Tag: Assam

Assam

  • Manipur Violence: বন্ধ ইন্টারনেট, মণিপুরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি! অসমেও মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী

    Manipur Violence: বন্ধ ইন্টারনেট, মণিপুরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি! অসমেও মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির জের অব্যাহত মণিপুরে (Manipur Violence)। তাই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছিল, রবিবার থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে রবিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মণিপুর সরকার। তাতেই বলা হয়েছে, আপাতত বুধবারের আগে চালু হচ্ছে না ইন্টারনেট। রাজ্যের ন’টি জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

    কোন কোন জেলায় নিষেধাজ্ঞা

    রাজ্য সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে বলা হয়েছে, মণিপুরের (Manipur Violence) ন’টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজওল এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। গত মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। চলতি মাসে মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। দিন কয়েক পরে অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে আসে। প্রকাশ্যে আসে শিউরে ওঠার মতো ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। জিরিবামের এই ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। 

    আরও পড়ুন: প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় নাম যোগনগরী হৃষিকেশের, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ধামীর

    অসমে প্রভাব

    রবিবার অসমের (Assam) মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, মণিপুরে (Manipur Violence) যে হিংসা চলছে তার জেরে অসমের শান্তিতে প্রভাব ফেলছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব পড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্যে হিংসার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মণিপুর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে অসমের লাখিপুর মহকুমা। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই কথা জানান তিনি। প্রসঙ্গত গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুরের হাজার হাজার বাসিন্দা অসমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনেকেই সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। সরকারি তথ্য় অনুসারে প্রায় ৫০০০ জিরিবামের বাসিন্দা কাছাড়ে বাস করা শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্য়ে বেশিরভাগই ফিরে যান। ৭ নভেম্বর ফের জিরবামে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপরই ফের বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ায় মণিপুর লাগোয়া অসমের কাছাড়ে। এরপর ২০০ কিমি সীমান্ত এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। বরাক উপত্যকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরের কোনও প্রভাব অসমে না পড়ে। উল্লেখ্য, অসমের কাছাড় জেলার বরাক উপত্যকা মণিপুরের জিরিবাম জেলার লাগোয়া। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: অসমের করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে হল শ্রীভূমি, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: অসমের করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে হল শ্রীভূমি, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে হবে শ্রীভূমি জেলা। যার অর্থ মা লক্ষ্মীর ভূমি। সিলমোহর পড়েছে অসমের রাজ্য ক্যাবিনেটে। এছাড়া ক্যাবিনেট বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও সিলমোহর পড়েছে। কেন করিমগঞ্জের নাম বদল করা হয়েছে, এর পিছনে যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? (Himanta Biswa Sarma)

    দিসপুরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন,“ আমরা অসমের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামীণ এলাকার নাম পরিবর্তন করেছি। রাজ্য মন্ত্রিসভা করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে শ্রীভূমি জেলা করতে সম্মত হয়েছে। এর নতুন নাম হবে শ্রীভূমি।” ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে সেই সব জায়গার নাম পরিবর্তন করব যেখানে ঐতিহাসিক বা আভিধানিক অর্থ নেই। অসমের আরও বহু গ্রাম, অঞ্চলের নামও পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে।” নতুন নামকরণের এই সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন,  “উদাহরণস্বরূপ, কালাপাহাড় ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ নয়। একইভাবে করিমগঞ্জও অর্থহীন। অসমীয়া এবং বাংলা অভিধান করিমগঞ্জের কোনও অর্থ নেই।”  একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘‘এই পদক্ষেপটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও সম্মান জানানো হবে। কারণ, তিনি এই অঞ্চলটিকে অবিভক্ত ভারতের শ্রীভূমি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শতাব্দীরও বেশি আগে অসমের বর্তমান করিমগঞ্জ জেলাকে শ্রীভূমি বা মা লক্ষ্মীর দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। অসম মন্ত্রিসভা আমাদের জনগণের এই দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ করেছে।’’

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন সুকান্ত

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “অসমের মানুষের স্বপ্নপূরণ হল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া নাম ক্যাবিনেটে অনুমোদন করায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে (Himanta Biswa Sarma) ধন্যবাদ জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার (6A Of The Citizenship Act) সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

    সাংবিধানিক বেঞ্চে দ্বিমত (6A Of The Citizenship Act)

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়-সহ চার বিচারপতি এই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিলেও, দ্বিমত পোষণ করেন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি পারদিওয়ালা। ৬-এ ধারাকে তিনি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। এদিন রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অসম চুক্তি মেনে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার এটি একটি রাজনৈতিক সমাধান। বেআইনি অনুপ্রবেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানসূত্র অসম চুক্তি। সেই চুক্তি সূত্রে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে রায় আদালতের। স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে এমন ধারা তৈরি করার আইনি ক্ষমতা সংসদীয় ব্যবস্থার রয়েছে।

    ৬-এ ধারা

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ভিত্তি করে প্রয়োগ করা হয় ৬-এ ধারাটির। ওই দিনই শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। তাই ওই ধারাটিকে বাংলাদেশ যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই দেখতে হবে। সেই কারণে ওই তারিখটিকে ভিত্তি করে ধারাটির প্রয়োগ যথাযথ বলে অভিমত শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা অসমে এসেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ধরতে হবে। ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে যারা এসেছে, তারা অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইতে পারেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে আসা সবাইকেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করে ফেরত পাঠাতে হবে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    অসমের জন্যই ৬-এ ধারা

    কেবলমাত্র অসম রাজ্যের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। অসমে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরে ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া অসম চুক্তির অঙ্গ হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর যেসব বাংলাদেশি অসমে অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১ এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জন্যই ৬-এ ধারায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে বেছে নেওয়া হয়েছে (Supreme Court)। কারণ (6A Of The Citizenship Act) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

    অসমে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত ওই ধারা অসাংবিধানিক বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মোট ১৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। সেগুলিই একত্রিত করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, অসম চুক্তিকে ২৫৩ ধারার অধীনে বৈধতা দিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি সংসদ। তাই অসম চুক্তিরই বৈধতা নেই। কিন্তু এদিন কেন্দ্রের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সায় দিয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে সময়সীমা ধার্য করার ব্যবস্থাকেই।

    অসম চুক্তি

    অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয় অসমে। আন্দোলনে ইতি টানতে ১৯৮৫ সালে হয় অসম চুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় আন্দোলনকারী ও ভারত সরকারের মধ্যে। এই অসম চুক্তিরই অঙ্গ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা। এই ধারা অনুযায়ীই ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসমে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অসমের সীমান্তের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যের তুলনায় অসমে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা স্থানীয় জনগণের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অসমে মোট জমির পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কম। তাই পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ লাখ অনুপ্রবেশকারী থাকলেও, অসমে ৪০ লাখ অনুপ্রবেশকারীর জন্য ওই ধারার প্রয়োগ যথাযথ, অভিমত আদালতের।

    আবেদনকারীদের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, আবেদনকারীদের অভিযোগ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে। ওই ধারা অনুযায়ী, অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই ধারা অনুয়ায়ী, দেশি, বিদেশি কিংবা অ-নাগরিক হয়েও যদি কেউ ভারতে বাস করেন, তিনিও সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকার ভোগ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, শরণার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, এ ক্ষেত্রে বিচার করা হয়েছে (Supreme Court) নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা (6A Of The Citizenship Act)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NRC: “এনআরসি হবেই, নাম না থাকলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে”, বললেন হিমন্ত

    NRC: “এনআরসি হবেই, নাম না থাকলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি(NRC) চালু হবে বলে ঠিক চারদিন আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। চারদিন পরে আজ শনিবার একই কথা বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

    কী বলেছিলেন শিবরাজ (NRC)

    শিবরাজ বলেছিলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরি করে ফেলছে। ভোটার কার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি। আর এদিন হিমন্ত বললেন, “এনআরসি হবে। তাতে যাদের নাম থাকবে না, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর জেরে বদলে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস।”

    কী বললেন হিমন্ত

    সে প্রসঙ্গেই এক প্রশ্নের উত্তরে হিমন্ত বলেন, “এনআরসি হবেই। তাতে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে না, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এটাই আমাদের নীতি।” তিনি বলেন, “এনআরসি কার্যকর হলে সবাইকে তাদের বক্তব্য এবং নথি পেশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এবং আপনি যদি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে আমরা আইনি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব।” হিমন্ত বলেন, “অসমে আমরা ১৪ লাখ লোককে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছি, যারা ভারতীয় নয়।”

    আরও পড়ুন: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে আমাদের একটি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছি, যাতে এটা আর একবার করতে পারি। যদি সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দ্বিতীয়বার সংশোধনের অনুমতি দেয়, তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে (NRC)।” বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুড়, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ রোখা দরকার। আর তা করতে গিয়েই এনআরসি (NRC) চালু করতে চায় বিজেপি (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

     

  • Retail Inflation: অনেকটাই কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার, ছাপিয়ে গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভাসকেও

    Retail Inflation: অনেকটাই কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার, ছাপিয়ে গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভাসকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির (Retail Inflation) হার ছিল ৩.৬৫ শতাংশ। সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স। গ্রামীণ (RBI) ও শহরের সমষ্টিগত মুদ্রাস্ফীতি অগাস্টে নেমে এসেছে ৩.৬৫ শতাংশে। গত বছর অগাস্টে এই হার ছিল ৬.৮৩ শতাংশ। তবে আগের মাসের ৩.৫৪ শতাংশের তুলনায় এটি বেড়েছে ১১০ বেসিস পয়েন্ট।

    খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Retail Inflation)

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার টার্গেট ছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার হবে ৪ শতাংশ। যদিও এই হার ছিল এর অনেক নীচে। ফলে, বলা যেতেই পারে, শীর্ষ ব্যাঙ্কের করা পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হারের পতন। এ নিয়ে গত পাঁচ বছরে দ্বিতীয়বার খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার রইল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার নীচে। জানা গিয়েছে, চলতি বছর অগাস্টে শহুরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.১৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে এই হার ছিল ৬.৫৯ শতাংশ। এই অগাস্টে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.১৬ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৭.০২ শতাংশ।

    কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স

    সমষ্টিগত কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের অগাস্টে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৬৬ শতাংশ। গত অগাস্টে এই হার ছিল ৯.৯৪ শতাংশ। গত বছর অগাস্টে শহরাঞ্চলে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির ছিল ১০.৪২ শতাংশ। এই অগাস্টে এটাই হয়েছে ৪.৯৯ শতাংশ। চলতি বছর অগাস্টে গ্রামীণ খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.০২ শতাংশ। গত বছর অগাস্টে এই হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। বছরের সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছে টোমাটোর ক্ষেত্রে। এর হার ছিল -৪৭.৯১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদ! নিজের রক্ত দিয়ে বিচারের দাবি লিখলেন বিজেপির চিকিৎসক-নেতা

    অগাস্টে (Retail Inflation) মসলা, মাংস, মাছ, ডাল ও অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। চলতি বছরের অগাস্টের ফুড ইনফ্লেশন জুন ২০২৩ এর পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ভারতের সব রাজ্যের চেয়ে সমষ্টিগত মুদ্রাস্ফীতির হার এবার বেশি ছিল বিহারে। অগাস্টে এই হার ছিল ৬.৬২ শতাংশ। তার পরে ছিল ওড়িশা। সে রাজ্যে এই হার ৫.৬৩ শতাংশ। অসমে এই হার আরও কম। সেখানে এর হার ৫.০৩ শতাংশ (Retail Inflation)।

    এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতে আমেরিকা, জার্মানি এবং ফ্রান্সের চেয়ে বেশি সফল হয়েছে ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের কারণ একটি গতিশীল আর্থিক ব্যবস্থা, যেখানে আরবিআই, সরকার এবং ব্যাঙ্কগুলো বাজার সংস্কার আনার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করেছে (RBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছিল ইংরেজ জমানায়। আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে জারি রেখেছিল কংগ্রেস। ফি শুক্রবার অসম বিধানসভায় থাকত দু’ঘণ্টার নমাজ বিরতি (Namaz Break)। এবার তাতেই কাঁচি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    নমাজ বিরতিতে কোপ (Himanta Biswa Sarma)

    বিধানসভায় ঘোষণা করে দিলেন, জুম্মাবারের নমাজ আদায়ের বিরতি আর মিলবে না। তাঁর সাফ কথা, ঔপনিবেশিক আমলের অভ্যাসে বদল আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি ও বিধায়কদের ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুসলমানদের কাছে শুক্রবার হল জুম্মাবার। এদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ পাঠের বিরতি পেতেন অসমের মুসলমান বিধায়ক ও কর্মীরা। ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা এই প্রথায়ই এবার ইতি টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান বিধায়করা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আমাদের বিধানসভার হিন্দু ও মুসলমানরা বিধায়কের রুলিং কমিটিতে বসে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দু’ঘণ্টা বিরতি ঠিক নয়। আমাদের এই সময়ও কাজ করা উচিত।” তিনি বলেন, “এই প্রথাটি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল। গতকাল থেকে বন্ধ করা হয়েছে (Himanta Biswa Sarma)।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় এই প্রথা চালু করেছিল মুসলিম লিগ। সেই সময় থেকেই রাজ্যের মুসলিম বিধায়করা প্রতি শুক্রবার দু’ঘণ্টার জন্য নমাজ আদায়ের বিরতি পেতেন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুক্রবারও (Namaz Break) বিধানসভার কাজ হবে স্বাভাবিকভাবে। প্রতিদিনই বিধানসভায় কাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Assam: পলিগ্যামি এবং লাভ জিহাদ নিষিদ্ধ করাই পরবর্তী লক্ষ্য অসম সরকারের

    Assam: পলিগ্যামি এবং লাভ জিহাদ নিষিদ্ধ করাই পরবর্তী লক্ষ্য অসম সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) বহুবিবাহ বন্ধ করার আইন নিয়ে আসা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সেই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই বহুগামিতা বন্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য সরকার শীঘ্রই পলিগ্যামি নিষিদ্ধ করবে এবং তাদের মূল লক্ষ্য হলো বিয়ে নিবন্ধন বিল কার্যকর করা। অসম প্রশাসন এখনও ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো কাজী নয়, উপ-নিবন্ধকদের মাধ্যমে বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন নিশ্চিত করা।

    অসম সরকারের পরিকল্পনা

    অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে বহুগামিতা বা পলিগ্যামি নিষিদ্ধ করা, যা যেকোনও সময় ঘটতে পারে। আমরা আরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে উত্তরাখণ্ড ইউসিসি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি।” মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে অসমের কৌশলটি বৃহত্তর ইউসিসি আলোচনা থেকে পৃথক, এবং তাদের লক্ষ্য হলো নাবালিকা বিবাহ এবং নারীদের শোষণ সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান করা। তাঁর কথায়,”আমাদের কার্যপ্রণালী আলাদা, তাই আমরা ব্যাপক ইউসিসি অনুসরণ করছি না। আমরা নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করতে এবং নারীদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” 

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    বহুবিবাহ রোধে ভূমিকা

    অসম সরকার (Assam) ২০২৫ সালের এপ্রিলে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করার কথা ভাবছে। নয়া আইন অনুযায়ী, দম্পতিদের বিয়ের আগে ছয় মাসের নোটিশ দিতে হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো বিয়ের পবিত্রতা রক্ষা করা। অসম বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময়, শর্মা (Himanta Biswa Sharma) অনলাইনে পরিচয়, নাম পরিবর্তন এবং সামাজিক প্রচলন থেকে বাইরে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, “বিয়ে একটি আইনি স্বীকৃত এবং সম্মানিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা এর সম্মানকে ক্ষুণ্ন করছে।” এই সমস্যার সমাধান করতে, নতুন আইনে পূর্ব নিবন্ধন বা নোটিশের প্রয়োজন হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যকে নাবালিকা বিবাহ মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাবালিকা বিবাহ সম্পর্কিত ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রী শর্মা জানিয়েছেন যে গত পাঁচ বছরে ৩,৯০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩,৩১৯ জনকে ২০১২ সালের পকসো আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘ভয় দেখাবেন না, ফল ভালো হবে না’’, মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদ হিমন্ত, বীরেনের

    Mamata Banerjee: ‘‘ভয় দেখাবেন না, ফল ভালো হবে না’’, মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদ হিমন্ত, বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় আগুন লাগাতে এলে অসম, উত্তর পূর্ব ভারত সহ দেশের অন্যান্য অংশও জ্বলবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswa Sarma)৷

    কী বলেছিলেন মমতা

    বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্য থেমে থাকবে না।” মমতার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।  

    মমতাকে তুলোধনা হিমন্ত-যোগীর

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himant Biswa Sarma) বলেন, “দিদি, আপনার এত সাহস হল কীভাবে যে অসমকে হুমকি দিচ্ছেন? আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না। বিভাজনকারী ভাষা বলাটা আপনার শোভা পায় না।” মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।”

    কড়া প্রতিক্রিয়া ওড়িশা-মণিপুরের

    মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “ওড়িশার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানকার মানুষ দায়িত্ববান।” মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-ও৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “উত্তর পূর্ব ভারতকে হুমকি দেওয়ার সাহস হয় কী করে দিদির? এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করছি৷ ওনার উচিত গোটা উত্তর পূর্ব ভারত এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া৷”

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ‘অভয়া’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে ‘রাত দখল’ করেন মহিলারা। বিরোধীরাও রাস্তায় নামে। এই আবহে বিচারের দাবি জানিয়ে যাঁরা পথে নামছেন তাঁদের মধ্যেই রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    Assam: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা ধর্ষণে নাম জড়িয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের তিন তরুণের। তিনজনেই মিঞা মুসলমান (Miya Muslim) সম্প্রদায়ের। অসমের (Assam) ধিং এলাকার ঘটনা। তার পরেই সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে সেখানকার তিরিশটি সংগঠন।

    মিঞা মুসলমান (Assam)

    উল্লেখ্য যে, অসমে মুসলমান সম্প্রদায়ের দু’টি শাখা। একটি অসমের নিজস্ব। আর অন্যটি বাংলাদেশ ওরিজিন। যারা বাংলাদেশি ওরিজিন, তাদেরই এলাকা ছাড়ার জন্য সাতদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তাই অহম যুব পরিষদের তরফে বলা হয়েছে, “পুরো ঘটনাটা ঘটিয়েছে মিঞা মুসলমানরা। অসমে মিঞা মুসলমান এখন ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। নামনি অসমে অনেক মিঞা মুসলমান রয়েছে। তারা ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ওদের কাজে মানুষ বিরক্ত।”

    আলটিমেটাম

    সংগঠনটির তরফে আরও বলা হয়েছে, “নামনি অসমের মতো ঘটনা উচ্চ অসমেও ঘটতে পারে ভেবে তারা উদ্বিগ্ন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুসলমানদের উচ্চ অসম থেকে বহিষ্কার করতে বলা হয়েছে সরকারকে। এজন্য আমরা একটা সময়সীমাও নির্ধারণ করেছি। সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে, অহোম যুব পরিষদ শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাদের উচ্ছেদ করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। এটাই আমাদের শেষ কথা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    যে ৩০টি সংগঠন এই সময়সীমা জারি করেছে, তার মধ্যে রয়েছে অল তাই আহোম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অসমিয়া যুব মঞ্চ, অসমিয়া মহিলা মঞ্চ (Assam), বীর লচিত সেনা, অল অসম আদিবাসী ছাত্র ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, অসম সাব্বাস ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, গড়িয়া মারিয়া দেশি জাতীয় পরিষদ, চুতিয়া জাতীয় যুব সম্মেলন, সমস্ত অসম চুতিয়া ছাত্র ইউনিয়ন, সমস্ত অসম সোনোয়াল কাচারি ছাত্র ইউনিয়ন, তাই অহোম যুব পরিষদ, সমস্ত অসম সোনোয়াল কাছারি ছাত্র ইউনিয়ন, তাই অহোম যুবসমাজ কাউন্সিল অল মোরান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অহোম সেনা ও অন্যান্য। মিঞা মুসলিম শ্রমিকদের বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও বলেছে (Miya Muslim) তারা (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Assam: পুলিশ থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ, মৃত্যু নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত মুসলিম যুবকের

    Assam: পুলিশ থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ, মৃত্যু নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত মুসলিম যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে গণধর্ষণের ঘটনায় যখন তৃণমূল সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠছে। নির্যাতিতার বাবা পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে সিবিআই তদন্তের ওপর ভরসা রাখছেন। এই আবহের মধ্যে অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেল এক গণধর্ষণে অভিযুক্ত। মৃতের নাম তফজ্জুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ১৪ বছরের এক নাবালিকার গণধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেখানে অসম (Assam) পুলিশ যে এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তকে রেয়াত করে না এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Assam)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় অসমের নগাঁওয়ের  ধিং (Assam) এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয় ১৪ বছরের একটি নাবালিকা। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে তাকে ধর্ষণ করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কিছুক্ষণ পর তাকে রাস্তার পাশে নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তফজ্জুল ইসলাম নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পলাতক আরও দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ ধৃতকে নগাঁওয়ের ধিং নামক এক জায়গায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই জায়গাতেই কিশোরীকে গণধর্ষণ (Rape) করেছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতেই পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত সুযোগ বুঝে পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দৌঁড়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু, আর পুকুর থেকে উঠতে পারেনি। পুকুরেই ডুবে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। দুই ঘণ্টা পরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। এক কন্সটেবলের হাত ছাড়িয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আহত হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সরব হিমন্ত

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, ‘‘এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে। আমি অসম (Assam) পুলিশ প্রধানকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। অপরাধীদের যাতে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share