Tag: Assam

Assam

  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন খোদ প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির অ্যাজেন্ডায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার কথা। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই দাবি করেছিলেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তবে দেশে কবে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, তার অপেক্ষায় থাকছেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল

    তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল পাশ করবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারে যতক্ষণ না চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততদিন এই আইন লাগু থাকবে রাজ্যে। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতি আমাদের রাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বহু বিবাহ রোধে অসম সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পার্লামেন্টে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    তবে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যের। ল’ কমিশন এবং পার্লামেন্টারি কমিটি বর্তমানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ও সংগঠনের মত জানতে চেয়েছে। অসম সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে রয়েছে অসমে। এর কারণ হল, এটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলের একটা অংশ মাত্র। তিনি বলেন, তাই আমরা ভাবছি অসমে দ্রুত বহু বিবাহ রোধে বিল আনা যায় কিনা।

    আরও পড়ুুন: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    গত মে মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, বহু বিবাহ রোধে বিল পাশ করাবে অসম সরকার। এজন্য গুয়াহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রুমি ফুকানের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়া হয়েছিল। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। যদি এই সময়সীমার মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দিতে পারে, তাহলে সেপ্টেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনেই পেশ করা হবে বিলটি (UCC)। তা নিতান্তই সম্ভব না হলে বিলটি পেশ করা হবে জানুয়ারিতে, শীতকালীন অধিবেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ১৩ বছরের নাতনিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ! গ্রেফতার ৭৩ বছরের সুকুর আলি

    Assam: ১৩ বছরের নাতনিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ! গ্রেফতার ৭৩ বছরের সুকুর আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অসমে (Assam)। জানা গিয়েছে হাইলাকান্দির বাসিন্দা সুকুর আলির তার সম্পর্কে এক নাতনিকে গত জুন মাসে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। 

    ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত সুকুরের

    গুরুতর এই অভিযোগে ১১ জুলাই মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুকুরকে। পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা কমিশনও তার বিরুদ্ধে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুকুর আলিকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক আপাতত তাকে ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

    অসমের (Assam) হাইলাকান্দিতে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন

    অন্যদিকে হাইলাকান্দিতে ধর্ষণ ও খুনের আসামি জুবের আহমেদ এখনও পলাতক। জুবেরের গ্রেফতারির দাবিতে ১০ জুলাই হাইলাকান্দিতে বজরঙ দল এবং অন্যান্য সংগঠন এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। দিন সাতেক আগে জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের, পরে মেয়েটি হাসপাতালে মারা যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র হাইলাকান্দি। দোষীর গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন সংগঠন। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই জুবের তার দুই সহযোগী জাবির এবং আনসারকে সঙ্গে নিয়ে ২ জন হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে। এরপর অভিযোগ কাছাড়ের এক চা বাগানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা এক নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। ওই নাবালিকাকে পরে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এরপর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে এবং তাকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই সে মারা যায়। মৃত্যুর আগের জবানবন্দিতে নাবালিকা বলে, জুবের তার পরিচয় একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিল এবং নিজের নাম বলেছিল রাহুল। জানা গিয়েছে জুবের বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জুবেরের ফোনের লোকেশন মিজোরামে পাওয়া গিয়েছে। অসম (Assam) পুলিশ মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছে। ৬ জুলাই থেকে জুবেরের গোটা পরিবারের খোঁজ মিলছেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) বন্যা (Flood) পরিস্থিতির আরও অবনতি। শনিবার পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্যের ১৫টি জেলার ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। রাজ্যের প্রতিটি নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নলবাড়ি জেলা। এদিন এই জেলায় একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে।

    ব্রহ্মপুত্রের রুদ্ররূপ

    জোরহাট জেলায় তেজপুর এবং নেমাটিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। সব মিলিয়ে বন্যার কবলে পড়েছেন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭১ জন মানুষ। এর মধ্যে মহিলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৮। ৫৩ হাজার ১১৯ জন শিশুও রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হল বাকসা, বারপেটা, বাজালি, চিরাং, দারাং, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, নাগাওঁ, নলবাড়ি এবং তামুলপুর। করুণ অবস্থা বাজালি জেলার। এই জেলায় বানভাসি হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৮ জন, নলবাড়িতে দুর্গতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৮ জন। আর লখিমপুরে বন্যার (Flood) কবলে পড়েছেন ২২ হাজার ৬০ জন।

    জলের তলায় 

    দুর্গতদের জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে ২২০টি। সেখানে ঠাঁই হয়েছে ৮১ হাজার ৩৫২ জনের। ত্রাণ বিলির জন্য প্রশাসনের তরফে বাজালিতে খোলা হয়েছে ৫৭টি কেন্দ্র, নলবাড়িতে ৩৪টি। বানভাসি হয়েছে রাজ্যের ১ হাজার ১১৮টি জেলা। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ৮৪৬৯.৫৬ হেক্টর জমির ফসল। কেবল শনিবারই বানের জলে ভেসে গিয়েছে ৯৬৪টি গবাদি পশু। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে ১৫৭টি রাস্তা। ধুবড়িতে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি জায়গায়।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    দারাং জেলায় বাঁধ ভেঙেছে চারটি। নলবাড়ি, গোটাঘাট, কামরূপ এবং বিশ্বনাথ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি বাঁধ। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই জল (Flood) বাড়তে পারে রাজ্যের একাধিক নদনদীর। প্রত্যাশিতভাবেই প্লাবিত হতে পারে রাজ্যের নতুন নতুন অঞ্চল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বিপন্ন লক্ষাধিক, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বিপন্ন লক্ষাধিক, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির (Rain) বিরাম নেই। তাই ক্রমেই অবনতি হচ্ছে অসমের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা চলে যাচ্ছে জলের তলায়। উচ্চ অসমের লাখিমপুর থেকে নিম্ন অসম, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। সব চেয়ে করুণ অবস্থা নলবাড়ি জেলার। সেখানকার ১০৮টি গ্রামের প্রায় ৪৫ হাজার বাসিন্দা গৃহহীন। সব মিলিয়ে অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি। এমতাবস্থায় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজ্যে বৃষ্টি চলবে আরও কয়েকদিন।

    ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

    প্রবল বর্ষণের জেরে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র নদ। দুকূল ছাপিয়ে বইছে তার বিভিন্ন শাখানদী। বন্যায় (Assam Flood) সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাকসা, দারাং, ধেমাজি, বরাপেটা, ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, লাখিমপুর, শোনিতপুর, উদলাগিরি এবং নলবাড়ি। বন্যা দুর্গতদের অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। তবে সেখানে যাঁদের জায়গা হয়নি, তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধের ওপর। নলবাড়ির অবস্থা সব চেয়ে খারাপ হওয়ার কারণ হল ভুটান থেকে বয়ে আসা নদী পাগলাদিয়া।

    জল বাড়ছে পাগলাদিয়ায়ও

    গত ২৪ ঘণ্টায় এই নদীর জলস্তর একলপ্তে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। পাহাড়ে আরও বৃষ্টি হলে ফের দুঃখের কারণ হবে পাগলাদিয়া। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভুটানের জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। তাই সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। অসমের বিভিন্ন নদী ফুঁসতে থাকায় অনেক জায়গায় নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিস। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজ্যের ১০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৮০০ জন।

    বন্যা (Assam Flood) দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনা, আধাসেনা, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের কর্মীদের। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রশাসনের কর্মী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও। প্রবল বর্ষণ এবং বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।

    তাই কয়েকটি জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্থলপথে যোগাযোগও। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে অসমের ডিমা হাসাও এবং কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলায়। গোয়ালপাড়া, লাখিমপুর, বরপেটা, মাজুলি, ধেমাজি, বঙ্গাইগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, সেতু এবং নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood 2023: জলের তলায় ৪৪৪টি গ্রাম, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

    Assam Flood 2023: জলের তলায় ৪৪৪টি গ্রাম, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম (Assam)। ভাসছে ৪৪৪টি গ্রাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা সে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রাজ্যের ১০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। প্রবল বর্ষণের কারণে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী ৫ দিন আসামের বেশ কিছু জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি লখিমপুরে

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিরাং, দরং, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, সন্তিপুর, উদালগুড়ি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আসামের (Assam) লখিমপুর জেলায়। সেখানে ২২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। কোকরাঝাড়ে প্রায় ১৮০০ জন বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৭৪১.২৩ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন ৭ জেলায় মোট ২৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

    আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    আগামী ৫ দিনে আসামের (Assam) বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। মৌসম ভবনের গুয়াহাটি শাখা সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা নিম্ন আসামের কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা, বরপেটা এবং বনগাইগাঁওয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। এই সমস্ত জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধুবরি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, নলবারি, দিমা হাসাও, কাচার, গোয়ালপাড়া এবং করিমগঞ্জ জেলাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে ডিমা হাসাও, কামরূপ মেট্রোপলিটন এবং করিমগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ধস নেমেছে।

    আরও পড়ুন: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    এদিকে, টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ভুটান জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। তার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামরূপে জাতীয় সড়কের উপর উপচে পড়েছে নদীর জল। বৃষ্টিপাত কমলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আসাম (Assam) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    Assam: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে অসমে (Assam) গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। গোয়ালপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অসম পুলিশ ও এনআইএ-এর যৌথ অভিযানে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ৪ জনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দা (Al-Qaeda Indian Subcontinent) শাখার সঙ্গে যুক্ত। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই আগে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল। আদালতে জামিন পেয়ে বাইরে ছিল তারা। 

    যৌথ অভিযান (Assam)

    অসম (Assam) পুলিশ এবং এনআইএ-র একটি যৌথ দল গোয়ালপাড়া এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি অভিযান চালায়। ওই অভিযানের ফলে গোয়ালপাড়া থেকে ৩ জন এবং নিকটবর্তী বোঙ্গাইগাঁও জেলা থেকে আরেক জেহাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ৪ জঙ্গি হল গোয়ালপাড়া থানার গোবিন্দপুরের আবদুস সোবাহান, মারনাই থানার তিনকোনিয়ার আবদুস সোবাহান ও মাটিয়া টিলাপাড়ার জালালউদ্দিন শেখ এবং বোঙ্গাইগাঁও থানার কাবাইতারির হাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই আনসারুল্লা বাংলা টিম-এর যোগাযোগ রয়েছে। এবার রাজ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দা (আল কায়দা-ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট বা একিউআইএস) শাখার চার সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই গোয়েন্দাদের সামনে এসেছে জঙ্গি সংগঠন বিস্তারের তথ্য। ধৃতদের জেরা চলছে। 

    আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরছে মণিপুর, ড্রপবক্সে পড়ছে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রও

    জঙ্গি দমনে সক্রিয়

    গত এক বছরে অসমে (Assam) জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৪০ জনকে, যারা সকলেই আনসারুল্লা বাংলার সঙ্গে যুক্ত। অসম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই রাজ্যকে তারা কিছুতেই জঙ্গিদের ঘাঁটি হতে দেবে না। অসমে মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়ার নামে এলাকার যুবকদের জঙ্গি এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানতে পেরেছে অসম পুলিশ (Assam Police)। বাইরের কেউ রাজ্যে জিহাদি কার্যকলাপ চালাচ্ছে কী না তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর এবং এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: আজ অসমে ৪৫,৭০৩ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেবেন অমিত শাহ

    Amit Shah: আজ অসমে ৪৫,৭০৩ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম সরকারের বিভিন্ন বিভাগে ৪৫ হাজার ৭০৩ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই প্রথম কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে এতজনের হাতে একসঙ্গে নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হবে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার অসম সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে গুয়াহাটি-সহ সমগ্র রাজ্যকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

    প্রতিশ্রুতি পূরণ

    সরকারি সূত্রে খবর, ২৫ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) গুয়াহাটি আসছেন। সেখানে অসম সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগের জন্য আনুমানিক ৪৫ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ের হাতে নতুন নিয়োগ পত্র তুলে দেবেন তিনি। রাজ্যের বিজেপি সরকারের ১ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে আগামী কাল, দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার।

    গুয়াহাটির খানাপাড়ায় ভেটেরিনারি ময়দানে এক অনুষ্ঠানে ওইসব নিয়োগপত্র বিতরণ করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, আগামী কালের কর্মসূচির সময় ৪৫,৭০৩ জন সফল প্রার্থীকে নিয়োগপত্র বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই দিনে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

    আরও পড়ুুন: “কোভিডের চেয়েও মারাত্মক অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকুন”, সাবধানবাণী হু কর্তার

    প্রসঙ্গত অসমে সরকার গঠন করার আগেই এক লাখ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই ওই চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। সেই চাকরির কী হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অসমের নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈ। গত মার্চে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অসমের অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেয়োগ বলেন, ১ লাখ ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “৬০০ বন্ধ করেছি, আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব”, বললেন হিমন্ত  

    Himanta Biswa Sarma: “৬০০ বন্ধ করেছি, আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব”, বললেন হিমন্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দু বছরে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছি। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেব।” রবিবার কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এদিন তেলঙ্গনায় হিন্দু একতা যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন হিমন্ত। এআইএমআইএমের (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির উদ্দেশে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ওয়াইসিকে বলতে চাই, চলতি বছর আমি আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব।”

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) দাবি… 

    তিনি বলেন, “অসমে লাভ জেহাদি বন্ধে আমরা কাজ করছি। মাদ্রাসা বন্ধেও কাজ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অসমে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ওয়াইসিকে বলতে চাই, চলতি বছর আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব অসমে।” ভারতে বহু বিবাহ প্রথাও যে বন্ধের মুখে, এদিন তাও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “ভারতে কিছু লোক বাস করেন, তাঁরা ভাবেন, তাঁরা চারটি বিয়ে করতে পারেন। এটা তাঁদের চিন্তাভাবনা। কিন্তু আমি বলি, আপনারা আর চারটি বিয়ে করতে পারবেন না। সেই দিনের শেষ হতে চলেছে।”

    হিমন্ত বলেন, “ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হচ্ছে। তার পরেই দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ।” এদিন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরকেও নিশানা করেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “এ রাজ্যে রাজার শাসন রয়েছে আর মাত্র পাঁচ মাস। আমরা তেলঙ্গানায় রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। হিন্দু সভ্যতার ওপর ভিত্তি করে আমরা তেলঙ্গানায় রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amritpal Singh: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    Amritpal Singh: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে গ্রেফতার খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ (Amritpal Singh)। পঞ্জাবের (Punjab) মোগা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেরার থাকার পর শেষমেশ গ্রেফতার করা হল স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে। কয়েকটি সূত্রের দাবি, অমৃতপাল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, রবিবার ভোরে মোগা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতাকে।

    অমৃতপাল সিংহের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকার পর ভারতে (India) ফিরে ওয়ারিস পঞ্জাব দে সংগঠন গড়েন অমৃতপাল। দাবি জানান খালিস্তানের। কিছুদিন আগে তাঁর সংগঠনের একজনকে গ্রেফতার করার পর ব্যাপক আন্দোলন করেন এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার অনুগামীরা। হামলা চালান থানায়। তার পরেই অমৃতপালকে (Amritpal Singh) গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত হয়। তাঁর খোঁজে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। তবে তাঁর টিকি ছোঁওয়া যাচ্ছিল না। ১০ এপ্রিল পুলিশ গ্রেফতার করে অমৃতপালের সঙ্গী পপ্পলপ্রীতকে। রবিবার ভোরে গ্রেফতার হন অমৃতপাল। যদিও মোগা পুলিশ এই গ্রেফতারির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অমৃতপালকে অসমে ডিব্রুগড়ের জেলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু ছাত্রদের উত্যক্ত করা হচ্ছে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    সেখানে তাঁর অন্য অনুগামীদেরও রাখা হয়েছে। অমৃতপালের দলের আরও আট সদস্যকে অসমের জেলে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। সূত্রের খবর, পঞ্জাব পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের যৌথ প্রচেষ্টায় অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকে আক্রমণ  পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

    দিন তিনেক আগে অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় অমৃতপালের (Amritpal Singh) স্ত্রী কিরণদীপকে। লন্ডনে যাওয়ার পথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় তাঁকে। তার মধ্যেই পুলিশের জালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল। ১৮ মার্চ থেকে পঞ্জাবের জলন্ধর, হোশিয়ারপুর ও অমৃতসরের একাধিক গ্রামে ছদ্মবেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে হন্যে হচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পঞ্জাব ঘেঁষা রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা। তার জেরে রাজস্থানের হনুমানগড় ও গঙ্গানগর জেলায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। এদিন ভোরে হন গ্রেফতার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই জওয়ানের। এছাড়াও আরও এক জওয়ান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে সেনা (Army) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লেংখোলাল এবং অলড্রিন হিমিংথানজুয়ালা। লেংখোলাল নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। আর সিপাই পদে কর্মরত ছিলেন অলড্রিন। দুজনেই ১৬ নম্বর আসাম রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। একজনের বাড়ি নাগাল্যান্ড। অন্যজনের বাড়ি মিজোরাম। ইতিমধ্যেই দুই সেনা (Army) জওয়ানের দেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনে মৃতদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। তবে, প্রশিক্ষণ চলাকালীন এই ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী করে মৃত্যু হল দুই সেনা জওয়ানের? Army

    বুধবার বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে অ্যাসল্ট রিভার প্রশিক্ষণ নামে বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছিল। মূলত, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনা জওয়ানদের দড়ি ধরে জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। সেনা (Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাম রেজিমেন্ট থেকে ওই জওয়ানরা এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বিশাল জলাশয়ের ওপর চলছিল এই প্রশিক্ষণ। নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ করা হয়। দুর্ঘটনার দিন ৬ জন জওয়ানকে নিয়ে প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রথম তিনজন নিয়ম মেনেই দড়ি ধরে জলাশয় পারাপার করেন। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। পরের তিনজন দড়ি ধরে ওই জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। দড়ি ছিঁড়ে তিনজন জওয়ান জলাশয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তলিয়ে যান। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশিক্ষকের উদ্যোগে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনজনকে জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন এখনও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তবে, এই ধরনের দুর্ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। তাই, প্রশিক্ষণ করতে এসে দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share