসলে একটি মন্দিরই ছিল। অন্যান্য মূর্তির মধ্যে এখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি, জটাধারী ভোলেনাথের মূর্তি, হনুমানের মূর্তি, শিবের মূর্তি, ব্রহ্মার মূর্তি, ভৈরবনাথের মূর্তি, গণেশের মূর্তি। এর পাশাপাশি মিলেছে দেবী পার্বতীর মূর্তিও। দেশের অন্যতম বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক কেকে মহম্মদ এর আগেই দাবি করেছিলেন যে ভোজশালা চত্বর আসলে ছিল একটি সরস্বতী মন্দির এবং পরে তা মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। মামলা অবশ্য অনেকটাই পুরনো। ২০০৩ সালে ভোজশালা নিয়ে একটি মীমাংসা (Bhojshala Survey Report) হয়, যার মারফত সেখানে প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুরা পূজা অনুষ্ঠান করার অধিকার পায় এবং মুসলমানরা শুক্রবারে নামাজ পড়ার অধিকার পায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhojshala Survey: সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় উদ্ধার হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

    Bhojshala Survey: সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় উদ্ধার হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানভাপির পর এবার মধ্যপ্রদেশের ধারের ভোজশালা (Bhojshala Survey) মন্দিরের এএসআই সমীক্ষার ফলাফল উঠে এল হাতেনাতে। সম্প্রতি ভোজশালায় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেই মতো ইন্দোর বেঞ্চের এই নির্দেশের ফলে সমীক্ষার কাজ শুরু করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। আর তাদেরই সমীক্ষায় এবার উদ্ধার হল প্রাচীন হিন্দু দেব দেবীর মূর্তির (Discovers Hindu Gods Murtis)। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৭৯টি প্রত্নবস্তু। 
    এর আগে গত ১৮ মার্চ আদালত এএসআই সদস্যদের একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলেছিলেন। যার নেতৃত্বে পরিচালক বা এএসআই-এর অতিরিক্ত পরিচালক থাকবেন এবং নির্দেশ দিয়েছিলেন আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। আর সেই নির্দেশ মেনে সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় (Bhojshala Survey) উদ্ধার হল বিভিন্ন ঐতিহাসিক হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি (Discovers Hindu Gods Murtis) সহ একাধিক প্রত্নবস্তু।   

    সমীক্ষায় উদ্ধার হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি (Bhojshala Survey) 

    সমীক্ষার ৮০ তম দিনে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল ভোজশালার বন্ধ কক্ষটি খুলেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৯টি ঐতিহাসিক প্রত্নবস্তুর অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে গণেশ, বাগদেবী, পার্বতী, মহিষাসুর মর্দিনী, হনুমান সহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি এবং বিভিন্ন সনাতানি মূর্তির অংশ। সমীক্ষার সময় এই এলাকার (Bhojshala Survey) উত্তর অংশে মাটি সমতল করার সময় প্রায় ছয়টি ঐতিহাসিক প্রত্নবস্তুর অবশেষ পাওয়া গেছে। এছাড়াও যজ্ঞশালার ভেতরে মাটি সরানোর সময় ছয়টি বড় সনাতনীর অবশেষও (Discovers Hindu Gods Murtis) পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলিকে এএসআই তাদের তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করেছে। 

    আরও পড়ুন: কাউন্সেলিং চলবে, নিট পরীক্ষা বাতিলের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    ভোজশালার ইতিহাস 

    উল্লেখ্য, হিন্দু সংগঠনগুলির মতে, ধারে অবস্থিত কামাল মওলানা মসজিদটি আসলে মা সরস্বতী মন্দিরের ভোজশালা (Bhojshala Survey)। ১০৩৪ সালে রাজা ভোজ সংস্কৃত পড়াশোনার জন্য ভোজশালা তৈরি করেছিলেন। রাজা ভোজ ছিলেন সরস্বতী দেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। কিন্তু পরে মুঘল আক্রমণকারীরা এটি ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে ১৪০১ খ্রিস্টাব্দে দিলওয়ার খান গৌরী ভোজশালার একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে মাহমুদ শাহ খিলজি আর একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share