Tag: Assam

Assam

  • Assam: কেজরিওয়ালকে সপাটে জবাব বিশ্বশর্মার, অসমে স্কুল উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা 

    Assam: কেজরিওয়ালকে সপাটে জবাব বিশ্বশর্মার, অসমে স্কুল উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলির (School) পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্যে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাহলে কি এবার কেজরিওয়াল-বিশ্বশর্মা (Arvind Kejriwal) ট্যুইট যুদ্ধে যবনিকা পতন? মুখ বন্ধ হবে কেজরিওয়ালের? 

    একটা নয় দেশে যদি আমরা ৫টি রাজধানী পেতাম…! এ কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    কিছুদিন আগেই ৩৪ টি সরকারি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত অসম সরকার। স্কুলগুলিতে শিক্ষার অবস্থা শোচনীয় হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। জানা গিয়েছে, এই ৩৪টি স্কুল থেকে এ বছর দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় কোনও পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারপরেই সে রাজ্যের সরকার স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। চাঁচাছোলা বাক্যবাণে আসাম সরকারের এই সিদ্ধন্তের তীব্র সমালোচনা করেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইটে লেখেন, “স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কখনওই সমাধান হতে পারে না। আমাদের প্রয়োজন দেশজুড়ে আরও নতুন স্কুল তৈরি করা এবং স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পরিবর্তে সেগুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরও উন্নত করা।” 

    এরপর শুরু হয় দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ট্যুইট যুদ্ধ। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর পাল্টা ট্যুইটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে শিক্ষা ব্যবস্থার কী উন্নতি হয়েছে তা দেখতে তিনি সেই রাজ্যে আসবেন। আর তারপরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: অসমে ফের আলকায়দা জঙ্গির খোঁজ! যোগ মধ্যপ্রদেশ, বাংলার সঙ্গেও

    জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় বিশ্বশর্মা বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের স্কুলগুলিকে উন্নত করতে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করব। এর ফলে বেসরকারি স্কুলগুলির থেকেও দেখতে ভালো হবে রাজ্য সরকারের স্কুলগুলি। আমরা স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত মানও উন্নত করব। এভাবেই রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার আসবে।”

    এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই কি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জবাব দিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা? এরপর কী প্রতিক্রিয়া আসবে কেজরিওয়ালের তরফ থেকে? এবার সেদিকেই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে নেট মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

     
     

     

     

  • Himanta Biswa Sarma: একটা নয় দেশে যদি আমরা ৫টি রাজধানী পেতাম…! এ কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: একটা নয় দেশে যদি আমরা ৫টি রাজধানী পেতাম…! এ কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র দিল্লি (Delhi) নয়, দেশের প্রতি জোনে একটি করে পাঁচটি রাজধানী স্থাপন করার কথা বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Assam Chief Minister) হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ( Himanta Biswa Sarma)। তাঁর মতে, এর ফলে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থনৈতিক অসাম্য দূর হবে। 

    গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে ট্যুইট-বিতর্কে জড়িয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এরই মধ্যে সোমবার,ট্যুইট বর্তায় হিমন্ত জানান ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এখন অন্য রাজ্যকে উপহাস করা অভ্যাসে পরিণত করেছেন। তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদের পরে, আমার মনে হয়েছে, দরিদ্র রাজ্যগুলিকে উপহাস না করে, আমাদের অসাম্যের রোগ নিরাময়ের লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। আমরা কি ভারতের ৫টি রাজধানী পেতে পারি না, প্রতি জোনে একটি করে?’

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেছেন, ‘এতে দিল্লির মতো সরকারগুলির হাতে উত্তর–পূর্ব এবং পূর্বের রাজ্যগুলির তুলনায় বিশাল সম্পদ না থাকাটা নিশ্চিত হবে আবার উল্টোটাও হবে। আর অবশ্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির আশীর্বাদে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা যা করছি, তা গত ৭৫ বছরে অজানা ছিল। অবশেষে, সাত দশকের অস্বীকৃতি ও অবহেলার পর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০১৪ সালে উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে মূলধারায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং সেই অগ্রগতির গতি নিরবচ্ছিন্ন। উত্তর–পূর্বের সহানুভূতি এবং উপহাসের প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন আমরা যা পাইনি–সম্মান, সম্পদ এবং পুনর্জন্ম।’

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন

    প্রসঙ্গত, এর আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতের চারটি পৃথক জ়োনে চারটি পৃথক রাজধানী স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও উত্তর পূর্ব – দেশের এই চার প্রান্তে চারটি রাজধানী স্থাপনের বিষয়ে সংসদীয় অধিবেশনে দলের সাংসদদের দাবি তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার সেই একই রকম দাবি জানালেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam’s New Rules: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    Assam’s New Rules: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম এবং মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হবে। জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আল কায়দার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে অসম থেকে গত চারমাসে অন্তত ২৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছে।

    গত কয়েকদিনে অসমের একাধিক জায়গায় থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এদের অনেকেই সেখানের ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন। তারা বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন  আনসারুল্লা বাংলা টিমের (Ansarullah Bangla Team) সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে ধৃতরা জিহাদি কাজ এবং আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (Al Qaida in Indian Subcontinent) সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি অসম পুলিশের। একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়ার জেরেই নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম প্রশাসন।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma)  আবেদন, গ্রামের লোকজন যদি তাঁদের এলাকায় অপরিচিত ইমামদের দেখেন তাহলে তাঁরা যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান।  তিনি বলেন, “রাজ্যে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরে এখানে নতুন একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (Standard Operating Protocol) চালু করা হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসাবে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে মাদ্রাসায় আসছেন তাঁদের সম্পর্কে একটি ‘পোর্টাল’ করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: আল কায়দা যোগ, অসমে গ্রেফতার দুই ইমাম! কী মিলল তাদের কাছ থেকে?

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার জঙ্গি যোগের অভিযোগে গোয়ালপাড়া থেকে দুজন ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে পোর্টাল খোলা হবে, তার  মাধ্যমে ইমাম ও বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক যারা অসমের বাইরে থেকে আসছেন তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে কবে থেকে এই পোর্টাল চালু হবে তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি।

    এদিকে গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার ভিভি রাকেশ রেড্ডি জানিয়েছেন, ওই ইমামরা জেহাদি স্লিপার সেল তৈরির কাজ করত। তল্লাশি চালিয়ে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু বই, পোস্টার, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে অসম পুলিশ। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও পরিচয় পত্র।

  • Al Qaeda terrorist in Assam: অসমে ফের আলকায়দা জঙ্গির খোঁজ! যোগ মধ্যপ্রদেশ, বাংলার সঙ্গেও

    Al Qaeda terrorist in Assam: অসমে ফের আলকায়দা জঙ্গির খোঁজ! যোগ মধ্যপ্রদেশ, বাংলার সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসমে আবার একজনকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার ভি ভি রাকেশ রেড্ডি (VV Rakesh Reddy) জানান, ধৃতের নাম আব্দুস চোবাহান (Abdus Chowahan)। তাঁকে বঙ্গাইগাঁও জেলার জোগিঘোপা (Jogighopa) থানার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তি আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (Al-Qaeda Indian Subcontinent) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম (Ansarullah Bangla Team) এর সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই ওই এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দুই ইমামকে। আব্দুসের সঙ্গে ওই দুই ইমামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলেও জানিয়েছেন গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার। 

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জঙ্গিদের বিভিন্ন ডেরায় অভিযান চালায় অসম পুলিশ। এর ফলে তারা জানতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়  নাশকতার ছক কষছিল এই জঙ্গীরা। এই উদ্দেশে অসমে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পও স্থাপন করেছিল তারা। এদিন অভিযানের সময় জঙ্গিদের কার্যকলাপ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসে অসম পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে ৬জন বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদী অসমে প্রবেশ  করে। এদের মূল লক্ষ ছিল অসমের চর এলাকা এবং মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলি। 

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর সেই ইদগাহ ময়দানে এবার গণেশ চতুর্থী পালনের অনুমতি হাইকোর্টের

    ডিজিপি অসম ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ৩৪ জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম পুলিশ এই ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। বাংলাদেশীরা কিছু সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।” ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলা ও মধ্যপ্রদেশের যোগ রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। জঙ্গিরা নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। নিজেদের মধ্যে সংগঠনের কাজ চালাতে নানান ধরনের আধুনিক অ্যাপ ব্যবহার করছে তারা। যাতে করে সহজে তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিমত, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma)। সাম্প্রতিককালের পাঁচটি ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলামের (Ansarul Islam) যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত। গোটা বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। প্রশাসন কাজ করছে, তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেহভাজন মনে হল পুলিশকে খবর দিতে বলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    এদিন উদ্বেগের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আনসারুল ইসলামের সদস্য ৬ জন বাংলাদেশি অসমে ঢুকেছে। এরা রাজ্যে ঢুকে তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদী মগজধোলাই দিচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে বারপেতা (Barpeta) থেকে এদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।” হিমন্ত অভিযোগ করেন, রাজ্যে বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসায় ছাত্রদের মগজধোলাই করছে। যা রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়। তিনি বলেন, “জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে ফোনে কথোপকথন করে না। ফোন ট্যাপ হওয়ার ভয়ে তারা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে। টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের অনুরূপ অ্যাপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে প্রচার চালায় তারা। এর ফলে সহজে তাদের ট্র্যাক করা যায় না।”

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “জঙ্গি কার্যকলাপ আর জিহাদি কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মগজধোলাই দেওয়া থেকে বিষয়টা শুরু হয়। এরপরে ইসলামী মৌলবাদের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সব শেষে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া।” অসম পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) হীরেন নাথ জানান, ধরা পড়া জঙ্গিদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে দেখা গিয়েছে, তারা বিশেষ বিশেষ গ্রুপ ব্যবহার করে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কাজ চালায় তারা। তারা কীভাবে প্রচার চালায় তা অভিযানের সময় প্রাপ্ত বিভিন্ন নথি থেকে  জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনই নিরাপত্তার খাতিরে তা বিশদে বলা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

     

  • Al-Qaeda: অসমে আল-কায়দা প্রধানের ভিডিওবার্তা! সতর্ক করল পুলিশ

    Al-Qaeda: অসমে আল-কায়দা প্রধানের ভিডিওবার্তা! সতর্ক করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতেও জাল বুনছে আল কায়দা (Al-Qaeda)। নজরে ভারত ও তৎসংলগ্ন দেশগুলির যুব সমাজ। উত্তর পূর্বের রাজ্য অসমে আল কায়দা (Al-Qaeda) জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষনেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির একটি ভিডিওবার্তা সামনে আসার পর থেকেই এই জল্পনা আরও ঘণীভূত হচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে অসম পুলিশ জানিয়েছে, আল কায়দার ভারতীয় উপ মহাদেশীয় শাখা (Al-Qaeda in Indian Sub continent)  বা সংক্ষেপে ‘আকিস’ (AQIS) এখন অসমে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে। এই গোষ্ঠী তাদের ম্যাগাজিনের সর্বেশেষ সংস্করণটি বাংলায় প্রকাশ করেছে।

    অসম পুলিশের DG ভাস্করজ্যোতি মহন্ত (Bhaskar Jyoti Mahanta) বলেন, “ম্যাগাজিনের সংস্করণ বাংলায় প্রকাশ করার অর্থই হল আল-কায়দা বাংলাদেশ ও অসমের বাংলাভাষী অঞ্চলে নিজেদের সংগঠন সম্প্রসারণ করতে চাইছে।” তাদের উদ্দেশ্য হল, আল-কায়দার ভাবধারা ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য তারা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যে নেটনাগরিকদের মধ্যে আল-কায়দার প্রতি একই ধরনের আবেগ রয়েছে, তাদের মগজধোলাই করে জিহাদি কার্যকলাপের দিকে এগিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই অসমে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন

    গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, মূলত টেকসেভি তরুণ সমাজকে দলে টানাই এই জিহাদিদের প্রধান লক্ষ্য। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ইসলামের নামে খুন করতেও উৎসাহ দেয় এই সংগঠন। তাদের নিশানায় থাকেন মূলত জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতারা। এর পাশাপাশি, আল-কায়দার প্রতি সহানুভূতিশীল ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা তুলে মোটা তহবিল তৈরি করাও এই জঙ্গি মডিউলের অন্যতম কাজ।

    অসমে এখন সক্রিয় রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দা (Al-Qaeda)! সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাক্রম থেকেই এই বিষয়টি সামনে এসেছে। মূলত, সাইবার দুনিয়ায় আল-কায়দার প্রোপাগান্ডা মেনে কাজ করছে এই সংগঠনের সদস্যরা। গত দুদিনে প্রায় ১১ জন জঙ্গি ধরা পড়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, গত কয়েকদিনে জঙ্গিযোগ রয়েছে সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।

  • Al-Qaeda arrested: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অসমের যুবক

    Al-Qaeda arrested: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অসমের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২৪ বছর বয়সী অসমের এক যুবককে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Central Crime Branch) অফিসারেরা। রবিবার ভোর রাতে ৩০ সদস্যের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর (South Bengaluru) জয়নগরের কাছে তিলকনগরে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয়। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বেঙ্গালুরু আসে আখতার হুসেন নামে ওই যুবক। সেখানে খাবার ডেলিভারির কাজ করত। অসম থেকে আসা আরও তিনজন ছেলের সঙ্গে একটি মেসে থাকত সে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার (Bengaluru police commissioner) সিএইচ প্রতাপ রেড্ডি জানান, হুসেনের তিন রুমমেটকেও জেরা করা হচ্ছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়। হুসেনের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার যোগাযোগ রয়েছে। দেশে ধর্মীয় হিংসা ছড়ানো এবং দেশে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ারও প্রমাণ মিলেছে আখতারের বিরুদ্ধে। তবে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সামনে আসবে, বলে দাবি পুলিশের।

    আরও পড়ুন: দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    হুসেনকে জেরা করে সোমবার তামিলনাড়ুর সালেম থেকে অসমের আর একজন যুবককে গ্রেফতার করে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা। তার সঙ্গেও আল কায়দার যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাকে সালেম থেকে বেঙ্গালুরু আনা হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

    সম্প্রতি বাংলাদেশের ধর্মীয় গোঁড়ামি বিরোধী মুক্তমনা ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসের খুনিকেও বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে কর্নাটক পুলিশের স্পেশ্যাল টাক্স ফোর্স। জাল নোটের কারবারের তদন্তে নেমে ফয়জল আহমেদ নামে আনসার উল বাংলার ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। বেঙ্গালুরুতে সাহেব মজুমদার নামে বসবাস করছিল সে। সঙ্গে সেখানে কাজও জুটিয়ে নিয়েছিল এই বাংলাদেশি জঙ্গি। সেও বাড়ি ভাড়া নেওয়ার জন্য অসমের কাছার জেলার বাসিন্দা বলে নথি দেখিয়েছিল।

  • Fund scam:   অসমে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা! অর্থ সাহায্য বিদেশি চার্চের

    Fund scam: অসমে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা! অর্থ সাহায্য বিদেশি চার্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির অন্যান্য অংশে উপজাতি ও চা বাগান এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারিদের (Christian missionaries in tribal and tea garden) দ্বারা বড় আকারে ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি প্রমাণ মিলেছে যে, জার্মানির চার্চ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলি আসামে ধর্মান্তরের জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে।

    অসমের তেজপুরের ডায়োসিস দ্বারা জার্মানির এক চার্চের যাজককে পাঠানো একটি চিঠি দেখে এই কথা জানা যায়। এই চিঠি থেকে বোঝা যায়, বিদেশী দেশগুলি থেকে পাঠানো অর্থে আসামে ধর্ম পরিবর্তনে ব্যবহার করা হয়৷ লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটরি (LRO)এর প্রাপ্ত ওই চিঠিতে দেখা যায়, ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ওই চার্চ থেকে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ওই টাকা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    অনুদানের জন্য ওই যাজককে ধন্যবাদ জানিয়ে, তেজপুরের ডায়োসিস, তার চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে অর্থটি ধর্ম প্রচার (খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর) এবং বিশ্বাস গঠনের জন্য ব্যবহার করা হবে। তেজপুরের ডায়োসিস আরও উল্লেখ করেছে যে মহামারী বিধিনিষেধের সময়, তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সামাজিক কাজের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করবে।

    আরও পড়ুন: এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ

    উল্লেখ্য, অসমে মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। অসমই প্রথম রাজ্য যারা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সংশাপত্র দেওয়ার পথে এগতে চলেছে। সেখানেই ধর্মান্তকরণের এই প্রয়াস সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন একে ধর্মীয় আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্যাপটিস্ট এবং ক্যাথলিকরা আসাম এবং উত্তর পূর্বে সমানভাবে ধর্মান্তরিতকরণে জড়িত। তিনি রাজ্য সরকারকে ধর্মীয় কথোপকথনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত বলেও দাবি তোলে সংগঠনটি।

     

  • Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, রবিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ। এই বছর এই অবধি আসামে বন্যার কারণে জলে ডুবে এবং ভূমি ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বুলেটিনে এদিন বলা হয়, নওগাঁ জেলার ২ জন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং শিবসাগর জেলার  একজন করে জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ২৩ জেলার ১৮,৩৫,৫০০ জন মানুষ এখনও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বরপেটা, কাছার, দারাং, ডিব্রুগড়, হোজাই, কামরূপ মেট্রপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মরিগাঁও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শিবসাগর, এই জেলাগুলি এখনও জলের তলায়।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কাছার জেলা।  সেখানে এখনও ১০.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। তারপরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নওগাঁ (৩.৭৬ লক্ষ), মরিগাঁও (১.৭৬ লক্ষ)। শনিবার অবধি ২৪ জেলায় ২২.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে আটকে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? 

    এখনও ১,৬১৮টি গ্রাম, ৪৭,১৯৮.৮৭ হেক্টর জমি জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ত্রাণকেন্দ্রে ২০ জেলার ৬৫,৭৫৭ জন শিশুসহ মোট ২,৭৮,০৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

    বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য প্রশাসন ৬৮৫.২৬ কুইন্টাল চাল, ডাল, নুন এবং ২,৬৩৪ লিটার সরষের তেল এবং ৪৭৯২.৯২ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করেছে।

    ১২ জেলায় ৫,৯০,৯৪৯ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ। ব্রহ্মপুত্র এবং তিনটি উপনদী কপিলি, ডিসাং এবং বুড়িদিহিং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে ২৬৭৫টি গ্রাম। সেখানের এখনও প্রায় ৯১ হেক্টর জমি জলের তলায়। 

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সাধ্যমত ত্রাণ এবং পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, আমির খানরা। কেন্দ্রের তরফেও সব ধরণের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।   

     

  • Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীর ছেড়ে তাপী নদীর ধার। সেখান থেকে সটান ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়করা! পশ্চিমের বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujrat) ছেড়ে কেনই বা তাঁরা উড়ে গেলেন উত্তর-পূর্বের আসামে (Assam)?  বিশেষত রাজ্যটি যখন বন্যা কবলিত। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে কেন দলবল নিয়ে হাজির হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্যে।

    আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানকার এক রাজকীয় হোটেলে রয়েছেন শিন্ডে সহ শিবসেনার অন্য বিধায়করা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। বুধবার সকালে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা পৌঁছানোর আগেই তাঁর গাড়ি পৌঁছে যায় পূর্ব নির্ধারিত হোটেলে। প্রশ্ন হল, কেন গুজরাট ছেড়ে আসামে আশ্রয় নিলেন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা? বিশেষ করে, দুটি রাজ্য যখন দেশের দুপ্রান্তে অবস্থিত?

    আরও পড়ুন : সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মহারাষ্ট্রের সঙ্গে গুজরাটের দূরত্ব আসামের চেয়ে ঢের কম। তাই বিদ্রোহী বিধায়করা যখন গুজরাটে ছিলেন, তখন শিবসেনার তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। এই বিদ্রোহীদের টোপ দিয়ে দলের মূল স্রোতে ফেরাতে পারলেই শিন্ডের বিদ্রোহে জল ঢালা হয়ে যেত। তা এড়াতেই মধ্যরাতের বিমানে গুজরাট ছাড়েন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামীরা। 

    দ্বিতীয়ত, হিমন্ত বিশ্বশর্মা দক্ষ রাজনীতিবিদ। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দিয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। তাই তাঁর ওপরই ভরসা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমন্তের চালে শিবসেনা-বিরোধীদের মাত দেওয়া সহজ হবে বলেই মনে করছেন পদ্ম নেতারা। সেই কারণেই হিমন্তের রাজ্যের হোটেলে ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। কড়া নিরাপত্তার বলয় ভেঙে যে হোটেলে ঢুকতে পারবে না কাকপক্ষীও। 

    সর্বোপরি, রয়েছে হিমন্তের ওপর বিজেপির অশেষ আস্থা। কংগ্রেস ভেঙে আসা হিমন্ত আসামের একের পর এক নির্বাচনে বিপুল জয় এনে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কার্বি আংলং নির্বাচনেও বিরোধীদের দুরমুশ করে দিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন উত্তর-পূর্বের এই নেতা। তাই মধ্যরাতের বিমানে হিমন্তের ডেরায় পাঠানো হয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

LinkedIn
Share