Tag: Assam

Assam

  • Parbati Barua: প্রাণী কল্যাণে বিশেষ অবদান, মাহুত বন্ধু অসমের পার্বতীকে পদ্ম সম্মান

    Parbati Barua: প্রাণী কল্যাণে বিশেষ অবদান, মাহুত বন্ধু অসমের পার্বতীকে পদ্ম সম্মান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ও মোর মাহুত বন্ধুরে… ছোট্টবেলা থেকে হাতিদের বন্ধু হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। হাতিরাও শোনে তাঁর কথা। গত প্রায় পাঁচ দশক নিজের সুখ দুঃখ সবটা হাতিদের সঙ্গেই ভাগ করে নিয়েছেন আসামের গৌরীপুরের কন্যা পার্বতী বড়ুয়া। দেশের প্রথম মহিলা মাহুত হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এবার পদ্মশ্রী পাচ্ছেন পার্বতী। 

    বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে পুরোধা পার্বতী

    ওয়াইল্ড লাইফ ফোরাম তাঁকে কুইন অফ এলিফ্যান্ট বলেই চেনে। জন্মেছিলেন ১৯৫৩ সালে। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও ১মাস ১৭ দিন বয়স থেকে হাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ পার্বতীর। বাবা প্রকৃতীশ বড়ুয়াও ছিলেন হস্তিবিশারদ। আর মেয়ে পার্বতী দেশের প্রথম মহিলা মাহুত হিসাবে পরিচিত। ফাঁদ পেতে হাতি ধরার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ছোটবেলা থেকেই মেয়ে দেখত বাবার সারা দিন কাটে জীবজন্তুদের সঙ্গে। গদাধর নদীর ধারে বিরাট বাড়িতে থাকতেন প্রকৃতীশ বড়ুয়া তথা লালজী। সেই বাবার মেয়ে পার্বতী ছোটবেলা থেকেই খেলনা নয় খেলেছেন জীবজন্তুদের সঙ্গে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সারা দেশে বার বার ডাক পড়েছে তাঁর। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে একেবারে সামনের সারিতে অসমের বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সি পার্বতী। প্রাণী কল্যাণে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে।

    পদ্ম-প্রাপকদের তালিকায় আর কারা

    শুক্রবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বৃহস্পতিবার রাতে এবছরের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করল কেন্দ্র। এবারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ৩৪ জন ব্যক্তিত্বকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। যার মধ্যে বাংলার ৪ জন, দেশের প্রথম মহিলা মাহুত পার্বতী বড়ুয়া-সহ জাগেশ্বর যাদব, চার্মি মুর্মু, সোমান্না, সর্বেশ্বর, সাংথামের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। প্রসঙ্গত, দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন-এর পর অন্যতম সম্মান হল পদ্ম পুরস্কার। এই পুরস্কার তিনটি বিভাগে দেওয়া হয়- পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: অস্ত্রসমর্পণের কথা ঘোষণা আলফার, কবে সরকারকে ফেরাবে অস্ত্র?

    Assam: অস্ত্রসমর্পণের কথা ঘোষণা আলফার, কবে সরকারকে ফেরাবে অস্ত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীকী অস্ত্রসমর্পণের কথা ঘোষণা করলেন অসমের জঙ্গিগোষ্ঠী আলফার (Assam) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ রাজখোয়া। মঙ্গলবার সংগঠনের বিলুপ্তির কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তবে আলফার আলোচনাপন্থী শিবির এই পদক্ষেপ করলেও, সংগঠনের অন্য অংশের নেতা পরেশ বরুয়ার শিবির এখনও বদ্ধপরিকর ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে। প্রসঙ্গত, দিন পঁচিশেক আগেই কেন্দ্র ও অসম সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় আলফার। সেই মতো পদক্ষেপ করল সংগঠনের আলোচনাপন্থী শিবির।

    আলফার জন্ম

    স্বাধীন অসমের দাবিতে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে জন্ম হয় আলফার। তার পর থেকে এ পর্যন্ত নানা রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটিয়েছে এই সংগঠন। গত ২৯ ডিসেম্বরে অসম ও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের আলোচনাপন্থীরা। সেই মতো এদিন লুপ্ত করে দেওয়া হল সংগঠনের অস্তিত্ব। রাজধানী গুয়াহাটি থেকে পঞ্চান্ন কিলোমিটার দূরে সিপাঝাড়ে সংগঠনের চূড়ান্ত সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেই তা ঘোষণা করা হয়। রাজখোয়া বলেন, “দিল্লিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আজকের বৈঠকে সংগঠন ভেঙে দেওয়ার ও লুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সংগঠনের ওপর রাষ্ট্রদ্রোহের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে।”

    চুক্তির শর্ত

    আলফার (Assam) মোট সদস্য সংখ্যা ৭০০। এর মধ্যে আলোচনাপন্থী শিবিরে রয়েছেন ৫০০ জন। চুক্তির শর্তে বলাই ছিল, হিংসার পথ ছাড়বে আলফা। সমর্পণ করবে সব অস্ত্রশস্ত্র-গোলাবারুদ। এক মাসের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হবে সশস্ত্র সংগঠনটি। ২০১১ সালে আলোচনা শুরুর পর যে ৯টি শিবিরে আলফা কর্মী ও তাঁদের পরিবার অবস্থান করছিলেন, সেগুলিও খালি করতে বলা হয়েছে সংগঠনটিকে। আলোচনাপন্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের জিম্মায় থাকা অস্ত্রশস্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের হাতে। রাজখোয়া বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে মীমাংসায় উল্লিখিত বিষয়গুলি এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি আমাদের দিয়েছে, তা পূরণ করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    উল্লেখ্য, রাজখোয়া, অনুপ চেতিয়া, শশধর চৌধুরীর মতো নেতা শান্তি প্রক্রিয়ায় শামিল হলেও, এখনও ধরা-ছোঁওয়ার বাইরে পরেশ। শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে জারি করে চলেছে বিবৃতি। মায়ানমারে ঘাঁটি গেড়ে ভারতে চালিয়ে যাচ্ছে (Assam) নাশকতা। চিন তাকে মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Artificial Intelligence: “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে”, কেন বললেন ইসরো প্রধান?

    Artificial Intelligence: “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে”, কেন বললেন ইসরো প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভবিষ্যতে বিভিন্ন জিনিসের উপর শাসন-নিয়ন্ত্রণ থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence)। আপনার ব্যবহার করা প্রত্যেকটি ডিভাইস প্রতিনিয়ত আপনাকে একটু একটু করে শিখে চলেছে।” এই কথাগুলি ইসরো প্রধান এস সোমনাথের। অসমের গুয়াহাটির প্রাগজ্যোতিষপুর বিশ্ববিদ্যাল্যয়ের একটি আলোচনাচক্রে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ইসরো প্রধান (Artificial Intelligence)?

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব নিয়ে কথা বলছিলেন ইসরো প্রধান। তিনি বলেন, “আজকাল আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা এআই-এর কথা বলছি। এই এআই আমাদের চারপাশেই রয়েছে। যে সব মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহার করি তার মধ্যে থাকা সিস্টেম, ডিভাইস, সফটওয়্যার, অ্যাপগুলি অজান্তেই আমাদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নিচ্ছে। যা ব্যবহার করছি সেগুলিই আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, আপনি কে? আপনার পছন্দ কেমন? সব কিছুই কম্পিউটার আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা যতটা নিজেকে জানি না, তার থেকে অনেক বেশি পারিমাণে কম্পিউটার আপনার ওপর নজর রাখছে। এমনকী, বন্ধু-বান্ধবরা যা জানে না তার থেকে অনেক বেশি জানে এই সিস্টেম। আগামী দিনে এমন একটি সময় আসবে যখন দেখা যাবে এই সিস্টেম এআই একাধিক বিষয়ের উপর শাসন চালাবে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আরও উন্নত প্রযুক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে।”

    স্যাটেলাইট তৈরির ভূমিকা নেবে এআই

    গত দুই সপ্তাহ আগেও ইসরো প্রধান জানিয়েছিলেন, মহাকাশ গবেষণায় ৫০টি সার্ভেল্যান্স স্যাটেলাইটের একটি সমূহ তৈরি করা হবে। গোটা গবেষণার কাজ করা হবে এআইকে (Artificial Intelligence) কেন্দ্র করেই। এই স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলি একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। ফলে জিও-ইন্টেলিজেন্সের উপর নানান তথ্য সংগ্রহ করবে। ২০২৩ সাল থেকেই এই অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিজ্ঞানীরা সংশয়ও প্রকাশ করেছেন। আগামী দিনে মানুষের হাতে-কলমে কাজের পরিসর অনেক কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম বা উলফা (ইউএলএফএ) সংগঠনের সঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে অসম সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক স্থায়ী শান্তিচুক্তি (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষরিত হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “এই চুক্তির ফলে উত্তরপূর্ব সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হবে উলফা (ইউএলএফএ)।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ULFA Peace deal)?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে উলফা নেতৃত্বদের আশ্বস্ত করতে চাই। ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির (ULFA Peace Deal) প্রক্রিয়াকে সফল করবার জন্য তাঁদের আহ্বান জানাবো। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। উত্তর-পূর্বের অনেক এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর আইন এএফএসপিএ অপসারণই প্রমাণ করে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদ বর্তমানে সমাপ্তির পথে।”

    চুক্তি স্বাক্ষরে ২৯ জনের প্রতিনিধি

    সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপূর্ব ভারতের অসমে বিচ্ছিন্নতাবাদের উপর একটি অতি সক্রিয় সংগঠন ছিল উলফা। এদিন উলফার মোট ২৯ জনের একটি প্রতিনিধির দল দিল্লিতে চুক্তি স্বাক্ষর করতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন সংগঠনের সদস্য এবং বাকি ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। এই চুক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ চুক্তি কারণ, এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার বিচ্ছিন্নতাবাদ অসম রাজ্যে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিদ্রোহী সংগঠনকে প্রশমন করতেই উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের সাথে চুক্তিতে (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষর হল। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শুধু আসাম নয়, গোটা উত্তরপূর্বের জন্য এই চুক্তি শান্তির বাতাবরণ তৈরি করবে।

    উলফা ১৯৭৯ সাল থেকেই সক্রিয়

    এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফা, অসমে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ লড়াইকে অব্যহতি দিয়ে অসম রাজ্য সরকারের সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় সম্মত হয়। এরপর থেকে এই উলফা দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। একটি দলের নেতা ছিলেন পরেশ বড়ুয়া, অনুপ চেটিয়া। তাঁরা নিজেদের ভাবনায় স্থির থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে মত দেন। অপরদিকে যে দলটি আলোচনা চেয়েছেন, তাঁরা অসমের মূলনিবাসীদের পরিচয় এবং তাঁদের সম্পদের সুরক্ষায় রাজ্যের কাছে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক সংস্কার চেয়ে জমির অধিকার দাবি করেন। কেন্দ্র সরকার এই চুক্তির বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে একটি চুক্তি (ULFA Peace Deal) প্রস্তাবের খসড়া পাঠিয়েছিল। এরপরে গত দুই সপ্তাহ আগে দিল্লিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। ২৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে উলফার প্রতিনিধি দল আসার পর কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক পর্বে আলোচনা হয়েছিল। উত্তরপূর্বে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নাবাদকে প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছরে আসামের বিদ্রোহী বড়ো, ডিমাসা, কার্বি এবং বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সহ অসমে বিজেপিতে যোগ ১৫০ নেতা-কর্মীর

    BJP: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সহ অসমে বিজেপিতে যোগ ১৫০ নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ইন্ডিয়া। সেই জোটের আয়ু লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কিনা, তা জানা যাবে উৎসবের মরশুম শেষ হলেই। তবে তার আগে বিরোধীদের জোটকে ঝটকা দিল অসম বিজেপি।

    বিজেপিতে যোগ

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৫০ সদস্য দলীয় পতাকা ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের অসম রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাও রয়েছেন এই দলবদলুদের দলে। শনিবার তাঁরা হাতে তুলে নেন বিজেপির ঝান্ডা। পদ্ম শিবিরে তাঁদের স্বাগত জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “বিজেপিই (BJP) একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা দেশের স্বার্থে কাজ করে, পরিবারতন্ত্রের স্বার্থে নয়।”

    হিমন্তর বার্তা 

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি সব সময় বলেছি যে, যাঁরা ভারত এবং অসমের জন্য কাজ করতে চান, তাঁদের পরিবারতন্ত্র এবং পরিবারকেন্দ্রিক দলে জায়গা হবে না। কেবলমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিই দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারে।” বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওই ১৫০ জন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান হিমন্ত। তিনি বলেন, “ভারতী মায়ের সেবার লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করবেন বলে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, আমি তাঁদের স্বাগত জানাই।”

    তিনি লিখেছেন, “নাগাঁও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুরেশ বোরা, অসম যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পরিতোষ রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শর্মা তাদের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এঁরা আজ বিজেপিতে যোগ দেবেন। ইন্ডি জোটের বিরুদ্ধে এঁরাও সুর চড়িয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা নির্বাচন এলেই গুন্ডাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো”, চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদারের

    পুরো ঘটনাটি দলের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র বলেন, “এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই জেলা ও ব্লকস্তরের কর্মী। তাঁরা যে কোনও রাজনৈতিক দলের মেরুদণ্ড। আমরা তাঁদের বিজেপিতে (BJP) স্বাগত জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, জলের তলায় একাধিক জেলা, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১৫ 

    Assam Flood: ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, জলের তলায় একাধিক জেলা, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১৫ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাসছে অসম। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে প্রতি বছরই বন্যা হয়ে থাকে। চলতি বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে (Assam Flood)। প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এই বন্যায় বিপর্যস্ত। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার কারণে। অসমে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ নদীই বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। তাদের জলস্তর অনেক বেড়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে, গুয়াহাটি এবং জোড়হাটের নিমতি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেরি পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

    ত্রাণশিবিরে বহু মানুষ

    সোমবার অসম (Assam Flood) সরকারের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে এক লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে সোমবার। ব্রহ্মপুত্র-সহ রাজ্যের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ওই নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি। বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে সরকারি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদীর জল কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। 

    ১৭টি জেলা বন্যার কবলে

    রাজ্যের নানা প্রান্তে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারাই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে অসমের (Assam Flood) মোট ১৭টি জেলা বন্যার কবলে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। তার পরেই তালিকায় আছে ধেমাজী। এই দুই জেলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়, ধুবরি, তেজপুর এবং জোড়হাটের নিমতি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওয়াহুন, বেকি, জিয়া-ভারালি, ডিসাং, দিখাউ এবং সুবানসিরি নদীও লাল দাগ অতিক্রম করেছে। একই সময়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে গুয়াহাটিতে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে ত্রাণশিবির খুলেছে অসম সরকার। এখনও পর্যন্ত ৪৫টি ত্রাণ প্রায় ৫০০ জন সেই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    চাষের জমি জলের তলায়

    বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যে আট হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি জলের তলায়। ৮০৮৬.৪০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে এবং ৮১৩৪০টি বড় প্রাণী এবং ১১৮৮৬টি হাঁস-মুরগি সহ ১৩০৫১৪টি প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অসমে অনবরত বৃষ্টির কারণে উঁচু এলাকাগুলি থেকে বৃষ্টির জল গড়িয়ে নামছে নীচের দিকে। তাতেই ফুলেফেঁপে উঠছে একাধিক নদী। বৃষ্টি না থামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উদলগুড়ির দুটি এলাকা এবং বিশ্বনাথ ও দাররাং-এর একটি করে এলাকা থেকে বন্যার জলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত যে মামলাগুলির তদন্ত রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে, তার শুনানি হবে অসমের গুয়াহাটিতে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই মামলাগুলির বিচারের জন্য নিম্ন আদালত মনোনয়নের ভার গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, অভিযুক্তদের হাজিরা, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত এবং হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা হবে অনলাইনে।

    গুয়াহাটির আদালতে হাজিরা

    নির্যাতনের শিকার, সাক্ষী এবং সিবিআই মামলায় যুক্ত কারও যদি অনলাইনে মুখ দেখাতে আপত্তি বা ভয় থাকে, তাহলে তিনি গুয়াহাটির আদালতে সরাসরি হাজিরা দিতে পারেন। অনলাইন বিচারের জন্য মণিপুর সরকারকে সচল ও দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, মণিপুরের কংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনা সহ মোট ১০টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ২১ অগাস্ট মণিপুরের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ত্রাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিচারপতি গীতা মিত্তলকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত প্যানেল তিনটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্ষতিপূরণের বৃদ্ধি ইত্যাদি।

    টিম গড়েছে সিবিআই

    মণিপুর হিংসার ঘটনাগুলি তদন্তের জন্য চলতি মাসেই ২৯ জন মহিলা আধিকারিক সহ মোট ৫৩জন আধিকারিককে নিয়ে টিম গড়েছে সিবিআই। এই টিমে (Supreme Court) পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার তিন মহিলা অফিসার। দু’ জন অতিরিক্ত সুপার এবং ছ’ জন ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার মহিলা অফিসারও রয়েছেন। তদন্ত প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই মামলাগুলি প্রতিবেশী রাজ্যে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর যুক্তি ছিল, মণিপুরে বিচার প্রক্রিয়া চললে বিচারপতিদের জাতি পরিচয় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    এদিকে, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের তলব পেয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে গিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার শাহের বাসভবনে হবে ওই বৈঠক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ‘‘শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা কেন?’’ পাঁচলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রশ্ন হিমন্তর

    Manipur: ‘‘শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা কেন?’’ পাঁচলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রশ্ন হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোয় ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে দেশজুড়ে। অথচ দেশের অন্যান্য রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটলেও, কেবল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কিছু ঘটলে হইচই হচ্ছে বলে অভিযোগ। মণিপুরের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার পাঁচলায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অথচ তা নিয়ে কোনও সমালোচনা হচ্ছে না। অন্তত এমনই অভিযোগ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। প্রসঙ্গত, পাঁচলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে তৃণমূল কর্মীরা নগ্ন করে ঘোরায় বলে অভিযোগ। বিজেপির এক প্রার্থীর মুখে তৃণমূল কর্মীরা প্রস্রাব করে দেয় বলেও অভিযোগ।  

    হিমন্তর ট্যুইট-বাণ

    সাম্প্রতিককালে দেশের অন্যান্য অংশের ছ’টি যৌন হেনস্থার ঘটনার কথাও ট্যুইট-বার্তায় তুলে ধরেছেন তিনি। লিখেছেন, মণিপুরের ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীরা আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তথাকথিত মুক্তচেতাদের মধ্যে একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটা হল, তাঁদের ক্রোধ কেবল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতি। অথচ দেশের অন্য প্রান্তে যখন এই জাতীয় নৃশংস ঘটনা ঘটে, তখন তারা তাকে উপেক্ষা করে যান।

    ঘটনার ঘনঘটা

    এর পরেই তিনি (Manipur) ছ’টি ঘটনার কথা শেয়ার করেন। প্রথম ঘটনাটি জোধপুরের। ১৯ জুলাই ছ মাসের শিশু সহ একই পরিবারের চারজনকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৬ জুলাই জোধপুরেই এক দলিত নাবালিকাকে তার বয়ফ্রেন্ডের সামনেই গণধর্ষণ করা হয়। ১৩ জুলাই বিজেপির এক কার্যকর্তা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয় বলে অভিযোগ। ৮ জুলাই বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে তৃণমূল কর্মীরা হাঁটায় বলে অভিযোগ।

    ৭ জুন বিহারে উপজাতি সম্প্রদায়ের এক নাবালিকাকে ৮ জন মিলে ধর্ষণ করে। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় গত বছর ২০ অক্টোবর উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে ১০ জন মিলে ধর্ষণ করে। তাঁর প্রশ্ন, দেশের বিভিন্ন অংশে এমন ঘটনা ঘটলে কেবল বেছে বেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা করা হচ্ছে কেন?

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    এদিকে, মণিপুরের (Manipur) বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব মিলিয়ে মোট ৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। সাম্প্রতিক ওই মহিলাদের নির্যাতনের পর গোটা রাজ্যেই বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। অশান্তির আঁচ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক। তিনি জানান, ভুল তথ্য যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share