Tag: asia

asia

  • Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই মোক্ষম সময়! এখন ভারত (India) একটি গ্লোবাল সরকারি প্রচার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে তার সফট পাওয়ার ঘাটতিকে বিশ্ব প্রভাবের এক মজবুত ভিত্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এটা করা হলে ভারতের কণ্ঠস্বর (Pahalgam) প্রতিধ্বনিত হত এশিয়া মহাদেশজুড়ে।

    ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pahalgam)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই কৌশলগত সামরিক অভিযান সফল হয়। শুধু তাই নয়, এটি চিহ্নিত হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। যাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে পশ্চিম আকাশে সন্ত্রাসবাদের কালো মেঘ জমা হয়, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদেরও।

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে। সমরাঙ্গনে ভারতীয় বাহিনী জয়ী হলেও, পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচারযুদ্ধ এবং পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সত্যকে বোতলবন্দি করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে একটি বিকৃত চিত্র। এই জন্যই ভারতের অবশ্যই প্রয়োজন একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এই মাধ্যমে ভারত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেবে বিশ্ববাসীর দরবারে। এটি চালু হলে শত্রুপক্ষকে টক্কর দেওয়া যাবে সমানতালে। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সৈন্য যে বিক্রম দেখিয়েছে, তা আদৌও প্রচার করেনি বিবিসির মতো প্রচারমাধ্যমগুলিও। বরং তারা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে তুলে ধরেছে অতিরঞ্জিতভাবে।

    মিথ্যা খবর প্রচার!   

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো ও জঙ্গিঘাঁটির ওপর পরিচালিত নির্দিষ্ট হামলার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ-সহ সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করলেও, অনেক সংবাদমাধ্যম কোনও কিছু বিচার-বিবেচনা না করেই এই সংঘাতকে “অচলাবস্থা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং একতরফাভাবে “উভয় পক্ষই দোষী”— এই সরলীকরণ করে ফেলেছে (Pahalgam)। আল জাজিরার কথাই ধরা যাক। এই সংবাদ মাধ্যমটি মিথ্যাভাবে এক ভারতীয় মহিলা পাইলটের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে (India)। পরে অবশ্য দুই দেশের কর্তারাই ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি মিডল ইস্ট আই এমন কিছু যাচাই না করা ভিডিও প্রচার করে যাতে দাবি করা হয় ভারত নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়েছে — যা একেবারেই ভিত্তিহীন। ঘটনা হল, পাকিস্তান নিজেই চুপ করে থেকেছে ভারতের ওই দাবির পর, যেখানে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল পাকিস্তানই ব্যাপক ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে।

    ভারতের কৌশলগত সাফল্য তুলে ধরা হয়নি

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি পাকিস্তানের “পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে” এমন দাবি যাচাই না করেই একতরফাভাবে প্রচার করেছে। সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা বলেছে, আর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট তো এসব সন্দেহজনক দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের “নিঃসন্দেহ বিজয়” ঘোষণা করেছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির। এইসব প্রতিবেদনে ভারতের কৌশলগত সাফল্য, যেমন নৌবাহিনীর করাচির ওপর চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা — এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে (Pahalgam)।

    প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব

    এই পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন অনেক সংবাদমাধ্যম ভারত ও পাকিস্তানকে সমান দায়ী হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তারা ভারতকে একই বন্ধনীভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও, যারা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়েছে একাধিকবার (India)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কথা কবুল কিংবা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা — যা একটি অনেক বেশি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে তাকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে — এসব বিষয় খুব কম প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।

    চিনের মিথ্যা প্রচার

    এদিকে, চিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, দাবি করেছে এটি ভারতের রাফালের চেয়ে উন্নত— এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার, যেটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির এই ভ্রান্ত প্রচার শুধুমাত্র জনমতকেই প্রভাবিত করেনি, শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চিনের জে-১০ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আর রাফালের শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশ (Pahalgam)। যদিও, পরবর্তীকালে, সত্য প্রকাশ পেতেই চিনা সংস্থার শেয়ার জোর ধাক্কা খায়। সেখানে রাফালের শেয়ার দর আবার দ্রুত উঠতে শুরু করে।

    ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য

    একতরফা সাংবাদিকতা না হলে পাকিস্তানের অবাস্তব দাবিগুলিকে — যেমন ভারতের প্রমাণিত আঘাতের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণবিহীন “জয়ে”র দাবি বিচার করে প্রকাশ করত। তামাম বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, কোনটা সত্য, মিথ্যাই বা কোনটা (India)।ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য, কর্তৃত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতিমূলকভাবে প্রাসঙ্গিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পহেলগাঁও হামলার মতো সঙ্কটকালে ভ্রান্ত তথ্যের মোকাবিলা করা, কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং ভারতের সভ্যতাগত ভাবধারাকে বিশ্বে তুলে ধরা। এটি প্রসার ভারতীর সম্প্রসারিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতে পারে (India)। তবে এটি একটি আইনত স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে কাজ করবে যাতে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকে (Pahalgam)।

  • Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার দশা বাংলাদেশেরও (Bangladesh)। চিনের (China) কৌশলগত বিনিয়োগ, ঋণের ওপর চড়া হারে সুদ এবং বৃহৎ পরিসরের পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব অনেক দেশকেই আর্থিকভাবে অত্যধিক চাপে ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল করে তুলেছে। ঋণ সঙ্কট থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাঙন পর্যন্ত একাধিক দেশে গুরুতর চাপের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। উদ্যোক্তা রাজেশ সাওনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘এমনকি বাংলাদেশও এখন অরাজকতা ও অধোগামী সঙ্কটে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি অর্থনীতির মধ্যে ৫টিই ধসে পড়েছে। এগুলি হল, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেপাল।’’ যদিও এই তথ্য ওই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে না, তবে অন্তর্নিহিত চাপের যে সংকেতগুলি মিলেছে, তা বাস্তব।

    বাংলাদেশ (Bangladesh)

    দেশটিতে সব চেয়ে বেশি অভাব আইনশৃঙ্খলার। সহিংস বিক্ষোভ ও উগ্রপন্থার উত্থানে জর্জরিত। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারছে না। সেনাবাহিনী “স্ব-নির্মিত সঙ্কটের ব্যাপারে সতর্ক করেছে ইউনূস সরকারকে। মুদ্রাস্ফীতি উচ্চমাত্রায়। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়েছে বিনিয়োগ। ২০২৫ অর্থবর্ষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে কমে হতে পারে ৩.৩–৩.৯ শতাংশ। যদিও দেশটির অর্থনীতি চালু রয়েছে, কিন্তু খুবই কষ্টে রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। (Bangladesh)।

    শ্রীলঙ্কা

    মিতব্যয়ী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা উচ্চ দারিদ্র্য, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল মুদ্রার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দেশটি বৈদেশিক ঋণ শোধে ডিফল্ট করে এবং এখনও তাদের বিদেশি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিনের কাছে বাকি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি সীমিত ফল দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে ঋণ পরিশোধ এখনও বড় ঝুঁকির (China)।

    মলদ্বীপ

    জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হওয়ার আশা থাকলেও মলদ্বীপের সরকারি ঋণের প্রায় ২০ শতাংশই চিনের কাছে। দেশটির অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। তাই যে কোনও বাহ্যিক ধাক্কা ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। মলদ্বীপ-চিন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাণিজ্য ঘাটতি বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় শিল্পগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে। সেখানে ব্যাপক বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব ভিত্তিও দুর্বল। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে চিনের ঋণ পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করলেও, এটি ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। অথচ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে না পারলে শিল্প হওয়া এক কথায় অসম্ভব। আর শিল্প না হলে, ঘুঁচবে না বেকারত্বও (Bangladesh)।

    আফগানিস্তান ও নেপাল

    আফগানিস্তানের অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন, অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল এবং দেশটি দারিদ্র্যে জর্জরিত। চিনের সম্পৃক্ততা এখানে সীমিত এবং ধীরগতির। আর নেপাল, কাগজে-কলমে স্থিতিশীল হলেও চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিং-সমর্থিত পরিকাঠামোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে (China)।

    বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ

    প্রসঙ্গত, চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভও। শি জিনপিংয়ের দেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কও তৈরি করছে এবং তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব স্থাপন করছে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, যা তাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এই বিনিয়োগগুলি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পরিকাঠামোর উন্নতিতে সহায়তা করছে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যাচ্ছে (Bangladesh)।

    রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার

    রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সহযোগিতা স্থাপন। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে ও নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে।

    সামরিক প্রভাবও বিস্তার

    চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে নিজেদের সামরিক প্রভাবও বিস্তার করছে। চিন পাকিস্তান ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছে, যা ভারত ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে (China)। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনবে (Bangladesh)।

  • Asia Championships: এশিয়া টিম চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী ভারতের মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা

    Asia Championships: এশিয়া টিম চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী ভারতের মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া টিম চ্যাম্পিয়নশিপে (Asia Championships) জয়ী ভারতের মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা। সেলাঙ্গরে ইতিহাস গড়লেন পিভি সিন্ধু ও তাঁর সহ খেলোয়াড়রা। থাইল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারালেন ভারতের মহিলা বাহিনী। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই রচনা হল ইতিহাস। প্রথমবার এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন দল। সিন্ধু ছাড়াও ভারতের হয়ে ফাইনালে জয় পেয়েছেন আনমোল খারব ও গায়ত্রী গোপীচাঁদ-তৃষা জলি জুটি।

    পদক জয়ী সিন্ধুর জয়

    ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন দলের জয় অবশ্য সহজ ছিল না। দু বার অলিম্পিক পদক জয়ী সিন্ধু মাত্র ৩৯ মিনিটেই ২১-১২, ২১-১২ ব্যবধানে হারিয়ে দেন থাইল্যান্ডের সুপানিন্দা কাথেংয়কে। দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতে যায় ভারত। গায়ত্রী-তৃষা জুটি ২১-১৬, ১৮-২১ এবং ২১-১৬ ব্যবধানে পরাস্ত করেন জংকলফাম কিতিথারকুল-রাউইন্দা প্রাজঙ্গল জুটিকে। তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও, শেষে জয় ছিনিয়ে নেন গায়ত্রী-জলি। শেষমেশ অবশ্য শেষ হাসি হাসেন ভারতের মহিলারা (Asia Championships)।

    দলগত বিভাগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন ভারত

    এর পর অবশ্য পরাজিত হয় ভারতই। থাইল্যান্ডের বুসানান ও বামরুংফামের কাছে হেরে যান ভারতের অস্মিতা চাহিলা। দ্বিতীয় ডাবলস ম্যাচেও ভারতকে হারায় থাইল্যান্ড। শেষ ম্যাচে ভারতের হয়ে নামেন বিশ্বের ৪৭২ নম্বর আনমোল। তিনি নম্বর পর্নপিচা চোইকিওংকে হারিয়ে দেন। তার জেরেই রচনা হয় ইতিহাস। এশীয় ব্যাডমিন্টনে মহিলাদের দলগত বিভাগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

    আরও পড়ুুন: মাঠে ফিরেই গুচ্ছ রেকর্ড যশস্বী জয়সওয়ালের, জানুন বিশদে

    প্রসঙ্গত, শনিবারই জাপানের বিরুদ্ধে সেমি ফাইনালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। তবে ম্যাচে প্রথমে সিন্ধুর হারের জেরে চাপে পড়ে যায় ভারত। পিছিয়ে পড়েছিল ০-১ ব্যবধানে। ম্যাচে ১৩-২১, ২০-২২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন সিন্ধু। কিন্তু ট্রিসা জলি ও গায়ত্রী গোপীচাঁদ ২১-১৭, ১৬-২১, ২২-২০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেন। তাঁরা ধরাশায়ী করেন বিশ্বের ছ নম্বরে থাকা জাপানের নামি মাতসুয়ামা ও চিহারু শিদা জুটিকে (Asia Championships)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share