Tag: Assam

Assam

  • Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের সুস্বাদু ব্ল্যাক টি (Assam Tea), কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রূপোর ঘোড়ার মূর্তি, নকশাদার টি-সেট এবং ভগবদ্‌ গীতার রুশ ভাষার সংস্করণ – এইসব উপহার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুতিনকে উপহার (Assam Tea)

    শ্রীমদ্‌ ভগবদ্‌ গীতা হল এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় অর্জুনকে তাঁর কর্তব্য, চিরন্তন আত্মা এবং আত্মিক মুক্তি সম্পর্কে উপদেশ দেন। এর চিরন্তন জ্ঞান নৈতিক জীবনযাপন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তরের শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন অনুবাদের মাধ্যমে এটি আজ বিশ্বের আধুনিক পাঠকদের কাছেও সহজলভ্য হয়েছে (PM Modi)। উর্বর ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে উৎপাদিত অসম ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি স্বাদ, উজ্জ্বল রঙ এবং ‘অসমিকা’ জাতের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত, এটি ভূমি, জলবায়ু ও কারুশিল্পের দ্বারা গঠিত সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক।

    সমৃদ্ধ শিল্পকলা

    জটিল নকশা ও খোদাই করে নির্মিত মুর্শিদাবাদের সুসজ্জিত রুপোর চা-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ শিল্পকলা এবং ভারত ও রাশিয়ার চা সংস্কৃতির গভীর গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। আধিকারিকরা জানান, ভালোবাসা ও স্নেহের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেওয়া এই সেট ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব ও চায়ের চিরন্তন অনুষঙ্গকে উদযাপন করে। সূক্ষ্ম শিল্পকৌশলে সজ্জিত মহারাষ্ট্রের হাতে তৈরি রৌপ্য ঘোড়াটি ভারতের ধাতু কারুশিল্পের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে। হাতে তৈরি ঘোড়ার ঠাঁট-ঠমকপূর্ণ, সামনের দিকে এগিয়ে চলার ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং নিরন্তর অগ্রগতির রূপক। আগ্রায় হাতে তৈরি মার্বেল পাথরের দাবা সেট সূক্ষ্ম কারুশিল্প ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের সমন্বয়, যা ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট’ (ODOP) উদ্যোগের অধীনে এ অঞ্চলের পাথরের শিল্পঐতিহ্যকে তুলে ধরে (Assam Tea)।

    কাশ্মীরি জাফরান, স্থানীয়ভাবে ‘কোং’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত, কাশ্মীরের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। রঙ, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য এটি বিখ্যাত (PM Modi)। গভীর সাংস্কৃতিক ও রন্ধনপ্রণালীগত গুরুত্বও বহন করে কাশ্মীরি জাফরান।

  • Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অসমের চা-বাগান (Tea Workers) কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam Govt)। রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সম্প্রতি একটি বিল পাস হয়েছে, এর মাধ্যমেই চা-বাগানের ‘শ্রমিক লাইনে’ বসবাসরত বাগান শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে দীর্ঘদিনের দাবির সমাধান করতে অসম ফিক্সেশন অফ শিলিং অন ল্যান্ড হোল্ডিংস সংশোধনী বিল ২০২৫ পাশ হয়েছে।

    ঐতিহাসিক মুহূর্ত (Assam Govt)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই আইনকে এই সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনিশ্চয়তার প্রজন্ম থেকে মালিকানার ভবিষ্যতের দিকে। ল্যান্ড শিলিং অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৫ অসমের চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তাদের ভূমির বৈধ অধিকার দেবে। ন্যায়ের জন্য এক বিশাল পদক্ষেপ এবং অসমের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” বর্তমানে চা-বাগানের শ্রমিকরা শ্রমিক লাইনের জমিতে মালিকানা ছাড়াই বসবাস করছেন। সংশোধিত আইনের ফলে শ্রমিক লাইনগুলোকে ‘আনুষঙ্গিক ব্যবহারের’ আওতা থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে তাদের জমির অধিকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, এর ফলে চা-বাগান শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং উচ্ছেদের ঝুঁকি কমবে।

    ভূমির উত্তরাধিকার

    আইনের ওই সংশোধনে আরও বলা হয়েছে, এই ভূমি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যাবে। তবে প্রথম ২০ বছর বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। বিধানসভায় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ বছর পর জমি বিক্রি, লিজ, হস্তান্তর, দান বা অন্য কোনওভাবে স্থানান্তর করা যাবে, তবে শুধুমাত্র একই বাগানে বসবাসকারী চা-বাগান শ্রমিকদের মধ্যেই (Assam Govt)।” এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্য সরকার উন্নয়ন ও পুনর্বণ্টনমূলক ব্যবহারের জন্য উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করতে পারবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের আবাসনকে মূলধারার সরকারি আবাসন, সামাজিক কল্যাণ এবং জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করতে পারবে বলে সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে (Tea Workers)। জানা গিয়েছে, জমির মালিকানা পাওয়ার পর ৩.৩ লক্ষাধিক চা-বাগান শ্রমিক পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জমিতে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবে (Assam Govt)।

  • Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি খুন।” মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে ইয়ট ভ্রমণের সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর বাহান্নর গায়ক-সুরকার জুবিনের। প্রথমে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছিল রহস্যজনক দুর্ঘটনা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে আরও গুরুতর তথ্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ (Himanta Biswa Sarma)

    বিরোধী দলের আনা স্থগিতাদেশ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অসম পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এটি ছিল একেবারে সোজাসাপ্টা খুন।” তাঁর দাবি, একজন ব্যক্তি সরাসরি জুবিন গর্গকে হত্যা করেছে এবং আরও কয়েকজন এ কাজে তাকে সহায়তা করেছে। তাঁর মতে, এখন চার থেকে পাঁচজনকে এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

    সিট গড়ল রাজ্য সরকার

    উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন গর্গ । তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসমজুড়ে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়। দাবি জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। এর পাশাপাশি, কী ঘটেছিল তা যাচাই করতে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়ার নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয় (Himanta Biswa Sarma)। সিট তদন্ত শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই জুবিনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন, এনইআইএফ সংগঠক শ্যামকানু মহন্ত, গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, তাঁর দুই ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমিত প্রভ মহন্ত, এবং তাঁর এক আত্মীয় সন্দীপন গর্গ, যিনি অসম পুলিশের একজন প্রবীণ আধিকারিক (Zubeen Garg)। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী – নন্দেশ্বর বরা এবং প্রবীন বৈশ্যকেও। কারণ তদন্তকারীরা তাদের ব্যাঙ্কের হিসেব থেকে ১.১ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিট খুব শীঘ্রই একটি চার্জশিট জমা দেবে। গর্গকে হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য রাজ্যবাসীকে হতবাক করবে (Himanta Biswa Sarma)।”

  • Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”

    দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)

    জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।

    অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

    প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

  • Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে খতম চার কুকি জঙ্গি। মণিপুরের (Manipur) চূড়াচাঁদপুর জেলার ঘটনা। সোমবার ভোরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অসম রাইফেলস গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান শুরু করে। ‘অপারেশন খানপি’ নামের এই অভিযান চালানো হয় জেলা সদর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিমি দূরের খানপি গ্রামে। অভিযান শুরু হয় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ। সেই সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists)-র জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মির চার জঙ্গি নিকেশ হয়। ওই দলের বাকি জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয় পাশের জঙ্গলে। ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি একটি নন-সাসপেনশন অফ অপারেশনস গোষ্ঠী, যারা সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি হিংসার ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাম প্রধানকে হত্যা, সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়া এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা। আধিকারিকরা জানান, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল সংগঠনের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা দমন করা এবং স্থানীয় জনগণের ওপর সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করা।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৪ নভেম্বর ২০২৫ সালের সকালে গোয়েন্দা-তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানের সময় জঙ্গিরা বিনা উসকানিতে একটি সেনা কনভয়ের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা অভিযানে চার সশস্ত্র জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনি ও ঘেরাও অভিযান চলছে। কোনও জঙ্গি যেন পালাতে না পারে, তাই এই তল্লাশি (Manipur)।

    প্রসঙ্গত, কুকি-জো গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অপারেশন স্থগিত (SOO) চুক্তির অংশ হলেও, ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists) এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।  তাই তাদের কাজকর্মই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই অভিযান মণিপুরের সংঘাতে দীর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ (Manipur)।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) ‘আমার সোনার বাংলা’। ঘটনায় তোলপাড় অসমের (Assam) রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত শ্রীভূমি জেলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য (Assam)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা ভারতের প্রতি এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এক প্রকাশ্য অসম্মান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কংগ্রেস আসলে বাংলাদেশে কিছু মানুষের সেই ধারণাকেই সমর্থন করছে, যে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল নাকি তাদের দেশের অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেসের সেবা দলের বৈঠক হয় মঙ্গলবার। বৈঠকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় বছর পঁচাশির এক ব্যক্তি গানটির দু’টি লাইন গাইছেন। ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে, গায়ক দাঁড়িয়ে গান করলেও, অন্যান্যরা সবাই বসে ছিলেন। গানটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও তিনিই।

    কী বলল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের (Assam) অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাদের পঁচাশি বছর বয়সী কবি বিধুভূষণ দাস গানটির মাত্র দু’টি লাইন গেয়েছেন।” তাঁর দাবি, গানটিকে অপমান করা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা। অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে এবং গানটির পেছনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে।” তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করলেও তাদের আচরণ বারবার বাংলা ভাষা ও বাঙালি জনগণের প্রতি অপমানজনক হয়ে উঠেছে।”

    গৌরবের (Assam) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির উচিত ছিল দলীয় নেতাদের পক্ষ নেওয়ার বদলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তান সরকারের একটি পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে (National Anthem) পাকিস্তান মহম্মদ ইউনূসকে একটি উপহার দিয়েছে, যেখানে ত্রিপুরা ও অসমকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কংগ্রেস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘ডট ডট’ দল। খারাপ শব্দটি আমি বলতে চাই না।”

  • Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে কংগ্রেসের এক সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (Bangladesh National Anthem Controversy) ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অসমের করিমগঞ্জ জেলার শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেস সেবাদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি-র দাবি, কংগ্রেসের ‘বাংলাদেশ প্রীতি’ দেখার মতো৷ বিজেপি-র কথায়, যে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতকে নিজের মানচিত্রের মধ্য ঢুকিয়ে ভারত বিরোধী বার্তা দিতে চায়, সে দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত ভারতে বসে গাইছেন কংগ্রেসকর্মী৷

    বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল

    গত ২৭ অক্টোবর অসমের শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে তোলা ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন৷ কংগ্রেস সেবাদলের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে গানটি গাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ সেই ভিডিওর কথা উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল দাবি করেন, ‘কংগ্রেস সব সময় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংহল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” অসমের শ্রীভূমিতে কংগ্রেসের সভায় গাওয়া হয়েছে – সেই দেশ যারা উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভারতের থেকে আলাদা করতে চায়! সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে৷ এখন এটা স্পষ্ট যে, কংগ্রেস কেন কয়েক দশক ধরে অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়ে এসেছে এবং উৎসাহিত করেছে – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যা তথা ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন এনে “বৃহত্তর বাংলাদেশ” তৈরি করতে চেয়েছে।

    অসম বিজেপি ইউনিটের তীব্র প্রতিক্রিয়া

    অসম বিজেপি ইউনিটও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, যেখানে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিজের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। এখন সেই বাংলাদেশ-আচ্ছন্ন কংগ্রেস গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে অসমে। যদি কেউ এই উদ্দেশ্য দেখতে না পায়, তবে সে হয় অন্ধ, নয় সহযোগী, নয়তো উভয়ই।’ অসম বিজেপির দাবি, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের তোষণ করতেই কংগ্রেস এই গান গেয়েছে৷ রাজ্য পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি, তবে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অভিযোগ দায়ের করা হলে ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখা হতে পারে।

    কংগ্রেসের বাংলাদেশ-প্রীতি নিয়ে সরব নেটিজেনরা

    প্রসঙ্গত, ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে রচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন সে সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৯১১ সালে তা রদ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন৷ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিচয় ঘুচিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার পরে সে দেশ রবি ঠাকুরের এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করে৷ অসমের শ্রীভূমি জেলা, যা আগে করিমগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল, সেটি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন৷ বরাক উপত্যকার এই অংশটি বাঙালি অধ্যুষিত৷ যদিও গানটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট, কিন্তু বিজেপির দাবি, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ‘দেশদ্রোহিতার সামিল’। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, অনেকেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি আইনবিদ নই, তবে সাধারণ বুদ্ধি বলছে এটি দেশদ্রোহিতা। যদি এটি সত্যি হয়, তবে এসব লোকদের ভারতের পতাকা তলে থাকার কোনও অধিকার নেই—আশা করি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।” অন্য একজন বলেন, “এদের লজ্জা হওয়া উচিত… ভিন্ন মতাদর্শ থাকা ঠিক, তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” একজন ব্যবহারকারী কংগ্রেসকে “দেশের বিরুদ্ধে সবকিছুর পক্ষে দাঁড়ানো” বলে অভিহিত করেছেন, এবং আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কংগ্রেস অসমকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়, এবং এটি তার প্রমাণ।”

  • Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে ঘটেছিল নেল্লি  গণহত্যাকাণ্ড। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গঠিত হয় তিওয়ারি কমিশন। ১৯৮৫ সালে রিপোর্টও (Tiwari Commission Repot) দেয় কমিশন। তার পর থেকে প্রায় চার দশক পার হয়ে গেলেও, প্রকাশ্যে আসেনি ওই রিপোর্ট। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা ঘোষণা করল অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। অসমবাসী জানতে পারবেন বর্তমান নগাঁও জেলার এই নৃশংস গণহত্যার প্রকৃত সত্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা (Tiwari Commission Repot)

    সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৮৩ সালে নেল্লিতে একটি ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল, নাম ছিল তিওয়ারি কমিশন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কমিশনের রিপোর্ট কখনও রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। আসন্ন ২৫ নভেম্বরের বিধানসভার অধিবেশনে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৯৮৩ সালের নেল্লি গণহত্যার প্রেক্ষিতে গঠিত তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট পেশ করব।” তিনি বলেন, “এটি অসমের ইতিহাসের একটি অংশ, যা পরে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা স্টাডি এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে অন্তত মানুষ সেই সময়ে কী ঘটেছিল, তার সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।”

    নেল্লি হত্যাকাণ্ড

    ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অসমের মধ্যাঞ্চলের নেল্লি এলাকায় এবং তার আশপাশে ঘটেছিল নেল্লি হত্যাকাণ্ড। এই সময় অসম আন্দোলন বা বিদেশি বিরোধী আন্দোলন ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মানুষ। সেই সময় এলাকার শয়ে শয়ে আদিবাসী বাঙালি মুসলমানদের বসতিতে আক্রমণ চালিয়েছিল। দা, বর্শা ও লাঠি হাতে নিয়ে উন্মত্ত জনতা তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল, অবরোধ করেছিল রাস্তা, যারা প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২৭ জন নারী এবং ২৫৩ জন শিশু। যদিও মানবাধিকার সংগঠন এবং গবেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা এই হিসেবের তুলনায় অনেক বেশি। অভিযোগ, পুলিশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সিআরপিএফ পৌঁছনোর পর (Tiwari Commission Repot)।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিই শূন্য ছিল ১৯৮০ সাল থেকে। বিদেশি-বিরোধী আন্দোলনের জেরে ১৯৮২ সালে ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভাও। পরের বছর ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় চার দফায় হবে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন বয়কট করেন অসম আন্দোলনের সমর্থকরা। তা সত্ত্বেও হিংসা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই ভোট হয়। জয়ী হয় কংগ্রেস। হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে সোনিয়া গান্ধীর দল। অসম আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে, আসু। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কার করা হোক। তাদের নাম মুছে ফেলা হোক ভোটার তালিকা থেকে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশের মানুষের অবাধ অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাবে অসমের জনসংখ্যাগত কাঠামো (Tiwari Commission Repot)।

    কাঠগড়ায় কংগ্রেস

    নেল্লি হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বাধীন অসমের কংগ্রেস সরকার তৎকালীন আইএএস কর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির নেতৃত্বে তিওয়ারি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৮৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর সইকিয়ার কাছে ৬০০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পেশ করে। যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এই রিপোর্ট পেশ করা হয়নি বিধানসভায়। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারের নথিপত্রে মাত্র তিনটি শ্রেণিবদ্ধ (classified) কপি সংরক্ষিত রয়েছে (Tiwari Commission Repot)। গত চার দশকে রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয়নি, তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। অনেকে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ায়।

    কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট

    যদিও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রিপোর্টটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলেন, “অসম সরকারের কাছে থাকা ৬০০ পৃষ্ঠার তিওয়ারি কমিশন রিপোর্টের কপিগুলিতে কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির সই ছিল না। তাই প্রতিবেদনটি আসল কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা তখনকার বিভিন্ন কেরানির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, ফরেনসিক পরীক্ষাও করেছি এবং রিপোর্টটি সত্য বলে জানতে পেরেছি। আগের বিভিন্ন সরকার রিপোর্ট প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু কোনও না কোনও সরকারকে এটি প্রকাশ করতেই হত। কারণ এটি আমাদের ইতিহাসের একটি অধ্যায় (Tiwari Commission Repot)।”

  • Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় (Tripura) ধর্ষণের শিকার ১৪ মাসের সংখ্যালঘু শিশুকন্যা (Infant Raped)! পরে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় বাচ্চাটিকে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুটিরই সম্পর্কিত মামাদাদু। শিশুটিকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমার জয়নালউদ্দিন। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় অসমের নীলম বাজার এলাকা থেকে জয়নালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছে ত্রিপুরায়।

    শিশুটি নিখোঁজ (Tripura)

    জানা গিয়েছে, শিশুটিকে নিয়ে তার মা বেড়াতে গিয়েছিলেন মামাদাদুর বাড়িতে। ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই মহিলা শিশুটিকে তাঁর কাকার কাছে রেখে কাছের বাজারে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন, শিশুটি নিখোঁজ। এক প্রত্যক্ষদর্শী তাঁকে জানান, জয়নালউদ্দিন শিশুটিকে কাছের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে না আসায় শিশুকন্যাটির মা এবং পরিবার পুলিশে খবর দেয়। তদন্তে নামে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দেখা যায়, ঘরের পেছনের উঠোনে পুঁতে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে।

    যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই একরত্তির। অভিযুক্ত জয়নাল গা-ঢাকা দেন। রবিবার সকালে শিশুটির মামাদাদু এফআইআর দায়ের করেন। এদিনই অভিযান শুরু করে পুলিশ। জয়নালকে গ্রেফতার করা হয় অসমের শ্রীভূমি জেলার নীলম বাজার এলাকা থেকে (Tripura)। জানা গিয়েছে, অসমের শিলচর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল জয়নাল। তার সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়  পুলিশ। এসডিপিও রাহুল বলহারা জানান, অভিযুক্ত জয়নালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শিশুটির ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে (Infant Raped)। এই অমানবিক ও জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী (Tripura)।

LinkedIn
Share