Tag: Assembly

Assembly

  • West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে৷ শুক্রবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি। এরপর হট্টোগোল শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট (BJP Walk Out) করেন বিজেপির বিধায়করা। 

    ধর্মাচরণে বাধা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মণ একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

    শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ধারা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’’ শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি। আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “সুশাসন ও কল্যাণ নীতির জন্যই জয়”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “সুশাসন ও কল্যাণ নীতির জন্যই জয়”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপনির্বাচনে বিজেপি যে ডমিনেট করছে, তার কারণ সুশাসন ও কল্যাণ নীতি।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    এগিয়ে বিজেপি

    এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি (UP Bypolls) গাজিয়াবাদ এবং খৈর আসনে জিতেছে। এগিয়ে রয়েছে কুণ্ডারকি, ফুলপুর, মাজহাওয়ান এবং কাতেহারিতে। বিজেপির সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) মীরাপুর আসনে এগিয়ে রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি সিসমাউতে জিতেছে এবং করহালে এগিয়ে রয়েছে।  এদিন সন্ধেয় জানা যায়, ৯টির মধ্যে ৭টি আসনে জিতেছে বিজেপি।

    কী লিখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

    ট্যুইট-বার্তায় আদিত্যনাথ লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএর জয় হল জনগণের অটুট বিশ্বাসের প্রমাণ, যা সফল নেতৃত্ব ও মহামান্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশনায় স্থাপন করা হয়েছে। এই জয় হল ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নিরাপত্তা, সুশাসন এবং জনকল্যাণমূলক নীতি, এবং নিবেদিত কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।”

    তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত বিজয়ী প্রার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! এদিন আরও একবার যোগী বলেন, “বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে”, “এক হন তো সুরক্ষিত হন”।

    মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে আদিত্যনাথ তাঁর বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে স্লোগানের জয়গান গেয়েছিলেন। তার জেরে বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। আদিত্যনাথ স্বয়ং এই স্লোগান সমর্থন করে বলেন, বিরোধীরাই জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করছে।

    আরও পড়ুন: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    উত্তরপ্রদেশ (Yogi Adityanath) বিধানসভা উপনির্বাচনে ন’টি আসনে বিজেপি ডমিনেট করছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই দুটি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। চারটিতে এগিয়ে রয়েছে। গাজিয়াবাদে বিজেপির সঞ্জীব শর্মা সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সিং রাজ জাটভকে ৬৯ হাজার ৩৫১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। খাইরেয় বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র দিলের সমাজবাদী পার্টির চারু কাইনকে ৩৮ হাজার ৩৯৩ ভোটে পরাস্ত করেন।

    এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফুলপুরে বিজেপির প্রার্থী দীপক প্যাটেল সমাজবাদী পার্টির মহম্মদ মুজতবা সিদ্দিকির থেকে ১১ হাজার ১৩টি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। কাটেহারিতে বিজেপি প্রার্থী ধর্মরাজ নিষাদ সমাজবাদী পার্টির শোভাবতী বর্মার থেকে ১৫ হাজার ৪১০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। আর এক বিজেপি প্রার্থী সুচিস্মিতা মৌর্য (UP Bypolls) সমাজবাদী পার্টির জ্যোতি বিন্দের থেকে এগিয়ে রয়েছে ৬ হাজার ৮০০ ভোটে (Yogi Adityanath)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    BJP: নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিধানসভার ইতিহাসে বেনজির ঘটনা ঘটালেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। সৌজন্য, আরজি করের ঘটনা (RG Kar incident)। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভায় ঠায় বসে রইলেন তাঁরা। আলাদা করে পাঠ করলেন শোকপ্রস্তাব। নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় এভাবেই পদ্ম শিবির স্মৃতি তর্পণ করলেন নির্যাতিতার। এর পর, বিধানসভা চত্বরে মোমবাতি হাতে করলেন মৌন-মিছিল।

    শুভেন্দুর অনুরোধ (BJP)

    আরজি করকাণ্ডের জেরে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন বসেছে আজ সোমবার থেকে। উদ্দেশ্য, ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতে বিল পাশ করানো। নির্ধারিত সূচি মেনে অধিবেশন শুরু হয় দুপুর ২টো নাগাদ। অধিবেশনের শুরুতেই প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য শোকপ্রস্তাব পাঠ করা হয়। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অনুরোধ করেন, আরজি করের নির্যাতিতার জন্যও শোকপ্রস্তাব পাঠ করতে। শুভেন্দুর প্রস্তাবে আপত্তি জানান স্পিকার। জানিয়ে দেন, নির্যাতিতার নামোল্লেখ করার ক্ষেত্রে আইনি বাধা রয়েছে।

    পদ্মের প্রস্তাব পাঠ

    শুভেন্দু পরামর্শ দেন, ‘৯ অগাস্ট’ বা ‘ডাক্তার বোন’ এমন কিছু বলেও যদি শোকপ্রস্তাব পাঠ করা সম্ভব হয়। তাতেও সাড়া দেননি স্পিকার। এর পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। একে একে বেরিয়ে যান বিধায়করা। অধিবেশন কক্ষে রয়ে যান পদ্ম বিধায়করা। শুভেন্দু নির্যাতিতার নামোল্লেখ না করেই শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন। তার পরেও প্রায় ১৫ মিনিট বিধানসভায় ঠায় বসেছিলেন পদ্ম বিধায়করা। এখানেই শেষ নয়। অধিবেশন কক্ষেই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শুভেন্দু ও অন্য বিজেপি বিধায়কেরা। পরে কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিধানসভার ইনার লবি সহ চারপাশে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে মৌনমিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। 

    আরও পড়ুন: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (BJP) বলেন, “আমরা বলেছিলাম আইন মেনে প্রস্তাব পাঠ করুন। আমরা পরে পাঠ করেছি। আমরা হাতে আলো নিয়ে মৌন মিছিল করেছি।” তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে নিহত কর্মরতা চিকিৎসকের কথা উল্লেখ করুন। কিন্তু স্পিকার তা প্রত্যাখান করেন। আমরা বুদ্ধবাবুকে সম্মান করি বলে প্রতিবাদ করে কিছু বলিনি। পরে আমরা আমাদের মতো করে প্রয়াত বোনকে সম্মান জানিয়েছি।” 

    প্রসঙ্গত, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিল আনছে রাজ্য। মঙ্গলবার পেশ হবে ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল, ২০২৪।’ এদিনই বিলটি পাশ করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দ্রুত আইনে পরিণত করতে চায় (BJP) রাজ্য সরকার (RG Kar incident)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রস্তুত থাকুন। কী ভাষায় উত্তর দিতে হয়, আমরা বুঝিয়ে দেব। বিধানসভায় দেখা হবে।” এই ‘হুঙ্কার’ যাঁকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সেই তাঁকেই রবিবার কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

    বিশেষ অধিবেশন (Suvendu Adhikari)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) জেরে আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতেই বসছে বিশেষ অধিবেশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল পেশ হবে বিধানসভায়। সোমবার দুপুর ২টোয় বসবে অধিবেশন। এদিন শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে অধিবেশন। শোকপ্রস্তাবে আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার উল্লেখ থাকবে কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তবে বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন যে উত্তাল হবে, সে ব্যাপারে পদ্ম শিবিরে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। রবিবার বিকেলে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু। ধর্মতলায় চলছে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধর্না অবস্থান। সেখানে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর হুঙ্কার

    শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “আরজি কর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন ভাষায় জবাব দিতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। দল হিসেবে বিজেপি বিধানসভায় তা দেখিয়েও দেবে।” ধর্ষণ করলেই ফাঁসির সাজা হবে। এই মর্মে আইন করতে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। দশ দিনের মধ্যে এই বিল পাশ করানো হবে বলেও মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই মতো এদিন বসতে চলেছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন।

    আরও পড়ুন: “নাটক বন্ধ করুন মমতা”, ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে কটাক্ষ দিলীপের

    রবিবারই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ  ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনতে উদ্যোগী হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রকাশ্যে মহিলাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আরজি করে মহিলার মৃতদেহের ময়না তদন্তের সময় বাড়ির লোককে রাখা হয়নি। যারা অপরাধীদের আড়াল করছে, তারা কোন মুখে বড় বড় কথা বলে?” তিনি বলেছিলেন, “আজ নাটক করছে, ফাঁসির আইন আনবে। কে অধিকার দিয়েছে আইন করার? এই নাটক বন্ধ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    বস্তুত, ধর্ষণ রুখতে কড়া সাজার সংস্থান রয়েছে কেন্দ্রেরই নয়া আইনে। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা আইন আনার (RG Kar Incident) উদ্যোগ আসলে আইওয়াশের চেষ্টা বলেই দাবি (Suvendu Adhikari) ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছিল ইংরেজ জমানায়। আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে জারি রেখেছিল কংগ্রেস। ফি শুক্রবার অসম বিধানসভায় থাকত দু’ঘণ্টার নমাজ বিরতি (Namaz Break)। এবার তাতেই কাঁচি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    নমাজ বিরতিতে কোপ (Himanta Biswa Sarma)

    বিধানসভায় ঘোষণা করে দিলেন, জুম্মাবারের নমাজ আদায়ের বিরতি আর মিলবে না। তাঁর সাফ কথা, ঔপনিবেশিক আমলের অভ্যাসে বদল আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি ও বিধায়কদের ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুসলমানদের কাছে শুক্রবার হল জুম্মাবার। এদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ পাঠের বিরতি পেতেন অসমের মুসলমান বিধায়ক ও কর্মীরা। ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা এই প্রথায়ই এবার ইতি টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান বিধায়করা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আমাদের বিধানসভার হিন্দু ও মুসলমানরা বিধায়কের রুলিং কমিটিতে বসে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দু’ঘণ্টা বিরতি ঠিক নয়। আমাদের এই সময়ও কাজ করা উচিত।” তিনি বলেন, “এই প্রথাটি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল। গতকাল থেকে বন্ধ করা হয়েছে (Himanta Biswa Sarma)।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় এই প্রথা চালু করেছিল মুসলিম লিগ। সেই সময় থেকেই রাজ্যের মুসলিম বিধায়করা প্রতি শুক্রবার দু’ঘণ্টার জন্য নমাজ আদায়ের বিরতি পেতেন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুক্রবারও (Namaz Break) বিধানসভার কাজ হবে স্বাভাবিকভাবে। প্রতিদিনই বিধানসভায় কাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Yogi Adityanath: আকবর নগরের নাম পাল্টে হল ‘সৌমিত্র বন’, ঘোষণা যোগীর, জানেন এই নামের তাৎপর্য?

    Yogi Adityanath: আকবর নগরের নাম পাল্টে হল ‘সৌমিত্র বন’, ঘোষণা যোগীর, জানেন এই নামের তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকবরনগর এখন ‘সৌমিত্র বন’ নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। ভগবান রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের নামে এই নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বিধানসভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এই কথা ঘোষণা করেছেন। এই ভাবে এলাকায় অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের কথা বলে সমাজবাদী পার্টির তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath)?

    আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) লখনউ সেন্ট্রাল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এসপি বিধায়ক রবিদাস মেহরোত্রার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় বলেছেন, “লখনউয়ের ইতিহাস দেখলে জানতে পারবেন, যেখানে গোমতী এবং কুকরাইল নদীর সঙ্গম ছিল। আকবরনগর, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়েছিল, তবে এর বেশিরভাগই অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাল নথি ও কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধ ভাবে নিবন্ধীকরণ করে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ হয়েছে। এখন থেকে আকবরনগর এখন সৌমিত্র বন নামে জানা যাবে। ভগবান রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের নামে হবে ‘সৌমিত্র বন’।”

    জমি দখলকারী মাফিয়ারা সমাজবাদী ঘনিষ্ঠ

    সামজবাদী বিধায়কে প্রশ্নের উত্তরে যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেছেন, “আপনারা গিয়ে দেখে নিন কুকরাইল, নদী নাকি নালা! আজ সেখানে আপনি নদী দেখবেন, কিন্তু নালা নয়। দেশ জুড়ে নদী সংস্কারের অভিযান চলছে। আমরা বলি জলই জীবন, কিন্তু আমরা কি একে ধ্বংস করে জীবন কল্পনা করতে পারি? একদিকে সমাজবাদীরা গোমতী নদীকে ‘মা’ বলছেন, আবার অন্যদিকে পুরো নদীকে নোংরা নালায় পরিণত করেছেন। এটা তাঁদের দ্বিচারিতা। নদী সংস্কারের জন্য যে প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, তার জন্য তো সরকারকে প্রশংসা করা উচিত আপনাদের। গরিব মানুষকে ঠকিয়ে জমি দখলকারী মাফিয়াদের বেশিরভাগই সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্ঠ। আমরা ইন্দ্রপ্রস্থ নগর এবং পান্ত নগরে মাফিয়াদের চিহ্নিত করেছি।”

    আরও পড়ুনঃ লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    ১৮০০-র বেশি পরিবার ঘর পেয়েছেন

    গত ১৯ জুন আকবর নগরের (Soumitra Van) কুকরাইল নদীর পাড়ে অবৈধ নির্মাণের ভাঙার কাজ শেষ করেছে যোগী সরকার (Yogi Adityanath)। বুলডোজার সহ ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মোট ১১৬৯টি অবৈধ বাড়িঘর এবং ১০০টিরও বেশি দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৪.৫ একর জমির ওপর অবৈধ দখল উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছিল। ওই এলাকায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানসহ মোট ১৩২০টিরও বেশি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আকবরনগরে বসবাসকারী পরিবারগুলি যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য শহরের অন্যান্য অংশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ১৮০০-র বেশি পরিবার ঘর পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্টকে (CAG Report) ঘিরে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা আলোচনার দাবিতে সরব হলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা সভার বাইরে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিএজি রিপোর্টে কী বলা হয়েছে (CAG Report)?

    সিএজি (CAG Report) অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কোনও রকম খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্যে মমতার সরকার। ফলে রাজ্যের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে এই সিএজি রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আজ মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এরপর বিধানসভায় ব্যাপক হট্টগোলের কারণে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।

    সিএজি নিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির

    সিএজি (CAG Report) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, আলোচনার কথা বলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা করে বিজেপি। বিজেপির এই পরিষদীয় দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ ওঁরাও, শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ছয় জন বিধায়ক। তাঁদের দাবি ছিল, সিএজি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনায় সম্মতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    চোর চোর স্লোগান

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে আলোচনার অনুমতি না পেয়ে বিজেপি বিধায়কেরা সভার অন্দরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর শাসক দলের উদ্দেশ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে শাসক দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেওয়া হয়।

    বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “সিএজির রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদি কেউ কিছু করে না থাকেন তাহলে ভয় কিসের? স্পিকার তো নিরপেক্ষ, ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।” উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবার মোদি রাজ্যের মমতার সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার শংসাপত্র দেখায়নি। অবশ্য মমতা পালটা চিঠি লিখে জানান, ২০০২-৩ সালের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সেই সময় তৃণমূল ছিল না রাজ্যে। সিএজি নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: ডানা ছাঁটা হল টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    Conflict: ডানা ছাঁটা হল টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গোষ্ঠী কোন্দলে (Conflict) জেরবার টিটাগড় পুরসভা। চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) এমন পর্যায় গিয়েছে যে পুরবোর্ড আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নজরে রাখছিল। এবার বিধানসভায় তলব করে টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের ডানা ছাঁটা হল। সোমবার সোমবার বিধানসভায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়। বৈঠকে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই টিটাগড় পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের জেরে অচলাবস্থা নিয়ে কথা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল জেলা নেতৃত্বের সামনে বলেন, চেয়ারম্যান সকলের সামনে অপমান করেছে। এভাবে বোর্ড মিটিংয়ে এই ধরনের আচরণ করতে পারে না। তাই, আমরা মিটিং ওয়াক আউট করেছিলাম। বিষয়টি জানার পর জেলা নেতৃত্ব নতুন করে কমিটি গঠন করে পুরসভা পরিচালনার কথা বলেন। ঠিক হয়েছে, গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) কমাতে পুরসভায় এককভাবে চেয়ারম্যান কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। একইসঙ্গে পুরসভা পরিচালনার জন্য ৯ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে কারা কারা থাকবে তা দলের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ৯ জনের কমিটিতে পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন সিআইসি, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি এবং যুব সভাপতিকে রাখা হয়েছে। এই আটজনের কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করতে হবে বলে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এইধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। এর আগে টিটাগড় পুরসভা পরিচালনা করতে গিয়ে দলকে এভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। বৈঠকের পর টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, জেলা নেতৃত্ব যা নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো এবার পুরসভা পরিচালনা হবে। নতুন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সব কাজ করা হবে। অন্যদিকে,  টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।

    টিটাগড়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল কেন? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলে (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। মূলত, পুরবোর্ডে সকলের সামনে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে চেয়ারম্যান খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বিল্ডিং অনুমোদন দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য হয়। চেয়ারম্যান এক তরফাভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বোর্ডের একটি বড় অংশ প্রশ্ন তোলে। ৩ মার্চ থেকে পুরবোর্ড আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পুরসভা পরিচলনার হাল ফেরাতেই জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly: কর্নাটকে রাজ্যসভায় জয়ী কংগ্রেসের নাসির, অনুগামীদের গলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান!

    Karnataka Assembly: কর্নাটকে রাজ্যসভায় জয়ী কংগ্রেসের নাসির, অনুগামীদের গলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জিতেছেন কংগ্রেসের প্রতীকে। সাংসদ হয়েছেন ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার। অথচ দলীয় প্রার্থীর জয়ে উল্লসিত কংগ্রেসের নাসির হুসেনের অনুগামীরা ধ্বনি দিতে শুরু করলেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে (Karnataka Assembly)। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। কর্নাটকের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা দেশে। কংগ্রেস অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে বিজেপির অভিযোগ।

    পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান

    মঙ্গলবার গোটা দেশে রাজ্যসভার ১৫টি আসনে হয় নির্বাচন। এর মধ্যে ছিল কর্নাটকের একটি আসনও। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের রাজনৈতিক সচিব নাসির হুসেন। নির্বাচনে জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাসির। সেই সময় হঠাৎই পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিতে থাকেন (Karnataka Assembly) নাসিরের অনুগামীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই নাসিরের অনুগামীদের পাকিস্তান-প্রেমের কথার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন বিজেপির আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালব্য। ভিডিওটিতে স্পষ্টই পাকিস্তানের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে নাসিরের অনুগামীদের। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম

    ‘কংগ্রেসের আবেগ বিপজ্জনক’

    এক্স বার্তায় অমিত জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের প্রতি কংগ্রেসের আবেগ বিপজ্জনক। এটা দেশের পক্ষে নিরাপদ নয়। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” নাসিরের অনুগামীদের পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের নিন্দায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ও কর্নাটকের নেতা সিটি রবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করেছেন তাঁরাও।

    আরও পড়ুুন: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    নাসির ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেঙ্গালুরু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কর্নাটকের বিজেপি নেতৃত্ব। মামলা করা হয়েছে ১৫৩ ধারায়। বুধবার বিধান সৌধের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে বরখাস্ত করার দাবিও জানানো হবে বলে জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “বিধানসভার মধ্যে নাসির হুসেনের অনুগামীরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছেন। ভিডিওতে তা স্পষ্ট। তার পরেও কংগ্রেস সাংসদ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘনিষ্ঠ নাসির হুসেন। পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে বিজেপি (Karnataka Assembly)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Issue: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Dengue Issue: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা সহ জেলায় জেলায়  ডেঙ্গি (Dengue Issue) পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে আজ, সোমবার বিধানসভায় আলোচনার দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৫, কেবল জুলাইয়েই মৃত ৮। এই আবহে এদিন ডেঙ্গি ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা (Bidhansabha)। ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় বিজেপি। স্পিকার নাকচ করায় বিধানসভায় ওয়াকআউট করে বিজেপি (BJP)।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী

    জুলাই মাসেই ডেঙ্গিতে (Dengue Issue) রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি নিয়ে আজ বিধানসভা অধিবেশনে কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গি আবার ট্রেন্ড, কোনও বছর কম হয়, কোনও বছর বেশি’, নিজের নিজের এলাকায় নজর রাখুন’, বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিদের এই নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিধানসভায় ডেন্সি-পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত ৪ হাজার ৪০১ জন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।’ এদিন অধিবেশন কক্ষে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ার জেরেই সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েত কাজ করতে পারছে না। তাই দ্রুত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করা দরকার।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন।

    আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে ৬৭৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আজ উত্তাল হতে পারে বিধানসভা

    কী বলছেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, এই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। একশো জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য সরকার চেপে যাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত কসবা, তিলজলাতে গেলেই বোঝা হবে বাংলার ডেঙ্গির (Dengue Issue) পরিস্থিতি। এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ। বিরোধী দলনেতার দাবি, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সঙ্গে ডেঙ্গি প্রতিরোধে পদক্ষেপ করার কোনও যোগ নেই।  শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌মুখ্যসচিব ডেঙ্গি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। বিডিও, বিএমওএইচ, সিএমওএইচদের কোনও নির্দেশ দিচ্ছেন না। ১০০র বেশি লোক মারা গিয়েছে। ওঁ সবটাই লুকোচ্ছেন।’ প্রতিবাদ জানাতে এদিন মশা, মশারি নিয়ে বিধানসভার মধ্যেই অভিনব ওয়াকআউট করে বিজেপি। রীতিমতো বিক্ষোভে মেতে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share