Tag: Assam

Assam

  • Pawan Khera: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে, কেন জানেন?

    Pawan Khera: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস (Congress) নেতা পবন খেরাকে (Pawan Khera)। রায়পুরগামী বিমান থেকে নামানো হয় এআইসিসির অন্যতম মুখপাত্র পবনকে। সেখানেই অসম পুলিশ গ্রেফতার করে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে। অসম (Assam) পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অনুরোধে দিল্লি পুলিশ পবনকে বিমান থেকে নামিয়ে নেয়। কারণ পবনের বিরুদ্ধে রয়েছে এফআইআর। এরপর পবনকে গ্রেফতার করা হয়।

    পবন…

    বৃহস্পতিবার সতীর্থদের সঙ্গে দিল্লি থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর যাচ্ছিলেন পবন। কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে বিমানের আসনে বসে পড়ার পর তাঁকে বিমানকর্মীরা জানান, তাঁর সঙ্গে ডিপিসি দেখা করবেন। তাই নীচে নামতে হবে তাঁকে। তাঁকে রায়পুরগামী বিমানে নেওয়ার অনুমতি নেই বলেও বিমানকর্মীরা জানান। পবন নীচে নামতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঘটনার প্রতিবাদে টারম্যাকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে, রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালা প্রমুখ।

    গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পবন (Pawan Khera)। সুপ্রিম কোর্টকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বারাণসী, লখনউ, অসমে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। আদালতে পবন জানান, তাঁকে রায়পুরগামী বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। আদালত থেকে রক্ষাকবচেরও আবেদন করেছেন পবন।

    আরও পড়ুুন: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর প্রথমবার কাশ্মীর থেকে সেনা সরানোর পথে মোদি সরকার?

    দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকাণ্ডে মোদিকে কটাক্ষ করেন পবন। প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির বদলে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদি বলে কটাক্ষ করেন। এর পরেই পবনের (Pawan Khera) গ্রেফতারির দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে অসমের ১৫টি জেলায় পবনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই কারণেই পবনকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ওই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুমান কংগ্রেসের। ভয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বিজেপি এসব করছে বলেও অভিযোগ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে রায়পুরে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী প্লেনারি। কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাই উপস্থিত থাকবেন সেখানে। এই প্লেনারিতে যোগ দিতেই রায়পুরে উড়ে যাচ্ছিলেন পবন। তিনি বলেন, আমাকে প্রথমে বলা হয়েছিল আপনার লাগেজে সমস্যা রয়েছে। পরে ফ্লাইট থেকে নেমে যেতে বলা হয়। তার পর বলা হয় ডিসিপি আপনার সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তিনি বলেন, কোনও নিয়মকানুন, আইনশৃঙ্খলা, যুক্তিবু্দ্ধির কোনও চিহ্নই ছিল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিক্কি যাদবের ঘটনার আঁচ নিভতে না নিভতেই ফের এক নারকীয় খুনের ঘটনা সামনে এল। খুনের ধরণও সেই একরকমের। এবারে স্বামী, শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হল অসমের এক মহিলা। শুধু টুকরো টুকরো করে খুনই করেনি, স্বামী এবং শাশুড়ির দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

    কী ঘটেছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনা ঘটে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায়। ধৃত মহিলার নাম বন্দনা কলিতা। এছাড়াও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বয়ফ্রেন্ড ধনজিৎ ডেকা এবং তাঁর বন্ধু অরূপ দাসকে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার, তার জেরেই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করীকে খুন করেছে বন্দনা কলিতা। এর পর সেই দেহাংশ তিনদিন ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর গাড়িতে করে পার্শ্বর্বর্তী রাজ্য মেঘালয়ের দুটি জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেয় বন্দনারা।

    কীভাবে পুরো বিষয়টি সামনে এল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অগাস্টে বন্দনা অসমের নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। সে দাবি করে যে স্বামী এবং শাশুড়ির খোঁজ মিলছে না। তারপর ফের একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বন্দনা দাবি করে, শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুকাল পরে অমরজ্যোতির তুতোভাইও নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই তদন্ত পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়৷ পুলিশ আন্দাজ করে, ঘটনায় বন্দনার কোনও ভূমিকা রয়েছে৷ তার পর থেকে পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ এর পর শুক্রবার বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে যে, শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই টাকা তুলেছিল ওই মহিলা। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা তুলেছে বন্দনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা স্বীকার করে, স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করেছে সে। ঘটনায় বন্দনার বয়ফ্রেন্ড এবং তার বন্ধু অরূপের নাম উঠে আসে। তারপর ধনজিৎ এবং অরূপকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার তল্লাশি চালিয়ে দেহের কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমরেন্দ্র এবং তাঁর মায়ের বাকি দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

  • Assam: ৪ হাজার নাবালিকার বিয়ে! কড়া ব্যবস্থা শুক্রবার থেকেই, জানাল অসম সরকার

    Assam: ৪ হাজার নাবালিকার বিয়ে! কড়া ব্যবস্থা শুক্রবার থেকেই, জানাল অসম সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার হাজার চারজন নাবালিকার বিয়ের খবর নথিভুক্ত হয়েছে। নাবালিকার বিয়ে রুখতে তাই এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে অসম (Assam) সরকার। জানা গিয়েছে, যে সব নাবালিকার বিয়ের (Child Marriage) খবর নথিভুক্ত করা হয়েছে, সে সব ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

    নাবালিকা বিয়ে…

    সম্প্রতি এক ট্যুইট-বার্তায় নাবালিকা বিয়ের এই তথ্য তুলে ধরেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি লিখেছেন, রাজ্যে নাবালিকার বিয়ে বন্ধে বদ্ধ পরিকর অসম সরকার। এতদিন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪টি নাবালিকার বিয়ে নথিভুক্ত হয়েছে গোটা রাজ্যে। এই কেসগুলির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। তিনি লিখেছেন, এ ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করি। মুখ্যমন্ত্রীর (Assam) শেয়ার করা তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, ধুবড়ি জেলায় সব চেয়ে বেশি নাবালিকার বিয়ের খবর মিলেছে।

    এই জেলায় এমনতর বিয়ে হয়েছে ৩৭০টি। হোজাই জেলায় বিয়ে হয়েছে ২৫৫ নাবালিকার। তার পরে রয়েছে উদালগুড়ি। সেখানে বিয়ে হয়েছে ২৩৫ নাবালিকার। সব চেয়ে কম নাবালিকার বিয়ে হয়েছে দিমা হোসা জেলায়।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস ডানপন্থীও নয়, বামপন্থীও নয়, জাতীয়তাবাদী’, সাফ জানালেন দত্তাত্রেয়

    প্রসঙ্গত, ১৯২৯ সালের আইন অনুযায়ী মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৪ ও ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ হলেই বিয়ের অনুমতি মিলত। ১৯৭৮ সালে সংশোধন করা হয় এই আইন। তার পরে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ বছর, পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। গুয়াহাটি শহরেও নাবালিকার বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে বলেও গত সেপ্টেম্বরে খবর হয় সংবাদ মাধ্যমে। তখন জানা গিয়েছিল, ওই সময়ের কয়েক মাস আগে পর্যন্ত খোদ গুয়াহাটি শহরে বিয়ে হয়েছিল অন্তত ২৪ নাবালিকার। এর মধ্যে ১০টি ক্ষেত্রে অপহরণ, ৬টি ক্ষেত্রে প্রাক বিবাহ, পাঁচটি ক্ষেত্রে বিয়ের পরে এবং দুটি ক্ষেত্রে বিয়ের নামে পাচারের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গত বছর এপ্রিল মাস থেকে ওই অভিযোগগুলি দায়ের হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Assam: মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় অসম সরকার, সাফ জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

    Assam: মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় অসম সরকার, সাফ জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় সরকার। শনিবার একথা জানালেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি এও জানান, এটি নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, প্রথম দফায় আমরা রাজ্যে মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চাই। মাদ্রাসায় (Madrasa) আমরা জেনারেল এডুকেশন চালু করতে চাই। মাদ্রাসাগুলিকে নথিভুক্তও করতে চাই। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে। তারাও অসম সরকারকে সাহায্য করছে।

    ডিজিপি…

    অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের দিন কয়েক আগেই সে রাজ্যের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মাদ্রাসাগুলির সংস্কার সাধনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ছোট মাদ্রাসাগুলিকে কাছাকাছি থাকা বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। উগ্র মৌলবাদ এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের ডিজিপি বলেছিলেন, অসমে মাদ্রাসাগুলি ঠিকঠাক চলছে। যাঁরা মাদ্রাসা চালান এমন ৬৮ জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এর পরেই তিনি বলেন, ছোট মাদ্রাসাগুলিকে এলাকার কোনও বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। মাদ্রাসাগুলির সংস্কার সাধনের ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে। আইনকানুন তৈরি, মাদ্রাসা বোর্ড স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    ডিজিপি বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি ছোট মাদ্রাসাকে বড় বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও সার্ভে চলছে। কিছুদিন আগে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, অসমের মুসলিমরা মৌলবাদীদের বিশেষ টার্গেট। রাজ্যের ছোট ছোট মাদ্রাসাগুলিতে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। তিনি আরও বলেন, অসম পুলিশ সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল বাংলা টিম ও আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের ৯টি মডিউল ধ্বংস করেছে। গত বছর ৫৩ জন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক। হিমন্ত বলেন, মুসলিম নেতারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, এই জাতীয় কাজকর্মে রাশ টানতে। একটি বৈঠকে যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬৮ জন নেতা, মাদ্রাসগুলির সংস্কার সাধনে তাঁরা সহমত পোষণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Himanta Biswa Sarma: অসমের ভবিষ্যতের পক্ষে ‘সেফগার্ড’ ডিলিমিটেশনের সিদ্ধান্ত, জানালেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: অসমের ভবিষ্যতের পক্ষে ‘সেফগার্ড’ ডিলিমিটেশনের সিদ্ধান্ত, জানালেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) ডিলিমিটেশনের (Delimitation) সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রবিবার নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ব্রেক-থ্রু আখ্যা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। অসমের ভবিষ্যতের পক্ষে এটি সেফগার্ড বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিলিমিটেশনের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।

    নির্বাচন কমিশন…

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন আগেই আদেশে জানিয়েছে অসমে ১ জানুয়ারি থেকে ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সেই কারণে ১ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে কোনও জেলা কিংবা প্রশাসনিক ইউনিটে কোনও পরিবর্তন করতে পারবে না অসম সরকার। ২৭ ডিসেম্বরের আদেশে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল অসমের লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রগুলির জন্য ২০০১ সালের সেনসাসের রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে অসম প্রদেশ কংগ্রেস ও অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট। ডিলিমিটশনের সিদ্ধান্তকে তারা রাজ্যের শাসক দল বিজেপির রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ অসমের বিরোধী দলগুলির। তাদের প্রশ্ন, ২০১১ সালের আদম সুমারির রিপোর্টের বদলে কেন মান্যতা দেওয়া হবে ২০০১ এর আদমশুমারির রিপোর্টকে। বিরোধীদের অভিযোগের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডিলিমিটেশনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সেরা সিদ্ধান্ত। এনআরসি সফল হয়নি। অসম অ্যাকর্ডও চাহিদা পূরণ করতে পারেনি। তাই ডিলিমিটেশনই হল সেফগার্ড। অন্তত আগামী দু দশকের জন্য এটি অসমের পক্ষে সেফগার্ড হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার কোনও অর্থ নেই। এটি সাংবিধানিক। তিনি বলেন, এটা করা হবে ডেটা অনুযায়ী।

    প্রসঙ্গত, অসমের বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিজেপি তাদের সুবিধার জন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনগুলিকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ২০১১ সালের পরিবর্তে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারিতে অসমের মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তাদের অভিযোগ, বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই এহেন অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rhino Poaching: কুড়ি বছরে এই প্রথম, ২০২২ সালে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি অসমে

    Rhino Poaching: কুড়ি বছরে এই প্রথম, ২০২২ সালে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কুড়ি বছরে অসমে এই প্রথমবার। ২০২২ সাল জুড়ে একটিও গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) ঘটনা ঘটেনি এই রাজ্যে।

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কী বললেন  

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “বিভিন্ন টেকনোলজির সাহায্য আমরা নিয়েছি যাতে গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) বন্ধ করা যায়। বন্য কর্মীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। তার সঙ্গে বিশেষ কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছিল। সম্মিলিত এই চেষ্টার ফলেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, যেটি গত কুড়ি বছরে প্রথম”।
    প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে এটি ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়তো প্রথম যেখানে বছরে একটিও গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) ঘটনা ঘটেনি। সরকারি রিপোর্ট বলছে, শেষবারের মতো বেআইনি গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) খবর পাওয়া গেছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর খিলাকুন্দা নামক স্থানে, যেটি গোলাঘাট জেলায় অবস্থিত।

    গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) রোধে টাস্ক ফোর্স গঠন
     

     

    ২০২১ সালের জুন মাসে অসম সরকার একটি টাস্ক ফোর্স নির্মাণ করে মোট ২২ জনকে নিয়ে। যার প্রধান করা হয় অসম পুলিশের ডিজিপিকে। সশস্ত্র বাহিনীও মোতায়ন করা হয় এই বেআইনি শিকার (Rhino Poaching) আটকানোর জন্য।

    এই টাস্ক ফোর্সে ১১ টি জেলার পুলিশ সুপারকে এবং  ৬ টি বনবিভাগের আধিকারিককে রাখা হয়। এই টাস্ক ফোর্স মূলত গোলাঘাট, নওগাঁ, করবি অঙ্গলং, বিশ্বনাথ, শান্তিপুর, দারং, মরিগাও, বক্সা, চিরাং, বারপেটা এবং মাজুলী জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল।

    গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) অসমে একটা ধারাবাহিক অপরাধ হয়ে উঠেছিল ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ। ওই সময়ের মধ্যে ২৭ টি গন্ডার শিকারের খবর সামনে আসে। ২০১৬ সালে ১৮ টির বেশি গন্ডারকে শিকার (Rhino Poaching) করা হয়, অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে এখন বর্তমানে ২৬১৩ টি গন্ডার রয়েছে এবং এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, যারা শিকার (Rhino Poaching) করে তাদের কাছে একটা ভুল ধারণা থাকে যে গন্ডারের শিং এর থেকে ওষুধ তৈরি হয় এবং তার একটা ব্যাপক আর্থিক মূল্য রয়েছে কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Meteorite: পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি কীভাবে, জানাবে অসমে খসে পড়া উল্কাপিণ্ড!

    Meteorite: পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি কীভাবে, জানাবে অসমে খসে পড়া উল্কাপিণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগের এক রাতের নিকষ কালো আকাশের বুকে দেখা গিয়েছিল উজ্জ্বল আলোকখণ্ড। পরে সেটি দ্রুত গতিতে নীচের দিকে এসে সজোরে আছড়ে পড়ে মাটিতে। আসলে সেটি একটি উল্কাপিণ্ড (Meteorite)। অসমের (Assam) গোলাঘাট জেলার কামারগাঁও শহরের উপান্তে খসে পড়েছিল ওই উল্কাপিণ্ড।

    উল্কাপিণ্ড…

    সেই উল্কাপিণ্ড সংগ্রহ করে শুরু হয় গবেষণা। সেই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে এই উল্কাপিণ্ডের মধ্যেই লুখিয়ে রয়েছে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল কীভাবে। এই উল্কাপিণ্ডে থাকা রাসায়নিক কম্পোজিশনগুলিই সমস্যার সমাধানে বড়সড় ইঙ্গিত দেবে বলে আশা গবেষকদের। অসমের মাটিতে আছড়ে পড়া ওই উল্কাপিণ্ডের মধ্যে থাকা রাসায়নিক বিশ্লেষণ করেন জানা যাবে নক্ষত্র থেকে কীভাবে জীবনের সূচনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    উল্কাপিণ্ডটি নিয়ে কাজ করছেন খড়্গপুর আইআইটির একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, ভিন সৌরজগৎ থেকে আসা উল্কাপিণ্ড বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে খনিজের মধ্যে ভেসিক্যালস রয়েছে। এই প্রথম এটা জানা গেল। এটা থেকেই জানা যেতে পারে জগতে কীভাবে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। কেবল খড়্গপুর আইআইটি (IIT) নয়, আইআইটির সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করছে জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিও। এই গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ প্ল্যানেটসে।

    আরও পড়ুন: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    গবেষকরা জেনেছেন, অসমে যে উল্কাপিণ্ডটি (Meteorite) খসে পড়েছিল, সেটা এসেছে মঙ্গল ও বৃহস্পতির অ্যাস্টোরয়েড বেল্ট থেকে। দ্রুত গতিতে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সময় সেটির সঙ্গে ধাক্কা হয় কোনও গ্রহাণুর। জানা গিয়েছে, এই যে উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষ, তার ফলে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল গ্রহাণু। এরই কয়েকটি টুকরো আছড়ে পড়েছে ভূপৃষ্ঠে। অসমের কামারগাঁওয়ে যে উল্কাপিণ্ডটি আছড়ে পড়েছিল, সেটি যে গ্রহাণু থেকে এসেছিল, সেটি আকারে ৬.৪ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Project Vartak: চিনকে চাপে রাখতে অরুণাচল সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে ভারত!

    Project Vartak: চিনকে চাপে রাখতে অরুণাচল সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে লাল ফৌজ। মাঝে মধ্যেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার। অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই চিন(China) পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে বলে খবর। এসবেরই জবাব দিতে ফের একবার আস্তিন গোটাচ্ছে ভারতীয় সেনা। লাল ফৌজকে যোগ্য জবাব দিতে অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিকাঠামো গড়ছে ভারতও (India)। তাওয়াংয়ের ঘটনার পর এবার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট ভারটক (Project Vartak)। এই প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানান বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন রাস্তার উন্নয়ন করছে, সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তাঘাট। পশ্চিম অসম এবং পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই এ কাজ শুরু হয়েছে।

    রামন কুমার বলেন…

    প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমাদের ন্যাশনাল হাইওয়ে রয়েছে, সিঙ্গল লেন রোডস, ডাবল লেন রোডস এবং অন্যান্য ধরনের রাস্তা আছে। আমরা তাওয়াং জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চাই। এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়নও করতে চাই আমরা। তিনি জানান, দুটি টানেলের কাজও চলছে। একটি হল সেলা টানেল, অন্যটি নেচিপু টানেল। শীতকালে বরফ পড়ে। তখন যাতায়াতে সমস্যা হয়। সেই সমস্যার সমাধান করতেই তৈরি করা হচ্ছে দুটি টানেল। তিনি বলেন, সেলা টানেলের কাজ চলছে। এটি সেলা পাসের চারশো মিটার নীচে। টানেলের কাজ শেষ হয়ে গেলে এই এলাকার লোকজন শীতকালে বরফ পড়ার সময়ও অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন টানেলের মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমরা নেচিপু টানেলেও কাজ করছি। এটা নেচিপু পাসের কাছেই। টানেল দুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেনার পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনও চলাচল করতে পারবে। টানেলের মাধ্যমে যাতায়াত হবে অনায়াস। তিন বলেন, এটা যে কেবল সেনা এবং এলাকাবাসীর উপকারে লাগবে তা নয়, উন্নত হবে এলাকার পর্যটন শিল্পও। রাস্তার পরিকাঠোমা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায়ও যাতে মোবাইল কানেকটিভিটি মেলে, সেজন্য তাওয়াং এবং সীমান্তের অন্যত্র বসানো হচ্ছে মোবাইল টাওয়ারও। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ৯ তারিখে তাওয়াংয়ে হাতাহাতি হয় ভারতীয় সেনা ও লাল ফৌজের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে সময় দেওয়া যাচ্ছে না বাবা-মাকে। কর্মসূত্রে অনেকেই থাকেন দূর-দুরান্তে। বাবা-মা আগলে বসে থাকেন ভিটে। তাই দূরত্ব বাড়ছে মা বাবার সঙ্গে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য চলতি বছর থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য দু দিনের বিশেষ ক্যাজুয়েল লিভের ব্যবস্থা করেছে অসমের (Assam) বিজেপি (BJP) সরকার। আগামী বছরও মিলবে ছুটি। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দিয়েছে অসম সরকার। এ বছর ছুটি ছিল জানুয়ারিতে (January)। আগামী বছর ছুটি মিলবে ফেব্রুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারির ৯ এবং ১০ তারিখ এই দু দিন ছুটি। কর্মীরা চাইলে ওই দু দিন ছুটি না নিয়ে অন্য সময় নিতে পারেন।

    অসমই প্রথম?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ছুটি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে এ দেশে এর চল নেই বলেই মনে হয়। অসমই প্রথম রাজ্য যারা এটা চালু করেছে। চলতি বছর মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অসমে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৬ ও ৭ জানুয়ারি। অনেক কর্মী ওই দিনই ছুটি নিয়েছেন। অনেকে আবার অন্য ছুটির সঙ্গে এই দু দিন জুড়ে দিয়ে দীর্ঘায়িত করে নিয়েছেন ছুটির তালিকা। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই যে দু দিনের বিশেষ ছুটি, সেই ছুটি দিনের দিন না নিয়ে শনি-রবিবারের সঙ্গে জুড়ে দিয়েও নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে কাটানোর জন্য মিলবে টানা চারদিন। এই বিশেষ ছুটি পেতে গেলে কীভাবে আবেদন করতে হবে, তা একটি স্পেশাল ওয়েব পোর্টাল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    ২০২১ সালে অসমের (Assam) ক্ষমতায় আসে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। ওই বছরই ১৫ই অগাস্টের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেছিলেন, সরকারি কর্মীরা যাতে মা-বাবা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, তাই দু দিনের বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে। পরে মন্ত্রিসভা সায় দেয় এই প্রস্তাবে। তার পরেই চলতি বছর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় জানুয়ারির ৬ এবং ৭-এ। হিমন্ত জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং পুলিশের ডিজি ছাড়া এই ছুটি সবাই পাবেন। এমনকী মন্ত্রীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Himanta Biswa Sarma: ‘হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, তারা কখনওই সন্ত্রাসে জড়ায় না’, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: ‘হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, তারা কখনওই সন্ত্রাসে জড়ায় না’, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা কখনওই সন্ত্রাসে জড়ায় না। বৃহস্পতিবার একথা বলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, হিন্দুরা (Hindus) সচরাচর দাঙ্গায় জড়িত থাকে না। এই সম্প্রদায় জিহাদে বিশ্বাস করে না। ভারতে নানা সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। এদিন রাহুল গান্ধী সম্পর্কে সাদ্দাম হুসেন মন্তব্য নিয়েও উত্তর দিয়েছেন হিমন্ত।

    হিমন্ত উবাচ…

    এদিন একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা দাঙ্গা করে না। তিনি বলেন, সম্প্রদায় হিসেবে হিন্দুরা জিহাদে বিশ্বাস করে না। হিন্দু সম্প্রদায় কখনও দাঙ্গায় জড়াবে না। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের এক জনসভায় বলেছিলেন, উচিত শিক্ষা দেওয়ায় সমাজবিরোধীরা হিংসা করা বন্ধ করেছে। তার পরেই হিমন্তের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি! ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, গুজরাটে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি।

    এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাহুলকে সুন্দর দেখতে। তাঁর গ্ল্যামার রয়েছে। কিন্তু এখন ছবি তুলে সাদ্দাম হুসেনের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। প্রসঙ্গত, ২৩ নভেম্বর হিমন্ত বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীকে সাদ্দাম হুসেনের মতো দেখায়। ইরাকের একনায়ক ছিলেন সাদ্দাম। হিমন্ত এও বলেছিলেন, তিনি বরং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরু বা মাহাত্মা গান্ধীর মতো লুক নিলে ভাল করতেন।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার অফিস, বিস্ফোরক হিমন্ত! জানেন কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

    কংগ্রেসে থাকায় তাঁর জীবনের মূল্যবান ২২টা বছর নষ্ট হয়েছে বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কংগ্রেসে থাকাকালীন আমরা একটি পরিবারের ভজনা করতাম। আর বিজেপিতে আমরা পুজো করি দেশের। এর পরেই তিনি বলেন, কংগ্রেসে থেকে জীবনের ২২টা বছর নষ্ট করেছি আমি। আদর্শগত কারণেই যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এদিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share