Tag: Assam CM Himanta Biswa Sarma

Assam CM Himanta Biswa Sarma

  • Himanta biswa Sarma: “এনআরসি’তে আবেদন না করলে মিলবে না আধার”, বড় ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta biswa Sarma: “এনআরসি’তে আবেদন না করলে মিলবে না আধার”, বড় ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড ইস্যু করার নিয়মে বড় ঘোষণা করল অসমের বিজেপি সরকার। এনআরসিতে আবেদন না করলে আধার নয়, এমনই ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।অনুপ্রবেশকারী শনাক্তকরণের লক্ষ্যে সে রাজ্যে আধার কার্ড পেতে হলে এনআরসিতে আবেদন করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল। শনিবারই সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta biswa Sarma)।

    কী বলছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta biswa Sarma) 

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta biswa Sarma) বলেছেন, ‘‘আধার কার্ডের জন্য আবেদন করাটা শুধু নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার আবেদন করা নয়। এর মধ্যে বহু সন্দেহভাজন নাগরিক আছেন। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার থেকে আধার কার্ডের জন্য এনআরসিতে আবেদনের রিসিপ্ট নম্বর দিতে হবে।’’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনুপ্রবেশকারী বিদেশিদের চিহ্নিত করতে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অসমে আর আধার কার্ড পাওয়াটা সহজ হবে না।’’

    জনসংখ্যার চেয়েও আধারের আবেদনের সংখ্যা বেশি

    অসম সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যের চার জেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক আধার কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে, যা সেখানকার মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই চার জেলা হল, বরপেটা-১০৩.৭৪ শতাংশ, ধুবরি-১০৩ শতাংশ, মরিগাঁও এবং নগাঁও-১০১ শতাংশ করে। কাকে আধার কার্ড দেওয়া হবে, আর কাকে নয়, তা ঠিক করার ক্ষমতা রাজ্যের হাতেই আছে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত।

    নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের পরেই নতুন আধার কার্ড দেওয়া হবে

    হিমন্ত (Himanta biswa Sarma) বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, অসমে জেলার কমিশনার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিলে, তবেই নতুন আধার কার্ড দেওয়া হবে। ওই নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার। আবেদনকারীর কাছে যদি এনআরসি-র আবেদনপত্রের নম্বর থাকে এবং ২০১৪ সালের আগে থেকে যদি রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার নথি থাকে, তবেই তাঁকে আধার কার্ড দেওয়া হবে।’’

    বেআইনি অনুপ্রবেশের খবর সরকারকে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

    প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে পড়শি দেশ বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে ঢুকে পড়েছেন বলে খবর। সেই বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করতে সরকার কোনও খামতি রাখবে না বলে জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পাশাপাশি, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের বেআইনি অনুপ্রবেশের খবর সরকারকে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। জঙ্গিরা নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। নিজেদের মধ্যে সংগঠনের কাজ চালাতে নানান ধরনের আধুনিক অ্যাপ ব্যবহার করছে তারা। যাতে করে সহজে তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিমত, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma)। সাম্প্রতিককালের পাঁচটি ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলামের (Ansarul Islam) যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত। গোটা বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। প্রশাসন কাজ করছে, তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেহভাজন মনে হল পুলিশকে খবর দিতে বলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    এদিন উদ্বেগের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আনসারুল ইসলামের সদস্য ৬ জন বাংলাদেশি অসমে ঢুকেছে। এরা রাজ্যে ঢুকে তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদী মগজধোলাই দিচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে বারপেতা (Barpeta) থেকে এদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।” হিমন্ত অভিযোগ করেন, রাজ্যে বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসায় ছাত্রদের মগজধোলাই করছে। যা রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়। তিনি বলেন, “জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে ফোনে কথোপকথন করে না। ফোন ট্যাপ হওয়ার ভয়ে তারা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে। টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের অনুরূপ অ্যাপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে প্রচার চালায় তারা। এর ফলে সহজে তাদের ট্র্যাক করা যায় না।”

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “জঙ্গি কার্যকলাপ আর জিহাদি কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মগজধোলাই দেওয়া থেকে বিষয়টা শুরু হয়। এরপরে ইসলামী মৌলবাদের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সব শেষে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া।” অসম পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) হীরেন নাথ জানান, ধরা পড়া জঙ্গিদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে দেখা গিয়েছে, তারা বিশেষ বিশেষ গ্রুপ ব্যবহার করে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কাজ চালায় তারা। তারা কীভাবে প্রচার চালায় তা অভিযানের সময় প্রাপ্ত বিভিন্ন নথি থেকে  জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনই নিরাপত্তার খাতিরে তা বিশদে বলা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

     

LinkedIn
Share