Tag: Assam

Assam

  • Himanta on Congress: কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই, ভবিষ্যদ্বাণী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর  

    Himanta on Congress: কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই, ভবিষ্যদ্বাণী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবলমাত্র গান্ধীরাই (Gandhis) কংগ্রেসে (Congress) থাকবেন। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। হিমন্ত এই মন্তব্য করার আগে আগেই কংগ্রেস ছেড়েছেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)।

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে দল ছাড়েন গুলাম নবি আজাদ। তার আগে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন দলের দেওয়া পদও। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ জি-২৩ নামে পরিচিত। গুলাম নবি আজাদ ছিলেন এই শিবিরেই। তাঁর দল ছাড়ার প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, কংগ্রেসে প্রত্যেকেই জানেন রাহুল গান্ধী অপরিপক্ক। সোনিয়া গান্ধী দল সম্পর্কে উদাসীন। তিনি শুধু চেষ্টা করছেন তাঁর ছেলেকে নেতা হিসেবে তুলে ধরতে। এটা একটা ব্যর্থ চেষ্টা।

    সোনিয়ার এই ব্যর্থ চেষ্টার কারণেই যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরছে, এদিন তাও জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। এক সময় হিমন্তও ছিলেন কংগ্রেসে। পরে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। হন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সোনিয়ার এই চেষ্টার জন্যই লোকজন কংগ্রেস ছাড়ছেন। তিনি বলেন, আমি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম যে একটা সময় এমন আসবে যখন কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই। এবং সেটাই ঘটছে। তাঁর সংযোজন, প্রকৃতপক্ষে রাহুল গান্ধী ক্রমেই বিজেপির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।

    আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    দল ছাড়ার কারণ দর্শিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন গুলাম নবি আজাদ। তিনি লিখেছিলেন, দলে প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে। অনভিজ্ঞ নেতাদের অযথা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই দল ছাড়ছেন তিনি। কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ। মেয়াদ শেষের পরে আর দাঁড়াননি জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দল ছাড়ার আগে রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, তাঁর অপরিপক্কতার কারণেই কংগ্রেসে এই হাল। বিভিন্ন নির্বাচনে দল হারছে তাঁর দুর্বল পারফরমেন্সের জন্য। প্রসঙ্গত, দল ছাড়ার আগে ১৬ অগাস্ট আজাদ ছাড়েন জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেস প্রচার কমিটির শীর্ষপদ। এদিন সম্পর্ক চুকোলেন কংগ্রেসের সঙ্গেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PFI: অসম পুলিশের হাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার পিএফআই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি

    PFI: অসম পুলিশের হাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার পিএফআই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল অসম পুলিশ (Assam Police) ও এনআইএ (NIA) যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে ১১ জন পিএফআই (PFI) নেতাকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি মিনারুল শেখকে (Minarul Sheikh)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দিল্লিতে (Delhi) গিয়ে অসম পুলিশ গ্রেফতার করে মনিরুলকে। তারপর শুক্রবার তাঁকে গুয়াহাটি (Guwahati) নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় পিএফআই-এর বরাক ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক বজরুল করিমকে। শুক্রবারই কোর্টে তোলা হয় ১১ জন ধৃতকে। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি আদালত। তাদের কাছ থেকে প্রচুর ভারত-বিরোধী নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে এনআইএ-র। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    বৃহস্পতিবার সারা ভারতজুড়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি মোট ২০ জায়গায় তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলে কলকাতার (Kolkata) তিলজলার এক আবাসনে। জানা গিয়েছে এই আবাসনের চার তলায় ভাড়া নিয়ে পিএফআই একটি অফিস করেছে। ওই অফিস বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। মহম্মদ আনোয়ার ওই একই তলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “ওই অফিস সারাদিন বন্ধ থাকত। মৌলবী, ইমামরা আসত। সঙ্গে মাথায় টুপি পরে বেশ কিছু যুবক আসত। ওরা কী করত, আমরা জানি না। কোনওদিন ওদের নাম জিজ্ঞাসা করিনি। কারণ ওদের অফিসের দরজা সবসময় ভেতর থেকে লাগানো থাকত।” 

    আরও পড়ুন: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পাঁচ-ছয়টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কেরল-কর্নাটক থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠন বাংলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদে কাজ শুরু করে। ক্রমেই অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে এখন দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা।  

    জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথম পিএফআই কাজ শুরু করে। কলকাতার তপসিয়া এলাকায় রাজ্য দফতর তৈরি হলেও সংগঠনের অধিকাংশ নেতা মুর্শিদাবাদ-মালদহ জেলার। এ রাজ্যে পিএফআইয়ের সভাপতি হলেন হাসিবুল ইসলাম। গত পাঁচ-ছয় বছর পিএফআই কিছুটা অন্তরালে থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র (CAA) বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও পিএফআই প্রকাশ্যে এসে কার্যকলাপ শুরু করে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুর থানার অন্তর্গত বাখুরি গ্রামে রয়েছে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।

    বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, অসম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। দেশজুড়ে এই ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হচ্ছে। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ , সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share