Tag: Asia Cup 2025

  • India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্রে পর পর সাফল্যের পর এবার ক্রিকেট মাঠেও পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর, এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানকে টানা দু’বার হারিয়ে ক্রিকেট যুদ্ধেও জয়ী ভারত। তবে শুধু ব্যাট ও বলেই নয়, কথিত ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ যুদ্ধ’-এও ভারত দিয়েছে চোখে চোখ রেখে জবাব। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় পেসার অর্শদীপ সিং পাকিস্তানের হারিস রউফকে পাল্টা এক ইঙ্গিত দেন। এই ‘জবাব’-কে ভক্তরা বলছেন পাকিস্তানের আগ্রাসী বার্তার যোগ্য প্রত্যুত্তর।

    পাকিস্তানের আগ্রাসী ভঙ্গি ও ভারতের শান্ত-তীক্ষ্ণ জবাব

    ২১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সুপার ফোর ম্যাচে পাক পেসার হারিস রউফ দর্শকদের ভিড় থেকে “কোহলি-কোহলি” ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়ে ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’-এর ভঙ্গিতে ভারতের দিকে কটাক্ষ ছোড়েন। তিনি হাত দিয়ে ‘৬-০’ দেখিয়ে দাবি করেন মে মাসের চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তান ৬টি ভারতীয় জেট গুলি করে নামিয়েছে। যদিও বাস্তবে তা শুধুই প্রোপাগান্ডা। অন্যদিকে, পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান ব্যাটকে ‘একে-৪৭’-এর মতো তুলে ধরে ভারতীয় ডাগআউটের দিকে ‘গোলাগুলি’র ভঙ্গি করেন। এই কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের মৌলবাদী মানসিকতার প্রতিচ্ছবি বলেই অনেকের অভিমত। ভারতের ব্যাটসম্যান শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা জবাব দেন ব্যাটে-বলে। ১৭২ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে অর্শদীপ সিংয়ের ‘বিমান ভেঙে পড়া’র ইঙ্গিত মুহূর্তে ভাইরাল হয়। পাকিস্তানের আগ্রাসনকে ব্যঙ্গ করে দেওয়া এই সাইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ড করে।

    সীমান্তে পাকিস্তানের বিপর্যয়

    ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার সম্মিলিত অভিযানে পাকিস্তান এবং পিওকে-র (India vs Pakistan)  ন’টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর মতো সংগঠনের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। সরাসরি আক্রমণের পাশাপাশি ভারত সুনির্দিষ্ট উপগ্রহ চিত্র ও তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচার ভেঙে দেয়। লস্কর এবং জইশের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেরাই তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে, যা ভারতের তথ্যভিত্তিক কূটনৈতিক জয়ের অন্যতম নিদর্শন। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (S-400 ও আকাশতীর সিস্টেম) কারণে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক ড্রোন ও মিসাইল হামলা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

    ‘ভারতের সাংকেতিক ভাষা’ বনাম ‘পাকিস্তানের প্ররোচনা’

    পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বোলাররা যেখানে স্লেজিং, অঙ্গভঙ্গি ও মৌলবাদী ভঙ্গিমায় মাঠকে উত্তপ্ত করতে চেয়েছিল, ভারতীয় দল তাদের খেলায় এবং সূক্ষ্ম বার্তায় তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়। অর্শদীপের ছোট্ট কিন্তু মারাত্মক ‘সংকেত’-ই বুঝিয়ে দিয়েছে— ভারত এখন শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিরোধেও সিদ্ধহস্ত। যুদ্ধ হোক বা খেলা— ভারত জানে কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হয়। অপারেশন সিঁদুর থেকে দুবাইয়ের ক্রিকেট মাঠ সর্বত্রই ‘চক দে ইন্ডিয়া’

    এশিয়া কাপ ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান!

    চলতি এশিয়া কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে এখন মূলত রয়েছে তিনটি দল – ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান। পাকিস্তানের (India vs Pakistan) কাছে পরাজয়ের পরে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছে। সুপার ফোরে ওঠা বাকি সবকটি দল ১টি করে ম্যাচ জিতে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার খাতায় এখনও শূন্য। তবে তাদের হাতে একটি ম্যাচ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। সেই অর্থে, আজকের ম্যাচটি ভারত বা বাংলাদেশের জন্য নকআউট না হলেও ‘সেমিফাইনাল’। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে ২ পয়েন্ট অর্জন করেছে, সঙ্গে ভারতের এখন নেট রান রেট +০.৬৮৯। আজ সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশেরও এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কারে হারিয়েছিল। এদিকে সলমন আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুটি ম্যাচ খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে। এদিকে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের পরবর্তী এবং শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেই পাকিস্তানও উঠে যাবে ফাইনালে। তাই বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

     

     

     

     

     

  • Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক ক্রিকেটকে খোঁচা দিলেন সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান (Imran Khan)। ক্রিকেট মাঠে ভারতকে কী করে পাকিস্তান হারাতে পারবে, জেলে বসেই তার উপায় বাতলে দিলেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবং পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরের ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামা উচিত। তা হলেই পাকিস্তান হারাতে পারবে ভারতকে!

    নকভির অযোগ্যতার ফল ভুগছে পাক ক্রিকেট

    একাধিক মামলায় আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আলিমা খান। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলিমা জানান, “ইমরান বলছে, ভারতকে হারাতে গেলে একটাই পথ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। সেটা হল, মুনির আর নকভি একসঙ্গে ওপেন করুক। তবে সেটুকুই যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাজি ফৈয়জ ইসা এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে ওই ম্যাচের আম্পায়ার হতে হবে। ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার হবেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার।” ১৯৯২ সালের পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, নকভির অযোগ্যতা এবং স্বজনপোষণই পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার কারণ।

    মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন

    ইমরান মনে করেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -এর ভরাডুবির কারণ জেনারেল মুনির। তাঁর বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইশা এবং মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক রাজার সাহায্যেই মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। ২০২৩-এর অগাস্ট থেকে ইমরান জেলবন্দি। প্রসঙ্গত, পাক সেনার রোষের মুখে পড়ে গদি হারাতে হয়েছিল ইমরানকে। এর পরেই তাঁর ঠাঁই হয় জেলে। দু’বছর পার হয়ে গেলেও জেলমুক্তি ঘটেনি ইমরানের। বরং একের পর এক নয়া মামলা চেপেছে তাঁর উপর। ইমরানের মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগেও পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। নিষ্ঠুরভাবে সেই বিদ্রোহ দমন করে সরকার।

    স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস

    দিনকয়েক আগেই মুনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। জেলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির উপর মানসিক নির্যাতন করছেন পাক সেনাপ্রধান, এমনটাই দাবি করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন পিসিবি প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি, এমনটাও বারবার বলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর অভিযোগ, ইসা এবং রাজার মদতে ২০২৪ সালের পাক নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। তাই একসঙ্গে সকলকে বিঁধেছেন ইমরান খান। মাঠে ভরাডুবি, মাঠের বাইরে চরম বিতর্ক। আর এতকিছুর ভিড়ে ফের একবার আলোচনায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক, কিংবদন্তি অলরাউন্ডার, দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো দলনেতা ইমরান খান (Imran Khan)। এবার জেল থেকে ছুড়লেন তির। লক্ষ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মসনদ। ব্যঙ্গের সুরে জানালেন—ভারতকে হারাতে চাইলে পাকিস্তানের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নামতে হবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) আর আর্মি চিফ আসিম মুনিরকে (Asim Munir)। এ ছাড়া টিম ইন্ডিয়াকে কুপোকাত করার অন্য কোনও গতি নেই।

  • India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে সেলিব্রেশন করেন। গান (বন্দুক)-এর জবাব রানে দিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সাহিবজাদার বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করলেন অভিষেক ও গিল, এমনই অভিমত পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার। রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তার আগেই অবশ্য দেশে-বিদেশে নিন্দিত হচ্ছে পাকিস্তান দল। সৌজন্যে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উচ্ছ্বাসের একটি ধরন। অর্ধশতরানের পর ব্যাটটিকে নিয়ে বন্দুক ধরার মতো একটি বিশেষ কায়দায় উচ্ছ্বাস করেছেন তিনি, যা সমালোচনার মুখে পড়েছে।

    বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস

    দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে ‘গান সেলিব্রেশন’ করেছিল পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। বন্দুক যেমনভাবে ধরে, সেরকম কায়দায় ব্যাট করে গুলি চালানোর মতো সেলিব্রেশন করেছিল। আর সেই অদৃশ্য ‘গুলিটা’ ফারহানদের শরীর ফুঁড়ে ঢুকে গেল। শুধু তাই নয়, ব্রহ্মস মিসাইলে যেরকমভাবে পাকিস্তানি অসংখ্য সামরিক ছাউনির অবস্থা হয়েছিল, ফারহানদের হাল সেরকমই করে দিলেন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলরা। রবিবার দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। ভারত যদি ঠিকঠাক ক্যাচ ধরত, তাহলে সলমন আঘাদের রান এতটা হত না। কিন্তু ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নেন তাঁরা। ক্যাচ ফস্কানোর মাশুল হিসেবে গুনতে হয় প্রায় ৯০ রান। পাকিস্তানেরর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন গান-সেলিব্রেশন করা ফারহান। যদিও ব্যাট করতে নেমেই তাঁর এই আচরণের জবাব দেন দুই ভারতীয় ওপেনার। শাহিন আফ্রিদিকে ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেন অভিষেক। গিল-অভিষেকের ইনিংসের প্রশংসা করে পাক স্পিনার কানেরিয়া বলেন, “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ করেছেন অভিষেকরা।”

    বিতর্কিত উচ্ছ্বাস

    পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ফারহান। হার্দিক, বুমরার উপর দাপট দেখিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। দশম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের একটি বল মিড উইকেটের উপর শট খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পরেই ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। পহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। এশিয়া কাপে দুই দেশ মুখোমুখি হবে কি না, তা নিয়েই নিশ্চয়তা ছিল না। তার উপর প্রথম ম্যাচের পর করমর্দন-বিতর্কে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। সে সবের মাঝে ফারহানের এই উচ্ছ্বাস বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে কটাক্ষ করতেই এই উচ্ছ্বাস করেছেন ফারহান। সাধারণ সমর্থকরা তো বটেই, ধারাভাষ্যকারেরাও এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।

    ভারতের পাল্টা জবাব

    ম্যাচের শুরুতেই অভিষেক শর্মা শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন। এই শটের মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ভারতের হয়ে একাধিকবার ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা মারা প্রথম ব্যাটার হন। ম্যাচে অভিষেক ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান এবং গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেটে মাত্র ৯.৫ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। গিলও নিজের ইনিংসে ৮টি চার মারেন। অভিষেক তাঁর ৫০তম টি-টোয়েন্টি ছক্কাটি হাঁকান নিজের ৩৩১তম বল খেলার মধ্যেই, যা তাকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক ছোঁয়া ব্যাটার করে তোলে। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তিনি যুবরাজ সিং-এর রেকর্ড (২৯ বল) ভেঙে দেন। প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া মনে করেন, ব্যাট হাতেই জবাব দিয়েছেন অভিষেক। এমনকি অর্ধশতরানের পর অভিষেকে ‘ফ্লাইং কিস সেলিব্রেশন’ নিয়ে কানেরিয়া বলেন, “ভালোবেসে মুখের উপর জবাব দিয়েছে ভারত।”

    গিল-অভিষেকের ট্যুইট ভাইরাল

    দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচে ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায়। অভিষেক ৩৯ বলে ৭৪ এবং গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করেন, যার সৌজন্যে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭২ রানে লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ চলাকালীন অভিষেক ও গিলের সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অভিষেক শর্মা যখন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের একটি বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান, তখন রউফ রেগে যান এবং অভিষেককে স্লেজ করতে শুরু করেন। অভিষেকও চুপ করে থাকেননি। দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। পাকিস্তানি প্লেয়াররা তাদের গালি দিচ্ছিল বলেও ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন অভিষেক শর্মা। মাঠে বিপক্ষকে নিজেদের ব্যাটের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। যেই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনেই এক্সে চার শব্দের বার্তা দিয়ে কটাক্ষ করেন পাকিস্তান দলকে। গিল লেখেন, “খেলাই কথা বলে, শব্দ নয়” (Game speaks, not words) এবং অভিষেক লেখেন, “তোমরা কথা বলো, আমরা জয় করি” (You talk, we win)। চলতি প্রতিযোগিতাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত।

  • India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বনাম পাকিস্তান এখন আর কোনও লড়াই-ই নয়। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও মাইন্ড গেমে নেমেছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগের হুংকার, এশিয়া কাপ বয়কটের দাবি, একাধিক সমস্যা তৈরি করে আলোচনায় থাকার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু খেলার মাঠে পারফরম্যান্স সেই তলানিতেই। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এ দিনও দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাননি। তবে আগের দিনের মতো ভারত সাজঘরের দরজা বন্ধ করেনি। আসলে খেলাটা তো মাঠেই জিতে গিয়েছে ভারত।

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। সেটাই ফের দেখা গেল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে। ভারত জেতার পরে শোনা গেল ‘চক দে’। ম্যাচ জেতায় সুপার ফোরের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে চলে গেল ভারত। সূর্যকে সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, এই ‘ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ নিয়ে তিনি কী বলবেন? ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় আপনাদের সকলের ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে এ বার প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’’ এখানেই থেমে থাকেননি ভারত অধিনায়ক। বলেন, ‘‘আমার মতে, যদি দুটো দল ১৫-২০টা ম্যাচ খেলে এবং স্কোরলাইন ৭-৭, অথবা ৮-৭ হয়, তবেই সেটাকে ভালো ক্রিকেট বলা যায়। আমি সঠিক পরিসংখ্যান জানি না। কিন্তু একটা দলের পক্ষে যদি স্কোরলাইন ১৩-০, ১০-১ হয়, তা হলে এখন আর এটা কোনও লড়াই নয়। আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।’’ সত্যিই ক্রিকেটে গত ১৫ বছরে ভারত পাকিস্তানের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে। ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছে ভারত।

    পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল

    পরিসংখ্যান যাই হোক, ভারত-পাকিস্তান লড়াই তা সে বাইশ গজেও হোক আর সীমান্তে সবসময় উত্তেজনার। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বারবার তা চোখে পড়েছে। ম্যাচে ভারতের ইনিংস চলাকালীন শাহিন আফ্রিদিকে কোনও কথার জবাব দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভমন গিল। কয়েক বল পরেই আবার অন্য এক দৃশ্য। এ বার হ্যারিস রউফের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিষেক শর্মার। তখন স্পষ্ট বোঝা যায়নি কী হয়েছে। তবে বিষয়টি যে গুরুতর ছিল এটা ম্যাচের পরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, পাকিস্তান বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। সেটারই জবাব ব্যাট হাতে দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে অভিষেক বলেন, “পাকিস্তানের বোলারেরা বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, তর্ক করছিল। আমার সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই জন্যই ওদের জবাব দেওয়া দরকার ছিল। দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।” এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচেই ভালো খেলেছেন অভিষেক। রবিবারই প্রথম অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। সাফল্যের নেপথ্যে দলের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “যখন দেখবেন কোনও ব্যাটার এত ভালো খেলছে, তখন বুঝবেন নিশ্চয়ই তাঁর পাশে দল রয়েছে। কোচ এবং অধিনায়ক আমাকে খুবই সমর্থন করে। তাই জন্যই এত ভালো খেলার সাহস পাই।”

    শুভমন-অভিষেক ঝড়

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমন গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। রুদ্রমূর্তি ধরেন অভিষেক। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০ অপরাজিত) ও হার্দিক। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে।

    পাকিস্তান ম্যাচই রানে ফেরার মঞ্চ

    তিন ম্যাচে ৩৫ রান করা শুভমনকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানে ফিরতেই হত। পাকিস্তান ম্যাচেই সেই মঞ্চটা বেছে নিয়েছিলেন শুভমন। শনিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও তিনি অনুশীলন করেছিলেন। আর অনুশীলন করিয়েছিলেন তাঁর ওপেনিং সতীর্থ তথা ছোটবেলার বন্ধু অভিষেক শর্মা। তার প্রতিফলন দেখা গেল রবিবার। আকাশে শট খেলার দিকে নজর দেননি শুভমন। বরং মাটিতে রেখে বল বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। ইনিংসে আটটি চারই তার প্রমাণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুভমনের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে ভারতের চাপ অনেকটাই হালকা করে দেন অভিষেক। ছোটবেলা থেকেই দু’জনে একসঙ্গে খেলেছেন। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমরা একসঙ্গে খেলছি। একে অপরকে সঙ্গ দিতে পছন্দ করি। আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, আজই কিছু একটা করতে হবে। যে ভাবে শুভমন খেলছিল সেটা দারুণ লেগেছে।”

  • India Vs Pakistan: ভয় ধরাল ওমান!‍ রবিতে ফের পাকিস্তানের সামনে ভারত, চিন্তা বাড়ল গম্ভীরের

    India Vs Pakistan: ভয় ধরাল ওমান!‍ রবিতে ফের পাকিস্তানের সামনে ভারত, চিন্তা বাড়ল গম্ভীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবাসরীয় ক্রিকেটে সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের সামনে পাকিস্তান (India Vs Pakistan)৷ রবিবার পাকিস্তান ম্যাচের আগে দলের সকলকে দেখে নিতে চেয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। ব্যাটিং, বোলিং দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করে দেখলেন তিনি। সেই কারণেই হয়তো চলতি এশিয়া কাপে ওমানকে হারাতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হল ভারতের। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারাতেও এতটা সমস্যা হয়নি সূর্যদের। ওমানকে ২১ রানে হারিয়ে ভারত অপরাজিত থাকলেও সুপার ফোরের আগে কয়েকটি প্রশ্ন উঠে গেল গম্ভীরের সামনে। ভারত জিতল, তবে কষ্ট করে ৷

    রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে সুপার ফোর

    এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যায় শুরু হয়ে যাচ্ছে শনিবার থেকেই। গ্রুপ এ থেকে ভারত ও পাকিস্তান এবং গ্রুপ বি থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে। এবার রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলবে চার দল। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দুই দল যাবে ফাইনালে। সুপার ফোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ব্যাটিং, বোলিং দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালায় ‘মেন ইন ব্লু’৷ তবে ওমানকে হারাতে সমস্যা হল ভারতের। এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলেও ভারতের বিরুদ্ধে ওমান ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো৷ ম্য়াচ শেষে ভারত অধিনায়কের সংযোজন, ‘অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে ওমান।’ ম্যাচের পর ওমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ হ্যান্ডশেক করলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন৷ ম্যাচের সেরা সঞ্জু স্যামসন৷

    রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে সুপার ফোর

    ওমান ম্যাচের আগে আলোচনা চলছিল রেকর্ড নিয়ে। অনেকেই বলছিলেন, রেকর্ডের বন্যা বয়ে যেতে পারে এই ম্যাচে। কিন্তু ওমান দেখিয়ে দিল, একটি ম্যাচ না জিতলেও লড়াই করতে ভয় পায় না তারা। নজর কাড়লেন শাহ ফয়জল। পাকিস্তানে জন্মানো এই বাঁহাতি পেসার খেলেন ওমানের হয়ে। নতুন ও পুরনো দুই বলেই ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে তাঁর ভিতরের দিকে ঢুকে আসা বল বুঝতে পারলেন না শুভমন গিল। তাঁর অফ স্টাম্প ছিটকে গেল। উইকেট মেডেন নিলেন ফয়জল। চলতি এশিয়া কাপে বড় রান পাননি শুভমন। এই ম্যাচেও ৫ রানে আউট হলেন। রান পেলেন না হার্দিকও। ১ রানের মাথায় রান আউট হলেন। শিবম দুবে ৫ রানে ফিরলেন। ভারতের তিন ব্যাটারের ফর্ম চিন্তায় রাখবে গম্ভীরকে। অভিষেক শর্মা অবশ্য ছন্দে রয়েছেন। এই ম্যাচেও ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। ১৫ বলে ৩৮ রান করলেন তিনি। ভাল দেখাল সঞ্জু স্যামসনকে। চলতি এশিয়া কাপে প্রথম বার খেলতে নেমে অর্ধশতরান করলেন তিনি।

    সুপার ফোরের জন্য তৈরি

    ভারতের বোলিংয়ের শুরু করেছিলেন তিন পেসার। হার্দিক, অর্শদীপ ও হর্ষিত পাওয়ার প্লে-তে উইকেট তুলতে পারলেন না। জসপ্রীত বুমরাহ এই ম্যাচে খেলেননি। ভারতীয় পেসারেরা গায়ের জোরে বল করে গেলেন। বৈচিত্র বিশেষ দেখালেন না। ফলে নতুন বলে উইকেট এল না। ওমানের জুটি ভাঙলেন সেই কুলদীপ যাদব। এ বারের এশিয়া কাপে কুলদীপকে থামানো যাচ্ছে না। তাঁর বল বুঝতেই পারছেন না ব্যাটারেরা। ওমানের বিরুদ্ধেও শুরুতে তাই দেখা গেল। জতিন্দরকে ৩২ রানে ফেরালেন তিনি। শুক্রবার ওমানকে হারিয়ে অপরাজিত থেকে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। খেলা শেষে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকর সূর্যকে প্রশ্ন করেন, “রবিবারের ম্যাচের জন্য তৈরি তো?” জবাবে সূর্য বলেন, “সুপার ফোরের জন্য তৈরি।” আলাদা করে পাকিস্তান ম্যাচের কথা বলেননি সূর্য। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পাকিস্তান ম্যাচকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছেন তাঁরা।

    এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) সুপার ফোরের সূচি

    ২০ সেপ্টেম্বর:‌ শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ
    ২১ সেপ্টেম্বর:‌ ভারত বনাম পাকিস্তান
    ২৩ সেপ্টেম্বর:‌ পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা
    ২৪ সেপ্টেম্বর:‌ ভারত বনাম বাংলাদেশ
    ২৫ সেপ্টেম্বর:‌ পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ
    ২৬ সেপ্টেম্বর:‌ ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
    ২৮ সেপ্টেম্বর:‌ ফাইনাল।

    ভারতের সব ম্যাচই হবে দুবাইয়ে

  • ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)-এর মধ্যে বিতর্কের সমাধান করলেন আইসিসি সিইও সঞ্জয় গুপ্তা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সঞ্জয় গুপ্তা (Sanjay Gupta) একক নেতৃত্বে সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দেন এবং কঠোর বার্তা দেন যে, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়া অফিসিয়ালদের অপসারণের দাবি মানা হবে না।

    সঞ্জয় গুপ্তার দৃঢ় অবস্থান

    ১৪ই সেপ্টেম্বর, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচের পরে বিতর্ক শুরু হয়। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করে ভারতীয় দল। এই ঘটনার পর, পিসিবি অভিযোগ করে যে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট নাকি দুই অধিনায়ককে টিমশিট বিনিময় করতে বাধা দেন এবং সালমানকে করমর্দনের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেন। এরপর পাকিস্তান আইসিসি-কে লিখিতভাবে পাইক্রফটকে সরিয়ে রিচি রিচার্ডসনকে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। আইসিসি সূত্রে খবর, পিসিবি’র দাবির বিপরীতে কড়া অবস্থান নেন সঞ্জয়। আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কোনও কোড অফ কনডাক্ট লঙ্ঘন করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। দুপক্ষের মধ্যে ৬টি ইমেল বিনিময় হয়, যার মধ্যে তিনটি করে ইমেল পাঠানো হয় দুই পক্ষ থেকে। অন্তর্দ্বন্দ্ব এড়াতে কিছু কর্মকর্তা ১৭ সেপ্টেম্বর আরব-আমিরশাহী ম্যাচে শুধু এক ম্যাচের জন্য পাইক্রফটকে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সঞ্জয় গুপ্ত তা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, “এভাবে চাপের কাছে নতিস্বীকার করলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে ভুল বার্তা যাবে।”

    কে এই সঞ্জয় গুপ্তা?

    ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আইসিসি-র সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন সঞ্জয় গুপ্ত। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। ভারতের ক্রীড়া সম্প্রচার মহলের পরিচিত নাম। ২০০২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক ডিগ্রি (অনার্স)। ২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এরপর একে একে কনটেন্ট, সম্প্রচার, বিপণন স্ট্র্যাটেজি—একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০ সালে সঞ্জয় ডিজনি ও স্টার ইন্ডিয়ার স্পোর্টস বিভাগের সিইও পদে বসেন। কেবল শহরেই নয়, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খেলাকে পৌঁছে দিতে চান। তাই তাঁর নেতৃত্বেই উঠে আসে স্লোগান: ‘স্পোর্টস ফর অল’! ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভায়াকম ১৮ (Viacom 18) ও ডিজনি স্টার (Disney Star) মিলেমিশে গড়ে ওঠে জিওস্টার (JioStar)। সঞ্জয় সেখানে স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপিয়িয়েন্সেস বিভাগের সিইও হন। এরপর আগে-পরে আইপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো, আইসিসি ইভেন্টের সম্প্রচারে নতুনত্ব আনা, প্রো কাবাডি লিগ (PKL)-এর উত্থান, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এর প্রতিষ্ঠা, উইম্বলডন ও ভারতে প্রিমিয়ার লিগ-এর মত আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এবং ক্রীড়া সম্প্রচারের পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সঞ্জয় গুপ্তা।

    ক্রিকেট দুনিয়াকে স্পষ্ট বার্তা

    পাইক্রফট বিতর্কে সঞ্জয় গুপ্তের দৃঢ় এবং পেশাদারী পদক্ষেপ ক্রিকেট মহলে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনৈতিক চাপের মুখেও তিনি যে নিরপেক্ষতা ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন, তা স্পষ্ট। সঞ্জয় বুঝিয়ে দিয়েছেন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, তবে প্রমাণ ছাড়া কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ন্যায়বিচার, প্রোটোকল ও পেশাদারিত্বকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দেওয়া হবে।

  • India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন-বিতর্কে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) দাবি খারিজ করল আইসিসি। এশিয়া কাপ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। না হলে বুধবার আমিরশাহি ম্যাচ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আইসিসির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘‘সোমবার রাতে আইসিসি জবাব পাঠিয়ে দিয়েছে পিসিবিকে যে, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। তাদের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।’’

    পাকিস্তানের দাবি অযৌক্তিক

    আইসিসি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের কোনও দাবি মানা হবে না। আইসিসি কর্তারা পাকিস্তান (India vs Pakistan) ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের দাবি মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই। হ্যান্ডশেক বিতর্কে পাইক্রফ্টের ভূমিকা ছিল অতি নগণ্য। তিনি শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘাকে একটি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছিলেন। টসের সময় হ্যান্ডশেককে কেন্দ্র করে যাতে প্রকাশ্যে কোনও অপ্রীতিকর বা লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে। জিম্বাবোয়ের ৬৯ বছর বয়সি পাইক্রফ্ট আইসিসির এলিট প্যানেলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের অন্যতম। সব মিলিয়ে তিনি ৬৯৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। রবিবারের ম্যাচের ঘটনায় পাইক্রফ্টের কোনও দোষ খুঁজে পাননি আইসিসি কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কী করে সে দিকেই নজর ক্রিকেটবিশ্বের।

    পাক ক্রিকেট কর্তাকেই সরানো হল

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নির্দোষ, আইসিসি-র এই চিঠি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মহসিন নকভির বোর্ড থেকে। সেই নির্দেশ পেয়েই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন পাইক্রফ্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও প্রধান নকভি। দু’টি দায়িত্বই সামলান তিনি। সূত্রের খবর, পিসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশনস উসমান ওয়ালহা তাঁর দলের অধিনায়ককেই জানাননি প্রতিযোগিতা চলাকালীন কী নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর পরেই নাকি ক্ষুব্ধ পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি, যিনি আবার বর্তমান এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও, জাতীয় দল ও অধিনায়ক এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য ওয়ালহাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওয়ালহারই নাকি দায়িত্ব ছিল পাক অধিনায়ক সলমন আঘাকে ‘‘নো-হ্যান্ডশেক’’ নীতি জানানোর। কিন্তু তিনি তা জানাননি। পাকিস্তান অধিনায়ককেও দেখে তাই মনে হচ্ছিল, তিনি কিছু জানেন না। পিসিবির একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘‘টসের সময় ওয়ালহার জানানো উচিত ছিল যখন দুই অধিনায়ক করমর্দন করেননি। তিনি যে ভাবে ওই পরিস্থিতি সামলেছেন তাতে প্রচণ্ড ভাবে ক্ষুব্ধ নকভি।’’

    পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানো অসম্ভব

    পিসিবির এক সূত্রের দাবি, ‘পাকিস্তানের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। সেটা করলে, জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসি পিসিবিকে বড় জরিমানা করতে পারে। সেটা আমাদের বোর্ড হতে দিতে পারবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বোর্ডের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না।’ গত পরশু থেকেই পিসিবি (PCB) একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft)। অভিযোগ ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ (Spirit of Cricket) লঙ্ঘনের। এমনকি, পাইক্রফটকে সরানো না হলে পরের ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও শুনিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এমন দাঁড়িয়েছে, যে বয়কট না করলেও এশিয়া কাপ থেকে তাদের ছুটি হয়ে যেতে পারে। পাক শিবিরের আশঙ্কা বাড়িয়েছে পয়েন্ট তালিকা। গ্রুপ এ–তে ভারতের অবস্থান নির্ভেজাল নিরাপদ। শুভমান–সূর্যরা ইতিমধ্যেই সুপার ফোরের টিকিট কেটে ফেলেছেন। অন্যদিকে ওমানকে হারিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) এখন চাঙ্গা মেজাজে। ফলে আগামী বুধবার দুবাইয়ে পাকিস্তান-ইউএই ম্যাচ কার্যত নকআউট। দুই দলের ঝুলিতেই এখন ২ পয়েন্ট। জয়ী দল ৪ পয়েন্টে নিশ্চিত করবে সুপার ফোরের টিকিট। হেরে যাওয়া টিম ছিটকে যাবে।

    রবিবার ফের ভারতের সামনে!

    মঙ্গলবার আইসিসি অ্যাকাডেমিতে ভারত এবং পাকিস্তানের ট্রেনিং করার কথা। সময় আলাদা হলেও, পরের ম্যাচের জন্য একই ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সন্ধে ৬টা থেকে রান ৯টা পর্যন্ত ভারতের ট্রেনিং। রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করবে পাকিস্তান। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাকিস্তানের। জিতলে রবিবার সুপার ফোরে আবার ভারতের মুখোমুখি। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। কোনও বিভাগেই সূর্যকুমার যাদবদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি সলমন আঘার দল। এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবের প্রথম সদস্য গাভাসকর কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় দল এখন পোপটওয়াড়ি দলের (Pakistan Popatwadi team) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মারাঠি ভাষায় পোপট মানে হল টিয়া পাখি আর ওয়াড়ি মানে মাঝারি। গাভাসকর আদতে মুম্বই নিবাসী। মুম্বইয়ের দুর্বল দলকে বলা হয় পোপটওয়াড়ি দল। ম্যাচের কথা বলতে গেলে, ভারত একতরফাভাবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে সাত উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে। ভারত ২৫ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে পরাজিত করে বর্তমান টুর্নামেন্টে তাদের টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে। জবাবে, ভারত ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান করে ম্যাচটি জিতে নেয়। ভারতীয় বোলারদের পর, ব্যাটাররাও হতাশ করেননি এবং সহজেই লক্ষ্য অর্জন করেন।

    হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক

    হ্যান্ডশেক বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা করেই চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দল ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর পাক বোর্ডকে কড়া জবাব দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সরকারি ভাবে বিসিসিআই কোনও বিবৃতি না দিলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সূর্যকুমার যাদবেরা যা করেছেন, তা একেবারে ঠিক। ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “দেখুন, ক্রিকেটের নিয়মে খেলা শেষে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নিয়ে কিছু লেখা নেই। সাধারণত সম্মান জানাতে দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলান। বিশ্ব জুড়ে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু এর তো কোনও নিয়ম নেই। তা হলে পাকিস্তান কোন ভিত্তিতে অভিযোগ করছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক হত। সূর্যেরা ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, “যদি কোনও নিয়মই না থাকে তা হলে সূর্যেরা একদম ঠিক করেছে। যে দেশের সঙ্গে আমাদের এত খারাপ সম্পর্ক, যে দেশ সব সময় আমাদের খারাপ চেয়েছে তাদের সঙ্গে হাত কেন মেলাব। কোনও রকম সম্পর্ক রাখব না। সূচি অনুযায়ী ভারত খেলেছে। তার বেশি কোনও সম্মান দেখানো হবে না।”

  • India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়। এশিয়া কাপে রবিবার পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। যা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। সোমবার এ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া এক বিবৃতিতে এক সিনিয়র বিসিসিআই (BCCI) কর্তা বলেন, “আইসিসি-র নিয়মবিধিতে কোথাও বলা নেই যে ম্যাচ শেষে করমর্দন বাধ্যতামূলক। এটি নিছকই এক সৌজন্যমূলক রীতি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের এমন সৌজন্য প্রকাশে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”

    কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, তৃতীয় কোনও পক্ষের নির্দেশেই নাকি ভারত এই কাজ করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে যে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি দলের সঙ্গে করমর্দন (হাত মেলানো) করতে অস্বীকার করেছেন। পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনার পর পিসিবি বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই (BCCI) জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি। বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “করমর্দন না করা কিংবা ডোর ক্লোজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিসিসিআই-এর কাছে এসিসি থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি।”

    গম্ভীর ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দল ও কোচিং স্টাফরা একটি আলোচনায় বসেন। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। তিনি নাকি প্লেয়ারদের বলেছিলেন, “সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো। বাইরের চিৎকারে কান দিও না। তোমাদের কাজ ভারতের হয়ে খেলা। পহেলগাঁওয়ে কী হয়েছে ভুলে যেও না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাবে না, বাড়তি গুরুত্ব দেবে না। শুধু যাও, নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাও।” এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি বরং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়। গম্ভীর আগেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “যতদিন না সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে, ততদিন কোনও ধরনের ক্রীড়া সম্পর্ক নয় পাকিস্তানের সঙ্গে।”

    হেরে গিয়ে বিচিত্র অভিযোগ পাকিস্তানের

    এশিয়া কাপে ম্যাচ হেরেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণ দাবি করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইতিমধ্যে জয় শাহর আইসিসি- কাছে চিঠি দিয়েছে পিসিবি। ভারতীয় দলকে এই ম্যাচে পাইক্রফ্ট টেনে খেলিয়েছেন বলে দাবি করল পিসিবি। আম্পায়ারকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব থেকে এখনই সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে পিসিবির তরফে। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সলমান আগার দল। মাঠের লড়াই পারেনি। ফলে ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছে। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

    এশিয়া কাপ থেকে সরবে পাকিস্তান

    সূত্রের খবর, ভারতের আচরণে এতই অপমানিত পাক দল, যে সূর্যকুমারদের বিরুদ্ধ পদক্ষেপ না করলে চলতি এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে পাকিস্তান। এই বিষয়ে তারা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (ACC) ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। রবিবার ছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মহাযুদ্ধ। মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান (IND vs PAK)। সমগ্র ম্যাচ জুড়েই ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। তবে ক্রিকেটের লড়াইয়ে প্রথম থেকে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) দল এগিয়ে ছিল। ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা কার্যত পাকা করে নিয়েছে ব্লু ব্রিগেডরা। কোনো সময়েই সালমান আলী আগার (Salman Ali Agha) দল ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পাইনি। অন্যদিকে ম্যাচে কোনভাবেই সৌজন্য দেখায়নি ব্লু ব্রিগেডরা। মাঠের বাইরে গ্যালারিতেও চলছে লড়াই। সেখানেও এগিয়ে ভারত। খেলা যত গড়াচ্ছে তত ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে গ্যালারি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই লড়াই ভারতীয় ক্রিকেটার ও সমর্থকদের কাছে যুদ্ধের থেকে কম নয়।

    ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা

    উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনা এবং আবেগে ভরপুর থাকে। পহেলগাঁও হামলার পর রবিবারের ম্যাচে সেই উত্তেজনা স্পষ্ট ছিল। এমনকি দলের স্কোয়াড তালিকাও দুই অধিনায়কের মধ্যে সরাসরি বিনিময় না করে সরাসরি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার নাভেদ চীমা পরে দাবি করেন, ভারতীয় দলের করমর্দনে অনীহার কথা মাথায় রেখেই রেফারি স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড় সালমান আলি আগাহ-কে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে করমর্দন করতে বারণ করেন। আগামী অক্টোবরে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। তার আগে এশিয়া কাপেও সুপার ফোরে ফের ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে। এখন সেই ম্যাচগুলোতে কী হয় তার দিকেই নজর। তবে আপাতত, পাকিস্তান ম্যাচে ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা। ব্যাটে-বলে বদলাও নিয়েছেন বাইশ গজে।

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দাপটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত (India vs Pakistan)। দেশের সেনাবাহিনীকে এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ভারতীয় দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও। খেলা শেষে তিনি বলেন, “দল হিসেবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।”

    সূচি অনুযায়ী খেলা, বাইরে কোনও সম্পর্ক নয়

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের (India vs Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তনেরাও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি নেই তাদের। তবে কোথাও ক্রিকেটারদের মাথাতেও হয়তো প্রতিবাদের কথা ঘুরছে। তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনও রকম সম্মান জানাননি তাঁরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূচি অনুযায়ী খেলছেন। তার বাইরে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।

    বাইশ গজেও বদলা ভারতের

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই দাবিই তুলেছিলেন হরভজন সিং। না ক্রিকেট, না বাণিজ্য— পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও রকম সম্পর্কই দেখতে চাননি তিনি। বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেট হল। ক্রিকেট ম্যাচেও ‘বদলা’ নিল ভারত। শুধু ‘বদলা’ নয়, একেবারে দুরমুশ করে বদলা। রবিবার দুবাইয়ে ভারত জিতল সাত উইকেটে। পড়শি দেশের তোলা ১২৭/৯ ভারত টপকে গেল ২৫ বল বাকি থাকতেই। রবিবার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুলদীপ যাদব। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, শেষটাও সে ভাবেই হল। টসের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একে অপরকে ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানাননি। তবে সৌজন্য না দেখালেও দুই দলের কেউই বিপক্ষকে অসম্মান করেননি। খেলা শেষেও সেটাই করল ভারত। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান গোটা ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি। মাঠেই ‘বদলা’ নিলেন সূর্যেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ছেলেখেলা করে জিতলেন তাঁরা।

    উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত

    ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই (India vs Pakistan) কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।” তবে, ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট। উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত। বার্তা স্পষ্ট, সন্ত্রাসে মদতকারীদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্যই চলে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি টিম ইন্ডিয়া।

    পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে

    রবিবার ছিল সূর্যর জন্মদিন। সেটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠল পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি নিজে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। আর সব শেষে এসে সূর্যর বক্তব্যে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটভক্তরা। তিনি বলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, “কয়েকটা কথা বলতে চাই। এর থেকে ভালো সুযোগ হয়তো পাব না। আমার মনে হয় স্পোর্টসমানশিপের ঊর্ধ্বেও কিছু জিনিস আছে। আমরা পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীরও পাশে রয়েছি। আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, খেলতে আসছি। এর যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলাম। মাঠেই এর যথাযথ জবাব দিয়েছি। বিসিসিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।”

  • India vs Pakistan: ‘কেন্দ্রের নীতি মেনেই খেলা হবে’, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ভারত

    India vs Pakistan: ‘কেন্দ্রের নীতি মেনেই খেলা হবে’, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে! রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এবং পাকিস্তান শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচের এক বছর তিন মাস পর আবার তারা মুখোমুখি। অপারেশন সিঁদুরের পর বাইশগজে প্রথম লড়াই।

    ভারত সরকারের নীতিই মানবে বিসিসিআই

    শুক্রবার আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল দুই দলের লড়াইয়ের আগে টিম ইন্ডিয়াকে শুভকামনা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, টিম ইন্ডিয়া কেবল সরকারের নীতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পটভূমিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তবে সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে ধুমাল বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার জন্য শুভকামনা। সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলব না। তবে এসিসি কিংবা আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলব। তাই সরকার যা বলবে সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।”

    এশিয়া কাপে আধিপত্যের লড়াই

    এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দল নামাতে চলেছে বিসিসিআই। যা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা দ্বিধাবিভক্ত। একটা অংশের মত, হিংসা আর খেলাধুলো একসঙ্গে চলতে পারে না। আবার কেউ কেউ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এই আবহে অরুণ ধুমালের মন্তব্য। রবিবাসরীয় দ্বৈরথে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া ভারত। শেষ টি-টোয়েন্টি সাক্ষাতের পর দুই দলেই অনেক বদল এসেছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যেমন ভারতের হয়ে আর খেলেন না, তেমনই পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েছেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানেরা। ফলে রবিবার যে দুই দল খেলবে, সেখানে অনেকেই নতুন মুখ।

    পাকিস্তানের চিন্তা ব্যাটিং, আফ্রিদি-কে আটকানো লক্ষ্য ভারতের

    জয় দিয়েই এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। ওমানকে হারিয়েছে ৯৩ রানে। তবে, পাকিস্তানকে ১৬০ রানের বেশি এগোতে দেয়নি ওমানের বোলিং। পাকিস্তানকে চিন্তায় রেখেছে তাদের ব্যাটিং। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার ফকর জামান। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি ভালো খেলেন। তবে বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং সামলানো তাঁর কাছে কঠিন কাজ হতে চলেছে। বরুণের বলে বৈচিত্র এতই বেশি যে আগে থেকে অনুমান করা যায় না পরের বলটা কেমন হতে চলেছে। বরুণের দায়িত্ব থাকবে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে শান্ত রাখার। ওমান ম্যাচে মহম্মদ হ্যারিসের ইনিংস নজর কেড়েছে। দলের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনিই। তার থেকেও বড় কথা, স্ট্রাইক রেটও ভাল রেখেছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করুক বা পরে, হ্যারিসকে দ্রুত ফেরানোর লক্ষ্য থাকবে ভারতের। আর সেই কাজে যিনি সাহায্য করতে পারেন তিনি কুলদীপ। হ্যারিসের অভ্যাস রয়েছে চালিয়ে খেলার। তাই কুলদীপ বোকা বানিয়ে বোল্ড করার সুযোগ পাবেন। কুলদীপের আঙুলের হালকা মোচড় হ্যারিসকে সাজঘরে ফেরাতে পারে। অন্যদিকে এশিয়া কাপে দুরন্ত শুরু করেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি বা সুফিয়ান মুকিম-কে ধরে খেলতে হবে সূর্যকুমারদের।

LinkedIn
Share